< lUkaH 11 >
1 anantaraM sa kasmiMzcit sthAnE prArthayata tatsamAptau satyAM tasyaikaH ziSyastaM jagAda hE prabhO yOhan yathA svaziSyAn prArthayitum upadiSTavAn tathA bhavAnapyasmAn upadizatu|
একদিন যীশু কোনো এক স্থানে প্রার্থনা করছিলেন। যখন শেষ করলেন, তাঁর একজন শিষ্য তাঁকে বললেন, “প্রভু, যোহন যেমন তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, তেমন আপনিও আমাদের প্রার্থনা করতে শিখিয়ে দিন।”
2 tasmAt sa kathayAmAsa, prArthanakAlE yUyam itthaM kathayadhvaM, hE asmAkaM svargasthapitastava nAma pUjyaM bhavatu; tava rAjatvaM bhavatu; svargE yathA tathA pRthivyAmapi tavEcchayA sarvvaM bhavatu|
তিনি তাঁদের বললেন, “প্রার্থনা করার সময়, তোমরা বোলো: “‘হে পিতা, তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক, তোমার রাজ্য আসুক।
3 pratyaham asmAkaM prayOjanIyaM bhOjyaM dEhi|
প্রতিদিন আমাদের দৈনিক আহার আমাদের দাও।
4 yathA vayaM sarvvAn aparAdhinaH kSamAmahE tathA tvamapi pApAnyasmAkaM kSamasva| asmAn parIkSAM mAnaya kintu pApAtmanO rakSa|
আর আমাদের সব পাপ ক্ষমা করো, যেমন আমরাও নিজেদের সব অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদের প্রলোভনে পড়তে দিয়ো না।’”
5 pazcAt sOparamapi kathitavAn yadi yuSmAkaM kasyacid bandhustiSThati nizIthE ca tasya samIpaM sa gatvA vadati,
তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “মনে করো, তোমাদের কোনও একজনের বন্ধু যদি মাঝরাতে তার কাছে গিয়ে বলে,
6 hE bandhO pathika EkO bandhu rmama nivEzanam AyAtaH kintu tasyAtithyaM karttuM mamAntikE kimapi nAsti, ataEva pUpatrayaM mahyam RNaM dEhi;
‘বন্ধু, আমাকে তিনটি রুটি ধার দাও। আমার এক বন্ধু এক জায়গায় যাওয়ার পথে আমার কাছে এসেছে। কিন্তু তাকে খেতে দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই।’
7 tadA sa yadi gRhamadhyAt prativadati mAM mA klizAna, idAnIM dvAraM ruddhaM zayanE mayA saha bAlakAzca tiSThanti tubhyaM dAtum utthAtuM na zaknOmi,
তখন ভিতর থেকে সে উত্তর দিল, ‘আমাকে বিরক্ত কোরো না। দরজা বন্ধ করা হয়েছে, ছেলেমেয়েরা আমার সঙ্গে শুয়ে আছে। আমি উঠে তোমাকে কিছু দিতে পারছি না।’
8 tarhi yuSmAnahaM vadAmi, sa yadi mitratayA tasmai kimapi dAtuM nOttiSThati tathApi vAraM vAraM prArthanAta utthApitaH san yasmin tasya prayOjanaM tadEva dAsyati|
আমি তোমাদের বলছি, যদিও তার বন্ধু বলে সে উঠে তাকে রুটি দিতে পারবে না, কিন্তু লোকটির আকুলতার জন্য সে উঠে তার চাহিদামতো রুটি তাকে দেবে।
9 ataH kAraNAt kathayAmi, yAcadhvaM tatO yuSmabhyaM dAsyatE, mRgayadhvaM tata uddEzaM prApsyatha, dvAram Ahata tatO yuSmabhyaM dvAraM mOkSyatE|
“তাই আমি তোমাদের বলছি, চাও, তোমাদের দেওয়া হবে; খোঁজ করো, তোমরা পাবে; কড়া নাড়ো, তোমাদের জন্য দ্বার খুলে দেওয়া হবে।
10 yO yAcatE sa prApnOti, yO mRgayatE sa EvOddEzaM prApnOti, yO dvAram Ahanti tadarthaM dvAraM mOcyatE|
কারণ যে চায়, সে গ্রহণ করে; যে খোঁজ করে, সে সন্ধান পায়; আর যে কড়া নাড়ে, তার জন্য দ্বার খুলে দেওয়া হয়।
11 putrENa pUpE yAcitE tasmai pASANaM dadAti vA matsyE yAcitE tasmai sarpaM dadAti
“তোমাদের মধ্যে এমন বাবা কে আছে, ছেলে রুটি চাইলে যে তাকে পাথর দেবে, অথবা মাছ চাইলে তার পরিবর্তে সাপ দেবে?
12 vA aNPE yAcitE tasmai vRzcikaM dadAti yuSmAkaM madhyE ka EtAdRzaH pitAstE?
অথবা সে ডিম চাইলে তাকে কাঁকড়াবিছে দেবে?
13 tasmAdEva yUyamabhadrA api yadi svasvabAlakEbhya uttamAni dravyANi dAtuM jAnItha tarhyasmAkaM svargasthaH pitA nijayAcakEbhyaH kiM pavitram AtmAnaM na dAsyati?
তোমরা মন্দ প্রকৃতির হয়েও যদি নিজেদের সন্তানদের ভালো ভালো উপহার দিতে জানো, তাহলে যারা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার কাছে চায়, তাদের তিনি আরও কত না নিশ্চিতরূপে পবিত্র আত্মা দান করবেন!”
14 anantaraM yIzunA kasmAccid Ekasmin mUkabhUtE tyAjitE sati sa bhUtatyaktO mAnuSO vAkyaM vaktum ArEbhE; tatO lOkAH sakalA AzcaryyaM mEnirE|
যীশু ভূতগ্রস্ত এক বোবা ব্যক্তির মধ্য থেকে ভূত তাড়ালেন। ভূতটি চলে গেলে বোবা মানুষটি কথা বলতে লাগল। এ দেখে লোকেরা ভীষণ চমৎকৃত হয়ে গেল।
15 kintu tESAM kEcidUcu rjanOyaM bAlasibUbA arthAd bhUtarAjEna bhUtAn tyAjayati|
কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন বলল, “ও ভূতদের অধিপতি বেলসবুলের সহায়তায় ভূতদের দূর করে।”
16 taM parIkSituM kEcid AkAzIyam EkaM cihnaM darzayituM taM prArthayAnjcakrirE|
অন্যেরা তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য কোনও স্বর্গীয় চিহ্ন দেখতে চাইল।
17 tadA sa tESAM manaHkalpanAM jnjAtvA kathayAmAsa, kasyacid rAjyasya lOkA yadi parasparaM virundhanti tarhi tad rAjyam nazyati; kEcid gRhasthA yadi parasparaM virundhanti tarhi tEpi nazyanti|
যীশু তাদের মনের কথা জানতে পেরে তাদের বললেন, “কোনো রাজ্য যদি নিজেরই বিরুদ্ধে বিভাজিত হয়, তাহলে তার পতন হবে। কোনো পরিবার যদি নিজের বিরুদ্ধে বিভাজিত হয়, তাহলে তার পতন হবে।
18 tathaiva zaitAnapi svalOkAn yadi viruNaddhi tadA tasya rAjyaM kathaM sthAsyati? bAlasibUbAhaM bhUtAn tyAjayAmi yUyamiti vadatha|
শয়তান যদি নিজের বিরুদ্ধে বিভাজিত হয়ে পড়ে, কেমনভাবে তার সাম্রাজ্য টিকে থাকতে পারে? আমার একথা বলার কারণ, তোমরা বলে থাকো যে, আমি বেলসবুলের সহায়তায় ভূতদের তাড়িয়ে থাকি।
19 yadyahaM bAlasibUbA bhUtAn tyAjayAmi tarhi yuSmAkaM santAnAH kEna tyAjayanti? tasmAt taEva kathAyA EtasyA vicArayitArO bhaviSyanti|
আমি যদি বেলসবুলের দ্বারা ভূত তাড়িয়ে থাকি, তাহলে তোমাদের অনুগামীরা কার সাহায্যে তাদের তাড়ায়? সেই কারণে, তারাই তোমাদের বিচারক হবে।
20 kintu yadyaham Izvarasya parAkramENa bhUtAn tyAjayAmi tarhi yuSmAkaM nikaTam Izvarasya rAjyamavazyam upatiSThati|
কিন্তু যদি আমি ঈশ্বরের শক্তির দ্বারা ভূত তাড়াই, তাহলে ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের উপরে এসে পড়েছে।
21 balavAn pumAn susajjamAnO yatikAlaM nijATTAlikAM rakSati tatikAlaM tasya dravyaM nirupadravaM tiSThati|
“কোনো শক্তিশালী ব্যক্তি যখন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিজের প্রাসাদ পাহারা দেয়, তখন তার সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকে।
22 kintu tasmAd adhikabalaH kazcidAgatya yadi taM jayati tarhi yESu zastrAstrESu tasya vizvAsa AsIt tAni sarvvANi hRtvA tasya dravyANi gRhlAti|
কিন্তু তার চেয়েও বলিষ্ঠ কেউ যখন আক্রমণ করে তাকে পরাস্ত করেন, পরাজিত লোকটি যে অস্ত্রশস্ত্রের উপর নির্ভর করেছিল, সেসব তিনি কেড়ে নেন এবং সমস্ত লুন্ঠিত দ্রব্য নিয়ে চলে যান।
23 ataH kAraNAd yO mama sapakSO na sa vipakSaH, yO mayA saha na saMgRhlAti sa vikirati|
“যে আমার পক্ষে নয়, সে আমার বিপক্ষে, আর যে আমার সঙ্গে সংগ্রহ করে না, সে ছড়িয়ে ফেলে।
24 aparanjca amEdhyabhUtO mAnuSasyAntarnirgatya zuSkasthAnE bhrAntvA vizrAmaM mRgayatE kintu na prApya vadati mama yasmAd gRhAd AgatOhaM punastad gRhaM parAvRtya yAmi|
“কোনো মানুষের ভিতর থেকে যখন কোনও দুষ্ট-আত্মা বের হয়ে যায় সে তখন বিশ্রামের খোঁজে শুষ্ক-ভূমিতে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু তার সন্ধান পায় না। তখন সে বলে, ‘আমি যে বাড়ি ছেড়ে এসেছি সেখানেই ফিরে যাব।’
25 tatO gatvA tad gRhaM mArjitaM zObhitanjca dRSTvA
যখন সে ফিরে আসে, তখন সেই বাড়ি পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল দেখতে পায়।
26 tatkSaNam apagatya svasmAdapi durmmatIn aparAn saptabhUtAn sahAnayati tE ca tadgRhaM pavizya nivasanti| tasmAt tasya manuSyasya prathamadazAtaH zESadazA duHkhatarA bhavati|
তখন সে গিয়ে তার থেকেও দুষ্ট আরও সাতটি আত্মাকে নিয়ে আসে, আর তারা ভিতরে প্রবেশ করে সেখানে বাস করতে থাকে। তখন সেই মানুষটির অন্তিমদশা আগের থেকে আরও বেশি শোচনীয় হয়ে পড়ে।”
27 asyAH kathAyAH kathanakAlE janatAmadhyasthA kAcinnArI tamuccaiHsvaraM prOvAca, yA yOSit tvAM garbbhE'dhArayat stanyamapAyayacca saiva dhanyA|
যীশু যখন এসব কথা বলছিলেন, লোকদের মধ্য থেকে একজন স্ত্রীলোক চিৎকার করে বলে উঠল, “ধন্য সেই গর্ভ, যা আপনাকে ধারণ করেছিল এবং সেই স্তন, যার দুধ আপনি পান করেছিলেন।”
28 kintu sOkathayat yE paramEzvarasya kathAM zrutvA tadanurUpam Acaranti taEva dhanyAH|
তিনি উত্তর দিলেন, “বরং তারাই ধন্য, যারা ঈশ্বরের বাক্য শোনে ও তা পালন করে।”
29 tataH paraM tasyAntikE bahulOkAnAM samAgamE jAtE sa vaktumArEbhE, AdhunikA duSTalOkAzcihnaM draSTumicchanti kintu yUnasbhaviSyadvAdinazcihnaM vinAnyat kinjciccihnaM tAn na darzayiSyatE|
লোকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে লাগল। যীশু বললেন, “বর্তমান প্রজন্মের লোকেরা দুষ্ট প্রকৃতির। তারা অলৌকিক নিদর্শন দেখতে চায়, কিন্তু যোনার নিদর্শন ছাড়া আর কিছুই তাদের দেওয়া হবে না।
30 yUnas tu yathA nInivIyalOkAnAM samIpE cihnarUpObhavat tathA vidyamAnalOkAnAm ESAM samIpE manuSyaputrOpi cihnarUpO bhaviSyati|
যোনা নীনবীবাসীদের কাছে যেমন নিদর্শনস্বরূপ ছিলেন, মনুষ্যপুত্রও তেমনই এই প্রজন্মের কাছে নিদর্শনস্বরূপ হবেন।
31 vicArasamayE idAnIntanalOkAnAM prAtikUlyEna dakSiNadEzIyA rAjnjI prOtthAya tAn dOSiNaH kariSyati, yataH sA rAjnjI sulEmAna upadEzakathAM zrOtuM pRthivyAH sImAta Agacchat kintu pazyata sulEmAnOpi gurutara EkO janO'smin sthAnE vidyatE|
বিচারের দিনে দক্ষিণ দেশের রানি এই প্রজন্মের লোকেদের সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে তাদের অভিযুক্ত করবেন, কারণ শলোমনের প্রজ্ঞার বাণী শোনার জন্য তিনি পৃথিবীর সুদূর প্রান্ত থেকে এসেছিলেন। কিন্তু শলোমনের চেয়েও মহান একজন এখানে উপস্থিত আছেন।
32 aparanjca vicArasamayE nInivIyalOkA api varttamAnakAlikAnAM lOkAnAM vaiparItyEna prOtthAya tAn dOSiNaH kariSyanti, yatO hEtOstE yUnasO vAkyAt cittAni parivarttayAmAsuH kintu pazyata yUnasOtigurutara EkO janO'smin sthAnE vidyatE|
বিচারের দিনে নীনবী নগরের লোকেরা এই প্রজন্মের লোকদের সঙ্গে উঠে দাঁড়াবে ও এদের অভিযুক্ত করবে, কারণ তারা যোনার প্রচারে মন পরিবর্তন করেছিল; আর এখন যোনার চেয়েও মহান একজন এখানে উপস্থিত আছেন।
33 pradIpaM prajvAlya drONasyAdhaH kutrApi guptasthAnE vA kOpi na sthApayati kintu gRhapravEzibhyO dIptiM dAtaM dIpAdhArOparyyEva sthApayati|
“প্রদীপ জ্বেলে কেউ গোপন স্থানে, বা পাত্রের নিচে রাখে না, বরং সে দীপাধারের উপরে রাখে, যেন যারা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে, তারা আলো দেখতে পায়।
34 dEhasya pradIpazcakSustasmAdEva cakSu ryadi prasannaM bhavati tarhi tava sarvvazarIraM dIptimad bhaviSyati kintu cakSu ryadi malImasaM tiSThati tarhi sarvvazarIraM sAndhakAraM sthAsyati|
তোমার চোখই তোমার শরীরের প্রদীপ। তোমার চোখ যদি সরল হয়, তাহলে তোমার সমস্ত শরীর আলোকময় হয়ে উঠবে। কিন্তু চোখদুটি যদি মন্দ হয়, তোমার শরীরও হয়ে উঠবে অন্ধকারময়।
35 asmAt kAraNAt tavAntaHsthaM jyOti ryathAndhakAramayaM na bhavati tadarthE sAvadhAnO bhava|
সেই কারণে দেখো, তোমার মধ্যে যে আলো রয়েছে বলে তুমি মনে করছ, তা আসলে অন্ধকার যেন না হয়।
36 yataH zarIrasya kutrApyaMzE sAndhakArE na jAtE sarvvaM yadi dIptimat tiSThati tarhi tubhyaM dIptidAyiprOjjvalan pradIpa iva tava savarvazarIraM dIptimad bhaviSyati|
তাই তোমার সারা শরীর যদি আলোকময় হয়ে ওঠে ও তার কোনো অংশ যদি অন্ধকারময় না হয়, প্রদীপের আলো যেমন তোমার উপরে আলো দেয় তেমনই তোমার শরীরও সম্পূর্ণ আলোময় হয়ে উঠবে।”
37 EtatkathAyAH kathanakAlE phiruzyEkO bhEjanAya taM nimantrayAmAsa, tataH sa gatvA bhOktum upavivEza|
যীশুর কথা বলা শেষ হওয়ার পর একজন ফরিশী তাঁকে তার সঙ্গে খাবারের জন্য নিমন্ত্রণ করল। তাই তিনি ভিতরে গিয়ে খেতে বসলেন।
38 kintu bhOjanAt pUrvvaM nAmAgkSIt Etad dRSTvA sa phiruzyAzcaryyaM mEnE|
কিন্তু খাওয়ার আগে যীশুকে প্রথামতো হাত পা ধুতে না দেখে, সেই ফরিশী অবাক হয়ে গেল।
39 tadA prabhustaM prOvAca yUyaM phirUzilOkAH pAnapAtrANAM bhOjanapAtrANAnjca bahiH pariSkurutha kintu yuSmAkamanta rdaurAtmyai rduSkriyAbhizca paripUrNaM tiSThati|
তখন প্রভু তাকে বললেন, “তোমরা ফরিশীরা, থালাবাটির বাইরের অংশ পরিষ্কার করে থাকো, কিন্তু তোমাদের অন্তর লালসা ও দুষ্টতায় ভর্তি থাকে।
40 hE sarvvE nirbOdhA yO bahiH sasarja sa Eva kimanta rna sasarja?
মূর্খের দল! বাইরের দিক যিনি তৈরি করেছেন, তিনি কি ভিতরের দিকও তৈরি করেননি?
41 tata Eva yuSmAbhirantaHkaraNaM (IzvarAya) nivEdyatAM tasmin kRtE yuSmAkaM sarvvANi zucitAM yAsyanti|
কিন্তু পাত্রের ভিতরে যা আছে, তা দরিদ্রদের বিলিয়ে দাও, দেখবে, তোমাদের কাছে সবকিছুই শুচিশুদ্ধ হয়ে উঠবে।
42 kintu hanta phirUzigaNA yUyaM nyAyam IzvarE prEma ca parityajya pOdinAyA arudAdInAM sarvvESAM zAkAnAnjca dazamAMzAn dattha kintu prathamaM pAlayitvA zESasyAlagghanaM yuSmAkam ucitamAsIt|
“ফরিশীরা, ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা খেতের পুদিনা, তেজপাতা ও অন্যান্য শাকের এক-দশমাংশ ঈশ্বরকে দিয়ে থাকো, কিন্তু ন্যায়বিচার ও ঈশ্বরের প্রেম অবহেলা করে থাকো। এক-দশমাংশ দান করেও, আরও গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলি তোমাদের পালন করা উচিত ছিল।
43 hA hA phirUzinO yUyaM bhajanagEhE prOccAsanE ApaNESu ca namaskArESu prIyadhvE|
“ফরিশীরা, ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা সমাজভবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসতে এবং হাটেবাজারে লোকদের অভিবাদন পেতে ভালোবাসো।
44 vata kapaTinO'dhyApakAH phirUzinazca lOkAyat zmazAnam anupalabhya tadupari gacchanti yUyam tAdRgaprakAzitazmazAnavAd bhavatha|
“ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা চিহ্নহীন কবরের মতো, যার উপর দিয়ে মানুষ অজান্তে হেঁটে যায়।”
45 tadAnIM vyavasthApakAnAm EkA yIzumavadat, hE upadEzaka vAkyEnEdRzEnAsmAsvapi dOSam ArOpayasi|
একজন শাস্ত্রবিদ তাঁকে উত্তর দিল, “গুরুমহাশয়, এ সমস্ত কথায় আপনি আমাদেরও অপমান করছেন।”
46 tataH sa uvAca, hA hA vyavasthApakA yUyam mAnuSANAm upari duHsahyAn bhArAn nyasyatha kintu svayam EkAggulyApi tAn bhArAn na spRzatha|
যীশু প্রত্যুত্তরে বললেন, “শাস্ত্রবিদরা, ধিক্ তোমাদের! তোমরা সব মানুষের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দাও, যা তারা বইতে অক্ষম, কিন্তু তোমরা নিজেরা একটি আঙুল তুলেও তাদের সাহায্য করো না।
47 hanta yuSmAkaM pUrvvapuruSA yAn bhaviSyadvAdinO'vadhiSustESAM zmazAnAni yUyaM nirmmAtha|
“ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা ভাববাদীদের সমাধি নির্মাণ করে থাকো, কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষেরাই তাদের হত্যা করেছিল।
48 tEnaiva yUyaM svapUrvvapuruSANAM karmmANi saMmanyadhvE tadEva sapramANaM kurutha ca, yatastE tAnavadhiSuH yUyaM tESAM zmazAnAni nirmmAtha|
তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাজ যে তোমরা সমর্থন করছ, তোমাদের কাজই তার প্রমাণ। তারা হত্যা করেছিল সেই ভাববাদীদের, আর তোমরা তাদের সমাধি নির্মাণ করছ!
49 ataEva Izvarasya zAstrE prOktamasti tESAmantikE bhaviSyadvAdinaH prEritAMzca prESayiSyAmi tatastE tESAM kAMzcana haniSyanti kAMzcana tAPazSyinti|
এজন্য ঈশ্বর তাঁর প্রজ্ঞায় বলেন, ‘আমি তাদের কাছে ভাববাদীদের ও প্রেরিতশিষ্যদের পাঠাব; তাদের কয়েকজনকে তারা হত্যা করবে এবং অন্যদের নিপীড়ন করবে।’
50 EtasmAt kAraNAt hAbilaH zONitapAtamArabhya mandirayajnjavEdyO rmadhyE hatasya sikhariyasya raktapAtaparyyantaM
তাই জগতের উৎপত্তিকাল থেকে সব ভাববাদীর রক্তপাতের জন্য এই প্রজন্মের মানুষেরাই দায়ী হবে।
51 jagataH sRSTimArabhya pRthivyAM bhaviSyadvAdinAM yatiraktapAtA jAtAstatInAm aparAdhadaNPA ESAM varttamAnalOkAnAM bhaviSyanti, yuSmAnahaM nizcitaM vadAmi sarvvE daNPA vaMzasyAsya bhaviSyanti|
হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, হেবল থেকে শুরু করে বেদি ও মন্দিরের মাঝখানে নিহত সখরিয় পর্যন্ত, সকলেরই রক্তপাতের জন্য বর্তমান প্রজন্ম দায়ী হবে।
52 hA hA vyavasthapakA yUyaM jnjAnasya kunjcikAM hRtvA svayaM na praviSTA yE pravESTunjca prayAsinastAnapi pravESTuM vAritavantaH|
“শাস্ত্রবিদরা, ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা জ্ঞান-ভাণ্ডারের চাবি কেড়ে নিয়েছ। তোমরা নিজেরা তো প্রবেশ করোইনি, যারা প্রবেশ করতে চেয়েছে, তাদেরও বাধা দিয়েছ।”
53 itthaM kathAkathanAd adhyApakAH phirUzinazca satarkAH
যীশু সেই স্থান ছেড়ে যাওয়ার সময় ফরিশী ও শাস্ত্রবিদরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা করতে লাগল এবং তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তুলল।
54 santastamapavadituM tasya kathAyA dOSaM dharttamicchantO nAnAkhyAnakathanAya taM pravarttayituM kOpayitunjca prArEbhirE|
যীশুর কথা দিয়েই তাঁকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা সুযোগের অপেক্ষায় রইল।