Marka 11
1 A gdy się przybliżyli do Jeruzalemu i do Betfagie i do Betanii ku górze oliwnej, posłał dwóch z uczniów swoich,
১পরে যখন তাঁরা যিরূশালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ে বৈৎফগী গ্রামে ও বৈথনিয়া গ্রামে এলেন, তখন তিনি নিজের শিষ্যদের মধ্য দুই জনকে পাঠিয়ে দিলেন,
2 I rzekł im: Idźcie do miasteczka, które jest przeciwko wam, a wszedłszy do niego, zaraz znajdziecie oślę uwiązane, na którem nikt z ludzi nie siedział; odwiążcież je, a przywiedźcie.
২তাদের বললেন, “তোমরা সামনের ঐ গ্রামে যাও; গ্রামে ঢোকা মাত্রই মুখে দেখবে একটি গাধার বাচ্চা বাঁধা আছে, যার ওপরে কোন মানুষ কখনও বসেনি; সেটাকে খুলে আন।”
3 A jeźliby wam kto rzekł: Cóż to czynicie? Powiedzcie, iż go Pan potrzebuje; a wnet je tu pośle.
৩আর যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, এ কাজ কেন করছ? তবে বল, এটাকে আমাদের প্রভুর দরকার আছে; সে তখনই গাধাটাকে এখানে পাঠিয়ে দেবে।
4 Szli tedy i znaleźli oślę uwiązane u drzwi na dworze na rozstaniu dróg, i odwiązali je.
৪তখন তারা গিয়ে দেখতে পেলো, একটি গাধার বাচ্চা দরজার কাছাকাছি বাইরে বাঁধা রয়েছে, আর তারা তাকে খুলতে লাগলো।
5 Tedy niektórzy z onych, co tam stali, mówili: Cóż czynicie, że odwiązujecie oślę?
৫এবং সেখানে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের ভিতরে কেউ কেউ বলল, গাধার বাচ্চাটাকে খুলে কি করছ?
6 A oni im rzekli, jako im był rozkazał Jezus. I puścili je.
৬যীশু শিষ্যদের যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, তারা লোকদেরকে সেই রকম বলল, আর তারা তাদেরকে সেটা নিয়ে যেতে দিল।
7 Przywiedli tedy oślę do Jezusa, i włożyli na nie szaty swoje; i wsiadł na nie.
৭তারপর শিষ্যরা গাধার বাচ্চাটিকে যীশুর কাছে এনে তার ওপরে নিজেদের কাপড় পেতে দিলেন; আর যীশু তার ওপরে বসলেন।
8 A wiele ich słali szaty swoje na drodze; drudzy zasię obcinali gałązki z drzew, i słali na drodze.
৮তারপর লোকেরা নিজের নিজের কাপড় রাস্তায় পেতে দিল ও অন্য লোকেরা বাগান থেকে ডালপালা কেটে এনে পথে ছড়িয়ে দিল।
9 A którzy wprzód szli, i którzy pozad szli, wołali, mówiąc: Hosanna, błogosławiony, który idzie w imieniu Pańskiem!
৯আর যে সমস্ত লোক তাঁর আগে ও পেছনে যাচ্ছিল, তারা খুব জোরে চেঁচিয়ে বোলতে লাগলো, হোশান্না! ধন্য, যিনি প্রভুর নামে আসছেন!
10 Błogosławione królestwo ojca naszego Dawida, które przyszło w imieniu Pańskiem! Hosanna na wysokościach!
১০ধন্য যে স্বর্গরাজ্য আসছে আমাদের পিতা দায়ূদের রাজ্য উচ্চ স্থানে হোশান্না।
11 I wjechał Jezus do Jeruzalemu i przyszedł do kościoła, a obejrzawszy wszystko, gdy już była wieczorna godzina, wyszedł do Betanii z dwunastoma.
১১পরে তিনি যিরূশালেমে এসে মন্দিরে গেলেন, চারপাশের সব কিছু দেখতে দেখতে বেলা শেষ হয়ে এলে সেই বারো জনের সঙ্গে বের হয়ে বৈথনিয়াতে চলে গেলেন।
12 A drugiego dnia, gdy wychodzili z Betanii, łaknął.
১২পরের দিন তাঁরা বৈথনিয়া থেকে বেরিয়ে আসার পর যীশুর খিদে পেলো;
13 I ujrzawszy z daleka figowe drzewo, mające liście, przyszedł, jeźliby snać co na niem znalazł; a gdy do niego przyszedł, nic nie znalazł, tylko liście; bo nie był czas figom.
১৩কিছু দূর থেকে পাতায় ভরা একটা ডুমুরগাছ তিনি দেখতে পেলেন, যখন তিনি গাছটা দেখতে এগিয়ে গেলেন তখন দেখলেন শুধু পাতা ছাড়া আর কোনো ফল নেই; কারণ তখন ডুমুর ফলের দিন ছিল না।
14 A odpowiadając Jezus, rzekł mu: Niechajże więcej na wieki nikt z ciebie owocu nie je. A słyszeli to uczniowie jego. (aiōn g165)
১৪তিনি গাছটির দিকে তাকিয়ে বললেন, এখন থেকে আর কেউ কখনও তোমার ফল খাবে না। একথা তাঁর শিষ্যরা শুনতে পেলো। (aiōn g165)
15 I przyszli do Jeruzalemu; a wszedłszy Jezus do kościoła, począł wyganiać sprzedawające i kupujące w kościele, i poprzewracał stoły tych, co pieniędzmi handlowali, i stołki tych, co sprzedawali gołębie;
১৫পরে তাঁরা যিরূশালেমে এলেন, পরে যীশু ঈশ্বরের উপাসনা গৃহে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক মন্দিরে কেনা বেচা করছিল, সেই সবাইকে বের করে দিতে লাগলেন এবং যারা টাকা বদল করার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল, তাদের সব কিছু উল্টিয়ে ফেললেন,
16 A nie dopuścił, żeby kto miał nieść naczynie przez kościół.
১৬আর মন্দিরের ভেতর দিয়ে কাউকে কোন জিনিস নিয়ে যেতে দিলেন না।
17 I nauczał, mówiąc im: Azaż nie napisano: Że dom mój, dom modlitwy będzie nazwany od wszystkich narodów? a wyście go uczynili jaskinią zbójców.
১৭আর তিনি শিষ্যদের শিক্ষা দিলেন এবং বললেন, এটা কি লেখা নেই, “আমার ঘরকে সব জাতির প্রার্থনার ঘর বলা যাবে”? কিন্তু তোমরা এটাকে “ডাকাতদের গুহায় পরিণত করেছো।”
18 A słyszeli to nauczeni w Piśmie i przedniejsi kapłani i szukali, jakoby go stracili; albowiem się go bali, przeto iż wszystek lud zdumiewał się nad nauką jego.
১৮একথা শুনে প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে কিভাবে মেরে ফেলবে, তারই চেষ্টা করতে লাগলো; কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, কারণ তাঁর শিক্ষায় সব লোক অবাক হয়েছিল।
19 A gdy przyszedł wieczór, wyszedł z miasta.
১৯সন্ধ্যেবেলায় তাঁরা শহরের বাইরে যেতেন।
20 A rano idąc mimo figowe drzewo, ujrzeli, iż z korzenia uschło.
২০সকালবেলায় তাঁরা যেতে যেতে দেখলেন, সেই ডুমুরগাছটী শেকড় সহ শুকিয়ে গেছে।
21 Tedy wspomniawszy Piotr, rzekł mu: Mistrzu! oto figowe drzewo, któreś przeklął, uschło.
২১তখন পিতর আগের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, গুরুদেব, দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, সেটি শুকিয়ে গেছে।
22 A Jezus odpowiadając, rzekł im: Miejcie wiarę w Boga.
২২যীশু তাদেরকে বললেন, ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ।
23 Bo zaprawdę powiadam wam, iż ktobykolwiek rzekł tej górze: Podnieś się, a rzuć się w morze, a nie wątpiłby w sercu swojem, leczby wierzył, że się stanie, co mówi, stanie się mu, cokolwiek rzecze.
২৩আমি তোমাদের সত্যি কথা বলছি যে কেউ এই পর্বতকে বলে সরে সমুদ্রে গিয়ে পড়, এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যা তিনি বললেন তা ঘটবে, তবে তার জন্য তাই হবে।
24 Przetoż powiadam wam: O cokolwiekbyście, modląc się, prosili, wierzcie, że weźmiecie, a stanie się wam.
২৪এই জন্য আমি তোমাদের বলি, যা কিছু তোমরা প্রার্থনা করো ও চাও, বিশ্বাস কর যে, তা পেয়েছ, তাতে তোমাদের জন্য তাই হবে।
25 A gdy stoicie modląc się, odpuśćcież, jeźli co przeciw komu macie, aby i Ojciec wasz, który jest w niebiesiech, odpuścił wam upadki wasze.
২৫আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করতে দাঁড়াও, যদি কারোর বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে ক্ষমা কোর; যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের সব পাপ ক্ষমা করেন।
26 Bo jeźli wy nie odpuścicie, i Ojciec wasz, który jest w niebiesiech, nie odpuści wam upadków waszych.
২৬
27 I przyszli znowu do Jeruzalemu. A gdy się on przechodził po kościele, przystąpili do niego przedniejsi kapłani i nauczeni w Piśmie i starsi;
২৭পরে তাঁরা আবার যিরূশালেমে এলেন; আর যীশু মন্দিরের ভেতরে বেড়াচ্ছেন সে দিনের প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা তাঁর কাছে এসে বলল,
28 I mówili do niego: Którąż to mocą czynisz? a kto ci dał tę moc, abyś to czynił?
২৮“তুমি কোন ক্ষমতায় এই সব করছ? আর কেই বা তোমাকে এই সব করার ক্ষমতা দিয়েছে?”
29 Tedy Jezus odpowiadając, rzekł im: Spytam was i ja o jednę rzecz; odpowiedzcież mi, a powiem, którą mocą to czynię.
২৯যীশু উত্তরে তাদের বললেন, আমিও তোমাদের একটি কথা জিজ্ঞাসা করব, যদি তোমরা আমাকে উত্তর দাও তাহলে আমি তোমাদের বলবো, কোন ক্ষমতায় আমি এসব করছি।
30 Chrzest Jana z niebaż był, czyli z ludzi? Odpowiedzcie mi.
৩০যোহনের বাপ্তিষ্ম কি স্বর্গরাজ্য থেকে হয়েছিল, না মানুষের থেকে? আমাকে সে কথার উত্তর দাও।
31 I rozbierali to sami między sobą, mówiąc: Jeźli powiemy, z nieba, rzecze: Przeczżeście mu tedy nie wierzyli?
৩১তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, যদি বলি স্বর্গ থেকে, তাহলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?
32 A jeźli powiemy, z ludzi, bojemy się ludu; albowiem wszyscy Jana mieli za prawdziwego proroka.
৩২আবার যদি বলি, মানুষের কাছ থেকে তবে? তাঁরা লোকদের ভয় করতেন, কারণ সবাই যোহনকে সত্যি একজন ভাববাদী বোলে মনে করত।
33 Tedy odpowiadając rzekli Jezusowi: Nie wiemy. Jezus też odpowiadając rzekł im: I ja wam nie powiem, którą mocą to czynię.
৩৩তখন তারা যীশুকে বললেন, আমরা জানি না। তখন যীশু তাদের বললেন, তবে আমিও কি ক্ষমতায় এসব করছি, তোমাদের বলব না।
