Hioba 2
1 I stało się niektórego dnia, gdy przyszli synowie Boży, aby stanęli przed Panem, przyszedł też szatan między nich, aby stanął przed Panem.
অন্য আর একদিন স্বর্গদূতেরা সদাপ্রভুর সামনে নিজেদের উপস্থিত করার জন্য এলেন, এবং শয়তানও তাদের সঙ্গে নিজেকে তাঁর সামনে উপস্থিত করার জন্য এল।
2 Tedy rzekł Pan do szatana: Gdzieś był, skąd idziesz? I odpowiedział szatan Panu, a rzekł: Okrążałem ziemię, i przechodziłem się po niej.
আর সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “তুমি কোথা থেকে এলে?” শয়তান সদাপ্রভুকে উত্তর দিল, “পৃথিবীর সর্বত্র এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করে এলাম।”
3 Zatem rzekł Pan do szatana: Przypatrzyłżeś się słudze memu Ijobowi, że mu nie masz równego na ziemi? Mąż to doskonały i szczery, bojący się Boga, a odstępujący od złego, i który jeszcze trwa w uprzejmości swojej; a tyś mię pobudził przeciw niemu, abym go niszczył bez przyczyny.
পরে সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “আমার দাস ইয়োবের দিকে কি তোমার নজর পড়েছে? পৃথিবীতে তার মতো আর কেউ নেই; সে অনিন্দনীয় ও ন্যায়পরায়ণ এমন এক মানুষ, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে ও কুকর্ম এড়িয়ে চলে। আর সে এখনও তার সততা বজায় রেখেছে, যদিও বিনা কারণে তার সর্বনাশ করার জন্য তুমি তার বিরুদ্ধে আমাকে প্রণোদিত করেছ।”
4 I odpowiedział szatan Panu, i rzekł: Skórę za skórę, i wszystko, co ma człowiek, da za duszę swoję;
“চামড়ার জন্য চামড়া!” শয়তান উত্তর দিল। “একজন মানুষ তার নিজের জীবনের জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে পারে।
5 Ale ściągnij tylko rękę twoję, a dotknij kości jego, i ciała jego, ujrzysz, jeźliżeć w oczy złorzeczyć nie będzie.
কিন্তু এখন তোমার হাত বাড়াও ও তার মাংসে ও হাড়ে আঘাত হানো, আর সে নিশ্চয় তোমার মুখের উপরেই তোমাকে অভিশাপ দেবে।”
6 Tedy rzekł Pan do szatana: Oto w ręce twojej jest; wszakże żywot jego zachowaj.
সদাপ্রভু শয়তানকে বললেন, “ঠিক আছে, সে তোমারই হাতে রইল; কিন্তু তোমাকে তার প্রাণটি অব্যাহতি দিতে হবে।”
7 Wszedłszy tedy szatan od oblicza Pańskiego, zaraził Ijoba wrzodem złym od stopy nogi jego aż do wierzchu głowy jego;
অতএব শয়তান সদাপ্রভুর কাছ থেকে চলে গেল এবং ইয়োবের পায়ের তলা থেকে তার মাথার তালু পর্যন্ত বেদনাদায়ক ঘা উৎপন্ন করে তাঁকে পীড়িত করল।
8 Tak, że wziął skorupę, aby się nią skrobał; i siedział w popiele.
তখন ইয়োব এক টুকরো খাপরা তুলে নিলেন এবং ছাই-গাদায় বসে নিজের গা চুলকাতে লাগলেন।
9 I rzekła mu żona jego: A jeszczeż trwasz w uprzejmosci twojej? Złorzecz Bogu, a umrzyj.
তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, “এখনও কি তুমি তোমার সততা বজায় রাখার চেষ্টা করছ? ঈশ্বরকে অভিশাপ দাও ও মরে যাও!”
10 I rzekł do niej: Tak właśnie mówisz, jako szalone niewiasty mawiają. Izali tylko dobre przyjmować będziemy od Boga, a złego przyjmować nie będziemy? W tem wszystkiem nie zgrzeszył Ijob usty swemi.
তিনি উত্তর দিলেন, “তুমি একজন মূর্খ মহিলার মতো কথা বলছ। আমরা কি ঈশ্বরের কাছ থেকে মঙ্গলই গ্রহণ করব আর দুঃখকষ্ট গ্রহণ করব না?” এসব কিছুতে, ইয়োব তাঁর কথাবার্তার মাধ্যমে পাপ করেননি।
11 A gdy usłyszeli trzej przyjaciele Ijobowi to wszystko utrapienie, które nań przypadło, przyszli każdy z miejsca swego: Elifas Temańczyk, i Bildad Suhytczyk, i Sofar Naamatczyk; bo się byli namówili pospołu, aby przyszedłszy pożałowali go, i cieszyli go.
ইয়োবের তিন বন্ধু, তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্দদ ও নামাথীয় সোফর যখন তাঁর উপর এসে পড়া সব বিপত্তির কথা শুনতে পেলেন, তখন তারা ঘর থেকে বেরিয়ে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁকে সহানুভূতি জানানোর ও সান্তনা দেওয়ার জন্য সহমত প্রকাশ করে একত্রিত হলেন।
12 A podniósłszy oczy swoje z daleka, nie poznali go, i wyniósłszy głos swój płakali, a rozdarłszy każdy płaszcz swój miotali proch nad głowy swe ku niebu;
দূর থেকে ইয়োবকে দেখে তাদের তাঁকে চিনতে খুব কষ্ট হল; তারা জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন, এবং তাদের আলখাল্লাগুলি ছিঁড়ে ফেললেন ও মাথায় ধুলো ছড়ালেন।
13 I siedzieli z nim na ziemi siedm dni i siedm nocy, a żaden do niego słowa nie przemówił; bo widzieli, że się gwałtownie wzmagała boleść jego.
পরে তাঁর সাথে তারা সাত দিন, সাত রাত মাটিতে বসে থাকলেন। কেউ তাঁকে কোনও কথা বললেন না, কারণ তারা দেখলেন যে তাঁর পীড়া খুবই কষ্টদায়ক।
