< যোহনঃ 4 >
1 ১ যীশুঃ স্ৱযং নামজ্জযৎ কেৱলং তস্য শিষ্যা অমজ্জযৎ কিন্তু যোহনোঽধিকশিষ্যান্ স করোতি মজ্জযতি চ,
যীশু জানতে পারলেন যে ফরিশীরা শুনেছে, যীশুর শিষ্যসংখ্যা যোহনের চেয়েও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তিনি তাদের বাপ্তিষ্ম দিচ্ছেন—
2 ২ ফিরূশিন ইমাং ৱার্ত্তামশৃণ্ৱন্ ইতি প্রভুরৱগত্য
অবশ্য যীশু নিজে বাপ্তিষ্ম দিতেন না, তাঁর শিষ্যেরাই দিতেন।
3 ৩ যিহূদীযদেশং ৱিহায পুন র্গালীলম্ আগৎ|
তিনি যিহূদিয়া ত্যাগ করে আর একবার গালীলে ফিরে গেলেন।
4 ৪ ততঃ শোমিরোণপ্রদেশস্য মদ্যেন তেন গন্তৱ্যে সতি
কিন্তু শমরিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছিল।
5 ৫ যাকূব্ নিজপুত্রায যূষফে যাং ভূমিম্ অদদাৎ তৎসমীপস্থাযি শোমিরোণপ্রদেশস্য সুখার্ নাম্না ৱিখ্যাতস্য নগরস্য সন্নিধাৱুপাস্থাৎ|
যেতে যেতে তিনি শমরিয়ার শুখর নামক একটি গ্রামে এসে উপস্থিত হলেন। যাকোব তাঁর পুত্র যোষেফকে যে জমি দান করেছিলেন, সেই স্থানটি তারই নিকটবর্তী।
6 ৬ তত্র যাকূবঃ প্রহিরাসীৎ; তদা দ্ৱিতীযযামৱেলাযাং জাতাযাং স মার্গে শ্রমাপন্নস্তস্য প্রহেঃ পার্শ্ৱে উপাৱিশৎ|
সেই স্থানে যাকোবের কুয়ো ছিল। পথশ্রান্ত যীশু কুয়োর পাশে বসলেন। তখন প্রায় দুপুরবেলা।
7 ৭ এতর্হি কাচিৎ শোমিরোণীযা যোষিৎ তোযোত্তোলনার্থম্ তত্রাগমৎ
এক শমরীয় নারী জল তুলতে এলে, যীশু তাকে বললেন, “আমাকে একটু জল খেতে করতে দেবে?”
8 ৮ তদা শিষ্যাঃ খাদ্যদ্রৱ্যাণি ক্রেতুং নগরম্ অগচ্ছন্|
(তাঁর শিষ্যেরা তখন খাবার কিনতে নগরে গিয়েছিলেন।)
9 ৯ যীশুঃ শোমিরোণীযাং তাং যোষিতম্ ৱ্যাহার্ষীৎ মহ্যং কিঞ্চিৎ পানীযং পাতুং দেহি| কিন্তু শোমিরোণীযৈঃ সাকং যিহূদীযলোকা ন ৱ্যৱাহরন্ তস্মাদ্ধেতোঃ সাকথযৎ শোমিরোণীযা যোষিতদহং ৎৱং যিহূদীযোসি কথং মত্তঃ পানীযং পাতুম্ ইচ্ছসি?
শমরীয় নারী তাঁকে বলল, “আপনি একজন ইহুদি, আর আমি এক শমরীয় নারী। আপনি কী করে আমার কাছে খাওয়ার জন্য জল চাইছেন?” (কারণ ইহুদিদের সঙ্গে শমরীয়দের সামাজিক সম্পর্ক ছিল না।)
10 ১০ ততো যীশুরৱদদ্ ঈশ্ৱরস্য যদ্দানং তৎকীদৃক্ পানীযং পাতুং মহ্যং দেহি য ইত্থং ৎৱাং যাচতে স ৱা ক ইতি চেদজ্ঞাস্যথাস্তর্হি তমযাচিষ্যথাঃ স চ তুভ্যমমৃতং তোযমদাস্যৎ|
উত্তরে যীশু তাকে বললেন, “তুমি যদি ঈশ্বরের দানের কথা জানতে, আর জানতে, কে তোমার কাছে খাওয়ার জন্য জল চাইছেন, তাহলে তুমিই তাঁর কাছে চাইতে আর তিনি তোমাকে জীবন্ত জল দিতেন।”
11 ১১ তদা সা সীমন্তিনী ভাষিতৱতি, হে মহেচ্ছ প্রহির্গম্ভীরো ভৱতো নীরোত্তোলনপাত্রং নাস্তী চ তস্মাৎ তদমৃতং কীলালং কুতঃ প্রাপ্স্যসি?
সেই নারী তাঁকে বলল, “মহাশয়, আপনার কাছে জল তোলার কোনো পাত্র নেই, কুয়োটিও গভীর। এই জীবন্ত জল আপনি কোথায় পাবেন?
12 ১২ যোস্মভ্যম্ ইমমন্ধূং দদৌ, যস্য চ পরিজনা গোমেষাদযশ্চ সর্ৱ্ৱেঽস্য প্রহেঃ পানীযং পপুরেতাদৃশো যোস্মাকং পূর্ৱ্ৱপুরুষো যাকূব্ তস্মাদপি ভৱান্ মহান্ কিং?
আমাদের পিতৃপুরুষ যাকোবের চেয়েও কি আপনি মহান? তিনি আমাদের এই কুয়ো দান করেছিলেন। তিনি নিজেও এর থেকে জল খেতেন, আর তার পুত্রেরা ও তার পশুপাল এই জলই খেতো।”
13 ১৩ ততো যীশুরকথযদ্ ইদং পানীযং সঃ পিৱতি স পুনস্তৃষার্ত্তো ভৱিষ্যতি,
যীশু উত্তর দিলেন, “যে এই জল খাবে, সে আবার তৃষ্ণার্ত হবে,
14 ১৪ কিন্তু মযা দত্তং পানীযং যঃ পিৱতি স পুনঃ কদাপি তৃষার্ত্তো ন ভৱিষ্যতি| মযা দত্তম্ ইদং তোযং তস্যান্তঃ প্রস্রৱণরূপং ভূৎৱা অনন্তাযুর্যাৱৎ স্রোষ্যতি| (aiōn , aiōnios )
কিন্তু আমি যে জল দান করি, তা যে খাবে, সে কোনোদিনই তৃষ্ণার্ত হবে না। প্রকৃতপক্ষে, আমার দেওয়া জল তার অন্তরে এক জলের উৎসে পরিণত হবে, যা অনন্ত জীবন পর্যন্ত উথলে উঠবে।” (aiōn , aiōnios )
15 ১৫ তদা সা ৱনিতাকথযৎ হে মহেচ্ছ তর্হি মম পুনঃ পীপাসা যথা ন জাযতে তোযোত্তোলনায যথাত্রাগমনং ন ভৱতি চ তদর্থং মহ্যং তত্তোযং দেহী|
সেই নারী তাঁকে বলল, “মহাশয়, আমাকে সেই জল দিন, যেন আমার পিপাসা না পায় এবং জল তোলার জন্য আমাকে এখানে আর আসতে না হয়।”
16 ১৬ ততো যীশূরৱদদ্যাহি তৱ পতিমাহূয স্থানেঽত্রাগচ্ছ|
তিনি তাকে বললেন, “যাও, তোমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে এসো।”
17 ১৭ সা ৱামাৱদৎ মম পতির্নাস্তি| যীশুরৱদৎ মম পতির্নাস্তীতি ৱাক্যং ভদ্রমৱোচঃ|
সে উত্তর দিল, “আমার স্বামী নেই।” যীশু তাকে বললেন, “তুমি ঠিকই বলেছ যে, তোমার স্বামী নেই।
18 ১৮ যতস্তৱ পঞ্চ পতযোভৱন্ অধুনা তু ৎৱযা সার্দ্ধং যস্তিষ্ঠতি স তৱ ভর্ত্তা ন ৱাক্যমিদং সত্যমৱাদিঃ|
প্রকৃত সত্য হল, তোমার পাঁচজন স্বামী ছিল আর এখন যে পুরুষটি তোমার সঙ্গে আছে, সে তোমার স্বামী নয়। তুমি যা বলেছ তা সম্পূর্ণ সত্য।”
19 ১৯ তদা সা মহিলা গদিতৱতি হে মহেচ্ছ ভৱান্ একো ভৱিষ্যদ্ৱাদীতি বুদ্ধং মযা|
সেই নারী বলল, “মহাশয়, আমি দেখছি, আপনি একজন ভাববাদী।
20 ২০ অস্মাকং পিতৃলোকা এতস্মিন্ শিলোচ্চযেঽভজন্ত, কিন্তু ভৱদ্ভিরুচ্যতে যিরূশালম্ নগরে ভজনযোগ্যং স্থানমাস্তে|
আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই পর্বতে উপাসনা করতেন, কিন্তু আপনারা, যাঁরা ইহুদি, দাবি করেন যে, জেরুশালেমেই আমাদের উপাসনা করতে হবে।”
21 ২১ যীশুরৱোচৎ হে যোষিৎ মম ৱাক্যে ৱিশ্ৱসিহি যদা যূযং কেৱলশৈলেঽস্মিন্ ৱা যিরূশালম্ নগরে পিতুর্ভজনং ন করিষ্যধ্ৱে কাল এতাদৃশ আযাতি|
যীশু তাকে বললেন, “নারী, আমার কথায় বিশ্বাস করো, এমন সময় আসছে যখন তোমরা এই পর্বতে অথবা জেরুশালেমে পিতার উপাসনা করবে না।
22 ২২ যূযং যং ভজধ্ৱে তং ন জানীথ, কিন্তু ৱযং যং ভজামহে তং জানীমহে, যতো যিহূদীযলোকানাং মধ্যাৎ পরিত্রাণং জাযতে|
তোমরা শমরীয়েরা জানো না, তোমরা কী উপাসনা করছ; আমরা জানি, আমরা কী উপাসনা করি, কারণ ইহুদিদের মধ্য থেকেই পরিত্রাণ উপলব্ধ হবে।
23 ২৩ কিন্তু যদা সত্যভক্তা আত্মনা সত্যরূপেণ চ পিতুর্ভজনং করিষ্যন্তে সময এতাদৃশ আযাতি, ৱরম্ ইদানীমপি ৱিদ্যতে; যত এতাদৃশো ভৎকান্ পিতা চেষ্টতে|
কিন্তু এখন সময় আসছে বরং এসে পড়েছে, যখন প্রকৃত উপাসকেরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে, কারণ পিতা এরকম উপাসকদেরই খোঁজ করেন।
24 ২৪ ঈশ্ৱর আত্মা; ততস্তস্য যে ভক্তাস্তৈঃ স আত্মনা সত্যরূপেণ চ ভজনীযঃ|
ঈশ্বর আত্মা, তাই যারা তাঁর উপাসনা করে, তাদেরকে আত্মায় ও সত্যে উপাসনা করতে হবে।”
25 ২৫ তদা সা মহিলাৱাদীৎ খ্রীষ্টনাম্না ৱিখ্যাতোঽভিষিক্তঃ পুরুষ আগমিষ্যতীতি জানামি স চ সর্ৱ্ৱাঃ কথা অস্মান্ জ্ঞাপযিষ্যতি|
তখন সেই নারী তাঁকে বলল, “আমি জানি মশীহ” (যাঁকে খ্রীষ্ট বলা হয়), “আসছেন। তিনি এসে আমাদের কাছে সবকিছু ব্যাখ্যা করবেন।”
26 ২৬ ততো যীশুরৱদৎ ৎৱযা সার্দ্ধং কথনং করোমি যোঽহম্ অহমেৱ স পুরুষঃ|
যীশু তাকে বললেন, “তোমার সঙ্গে কথা বলছি যে আমি, আমিই সেই খ্রীষ্ট।”
27 ২৭ এতস্মিন্ সমযে শিষ্যা আগত্য তথা স্ত্রিযা সার্দ্ধং তস্য কথোপকথনে মহাশ্চর্য্যম্ অমন্যন্ত তথাপি ভৱান্ কিমিচ্ছতি? যদ্ৱা কিমর্থম্ এতযা সার্দ্ধং কথাং কথযতি? ইতি কোপি নাপৃচ্ছৎ|
ঠিক এসময় শিষ্যেরা ফিরে এসে যীশুকে এক নারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখে বিস্মিত হলেন। কিন্তু একথা কেউ জিজ্ঞাসা করলেন না, “আপনি কী চাইছেন?” বা “আপনি ওর সঙ্গে কেন কথা বলছেন?”
28 ২৮ ততঃ পরং সা নারী কলশং স্থাপযিৎৱা নগরমধ্যং গৎৱা লোকেভ্যোকথাযদ্
তখন জলের পাত্র ফেলে রেখে সেই নারী নগরে ফিরে গিয়ে লোকদের বলল,
29 ২৯ অহং যদ্যৎ কর্ম্মাকরৱং তৎসর্ৱ্ৱং মহ্যমকথযদ্ এতাদৃশং মানৱমেকম্ আগত্য পশ্যত রু কিম্ অভিষিক্তো ন ভৱতি?
“একজন মানুষকে দেখবে এসো। আমি এতদিন যা করেছি, তিনি সবকিছু বলে দিয়েছেন। তিনিই কি সেই খ্রীষ্ট নন?”
30 ৩০ ততস্তে নগরাদ্ বহিরাগত্য তাতস্য সমীপম্ আযন্|
নগর থেকে বেরিয়ে তারা যীশুর কাছে আসতে লাগল।
31 ৩১ এতর্হি শিষ্যাঃ সাধযিৎৱা তং ৱ্যাহার্ষুঃ হে গুরো ভৱান্ কিঞ্চিদ্ ভূক্তাং|
এই অবসরে তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে মিনতি করলেন, “রব্বি, কিছু খেয়ে নিন।”
32 ৩২ ততঃ সোৱদদ্ যুষ্মাভির্যন্ন জ্ঞাযতে তাদৃশং ভক্ষ্যং মমাস্তে|
কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “আমার এমন খাবার আছে, যার কথা তোমরা কিছুই জানো না।”
33 ৩৩ তদা শিষ্যাঃ পরস্পরং প্রষ্টুম্ আরম্ভন্ত, কিমস্মৈ কোপি কিমপি ভক্ষ্যমানীয দত্তৱান্?
তাঁর শিষ্যেরা তখন পরস্পর বলাবলি করলেন, “কেউ কি তাঁকে কিছু খাবার এনে দিয়েছে?”
34 ৩৪ যীশুরৱোচৎ মৎপ্রেরকস্যাভিমতানুরূপকরণং তস্যৈৱ কর্ম্মসিদ্ধিকারণঞ্চ মম ভক্ষ্যং|
যীশু বললেন, “যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা পালন করা ও তাঁর কাজ শেষ করাই আমার খাবার।
35 ৩৫ মাসচতুষ্টযে জাতে শস্যকর্ত্তনসমযো ভৱিষ্যতীতি ৱাক্যং যুষ্মাভিঃ কিং নোদ্যতে? কিন্ত্ৱহং ৱদামি, শির উত্তোল্য ক্ষেত্রাণি প্রতি নিরীক্ষ্য পশ্যত, ইদানীং কর্ত্তনযোগ্যানি শুক্লৱর্ণান্যভৱন্|
তোমরা কি বলো না, ‘আর চার মাস পরেই ফসল কাটার সময় আসবে?’ আমি তোমাদের বলছি, তোমরা চোখ মেলে মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখো। ফসল কাটার উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।
36 ৩৬ যশ্ছিনত্তি স ৱেতনং লভতে অনন্তাযুঃস্ৱরূপং শস্যং স গৃহ্লাতি চ, তেনৈৱ ৱপ্তা ছেত্তা চ যুগপদ্ আনন্দতঃ| (aiōnios )
এমনকি, যে ফসল কাটছে, সে এখনই তার পারিশ্রমিক পাচ্ছে এবং এখনই সে অনন্ত জীবনের ফসল সংগ্রহ করছে, যেন যে কাটছে, আর যে বুনছে—দুজনেই উল্লসিত হতে পারে। (aiōnios )
37 ৩৭ ইত্থং সতি ৱপত্যেকশ্ছিনত্যন্য ইতি ৱচনং সিদ্ধ্যতি|
তাই ‘একজন বোনে, অপরজন কাটে,’ এই কথাটি সত্য।
38 ৩৮ যত্র যূযং ন পর্য্যশ্রাম্যত তাদৃশং শস্যং ছেত্তুং যুষ্মান্ প্রৈরযম্ অন্যে জনাঃপর্য্যশ্রাম্যন্ যূযং তেষাং শ্রগস্য ফলম্ অলভধ্ৱম্|
আমি তোমাদের এমন ফসল সংগ্রহ করতে পাঠিয়েছি, যার জন্য তোমরা পরিশ্রম করোনি। অন্যেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে, আর তোমরা তাদের শ্রমের ফসল সংগ্রহ করেছ।”
39 ৩৯ যস্মিন্ কালে যদ্যৎ কর্ম্মাকার্ষং তৎসর্ৱ্ৱং স মহ্যম্ অকথযৎ তস্যা ৱনিতাযা ইদং সাক্ষ্যৱাক্যং শ্রুৎৱা তন্নগরনিৱাসিনো বহৱঃ শোমিরোণীযলোকা ৱ্যশ্ৱসন্|
“আমি এতদিন যা করেছি, তিনি তার সবকিছু বলে দিয়েছেন,” নারীটির এই সাক্ষ্যের ফলে সেই নগরের বহু শমরীয় যীশুকে বিশ্বাস করল।
40 ৪০ তথা চ তস্যান্তিকে সমুপস্থায স্ৱেষাং সন্নিধৌ কতিচিদ্ দিনানি স্থাতুং তস্মিন্ ৱিনযম্ অকুর্ৱ্ৱান তস্মাৎ স দিনদ্ৱযং তৎস্থানে ন্যৱষ্টৎ
তাই শমরীয়েরা তাঁর কাছে এসে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য তাঁকে মিনতি করলে, তিনি সেখানে দু-দিন থাকলেন।
41 ৪১ ততস্তস্যোপদেশেন বহৱোঽপরে ৱিশ্ৱস্য
তাঁর বাণী শুনে আরও অনেকেই তাঁকে বিশ্বাস করল।
42 ৪২ তাং যোষামৱদন্ কেৱলং তৱ ৱাক্যেন প্রতীম ইতি ন, কিন্তু স জগতোঽভিষিক্তস্ত্রাতেতি তস্য কথাং শ্রুৎৱা ৱযং স্ৱযমেৱাজ্ঞাসমহি|
তারা সেই নারীকে বলল, “শুধু তোমার কথা শুনে এখন আর আমরা বিশ্বাস করছি না, আমরা এখন নিজেরা শুনেছি এবং আমরা জানি যে, এই ব্যক্তিই প্রকৃতপক্ষে জগতের উদ্ধারকর্তা।”
43 ৪৩ স্ৱদেশে ভৱিষ্যদ্ৱক্তুঃ সৎকারো নাস্তীতি যদ্যপি যীশুঃ প্রমাণং দৎৱাকথযৎ
দু-দিন পরে তিনি গালীলের উদ্দেশে যাত্রা করলেন।
44 ৪৪ তথাপি দিৱসদ্ৱযাৎ পরং স তস্মাৎ স্থানাদ্ গালীলং গতৱান্|
(যীশু স্বয়ং উল্লেখ করেছিলেন যে, ভাববাদী তার নিজের নগরে সম্মানিত হন না।)
45 ৪৫ অনন্তরং যে গালীলী লিযলোকা উৎসৱে গতা উৎসৱসমযে যিরূশলম্ নগরে তস্য সর্ৱ্ৱাঃ ক্রিযা অপশ্যন্ তে গালীলম্ আগতং তম্ আগৃহ্লন্|
তিনি গালীলে উপস্থিত হলে গালীলীয়রা তাঁকে স্বাগত জানাল। নিস্তারপর্বের সময় তিনি জেরুশালেমে যে সমস্ত কাজ করেছিলেন, তারা তা দেখেছিল, কারণ তারাও সেখানে গিয়েছিল।
46 ৪৬ ততঃ পরম্ যীশু র্যস্মিন্ কান্নানগরে জলং দ্রাক্ষারসম্ আকরোৎ তৎ স্থানং পুনরগাৎ| তস্মিন্নেৱ সমযে কস্যচিদ্ রাজসভাস্তারস্য পুত্রঃ কফর্নাহূমপুরী রোগগ্রস্ত আসীৎ|
গালীলের যে কানা নগরে তিনি জলকে দ্রাক্ষারসে রূপান্তরিত করেছিলেন, তিনি আর একবার সেখানে গেলেন। সেখানে এক উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী ছিলেন, যাঁর পুত্র কফরনাহূমে অসুস্থ ছিল।
47 ৪৭ স যেহূদীযদেশাদ্ যীশো র্গালীলাগমনৱার্ত্তাং নিশম্য তস্য সমীপং গৎৱা প্রার্থ্য ৱ্যাহৃতৱান্ মম পুত্রস্য প্রাযেণ কাল আসন্নঃ ভৱান্ আগত্য তং স্ৱস্থং করোতু|
তিনি যখন শুনতে পেলেন, যীশু যিহূদিয়া থেকে গালীলে এসেছেন, তিনি যীশুর কাছে গিয়ে অনুনয় করলেন, যেন তিনি এসে তার মৃতপ্রায় পুত্রকে সুস্থ করেন।
48 ৪৮ তদা যীশুরকথযদ্ আশ্চর্য্যং কর্ম্ম চিত্রং চিহ্নং চ ন দৃষ্টা যূযং ন প্রত্যেষ্যথ|
যীশু তাকে বললেন, “তোমরা চিহ্ন ও বিস্ময়কর কিছু না দেখলে কি কখনোই বিশ্বাস করবে না।”
49 ৪৯ ততঃ স সভাসদৱদৎ হে মহেচ্ছ মম পুত্রে ন মৃতে ভৱানাগচ্ছতু|
রাজকর্মচারী বললেন, “মহাশয়, আমার ছেলেটির মৃত্যুর পূর্বে আসুন।”
50 ৫০ যীশুস্তমৱদদ্ গচ্ছ তৱ পুত্রোঽজীৱীৎ তদা যীশুনোক্তৱাক্যে স ৱিশ্ৱস্য গতৱান্|
যীশু উত্তর দিলেন, “যাও, তোমার ছেলে বেঁচে থাকবে।” সেই ব্যক্তি যীশুর কথা বিশ্বাস করে চলে গেলেন।
51 ৫১ গমনকালে মার্গমধ্যে দাসাস্তং সাক্ষাৎপ্রাপ্যাৱদন্ ভৱতঃ পুত্রোঽজীৱীৎ|
তিনি তখনও পথে, এমন সময় তার পরিচারকেরা এসে তাকে সংবাদ দিল যে, তার ছেলেটি বেঁচে আছে।
52 ৫২ ততঃ কং কালমারভ্য রোগপ্রতীকারারম্ভো জাতা ইতি পৃষ্টে তৈরুক্তং হ্যঃ সার্দ্ধদণ্ডদ্ৱযাধিকদ্ৱিতীযযামে তস্য জ্ৱরত্যাগোঽভৱৎ|
“কখন থেকে ছেলেটির অবস্থার উন্নতি ঘটল,” তার এই প্রশ্নের উত্তরে তারা বলল, “গতকাল বেলা একটায় তার জ্বর ছেড়েছে।”
53 ৫৩ তদা যীশুস্তস্মিন্ ক্ষণে প্রোক্তৱান্ তৱ পুত্রোঽজীৱীৎ পিতা তদ্বুদ্ধ্ৱা সপরিৱারো ৱ্যশ্ৱসীৎ|
বালকটির পিতা তখন বুঝতে পারলেন, ঠিক ওই সময়েই যীশু তাকে বলেছিলেন, “তোমার ছেলে বেঁচে থাকবে।” এর ফলে তিনি ও তার সমস্ত পরিজন বিশ্বাস করলেন।
54 ৫৪ যিহূদীযদেশাদ্ আগত্য গালীলি যীশুরেতদ্ দ্ৱিতীযম্ আশ্চর্য্যকর্ম্মাকরোৎ|
যিহূদিয়া থেকে গালীলে আগমনের পর যীশু এই দ্বিতীয় চিহ্নকাজটি সম্পন্ন করলেন।