< Eyüp 19 >
2 “Ne zamana dek beni üzecek, Sözlerinizle ezeceksiniz?
“তোমরা আর কতক্ষণ আমাকে যন্ত্রণা দেবে ও কথার আঘাত দিয়ে আমাকে পিষে মারবে?
3 On kez oldu beni aşağılıyor, Hiç utanmadan saldırıyorsunuz.
এই নিয়ে দশবার তোমরা আমাকে গঞ্জনা দিয়েছ; নির্লজ্জভাবে আমাকে আক্রমণ করেছ।
4 Yanlış yola sapmışsam, Bu benim suçum.
যদি সত্যিই আমি বিপথে গিয়েছি, তবে আমার ভুলভ্রান্তি শুধু আমারই উদ্বেগের বিষয়।
5 Kendinizi gerçekten benden üstün görüyor, Utancımı bana karşı kullanıyorsanız,
তোমরা যদি সত্যিই আমার উপরে নিজেদের উন্নত করবে ও আমার বিরুদ্ধে আমার এই মানহানিকে ব্যবহার করবে,
6 Bilin ki, Tanrı bana haksızlık yaptı, Beni ağıyla kuşattı.
তবে জেনে রেখো যে ঈশ্বরই আমার প্রতি অন্যায় করেছেন ও আমাকে তাঁর জালে বন্দি করেছেন।
7 “İşte, ‘Zorbalık bu!’ diye haykırıyorum, ama yanıt yok, Yardım için bağırıyorum, ama adalet yok.
“যদিও আমি আর্তনাদ করে বলি, ‘হিংস্রতা!’ তাও আমি কোনও সাড়া পাই না; যদিও আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করি, তাও কোথাও ন্যায়বিচার নেই।
8 Yoluma set çekti, geçemiyorum, Yollarımı karanlığa boğdu.
তিনি আমার পথ অবরুদ্ধ করেছেন যেন আমি পার হতে না পারি; তিনি আমার পথ অন্ধকারাবৃত করে দিয়েছেন।
9 Üzerimden onurumu soydu, Başımdaki tacı kaldırdı.
তিনি আমার সম্মান হরণ করেছেন ও আমার মাথা থেকে মুকুট অপসারিত করেছেন।
10 Her yandan yıktı beni, tükendim, Umudumu bir ağaç gibi kökünden söktü.
আমি সর্বস্বান্ত না হওয়া পর্যন্ত চতুর্দিকে তিনি আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন; তিনি আমার আশা এক গাছের মতো উপড়ে ফেলেছেন।
11 Öfkesi bana karşı alev alev yanıyor, Beni hasım sayıyor.
তাঁর ক্রোধ আমার বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছে; তিনি আমাকে তাঁর শত্রুদের মধ্যে একজন বলে গণ্য করেছেন।
12 Orduları üstüme üstüme geliyor, Bana karşı rampalar yapıyor, Çadırımın çevresinde ordugah kuruyorlar.
তাঁর সৈন্যবাহিনী বেগে ধেয়ে আসছে; আমার বিরুদ্ধে তারা এক অবরোধ-পথ নির্মাণ করেছে ও আমার তাঁবুর চারপাশে শিবির স্থাপন করেছে।
13 “Kardeşlerimi benden uzaklaştırdı, Tanıdıklarım bana büsbütün yabancılaştı.
“তিনি আমার কাছ থেকে আমার পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন; আমার পরিচিত লোকজনও আমার কাছে পুরোপুরি অপরিচিত হয়ে গিয়েছে।
14 Akrabalarım uğramaz oldu, Yakın dostlarım beni unuttu.
আমার আত্মীয়স্বজন দূরে সরে গিয়েছে; আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও আমাকে ভুলে গিয়েছে।
15 Evimdeki konuklarla hizmetçiler Beni yabancı sayıyor, Garip oldum gözlerinde.
আমার অতিথিরা ও আমার ক্রীতদাসীরা আমাকে এক বিদেশি বলে গণ্য করছে; তারা এমনভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে যেন আমি এক আগন্তুক।
16 Kölemi çağırıyorum, yanıtlamıyor, Dil döksem bile.
আমি আমার দাসকে ডাকছি, কিন্তু সে উত্তর দিচ্ছে না, যদিও নিজের মুখেই আমি তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
17 Soluğum karımı tiksindiriyor, Kardeşlerim benden iğreniyor.
আমার নিশ্বাস আমার স্ত্রীর কাছে বিরক্তিকর; আমার নিজের পরিবারের কাছেও আমি ঘৃণিত।
18 Çocuklar bile beni küçümsüyor, Ayağa kalksam benimle eğleniyorlar.
ছোটো ছোটো ছেলেরাও আমাকে অবজ্ঞা করে; আমি যখন হাজির হই, তারা আমাকে বিদ্রুপ করে।
19 Bütün yakın dostlarım benden iğreniyor, Sevdiklerim yüz çeviriyor.
আমার সব অন্তরঙ্গ বন্ধু আমাকে ঘৃণা করে; যাদের আমি ভালোবাসি তারাও আমার প্রতি বিমুখ হয়েছে।
20 Bir deri bir kemiğe döndüm, Ölümün eşiğine geldim.
অস্থিচর্ম ছাড়া আমি আর কিছুই নই; শুধু দাঁতের চর্মবিশিষ্ট হয়েই আমি বেঁচে আছি।
21 “Ey dostlarım, acıyın bana, siz acıyın, Çünkü Tanrı'nın eli vurdu bana.
“আমার প্রতি দয়া করো, হে আমার বন্ধুরা, দয়া করো, যেহেতু ঈশ্বর হাত দিয়ে আমায় আঘাত করেছেন।
22 Neden Tanrı gibi siz de beni kovalıyor, Etime doymuyorsunuz?
ঈশ্বরের মতো তোমরাও কেন আমার পশ্চাদ্ধাবন করছ? আমার মাংস কি তোমরা যথেষ্ট পরিমাণে খেয়ে ফেলোনি?
23 “Keşke şimdi sözlerim yazılsa, Kitaba geçseydi,
“হায়, আমার কথাগুলি যদি নথিভুক্ত করে রাখা যেত, যদি সেগুলি এক গোটানো কাগজে লিখে রাখা যেত,
24 Demir kalemle, kurşunla Sonsuza dek kalsın diye kayaya kazılsaydı!
যদি সেগুলি লোহার এক যন্ত্র দিয়ে সীসায় খোদাই করে রাখা যেত, বা পাষাণ-পাথরে চিরতরে অন্তর্লিখিত করে রাখা যেত!
25 Oysa ben kurtarıcımın yaşadığını, Sonunda yeryüzüne geleceğini biliyorum.
আমি জানি যে আমার মুক্তিদাতা জীবিত আছেন, ও শেষে তিনি পৃথিবীতে উঠে দাঁড়াবেন।
26 Derim yok olduktan sonra, Yeni bedenimle Tanrı'yı göreceğim.
আর আমার ত্বক নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও, আমার এই মরদেহেই আমি ঈশ্বরের দর্শন পাব;
27 O'nu kendim göreceğim, Kendi gözlerimle, başkası değil. Yüreğim bayılıyor bağrımda!
আমি স্বয়ং তাঁকে দেখব স্বচক্ষে দেখব—আমিই দেখব, আর কেউ নয়। মনে মনে আমার হৃদয় কত আকুলভাবে কামনা করছে!
28 Eğer, ‘Sıkıntının kökü onda olduğu için Onu kovalım’ diyorsanız,
“তোমরা যদি বলো, ‘আমরা কীভাবে তাকে জ্বালাতন করব, যেহেতু সমস্যার মূল তার মধ্যেই অবস্থান করছে,’
29 Kılıçtan korkmalısınız, Çünkü kılıç cezası öfkeli olur, O zaman adaletin var olduğunu göreceksiniz.”
তরোয়ালের ভয়ে তোমাদেরই ভীত হওয়া উচিত; যেহেতু ক্রোধ তরোয়াল দ্বারাই দণ্ড নিয়ে আসবে, ও তখনই তোমরা জানতে পারবে যে বিচার আছে।”