< mArkaH 5 >
1 atha tU sindhupAraM gatvA gidErIyapradEza upatasthuH|
তারা গালীল সাগর আড়াআড়ি পার হয়ে গেরাসেনী অঞ্চলে পৌঁছালেন।
2 naukAtO nirgatamAtrAd apavitrabhUtagrasta EkaH zmazAnAdEtya taM sAkSAc cakAra|
যীশু নৌকা থেকে নেমে এলে এক মন্দ-আত্মাগ্রস্ত ব্যক্তি কবরস্থান থেকে বের হয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এল।
3 sa zmazAnE'vAtsIt kOpi taM zRgkhalEna badvvA sthApayituM nAzaknOt|
এই মানুষটি কবরস্থানে বাস করত। কেউ তাকে আর বেঁধে রাখতে পারত না, এমনকি, শিকল দিয়েও নয়।
4 janairvAraM nigaPaiH zRgkhalaizca sa baddhOpi zRgkhalAnyAkRSya mOcitavAn nigaPAni ca bhaMktvA khaNPaM khaNPaM kRtavAn kOpi taM vazIkarttuM na zazaka|
কারণ তার হাত পা প্রায়ই শিকল দিয়ে বাঁধা হত, কিন্তু সে ওই শিকল ছিঁড়ে ফেলত এবং পায়ের লোহার বেড়িও ভেঙে ফেলত। তাকে বশ করার মতো শক্তি কারও ছিল না।
5 divAnizaM sadA parvvataM zmazAnanjca bhramitvA cItzabdaM kRtavAn grAvabhizca svayaM svaM kRtavAn|
সে দিনরাত কবরস্থানে ও পাহাড়ে পাহাড়ে চিৎকার করে বেড়াত এবং পাথর দিয়ে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করত।
6 sa yIzuM dUrAt pazyannEva dhAvan taM praNanAma ucairuvaMzcOvAca,
সে দূর থেকে যীশুকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে এসে তাঁর সামনে নতজানু হয়ে প্রণাম করল।
7 hE sarvvOparisthEzvaraputra yIzO bhavatA saha mE kaH sambandhaH? ahaM tvAmIzvarENa zApayE mAM mA yAtaya|
তারপর সে উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে বলে উঠল, “হে পরাৎপর ঈশ্বরের পুত্র যীশু! আমাকে নিয়ে আপনি কী করতে চান? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিয়ে বলছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না।”
8 yatO yIzustaM kathitavAn rE apavitrabhUta, asmAnnarAd bahirnirgaccha|
কারণ যীশু তাকে ইতিমধ্যে বলেছিলেন, “ওহে মন্দ-আত্মা, এই মানুষটির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসো!”
9 atha sa taM pRSTavAn kintE nAma? tEna pratyuktaM vayamanEkE 'smastatO'smannAma bAhinI|
তারপর যীশু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার নাম কী?” সে উত্তর দিল, “আমার নাম বাহিনী, কারণ আমাদের সংখ্যা অনেক।”
10 tatOsmAn dEzAnna prESayEti tE taM prArthayanta|
আর সে বারবার যীশুর কাছে অনুনয়-বিনয় করতে লাগল, যেন সেই এলাকা থেকে তিনি তাদের তাড়িয়ে না দেন।
11 tadAnIM parvvataM nikaSA bRhan varAhavrajazcarannAsIt|
অদূরে পাহাড়ের ঢালে বিশাল একপাল শূকর চরে বেড়াচ্ছিল।
12 tasmAd bhUtA vinayEna jagaduH, amuM varAhavrajam Azrayitum asmAn prahiNu|
ওই ভূতেরা যীশুর কাছে মিনতি করতে লাগল, “আমাদের ওই শূকরদের মধ্যে পাঠিয়ে দিন; ওদের ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি আমাদের দিন।”
13 yIzunAnujnjAtAstE'pavitrabhUtA bahirniryAya varAhavrajaM prAvizan tataH sarvvE varAhA vastutastu prAyOdvisahasrasaMgkhyakAH kaTakEna mahAjavAd dhAvantaH sindhau prANAn jahuH|
তিনি তাদের যাওয়ার অনুমতি দিলেন। তখন মন্দ-আত্মারা বের হয়ে সেই শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করল। পালে প্রায় দুই হাজার শূকর ছিল। সেই শূকরের পাল হ্রদের ঢালু পাড় বেয়ে ছুটে গেল এবং হ্রদে ডুবে মরল।
14 tasmAd varAhapAlakAH palAyamAnAH purE grAmE ca tadvArttaM kathayAnjcakruH| tadA lOkA ghaTitaM tatkAryyaM draSTuM bahirjagmuH
যারা ওই শূকরদের চরাচ্ছিল, তারা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে নগরে ও গ্রামে-গঞ্জে এই বিষয়ের সংবাদ দিল। আর কী ঘটেছে, তা দেখার জন্য লোকেরা বেরিয়ে এল।
15 yIzOH sannidhiM gatvA taM bhUtagrastam arthAd bAhinIbhUtagrastaM naraM savastraM sacEtanaM samupaviSTanjca dRSTvA bibhyuH|
তারা যীশুর কাছে এসে দেখল, যে ব্যক্তির উপরে ভূত বাহিনী ভর করেছিল, সে পোশাক পরে সুবোধ হয়ে সেখানে বসে আছে। তারা সবাই ভয় পেয়ে গেল।
16 tatO dRSTatatkAryyalOkAstasya bhUtagrastanarasya varAhavrajasyApi tAM dhaTanAM varNayAmAsuH|
প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই ভূতগ্রস্ত ব্যক্তিটির ও সেই শূকরপালের পরিণতির কথা সকলকে বলতে লাগল।
17 tatastE svasImAtO bahirgantuM yIzuM vinEtumArEbhirE|
তখন সেই লোকেরা তাদের অঞ্চল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য যীশুকে অনুরোধ করল।
18 atha tasya naukArOhaNakAlE sa bhUtamuktO nA yIzunA saha sthAtuM prArthayatE;
যীশু নৌকায় উঠতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় সেই ব্যক্তি, যে ভূতগ্রস্ত ছিল, তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করল।
19 kintu sa tamananumatya kathitavAn tvaM nijAtmIyAnAM samIpaM gRhanjca gaccha prabhustvayi kRpAM kRtvA yAni karmmANi kRtavAn tAni tAn jnjApaya|
যীশু তাকে সেই অনুমতি দিলেন না, কিন্তু বললেন, “তুমি বাড়িতে তোমার পরিবারের কাছে যাও ও তাদের বলো, প্রভু তোমার জন্য যে যে মহান কাজ করেছেন এবং কেমন করে তিনি তোমার প্রতি দয়া প্রদর্শন করেছেন।”
20 ataH sa prasthAya yIzunA kRtaM tatsarvvAzcaryyaM karmma dikApalidEzE pracArayituM prArabdhavAn tataH sarvvE lOkA AzcaryyaM mEnirE|
তখন সে চলে গেল এবং যীশু তার জন্য যা করেছেন, সেকথা ডেকাপলিতে প্রচার করতে লাগল। আর সব মানুষই এতে চমৎকৃত হল।
21 anantaraM yIzau nAvA punaranyapAra uttIrNE sindhutaTE ca tiSThati sati tatsamIpE bahulOkAnAM samAgamO'bhUt|
যীশু যখন আবার নৌকায় উঠে আড়াআড়ি সাগরের অপর পারে গেলেন, সাগরের তীরে তখন তাঁর চারপাশে অনেক লোকের সমাবেশ হল।
22 aparaM yAyIr nAmnA kazcid bhajanagRhasyAdhipa Agatya taM dRSTvaiva caraNayOH patitvA bahu nivEdya kathitavAn;
সেই সময় যায়ীর নামে সমাজভবনের একজন অধ্যক্ষ সেখানে এলেন। যীশুকে দেখে তিনি তাঁর চরণে পতিত হলেন।
23 mama kanyA mRtaprAyAbhUd atO bhavAnEtya tadArOgyAya tasyA gAtrE hastam arpayatu tEnaiva sA jIviSyati|
তিনি আকুলভাবে তাঁর কাছে অনুনয় করলেন, “আমার ছোটো মেয়েটি মরণাপন্ন। আপনি দয়া করে আসুন ও তার উপরে হাত রাখুন, যেন সে আরোগ্য লাভ করে বাঁচতে পারে।”
24 tadA yIzustEna saha calitaH kintu tatpazcAd bahulOkAzcalitvA tAdgAtrE patitAH|
তাই যীশু তাঁর সঙ্গে চললেন। অনেক লোক তাঁকে অনুসরণ করছিল ও তারা চারপাশ থেকে ঠেলাঠেলি করে তাঁর উপরে প্রায় চেপে পড়তে লাগল।
25 atha dvAdazavarSANi pradararOgENa
সেখানে এক নারী ছিল, যে বারো বছর ধরে রক্তস্রাবের ব্যাধিতে ভুগছিল।
26 zIrNA cikitsakAnAM nAnAcikitsAbhizca duHkhaM bhuktavatI ca sarvvasvaM vyayitvApi nArOgyaM prAptA ca punarapi pIPitAsIcca
বহু চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকে সে অনেক কষ্টভোগ করেছিল। সে তার সর্বস্ব ব্যয় করেছিল, কিন্তু ভালো হওয়ার পরিবর্তে তার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল।
27 yA strI sA yIzO rvArttAM prApya manasAkathayat yadyahaM tasya vastramAtra spraSTuM labhEyaM tadA rOgahInA bhaviSyAmi|
যীশুর কথা শুনে ভিড়ের মধ্যে সে পিছন দিকে এল এবং তাঁর পোশাক স্পর্শ করল।
28 atOhEtOH sA lOkAraNyamadhyE tatpazcAdAgatya tasya vastraM pasparza|
কারণ সে ভেবেছিল, “আমি যদি কেবলমাত্র তাঁর পোশাকটি স্পর্শ করতে পারি, তাহলেই আমি সুস্থ হয়ে যাব।”
29 tEnaiva tatkSaNaM tasyA raktasrOtaH zuSkaM svayaM tasmAd rOgAnmuktA ityapi dEhE'nubhUtA|
আর তক্ষুনি তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে গেল এবং সে শরীরে অনুভব করল যে, সে তার কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে।
30 atha svasmAt zakti rnirgatA yIzurEtanmanasA jnjAtvA lOkanivahaM prati mukhaM vyAvRtya pRSTavAn kEna madvastraM spRSTaM?
সেই মুহূর্তে যীশু উপলব্ধি করলেন যে, তাঁর মধ্য থেকে শক্তি নির্গত হয়েছে। তিনি পিছনে লোকদের দিকে ঘুরে বললেন, “কে আমার পোশাক স্পর্শ করেছে?”
31 tatastasya ziSyA UcuH bhavatO vapuSi lOkAH saMgharSanti tad dRSTvA kEna madvastraM spRSTamiti kutaH kathayati?
তাঁর শিষ্যেরা উত্তর দিলেন, “আপনি দেখতে পাচ্ছেন, লোকেরা আপনার উপর চাপাচাপি করে পড়ছে, তবুও আপনি জিজ্ঞাসা করছেন, ‘কে আমাকে স্পর্শ করল’?”
32 kintu kEna tat karmma kRtaM tad draSTuM yIzuzcaturdizO dRSTavAn|
কিন্তু যীশু চারদিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলেন, কে এই কাজ করেছে।
33 tataH sA strI bhItA kampitA ca satI svasyA rukpratikriyA jAtEti jnjAtvAgatya tatsammukhE patitvA sarvvavRttAntaM satyaM tasmai kathayAmAsa|
তখন সেই নারী, তার প্রতি কী ঘটেছে জেনে, যীশুর কাছে এসে তাঁর চরণে লুটিয়ে পড়ল। সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সমস্ত সত্য তাঁকে জানাল।
34 tadAnIM yIzustAM gaditavAn, hE kanyE tava pratItistvAm arOgAmakarOt tvaM kSEmENa vraja svarOgAnmuktA ca tiSTha|
যীশু তাকে বললেন, “কন্যা, তোমার বিশ্বাসই তোমাকে সুস্থ করেছে। শান্তিতে ফিরে যাও ও তোমার কষ্ট থেকে মুক্তি পাও।”
35 itivAkyavadanakAlE bhajanagRhAdhipasya nivEzanAl lOkA EtyAdhipaM babhASirE tava kanyA mRtA tasmAd guruM punaH kutaH kliznAsi?
যীশু তখনও কথা বলছেন, এমন সময় সমাজভবনের অধ্যক্ষ যায়ীরের বাড়ি থেকে কয়েকজন লোক এসে উপস্থিত হল। তারা বলল, “আপনার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর কেন গুরুমহাশয়কে বিব্রত করছেন?”
36 kintu yIzustad vAkyaM zrutvaiva bhajanagRhAdhipaM gaditavAn mA bhaiSIH kEvalaM vizvAsihi|
তাদের কথা অগ্রাহ্য করে যীশু সেই অধ্যক্ষকে বললেন, “ভয় পেয়ো না, শুধু বিশ্বাস করো।”
37 atha pitarO yAkUb tadbhrAtA yOhan ca EtAn vinA kamapi svapazcAd yAtuM nAnvamanyata|
তিনি পিতর, যাকোব ও যাকোবের ভাই যোহন, এই তিনজন ছাড়া আর কাউকে তাঁর সঙ্গে যেতে দিলেন না।
38 tasya bhajanagRhAdhipasya nivEzanasamIpam Agatya kalahaM bahurOdanaM vilApanjca kurvvatO lOkAn dadarza|
তাঁরা সেই অধ্যক্ষের বাড়িতে এলে যীশু দেখলেন, সেখানে প্রচণ্ড হৈ হট্টগোল হচ্ছে, লোকেরা কাঁদছে ও তারস্বরে বিলাপ করছে।
39 tasmAn nivEzanaM pravizya prOktavAn yUyaM kuta itthaM kalahaM rOdananjca kurutha? kanyA na mRtA nidrAti|
তিনি ভিতরে প্রবেশ করে তাদের বললেন, “তোমরা এত হৈ হট্টগোল ও বিলাপ করছ কেন? মেয়েটি মরেনি, ও ঘুমিয়ে আছে।”
40 tasmAttE tamupajahasuH kintu yIzuH sarvvAna bahiSkRtya kanyAyAH pitarau svasagginazca gRhItvA yatra kanyAsIt tat sthAnaM praviSTavAn|
তারা কিন্তু তাঁকে উপহাস করল। তাদের সবাইকে বের করে দিয়ে তিনি মেয়েটির বাবা-মা ও তাঁর সঙ্গী শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে মেয়েটি ভিতরে যেখানে ছিল, সেখানে গেলেন।
41 atha sa tasyAH kanyAyA hastau dhRtvA tAM babhASE TAlIthA kUmI, arthatO hE kanyE tvamuttiSTha ityAjnjApayAmi|
তিনি তার হাত ধরে তাকে বললেন, “টালিথা কওম্!” (এর অর্থ, “খুকুমণি, আমি তোমাকে বলছি, ওঠো”)
42 tunaiva tatkSaNaM sA dvAdazavarSavayaskA kanyA pOtthAya calitumArEbhE, itaH sarvvE mahAvismayaM gatAH|
সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি উঠে দাঁড়াল ও চারদিকে ঘুরে বেড়াতে লাগল (তার বয়স ছিল বারো বছর)। এতে তারা সম্পূর্ণরূপে বিস্ময়-বিহ্বল হয়ে পড়ল।
43 tata Etasyai kinjcit khAdyaM dattEti kathayitvA Etatkarmma kamapi na jnjApayatEti dRPhamAdiSTavAn|
তিনি তাদের দৃঢ় আদেশ দিলেন, কেউ যেন এ বিষয়ে জানতে না পারে। তারপর তিনি মেয়েটিকে কিছু খাবার খেতে দিতে বললেন।