< Marcos 14 >

1 E dali a dois dias era a Páscoa, e [a festa] dos pães sem fermento; e os chefes dos sacerdotes, e os escribas buscavam um meio de prendê-lo através de um engano, e o matarem.
উদ্ধারপর্ব ও তাড়ীশূন্য রুটি র পর্বের মাত্র দুই দিন বাকি; তখন প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা গোপনে যীশুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন।
2 Pois diziam: “Não na festa, para que não aconteça tumulto entre o povo.”
কারণ তারা বলল, পর্বের দিনের নয়, কারণ লোকদের ভেতরে গোলমাল হতে পারে।
3 E estando ele em Betânia, na casa de Simão o Leproso, sentado [à mesa], veio uma mulher, que tinha um vaso de alabastro, de óleo perfumado de nardo puro, de muito preço, e quebrando o vaso de alabastro, derramou-o sobre a cabeça dele.
যীশু তখন বৈথনিয়ায় শিমোনের বাড়িতে ছিলেন, তখন একটি মহিলা শ্বেত পাথরের পাত্রে খুব মূল্যবান এবং খাঁটি সুগন্ধি তেল নিয়ে তাঁর কাছে এলো এবং তিনি খেতে বসলে পাত্রটি ভেঙে সে তাঁর মাথায় সেই তেল ঢেলে দিল।
4 E houve alguns que em si mesmos se indignaram, [e disseram]: “Para que foi feito este desperdício do óleo perfumado?
সেখানে যারা হাজির ছিল তাদের ভেতরে কয়েক জন বিরক্ত হয়ে একে অপরকে বলতে লাগলো এই ভাবে আতরটা নষ্ট করা হল কেন?
5 Porque este óleo perfumado podia ter sido vendido por mais de trezentos denários, e seria dado aos pobres.” E reclamavam contra ela.
এই আতরটা বিক্রি করলে তিনশো দিন দিনারিও বেশি পাওয়া যেত এবং তা গরিবদের দেওয়া যেত। আর এই বলে তারা সেই মহিলাটিকে বকাবকি করতে লাগলো।
6 Porém Jesus disse: “Deixai-a; por que a incomodais? Ela me fez boa obra.
তখন যীশু বললেন “থাম, এই মহিলাটিকে কেন দুঃখ দিচ্ছ? এ তো আমার জন্য ভালো কাজ করল।”
7 Porque pobres sempre tendes convosco; e quando quiserdes, podeis lhes fazer bem; porém a mim, nem sempre me tendes.
কারণ দরিদ্ররা তোমাদের কাছে সব দিনই আছে; যখন ইচ্ছা তখনই তাদের উপকার করতে পার; কিন্তু আমাকে তোমরা সবদিন পাবে না।
8 Esta fez o que podia; adiantou-se para ungir o meu corpo, para a sepultura.
এ যা পেরেছে তাই করেছে, আমাকে কবরের জন্য প্রস্তুত করতে আগেই আমার দেহের উপর আতর মাখিয়ে দিয়েছে।
9 Em verdade vos digo, que onde quer que em todo o mundo o Evangelho for pregado, também o que esta fez será dito em sua memória.”
আমি তোমাদের সত্যি বলছি, “সমস্ত জগতে যে কোন জায়গায় এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সেই জায়গায় এর এই কাজের কথাও একে মনে রাখার জন্য বলা হবে।”
10 E Judas Iscariotes, um dos doze, foi aos chefes dos sacerdotes, para o entregar a eles.
১০এর পরে ইস্করোতীয় যিহূদা নামে, সেই বারো জন শিষ্যের ভেতরে একজন যীশুকে ধরিয়ে দেবার জন্য, প্রধান যাজকদের কাছে গেল।
11 E eles ouvindo, alegraram-se; e prometeram lhe dar dinheiro; e buscava como o entregaria em tempo oportuno.
১১তাঁরা যিহূদার কথা শুনে খুশী হলেন এবং তাকে টাকা দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করলেন; তখন সে যীশুকে ধরিয়ে দেবার জন্য সুযোগে খুঁজতে লাগলো।
12 E o primeiro dia dos pães sem fermento, quando sacrificavam [o cordeiro da] Páscoa, seus discípulos lhe disseram: “Onde queres que vamos preparar para comerdes a Páscoa?”
১২তাড়ীশূন্য রুটি র পর্বের প্রথম দিনের, নিস্তারপর্ব্বের ভেড়ার বাচ্চা বলি দেওয়া হতো, সেই দিন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, “আপনার জন্য আমরা কোথায় নিস্তারপর্ব্বের ভোজ প্রস্তুত করব? আপনার ইচ্ছা কি?”
13 E mandou dois de seus discípulos, e disse-lhes: “Ide à cidade, e um homem que leva um cântaro de água vos encontrará, a ele segui.
১৩তখন যীশু তাঁর দুই জন শিষ্যকে এই বলে পাঠিয়ে দিলেন, তোমরা নগরে যাও, সেখানে এমন একজন লোকের দেখা পাবে, যে একটা কলসিতে করে জল নিয়ে যাচ্ছে; তোমরা তার পেছনে পেছনে যেও;
14 E onde quer que ele entrar, dizei ao senhor da casa: O Mestre diz: Onde está o cômodo onde comerei Páscoa com meus discípulos?
১৪সে যে বাড়িতে ঢুকবে, সেই বাড়ির মালিককে বোলো, গুরু বলেছেন, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব্বের ভোজ খেতে পারি, আমার সেই অতিথিশালা কোথায়?
15 E ele vos mostrará um grande salão, ornado e preparado; ali fazei os preparativos para nós.”
১৫তাতে সে লোকটি তোমাদেরকে ওপরের একটি সাজানো বড় ঘর দেখিয়ে দেবে, সেই জায়গায় আমাদের জন্য তৈরী করো।
16 E osdiscípulos saíram, e vieram à cidade, e acharam como havia lhes dito, e prepararam a Páscoa.
১৬পরে শিষ্যরা শহরে ফিরে গেলেন, আর তিনি যেরকম বলেছিলেন, সেরকম দেখতে পেলেন; পরে তাঁরা নিস্তারপর্ব্বের ভোজ তৈরী করলেন।
17 E chegada a tarde, veio com os doze.
১৭পরে সন্ধ্যা হলে যীশু সেই বারো জন শিষ্যকে নিয়ে সেখানে এলেন।
18 E quando se sentaram [à mesa], e comeram, Jesus disse: “Em verdade vos digo, que um de vós, que está comendo comigo, me trairá.”
১৮তাঁরা বসে ভোজন করছেন, সেই দিনে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের মধ্যে এক জন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। সে আমার সঙ্গে ভোজন করছে।”
19 Eles começaram a se entristecer, e a lhe dizer um após outro: “Por acaso sou eu?”
১৯তখন শিষ্যরা দুঃখ পেলো এবং একে একে যীশুকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো, আমি কি সেই লোক?
20 Porém ele lhes respondeu: “[É] um dos doze, o que está molhando [a mão] comigo no prato.
২০যীশু তাদেরকে বললেন, এই বারো জনের ভেতরে একজন, যে আমার সঙ্গে এখন ভোজন করছে।
21 Pois em verdade o Filho do homem vai, como está escrito sobre ele; mas ai daquele homem por quem o Filho do homem é traído; bom lhe fosse ao tal homem não haver nascido.”
২১কারণ মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যেমন লেখা আছে, তেমনি তিনি যাবেন, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে মনুষ্যপুত্রকে ধরিয়ে দাও য়া হবে, সেই মানুষের জন্ম না হলেই তার পক্ষে ভাল ছিল।
22 E enquanto eles comiam, [Jesus] tomou o pão; e bendizendo, partiu-o, deu-lhes, e disse: “Tomai, isto é o meu corpo.”
২২যখন তাঁরা খাবার খাচ্ছেন, এমন দিনের যীশু রুটী নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন এবং শিষ্যদের দিলেন, আর বললেন, “এটা নাও, এটা আমার শরীর।”
23 E tomando o copo, e dando graças, deu-lhes; e todos beberam dele.
২৩খাওয়ার পরে যীশু পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁদের দিলেন এবং তারা সকলেই তা থেকে পান করলো।
24 E disse-lhes: “Isto é o meu sangue, o do testamento, que é derramado por muitos.
২৪যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, এটা আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য ঢেলে দেওয়া হলো, এই দিয়ে মানুষের সঙ্গে ঈশ্বরের নতুন নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হল।
25 Em verdade vos digo, que não beberei mais do fruto da vide, até aquele dia, quando o beber novo no Reino de Deus.”
২৫আমি তোমাদের সত্য বলছি, “যত দিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে প্রবেশ করি ও তোমাদের সাথে নতুন আঙুরের রস পান না করি। সেই দিন পর্যন্ত আমি আঙুর ফলের রস আর কখনও পান করব না।”
26 E depois de cantarem um hino, saíram para o monte das Oliveiras.
২৬এর পরে তাঁরা একটা গান করে, তাঁরা জৈতুন পর্বতে চলে গেলেন।
27 E Jesus lhes disse: “Todos vós falhareis; porque está escrito: Ferirei ao pastor, e as ovelhas serão dispersas.
২৭যীশু তাদেরকে বললেন, তোমরা সকলে আমাকে ছেড়ে পালাবে; শাস্ত্রে এরকম লেখা আছে, “আমি মেষ পালককে আঘাত করব, তাতে মেষেরা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে।”
28 Mas depois de eu haver ressuscitado, irei adiante de vós para a Galileia.”
২৮কিন্তু আমি মৃত্যু থেকে জীবিত হবার পরে আমি তোমাদের আগে গালীলে যাব।
29 E Pedro lhe disse: “Ainda que todos falhem, eu não [falharei].”
২৯পিতর তাঁকে বলল, যদি সবাই আপনাকে ছেড়েও চলে যায়, আমি কখনও ফেলে যাব না।
30 Jesus lhe disse: “Em verdade te digo, que hoje, nesta noite, antes que o galo cante duas vezes, me negarás três vezes.”
৩০যীশু তাকে বললেন, আমি তোমাকে সত্য কথা বলছি, আজ রাতে দুই বার মোরগ ডাকার আগে, তুমি আমাকে তিনবার চিনতে পারবে না।
31 Mas [Pedro], insistindo, dizia: “Ainda que me seja necessário morrer contigo, em maneira nenhuma te negarei.” E todos diziam também da mesma maneira.
৩১পিতর খুব বেশি উত্সাহের সঙ্গে বলতে লাগলেন, যদি আপনার সঙ্গে মরতেও হয়, কোন ভাবে আপনাকে আমি চিনি না বলবো না। অপর শিষ্যরাও সেই রকম বলল।
32 E vieram ao lugar, cujo nome era Getsêmani, e disse a seus discípulos: “Sentai-vos aqui, enquanto eu oro.”
৩২পরে তাঁরা গেৎশিমানী নামে এক জায়গায় এলেন; আর যীশু নিজের শিষ্যদের বললেন, আমি যতক্ষণ না প্রার্থনা করে আসি, তোমরা এখানে বসে থাক।
33 E tomou consigo Pedro, Tiago, e João, e começou a ficar muito apavorado e angustiado.
৩৩পরে তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন এবং খুব দুঃখী হলেন ও ভয় পেতে লাগলেন।
34 E disse-lhes: “Minha alma totalmente está triste até a morte; ficai-vos aqui, e vigiai.”
৩৪তিনি তাদেরকে বললেন, “আমার প্রাণ মরণ পর্যন্ত দুঃখার্ত্ত হয়েছে, তোমরা এখানে থাক, আমার সঙ্গে জেগে থাক।”
35 Então ele foi um pouco mais adiante, e prostrou-se em terra. E orou, que se fosse possível, afastasse dele aquela hora.
৩৫তিনি একটু আগে গিয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে এই প্রার্থনা করলেন, যদি সম্ভব হয় তবে যেন সেই দিন তাঁর কাছ থেকে চলে যায়।
36 E disse: “Aba, Pai, todas as coisas te são possíveis; passa de mim este copo; porém não [se faça] o que eu quero, mas sim o que tu [queres].”
৩৬যীশু বললেন, আব্বা, পিতা তোমার কাছে তো সবই সম্ভব; এই দুঃখের পেয়ালা তুমি আমার কাছ থেকে সরিয়ে নাও; তবুও আমার ইচ্ছামত না হয়, কিন্তু তোমার ইচ্ছামত হয়।
37 Depois veio de volta, e os achou dormindo; e disse a Pedro: “Simão, estás dormindo? Não podes vigiar uma hora?
৩৭যীশু ফিরে এসে দেখলেন, শিষ্যরা ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর তিনি পিতরকে বললেন, শিমোন তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ? এক ঘন্টাও কি তুমি জেগে থাকতে পারলে না?
38 Vigiai, e orai, para que não entreis em tentação; o espírito em verdade [está] pronto, mas a carne [é] fraca.”
৩৮তোমরা জেগে থাক ও প্রার্থনা কর, যেন পরীক্ষায় না পড়; আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।
39 E depois que se foi novamente, orou, dizendo as mesmas palavras.
৩৯আর তিনি আবার গিয়ে সেই কথা বলে প্রার্থনা করলেন।
40 Quando voltou outra vez, achou-os dormindo; porque os olhos deles estavam pesados, e não sabiam o que lhe responder.
৪০পরে তিনি আবার এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন কারণ তাঁদের চোখ ঘুমে ভারী হয়ে পড়েছিল, তারা যীশুকে কি উত্তর দেবে, তা তারা বুঝতে পারল না।
41 E veio a terceira vez, e disse-lhes: “Ainda estais dormindo e descansando? Basta, chegada é a hora. Eis que o Filho do homem é entregue em mãos dos pecadores.
৪১পরে তিনি তৃতীয় বার এসে তাদেরকে বললেন, এখনও কি তোমরা ঘুমাচ্ছ এবং বিশ্রাম করছ? যথেষ্ট হয়েছে; দিন এসেছ, দেখ, মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
42 Levantai-vos, vamos; eis que o que me trai está perto.
৪২উঠ, আমরা যাই; এই দেখ, যে লোক আমাকে ধরিয়ে দেবে, সে কাছে এসেছে। যীশুকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেয়।
43 E logo, enquanto ele ainda estava falando, veio Judas, que era um dos doze, e com ele uma multidão, com espadas e bastões, da parte dos chefes dos sacerdotes, dos escribas, dos anciãos.
৪৩আর তিনি যখন কথা বলছিলেন, সেই দিন যিহূদা, সেই বারো জনের একজন এল এবং তার সঙ্গে অনেক লোক তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে প্রধান যাজকদের, ব্যবস্থার শিক্ষকদের ও প্রাচীনদের কাছ থেকে এল।
44 E o que o traía lhes tinha dado um sinal comum, dizendo: “Ao que eu beijar, é esse; prendei-o, e levai-o em segurança.”
৪৪যে যীশুকে ধরিয়ে দিচ্ছিল, সে আগে থেকে তাদের এই চিহ্ন এর কথা বলেছিল, আমি যাকে চুম্বন করব, সেই ঐ লোক, তোমরা তাকে ধরে সাবধানে নিয়ে যাবে।
45 E quando veio, logo foi-se a ele, e disse-lhe: “Rabi”, e o beijou.
৪৫সে তখনি তাঁর কাছে গিয়ে বলল, গুরু; এই বলে তাঁকে উত্সাহের সঙ্গে চুম্বন করলো।
46 Então o agarraram, e o prenderam.
৪৬তখন তারা যীশুকে বেঁধে ধরে ফেলল।
47 E um dos que estavam ali presentes puxou a espada, feriu o servo do sumo sacerdote, e cortou-lhe a orelha.
৪৭কিন্তু যারা পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ভেতরে এক ব্যক্তি হাত বাড়িয়ে তরোয়াল বার করলেন এবং মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটা কান কেটে ফেললেন।
48 Jesus começou a lhes dizer: “Viestes me prender com espadas e bastões, como [se eu fosse] um bandido?
৪৮তখন যীশু তাদেরকে বললেন, “যেমন ডাকাতকে ধরা হয়, তেমনি কি তোমরা তরোয়াল ও লাঠি নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছো?
49 Todo dia eu estava convosco no templo, ensinando, e não me prendestes; mas [assim se faz] para que as Escrituras se cumpram.”
৪৯আমি প্রতিদিন ঈশ্বরের মন্দিরে বসে উপদেশ দিয়েছি, তখন তো আমাকে ধরলে না। কিন্তু শাস্ত্রের কথা গুলি সফল হওয়ার জন্য এরকম ঘটালে।”
50 Então todos o deixaram, e fugiram.
৫০তখন শিষ্যরা তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গেল।
51 E certo rapaz o seguia, envolto num lençol sobre o [corpo] nu. E o agarraram.
৫১আর, একজন যুবক উলঙ্গ চেহারায় কেবল একখানি চাদর পরে যীশুর পেছন পেছন যেতে লাগলো;
52 Mas ele largou o lençol, e fugiu nu.
৫২তারা যুবকটিকে ধরলে, সে সেই চাদরটি ফেলে উলঙ্গ হয়ে পালাল।
53 E levaram Jesus ao sumo sacerdote; e ajuntaram-se todos os chefes dos sacerdotes, os anciãos, e os escribas.
৫৩পরে তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে গেল; তাঁর সঙ্গে প্রধান যাজকরা, প্রাচীনরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা জড়ো হল।
54 E Pedro o seguiu de longe até dentro do pátio do sumo sacerdote, e ficou sentado com os oficiais, esquentando-se ao fogo.
৫৪আর পিতর দূরে দূরে থেকে তাঁর পেছন পেছন ভিতরে, মহাযাজকের উঠোন পর্যন্ত গেলেন এবং পাহারাদারদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলো।
55 E os chefes dos sacerdotes, e todo o supremo conselho buscavam [algum] testemunho contra Jesus, para o matarem, e não [o] achavam.
৫৫তখন প্রধান যাজকরা এবং সমস্ত মহাসভা যীশুকে বধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ খুঁজতে লাগল,
56 Porque muitos davam falso testemunho contra ele, mas os testemunhos não concordavam entre si.
৫৬কিন্তু অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষী এসে জুটলেও তাদের সাক্ষ্য মিললো না।
57 E alguns se levantavam e davam falso testemunho contra ele, dizendo:
৫৭পরে একজন দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়ে বলল,
58 “Nós o ouvimos dizer: Eu derrubarei este templo feito por mãos, e em três dias construirei outro feito não por mãos.
৫৮আমরা ওনাকে এই কথা বলতে শুনেছি, আমি এই হাতে তৈরী উপাসনার ঘর ভেঙে ফেলবো, আর তিন দিনের ভেতরে হাতে তৈরী নয় আর এক উপাসনার ঘর তৈরী করব।
59 E nem assim o testemunho deles era concordante.
৫৯এতে ও তাদের সাক্ষ্য মিললো না।
60 Então o sumo sacerdote levantou-se no meio, e perguntou a Jesus: “Não respondes nada? O que estes testemunham contra ti?”
৬০তখন মহাযাজক মাঝখানে দাঁড়িয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা কিসব বলছে?
61 Mas ele ficou calado, e nada respondeu. O sumo sacerdote voltou a lhe perguntar: “És tu o Cristo, o Filho daquele que é Bendito?”
৬১কিন্তু তিনি চুপচাপ থাকলেন, কোন উত্তর দিলেন না। আবার মহাযাজক তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, সেই মহিমার পুত্র?
62 Jesus respondeu: “Eu sou. E vereis o Filho do homem sentado à direita do Poderoso, e vindo com as nuvens do céu.”
৬২যীশু বললেন, “আমি সেই; আর এখন থেকে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের (সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের) ডান পাশে বসে থাকতে এবং আকাশের মেঘরথে আসতে দেখবে।”
63 E o sumo sacerdote, rasgando suas roupas, disse: “Para que mais necessitamos de testemunhas?
৬৩তখন মহাযাজক নিজের কাপড় ছিঁড়ে বললেন, আর সাক্ষীতে আমাদের কি দরকার?
64 Vós ouvistes a blasfêmia. Que vos parece?” E todos o condenaram como culpado de morte.
৬৪তোমরা ত ঈশ্বরনিন্দা শুনলে তোমাদের মতামত কি? তারা সবাই তাঁকে দোষী করে বলল, একে মেরে ফেলা উচিত।
65 E alguns começaram a cuspir nele, e a cobrir o rosto dele; e a dar-lhe de socos, e dizer-lhe: “Profetiza”. E os oficiais o receberam com bofetadas.
৬৫তখন কেউ কেউ তাঁর গায়ে থুথু দিতে লাগলো এবং তাঁর মুখ ঢেকে তাঁকে ঘুষি মারতে লাগলো, আর বলতে লাগলো, ঈশ্বরের বাক্য বল না? পরে পাহারাদাররা মারতে মারতে তাঁকে নিয়ে গেলো।
66 E, enquanto Pedro estava no pátio abaixo, veio uma das servas do sumo sacerdote.
৬৬পিতর যখন নীচে উঠোনে ছিলেন, তখন মহাযাজকের এক দাসী এল;
67 Quando ela viu Pedro, que estava sentado esquentando-se, olhou para ele, e disse: “Também tu estavas com Jesus, o Nazareno.”
৬৭সে পিতরকে আগুন পোহাতে দেখে তাঁর দিকে তাকিয়ে বলল, তুমিও ত সেই নাসরতীয়ের, সেই যীশুর, সঙ্গে ছিলে।
68 Mas ele negou, dizendo: “Não [o] conheço, nem sei o que dizes.”; e saiu para o alpendre.
৬৮কিন্তু পিতর স্বীকার না করে বলল, তুমি যা বলছ, আমি তা জানিও না, বুঝিও না। পরে তিনি বেরিয়ে দরজার কাছে গেলেন, আর মোরগ ডেকে উঠল।
69 A serva o viu, e começou a dizer outra vez aos que ali estavam: “Este é um deles”.
৬৯কিন্তু দাসী তাঁকে দেখে, যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, তাদেরকে বলতে লাগলো এই লোক তাদেরই একজন।
70 Mas ele o negou de novo. E pouco depois, outra vez os que ali estavam disseram a Pedro: “Verdadeiramente tu és um deles; pois também és galileu””.
৭০তিনি আবার অস্বীকার করলেন। কিছুক্ষণ পরে যারা কাছে দাঁড়িয়েছিল, আবার তারা পিতরকে বলল, ঠিকই বলছি তুমি তাদের একজন, কারণ তুমি গালীলিয় লোক।
71 Então ele começou a amaldiçoar e a jurar, [dizendo]: “Não conheço esse homem de quem dizeis.”
৭১পিতর নিজেকে অভিশাপের সঙ্গে এই শপথ নিয়ে বলতে লাগলেন, তোমরা যে লোকের কথা বলছো, তাকে আমি চিনি না।
72 Imediatamente o galo cantou a segunda vez. E Pedro se lembrou da palavra que Jesus havia lhe dito: “Antes que o galo cante duas vezes, tu me negarás três vezes.” Então ele retirou-se dali e chorou.
৭২তখনি দ্বিতীয়বার মোরগ ডেকে উঠল; তাতে যীশু এই যে কথা বলেছিলেন, মোরগ দুই বার ডাকবার আগে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে, সেই কথা পিতরের মনে পড়ল এবং তিনি সেই বিষয়ে মনে কোরে কাঁদতে লাগলেন।

< Marcos 14 >