< 1 karinthinaH 14 >

1 yUyaM prEmAcaraNE prayatadhvam AtmikAn dAyAnapi vizESata IzvarIyAdEzakathanasAmarthyaM prAptuM cESTadhvaM|
তোমরা ভালোবাসার পথ অনুসরণ করো এবং আগ্রহের সঙ্গে আত্মিক বরদানগুলি কামনা করো, বিশেষত ভাববাণী বলার বরদান।
2 yO janaH parabhASAM bhASatE sa mAnuSAn na sambhASatE kintvIzvaramEva yataH kEnApi kimapi na budhyatE sa cAtmanA nigUPhavAkyAni kathayati;
কারণ কেউ যদি কোনো বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে মানুষের উদ্দেশে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের উদ্দেশে কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে, কেউ তার কথা বুঝতে পারে না; সে তার আত্মায় গুপ্তরহস্য উচ্চারণ করে।
3 kintu yO jana IzvarIyAdEzaM kathayati sa parESAM niSThAyai hitOpadEzAya sAntvanAyai ca bhASatE|
কিন্তু যে ব্যক্তি ভাববাণী বলে, সে মানুষের উদ্দেশে বলে, তাদের শক্তিশালী, প্রেরণা ও আশ্বাস-দান করার জন্যই বলে।
4 parabhASAvAdyAtmana Eva niSThAM janayati kintvIzvarIyAdEzavAdI samitE rniSThAM janayati|
যে বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে নিজেকে গেঁথে তোলে, কিন্তু যে ভাববাণী বলে, সে মণ্ডলীকে গেঁথে তোলে।
5 yuSmAkaM sarvvESAM parabhASAbhASaNam icchAmyahaM kintvIzvarIyAdEzakathanam adhikamapIcchAmi| yataH samitE rniSThAyai yEna svavAkyAnAm arthO na kriyatE tasmAt parabhASAvAdita IzvarIyAdEzavAdI zrEyAn|
আমি ইচ্ছা করি, তোমরা প্রত্যেকেই যেন বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলতে পারো। কিন্তু আমি বেশি করে চাইব, তোমরা যেন ভাববাণী বলো। যে ভাববাণী বলে সে, যে বিশেষ সব ভাষায় কথা বলে, তার চেয়ে মহান, যদি না সে মণ্ডলীকে গেঁথে তোলার জন্য সেই ভাষার অর্থ ব্যাখ্যা করে দেয়।
6 hE bhrAtaraH, idAnIM mayA yadi yuSmatsamIpaM gamyatE tarhIzvarIyadarzanasya jnjAnasya vEzvarIyAdEzasya vA zikSAyA vA vAkyAni na bhASitvA parabhASAM bhASamANEna mayA yUyaM kimupakAriSyadhvE?
এখন ভাইবোনেরা, আমি যদি তোমাদের কাছে এসে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলি, অথচ প্রত্যাদেশ, জ্ঞান বা ভাববাণী বা শিক্ষামূলক কোনো কথা না বলি, আমি তোমাদের কোন উপকারে লাগব?
7 aparaM vaMzIvallakyAdiSu niSprANiSu vAdyayantrESu vAditESu yadi kkaNA na viziSyantE tarhi kiM vAdyaM kiM vA gAnaM bhavati tat kEna bOddhuM zakyatE?
এমনকি, বাঁশি বা বীণার মতো যেসব নিষ্প্রাণ বস্তু শব্দ সৃষ্টি করে, সেগুলির স্বরের মধ্যে তফাৎ সৃষ্টি না হলে, কেমন করে লোকে জানবে যে, কোন সুর বাজানো হচ্ছে?
8 aparaM raNatUryyA nisvaNO yadyavyaktO bhavEt tarhi yuddhAya kaH sajjiSyatE?
আবার তূরীধ্বনির আহ্বান যদি স্পষ্ট না হয়, তাহলে যুদ্ধের জন্য কে প্রস্তুত হবে?
9 tadvat jihvAbhi ryadi sugamyA vAk yuSmAbhi rna gadyEta tarhi yad gadyatE tat kEna bhOtsyatE? vastutO yUyaM digAlApina iva bhaviSyatha|
তোমাদের সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। তোমাদের জিভের দ্বারা যদি বোধগম্য বাক্য উচ্চারণ না করো, তাহলে তোমরা কী বলছ, কেউ তা কীভাবে জানতে পারবে? তোমরা যেন বাতাসের সঙ্গে কথা বলবে।
10 jagati katiprakArA uktayO vidyantE? tAsAmEkApi nirarthikA nahi;
নিঃসন্দেহে, জগতে সব ধরনের ভাষা আছে, তবুও সেগুলির কোনোটিই অর্থহীন নয়।
11 kintUktErarthO yadi mayA na budhyatE tarhyahaM vaktrA mlEccha iva maMsyE vaktApi mayA mlEccha iva maMsyatE|
তাহলে কারও কথার অর্থ আমি যদি উপলব্ধি করতে না পারি, তাহলে সেই বক্তার কাছে আমি হব বিদেশি, আর সেও আমার কাছে হবে বিদেশি।
12 tasmAd AtmikadAyalipsavO yUyaM samitE rniSThArthaM prAptabahuvarA bhavituM yatadhvaM,
তোমাদের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্যি। তোমরা যেহেতু আত্মিক বরদান লাভের জন্য আগ্রহী, সেইসব বরদান লাভের চেষ্টা করো, যেগুলি মণ্ডলীকে গেঁথে তোলে।
13 ataEva parabhASAvAdI yad arthakarO'pi bhavEt tat prArthayatAM|
এই কারণে, যে ব্যক্তি কোনো বিশেষ ভাষায় কথা বলে, তার প্রার্থনা করা উচিত, যেন সে যা বলে, তা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে পারে।
14 yadyahaM parabhASayA prarthanAM kuryyAM tarhi madIya AtmA prArthayatE, kintu mama buddhi rniSphalA tiSThati|
কারণ আমি যদি বিশেষ ভাষায় প্রার্থনা করি, তাহলে আমার আত্মা প্রার্থনা করে, কিন্তু আমার বুদ্ধি ফলহীন থাকে।
15 ityanEna kiM karaNIyaM? aham AtmanA prArthayiSyE buddhyApi prArthayiSyE; aparaM AtmanA gAsyAmi buddhyApi gAsyAmi|
তাহলে আমি কী করব? আমি আমার আত্মাতে প্রার্থনা করব, কিন্তু আমি আমার বুদ্ধি-সহযোগেও প্রার্থনা করব। আমি আমার আত্মাতে গান গাইব, কিন্তু আমার বোধশক্তিতেও গান গাইব।
16 tvaM yadAtmanA dhanyavAdaM karOSi tadA yad vadasi tad yadi ziSyEnEvOpasthitEna janEna na buddhyatE tarhi tava dhanyavAdasyAntE tathAstviti tEna vaktaM kathaM zakyatE?
তা না হলে তুমি যখন তোমার আত্মায় ঈশ্বরের প্রশংসা করো তবে যে শ্রোতা তা বুঝতে পারে না, তোমার ধন্যবাদ দেওয়ায় সে কী করে “আমেন” বলবে? কারণ তুমি কী বলছ, সে তো তা বুঝবেই না!
17 tvaM samyag IzvaraM dhanyaM vadasIti satyaM tathApi tatra parasya niSThA na bhavati|
তুমি হয়তো বেশ ভালোভাবেই ধন্যবাদ দিচ্ছ, কিন্তু অপর ব্যক্তিকে গেঁথে তোলা হল না।
18 yuSmAkaM sarvvEbhyO'haM parabhASAbhASaNE samarthO'smIti kAraNAd IzvaraM dhanyaM vadAmi;
আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই যে, তোমাদের সবার চেয়ে আমি অনেক বেশি ভাষায় কথা বলতে পারি।
19 tathApi samitau parOpadEzArthaM mayA kathitAni panjca vAkyAni varaM na ca lakSaM parabhASIyAni vAkyAni|
কিন্তু মণ্ডলীর মধ্যে বিশেষ ভাষায় দশ হাজার শব্দ উচ্চারণ করার চেয়ে, আমি বরং পাঁচটি সহজবোধ্য শব্দ বলব।
20 hE bhrAtaraH, yUyaM buddhyA bAlakAiva mA bhUta parantu duSTatayA zizavaiva bhUtvA buddhyA siddhA bhavata|
ভাইবোনেরা, তোমরা শিশুসুলভ চিন্তাভাবনা করা থেকে ক্ষান্ত হও। মন্দ বিষয়ে তোমরা দুধ খাওয়া শিশুর মতো হও, কিন্তু বোধবুদ্ধিতে পরিণত হও।
21 zAstra idaM likhitamAstE, yathA, ityavOcat parEzO'ham AbhASiSya imAn janAn| bhASAbhiH parakIyAbhi rvaktraizca paradEzibhiH| tathA mayA kRtE'pImE na grahISyanti madvacaH||
বিধানশাস্ত্রে একথা লেখা আছে: “ভিনদেশী ভাষাভাষী লোকদের এবং বিদেশিদের ওষ্ঠাধরের মাধ্যমে, আমি এই জাতির সঙ্গে কথা বলব, কিন্তু তবুও, তারা আমার কথা শুনতে চাইলো না,” একথা প্রভু বলেন।
22 ataEva tat parabhASAbhASaNaM avizcAsinaH prati cihnarUpaM bhavati na ca vizvAsinaH prati; kintvIzvarIyAdEzakathanaM nAvizvAsinaH prati tad vizvAsinaH pratyEva|
তাহলে, বিশেষ বিশেষ ভাষা বিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু অবিশ্বাসীদের জন্য চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভাববাণী বিশ্বাসীদের জন্য, অবিশ্বাসীদের জন্য নয়।
23 samitibhuktESu sarvvESu Ekasmin sthAnE militvA parabhASAM bhASamANESu yadi jnjAnAkAgkSiNO'vizvAsinO vA tatrAgacchEyustarhi yuSmAn unmattAn kiM na vadiSyanti?
তাই যদি সমস্ত মণ্ডলী একত্রে মিলিত হয় ও প্রত্যেকেই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে এবং কোনো ব্যক্তি, যে তা বোঝে না, বা কিছু সংখ্যক অবিশ্বাসী ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়, তাহলে তারা কি বলবে না যে, তোমরা পাগল?
24 kintu sarvvESvIzvarIyAdEzaM prakAzayatsu yadyavizvAsI jnjAnAkAgkSI vA kazcit tatrAgacchati tarhi sarvvairEva tasya pApajnjAnaM parIkSA ca jAyatE,
কিন্তু যদি কোনো অবিশ্বাসী বা অবোধ ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়, যখন সকলেই ভাববাণী বলে, সে তাদের সকলের দ্বারা বুঝতে পারবে যে সে একজন পাপী এবং সকলের দ্বারা সে বিচারিত হবে।
25 tatastasyAntaHkaraNasya guptakalpanAsu vyaktIbhUtAsu sO'dhOmukhaH patan IzvaramArAdhya yuSmanmadhya IzvarO vidyatE iti satyaM kathAmEtAM kathayiSyati|
তখন তার হৃদয়ের গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ হয়ে যাবে। তাই সে মাটিতে পড়ে ঈশ্বরের উপাসনা করবে এবং পরম বিস্ময়ে বলে উঠবে, “সত্যিই, ঈশ্বর আপনাদের মধ্যে বিরাজমান!”
26 hE bhrAtaraH, sammilitAnAM yuSmAkam EkEna gItam anyEnOpadEzO'nyEna parabhASAnyEna aizvarikadarzanam anyEnArthabOdhakaM vAkyaM labhyatE kimEtat? sarvvamEva paraniSThArthaM yuSmAbhiH kriyatAM|
ভাইবোনেরা, তাহলে আমরা কী বলব? তোমরা যখন একত্রে মিলিত হও, তখন প্রত্যেকের কোনো গীত বা উপদেশবাণী, কোনো প্রত্যাদেশ, কোনো বিশেষ ভাষা বা কোনও অর্থ ব্যাখ্যা আছে। এসব অবশ্যই মণ্ডলীকে শক্তিশালী করার জন্য করতে হবে।
27 yadi kazcid bhASAntaraM vivakSati tarhyEkasmin dinE dvijanEna trijanEna vA parabhASA kathyatAM tadadhikairna kathyatAM tairapi paryyAyAnusArAt kathyatAM, EkEna ca tadarthO bOdhyatAM|
কেউ যদি কোনো বিশেষ ভাষায় কথা বলে, দুজন বা তিনজনের বেশি তা বলবে; একবারে একজন করে বলবে এবং অন্য কেউ অবশ্যই তার অর্থ ব্যাখ্যা করে দেবে।
28 kintvarthAbhidhAyakaH kO'pi yadi na vidyatE tarhi sa samitau vAcaMyamaH sthitvEzvarAyAtmanE ca kathAM kathayatu|
সেখানে যদি কোনও অর্থব্যাখ্যাকারী না থাকে, সেই ব্যক্তি মণ্ডলীতে নীরব থাকবে এবং নিজের ও ঈশ্বরের উদ্দেশে কথা বলবে।
29 aparaM dvau trayO vEzvarIyAdEzavaktAraH svaM svamAdEzaM kathayantu tadanyE ca taM vicArayantu|
ভাববাদীরা দুজন বা তিনজন কথা বলবে এবং অন্যরা সযত্নে বক্তব্যের গুরুত্ব বিবেচনা করবে।
30 kintu tatrAparENa kEnacit janEnEzvarIyAdEzE labdhE prathamEna kathanAt nivarttitavyaM|
আর উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি প্রত্যাদেশ লাভ করে, তাহলে প্রথম বক্তা নীরব থাকবে।
31 sarvvE yat zikSAM sAntvanAnjca labhantE tadarthaM yUyaM sarvvE paryyAyENEzvarIyAdEzaM kathayituM zaknutha|
কারণ তোমরা সকলে পর্যায়ক্রমে ভাববাণী বলতে পারো, যেন প্রত্যেকেই শিক্ষা ও প্রেরণা লাভ করতে পারে।
32 IzvarIyAdEzavaktRNAM manAMsi tESAm adhInAni bhavanti|
ভাববাদীদের আত্মা ভাববাদীদের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে।
33 yata IzvaraH kuzAsanajanakO nahi suzAsanajanaka EvEti pavitralOkAnAM sarvvasamitiSu prakAzatE|
কারণ ঈশ্বর বিশৃঙ্খলার ঈশ্বর নন, কিন্তু শান্তির যেমন পবিত্রগণের সমস্ত মণ্ডলীতে হয়ে থাকে।
34 aparanjca yuSmAkaM vanitAH samitiSu tUSNImbhUtAstiSThantu yataH zAstralikhitEna vidhinA tAH kathApracAraNAt nivAritAstAbhi rnighrAbhi rbhavitavyaM|
মণ্ডলীতে মহিলারা নীরব থাকবে। তাদের কথা বলার অনুমতি দেওয়া যায় না, বরং শাস্ত্রীয় বিধানও যেমন বলে, তারা অবশ্যই বশ্যতাধীন থাকবে।
35 atastA yadi kimapi jijnjAsantE tarhi gEhESu patIn pRcchantu yataH samitimadhyE yOSitAM kathAkathanaM nindanIyaM|
তারা যদি কোনও বিষয়ে কিছু জানতে চায়, তারা বাড়িতে নিজের নিজের স্বামীর কাছে তা জিজ্ঞাসা করুক, কারণ মণ্ডলীতে কোনো মহিলার কথা বলা লজ্জাকর ব্যাপার।
36 aizvaraM vacaH kiM yuSmattO niragamata? kEvalaM yuSmAn vA tat kim upAgataM?
ঈশ্বরের বাক্য কি তোমাদের মধ্য থেকেই উদ্ভূত হয়েছিল? অথবা, তা কি কেবলমাত্র তোমাদেরই কাছে উপস্থিত হয়েছে?
37 yaH kazcid AtmAnam IzvarIyAdEzavaktAram AtmanAviSTaM vA manyatE sa yuSmAn prati mayA yad yat likhyatE tatprabhunAjnjApitam ItyurarI karOtu|
কেউ যদি নিজেকে ভাববাদী বা আত্মিকভাবে বরদানপ্রাপ্ত বলে মনে করে, তাহলে সে স্বীকার করবে যে, তোমাদের কাছে আমি যা লিখছি, তা প্রভুরই আদেশ।
38 kintu yaH kazcit ajnjO bhavati sO'jnja Eva tiSThatu|
সে যদি তা উপেক্ষা করে, তাহলে সে নিজেই উপেক্ষিত হবে।
39 ataEva hE bhrAtaraH, yUyam IzvarIyAdEzakathanasAmarthyaM labdhuM yatadhvaM parabhASAbhASaNamapi yuSmAbhi rna nivAryyatAM|
অতএব, আমার ভাইবোনেরা, তোমরা ভাববাণী বলার জন্য আগ্রহী হও এবং বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলতে নিষেধ কোরো না।
40 sarvvakarmmANi ca vidhyanusArataH suparipATyA kriyantAM|
কিন্তু সবকিছুই যথাযথ ও সুশৃঙ্খলভাবে হওয়া উচিত।

< 1 karinthinaH 14 >