Hioba 11
1 Wtedy Sofar z Naamy odpowiedział:
পরে নামাথীয় সোফর উত্তর দিলেন:
2 Czy nie należy odpowiedzieć na takie mnóstwo słów? Czy człowiek gadatliwy ma być usprawiedliwiony?
“এসব কথা কি উত্তর ছাড়াই থেকে যাবে? এই বাচাল লোকটি কি সমর্থন পেয়েই যাবে?
3 Czy ludzie mają milczeć na twoje kłamstwa? A gdy kpisz, nikt cię nie zawstydzi?
তোমার বাজে কথা কি অন্যান্য লোকদের চুপ করিয়ে রাখবে? তুমি যখন বিদ্রুপ করছ তখন কি কেউ তোমাকে তিরস্কার করবে না?
4 Powiedziałeś bowiem: Moja nauka jest czysta, jestem czysty w twoich oczach.
তুমি ঈশ্বরকে বলেছ, ‘আমার বিশ্বাস অটুট ও তোমার দৃষ্টিতে আমি নির্মল।’
5 O gdyby Bóg zechciał przemówić i otworzyć usta przeciwko tobie;
আহা, আমি চাই ঈশ্বর কথা বলুন, তিনি তোমার বিরুদ্ধে তাঁর ঠোঁট খুলুন
6 Gdyby objawił tajemnice mądrości – że zasługujesz na dwa razy większą [karę]. Poznaj więc, ile Bóg ci przebaczył za twoją nieprawość.
ও তোমার কাছে জ্ঞানের রহস্য উন্মোচন করুন, যেহেতু প্রকৃত জ্ঞানের দুটি দিক আছে। জেনে রাখো: ঈশ্বর তোমার কয়েকটি পাপ ভুলেও গিয়েছেন।
7 Czy wybadasz tajemnice Boga? Czy zgłębisz doskonałość Wszechmocnego?
“তুমি কি ঈশ্বরের রহস্যগুলির গভীরতা মাপতে পারো? সর্বশক্তিমানের সীমানার রহস্যভেদ করতে পারো?
8 Są wyżej niż niebiosa, co [możesz z tym] uczynić? Głębsze niż piekło, czy [możesz je] poznać? (Sheol h7585)
সেগুলি ঊর্ধ্বস্থ আকাশের চেয়েও উঁচু—তুমি কী করতে পারো? সেগুলি নিম্নস্থ পাতালের চেয়েও গভীর—তুমি কী জানতে পারো? (Sheol h7585)
9 Ich miara jest dłuższa niż ziemia i szersza niż morze.
তাদের মাপ পৃথিবীর চেয়েও দীর্ঘ ও সমুদ্রের চেয়েও প্রশস্ত।
10 Jeśli wycina, zamyka albo gromadzi, któż go powstrzyma?
“তিনি এসে যদি তোমায় জেলখানায় বন্দি করেন ও বিচারসভা বসান, তবে কে তাঁর বিরোধিতা করবে?
11 On bowiem zna marność ludzi i widzi niegodziwość. Czy miałby na to nie zważać?
নিশ্চয় তিনি প্রতারকদের চিনতে পারেন; ও তিনি যখন অনিষ্ট দেখেন, তখন কি তিনি তার হিসেব রাখেন না?
12 Człowiek nierozumny może nabyć rozumu, choć człowiek rodzi się jak źrebię dzikiego osła.
কিন্তু হীনবুদ্ধি কখনোই জ্ঞানী হতে পারবে না যেভাবে বুনো গর্দভশাবক মানুষ হয়ে জন্মাতে পারে না।
13 Jeśli przygotujesz swoje serce i wyciągniesz do niego swoje ręce;
“তবুও তুমি যদি তাঁর প্রতি তোমার অন্তর উৎসর্গ করো ও তাঁর দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও,
14 Jeśli w twoich rękach [jest] nieprawość, oddal ją i nie pozwól, aby niegodziwość mieszkała w twoich przybytkach.
তুমি যদি তোমার হাতে লেগে থাকা পাপ ঝেড়ে ফেলো ও তোমার তাঁবুতে কোনও অমঙ্গল বসবাস করতে না দাও,
15 Wtedy podniesiesz swoje oblicze bez zmazy, będziesz stały i nie będziesz się bał.
তবে, দোষমুক্ত হয়ে, তুমি তোমার মুখ তুলবে; তুমি সুস্থির থাকবে ও ভয় করবে না।
16 Zapomnisz bowiem o swojej udręce i wspomnisz ją tak jak wody, które przepłynęły.
নিশ্চয় তুমি তোমার দুর্দশা ভুলে যাবে, প্রবাহিত জলের মতো শুধু তা স্মরণ করবে।
17 I [twoje] życie będzie [jaśniejsze] niż południe; twoja ciemność będzie jak poranek.
জীবন মধ্যাহ্নের চেয়েও উজ্জ্বল হবে, ও অন্ধকার সকালের মতো হয়ে যাবে।
18 Będziesz ufał, mając nadzieję; będziesz kopać dokoła i odpoczniesz bezpiecznie.
তুমি নিশ্চিন্ত হবে, যেহেতু আশা আছে; তুমি সুরক্ষিত থাকবে ও নিরাপদে বিশ্রাম ভোগ করবে।
19 Położysz się i nikt cię nie przestraszy; wielu uniży się [przed] twoim obliczem.
তুমি শুয়ে পড়বে, ও কেউ তোমাকে ভয় দেখাবে না, ও অনেকেই তোমার সাহায্যপ্রার্থী হবে।
20 Ale oczy niegodziwych przygasną i nie będzie dla nich ucieczki, a ich nadzieja [będzie jak] wyzionięcie ducha.
কিন্তু দুর্জনদের চোখ নিস্তেজ হবে, ও পরিত্রাণ তাদের কাছ থেকে দূরে পালাবে; তাদের আশা মৃত্যুকালীন খাবিতে পরিণত হবে।”
