Aionian Verses
আর তাঁর সব ছেলেমেয়ে উঠে তাঁকে সান্ত্বনা করতে যত্ন করলেও তিনি প্রবোধ না মেনে বললেন, “আমি শোক করতে ছেলের কাছে পাতালে নামব।” এই ভাবে তার বাবা তার জন্য কাঁদলেন। (Sheol )
তাঁর সব ছেলেমেয়ে তাঁকে সান্তনা দিতে এলেন, কিন্তু তিনি সান্তনা পেতে চাননি। “না,” তিনি বললেন, “যতদিন না পর্যন্ত আমি কবরে গিয়ে আমার ছেলের সঙ্গে মিলিত হচ্ছি, আমি শোক পালন করেই যাব।” অতএব তাঁর বাবা তাঁর জন্য কান্নাকাটি করলেন। (Sheol )
তখন তিনি বললেন, “আমার ছেলে তোমাদের সঙ্গে যাবে না, কারণ তার ভাই মারা গিয়েছে, সে একা আছে; তোমরা যে পথে যাবে, সেই পথে যদি এর কোনো বিপদ ঘটে, তবে শোকে এই পাকা চুলে আমাকে পাতালে নামিয়ে দেবে।” (Sheol )
কিন্তু যাকোব বললেন, “আমার ছেলে তোমাদের সাথে সেখানে যাবে না; তার দাদা মারা গিয়েছে এবং একমাত্র ওই বেঁচে আছে। তোমাদের যাত্রাপথে ওর যদি কোনও ক্ষতি হয়, তবে শোকার্ত অবস্থায় পাকাচুলে তোমরা আমাকে কবরে পাঠিয়ে দেবে।” (Sheol )
এখন আমার কাছ থেকে একেও নিয়ে গেলে যদি এর কোনো বিপদ ঘটে, তবে তোমরা শোকে এই পাকা চুলে আমাকে পাতালে নামিয়ে দেবে। (Sheol )
তোমরা যদি একেও আবার আমার কাছ থেকে নিয়ে যাও এবং এর যদি কোনও ক্ষতি হয়, তবে এই পাকাচুলে মর্মপীড়ায় তোমরা আমাকে কবরে পাঠাবে।’ (Sheol )
তবে এই যুবকের প্রাণে তাঁর প্রাণ বাঁধা আছে বলে, যুবকটি নেই দেখলে তিনি মারা পড়বেন; এই ভাবে আপনার এই দাসেরা শোকে পাকা চুলে আপনার দাস আমাদের বাবাকে পাতালে নামিয়ে দেবে। (Sheol )
তিনি যদি দেখেন যে বালকটি সেখানে নেই, তবে তিনি মারা যাবেন। আপনার দাসেরা আমার বাবাকে এই পাকাচুলে মর্মপীড়ায় কবরে পাঠাবে। (Sheol )
কিন্তু সদাপ্রভু যদি খারাপ কিছু ঘটান এবং ভূমিতার মুখ খুলে এদেরকে ও এদের সবকিছু গিলে ফেলে, আর এরা জীবন্ত অবস্থায় পাতালে নামে, তবে এরা যে সদাপ্রভুকে অবজ্ঞা করেছে, তা তোমরা জানতে পারবে। (Sheol )
কিন্তু সদাপ্রভু যদি সম্পূর্ণ নতুন কিছু করেন, ভূমি মুখ বিদীর্ণ করে সমস্ত দ্রব্য সমেত তাদের গ্রাস করে এবং যদি তারা জীবিত অবস্থায় সমাধিপ্রাপ্ত হয়, তাহলে তোমরা অবগত হবে যে এই ব্যক্তিরা সদাপ্রভুর অবমাননা করেছে।” (Sheol )
তাতে তারা ও তাদের সমস্ত আত্মীয় জীবন্ত অবস্থায় পাতালে নেমে গেল এবং পৃথিবী তাদের উপরে চেপে পড়ল এবং এই ভাবে তারা সমাজের মধ্যে থেকে লুপ্ত হল। (Sheol )
তাদের অধিকারভুক্ত সমস্ত দ্রব্যসহ তারা জীবিত অবস্থায় সমাধিপ্রাপ্ত হল। ভূমি তাদের অবরুদ্ধ করল। তারা বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে সমাজ থেকে অবলুপ্ত হল। (Sheol )
কারণ আমার রাগে আগুন জ্বলে উঠল, তা নীচের পাতাল পর্যন্ত দগ্ধ করে, পৃথিবী ও ফসল গ্রাস করে, পর্বত সব কিছুর ভিত্তিতে আগুন লাগায়। (Sheol )
কেননা আমার ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠবে, যা পাতাল পর্যন্ত পুড়িয়ে দেবে। যা পৃথিবী ও তার ফসল গ্রাস করবে এবং পাহাড়ের ভিতে আগুন জ্বালাবে। (Sheol )
সদাপ্রভু মারেন ও বাঁচান; তিনিই পাতালে নামান ও উপরে তোলেন। (Sheol )
“সদাপ্রভু মৃত্যু আনেন ও তিনি জীবনও দেন তিনি কবরস্থানে পাঠান ও বাঁচিয়ে তোলেন। (Sheol )
আমি পাতালের দড়িতে বাঁধা পড়েছিলাম, মৃত্যুর ফাঁদে জড়িয়ে ছিলাম। (Sheol )
পাতালের বাঁধন আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল; মৃত্যুর ফাঁদ আমার সম্মুখীন হয়েছিল। (Sheol )
তুমি তার সঙ্গে বুদ্ধি করে চলবে, তবে বুড়ো বয়সে তুমি তাকে শান্তিতে মৃতস্থানে যেতে দেবে না। (Sheol )
তোমার প্রজ্ঞা অনুসারেই তার মোকাবিলা কোরো, কিন্তু পাকাচুলে তাকে শান্তিতে কবরে যেতে দিয়ো না। (Sheol )
কিন্তু এখন তুমি তাকে নির্দোষ বলে মনে কোরো না। তুমি বুদ্ধিমান; তার প্রতি তুমি কি করবে তা তুমি নিজেই বুঝতে পারবে। তার বুড়ো বয়সে রক্তপাতের মধ্য দিয়েই তাকে মৃতস্থানে পাঠিয়ে দেবে।” (Sheol )
কিন্তু এখন, তাকে আর নির্দোষ বলে মনে কোরো না। তুমি একজন বিচক্ষণ লোক; তুমি জেনে নিয়ো, তার প্রতি কী করতে হবে। রক্তশুদ্ধ পাকাচুলে তাকে কবরে পাঠিয়ো।” (Sheol )
একটি মেঘ যেমন ক্ষয় পায় এবং অদৃশ্য হয়ে যায়, তাই যে পাতালে নেমে যায় সে আর উঠবে না। (Sheol )
মেঘ যেমন মুহূর্তে মিলিয়ে যায়, সেভাবে যে কবরে যায় সে আর ফিরে আসে না। (Sheol )
এই বিষয়টা আকাশের মত উঁচু; তুমি কি করতে পার? এটা পাতালের থেকেও গভীর; তুমি কি জানতে পার? (Sheol )
সেগুলি ঊর্ধ্বস্থ আকাশের চেয়েও উঁচু—তুমি কী করতে পারো? সেগুলি নিম্নস্থ পাতালের চেয়েও গভীর—তুমি কী জানতে পারো? (Sheol )
আহা তুমি আমাকে সমস্যা থেকে পাতালে লুকিয়ে রাখবে এবং তুমি আমায় গোপনে স্থানে রাখবে যতক্ষণ না তোমার ক্রোধ শেষ হয়; তুমি আমার জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক করবে সেখানে থাকার এবং আমায় স্মরণ কর। (Sheol )
“তুমি যদি শুধু আমাকে কবরে লুকিয়ে রাখতে ও তোমার ক্রোধ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাকে আড়াল করে রাখতে! তুমি যদি শুধু আমার জন্য একটি সময় স্থির করে দিতে ও তারপর আমায় স্মরণ করতে! (Sheol )
যেহেতু আমি পাতালকে আমার ঘর হিসাবে দেখি; যেহেতু আমি আমার খাট অন্ধকারে পাতি; (Sheol )
যদি কবরকেই আমি আমার একমাত্র ঘর বলে ধরে নিই, যদি অন্ধকারের রাজত্বেই আমি আমার বিছানা পাতি, (Sheol )
আশা কি আমার সঙ্গে নিচে পাতালের দরজায় যাবে যখন আমরা ধূলোয় নামি?” (Sheol )
তা কি মৃত্যুদুয়ারে নেমে যাবে? আমরা সবাই কি একসাথে ধুলোয় মিশে যাব?” (Sheol )
তারা সৌভাগ্যে তাদের জীবন যাপন করে এবং তারা নিঃশব্দে (শান্তিপুর্বক) পাতালে নেমে যায়। (Sheol )
সমৃদ্ধশালী হয়ে দিনযাপন করে ও শান্তিতে কবরে চলে যায়। (Sheol )
খরা এবং তাপ বরফ জলকে গ্রাস করে; তেমনি পাতাল গ্রাস করে পাপীদেরকে। (Sheol )
যেভাবে উত্তাপ ও খরা গলা বরফ ছিনিয়ে নিয়ে যায়, সেভাবে কবরও যারা পাপ করেছে তাদের ছিনিয়ে নেয়। (Sheol )
পাতাল ঈশ্বরের সামনে নগ্ন; ধ্বংস নিজেই ঢাকা নয় তাঁর বিরুদ্ধে। (Sheol )
পাতাল ঈশ্বরের সামনে উলঙ্গ; বিনাশস্থান অনাবৃত হয়ে আছে। (Sheol )
কারণ মৃত্যুর মধ্যে তোমাকে কেউ স্মরণ করতে পারে না, পাতালের মধ্যে কে তোমাকে ধন্যবাদ দেবে? (Sheol )
মৃতদের মধ্যে কেউ তোমাকে স্মরণ করে না। পাতাল থেকে কে তোমার প্রশংসা করে? (Sheol )
দুষ্টেরা ফিরবে এবং পাতালে পাঠানো হবে, সমস্ত জাতিরা যারা ঈশ্বরকে ভুলে গেছে। (Sheol )
দুষ্টরা পাতালের গর্ভে যায়, যেসব জাতি ঈশ্বরকে ভুলেছে তারাও যায়। (Sheol )
কারণ তুমি আমার প্রাণ পাতালে ত্যাগ করবে না, তুমি তোমার পবিত্র লোককে ক্ষয় দেখতে দেবে না। (Sheol )
কারণ তুমি কখনও আমাকে পাতালের গর্ভে পরিত্যাগ করবে না, তুমি তোমার বিশ্বস্তদের ক্ষয় দেখতে দেবে না। (Sheol )
পাতালের দড়ি আমাকে ঘিরে ধরেছে; মৃত্যুর জাল আমাকে ফাঁদে ফেলেছিল। (Sheol )
পাতালের বাঁধন আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল; মৃত্যুর ফাঁদ আমার সম্মুখীন হয়েছিল। (Sheol )
সদাপ্রভুু, তুমি আমার প্রাণকে পাতাল থেকে নিয়ে এসেছ; আমাকে জীবিত রেখেছ যেন কবরে না যাই। (Sheol )
তুমি, হে সদাপ্রভু, আমাকে পাতালের গর্ভ থেকে উত্তোলন করেছ; তুমি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছ যেন মৃত্যুর গর্তে পড়ে না যাই। (Sheol )
সদাপ্রভুু, আমাকে লজ্জিত হতে দিয়ো না, কারণ আমি তোমাকে ডাকছি! দুষ্টরা লজ্জিত হোক! তারা পাতালে নীরব হোক। (Sheol )
হে সদাপ্রভু, আমাকে লজ্জিত হতে দিয়ো না, কারণ আমি তোমার কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করেছি; কিন্তু দুষ্টদের লজ্জিত হতে দিয়ো আর তারা পাতালের গর্ভে নীরব হয়ে থাকুক। (Sheol )
তাদের পাতালের জন্য একটি মেষপালকের মত নিযুক্ত করা হয়, মৃত্যু তাদের রাখাল হবে; তাদেরকে পাতালে অবতরণ করানো হবে; তাদের রূপ পাতালে ভোগ করবে যাতে তার কোনো বাসস্থান আর না থাকে। (Sheol )
তারা মেষের মতো মৃত্যুর জন্য নির্ধারিত; মৃত্যু তাদের পালক হবে কিন্তু সকালে ন্যায়পরায়ণেরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করবে। নিজেদের রাজকীয় অট্টালিকা থেকে দূরে তাদের দেহ সমাধির মধ্যে ক্ষয় হবে। (Sheol )
কিন্তু ঈশ্বর পাতালের শক্তির হাত থেকে আমার প্রাণ মুক্ত করবেন; কারণ তিনি আমাকে গ্রহণ করবেন। (সেলা) (Sheol )
কিন্তু ঈশ্বর আমাকে পাতালের গর্ভ থেকে মুক্ত করবেন; আমাকে তিনি নিশ্চয় তাঁর কাছে নিয়ে যাবেন। (Sheol )
মৃত্যু তাদের উপরে হঠাৎ আসুক; তারা জীবিত ভাবে পাতালে নামুক; কারণ তাদের মধ্যে এবং তাদের অন্তরে দুষ্টতা আছে। (Sheol )
মৃত্যু আমার শত্রুদের বিস্মিত করুক; তারা জীবিত অবস্থায় পাতালের গর্ভে নেমে যাক, কারণ অন্যায় তাদের গৃহে ও তাদের অন্তরে আছে। (Sheol )
কারণ আমার প্রতি তোমার দয়া মহৎ এবং তুমি গভীর পাতাল থেকে আমার প্রাণ উদ্ধার করেছ। (Sheol )
কেননা আমার প্রতি তোমার প্রেম মহান; তুমি আমাকে অতল থেকে, পাতালের গর্ভ থেকে উদ্ধার করেছ। (Sheol )
কারণ আমার প্রাণ দুঃখে পরিপূর্ণ এবং আমার জীবন পাতালের নিকটবর্ত্তী। (Sheol )
কেননা আমার প্রাণ কষ্টে জর্জরিত আর আমার জীবন মৃত্যুর নিকটবর্তী। (Sheol )
কে জীবিত থাকবে, মৃত্যু দেখবে না, বা, কে তার নিজের প্রাণকে পাতালের শক্তি থেকে মুক্ত করতে পারে? (Sheol )
কে জীবিত থাকবে অথচ মৃত্যু দেখবে না, অথবা কে পাতালের কবল থেকে পালাতে পারে? (Sheol )
মৃত্যুর দড়ি আমাকে চারপাশে ঘিরে ধরল এবং পাতালের ফাঁদ আমার মুখোমুখি, আমি কষ্ট এবং দুঃখ অনুভব করলাম। (Sheol )
মৃত্যুর দড়ি আমাকে বেঁধে ফেলল, পাতালের যন্ত্রণা আমার উপর নেমে এল, দুর্দশায় ও দুঃখে আমি জর্জরিত হলাম। (Sheol )
যদি স্বর্গে গিয়ে উঠি, সেখানে তুমি; যদি পাতালে বিছানা পাতি, দেখ, সেখানে তুমি। (Sheol )
যদি আমি আকাশমণ্ডলে উঠে যাই, সেখানে তুমি আছ; যদি আমি পাতালে বিছানা পাতি, সেখানেও তুমি রয়েছ। (Sheol )
তারা বলবে, “যখন একজন লাঙ্গল দেবে এবং মাটি ভাঙবে যেমন করে, সে রকম পাতালের মুখে আমাদের হাড় ছড়িয়ে পড়েছে।” (Sheol )
তখন তারা বলবে, “একজন যেমন জমিতে লাঙল দেয় ও চাষ করে, তেমনই আমাদের হাড়গোড় কবরের মুখে ছড়িয়ে আছে।” (Sheol )
এসো আমরা তাদেরকে পাতালের মত জীবন্ত গ্রাস করি, যারা গর্তগামী তাদের মত, সম্পূর্ণভাবে৷ (Sheol )
কবরের মতো আমরা ওদের জীবন্ত গ্রাস করি, ও মৃত্যুর খাদে পড়া মানুষের মতো তাদের পুরোপুরি গ্রাস করি; (Sheol )
তার পা মৃত্যুর কাছে নেমে যায়, তার পা পাতালে পড়ে। (Sheol )
তার পা মৃত্যুর দিকে নেমে যায়; তার পদক্ষেপ সোজা কবরে গিয়ে পৌঁছায়। (Sheol )
তার ঘর পাতালের পথ, যে পথ মৃত্যুর কক্ষে নেমে যায়। (Sheol )
তার বাড়িটি হল কবরে যাওয়ার রাজপথ, যা মৃত্যুলোকের দিকে এগিয়ে দেয়। (Sheol )
কিন্তু সে জানে না যে, মৃতরাই সেখানে থাকে, ওরা অতিথিরা পাতালের নীচে থাকে। (Sheol )
কিন্তু তারা আদৌ জানে না যে মৃতেরা সেখানেই আছে, তার অতিথিরা পাতালের গর্তে পড়ে আছে। (Sheol )
পাতাল ও ধ্বংস সদাপ্রভুর সামনে খোলা; তবে মানবজাতির বংশধরদের হৃদয়ও কি সেরকম না? (Sheol )
মৃত্যু ও বিনাশ সদাপ্রভুর দৃষ্টিগোচর— তবে মানবমন আরও কত না বেশি দৃষ্টিগোচর! (Sheol )
বুদ্ধিমানের জন্য জীবনের পথ উপরে, যেন সে নীচের পাতাল থেকে সরে যায়। (Sheol )
বিচক্ষণদের জন্য জীবনের পথ ঊর্ধ্বগামী যেন তাদের পাতালে যেতে না হয়। (Sheol )
যদি তুমি তাকে লাঠি দিয়ে মার, পাতাল থেকে তার প্রাণকে রক্ষা করবে। (Sheol )
লাঠি দিয়ে মেরে তাদের শাস্তি দাও ও মৃত্যুর হাত থেকে তাদের রক্ষা করো। (Sheol )
পাতালের ও ধ্বংসের জায়গায় তৃপ্তি নেই, মানুষের অভিলাষা তৃপ্ত হয় না। (Sheol )
মৃত্যু ও বিনাশ কখনোই তৃপ্ত হয় না, ও মানুষের চোখও হয় না। (Sheol )
পাতাল; বন্ধ্যা গর্ভ; জলের জন্য তৃষ্ণার্ত ভূমি এবং আগুন যা কখনো বলে না, “যথেষ্ট।” (Sheol )
কবর ও বন্ধ্যা জঠর; জমি, যা কখনও জলে তৃপ্ত হয় না, ও আগুন, যা কখনও বলে না, ‘যথেষ্ট হয়েছে!’ (Sheol )
যা কিছু তোমার হাত খুঁজে পায় কাজের জন্য, তোমার শক্তি দিয়ে তা কর, কারণ কবরে কোন কাজ বা কোন ব্যাখ্যা বা কোন জ্ঞান বা কোন প্রজ্ঞা নেই, সেই জায়গা যেখানে তোমরা যাচ্ছ। (Sheol )
তোমার হাতে যে কোনো কাজ আসুক না কেন তা তোমার সমস্ত শক্তি দিয়েই কোরো, কারণ তুমি যে জায়গায় যাচ্ছ, সেই মৃতস্থানে, সেখানে কোনো কাজ বা পরিকল্পনা বা বৃদ্ধি কিংবা বিদ্যা বা প্রজ্ঞা বলে কিছুই নেই। (Sheol )
সীলমোহরের মত করে তুমি আমাকে তোমার হৃদয়ে এবং তোমার বাহুতে রাখ; কারণ ভালবাসা মৃত্যুর মত শক্তিশালী, হৃদয়ের যন্ত্রণা পাতালের মত নিষ্ঠুর, তার শিখা আগুনের শিখা, সেটা সদাপ্রভুর আগুনের মত। (Sheol )
তোমার হৃদয়ে আমাকে অভিজ্ঞানস্বরূপ করে রাখো, তোমার বাহুর উপরে আমাকে অভিজ্ঞানস্বরূপ করে রাখো; কেননা প্রেম মৃত্যুর মতোই শক্তিশালী, এর অর্ন্তজ্বালা কবরের মতো নিষ্ঠুর সত্য। এ যেন এক জ্বলন্ত আগুন, এক লেলিহান আগুনের শিখা। (Sheol )
এই জন্য মৃত্যু তার ক্ষুধা বড় করেছে এবং তার মুখ খুব চওড়া করে খুলেছে; তাদের অভিজাত ও সাধারণ লোক, ফুর্তিবাজ আর তাদের মধ্যে উল্লাসিত লোকেরা পাতালে নেমে যাচ্ছে। (Sheol )
তাই, পাতাল তার উদর প্রশস্ত করেছে, সীমাহীন গ্রাসের জন্য তার মুখ খুলে দিয়েছে; তার মধ্যে যত সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ও জনসাধারণ নেমে যাবে, তাদের সঙ্গে যত কলহকারী ও উচ্ছৃঙ্খল মানুষ থাকবে। (Sheol )
“তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কোনো চিহ্ন জিজ্ঞাসা কর, গভীরে বা ওপরে জিজ্ঞাসা কর।” (Sheol )
“তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে একটি চিহ্ন দেখতে চাও, হয় অধোলোকের নিম্নতম স্থানে অথবা ঊর্ধ্বলোকের ঊর্ধ্বতম স্থানে।” (Sheol )
নীচের পাতাল তোমার সঙ্গে দেখা করার জন্য আগ্রহী যখন তুমি সেখানে যাবে। তোমার জন্য মৃতদেরকে, পৃথিবীর রাজাদের জাগিয়ে তোলে, জাতিদের সব রাজাদের নিজেদের সিংহাসন থেকে তুলেছেন। (Sheol )
নিম্নস্থ পাতাল তোমার আগমনে, তোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য অস্থির হয়েছে; তোমাকে স্বাগত জানানোর জন্য এ তার মৃতজনেদের আত্মাকে তুলে পাঠায় তারা প্রত্যেকেই ছিল এই জগতের এক একজন নেতা। যারা জাতিসমূহের উপরে রাজা ছিল, এ তাদের সিংহাসন থেকে তুলে দাঁড় করায়। (Sheol )
তোমার জাঁকজমক সঙ্গে তারের বাদ্যযন্ত্রের শব্দ পাতালে নামিয়ে আনা হয়েছে; তোমার নীচে শূককীট ছড়িয়ে পড়েছে এবং পোকা তোমাকে ঢেকে ফেলেছে। (Sheol )
তোমার বীণাগুলির কোলাহল সমেত তোমার সমস্ত সমারোহ কবরে নামানো হয়েছে; শূককীট তোমার নিচে ছড়ানো হয়েছে, আর কীটেরা তোমাকে আবৃত করে। (Sheol )
অথচ তুমি এখন পাতালের দিকে, গভীরতম গর্তের দিকে নেমেছ। (Sheol )
কিন্তু তোমাকে নামানো হয়েছে কবরের মধ্যে, পাতালের গভীরতম তলে। (Sheol )
তোমরা বলেছ, “আমরা মৃত্যুর সঙ্গে নিয়ম করেছি, পাতালের সম্পর্ক করেছি; জলের ধ্বংসরূপ চাবুক যখন নেমে আসবে, তখন আমাদের কাছে আসবে না, কারণ আমরা মিথ্যেকে নিজেদের আশ্রয় করেছি ও মিথ্যা ছলনার আড়ালে লুকিয়েছি।” (Sheol )
তোমরা অহংকার করে বলো, “আমরা মৃত্যুর সঙ্গে একটি সন্ধিচুক্তি করেছি, কবরের সঙ্গে আমাদের একটি নিয়ম হয়েছে। যখন কোনো অপ্রতিরোধ্য কশা আছড়ে পড়ে, তা আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না, কারণ এক মিথ্যাকে আমরা আশ্রয়স্থল করেছি, আর মিথ্যাচারই হল আমাদের লুকানোর স্থান।” (Sheol )
মৃত্যুর সঙ্গে করা তোমাদের নিয়ম লুপ্ত করা যাবে ও পাতালের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক স্থির থাকবে না; জল ধ্বংসরূপ চাবুক নেমে আসবে, তখন তোমরা তার দ্বারা দলিত হবে (Sheol )
মৃত্যুর সঙ্গে কৃত তোমাদের সন্ধিচুক্তি বাতিল করা হবে; কবরের সঙ্গে তোমাদের চুক্তিনিয়ম স্থির থাকবে না। যখন সেই অপ্রতিরোধ্য কশা আছড়ে পড়বে, তোমরা তার দ্বারা প্রহারিত হবে। (Sheol )
আমি বলেছিলাম, আমি বললাম যে আমার জীবনের মাঝখান দিয়ে আমি পাতালের দরজা দিয়ে যাব; আর আমার বাকি বছরগুলো থেকে কি আমাকে সেখানে পাঠানো হবে। (Sheol )
আমি বললাম, “আমার জীবনের সর্বোৎকৃষ্ট সময়ে আমাকে কি অবশ্যই মৃত্যুর দুয়ারগুলির মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং আমার আয়ুষ্কালের অবশিষ্ট সময় থেকে বঞ্চিত হতে হবে?” (Sheol )
কারণ পাতাল তোমার ধন্যবাদ দিতে পারে না; আর মৃত্যুও তোমার প্রশংসা করতে পারে না। যারা গর্তে নামে তারা তোমার বিশ্বাসযোগ্যতার আশা করতে পারে না। (Sheol )
কারণ কবর তোমার প্রশংসা করতে পারে না, মৃত্যু করতে পারে না তোমার স্তব; যারা সেই গহ্বরে নেমে যায়, তারা তোমার বিশ্বস্ততার প্রত্যাশা করতে পারে না। (Sheol )
তুমি তেল মলেখ দেবতার কাছে গিয়েছ আর প্রচুর পরিমাণে সুগন্ধি ব্যবহার করেছ। তোমার দূতদের তুমি দূরে পাঠিয়েছ, তুমি মৃতস্থানে গিয়েছিলে। (Sheol )
তুমি জলপাই তেল মেখে রাজার কাছে গিয়েছ ও প্রচুর সুগন্ধিদ্রব্য ব্যবহার করেছ। তুমি তোমার রাজদূতদের বহুদূরে পাঠিয়েছ; তুমি স্বয়ং পাতাল পর্যন্ত নেমে গিয়েছ! (Sheol )
প্রভু সদাপ্রভু এ কথা বলেন, যেদিন সে পাতালে নেমে গেল আমি পৃথিবীতে শোক নিয়ে এলাম। আমি তাকে গভীর জলে ঢেকে দিলাম এবং সমুদ্র জলকে ধরে রাখলাম। আমি বিশাল জলরাশিকে ধরে রাখলাম এবং আমি তার জন্য লিবানোনকে শোকার্ত করলাম, তাই মাঠের গাছ সব তার জন্য জীর্ন হল। (Sheol )
“‘সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যেদিন সে পাতালে নেমে গেল সেদিন তার জন্য শোকের চিহ্ন হিসেবে সেই গভীর ফোয়ারা আমি ঢেকে দিলাম; আমি তার সব স্রোত থামিয়ে দিলাম, তাতে তার অফুরন্ত জল বন্ধ হয়ে গেল। এই জন্য আমি লেবাননকে শোক করালাম আর তার মাঠের প্রত্যেকটা গাছ শুকিয়ে গেল। (Sheol )
যখন আমি তাকে পাতালের গর্তে যাওয়া লোকেদের কাছে ফেলে দিলাম তখন তার পতনের শব্দে জাতিদেরকে কম্পিত করলাম এবং আমি সান্ত্বনা দিলাম পৃথিবীর নিচের অংশের এদনের সব গাছকে, লিবানোনের উৎকৃষ্ট এবং শ্রেষ্ঠ জলপায়ী গাছকে। (Sheol )
মৃত লোকদের সঙ্গে আমি যখন তাকে পাতালে নামিয়ে দিলাম তখন তার পড়ে যাবার শব্দে জাতিরা কেঁপে উঠল। তখন এদনের সব গাছ, লেবাননের বাছাই করা ও সেরা গাছ এবং ভালোভাবে জল পাওয়া সব গাছ, পৃথিবীর গভীরে সান্ত্বনা পেল। (Sheol )
কারণ তারাও তার সঙ্গে পাতালে গেল যাকে তরোয়াল দ্বারা মারা হয়েছিল, এগুলো তার শক্তিশালী লোকছিল সেই জাতিগুলো যারা তার ছায়ায় বাস করত। (Sheol )
যারা তার ছায়াতে বাস করত, জাতিদের মধ্যে তার বন্ধুরা, তার সঙ্গে পাতালে যুদ্ধে নিহত লোকদের কাছে নেমে গেল। (Sheol )
সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধারা পাতালের মধ্যে থাকে তার ও তার সহকারীদের সঙ্গে মিশর সম্বন্ধে কথা বলবে; তারা নেমে এসেছে এখানে, তারা শোবে অচ্ছিন্নত্বক লোকেদের সঙ্গে যারা তরোয়াল দ্বারা নিহত হয়েছিল। (Sheol )
পাতালের মধ্যে থেকে পরাক্রমী নেতারা মিশর ও তার মিত্রশক্তিদের সম্বন্ধে বলবে, ‘তারা নিচে নেমে এসেছে এবং যাদের সুন্নত হয়নি তাদের ও যারা তরোয়াল দ্বারা মারা পড়েছে, তাদের সঙ্গে শুয়ে আছে।’ (Sheol )
তারা অচ্ছিন্নত্বক লোকদের সঙ্গে পতিত সেই যোদ্ধাদের সঙ্গে শোবে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধের সব অস্ত্র নিয়ে এবং তরোয়াল তাদের মাথার নিচে ছিল এবং তাদের ঢাল তাদের হাড়ের ওপরে ছিল? কারণ তারা জীবিতদের দেশে তারা যোদ্ধাদের কাছে সন্ত্রাস ছিল। (Sheol )
কিন্তু তারা শুয়ে নেই তাদের সঙ্গে যারা যুদ্ধে মারা গেছে, যারা যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কবরে গিয়েছে—যাদের তরোয়াল তাদের মাথার নিচে রাখা হয়েছে? তাদের অপরাধ তাদের হাড়গোড়ের উপর রয়েছে—যদিও এই সৈন্যরা জীবিতদের দেশে ভয় ছড়িয়েছিল। (Sheol )
আমি কি সত্যি তাদের উদ্ধার করব পাতালের শক্তি থেকে? আমি কি সত্যি তাদের মৃত্যু থেকে উদ্ধার করব? মৃত্যু, তোমার মহামারী কোথায়? এখানে আনো তাদের। পাতাল, কোথায় তোমার বিনাশ? তা এখানে আনো। করুণা আমার চোখ থেকে লুকানো। (Sheol )
“পাতালের পরাক্রম থেকে আমি তাদের উদ্ধার করব; মৃত্যু থেকে আমি তাদের মুক্ত করব। ওহে মৃত্যু, তোমার মহামারি সকল কোথায়? ওহে পাতাল, তোমারই বা বিনাশক শক্তি কোথায়? “সে তার ভাইদের মধ্যে সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠলেও। (Sheol )
যদিও তারা পাতাল পর্যন্ত খুঁড়ে যায়, সেখান থেকে আমার হাত তাদের নিয়ে আসবে। তারা স্বর্গে উঠলেও, সেখান থেকে আমি তাদের নিচে নামিয়ে আনব। (Sheol )
তারা পাতালের গভীরে খুঁড়ে নেমে গেলেও, সেখান থেকে আমার হাত তাদের টেনে তুলবে। তারা আকাশ পর্যন্ত উঠে গেলেও, সেখান থেকে আমি তাদের নামিয়ে আনব। (Sheol )
তিনি বললেন, “আমি বিপদের জন্য সদাপ্রভুকে ডাকলাম, আর তিনি আমাকে উত্তর দিলেন; আমি পাতালের পেট থেকে চিত্কার করলাম, তুমি আমার রব শুনলে। (Sheol )
তিনি বললেন: “আমার দুর্দশার সময়ে আমি সদাপ্রভুকে ডাকলাম, আর তিনি আমাকে উত্তর দিলেন। পাতালের গভীরতম স্থান থেকে আমি সাহায্য চাইলাম, আর তুমি আমার কান্না শুনলে। (Sheol )
গর্বিত যুবক ধনের দ্বারা পাপ করে, তাই সে ঘরে থাকে না, কিন্তু তার ইচ্ছা কবরের মত এবং মৃত্যুর মত বৃদ্ধি পায়, কখনই সন্তুষ্ট হয় না। সে প্রত্যেক জাতিতে নিজের কাছে জড়ো করে এবং সে সমস্ত লোকেদের নিজের জন্য জড়ো করে। (Sheol )
প্রকৃতপক্ষে, সুরা তাকে প্রতারণা করে; সে দাম্ভিক এবং কখনও বিশ্রাম করে না। কারণ পাতালের মতো সে লোভী এবং মৃত্যুর মতো কখনোই সন্তুষ্ট হয় না, সমগ্র জাতিগণদের সে নিজের কাছে একত্রিত করে এবং সকলকে বন্দি করে। (Sheol )
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ নিজের ভাইয়ের প্রতি রাগ করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে; আর যে কেউ নিজের ভাইকে বলে, রে বোকা, সে মহাসভার দায়ে পড়বে। আর যে কেউ বলে রে মূর্খ সে নরকের আগুনের দায়ে পড়বে। (Geenna )
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে তার ভাইয়ের উপরে ক্রোধ করে, সে বিচারের দায়ে পড়বে। এছাড়াও, কেউ যদি তার ভাইকে বলে, ‘ওরে অপদার্থ,’ তাকে মহাসভায় জবাবদিহি করতে হবে। আবার, কেউ যদি বলে, ‘তুই মূর্খ,’ সে নরকের আগুনের দায়ে পড়বে। (Geenna )
আর তোমার ডান চোখ যদি তোমায় পাপ করায়, তবে তা উপড়ে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়া চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল। (Geenna )
তোমার ডান চোখ যদি তোমার পাপের কারণ হয়, তা উপড়ে ফেলে দাও। তোমার সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং শরীরের একটি অঙ্গহানি হওয়া তোমার পক্ষে ভালো। (Geenna )
আর তোমার ডান হাত যদি তোমাকে পাপ করায়, তবে তা কেটে দূরে ফেলে দাও; কারণ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং এক অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভাল। (Geenna )
আর যদি তোমার ডান হাত তোমার পাপের কারণ হয়, তা কেটে ফেলে দাও। তোমার সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং শরীরের একটি অঙ্গহানি হওয়া তোমার পক্ষে ভালো। (Geenna )
আর যারা দেহ হত্যা করে, কিন্তু আত্মা বধ করতে পারে না, তাদের ভয় কর না; কিন্তু যিনি আত্মাও দেহ দুটি কেই নরকে বিনষ্ট করতে পারেন, বরং তাঁকেই ভয় কর। (Geenna )
যারা কেবলমাত্র শরীর বধ করতে পারে, কিন্তু আত্মাকে বধ করতে পারে না, তাদের ভয় কোরো না। বরং, যিনি আত্মা ও শরীর, উভয়কেই নরকে ধ্বংস করতে পারেন, তোমরা তাঁকেই ভয় কোরো। (Geenna )
আর হে কফরনাহূম, তুমি নাকি স্বর্গ পর্যন্ত উঁচু হবে? তুমি নরক পর্যন্ত নেমে যাবে; কারণ যে সব অলৌকিক কাজ তোমার মধ্যে করা হয়েছে, সে সব যদি সদোমে করা যেত, তবে তা আজ পর্যন্ত থাকত। (Hadēs )
আর তুমি কফরনাহূম, তুমি কি না স্বর্গ পর্যন্ত উঁচুতে উঠবে? তা নয়, তুমি অধোলোক পর্যন্ত তলিয়ে যাবে। তোমার মধ্যে যেসব অলৌকিক কাজ করা হয়েছে, সেগুলি যদি সদোমে করা হত, তাহলে আজও সেই নগরের অস্তিত্ব থাকত। (Hadēs )
আর যে কেউ মনুষ্যপুত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে, সে ক্ষমা পাবে; কিন্তু যে কেউ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কথা বলে, সে ক্ষমা পাবে না, এইকালেও নয়, পরকালেও নয়। (aiōn )
কোনো ব্যক্তি মনুষ্যপুত্রের বিরুদ্ধে কিছু বললে তাকে ক্ষমা করা হবে, কিন্তু কেউ যদি পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে কথা বলে, তাকে ইহকাল বা পরকাল, কোনো কালেই ক্ষমা করা হবে না। (aiōn )
আর যে কাঁটাবনের মধ্যে বীজ, এ সেই, যে সেই বাক্য শোনে, কিন্তু সংসারের চিন্তা ভাবনা, সম্পতির মায়া ও অন্যান্য জিনিসের লোভ সেই বাক্যকে চেপে রাখে, তাতে সে ফলহীন হয়। (aiōn )
আর যে বীজ কাঁটাঝোপে বপন করা হয়েছিল, সে সেই মানুষ যে বাক্য শোনে কিন্তু এই জীবনের সব দুশ্চিন্তা ও ধনসম্পদের প্রতারণা তা চেপে রাখে, এতে তা ফলহীন হয়। (aiōn )
যে শত্রু তা বুনেছিল, সে দিয়াবল; কাটার দিন যুগের শেষ; এবং মজুরেরা হল স্বর্গদূত। (aiōn )
আর যে শত্রু তাদের বপন করেছিল সে হল দিয়াবল। শস্য কাটার সময় হচ্ছে যুগের শেষ সময় এবং যাঁরা শস্য কাটবেন তাঁরা হলেন সব স্বর্গদূত। (aiōn )
অতএব যেমন শ্যামাঘাস সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়া দেওয়া হয়, তেমনি যুগের শেষে হবে। (aiōn )
“যেমনভাবে শ্যামাঘাস উপড়ে ফেলে আগুনে পোড়ানো হয়েছিল যুগের শেষ সময়েও সেরকমই হবে। (aiōn )
এই ভাবে যুগের শেষে হবে; দূতেরা এসে ধার্ম্মিকদের মধ্য থেকে খারাপদের আলাদা করবেন, (aiōn )
যুগের শেষ সময়ে এরকমই ঘটনা ঘটবে। স্বর্গদূতেরা এসে ধার্মিকদের মধ্যে থেকে দুষ্টদের পৃথক করবেন এবং (aiōn )
আর আমিও তোমাকে বলছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরে আমি আমার মণ্ডলী গাঁথব, আর নরকের (মৃত্যুর) কোন শক্তিই মণ্ডলীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না। (Hadēs )
আর আমি তোমাকে বলি, তুমি পিতর, আর আমি এই পাথরের উপরে আমার মণ্ডলী নির্মাণ করব। আর পাতালের দ্বারসকল এর বিপক্ষে জয়ী হতে পারবে না। (Hadēs )
আর তোমার হাত কি পা যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেলে দাও, দুই হাত কিম্বা দুই পা নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে প্রবেশ করার থেকে বরং খোঁড়া কিম্বা পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল। (aiōnios )
যদি তোমার হাত বা পা যদি পাপের কারণ হয়, তা কেটে ফেলে দাও। কারণ দু-হাত ও দুই পা নিয়ে নরকের অনির্বাণ আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভালো। (aiōnios )
আর তোমার চোখ যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা উপড়িয়ে ফেলে দাও, দুই চোখ নিয়ে অগ্নিময় নরকে যাওয়ার থেকে বরং একচোখ নিয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল। (Geenna )
আর তোমার চোখ যদি পাপের কারণ হয়, তাহলে তা উপড়ে ফেলো ও ছুঁড়ে ফেলে দাও। দুই চোখ নিয়ে নরকের আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে বরং এক চোখ নিয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার পক্ষে ভালো। (Geenna )
দেখো, এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলল, “হে গুরু, অনন্ত জীবন পাওয়ার জন্য আমি কি ধরনের ভাল কাজ করব?” (aiōnios )
সেই সময় একজন লোক এসে যীশুকে জিজ্ঞাসা করল, “গুরুমহাশয়, অনন্ত জীবন লাভের জন্য আমাকে কী ধরনের সৎকর্ম করতে হবে?” (aiōnios )
আর যে কোন ব্যক্তি আমার নামের জন্য বাড়ি, কি ভাই, কি বোন, কি বাবা, কি মা, কি সন্তান, কি জমি ত্যাগ করেছে, সে তার একশোগুন পাবে এবং অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে। (aiōnios )
আর যে কেউ আমার কারণে তার বাড়ি বা ভাইদের বা বোনেদের বা বাবাকে বা মাকে বা সন্তানদের বা স্থাবর সম্পত্তি ত্যাগ করেছে, সে তার শতগুণ লাভ করবে ও অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে। (aiōnios )
রাস্তার পাশে একটি ডুমুরগাছ দেখে তিনি তার কাছে গেলেন এবং পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, “আর কখনও তোমাতে ফল না ধরুক,” আর হঠাৎ সেই ডুমুরগাছটা শুকিয়ে গেল। (aiōn )
পথের ধারে একটি ডুমুর গাছ দেখে, তিনি তার কাছে গেলেন, কিন্তু পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, “তোমার মধ্যে আর কখনও যেন ফল না ধরে!” সঙ্গে সঙ্গে গাছটি শুকিয়ে গেল। (aiōn )
ধর্মশিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ এক জনকে ইহূদি ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য তোমরা সমুদ্রে ও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাক, আর যখন কেউ হয়, তখন তাকে তোমাদের থেকেও দ্বিগুন নরকের যোগ্য করে তোলো। (Geenna )
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল, ধিক্ তোমাদের! তোমরা একজনকে ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য স্থলে ও সমুদ্রে পরিভ্রমণ করে থাকো। আর সে যখন রাজি হয়, তখন তোমরা যেমন নারকীয়, তাকেও তেমনই তোমাদের দ্বিগুণ নরকের উপযুক্ত করে তোলো। (Geenna )
হে সাপের দল, কালসাপের বংশেরা, তোমরা কেমন করে বিচারে নরকদন্ড এড়াবে? (Geenna )
“সাপেরা! কালসাপের বংশেরা! তোমরা ন্যায়বিচারের দিন কীভাবে নরকদণ্ড এড়াতে পারবে? (Geenna )
পরে তিনি জৈতুন পর্বতের উপরে বসলে শিষ্যেরা গোপনে তাঁর কাছে এসে বললেন, “আমাদেরকে বলুন দেখি, এই সব ঘটনা কখন ঘটবে? আর আপনার আবার ফিরে আসার এবং যুগ শেষ হওয়ার চিহ্ন কি?” (aiōn )
যীশু যখন জলপাই পর্বতের উপরে বসেছিলেন, শিষ্যেরা এক প্রকার গোপনে তাঁর কাছে এসে বললেন, “আমাদের বলুন, কখন এসব ঘটনা ঘটবে এবং আপনার আগমনের, বা যুগান্তের চিহ্নই বা কী কী হবে?” (aiōn )
পরে তিনি বাঁদিকের লোকদেরকেও বলবেন, তোমরা শাপগ্রস্ত সবাই, আমার কাছ থেকে দূর হও, দিয়াবলের ও তার দূতদের জন্য যে অনন্ত আগুন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে যাও। (aiōnios )
“তারপরে তিনি তাঁর বাঁদিকের লোকদের বলবেন, ‘অভিশপ্ত তোমরা, আমার কাছ থেকে দূর হয়ে অনন্ত অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হও, যা দিয়াবল ও তার দূতদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। (aiōnios )
পরে তারা অনন্তকালের জন্য শাস্তি পেতে, কিন্তু ধার্ম্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করবে। (aiōnios )
“তারপর তারা চিরন্তন শাস্তির উদ্দেশ্যে যাবে, কিন্তু ধার্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করবে।” (aiōnios )
আমি তোমাদের যা যা আদেশ দিয়েছি, সে সমস্ত পালন করতে তাদের শিক্ষা দাও। আর দেখ, আমিই যুগের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।” (aiōn )
আর আমি তোমাদের যে সমস্ত আদেশ দিয়েছি, সেগুলি পালন করার জন্য তাদের শিক্ষা দাও। আর আমি নিশ্চিতরূপে, যুগান্ত পর্যন্ত নিত্য তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।” (aiōn )
কিন্তু যে মানুষ পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে ঈশ্বরনিন্দা করে, কখনও সে ক্ষমা পাবে না, সে বরং চিরকাল পাপের দায়ী থাকবে। (aiōn , aiōnios )
কিন্তু পবিত্র আত্মার নিন্দা যে করবে, তাকে কোনো কালেই ক্ষমা করা হবে না, বরং সে হবে অনন্ত পাপের অপরাধী।” (aiōn , aiōnios )
কিন্তু সংসারের চিন্তা-ভাবনা, সম্পত্তির মায়া ও অন্যান্য জিনিসের লোভ এসে ঐ বাক্যকে চেপে রাখে, তাতে তা ফলহীন হয়। (aiōn )
কিন্তু এই জীবনের বিভিন্ন দুশ্চিন্তা, ধনসম্পত্তি, ছলনা ও অন্য সব বিষয়ের কামনাবাসনা এসে উপস্থিত হলে, তা সেই বাক্যকে চেপে রাখে, ফলে তা ফলহীন হয়। (aiōn )
তোমার হাত যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই হাত নিয়ে নরকের আগুনে পোড়ার থেকে, পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো। (Geenna )
যদি তোমার হাত পাপের কারণ হয়, তা কেটে ফেলে দাও। দু-হাত নিয়ে নরকের অনির্বাণ আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে অঙ্গহীন হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভালো। (Geenna )
আর তোমার পা যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেল; দুই পা নিয়ে নরকে যাওয়ার থেকে খোঁড়া হয়ে ভালোভাবে জীবন কাটানো অনেক ভালো। (Geenna )
যদি আর তোমার পা পাপের কারণ হয়, তা কেটে ফেলে দাও। দুই পা নিয়ে নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে পঙ্গু হয়ে জীবনে প্রবেশ করা ভালো। (Geenna )
আর তোমার চোখ যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায় তবে তা উপড়িয়ে ফেল; দুই চোখ নিয়ে অগ্নিময় নরকের যাওয়ার থেকে একচোখ নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা অনেক ভালো; (Geenna )
আর তোমার চোখ যদি পাপের কারণ হয়, তা উপড়ে ফেলে দাও। কারণ দুই চোখ নিয়ে নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়ার চেয়ে, বরং এক চোখ নিয়ে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করা ভালো। (Geenna )
পরে যখন তিনি আবার বের হয়ে পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, একজন লোক দৌড়ে এসে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বিনীত ভাবে জিজ্ঞাসা করলেন হে সৎগুরু, অনন্ত জীবন পেতে হোলে আমাকে কি কি করতে হবে? (aiōnios )
যীশু তাঁর পথ চলা শুরু করলে, একজন যুবক দৌড়ে তাঁর কাছে এল। সে তাঁর সামনে নতজানু হয়ে জিজ্ঞাসা করল, “সৎ গুরু, অনন্ত জীবনের অধিকারী হওয়ার জন্য আমাকে কী করতে হবে?” (aiōnios )
সে তার ঘরবাড়ি, ভাই, বোন, মা, ছেলেমেয়ে ও জমিজমা, সবই ফিরে পাবে এবং আগামী দিনের অনন্ত জীবন পাবে। (aiōn , aiōnios )
সে এই জীবনেই বাড়িঘর, ভাইবোন, মা-বাবা, সন্তানসন্ততি ও জমিজায়গা লাভ করবে ও সেই সঙ্গে নির্যাতন ভোগ করবে। কিন্তু ভাবীকালে অনন্ত জীবন লাভ করবে। (aiōn , aiōnios )
তিনি গাছটির দিকে তাকিয়ে বললেন, এখন থেকে আর কেউ কখনও তোমার ফল খাবে না। একথা তাঁর শিষ্যরা শুনতে পেলো। (aiōn )
তখন তিনি সেই গাছটিকে বললেন, “তোমার ফল কেউ যেন আর কখনও না খায়।” শিষ্যেরা তাঁকে একথা বলতে শুনলেন। (aiōn )
তিনি যাকোবের বংশের উপরে চিরকাল রাজত্ব করবেন ও তাঁর রাজ্যের কখনো শেষ হবে না।” (aiōn )
এবং তিনি যাকোব বংশে চিরকাল রাজত্ব করবেন। তাঁর রাজত্বের কখনও অবসান হবে না।” (aiōn )
অব্রাহাম ও তাঁর বংশের জন্য তাঁর করুণা চিরকাল মনে রাখেন।” (aiōn )
যেমন আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলেছিলেন, অব্রাহাম ও তাঁর বংশধরদের প্রতি চিরতরে করুণা প্রদান করেছেন।” (aiōn )
যেমন তিনি পূর্বকাল থেকেই তাঁর সেই পবিত্র ভাববাদীদের মাধ্যমে বলে আসছেন, (aiōn )
(বহুকাল আগে তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মাধ্যমে তিনি যেমন বলেছিলেন), (aiōn )
পরে তারা তাঁকে অনুরোধ করতে লাগল, যেন তিনি তাদের অতল গর্তে চলে যেতে আদেশ না দেন। (Abyssos )
তারা তাঁর কাছে বারবার অনুরোধ করতে লাগল, তিনি যেন তাদের রসাতলে না পাঠান। (Abyssos )
আর হে কফরনাহূম, তুমি নাকি স্বর্গ পর্যন্ত উন্নত হবে? তুমি নরক পর্যন্ত নেমে যাবে। (Hadēs )
আর তুমি কফরনাহূম, তুমি কি না স্বর্গ পর্যন্ত উঁচুতে উঠবে? তা নয়, তুমি অধোলোক পর্যন্ত তলিয়ে যাবে। (Hadēs )
আর দেখ, একজন ব্যবস্থার গুরু এসে তাঁর পরীক্ষা করার জন্য বলল, হে গুরু অনন্ত জীবন পেতে হোলে আমাকে কি কি করতে হবে? (aiōnios )
একদিন এক শাস্ত্রবিদ যীশুকে পরীক্ষা করার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করল, “গুরুমহাশয়, অনন্ত জীবনের অধিকারী হওয়ার জন্য আমাকে কী করতে হবে?” (aiōnios )
তবে কাকে ভয় করবে, তা বলে দিই, বধ করে নরকে ফেলার যাঁর ক্ষমতা আছে, তাকেই ভয় কর। (Geenna )
কিন্তু কাকে ভয় করতে হবে, তা আমি তোমাদের বলছি: শরীরকে হত্যা করার পর যাঁর ক্ষমতা আছে তোমাদের নরকে নিক্ষেপ করার তোমরা তাঁকেই ভয় কোরো। হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা তাঁকেই ভয় কোরো। (Geenna )
তাতে সেই মনিব সেই অসৎ প্রধান কর্মচারীর প্রশংসা করল, কারণ সে বুদ্ধিমানের কাজ করেছিল। এই জগতের লোকেরা নিজের জাতির সম্বন্ধে আলোর লোকদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান। (aiōn )
“সেই অসাধু দেওয়ান বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করেছিল বলে তাঁর মনিব তার প্রশংসা করলেন। কারণ, এই যুগের জাগতিক মনোভাব সম্পন্ন লোকেরা তাদের সমকালীন আলোকপ্রাপ্ত লোকেদের থেকে বেশি বিচক্ষণ। (aiōn )
আর আমিই তোমাদের বলছি, নিজেদের জন্যে জগতের টাকা পয়সা দিয়ে লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব কর, যেন ওটা শেষ হলে তারা তোমাদের সেই চিরকালের থাকবার জায়গায় গ্রহণ করে। (aiōnios )
আমি তোমাদের বলছি, নিজেদের জন্য বন্ধুত্ব গড়ে তোলার উদ্দেশে জাগতিক সম্পদ ব্যবহার করো, যেন সব ধন নিঃশেষ হয়ে গেলে তোমাদের অনন্ত আবাসে স্বাগত জানানো হয়। (aiōnios )
আর নরকে, যন্ত্রণার মধ্যে, সে চোখ তুলে দূর থেকে অব্রাহামকে ও তার কোলে লাসারকে দেখতে পেল। (Hadēs )
সে পাতালে নিদারুণ যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছিল। সেখান থেকে সে দৃষ্টি ঊর্ধ্বে তুলে দূরে অব্রাহামের পাশে লাসারকে দেখতে পেল। (Hadēs )
একজন তত্ত্বাবধায়ক তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “হে সৎগুরু, অনন্ত জীবন পেতে হোলে আমাকে কি কি করতে হবে?” (aiōnios )
একজন সমাজভবনের অধ্যক্ষ তাঁকে প্রশ্ন করল, “সৎ গুরু, অনন্ত জীবনের অধিকারী হওয়ার জন্য আমাকে কী করতে হবে?” (aiōnios )
এইকালে তার বহুগুণ এবং আগামী যুগে অনন্ত জীবন পাবে না।” (aiōn , aiōnios )
সে এই জীবনে তার বহুগুণ এবং আগামী যুগে অনন্ত জীবন লাভ করবে না।” (aiōn , aiōnios )
যীশু তাদের বললেন, এই জগতের সন্তানেরা বিয়ে করে এবং বিবাহিতা হয়। (aiōn )
যীশু উত্তর দিলেন, “এই জগতের সন্তানেরা বিবাহ করে এবং তাদের বিবাহ দেওয়া হয়। (aiōn )
কিন্তু যারা সেই জগতের এবং মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থানের অধিকারী হবার যোগ্য বলে গণ্য হয়েছে, তারা না বিয়ে করবে, না তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। (aiōn )
কিন্তু যারা সেই জগতের ও মৃতলোক থেকে পুনরুত্থানে অংশীদার হওয়ার যোগ্যরূপে বিবেচিত হয়েছে, তারা বিবাহ করবে না বা তাদের বিবাহও দেওয়া হবে না। (aiōn )
সুতরাং যারা সবাই তাঁতে বিশ্বাস করবে তারা অনন্ত জীবন পাবে। (aiōnios )
যেন যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তারা প্রত্যেকেই অনন্ত জীবন পায়। (aiōnios )
কারণ ঈশ্বর জগতকে এত ভালবাসলেন যে, নিজের একমাত্র পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। (aiōnios )
“কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করলেন যে, তিনি তাঁর একজাত পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁকে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। (aiōnios )
যে কেউ পুত্রের ওপর বিশ্বাস করেছে, সে অনন্ত জীবন পেয়েছে; কিন্তু যে কেউ পুত্রকে না মেনে চলে সে জীবন দেখতে পাবে না কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তার উপরে থাকবে। (aiōnios )
পুত্রকে যে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে; কিন্তু পুত্রকে যে অমান্য করে, সে জীবন দেখতে পাবে না, কারণ ঈশ্বরের ত্রুোধ তার উপর নেমে আসে।” (aiōnios )
কিন্তু আমি যে জল দেব তা যে কেউ পান করবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না; বরং আমি তাকে যে জল দেব তা তার অন্তরে এমন জলের ফোয়ারার মত হবে যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উথলিয়ে উঠবে। (aiōn , aiōnios )
কিন্তু আমি যে জল দান করি, তা যে খাবে, সে কোনোদিনই তৃষ্ণার্ত হবে না। প্রকৃতপক্ষে, আমার দেওয়া জল তার অন্তরে এক জলের উৎসে পরিণত হবে, যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উথলে উঠবে।” (aiōn , aiōnios )
যে ফসল কাটে সে বেতন পায় এবং অনন্ত জীবনের জন্য ফল জড়ো করে রাখে; সুতরাং যে বীজ বোনে ও যে ফসল কাটে সবাই একসঙ্গে আনন্দ করে। (aiōnios )
এমনকি, যে ফসল কাটছে, সে এখনই তার পারিশ্রমিক পাচ্ছে এবং এখনই সে অনন্ত জীবনের ফসল সংগ্রহ করছে, যেন যে কাটছে, আর যে বুনছে—দুজনেই উল্লসিত হতে পারে। (aiōnios )
সত্য, সত্যই বলছি যে কেউ আমার বাক্য শুনে এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং তাকে দোষী করা হবে না কিন্তু সে মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়ে গেছে। (aiōnios )
“আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যে আমার বাক্য শোনে এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁকে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে। সে বিচারে দোষী সাব্যস্ত হবে না, কারণ সে মৃত্যু থেকে জীবনে পার হয়েছে। (aiōnios )
তোমরা পবিত্র শাস্ত্র খোঁজ করো কারণ তোমরা মনে করো যে তাতেই তোমাদের অনন্ত জীবন আছে এবং এই একই বাক্য আমার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়; (aiōnios )
তোমরা মনোযোগ সহকারে শাস্ত্র পাঠ করে থাকো, কারণ তোমরা মনে করো যে, তার মাধ্যমেই তোমরা অনন্ত জীবন লাভ করেছ। সেই শাস্ত্র আমারই সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছে। (aiōnios )
যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় তার জন্য কাজ করো না, কিন্তু সেই খাবারের জন্য কাজ কর যেটা অনন্ত জীবন পর্যন্ত থাকে যা মনুষ্যপুত্র তোমাদের দেবেন, কারণ পিতা ঈশ্বর কেবল তাঁকেই মুদ্রাঙ্কিত করেছেন। (aiōnios )
যে খাদ্য নষ্ট হয়ে যায় তার জন্য নয়, বরং অনন্ত জীবনব্যাপী স্থায়ী খাদ্যের জন্য তোমরা পরিশ্রম করো। মনুষ্যপুত্রই তোমাদের সেই খাদ্য দান করবেন। পিতা ঈশ্বর তাঁকেই মুদ্রাঙ্কিত করেছেন।” (aiōnios )
কারণ আমার পিতার ইচ্ছা হলো, যে কেউ পুত্রকে দেখে এবং তাঁতে বিশ্বাস করে সে যেন অনন্ত জীবন পায় এবং আমিই তাকে শেষ দিনের জীবিত করব। (aiōnios )
কারণ আমার পিতার ইচ্ছা এই, পুত্রের দিকে যে দৃষ্টিপাত করে তাঁকে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন লাভ করে। আর শেষের দিনে আমি তাকে উত্থাপিত করব।” (aiōnios )
সত্য, সত্যই বলছি যে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পায়। (aiōnios )
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, যে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে। (aiōnios )
আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই রুটি র কিছুটা খায় তবে সে চিরকাল জীবিত থাকবে। আমি যে রুটি দেব সেটা আমার মাংস, পৃথিবীর মানুষের জীবনের জন্য। (aiōn )
আমিই স্বর্গ থেকে নেমে আসা সেই জীবন-খাদ্য। যদি কেউ এই খাদ্যগ্রহণ করে, সে চিরজীবী হবে। আমার মাংসই এই খাদ্য, যা জগতের জীবন লাভের জন্য আমি দান করব।” (aiōn )
যে আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং আমি তাকে শেষ দিনের জীবিত করব। (aiōnios )
যে আমার মাংস ভোজন ও আমার রক্ত পান করে, সে অনন্ত জীবন লাভ করেছে এবং শেষের দিনে আমি তাকে উত্থাপিত করব। (aiōnios )
এই হলো সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে, পূর্বপুরুষেরা যেমন খেয়েছিল এবং মরেছিল সেই রকম নয়। এই রুটি যে খাবে সে চিরকাল বেঁচে থাকবে। (aiōn )
এই সেই খাদ্য যা স্বর্গলোক থেকে নেমে এসেছে। তোমাদের পিতৃপুরুষেরা মান্না ভোজন করেছিল, তাদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু যে এই খাদ্য ভোজন করে, সে চিরকাল জীবিত থাকবে।” (aiōn )
শিমোন পিতর তাঁকে উত্তর দিলেন, প্রভু, কার কাছে আমরা যাব? আপনার কাছে অনন্ত জীবনের বাক্য আছে; (aiōnios )
শিমোন পিতর তাঁকে উত্তর দিলেন, “প্রভু, আমরা কার কাছে যাব? আপনার কাছেই আছে অনন্ত জীবনের বাক্য। (aiōnios )
দাস চিরকাল বাড়িতে থাকে না কিন্তু সন্তান চিরকাল থাকেন। (aiōn )
কোনও দাস পরিবারে স্থায়ী জায়গা পায় না, কিন্তু পরিবারে পুত্রের স্থান চিরদিনের। (aiōn )
সত্য, সত্যই আমি তোমাদের বলছি, কেউ যদি আমার বাক্য মেনে চলে সে কখনও মৃত্যু দেখবে না। (aiōn )
আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কেউ যদি আমার বাক্য পালন করে, সে কখনও মৃত্যু দেখবে না।” (aiōn )
ইহূদিরা তাঁকে বলল, এখন আমরা জানতে পারলাম যে তোমাকে ভূতে ধরেছে। অব্রাহাম ও ভবিষ্যৎ বক্তারা মরে গিয়েছেন কিন্তু তুমি বলছ কেউ যদি আমার বাক্য মেনে চলে সে কখনও মৃত্যুর স্বাদ পাবে না। (aiōn )
কিন্তু একথা শুনে ইহুদিরা বলে উঠল, “এখন আমরা জানতে পারলাম যে, তুমি ভূতগ্রস্ত! অব্রাহাম এবং ভাববাদীদেরও মৃত্যু হয়েছে, তবু তুমি বলছ যে তোমার বাক্য পালন করে সে কখনও মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না। (aiōn )
পৃথিবীর পূর্বকাল থেকে কখনও শোনা যায় নি যে, কোনো মানুষ জন্ম থেকে অন্ধ তাকে চক্ষু খুলে দিয়েছে। (aiōn )
জন্মান্ধ ব্যক্তির চোখ কেউ খুলে দিয়েছে, একথা কেউ কখনও শোনেনি। (aiōn )
আমি তাদেরকে অনন্ত জীবন দিই, তারা কখনও বিনষ্ট হবে না এবং কেউ আমার হাত থেকে তাদেরকে কেড়ে নিতে পারবে না। (aiōn , aiōnios )
আমি তাদের অনন্ত জীবন দান করি; তারা কোনোদিনই বিনষ্ট হবে না। আর কেউ তাদের আমার হাত থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। (aiōn , aiōnios )
এবং যে কেউ বেঁচে আছে এবং আমাতে বিশ্বাস করে সে কখনও মরবে না। এটা কি বিশ্বাস কর? (aiōn )
আর যে জীবিত এবং আমাকে বিশ্বাস করে, তার মৃত্যু কখনও হবে না। তুমি কি একথা বিশ্বাস করো?” (aiōn )
যে কেউ তার নিজের জীবনকে ভালবাসে, সে তা হারাবে; কিন্তু যে কেউ এই জগতে তার জীবনকে ঘৃণা করে সে অনন্তকালের জন্য প্রাণ রক্ষা পাবে। (aiōnios )
যে মানুষ নিজের প্রাণকে ভালোবাসে, সে তা হারাবে; কিন্তু এ জগতে যে নিজের প্রাণকে ঘৃণা করে, সে অনন্ত জীবনের জন্য তা রক্ষা করবে। (aiōnios )
লোকেরা তাঁকে উত্তর দিল, “আমরা নিয়ম থেকে শুনেছি যে খ্রীষ্ট চিরকাল থাকবেন। আপনি কিভাবে বলছেন যে, মনুষ্যপুত্রকে অবশ্যই উঁচুতে তোলা হবে? তাহলে এই মনুষ্যপুত্র কে?” (aiōn )
লোকেরা বলে উঠল, “আমরা বিধানশাস্ত্র থেকে শুনেছি যে, খ্রীষ্ট চিরকাল থাকবেন। তাহলে আপনি কী করে বলতে পারেন, ‘মনুষ্যপুত্রকে অবশ্যই উত্তোলিত হতে হবে?’ এই ‘মনুষ্যপুত্র’ কে?” (aiōn )
আমি জানি যে তাঁর আদেশেই অনন্ত জীবন; সুতরাং যে বিষয় আমি বলি ঠিক পিতা আমাকে যেমন বলেছেন, আমি তেমনই তাদেরকে বলি। (aiōnios )
আমি জানি, তাঁর নির্দেশ অনন্ত জীবনের দিকে নিয়ে যায়। তাই আমার পিতা আমাকে যা বলতে বলেছেন, আমি শুধু সেকথাই বলি।” (aiōnios )
পিতর তাঁকে বললেন, “আপনি কখনও আমার পা ধুইয়ে দেবেন না।” যীশু উত্তরে তাঁকে বললেন, যদি আমি তোমার পা ধুয়ে না দিই, তবে আমার সঙ্গে তোমার কোন সম্পর্ক নেই। (aiōn )
পিতর বললেন, “না, আপনি কখনোই আমার পা ধুয়ে দেবেন না।” প্রত্যুত্তরে যীশু বললেন, “আমি তোমার পা ধুয়ে না দিলে, আমার সাথে তোমার কোনো অংশই থাকবে না।” (aiōn )
এবং আমি পিতার কাছে প্রার্থনা করব এবং তিনি তোমাদের অন্য একজন সহায়ক দেবেন সুতরাং তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবেন, (aiōn )
আমি পিতার কাছে নিবেদন করব এবং তোমাদের সঙ্গে চিরকাল থাকার জন্য তিনি আর এক সহায় তোমাদের দান করবেন। (aiōn )
যেমন তুমি তাঁকে সব মানুষের উপরে কর্তৃত্ব দিয়েছ, যাদেরকে তুমি তাঁকে দিয়েছ তিনি যেন তাদের অনন্ত জীবন দেন। (aiōnios )
কারণ সব মানুষের উপর তুমি তাঁকে কর্তৃত্ব দান করেছ, যেন তুমি তাঁর হাতে যাদের অর্পণ করেছ, তিনি তাদের অনন্ত জীবন দিতে পারেন। (aiōnios )
আর এটাই অনন্ত জীবন: যেন তারা তোমাকে জানতে পারে, একমাত্র সত্য ঈশ্বরকে এবং তুমি যাকে পাঠিয়েছ, যীশু খ্রীষ্টকে। (aiōnios )
আর এই হল অনন্ত জীবন যে, তারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ, সেই যীশু খ্রীষ্টকে জানতে পারে। (aiōnios )
কারণ তুমি আমার প্রাণ মৃত্যুলোকে ত্যাগ করবে না, আর নিজের পবিত্রজনকে ক্ষয় দেখতে দেবে না। (Hadēs )
কারণ তুমি কখনও আমাকে পাতালের গর্ভে পরিত্যাগ করবে না, তুমি তোমার পবিত্রজনকে ক্ষয় দেখতে দেবে না। (Hadēs )
এবং তিনি খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হবার বিষয় এই কথা বলেছিলেন যে, তাঁকে মৃত্যুলোকে ত্যাগ করা হয়নি, তাঁর মাংস ক্ষয় হবে না। (Hadēs )
ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা আগেই দেখতে পেয়ে তিনি মশীহের পুনরুত্থান সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনি পাতালের গর্ভে পরিত্যক্ত হবেন না, কিংবা তাঁর শরীর ক্ষয় দেখবে না। (Hadēs )
আর তিনি সেই, যাকে স্বর্গ নিশ্চয়ই গ্রহণ করে রাখবে, যেপর্যন্ত না সকল বিষয়ের পুনরায় স্থাপনের দিন উপস্থিত হয়, যে দিনের সম্বন্ধে ঈশ্বর তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মুখ দিয়ে বলেছেন, যাঁরা পূর্বকাল হতে হয়ে আসছেন। (aiōn )
তাঁকে সেই সময় পর্যন্ত স্বর্গে থাকতেই হবে, যতক্ষণ না সবকিছু পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য ঈশ্বরের সময় উপস্থিত হয়, যেমন তিনি তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মাধ্যমে বহুকাল আগেই প্রতিশ্রুতি দান করেছিলেন। (aiōn )
কিন্তু পৌল ও বার্ণবা সাহসের সঙ্গে উত্তর দিলেন ও বললেন, প্রথমে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করা উচিত; দেখলাম তোমরা এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে দুরে সরিয়ে দিয়েছ, আর নিজেদের অনন্ত জীবনের অযোগ্য করে তুলেছ, তাই আমরা অযিহুদিদের কাছে যাব। (aiōnios )
তখন পৌল ও বার্ণবা সাহসের সঙ্গে উত্তর দিলেন, “প্রথমে আপনাদের কাছে আমাদের ঈশ্বরের বাক্য বলতে হয়েছে। আপনারা যেহেতু তা অগ্রাহ্য করছেন ও নিজেদের অনন্ত জীবন লাভের জন্য অযোগ্য বিবেচনা করছেন, আমরা এখন অইহুদিদের কাছেই যাচ্ছি। (aiōnios )
এই কথা শুনে অযিহূদীর লোকেরা খুশি হল এবং ঈশ্বরের বাক্যের গৌরব করতে লাগলো; ও যারা অনন্ত জীবনের জন্য মনোনীত হয়েছিল, তারা বিশ্বাস করল। (aiōnios )
অইহুদিরা একথা শুনে আনন্দিত হল। তারা প্রভুর বাক্যের সমাদর করল। যারাই অনন্ত জীবনের জন্য নিরূপিত হয়েছিল, তারা সকলে বিশ্বাস করল। (aiōnios )
প্রভু এই কথা বলেন, যিনি পূর্বকাল থেকে এই সকল বিষয় জানান। (aiōn )
বহুকাল আগে যা তিনি ব্যক্ত করেছেন। (aiōn )
সাধারণত তাঁর অদৃশ্য গুন অর্থাৎ তাঁর চিরকালের শক্তি ও ঈশ্বরীয় স্বভাব পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকে তাঁর নানা কার্য্য তাঁর সৃষ্টি থেকেই মানুষ বুঝতে পেরেছে। সেইজন্য তাদের কাছে উত্তর দেবার জন্য কোনো অজুহাত নেই। (aïdios )
এর কারণ হল, জগৎ সৃষ্টি হওয়ার সময় থেকে, ঈশ্বরের অদৃশ্য গুণাবলি—তাঁর অনন্ত পরাক্রম ও ঐশী-চরিত্র—স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়েছে। সমস্ত সৃষ্ট বস্তুর মধ্য দিয়ে তা বোঝা যায়, যেন কোনো মানুষ অজুহাত দিতে না পারে। (aïdios )
তারা মিথ্যার জন্য ঈশ্বরের সত্য পরিবর্তন করেছে এবং সৃষ্টিকর্ত্তার উপাসনার পরিবর্তে সৃষ্টি করা বস্তুর পূজা ও আরাধনা করছে, সেই ঈশ্বরের নয় যিনি যুগে যুগে ধন্য। আমেন। (aiōn )
তারা ঈশ্বরের সত্যের পরিবর্তে এক মিথ্যাকে বেছে নিল। তারা স্রষ্টার উপাসনা না করে সৃষ্ট বস্তুর উপাসনা ও সেবা করেছে—সেই স্রষ্টাই চিরতরে প্রশংসিত হোন। আমেন। (aiōn )
যারা ধৈর্য্যের সঙ্গে ভালো কাজ করে গৌরব, সম্মান এবং সততায় অটল তারা অনন্ত জীবন পাবে। (aiōnios )
যারা নিরবচ্ছিন্ন সৎকর্মের দ্বারা মহিমা, সমাদর ও অক্ষয়তা অনুসরণ করে তিনি তাদের অনন্ত জীবন দেবেন। (aiōnios )
এটা হলো যেন, পাপ যেমন মৃত্যুতে রাজত্ব করেছিল, তেমনি আবার অনুগ্রহ যেন ধার্মিকতার মাধ্যমে অনন্ত জীবনের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে রাজত্ব করে। (aiōnios )
যেন পাপ যেমন মৃত্যু দ্বারা কর্তৃত্ব করছে, তেমনই অনুগ্রহ যেন ধার্মিকতার দ্বারা কর্তৃত্ব করে ও আমাদের প্রভু, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে অনন্ত জীবন নিয়ে আসে। (aiōnios )
কিন্তু এখন পাপ থেকে স্বাধীন হয়ে এবং ঈশ্বরের দাসরূপে সমর্পিত তোমরা পবিত্রতার জন্য ফল পাইতেছ এবং তার পরিণাম অনন্ত জীবন। (aiōnios )
কিন্তু এখন, যেহেতু তোমাদের পাপ থেকে মুক্ত করা হয়েছে এবং তোমরা ঈশ্বরের ক্রীতদাস হয়েছ, যে ফল তোমরা লাভ করছ, তা হল পবিত্রতা এবং তার পরিণাম হল অনন্ত জীবন। (aiōnios )
কারণ পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ দান হলো আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন। (aiōnios )
কারণ পাপের বেতন মৃত্যু, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু, খ্রীষ্ট যীশুতে অনন্ত জীবন। (aiōnios )
পূর্বপুরুষরা যাঁদের কাছ থেকে খ্রীষ্ট এসেছেন দেহের সম্মানে যিনি সব কিছুর উপরে, ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন। (aiōn )
পিতৃপুরুষেরাও তাদের এবং খ্রীষ্টের মানবীয় বংশপরিচয় তাদের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়, যিনি সর্বোপরি বিরাজমান ঈশ্বর, চির প্রশংসনীয়! আমেন। (aiōn )
অথবা কে নরকে নামবে? অর্থাৎ মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্টকে উর্ধে আনবার জন্য।” (Abyssos )
“অথবা, ‘কে অতলে নেমে যাবে?’” (অর্থাৎ, খ্রীষ্টকে মৃতলোক থেকে তুলে আনার জন্য)। (Abyssos )
কারণ ঈশ্বর সবাইকেই অবাধ্যতার কাছে বেঁধে রেখেছেন, যেন তিনি সবাইকে দয়া করতে পারেন। (eleēsē )
কারণ ঈশ্বর সব মানুষকে অবাধ্যতার কাছে রুদ্ধ করেছেন, যেন তিনি তাদের সকলেরই প্রতি করুণা করতে পারেন। (eleēsē )
কারণ সব কিছুই তাঁর কাছ থেকে ও তাঁর দ্বারা ও তাঁর নিমিত্ত। যুগে যুগে তাঁরই গৌরব হোক। আমেন। (aiōn )
কারণ সকল বস্তুর উদ্ভব তাঁর থেকে, তাঁর মাধ্যমে ও তাঁরই জন্য, তাঁরই মহিমা হোক চিরকাল! আমেন। (aiōn )
এই জগতের মত হয়ো না, কিন্তু মনকে নতুন করে গড়ে তুলে নতুন হয়ে ওঠ, যেন তোমরা পরীক্ষা করে জানতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যা ভাল মনের সন্তোষজনক ও নিখুঁত। (aiōn )
আর তোমরা এই জগতের রীতি অনুযায়ী জীবনযাপন করো না, কিন্তু তোমাদের মনের নতুনীকরণের দ্বারা রূপান্তরিত হও। তখন তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে যাচাই ও অনুমোদন করতে পারবে, যা উৎকৃষ্ট, প্রীতিজনক ও সিদ্ধ। (aiōn )
যিনি তোমাদেরকে স্থির রাখার ক্ষমতা আমার সুসমাচার অনুসারেও যীশু খ্রীষ্ট-বিষয়ক প্রচার অনুসারে, সেই গোপন তত্ত্বের প্রকাশ অনুসারে, যা পূর্বকাল পর্যন্ত না বলা ছিল, (aiōnios )
যিনি তোমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ, আমার সুসমাচারের দ্বারা ও যীশু খ্রীষ্ট-বিষয়ক ঘোষণার দ্বারা, অতীতে দীর্ঘকালব্যাপী যা অপ্রকাশিত ছিল, সেই গুপ্তরহস্যের প্রকাশ অনুসারে, (aiōnios )
কিন্তু যা এখন প্রকাশিত হয়েছে এবং ভাববাদীদের লেখা ঈশ্বরের বাক্য দিয়ে, অনন্ত ঈশ্বরের আদেশমত, সবাইকে বিশ্বাসে অনুগত করার জন্য, সব জাতির লোকদের কাছে প্রচার করা হয়েছে, (aiōnios )
কিন্তু সম্প্রতি সনাতন ঈশ্বরের আদেশের দ্বারা প্রকাশিত ও ভাববাণীমূলক রচনাসমূহের দ্বারা ব্যক্ত হয়েছে, যেন সব জাতি বিশ্বাস করে ও তাঁর আজ্ঞাবহ হয়— (aiōnios )
যীশু খ্রীষ্ট একমাত্র তিনিই ঈশ্বর তিনিই জ্ঞানী তাঁর মধ্য দিয়ে চিরকাল তাঁরই গৌরব হোক। আমেন। (aiōn )
সেই একমাত্র প্রজ্ঞাবান ঈশ্বরের মহিমা চিরকাল ধরে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে কীর্তিত হোক! আমেন। (aiōn )
জ্ঞানীলোক কোথায়? ব্যবস্থার শিক্ষকরা কোথায়? এই যুগের যুক্তিবাদীরা (যারা তর্ক করে) কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেননি? (aiōn )
জ্ঞানবান মানুষ কোথায়? বিধানের শিক্ষকই বা কোথায়? এই যুগের দার্শনিক কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেননি? (aiōn )
তবুও আমরা আত্মিক পরিপক্কদের মধ্যে জ্ঞানের কথা বলছি, কিন্তু সেই জ্ঞান এই যুগের নয় বা এই যুগের শাসনকর্ত্তাদের নয়, তারা তো মূল্যহীন হয়ে পড়ছেন। (aiōn )
যারা পরিণত তাদের কাছে আমরা জ্ঞানের কথা বলে থাকি, তা কিন্তু এই যুগের জ্ঞান অনুযায়ী নয় বা এই যুগের শাসকদেরও নয়, যারা ক্রমেই মূল্যহীন হয়ে পড়ছেন। (aiōn )
কিন্তু আমরা গোপন উদ্দেশ্যে রূপে অর্থাৎ ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা বলছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যা ঈশ্বর আমাদের গৌরবের জন্য জগত পূর্বকাল থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। (aiōn )
না, আমরা ঈশ্বরের গোপন জ্ঞানের কথা বলি, যে নিগূঢ়তত্ত্ব গুপ্ত ছিল, যা সময় শুরু হওয়ার আগেই ঈশ্বর আমাদের মহিমার জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন। (aiōn )
এই যুগের তত্ত্বাবধায়কদের মধ্যে কেউ তা জানেন নি; কারণ যদি জানতেন, তবে গৌরবের প্রভুকে ক্রুশে দিতেন না। (aiōn )
এই যুগের শাসকদের কেউই তা বুঝতে পারেননি, কারণ যদি পারতেন, তাহলে তাঁরা মহিমার প্রভুকে ক্রুশবিদ্ধ করতেন না। (aiōn )
কেউ নিজেকে না ঠকাক। তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যদি নিজেকে এই যুগে জ্ঞানী বলে মনে করে, তবে সে জ্ঞানী হবার জন্য মূর্খ হোক। (aiōn )
তোমরা নিজেদের সঙ্গে প্রতারণা কোরো না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এই যুগের মানদণ্ড অনুসারে নিজেকে জ্ঞানী বলে ভাবে, তাকে “মূর্খ” হতে হবে, যেন সে জ্ঞানী হতে পারে। (aiōn )
অতএব খাদ্য দ্রব্য যদি আমার ভাইয়ের জন্য বাধার সৃষ্টি করে, তবে আমি কখনও মাংস খাব না, যদি এর জন্য আমার ভাইয়ের বাধার কারণ হই। (aiōn )
এই কারণে, আমি যে খাবার গ্রহণ করি, তা যদি অপর বিশ্বাসীর পাপে পতনের কারণ হয়, আমি আর কখনও সেই খাবার গ্রহণ করব না, যেন আমি তার পতনের কারণ না হই। (aiōn )
এই সকল তাদের প্রতি দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটেছিল এবং আমাদেরই চেতনার জন্য লেখা হল; কারণ, আমরা শেষ যুগে এসে পৌছেছি। (aiōn )
এসব বিষয় তাঁদের প্রতি দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটেছিল এবং আমাদের সতর্ক করার জন্যই সেগুলি লেখা হয়েছে—যাদের উপরে শেষ সময় এসে উপস্থিত হয়েছে। (aiōn )
“মৃত্যু জয়ে কবলিত হল।” “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?” (Hadēs )
“মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?” (Hadēs )
এই যুগের দেবতা অর্থাৎ জগতের শাসনকর্তারা অবিশ্বাসী লোকদের মনকে অন্ধ করে রেখেছে যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁর গৌরবের সুসমাচারের আলো তারা দেখতে না পায়। (aiōn )
এই যুগের দেবতা অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করেছে, যেন তারা খ্রীষ্টের মহিমার যে সুসমাচার তার আলো দেখতে না পায়। সেই খ্রীষ্টই হলেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি। (aiōn )
ফলে আমরা এই অল্প দিনের র জন্য যে সামান্য কষ্টভোগ করছি তার জন্য আমরা চিরকাল ধরে ঈশ্বরের মহিমা পাব যেটা কখনো মাপা যায় না। (aiōnios )
কারণ আমাদের তুচ্ছ ও ক্ষণস্থায়ী কষ্টসমস্যাগুলি আমাদের জন্য যে চিরন্তন মহিমা অর্জন করছে, তা সেইসব কষ্টসমস্যাকে বিপুলরূপে অতিক্রম করে। (aiōnios )
কারণ আমরা যা দেখা যায় তা দেখছি না বরং তার দিকেই দেখছি যা দেখা যায় না। কারণ যা যা দেখা যায় তা অল্প দিনের র জন্য, কিন্তু যা দেখা যায় না তা চিরকালের জন্য স্থায়ী। (aiōnios )
তাই কোনো দৃশ্যমান বস্তুর দিকে নয়, কিন্তু যা অদৃশ্য তার প্রতি আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করি। কারণ যা কিছু দৃশ্যমান, তা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু যা কিছু অদৃশ্য তাই চিরন্তন। (aiōnios )
আমরা জানি যে, এই পৃথিবীতে যে তাঁবুতে বাস করি অর্থাৎ যে দেহে থাকি সেটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে ঈশ্বরের তৈরী আমাদের জন্য একটা ঘর আছে সেটি মানুষের হাতে তৈরী নয় কিন্তু অনন্তকালস্থায়ী যা স্বর্গে আছে। (aiōnios )
এখন আমরা জানি যে, যদি এই পার্থিব তাঁবু, যার মধ্যে আমরা বসবাস করি, তা যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য আছে এক ঈশ্বরের দেওয়া গৃহ, স্বর্গে এক চিরন্তন আবাস, যা মানুষের হাতে তৈরি নয়। (aiōnios )
পবিত্র শাস্ত্রে যেমন লেখা আছে, “সে তার ধনসম্পদ ভাগ করে দিয়েছে এবং গরিবদের দান করেছে; তার ধার্ম্মিকতা চিরকাল স্থায়ী।” (aiōn )
যেমন লেখা আছে: “সে অবাধে দরিদ্রদের মাঝে দান বিতরণ করেছে, তার ধার্মিকতা চিরস্থায়ী।” (aiōn )
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ও ঈশ্বর যুগে যুগে যাঁকে ধন্য করে তিনি জানেন আমি মিথ্যা কথা বলছি না। (aiōn )
প্রভু যীশুর ঈশ্বর ও পিতা, যিনি চিরতরে প্রশংসনীয়, তিনি জানেন যে, আমি মিথ্যা কথা বলছি না! (aiōn )
তিনি আমাদের পাপের জন্য নিজেকে প্রদান করলেন, যেন আমাদের ঈশ্বরও পিতার ইচ্ছা অনুসারে আমাদেরকে এই উপস্থিত মন্দ যুগ থেকে উদ্ধার করেন। (aiōn )
তিনি আমাদের সমস্ত পাপের জন্য নিজের জীবন দিয়েছেন যেন আমাদের ঈশ্বর ও পিতার ইচ্ছা অনুযায়ী বর্তমান মন্দ যুগ থেকে আমাদের উদ্ধার করতে পারেন। (aiōn )
যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে ঈশ্বরের মহিমা হোক। আমেন। (aiōn )
চিরকাল তাঁর মহিমা হোক। আমেন। (aiōn )
তাই নিজের দেহের উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে দেহ থেকে ক্ষয়শীল শস্য পাবে, কিন্তু পবিত্র আত্মার উদ্দেশ্যে যে বোনে, সে আত্মা থেকে অনন্ত জীবনস্বরূপ শস্য পাবে। (aiōnios )
যে তার শারীরিক লালসা নিবৃত্তির উদ্দেশে বীজ বোনে, সেই শরীর থেকেই সে বিনাশরূপ শস্য সংগ্রহ করবে। যে পবিত্র আত্মাকে প্রীত করার জন্য বীজ বোনে, তা থেকেই অনন্ত জীবনের ফসল আসবে। (aiōnios )
সব আধিপত্য, কর্তৃত্ব, পরাক্রম, ও প্রভুত্বের উপরে এবং যত নাম শুধু এখন নয়, কিন্তু ভবিষ্যতেও উল্লেখ করা যায়, সেই সব কিছুর ওপরে অধিকার দিলেন। (aiōn )
শুধু বর্তমান কালে নয়, কিন্তু আগামী দিনেও যে সমস্ত শাসন ও কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও আধিপত্য এবং পদাধিকার দেওয়া যেতে পারে, তারও ঊর্ধ্বে তিনি তাঁকে স্থাপন করেছেন। (aiōn )
সেই সমস্ত কিছুতে তোমরা আগে চলতে এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের শাসনকর্ত্তার অনুসারে কাজ করতে, যে মন্দ আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানদের মাঝে কাজ করছে সেই আত্মার কর্তৃত্বের অনুসারে চলতে। (aiōn )
যেগুলির মধ্যে তোমরা জীবনযাপন করতে। তখন তোমরা এই জগতের ও আকাশের রাজ্যশাসকের পথ অনুসরণ করতে, যে আত্মা এখন যারা অবাধ্য, তাদের মধ্যে কার্যকরী রয়েছে। (aiōn )
উদ্দেশ্যে এই, খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের প্রতি দেখানো তাঁর মধুর ভাব দিয়ে যেন তিনি যুগে যুগে নিজের অতুলনীয় অনুগ্রহ-ধন প্রকাশ করেন। (aiōn )
যেন খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের প্রতি তাঁর যে করুণা প্রকাশ পেয়েছে, আগামী দিনেও তিনি তাঁর সেই অতুলনীয় অনুগ্রহের ঐশ্বর্য প্রদর্শন করতে পারেন। (aiōn )
যা পূর্বকাল থেকে সব কিছুর সৃষ্টিকর্ত্তা ঈশ্বরের কাছে গোপন থেকেছে, সেই গোপন তত্বের বিধান কি, (aiōn )
এবং এই গুপ্তরহস্যের প্রয়োগ প্রত্যেকের কাছে স্পষ্ট করে দিই, যা অতীতকালে সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের কাছে গুপ্ত রাখা ছিল। (aiōn )
চিরকালের সেই উদ্দেশ্যে অনুসারে যে প্রতিজ্ঞা তিনি আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে করেছিলেন। (aiōn )
এ ছিল তাঁর চিরকালীন অভিপ্রায়, যা তিনি আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে সাধন করেছেন। (aiōn )
মণ্ডলীতে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তারই মহিমা হোক। আমেন। (aiōn )
মণ্ডলীতে এবং খ্রীষ্ট যীশুতে, যুগ যুগ ধরে সকল প্রজন্মে চিরকাল তাঁর গৌরব কীর্তিত হোক! আমেন। (aiōn )
কারণ দেহ এবং রক্তের সঙ্গে নয়, কিন্তু পরাক্রম সকলের সঙ্গে, কর্তৃত্ব সকলের সঙ্গে, এই অন্ধকারের জগতপতিদের সঙ্গে, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্ট আত্মাদের সঙ্গে আমাদের মল্লযুদ্ধ হচ্ছে। (aiōn )
কারণ আমাদের সংগ্রাম রক্তমাংসের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু আধিপত্য ও কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে, অন্ধকারে আচ্ছন্ন এই জগতের শক্তির বিরুদ্ধে এবং স্বর্গীয় স্থানের মন্দ আত্মিক শক্তির বিরুদ্ধে। (aiōn )
আমাদের ঈশ্বরও পিতার মহিমা সব দিনের র জন্য যুগে যুগে হোক। আমেন। (aiōn )
আমাদের ঈশ্বর ও পিতার প্রতি মহিমা যুগে যুগে চিরকাল হোক। আমেন। (aiōn )
সেই গোপন সত্য যা পূর্বকাল হইতে ও পুরুষে পুরুষে লুকানো ছিল, কিন্তু এখন তা তাঁর পবিত্র লোকদের কাছে প্রকাশিত হল; (aiōn )
যুগযুগাম্ত এবং বহু প্রজন্ম ধরে এই গুপ্তরহস্য গোপন রাখা হয়েছিল, কিন্তু এখন তা পবিত্রগণের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। (aiōn )
তারা প্রভুর উপস্থিতি থেকে ও তাঁর শক্তির প্রতাপ থেকে দূর হবে এবং তারা অনন্তকালস্থায়ী বিনাশরূপ শাস্তি ভোগ করবে, (aiōnios )
তাদের দণ্ড হবে চিরকালীন বিনাশ এবং প্রভুর সান্নিধ্য ও তাঁর পরাক্রমের গৌরব থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হবে। (aiōnios )
আর আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজে, ও আমাদের পিতা ঈশ্বর, যিনি আমাদেরকে প্রেম করেছেন এবং অনুগ্রহের সাথে অনন্তকালস্থায়ী সান্ত্বনা ও উত্তম আশা দিয়েছেন, (aiōnios )
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট স্বয়ং এবং আমাদের পিতা ঈশ্বর, যিনি আমাদের ভালোবেসেছেন এবং যাঁর অনুগ্রহে আমরা চিরন্তন সান্ত্বনা ও উত্তম প্রত্যাশা লাভ করেছি, (aiōnios )
কিন্তু আমি এই জন্য দয়া পেয়েছি, যেন যীশু খ্রীষ্ট আমার মত জঘন্য পাপীর জীবনে তাঁর দয়াকে অসীম ধৈর্য্যকে প্রকাশ করেন, যেন আমি তাদের আদর্শ হতে পারি, যারা অনন্ত জীবনের জন্য তাঁকে বিশ্বাস করবে। (aiōnios )
কিন্তু শুধু এই কারণেই ঈশ্বর আমার প্রতি করুণা প্রদর্শন করলেন যে, আমার মতো জঘন্যতম পাপীর মধ্য দিয়ে খ্রীষ্ট যীশু যেন তাঁর অসীম সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে পারেন, যেন তাঁর উপর বিশ্বাস করে যারা অনন্ত জীবনের অধিকারী হবে, তাদের কাছে তিনি আমাদের উদাহরণস্বরূপ উপস্থাপন করতে পারেন। (aiōnios )
যিনি যুগপর্য্যায়ের রাজা, অক্ষয় অদৃশ্য একমাত্র ঈশ্বর, যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তাঁর সমাদর ও মহিমা হোক। আমেন। (aiōn )
এখন অনন্ত রাজাধিরাজ, অবিনশ্বর, অদৃশ্য, একমাত্র ঈশ্বর, তাঁরই প্রতি যুগে যুগে সম্মান ও মহিমা অর্পিত হোক। আমেন। (aiōn )
বিশ্বাসের জন্য যুদ্ধে প্রাণপন চেষ্টা কর; অনন্ত জীবন ধরে রাখ; তারই জন্য তোমাকে ডেকেছে এবং অনেক সাক্ষীর সামনে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করেছ। (aiōnios )
তুমি বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে সংগ্রাম করো। অনন্ত জীবনে প্রতিষ্ঠিত থাকো, কারণ এরই জন্য তোমাকে আহ্বান করা হয়েছে এবং বহু সাক্ষীর সামনে তোমার উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করেছ। (aiōnios )
যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, এমন আলোর নিবাসী, যাকে মানুষদের মধ্যে কেউ, কখনও দেখতে পায়নি, দেখতে পাবেওনা; তাঁরই সম্মান ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হোক। আমেন। (aiōnios )
একমাত্র অমর, অগম্য জ্যোতির মাঝে যাঁর অবস্থান, যাঁকে কেউ কখনও দেখেনি এবং দেখতেও পারে না—তাঁরই প্রতি হোক সমাদর এবং চিরস্থায়ী পরাক্রম। আমেন। (aiōnios )
যারা এই যুগে ধনবান তাদেরকে এই নির্দেশ দাও, যেন তারা অহঙ্কারী না হয় এবং অস্থায়ী ধনের উপরে নির্ভর করে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের মত সবই আমাদের প্রয়োজনের জন্য জুগিয়ে দেন, সেই ঈশ্বরের উপরে আশা কর; (aiōn )
এই বর্তমান জগতে যারা ধনবান, তাদের আদেশ দাও, তারা যেন উদ্ধত না হয়, তাদের অনিশ্চিত সম্পদের উপরে তারা যেন আশাভরসা না করে, কিন্তু ঈশ্বরের উপরে প্রত্যাশা রাখে, যিনি আমাদের উপভোগের জন্য সবকিছুই সম্পূর্ণরূপে জুগিয়ে দেন। (aiōn )
তিনিই আমাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন এবং পবিত্র আহ্বানে আহ্বান করেছেন, আমাদের কাজ অনুযায়ী নয়, কিন্তু নিজের পরিকল্পনা ও অনুগ্রহ অনুযায়ী সব কিছু পূর্বকালে খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের দেওয়া হয়েছিল, (aiōnios )
আমাদের করা কোনো কাজের জন্য নয়, কিন্তু ঈশ্বর তাঁর নিজের পরিকল্পনা এবং অনুগ্রহ অনুসারে পরিত্রাণ দান করে আমাদের পবিত্র জীবনে আহ্বান করেছেন। সময় শুরু হওয়ার আগেই, তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে এই অনুগ্রহ আমাদের দান করেছিলেন। (aiōnios )
এই জন্য আমি মনোনীতদের জন্য সব কিছু সহ্য করি, যেন তারাও খ্রীষ্ট যীশুতে যে পাপের ক্ষমা তা চিরকালের জন্য মহিমার সঙ্গে লাভ করে। (aiōnios )
অতএব, মনোনীতদের জন্য আমি সবকিছুই সহ্য করি, যেন তারাও অনন্ত মহিমার সঙ্গে সেই মুক্তি অর্জন করতে পারে যার আধার খ্রীষ্ট যীশু। (aiōnios )
কারণ দীমা এই বর্তমান যুগ ভালবাসাতে আমাকে ছেড়ে থিষলনীকী শহরে গিয়েছে; ক্রীষ্কেন্ত গালাতিয়া প্রদেশে, তীত দালমাতিয়া প্রদেশে গিয়েছেন; (aiōn )
কারণ দীমা, এই জগৎকে ভালোবেসে আমাকে ত্যাগ করে থিষলনিকাতে চলে গেছে। ক্রিসেন্স গালাতিয়ায় এবং তীত গেছেন দালমাতিয়ায়। (aiōn )
প্রভু আমাকে সমস্ত খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করবেন এবং নিজের স্বর্গীয় রাজ্যে উত্তীর্ণ করবেন। যুগপর্য্যায়ের যুগে যুগে তাঁর মহিমা হোক। আমেন। (aiōn )
সমস্ত অশুভ আক্রমণ থেকে প্রভু আমাকে রক্ষা করবেন এবং তাঁর স্বর্গীয় রাজ্যে তিনি আমাকে নিরাপদে নিয়ে আসবেন। চিরকাল যুগে যুগে কীর্তিত হোক তাঁর মহিমা। আমেন। (aiōn )
যে জ্ঞান ও সত্য সেই অনন্ত জীবনের আশাযুক্ত, জগত সৃষ্টি হবার পূর্বকাল থেকেই ঈশ্বর, যিনি মিথ্যা বলেন না, তিনি এই জীবন দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, (aiōnios )
সেই সত্য তাদের আশ্বাস দেয় যে তাদের অনন্ত জীবন আছে যা ঈশ্বর, যিনি মিথ্যা কথা বলতে পারেন না, সময়ের শুরুতেই তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। (aiōnios )
তা আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে, যেন আমরা ভক্তিহীনতা ও জগতের কামনা বাসনাকে অস্বীকার করি, সংযত, ধার্মিক ও ভক্তিভাবে এই বর্ত্তমান যুগে জীবন কাটাই, (aiōn )
এই অনুগ্রহ অভক্তি এবং সাংসারিক অভিলাষকে উপেক্ষা করতে এবং এই বর্তমান যুগে আত্মসংযমী, সৎ ও ভক্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে আমাদের শিক্ষা দেয়, (aiōn )
যেন তাঁরই অনুগ্রহে ধার্মিক হিসাবে আমরা অনন্ত জীবনের আশায় উত্তরাধিকারী হই। (aiōnios )
যেন তাঁর অনুগ্রহে আমরা ধার্মিক সাব্যস্ত হয়ে অনন্ত জীবনের প্রত্যাশায় তাঁর উত্তরাধিকারী হয়ে উঠতে পারি। (aiōnios )
কিছু কালের জন্য সে তোমার কাছ থেকে আলাদা হয়েছিল, যেন তুমি তাকে চিরকালের জন্য পেতে পার, (aiōnios )
হয়তো, সে অল্প সময়ের জন্য তোমার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, যেন তুমি তাকে চিরকালের জন্য ফিরে পাও— (aiōnios )
আর এই দিনের ঈশ্বর পুত্রের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি তাঁর পুত্রকেই সব কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন এবং তাঁর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। (aiōn )
কিন্তু এই শেষ যুগে, তিনি তাঁর পুত্রের মাধ্যমেই আমাদের কাছে কথা বলেছেন, যাঁকে তিনি সবকিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন, এবং যাঁর মাধ্যমে তিনি সমগ্র বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। (aiōn )
কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরকাল স্থায়ী; আর সত্যের শাসনদন্ডই তাঁর রাজ্যের শাসনদন্ড। (aiōn )
কিন্তু পুত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন অনন্তকালস্থায়ী; ধার্মিকতার রাজদণ্ড হবে তোমার রাজ্যের রাজদণ্ড। (aiōn )
সেইভাবে অন্য গীতেও তিনি বলেন, “তুমিই মল্কীষেদকের মতো চিরকালের যাজক।” (aiōn )
অন্যত্র তিনি বলেন, “মল্কীষেদকের পরম্পরা অনুযায়ী, তুমিই চিরকালীন যাজক।” (aiōn )
তিনি সঠিক এবং যারা তার এই বাধ্য তাদের সকলের জন্য তিনি অনন্ত পরিত্রানের পথ হলেন; (aiōnios )
এবং এভাবে সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে, তাঁর অনুগতদের জন্য তিনি চিরন্তন পরিত্রাণের উৎস হয়েছেন। (aiōnios )
নানা বাপ্তিষ্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতদের পুনরুত্থান ও অনন্তকালীন বিচারের শিক্ষা। (aiōnios )
বাপ্তিষ্ম সম্পর্কিত নির্দেশ, কারও উপরে হাত রাখা, মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থান ও শেষ বিচার—এইসব বিষয়ে তোমাদের আর নতুন করে নির্দেশের প্রয়োজন নেই। (aiōnios )
এবং ঈশ্বরের বাক্যের ও নতুন যুগের নানা পরাক্রম আস্বাদন করেছে, (aiōn )
যারা ঈশ্বরের বাক্যের মাধুর্য উপলব্ধি করেছে ও সন্নিকট যুগের পরাক্রম আস্বাদন করেছে— (aiōn )
আর সেই জায়গায় আমাদের জন্য অগ্রগামী হয়ে যীশু প্রবেশ করেছেন, যিনি মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হয়েছেন। (aiōn )
যেখানে আমাদের অগ্রগামী যীশু আমাদের পক্ষে প্রবেশ করেছেন। মল্কীষেদকের পরম্পরা অনুসারে তিনি চিরকালের জন্য মহাযাজক হয়েছেন। (aiōn )
তাঁর বিষয়ে শাস্ত্রের সাক্ষ্য এই বলে: “তুমিই মল্কীষেদকের রীতি অনুসারে অনন্তকালীন যাজক।” (aiōn )
কারণ ঘোষণা করা হয়েছে: “মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী তুমিই চিরকালীন যাজক।” (aiōn )
কিন্তু ঈশ্বর শপথ গ্রহণ করেছিলেন যখন তিনি যীশুর বিষয়ে বলেছিলেন, “প্রভু এই নতুন নিয়ম করলেন এবং তিনি মন পরিবর্তন করবেন না: ‘তুমিই অনন্তকালীন যাজক।’” (aiōn )
তিনি কিন্তু শপথ সহ যাজক হয়েছিলেন, যখন ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, “প্রভু এই শপথ করেছেন, তাঁর সংকল্পের পরিবর্তন হবে না; ‘তুমিই চিরকালীন যাজক।’” (aiōn )
কিন্তু তিনি যদি অনন্তকাল থাকেন, তবে তাঁর যাজকত্ব অপরিবর্তনীয়। (aiōn )
কিন্তু যীশু চিরজীবী বলে তাঁর যাজকত্বও চিরস্থায়ী। (aiōn )
কারণ নিয়ম যে মহাযাজকদের নিযুক্ত করে তারা দুর্বলতাযুক্ত মানুষ, কিন্তু বাক্যের শপথ, যা নিয়মের পরে আসে এবং ঈশ্বরের পুত্রকে নিযুক্ত করে, যিনি যুগে যুগে নিখুঁত। (aiōn )
কারণ বিধান যাদের মহাযাজকরূপে নিযুক্ত করে, তারা দুর্বল। কিন্তু বিধান প্রতিষ্ঠা করার পরবর্তীকালে শপথের দ্বারা যিনি নিযুক্ত হয়েছেন তিনি “পুত্র,” সর্বকালের সিদ্ধপুরুষ। (aiōn )
এটা ছাগলের ও বাছুরের রক্তে না, কিন্তু খ্রীষ্ট তাঁর নিজের রক্তে গুণে একবারে পবিত্র জায়গায় প্রবেশ করেছেন, ও আমাদের জন্য অনন্তকালীয় মুক্তি উপার্জন করেছেন। (aiōnios )
তিনি ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে প্রবেশ করেননি; সেই মহাপবিত্র স্থানে তিনি নিজের রক্ত নিয়ে চিরকালের মতো একবারই প্রবেশ করেছেন এবং আমাদের জন্য অনন্তকালীন মুক্তি অর্জন করেছেন। (aiōnios )
তবে, খ্রীষ্ট অনন্তজীবী আত্মার মাধ্যমে নির্দোষ বলিরূপে নিজেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত আমাদের বিবেককে মৃত ক্রিয়াকলাপ থেকে কত বেশি পবিত্র না করবে, যেন তোমরা জীবন্ত ঈশ্বরের আরাধনা করতে পার। (aiōnios )
তাহলে আমরা যেন জীবন্ত ঈশ্বরের সেবা করতে পারি, এই উদ্দেশ্যে যিনি চিরন্তন আত্মার মাধ্যমে নিষ্কলঙ্ক বলিরূপে নিজেকেই ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করেছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত আমাদের বিবেককে মৃত্যুমুখী ক্রিয়াকলাপ থেকে আরও কত না নিশ্চিতরূপে শুচিশুদ্ধ করবে! (aiōnios )
আর এই কারণে খ্রীষ্ট এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থ; যেন, প্রথম নিয়ম সম্বন্ধীয় অপরাধ সকলের মুক্তির জন্য মৃত্যু ঘটেছে বলে যারা মনোনীত হয়েছে, তারা অনন্তকালীয় অধিকার বিষয়ক প্রতিজ্ঞার ফল পায়। (aiōnios )
এই কারণে খ্রীষ্ট এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থতাকারী, যেন আহূতজনেরা চিরন্তন উত্তরাধিকার লাভ করতে পারে। এখন তা সম্ভব, কারণ প্রথম নিয়মের সময়ে তারা যেসব পাপ করেছিল, তা থেকে তাদের উদ্ধার করতে তিনি মুক্তিপণরূপে মৃত্যুবরণ করেছেন। (aiōnios )
কারণ তাহলে জগতের শুরু থেকে অনেকবার তাঁকে মৃত্যুভোগ করতে হত। কিন্তু বাস্তবিক তিনি একবার, যুগপর্য্যায়ের শেষে, নিজের বলিদান মাধ্যমে পাপ নাশ করবার জন্য প্রকাশিত হয়েছেন। (aiōn )
তাহলে জগৎ সৃষ্টির কাল থেকে খ্রীষ্টকে বহুবারই কষ্টভোগ ও মৃত্যুবরণ করতে হত। কিন্তু এখন, যুগের শেষ সময়ে, আত্মবলিদানের দ্বারা তিনি চিরকালের মতো পাপের বিলোপ সাধনের উদ্দেশ্যে একবারই প্রকাশিত হয়েছেন। (aiōn )
বিশ্বাসে আমরা বুঝিতে পারি যে, পৃথিবী ঈশ্বরের আদেশে সৃষ্টি হয়েছে, সুতরাং যা দৃশ্যমান তা ঐ সব দৃশ্যমান জিনিসের সৃষ্টি করতে পারেনা। (aiōn )
বিশ্বাসে আমরা বুঝতে পারি যে, সমগ্র বিশ্ব ঈশ্বরের আদেশে রচিত হয়েছিল; যার ফলে, যা কিছু এখন আমরা দেখি, তা কোনো দৃশ্য বস্তু থেকে নির্মিত হয়নি। (aiōn )
যীশু খ্রীষ্ট কাল ও আজ এবং অনন্তকাল যে, সেই আছেন। (aiōn )
যীশু খ্রীষ্ট কাল যেমন ছিলেন, আজও তেমনি আছেন এবং চিরকাল একই থাকবেন। (aiōn )
এখন শান্তির ঈশ্বর, যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে ফিরিয়ে এনেছেন রক্তের মাধ্যমে অনন্তকালস্থায়ী নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যিনি মহান মেষপালক (aiōnios )
শান্তির ঈশ্বর, যিনি অনন্ত সন্ধিচুক্তির রক্তের মাধ্যমে আমাদের প্রভু যীশুকে মৃতলোক থেকে পুনরায় উত্থাপিত করেছেন, মেষপালের সেই মহান পালরক্ষক, (aiōnios )
তিনি নিজের ইচ্ছা সাধনের জন্য তোমাদেরকে সমস্ত ভালো বিষয়ে পরিপক্ক করুন, তাঁর দৃষ্টিতে যা প্রীতিজনক, তা আমাদের অন্তরে, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে, সম্পন্ন করুন; যুগে যুগে তাঁর মহিমা হোক। আমেন। (aiōn )
তাঁর ইচ্ছা পালনের উদ্দেশে তোমাদের সব উত্তম উপকরণে সুসজ্জিত করুন এবং তাঁর কাছে যা প্রীতিকর, তা যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের অন্তরে সম্পন্ন করুন। যুগে যুগে চিরকাল তাঁর মহিমা কীর্তিত হোক। আমেন! (aiōn )
জিভও আগুনের মত; আমাদের সব অঙ্গের মধ্যে জিভ হল অধর্ম্মের জগত; এবং নিজে নরকের আগুনে জ্বলে উঠে সে গোটা দেহকেই নষ্ট করে এবং জীবন নষ্ট করে দেয়। (Geenna )
সেরকম, জিভও যেন এক আগুন, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে অধর্মের এক জগতের মতো রয়েছে। সমগ্র ব্যক্তিসত্তাকে তা কলুষিত করে, তার সমগ্র জীবনচক্রে আগুন জ্বালায় এবং সে নিজেও নরকের আগুনে জ্বলে। (Geenna )
কারণ তোমরা ক্ষয়মান বীজ থেকে নয়, কিন্তু যে বীজ কখনো নষ্ট হবে না সে বীজ থেকে জীবন্ত ও চিরকালের ঈশ্বরের বাক্যর মাধ্যমে তোমাদের জন্ম হয়েছে। (aiōn )
কারণ তোমরা ক্ষয়িষ্ণু বীর্য থেকে নয়, কিন্তু অক্ষয় বীর্য থেকে, অর্থাৎ, ঈশ্বরের জীবন্ত ও চিরস্থায়ী বাক্যের দ্বারা নতুন জন্ম লাভ করেছ। (aiōn )
কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে।” আর এ সেই সুসমাচারের বাক্য, যা তোমাদের কাছে প্রচার করা হয়েছে। (aiōn )
কিন্তু প্রভুর বাক্য থাকে চিরকাল।” আর সুসমাচারের এই বাক্যই তোমাদের কাছে প্রচার করা হয়েছে। (aiōn )
যদি কেউ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলছে, যদি কেউ সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তি অনুযায়ী করুক, যেন সমস্ত বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর গৌরব পান। মহিমা ও পরাক্রম সমস্ত যুগ ধরে যুগে যুগে তাঁরই হোক। আমেন। (aiōn )
কেউ যদি কথা বলে, সে এমনভাবে বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণীই বলছে। কেউ যদি সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তির গুণেই তা করুক, যেন সব বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর প্রশংসিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগে যুগে চিরকাল তাঁরই হোক। আমেন। (aiōn )
আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে খ্রীষ্টে তাঁর অনন্ত গৌরবে ডেকেছেন, তিনি তোমাদের অল্প কষ্ট সহ্যর পর তোমাদেরকে পরিপক্ক, সুস্থির, সবল ও স্থাপন করবেন। (aiōnios )
আর সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি খ্রীষ্টে তাঁর অনন্ত মহিমা প্রদানের জন্য তোমাদের আহ্বান করেছেন, সাময়িক কষ্টভোগ করার পর তিনি স্বয়ং তোমাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবেন এবং তোমাদের শক্তিশালী, সুদৃঢ় ও অবিচল করবেন। (aiōnios )
অনন্তকাল ধরে যুগে যুগে তাঁরই পরাক্রম হোক। আমেন। (aiōn )
যুগে যুগে চিরকাল তাঁর পরাক্রম হোক। আমেন। (aiōn )
কারণ এই ভাবে আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করবার অধিকার প্রচুরভাবে তোমাদেরকে দেওয়া যাবে। (aiōnios )
আর তোমরা আমাদের প্রভু ও পরিত্রাতা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে সাদর অভ্যর্থনা লাভ করবে। (aiōnios )
কারণ ঈশ্বর পাপে পড়ে যাওয়া দূতদের ক্ষমা করেননি, কিন্তু নরকে ফেলে দেওয়ার জন্য বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্ধকারের মধ্যে বেঁধে রাখলেন। (Tartaroō )
কারণ স্বর্গদূতেরা পাপ করলে, ঈশ্বর তাদের নিষ্কৃতি না দিয়ে নরকে পাঠিয়ে দিলেন, বিচারের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন পাতালে শিকল দিয়ে বন্দি করে রেখে দিলেন। (Tartaroō )
কিন্তু আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পাও। এখনও অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর গৌরব হোক। আমেন। (aiōn )
কিন্তু তোমরা আমাদের প্রভু ও পরিত্রাতা যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহ ও জ্ঞানে বৃদ্ধি পেতে থাকো। এখন ও চিরকাল পর্যন্ত তাঁর মহিমা হোক। আমেন। (aiōn )
সেই জীবন প্রকাশিত হয়েছিল এবং আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি; এবং যিনি পিতার কাছে ছিলেন ও আমাদের কাছে প্রকাশিত হলেন সেই অনন্ত জীবনের কথাই তোমাদের দিচ্ছি, (aiōnios )
সেই জীবন প্রকাশিত হলেন, আমরা তা প্রত্যক্ষ করেছি ও সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি। যা পিতার কাছে ছিল এবং যা আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে, আমরা সেই অনন্ত জীবনের কথা তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি। (aiōnios )
আর জগত ও তার কামনা বাসনা সব শেষ হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা মেনে চলে সে চিরকাল থাকবে। (aiōn )
আর জগৎ ও তার কামনাবাসনা বিলুপ্ত হবে, কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে চিরকাল জীবিত থাকবে। (aiōn )
এবং এটাই তাঁর সেই প্রতিজ্ঞা যেটা তিনি নিজে আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা হলো অনন্ত জীবন। (aiōnios )
আর আমাদের যা তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা হল অনন্ত জীবন। (aiōnios )
যে কেউ নিজের ভাইকে ঘৃণা করে সে একজন খুনী এবং তোমরা জান যে, অনন্ত জীবন কোন খুনির মধ্যে থাকে না। (aiōnios )
যে তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে হত্যাকারী এবং তোমরা জানো যে কোনো হত্যাকারীর অন্তরে অনন্ত জীবন থাকতে পারে না। (aiōnios )
আর সেই সাক্ষ্য হলো, ঈশ্বর আমাদেরকে অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে। (aiōnios )
এই হল সেই সাক্ষ্য: ঈশ্বর আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে। (aiōnios )
এই সব কথা তোমাদের কাছে লিখলাম যাতে তোমরা জানতে পার যে, তোমরা যারা ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করেছ তারা অনন্ত জীবন পেয়েছ। (aiōnios )
তোমরা যারা ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করো, তাদের কাছে আমি এসব বিষয় লিখছি, যেন তোমরা জানতে পারো যে, তোমরা অনন্ত জীবন লাভ করেছ। (aiōnios )
আর আমরা এটা জানি যে, ঈশ্বরের পুত্র এসেছেন এবং আমাদেরকে বোঝবার জন্য যে মন দিয়েছেন, যাতে আমরা সেই সত্যকে জানি এবং আমরা সেই সত্যে আছি অর্থাৎ তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টে আছি; তিনিই হলেন সত্য ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন। (aiōnios )
আমরা আরও জানি যে, ঈশ্বরের পুত্রের আগমন হয়েছে এবং তিনি আমাদের বোধশক্তি দিয়েছেন যেন, যিনি প্রকৃত সত্য তাঁকে আমরা জানতে পারি। আমরা তাঁরই মধ্যে আছি, যিনি সত্যময়, অর্থাৎ তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টে। তিনিই প্রকৃত ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন। (aiōnios )
সেই সত্যের কারণে, যা আমাদের মধ্যে বসবাস করছে এবং অনন্তকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে। (aiōn )
কারণ সেই সত্য আমাদের অন্তরে আছে এবং চিরদিন আমাদের সঙ্গে থাকবে। (aiōn )
আর যে স্বর্গ দূতেরা নিজেদের আধিপত্য রক্ষা না করে নিজ বাসস্থান ত্যাগ করেছিল, তাদেরকে তিনি মহাদিনের বিচারের জন্য ঘোর অন্ধকারের মধ্যে অনন্তকালের শিঁকলে বেঁধে রেখেছেন। (aïdios )
আর যে স্বর্গদূতেরা নিজেদের অধিকারের সীমা ছাড়িয়ে তাদের নিজস্ব আবাস ত্যাগ করেছিল, তিনি তাদের সেই মহাদিনে বিচারের জন্য চিরকালীন শিকলে বন্দি করে ঘোর অন্ধকারের মধ্যে রেখেছেন। (aïdios )
সেইভাবে সদোম ও ঘমোরা এবং তার আশেপাশের শহর সব এদের মতো অত্যন্ত ব্যাভিচারগ্রস্ত এবং বিজাতীও মাংসিক চেষ্টায় বিপথগামী, তারা অনন্ত আগুনে পুড়বার শাস্তি পাবে, তাদের নমুনা রয়েছে। (aiōnios )
একইভাবে, সদোম ও ঘমোরা এবং তাদের আশেপাশের নগরগুলি এদেরই মতো দৈহিক উচ্ছৃঙ্খলতা ও অস্বাভাবিক যৌন আচরণে নিজেদের সমর্পণ করেছিল বলে অনন্ত আগুনের শাস্তি ভোগ করে এরা সকলের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে আছে। (aiōnios )
তারা নিজ লজ্জারূপ ফেনা বের করার মত প্রচন্ড সামুদ্রিক তরঙ্গের মত; ভ্রমণকারী তারা, যাদের জন্য অনন্তকালের ঘোরতর অন্ধকার অপেক্ষা করছে। (aiōn )
এরা সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের মতো, নিজেদের লজ্জা ফেনার মতো ফাঁপিয়ে তোলে; কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত তারার মতো, যাদের জন্য অনন্তকালীন ঘোরতর অন্ধকার নির্দিষ্ট করা আছে। (aiōn )
ঈশ্বরের ভালবাসায় নিজেদেরকে রক্ষা কর এবং অনন্ত জীবনের জন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দয়ার অপেক্ষায় থাক। (aiōnios )
ঈশ্বরের প্রেমে অবিচল থাকো এবং সেই দিনের জন্য প্রতীক্ষা করো যেদিন আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট সদয় হয়ে তোমাদের অনন্ত জীবন দান করবেন। (aiōnios )
যিনি একমাত্র ঈশ্বর আমাদের উদ্ধারকর্তা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে তাঁরই উপস্স্থিতি, মহিমা, পরাক্রম ও কর্তৃত্ব হোক, আর এখন এবং চিরকাল হোক। আমেন। (aiōn )
সেই একমাত্র ঈশ্বর, আমাদের পরিত্রাতা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে মহিমা, রাজকীয় প্রতাপ, পরাক্রম ও কর্তৃত্ব, সকল যুগের শুরু থেকে বর্তমানে ও যুগপর্যায়ের সমস্ত যুগেই হোক! আমেন। (aiōn )
তিনি আমাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছেন এবং তাঁর পিতা ও ঈশ্বরের সেবার জন্য যাজক করেছেন, চিরকাল ধরে তাঁর মহিমা ও আধিপত্য হোক। আমেন। (aiōn )
এবং তাঁর ঈশ্বর ও পিতার সেবা করার জন্য আমাদের এক রাজ্যস্বরূপ ও যাজকসমাজ করেছেন—তাঁরই মহিমা ও পরাক্রম যুগে যুগে চিরকাল হোক! আমেন। (aiōn )
আমি মরেছিলাম, কিন্তু দেখ, আমি যুগে যুগে জীবিত আছি; আর মৃত্যু ও নরকের চাবি আমার হাতে আছে। (aiōn , Hadēs )
আমিই সেই জীবিত সত্তা; আমার মৃত্যু হয়েছিল, আর দেখো, আমি যুগে যুগে চিরকাল জীবিত আছি! আর মৃত্যু ও পাতালের চাবি আছে আমারই হাতে। (aiōn , Hadēs )
চিরকাল জীবন্ত প্রভু, ঈশ্বর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, এই জীবন্ত প্রাণীরা যখনই তাঁকে গৌরব, সম্মান ও ধন্যবাদ জানান, (aiōn )
যিনি সিংহাসনে উপবিষ্ট ও যিনি যুগে যুগে চিরকাল জীবন্ত, তাঁকে যখনই সেই জীবন্ত প্রাণীরা গৌরব, সম্মান ও ধন্যবাদ অর্পণ করেন, (aiōn )
তখন সেই চব্বিশ জন নেতা সিংহাসনের অধিকারী, যিনি চিরকাল ধরে জীবিত আছেন, তাঁকে উপুড় হয়ে প্রণাম করেন। এই নেতারা তখন সেই সিংহাসনের সামনে তাঁদের মুকুট খুলে রেখে বলেন, (aiōn )
তখন সিংহাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তির সামনে ওই চব্বিশজন প্রাচীন প্রণাম করেন ও যিনি যুগে যুগে চিরকাল জীবন্ত, তাঁর উপাসনা করেন। তাঁরা তাদের মুকুট সিংহাসনের সামনে রেখে দিয়ে বলেন, (aiōn )
তারপর স্বর্গে, পৃথিবীতে ও পাতালে ও সমুদ্রের যত প্রাণী আছে এমনকি সেগুলোর ভেতরে আর যা কিছু আছে, সকলকে আমি এই কথা বলতে শুনলাম, “সিংহাসনের ওপরে তাঁর ও সেই মেষশিশুর যিনি বসে আছেন চিরকাল ধন্যবাদ, সম্মান, ক্ষমতা এবং গৌরব হোক।” (aiōn )
পরে আমি শুনতে পেলাম স্বর্গ ও পৃথিবী ও পৃথিবীর নিচ ও সমুদ্রের অভ্যন্তরস্থ প্রত্যেক সৃষ্ট প্রাণী এবং এই সবকিছুর মধ্যে যা আছে সে সমস্ত গাইছে: “যিনি সিংহাসনে উপবিষ্ট, তাঁর ও মেষশাবকের প্রশংসা ও সম্মান, মহিমা ও পরাক্রম, (aiōn )
তারপর আমি একটা ফ্যাকাসে রং এর ঘোড়া দেখতে পেলাম। যিনি সেই ঘোড়ার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর নাম মৃত্যু এবং নরক তার পেছনে পেছনে চলছিল। পৃথিবীর চার ভাগের এক ভাগের ওপরে তাদের ক্ষমতা দেওয়া হল, যেন তারা তরোয়াল দূর্ভিক্ষ, অসুখ ও পৃথিবীর বুনোপশু দিয়ে লোকদের মেরে ফেলে। (Hadēs )
আমি তাকিয়ে দেখলাম আর আমার সামনে এক পাণ্ডুর রংয়ের ঘোড়া! এর আরোহীর নাম মৃত্যু, পাতাল ঘনিষ্ঠভাবে তাকে অনুসরণ করছে। তাদের ক্ষমতা দেওয়া হল যেন তারা তরোয়াল, দুর্ভিক্ষ ও মহামারি এবং পৃথিবীর বন্য জন্তুদের দ্বারা পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ প্রাণীকে হত্যা করে। (Hadēs )
“আমেন! প্রশংসা, গৌরব, জ্ঞান, ধন্যবাদ, সম্মান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরকাল ধরে আমাদের ঈশ্বরেরই হোক। আমেন।” (aiōn )
বললেন: “আমেন! প্রশংসা ও মহিমা, প্রজ্ঞা ও ধন্যবাদ ও সম্মান, পরাক্রম ও শক্তি চিরকাল যুগে যুগে আমাদের ঈশ্বরেরই হোক। আমেন!” (aiōn )
তারপর পঞ্চম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর আমি একটা তারা দেখতে পেলাম। তারাটা আকাশ থেকে পৃথিবীতে পড়েছিল। তারাটাকে অতল গর্তের চাবি দেওয়া হয়েছিল। (Abyssos )
পঞ্চম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর আমি দেখলাম আকাশ থেকে একটি তারা পৃথিবীতে খসে পড়ল। সেই তারাটিকে অতল-গহ্বরের সুড়ঙ্গপথের চাবি দেওয়া হল। (Abyssos )
তারাটা সেই অতল গর্তটা খুলল, আর বিরাট চুলা থেকে যেমন ধোঁয়া বের হয় ঠিক সেইভাবে সেই গর্তটা থেকে ধোঁয়া বের হতে লাগল। সেই গর্তের ধোঁয়ায় সূর্য্য ও আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল। (Abyssos )
যখন সে অতল-গহ্বরের সুড়ঙ্গপথটি খুলল, তার মধ্যে থেকে বিশাল চুল্লির ধোঁয়ার মতো একটি ধোঁয়া উঠতে লাগল। অতল-গহ্বরের সেই ধোঁয়ায় সূর্য ও চাঁদ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল। (Abyssos )
অতল গর্তের দূতই ছিল ঐ পঙ্গপালদের রাজা। ইব্রীয় ভাষায় সেই দূতের নাম ছিল “আবদ্দোন,” [বিনাশক] ও গ্রীক ভাষায় তার নাম ছিল “আপল্লুয়োন” [বিনাশীত]। (Abyssos )
অতল-গহ্বরের এক দূত ছিল তাদের রাজা। হিব্রু ভাষায় তার নাম আবদ্দোন ও গ্রিক ভাষায়, আপল্লিয়োন। (Abyssos )
যিনি চিরকাল ধরে জীবিত আছেন এবং আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র ও সেগুলোর মধ্যে যা কিছু আছে তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর নামে শপথ করে সেই স্বর্গদূত বললেন, “আর দেরী হবে না।” (aiōn )
আর যিনি যুগে যুগে চিরকাল জীবন্ত, যিনি আকাশমণ্ডল ও তার মধ্যস্থিত সবকিছু, পৃথিবী ও তার মধ্যস্থিত সবকিছু এবং সমুদ্র ও তার মধ্যস্থিত সবকিছু সৃষ্টি করছেন, তাঁরই নামে তিনি এই শপথ করে বললেন, “আর দেরি হবে না! (aiōn )
তাঁদের সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে, সেই গভীর এবং অতল গর্ত থেকে একটা পশু উঠে এসে তাঁদের সাথে যুদ্ধ করবে। পশুটি জয়লাভ করে তাঁদের মেরে ফেলবে। (Abyssos )
তাঁরা নিজেদের সাক্ষ্য শেষ করলে পরে, যে পশু সেই অতল-গহ্বর থেকে উঠে আসবে, সে তাঁদের আক্রমণ করবে, বিজয়ী হবে ও তাঁদের হত্যা করবে। (Abyssos )
পরে সপ্তম দূত তূরী বাজালেন, তখন স্বর্গে জোরে জোরে বলা হল, “জগতের রাজ্য এখন আমাদের প্রভুর ও তাঁর খ্রীষ্টের হয়েছে। তিনি চিরকাল ধরে রাজত্ব করবেন।” (aiōn )
সপ্তম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর স্বর্গে উচ্চনাদে এই বাণী শোনা গেল: “জগতের রাজ্য পরিণত হল, আমাদের প্রভু ও তাঁর খ্রীষ্টের রাজ্যে, আর তিনি যুগে যুগে চিরকাল রাজত্ব করবেন।” (aiōn )
আমি আর এক দূতকে আকাশের অনেক উঁচুঁতে উড়তে দেখলাম, তাঁর কাছে পৃথিবীতে বাস করে সমস্ত জাতি, বংশ, ভাষা এবং প্রজাদের কাছে প্রচারের জন্য চিরকালের স্থায়ী সুসমাচার আছে; (aiōnios )
এরপর আমি অন্য এক স্বর্গদূতকে মধ্যাকাশে উড়ে যেতে দেখলাম। তাঁর কাছে ছিল অনন্তকালীন সুসমাচার, যেন তিনি প্রত্যেক দেশ, গোষ্ঠী, ভাষাভাষী, জাতির, পৃথিবীর সমস্ত অধিবাসীর কাছে তা ঘোষণা করেন। (aiōnios )
যে আগুন এই লোকদের যন্ত্রণা দেবে সেই আগুনের ধোঁয়া চিরকাল জ্বলতে থাকবে; যারা সেই জন্তুর ও তার মূর্তির পূজা করে এবং যে কেউ তার নামের চিহ্ন ব্যবহার করে, তারা দিনের কি রাতে কখনও বিশ্রাম পাবে না। (aiōn )
আর তাদের যন্ত্রণাভোগের ধোঁয়া যুগে যুগে চিরকাল উঠতে থাকবে। যারা সেই পশু ও তার মূর্তিকে পূজা করে, বা যে কেউ তার নামের চিহ্ন গ্রহণ করে, দিনরাত কখনও সে বিশ্রাম পাবে না।” (aiōn )
পরে চারটি প্রাণীর মধ্যে একটি প্রাণী সেই সাতটি স্বর্গদূতকে সাতটি সোনার বাটি দিলেন, সেগুলি যুগে যুগে জীবিত ঈশ্বরের ক্রোধে পূর্ণ ছিল। (aiōn )
তখন সেই চারজন জীবন্ত প্রাণীর একজন, যুগে যুগে চিরজীবী ঈশ্বরের ক্রোধে পরিপূর্ণ সাতটি সোনার বাটি, সেই সাতজন স্বর্গদূতকে দিলেন। (aiōn )
তুমি যে জন্তুকে দেখেছিলে, সে বর্তমানে নেই; কিন্তু সে অতল গর্ত থেকে উঠে এসে চিরকাল শাস্তি ভোগ করবে। আর পৃথিবীতে যত লোক বাস করে, যাদের নাম জগত সৃষ্টির প্রথম থেকে জীবন পুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই জন্তুটিকে দেখবে যে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই অথচ আবার দেখা যাবে, তখন সবাই অবাক হয়ে যাবে। (Abyssos )
যে পশুকে তুমি দেখলে, যে এক সময়ে ছিল, কিন্তু এখন নেই, সে অতল-গহ্বর থেকে আবার উঠে আসবে ও তার ধ্বংসের পথে যাবে। আর পৃথিবীর অধিবাসী যতজনের নাম জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে জীবনপুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই পশুটিকে দেখবে, যা ছিল কিন্তু এখন নেই কিন্তু পরে আসবে, তখন তারাও আশ্চর্য বোধ করবে। (Abyssos )
তাঁরা দ্বিতীয়বার বললেন, “হাল্লিলূয়া; চিরকাল ধরে তার মধ্য থেকে ধোঁয়া উঠতে থাকবে।” (aiōn )
তারা আবার চিৎকার করে উঠল: “হাল্লেলুইয়া! তার ধোঁয়া যুগে যুগে চিরকাল উপরে উঠে যাবে।” (aiōn )
সেই জন্তুকে ধরা হলো এবং যে ভণ্ড ভাববাদী তার সামনে আশ্চর্য্য কাজ করত এবং জন্তুটির চিহ্ন সবাইকে গ্রহণ করাত ও তার মূর্তির পূজো করাত এবং তাদের ভুল পথে চালনা করত সেও তার সঙ্গে ধরা পড়ল; তাদের দুজনকেই জীবন্ত জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে ফেলা হলো। (Limnē Pyr )
কিন্তু সেই পশু বন্দি হল ও তার সঙ্গে যে ভণ্ড ভাববাদী তার হয়ে অলৌকিক সব চিহ্নকাজ করেছিল, সেও ধরা পড়ল। যারা সেই পশুর ছাপ ধারণ ও তার মূর্তির পূজা করেছিল, সে এসব চিহ্নকাজের দ্বারা তাদের বিভ্রান্ত করেছিল। সেই দুজনকে জীবন্ত অবস্থায় জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে নিক্ষেপ করা হল। (Limnē Pyr )
পরে আমি স্বর্গ থেকে একজন স্বর্গদূতকে নেমে আসতে দেখলাম, তাঁর হাতে ছিল গভীর গর্তের চাবি এবং একটি বড় শিকল। (Abyssos )
তারপর আমি স্বর্গ থেকে এক দূতকে নেমে আসতে দেখলাম। তাঁর হাতে ছিল সেই অতল-গহ্বরের চাবি ও একটি বড়ো শিকল। (Abyssos )
আর তাকে সেই গভীর গর্তের মধ্যে ফেলে দিয়ে সেই জায়গার মুখ বন্ধ করে সীলমোহর করে দিলেন; যেন ঐ এক হাজার বৎসর শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে জাতিদের আর প্রতারণা না করতে পারে; তারপরে অল্প কিছু দিনের র জন্য তাকে অবশ্যই ছাড়া হবে। (Abyssos )
তিনি তাকে সেই অতল-গহ্বরে নিক্ষেপ করে তার উপরে তালাবন্ধ করে সিলমোহরাঙ্কিত করলেন, যেন যতদিন পর্যন্ত সেই হাজার বছর শেষ না হয়, ততদিন সে সব জাতিকে প্রতারিত করতে না পারে। তারপরে তাকে অবশ্যই অল্প সময়ের জন্য মুক্তি দেওয়া হবে। (Abyssos )
আর সেই শয়তান যে তাদের প্রতারণা করেছিল তাকে গন্ধকের ও আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো যেখানে সেই জন্তুটি এবং ভণ্ড ভাববাদীকেও ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আর তারা চিরকাল সেখানে দিন রাত ধরে যন্ত্রণা ভোগ করবে। (aiōn , Limnē Pyr )
আর তাদের প্রতারণাকারী দিয়াবলকে জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে নিক্ষেপ করা হল, যেখানে সেই পশু ও ভণ্ড ভাববাদীকেও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তারা যুগে যুগে চিরকাল, দিনরাত যন্ত্রণাভোগ করবে। (aiōn , Limnē Pyr )
পরে সমুদ্রের মধ্যে যে সব মৃত লোকেরা ছিল তাদের সমুদ্র নিজে তুলে দিল এবং মৃত্যু ও নরক নিজেদের মধ্যে যে সব মৃত লোকেরা ছিল তাদেরকে ফিরিয়ে দিল এবং সব মৃতদের তাদের কাজ অনুসারে বিচার করা হলো। (Hadēs )
সমুদ্র তার মধ্যস্থিত মৃতদের সমর্পণ করল এবং পরলোক ও পাতালও তাদের মধ্যে অবস্থিত মৃতদের সমর্পণ করল। আর তাদের প্রত্যেকের কাজ অনুযায়ী তাদের বিচার করা হল। (Hadēs )
আর মৃত্যু ও নরকে আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো; এই আগুনের হ্রদ হলো দ্বিতীয় মৃত্যু। (Hadēs , Limnē Pyr )
তারপর পরলোক ও পাতালকেও আগুনের হ্রদে নিক্ষেপ করা হল। সেই আগুনের হ্রদ হল দ্বিতীয় মৃত্যু। (Hadēs , Limnē Pyr )
আর যদি কারোর নাম জীবন পুস্তকে লেখা পাওয়া গেল না, তাকে আগুনের হ্রদে ফেলে দেওয়া হলো। (Limnē Pyr )
আর যার নাম সেই জীবনপুস্তকে লিখিত পাওয়া গেল না, তাকেই আগুনের হ্রদে নিক্ষেপ করা হল। (Limnē Pyr )
কিন্তু যারা ভীরু বা অবিশ্বাসী, ঘৃণার যোগ্য, খুনী, ব্যভিচারী, জাদুকর বা মূর্ত্তি পূজারী, তাদের এবং সব মিথ্যাবাদীর জায়গা হবে আগুনে এবং গন্ধকে জলন্ত আগুনের হ্রদে। এটাই হলো দ্বিতীয় মৃত্যু। (Limnē Pyr )
কিন্তু যারা কাপুরুষ, অবিশ্বাসী, ঘৃণ্য স্বভাববিশিষ্ট, খুনি, অবৈধ যৌনাচারী, যারা তন্ত্রমন্ত্র-মায়াবিদ্যা অভ্যাস করে, যারা প্রতিমাপূজা করে এবং যত মিথ্যাবাদী, তাদের স্থান হবে জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে। এই হল দ্বিতীয় মৃত্যু।” (Limnē Pyr )
সেখানে আর রাত থাকবে না এবং বাতির আলো কিম্বা সুর্য্যের আলো কিছুই দরকার হবে না, কারণ প্রভু ঈশ্বর নিজেই তাদের আলো হবেন; এবং তারা চিরকাল রাজত্ব করবে। (aiōn )
সেখানে আর রাত্রি হবে না। তাদের প্রদীপের আলো বা সূর্যের আলোর প্রয়োজন হবে না, কারণ প্রভু ঈশ্বরই তাদের আলো প্রদান করবেন। আর তারা যুগে যুগে চিরকাল রাজত্ব করবে। (aiōn )