< Marcos 8 >
1 Naqueles dias, quando havia de novo uma multidão, e não tinham o que comer, [ Jesus ] chamou os discípulos a si, e disse-lhes:
সেই দিনগুলিতে আবার অনেক লোকের ভিড় হল। কিন্তু তাদের কাছে খাওয়ার কিছু ছিল না। যীশু তাই তাঁর শিষ্যদের তাঁর কাছে ডেকে বললেন,
2 Tenho compaixão da multidão, porque já há três dias que estão comigo, e não têm o que comer.
“এই লোকদের প্রতি আমার করুণা হচ্ছে; এরা তিন দিন ধরে আমার সঙ্গে আছে এবং এদের কাছে খাওয়ার জন্য কিছুই নেই।
3 E se eu os deixar ir sem comer para suas casas desmaiarão no caminho; e alguns deles vieram de longe.
আমি যদি এদের ক্ষুধার্ত অবস্থায় বাড়ি পাঠিয়ে দিই, তাহলে এরা পথেই অজ্ঞান হয়ে পড়বে। কারণ এদের মধ্যে কেউ কেউ বহুদূর থেকে এসেছে।”
4 Os seus discípulos lhe responderam: De onde poderá alguém saciar estes de pão aqui no deserto?
তাঁর শিষ্যেরা উত্তর দিলেন, “কিন্তু এই জনহীন প্রান্তরে ওদের তৃপ্ত করার মতো কে এত রুটি জোগাড় করবে?”
5 [Jesus] lhes perguntou: Quantos pães tendes? E eles disseram: Sete.
যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের কাছে কতগুলি রুটি আছে?” তাঁরা উত্তর দিলেন, “সাতটি।”
6 Então mandou à multidão que se sentassem no chão. Em seguida, tomou os sete pães, e tendo dado graças, partiu-os, e os deu a seus discípulos, para que os pusessem diante deles. E eles os puseram diante da multidão.
তিনি সবাইকে মাটির উপরে বসার আদেশ দিলেন। তিনি সেই সাতটি রুটি নিলেন ও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। পরে সেগুলি ভাঙলেন ও লোকদের পরিবেশন করার জন্য শিষ্যদের দিতে লাগলেন। তাঁরা তাই করলেন।
7 E tinham uns poucos peixinhos, e havendo dado graças, disse que também os pusessem diante deles.
তাঁদের কাছে কয়েকটি ছোটো মাছও ছিল। তিনি সেগুলির জন্যও ধন্যবাদ দিয়ে পরিবেশন করার জন্য শিষ্যদের বললেন।
8 Eles comeram, e se saciaram; e levantaram, do que sobrou dos pedaços, sete cestos.
লোকেরা খেয়ে পরিতৃপ্ত হল। পরে শিষ্যেরা অবশিষ্ট রুটির টুকরো সংগ্রহ করে সাতটি ঝুড়ি পূর্ণ করলেন।
9 Os que comeram eram quase quatro mil. Depois os despediu.
সেখানে উপস্থিত পুরুষদের সংখ্যা ছিল প্রায় চার হাজার। পরে তিনি তাঁদের বিদায় দিয়ে
10 E logo entrou no barco com os seus discípulos, e veio para a região de Dalmanuta.
তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে নৌকায় বসলেন ও দলমনুথা প্রদেশে চলে গেলেন।
11 Os fariseus vieram, e começaram a disputar com ele, pedindo-lhe sinal do céu, para o testar.
ফরিশীরা এসে যীশুকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে লাগল। তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য তারা এক স্বর্গীয় নিদর্শন দেখতে চাইল।
12 E ele, suspirando profundamente em seu espírito, disse: Por que esta geração pede um sinal? Em verdade vos digo, que não se dará sinal a esta geração.
তিনি দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে বললেন, “এই প্রজন্মের লোকেরা কেন অলৌকিক নিদর্শন দেখতে চায়? আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, ওদের কোনো নিদর্শন দেখানো হবে না।”
13 Então os deixou, voltou a embarcar, e foi para a outro lado [do mar].
তারপর তিনি তাদের ত্যাগ করে নৌকায় উঠলেন ও অপর পারে চলে গেলেন।
14 E [os seus discípulos] haviam se esquecido de tomar pão, e nada tinham, a não ser um pão com eles no barco.
শিষ্যেরা রুটি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। নৌকায় তাঁদের সঙ্গে কেবলমাত্র একটি রুটি ছাড়া আর কোনো রুটি ছিল না।
15 E [Jesus] lhes deu a seguinte ordem: Prestai atenção: tende cuidado com o fermento dos fariseus e o fermento de Herodes.
যীশু তাঁদের সতর্ক করে দিলেন, “সাবধান, হেরোদ ও ফরিশীদের খামির থেকে সতর্ক থেকো।”
16 E indagavam-se com os outros porque não tinham pão
এ বিষয়ে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে বললেন, “এর কারণ হল, আমাদের কাছে কোনো রুটি নেই।”
17 [ Jesus ] soube e lhes disse: Por que indagais que não tendes pão? Não percebeis ainda, nem entendeis? Tendes o vosso coração endurecido?
তাঁদের আলোচনার বিষয় অবহিত ছিলেন বলে যীশু তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “রুটি নেই বলে তোমরা তর্কবিতর্ক করছ কেন? তোমরা কি এখনও কিছু দেখতে বা বুঝতে পারছ না? তোমাদের মন কি কঠোর হয়ে গেছে?
18 Tendes olhos, e não vedes? Tendes ouvidos, e não ouvis?
তোমরা কি চোখ থাকতেও দেখতে পাচ্ছ না, কান থাকতেও শুনতে পাচ্ছ না?
19 E não vos lembrais de, quando parti os cinco pães entre os cinco mil, quantos cestos cheios de pedaços levantastes? Responderam-lhe: Doze.
আমি যখন পাঁচ হাজার লোকের জন্য পাঁচটি রুটি ভেঙেছিলাম, তোমরা কত ঝুড়ি রুটির টুকরো তুলে নিয়েছিলে?” তাঁরা উত্তর দিলেন, “বারো ঝুড়ি।”
20 Quando [parti] os sete entre os quatro mil, quantas cestas cheias de pedaços levantastes? Eles disseram: Sete.
“আর যখন আমি চার হাজার লোকের জন্য সাতটি রুটি ভেঙেছিলাম, তোমরা কত ঝুড়ি রুটির টুকরো তুলে নিয়েছিলে?” উত্তরে তাঁরা বললেন, “সাত ঝুড়ি।”
21 Ele lhes perguntou: Ainda não entendeis?
তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এখনও বুঝতে পারছ না?”
22 Então vieram a Betsaida. E trouxeram-lhe um cego, e rogaram-lhe que o tocasse.
তাঁরা বেথসৈদায় উপস্থিত হলে কয়েকজন লোক এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তিকে নিয়ে এল ও তাকে স্পর্শ করার জন্য যীশুকে অনুরোধ করল।
23 Ele tomou o cego pela mão e o tirou para fora da aldeia. Depois cuspiu nos olhos dele e, pondo as mãos encima dele, perguntou-lhe: Tu vês alguma coisa?
তিনি সেই দৃষ্টিহীন ব্যক্তির হাত ধরে তাকে গ্রামের বাইরে নিয়ে গেলেন। যীশু তার দুই চোখে থুতু দিয়ে তার উপর হাত রাখলেন। যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কিছু দেখতে পাচ্ছ কি?”
24 Ele levantou os olhos e disse: Vejo as pessoas; pois vejo como árvores que andam.
সে চোখ তুলে চাইল ও বলল, “আমি মানুষ দেখতে পাচ্ছি, তারা দেখতে গাছের মতো, ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
25 Então [Jesus] pôs de novo as mãos sobre os seus olhos, e ele olhou atentamente. Assim ele ficou restabelecido, e passou a ver todos claramente.
যীশু আর একবার তার চোখে হাত রাখলেন। তখন তার দৃষ্টি স্থির হল। আরোগ্য লাভ করে সে সবকিছু স্পষ্ট দেখতে লাগল।
26 Então o mandou para sua casa, dizendo: Não entres na aldeia.
যীশু তাকে সোজা বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন ও বললেন, “তুমি এই গ্রামে যেয়ো না।”
27 Jesus saiu com os seus discípulos para as aldeias de Cesareia de Filipe; e no caminho perguntou a seus discípulos: Quem as pessoas dizem que eu sou?
যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা কৈসরিয়া-ফিলিপী অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে পরিভ্রমণ করতে লাগলেন। পথে তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, লোকেরা এ সম্পর্কে কী বলে?”
28 Eles responderam: João Batista, e outros, Elias; e outros, algum dos profetas.
তাঁরা উত্তর দিলেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহন, অন্যেরা বলে এলিয়, আর কেউ কেউ বলে, আপনি ভাববাদীদের মধ্যে কোনও একজন।”
29 E ele lhes perguntou: E vós, quem dizeis que eu sou? Pedro lhe respondeu: Tu és o Cristo.
“কিন্তু তোমরা কী বলো?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী বলো, আমি কে?” পিতর উত্তর দিলেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট।”
30 E lhes ordenou que a ninguém dissessem aquilo dele.
যীশু তাঁর সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলার জন্য তাঁদের সতর্ক করে দিলেন।
31 E começou a lhes ensinar que era necessário que o Filho do homem sofresse muito, e fosse rejeitado pelos anciãos e pelos chefes dos sacerdotes e escribas, e que fosse morto, e depois de três dias ressuscitasse.
তারপর তিনি তাঁদের শিক্ষা দিতে গিয়ে একথা বললেন যে, মনুষ্যপুত্রকে বিভিন্ন বিষয়ে দুঃখভোগ করতে হবে; প্রাচীনবর্গ, মহাযাজকবৃন্দ ও শাস্ত্রবিদরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবেন। তাঁকে হত্যা করা হবে এবং তিন দিন পরে তাঁর পুনরুত্থান হবে।
32 Ele dizia essa palavra abertamente. Então Pedro o tomou à parte, e começou a repreendê-lo.
তিনি এ বিষয়ে স্পষ্টরূপে কথা বললেন, কিন্তু পিতর তাঁকে এক পাশে নিয়ে অনুযোগ করতে লাগলেন।
33 Mas [Jesus] virou-se e, olhando para os seus discípulos, repreendeu Pedro, dizendo: Sai de diante de mim, satanás! Pois tu não compreendes as coisas de Deus, mas sim as humanas.
কিন্তু যীশু যখন ফিরে শিষ্যদের দিকে তাকালেন, তিনি পিতরকে তিরস্কার করলেন। তিনি বললেন, “দূর হও শয়তান! তোমার মনে ঈশ্বরের বিষয়গুলি নেই, কেবল মানুষের বিষয়ই আছে।”
34 Então chamou a si a multidão com os seus discípulos, e disse-lhes: Se alguém quiser me seguir, negue a si mesmo, tome a sua cruz, e siga-me;
তারপর তিনি শিষ্যদের সঙ্গে অন্যান্য লোকদেরও তাঁর কাছে ডাকলেন ও বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, সে অবশ্যই নিজেকে অস্বীকার করবে, তার ক্রুশ তুলে নেবে ও আমাকে অনুসরণ করবে।
35 pois quem quiser salvar a sua vida, a perderá; mas quem perder a sua vida por causa de mim e do Evangelho, esse a salvará.
কারণ যে তার জীবন রক্ষা করতে চায়, সে তা হারাবে, কিন্তু যে তার জীবন আমার ও সুসমাচারের জন্য হারায়, সে তা রক্ষা করবে।
36 Pois que proveito teria alguém, se ganhasse o mundo todo, e perdesse a sua alma?
বস্তুত, কোনো মানুষ যদি সমস্ত জগতের অধিকার লাভ করে ও তার প্রাণ হারায়, তাহলে তার কী লাভ হবে?
37 Ou que daria alguém em resgate de sua alma?
কিংবা, নিজের প্রাণের পরিবর্তে মানুষ আর কী দিতে পারে?
38 Porque todo aquele que se envergonhar de mim e de minhas palavras nesta geração adúltera e pecadora, também o Filho do homem, quando vier na glória de seu Pai com os santos anjos, envergonhar-se-á dele.
এই ব্যভিচারী ও পাপিষ্ঠ প্রজন্মের মধ্যে কেউ যদি আমাকে ও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় বলে মনে করে, মনুষ্যপুত্রও যখন পবিত্র দূতবাহিনীর সঙ্গে তাঁর পিতার মহিমায় আসবেন, তখন তিনিও তাকে লজ্জার পাত্র বলে মনে করবেন।”