< Mateusza 17 >
1 A po sześciu dniach wziął Jezus Piotra i Jakóba i Jana, brata jego, i wprowadził je na górę wysoką osobno.
ছয় দিন পর, যীশু তাঁর সঙ্গে পিতর, যাকোব ও তাঁর ভাই যোহনকে নিয়ে অতি উচ্চ এক পর্বতে উঠলেন।
2 I przemieniony jest przed nimi, a rozjaśniło się oblicze jego jako słońce, a szaty jego stały się białe jako światłość.
সেখানে তিনি তাঁদের সামনে রূপান্তরিত হলেন। তাঁর মুখ সূর্যের মতো জ্যোতির্ময় হয়ে উঠল এবং তাঁর পোশাক আলোর মতো ধবধবে সাদা হয়ে উঠল।
3 A oto ukazali się im Mojżesz i Elijasz, z nim rozmawiający.
ঠিক সেই সময়, তাঁদের সামনে মোশি ও এলিয় আবির্ভূত হয়ে যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
4 I odpowiadając Piotr, rzekł do Jezusa: Panie! dobrze nam tu być; jeźli chcesz, uczynimy tu trzy namioty, tobie jeden, i Mojżeszowi jeden, i Elijaszowi jeden.
পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, এখানে থাকা আমাদের পক্ষে ভালোই হবে। আপনি যদি চান, আমি তিনটি তাঁবু নির্মাণ করি, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য ও একটি এলিয়ের জন্য।”
5 A gdy on jeszcze mówił, oto obłok jasny zacienił je; a oto głos z obłoku mówiący: Ten jest Syn mój miły, w którym mi się upodobało, tego słuchajcie.
তিনি তখনও কথা বলছেন, এমন সময় একটি উজ্জ্বল মেঘ তাঁদের ঢেকে ফেলল। আর মেঘ থেকে এক কণ্ঠস্বর ধ্বনিত হল, “ইনিই আমার পুত্র, যাঁকে আমি প্রেম করি; এঁর প্রতি আমি পরম প্রসন্ন। তোমরা এঁর কথা শোনো।”
6 To usłyszawszy uczniowie, upadli na twarz swoję i bali się bardzo.
শিষ্যেরা একথা শুনে ভূমিতে উবুড় হয়ে পড়লেন এবং অত্যন্ত ভীত হলেন।
7 Tedy przystąpiwszy Jezus dotknął się ich i rzekł: Wstańcie, a nie bójcie się.
কিন্তু যীশু এসে তাঁদের স্পর্শ করে বললেন, “ওঠো, ভয় কোরো না।”
8 A oni podniósłszy oczy swoje, nikogo nie widzieli, tylko Jezusa samego.
তাঁরা যখন চোখ তুলে তাকালেন, তাঁরা আর কোনো মানুষকে দেখতে পেলেন না, কেবলমাত্র যীশু একা সেখানে ছিলেন।
9 A gdy zstępowali z góry, przykazał im Jezus, mówiąc: Nikomu nie powiadajcie tego widzenia, aż Syn człowieczy zmartwychwstanie.
পর্বত থেকে নেমে আসার সময়, যীশু তাঁদের এই আদেশ দিলেন, “মনুষ্যপুত্র মৃতলোক থেকে উত্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত, তোমরা যা দেখলে সেকথা কাউকে বোলো না।”
10 I pytali go uczniowie jego, mówiąc: Cóż tedy nauczeni w Piśmie powiadają, że ma Elijasz pierwej przyjść?
শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “শাস্ত্রবিদরা তাহলে কেন বলেন যে, এলিয়কে অবশ্যই প্রথমে আসতে হবে?”
11 A Jezus odpowiadając, rzekł im: Elijaszci pierwej przyjdzie i naprawi wszystko;
যীশু উত্তর দিলেন, “একথা নিশ্চিত যে, এলিয় এসে সব বিষয় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবেন।
12 Ale wam powiadam: Iż Elijasz już przyszedł, wszakże nie poznali go, ale uczynili mu, cokolwiek chcieli; takci i Syn człowieczy ma ucierpieć od nich.
কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয় ইতিমধ্যে এসে গেছেন, আর তারা তাঁকে চিনতে পারেনি। তারা তাঁর প্রতি যেমন ইচ্ছা, তেমনই ব্যবহার করেছে। একইভাবে, মনুষ্যপুত্রও তাদের হাতে কষ্টভোগ করতে চলেছেন।”
13 Tedy zrozumieli uczniowie, że o Janie Chrzcicielu mówił do nich.
শিষ্যেরা তখন বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাঁদের বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের কথা বলছেন।
14 A gdy przyszli do ludu, przystąpił do niego człowiek, i upadł przed nim na kolana,
তাঁরা যখন অনেক লোকের মাঝে এলেন, একজন লোক যীশুর সামনে এসে নতজানু হয়ে বলল,
15 I rzekł: Panie! zmiłuj się nad synem moim: albowiem lunatykiem jest, i ciężko się trapi; częstokroć bowiem wpada w ogień, i częstokroć w wodę.
“প্রভু, আমার পুত্রের প্রতি দয়া করুন, সে মৃগীরোগগ্রস্ত এবং অত্যন্ত যন্ত্রণাভোগ করছে। সে প্রায়ই আগুনে বা জলে লাফ দিয়ে পড়ে।
16 I przywiodłem go do uczniów twoich, ale go nie mogli uzdrowić.
আপনার শিষ্যদের কাছে আমি তাকে এনেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারেননি।”
17 A odpowiadając Jezus, rzekł: O rodzaju niewierny i przewrotny! Dokądże będę z wami? Dokądże was będę cierpiał? przywiedźcie mi go sam.
যীশু উত্তর দিলেন, “ওহে অবিশ্বাসী ও পথভ্রষ্ট প্রজন্ম, আমি কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকব? আমি কত কাল তোমাদের সহ্য করব? ছেলেটিকে এখানে আমার কাছে নিয়ে এসো।”
18 I zgromił onego dyjabła Jezus; i wyszedł od niego, i uzdrowiony jest on młodzieniec od onejże godziny.
যীশু সেই ভূতকে ধমক দিলেন, এতে ছেলেটির মধ্য থেকে সে বের হয়ে এল, আর সেই মুহূর্ত থেকে সে সুস্থ হয়ে উঠল।
19 Tedy przystąpiwszy uczniowie do Jezusa osobno, rzekli mu: Czemużeśmy go my wygnać nie mogli?
তারপর শিষ্যেরা গোপনে যীশুর কাছে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কেন ওটি ছাড়াতে পারলাম না?”
20 Lecz Jezus rzekł do nich: Dla niedowiarstwa waszego; zaprawdę bowiem powiadam wam: Jeźlibyście, mając wiarę jako ziarno gorczyczne, rzekli tej górze: Przenieś się stąd na ono miejsce, tedy się przeniesie, a nic niemożebnego wam nie będzie.
তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ তোমাদের বিশ্বাস অতি অল্প। আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমাদের বিশ্বাস যদি সর্ষের দানা যেমন ক্ষুদ্র তেমনই হয়, তোমরা এই পর্বতটিকে বলবে, ‘এখান থেকে ওখানে সরে যাও,’ আর সেটি সরে যাবে। তোমাদের পক্ষে কোনো কিছুই অসম্ভব থাকবে না।”
21 Ale ten rodzaj nie wychodzi, tylko przez modlitwę i przez post.
কিন্তু প্রার্থনা ও উপোস ছাড়া এই জাতি কোনো কিছুতেই বের হয় না।
22 A gdy przebywali w Galilei, rzekł do nich Jezus: Syn człowieczy będzie wydany w ręce ludzkie;
পরে তারা যখন গালীলে একত্র হলেন, তিনি তাদের বললেন, “মনুষ্যপুত্রকে লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
23 I zabiją go, ale trzeciego dnia zmartwychwstanie. I zasmucili się bardzo.
তারা তাঁকে হত্যা করবে, কিন্তু তৃতীয় দিনে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠবেন।” এতে শিষ্যেরা খুব দুঃখিত হলেন।
24 A gdy przyszli do Kapernaum, przystąpili do Piotra ci, którzy podatek wybierali, i rzekli: Izali nauczyciel wasz nie daje podatku?
যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা কফরনাহূমে উপস্থিত হলে পর মন্দিরের দুই-দ্রাকমা কর আদায়কারীরা এসে পিতরকে জিজ্ঞাসা করল, “তোমাদের গুরুমহাশয় কি মন্দিরের কর দেন না?”
25 I rzekł: Tak. A gdy wchodził w dom, uprzedził go Jezus, mówiąc: Cóż ci się zda, Szymonie? Królowie ziemscy od kogoż biorą cło albo czynsz? od synów swoich, czyli od obcych?
তিনি উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, তিনি দেন।” পিতর যখন বাড়িতে ফিরে এলেন, যীশুই প্রথমে জিজ্ঞাসা করলেন, “শিমোন, তুমি কী মনে করো, পৃথিবীর রাজারা কার কাছ থেকে শুল্ক ও কর আদায় করে থাকেন—তাঁর নিজের সন্তানদের কাছে, না অন্যদের কাছ থেকে?”
26 Rzekł mu Piotr: Od obcych. I rzekł mu Jezus: Toć tedy synowie są wolni.
পিতর উত্তর দিলেন, “অন্যদের কাছ থেকে।” যীশু তাকে বললেন, “তাহলে তো সন্তানেরা দায়মুক্ত!
27 Wszakże abyśmy ich nie zgorszyli, szedłszy do morza, zarzuć wędkę, a tę rybę, która najpierwej uwięźnie, weźmij, a otworzywszy gębę jej, znajdziesz stater, który wziąwszy, daj im za mię i za się.
কিন্তু আমরা যেন তাদের মনে আঘাত না দিই, এই কারণে তুমি সাগরে গিয়ে তোমার বড়শি ফেলো। প্রথমে যে মাছটি তুমি ধরবে, সেটি নিয়ে তার মুখ খুললে তুমি চারদিনের পারিশ্রমিকের সমান একটি মুদ্রা পাবে। সেটি নিয়ে তোমার ও আমার কর-বাবদ ওদের দিয়ে দাও।”