Izajasza 40
1 Cieszcie, cieszcie lud mój! mówi Bóg wasz.
১তোমাদের ঈশ্বর বলছেন, “আমার লোকদের সান্ত্বনা দাও, সান্ত্বনা দাও।
2 Mówcie do serca Jeruzalemu: ogłaszajcie mu, że się już dopełnił czas postanowiony jego, że jest odpuszczona nieprawość jego, i że wziął z ręki Pańskiej w dwójnasób za wszystkie grzechy swoje.
২যিরূশালেমের লোকদের সঙ্গে নরমভাবে কথা বল, আর তাদের কাছে এই কথা ঘোষণা কর যে, তাদের লড়াইয়ের দিন শেষ হয়েছে, তাদের পাপের ক্ষমা হয়েছে, যা সে তার সমস্ত পাপ প্রভুর হাত থেকে দ্বিগুন পেয়েছে।”
3 Głos wołającego na puszczy: Gotujcie drogę Pańską, prostą czyńcie na pustyni ścieszkę Boga naszego.
৩এক জনের কণ্ঠস্বর চিৎকার করে জানাচ্ছে, “তোমরা মরুপ্রান্তে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর; অরাবাতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য একটা সোজা রাস্তা তৈরী কর।
4 Każda dolina niech podniesiona będzie, a każda góra i pagórek niech poniżony będzie; co jest krzywego, niech się wyprostuje, a miejsca nierówne niech będą równiną.
৪প্রত্যেক উপত্যকাকে তোলা হবে এবং প্রত্যেক পাহাড় ও পর্বতকে সমান করা হবে, উঁচু নিচু জায়গা সমান মাপের করা হবে, আর অসমান জমি সমান করা হবে।
5 Bo się objawi chwała Pańska, a ujrzy wszelkie ciało społem, iż usta Pańskie mówiły.
৫এবং সদাপ্রভুর গৌরব প্রকাশিত হবে, আর সমস্ত মানুষ তা একসঙ্গে দেখবে; কারণ সদাপ্রভু এই সব কথা বলেছেন।”
6 Głos mówiącego: Wołaj. I rzekł: Cóż mam wołać? To: Wszelkie ciało jest trawa, a wszystka zacność jego jako kwiat polny.
৬এক জনের কণ্ঠস্বর বলছে, “ঘোষণা কর।” আমি বললাম, “আমি কি ঘোষণা করব?” “সব মানুষই ঘাসের মত, মাঠের ফুলের মতই তাদের চুক্তির বিশ্বস্ততা।
7 Trawa usycha, kwiat opada; skoro wiatr Pański powionie nań; zaprawdęć ludzie są tą trawą.
৭ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে পড়ে, যখন সদাপ্রভুর নিঃশ্বাস সেগুলোর উপর দিয়ে বয়ে যায়। অবশ্যই মানুষ ঘাসের মত।
8 Trawa usycha, kwiat opada; ale słowo Boga naszego trwa na wieki.
৮ঘাস শুকিয়ে যায় আর ফুলও ঝরে পড়ে, কিন্তু আমাদের ঈশ্বরের বাক্য অনন্তকালস্থায়ী।”
9 Wstąp sobie na górę wysoką, Syonie! który opowiadasz rzeczy ucieszne. Podnieś mocno głos twój, Jeruzalemie! które opowiadasz rzeczy pocieszne; podnieś, nie bój się, rzecz miastom Judzkim: Oto Bóg wasz.
৯হে তুমি যে সুখবর সিয়োনে যিরূশালেম থেকে নিয়ে আসছ, তুমি উঁচু পাহাড়ে গিয়ে ওঠো। হে ইউমী কে সুখবর নিয়ে আসছি যিরূশালেমে, তুমি জোরে চিৎকার কর, চিৎকার কর, ভয় কোরো না; যিহূদার শহরগুলোকে বল, “এই তো তোমাদের ঈশ্বর!”
10 Oto panujący Pan przyjdzie przeciwko mocnemu, a ramię jego panować będzie nad nim; oto zapłata jego z nim, a dzieło jego przed nim.
১০দেখ, প্রভু সদাপ্রভু শক্তির সঙ্গে আসছেন, তাঁর শক্তিশালী হাত তাঁর হয়ে রাজত্ব করছে। দেখ, পুরষ্কার তাঁর সঙ্গে আছে, তাঁর পাওনা তাঁর কাছেই আছে।
11 Jako pasterz trzodę swoję paść będzie; do naręcza swego zgromadzi baranki, i na łonie swem piastować je będzie, a kotne zwolna poprowadzi.
১১তিনি রাখালের মত তাঁর ভেড়ার পাল চরাবেন, ভেড়ার বাচ্চাদের তিনি হাতে তুলে নেবেন আর কোলে করে তাদের বয়ে নিয়ে যাবেন; বাচ্চা আছে এমন ভেড়ীদের তিনি আস্তে আস্তে চালিয়ে নিয়ে যাবেন।
12 Kto zmierzył wody garścią swoją, a niebiosa piędzią rozmierzył? a kto proch ziemi miarą zmierzył? kto zważył na wadze góry, a pagórki na szalach?
১২কে তার হাতের তালুতে পৃথিবীর সব জল মেপেছে কিম্বা তার বিঘত দিয়ে আকাশের সীমানা মেপেছে? কে পৃথিবীর ধুল মাপের ঝুড়িতে ভরেছে কিম্বা দাঁড়িপাল্লায় পাহাড়-পর্বত ওজন করেছে?
13 Któż doścignął ducha Pańskiego, a kto radcą jego był, żeby mu oznajmił?
১৩কে সদাপ্রভুর মন মাপতে পেরেছে কিম্বা তাঁর পরামর্শদাতা হিসাবে তাঁকে উপদেশ দিয়েছে?
14 Z kim wszedł w radę, żeby mu rozumu przydał, a nauczył go ścieżek sądu? Kto go nauczył umiejętności, a drogę wszelakiej roztropności ukazał mu?
১৪কারো থেকে কি তিনি কখনো পরামর্শ নিয়েছেন? আর কাজ করার সঠিক পথ কে তাঁকে দেখিয়ে দিয়েছে, কে তাঁকে জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছে কিম্বা বোঝার রাস্তা দেখিয়েছেন?
15 Oto narody są jako kropla z wiadra, a jako proszek na szalach poczytane są; wyspy jako najmniejszą rzecz porywa.
১৫দেখ, দেশ গুলো যেন কলসীর মধ্যে জলের একটা ফোঁটা; দাঁড়িপাল্লায় ধূলিকণার মতই তাদের মনে করা হয়। দেখ দ্বীপপুঞ্জকে তিনি ক্ষুদ্র কনার মতন পরিমাপ করেন।
16 I Liban nie wystarczyłby ku wznieceniu ognia, i zwierzęta jego nie wystarczyłyby na całopalenie.
১৬আগুন জ্বালাবার জন্য লিবানোনের কাঠ আর হোমবলি উৎসর্গের জন্য লিবানোনের পশু যথেষ্ট নয়।
17 Wszystkie narody są jako nic przed nim; za nic i za marność poczytane są u niego.
১৭সমস্ত জাতি তাঁর সামনে যথেষ্ট নয়; সেগুলোকে তিনি কিছু বলেই মনে করেন না; সেগুলো তাঁর কাছে অসার।
18 Komuż tedy podobnym uczynicie Boga? A jakie podobieństwo przyrównacie mu?
১৮তবে কার সঙ্গে তোমরা ঈশ্বরের তুলনা করবে? তুলনা করবে কিসের সঙ্গে?
19 Rzemieślnik uleje bałwana a złotnik złotem go powlecze, i łańcuszki srebrne do niego odleje.
১৯প্রতিমা, কারিগরেরা যা ছাঁচে ঢেলে বানায়; স্বর্ণকার তা সোনা দিয়ে মোড়ে আর তার জন্য রূপোর শিকল তৈরী করে।
20 A ten, który dla ubóstwa nie ma co ofiarować, obiera drzewo, któreby nie próchniało, i rzemieślnika umiejętnego sobie szuka, aby wygotował bałwana rytego, któryby się nie poruszył.
২০একজন উত্সর্গের জন্য যে কাঠ পচবে না সেই কাঠই বেছে নেয়। যাতে না পড়ে যায় এমন প্রতিমা তৈরীর জন্য সে একজন পাকা কারিগরের খোঁজ করে।
21 Izali nie wiecie? Izali nie słyszycie? Izali się wam nie opowiada od początku? Izali nie zrozumiewacie od założenia gruntów ziemi?
২১তোমরা কি জান না? তোমরা কি শোন নি? শুরু থেকেই কি তোমাদের সে কথা বলা হয়নি? পৃথিবী স্থাপনের দিন থেকে কি তোমরা বোঝ নি?
22 Ten, który siedzi nad okręgiem ziemi, której obywatele są jako szarańcza; ten, który rozpostarł niebiosa jako cienkie płótno, a rozciągnął je, jako namiot ku mieszkaniu:
২২পৃথিবীর দিগন্তের উপরে তিনিই সিংহাসনে বসে আছেন, আর পৃথিবীবাসী তার সম্মুখে গঙ্গাফড়িংয়ের মত। চাঁদোয়ার মত করে তিনি আকাশকে বিছিয়ে দিয়েছেন, বসবাসের তাঁবুর মত করে তা খাটিয়ে দিয়েছেন।
23 Tenci książąt w niwecz obraca, sędziów ziemskich jako nic rozprasza.
২৩তিনি রাজাদের ক্ষমতাশূন্য করেন আর এই জগতের শাসনকর্ত্তাদের তুচ্ছ করেন।
24 Że nie bywają szczepieni ani wsiani, ani się też wkorzeni w ziemi pień ich; i jako jedno powienie na nich, wnet usychają, a wicher jako źdźbło unosi ich.
২৪দেখ, যেই তাদের লাগানো হয়, যেই তাদের বোনা হয়, যেই তারা মাটিতে শিকড় বসায়, অমনি তিনি তাদের উপর ফুঁ দেন আর তারা শুকিয়ে যায়; একটা ঘূর্ণিবাতাস খড়কুটোর মত করে তাদের উড়িয়ে নিয়ে যায়।
25 Komuż mię tedy przyrównacie, abym mu był podobny? mówi Święty.
২৫সেই পবিত্রজন বলছেন, “তোমরা কার সঙ্গে আমার তুলনা করবে? কে আমার সমান?”
26 Podnieście ku górze oczy wasze, a obaczcie! Kto to stworzył? kto wywiódł w poczcie wojsko ich, a to wszystko z imienia przyzywa, według wielkości siły, i wielkiej mocy, tak, że ani jedno z nich nie zginie?
২৬চোখ তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখ; কে ঐ সব তারাদের সৃষ্টি করেছেন? তিনিই তারাগুলোকে এক এক করে বের করে এনেছেন; তিনিই তাদের প্রত্যেকের নাম ধরে ডাকেন। তাঁর মহাক্ষমতা ও মহাশক্তির জন্য তাদের একটাও হারিয়ে যায় না।
27 Przeczże tedy powiadasz, Jakóbie! przeczże tak mówisz Izraelu: Skryta jest droga moja przed Panem, a sprawa moja przed Boga mego nie przychodzi?
২৭হে যাকোব, কেন তুমি বলছ, হে ইস্রায়েল, কেন তুমি এই নালিশ করছ, “আমার পথ সদাপ্রভুর কাছ থেকে লুকানো রয়েছে, আমার ন্যায়বিচার পাবার অধিকার আমার ঈশ্বর অগ্রাহ্য করেছেন”?
28 Izali nie wiesz? izaliś nie słyszał, że Bóg wieczny Pan, który stworzył granice ziemi, nie ustanie, ani się spracuje, i że nie może być dościgniona mądrość jego?
২৮তোমরা কি জান না? তোমরা কি শোননি? সদাপ্রভু, যিনি চিরকাল স্থায়ী ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীর শেষ সীমার সৃষ্টিকর্ত্তা, তিনি দুর্বল হন না, ক্লান্তও হন না; তাঁর জ্ঞানের কোনো সীমা নেই।
29 Który dodaje spracowanemu siły, a tego, który nie ma żadnej siły, moc rozmnaża.
২৯তিনি ক্লান্তকে শক্তি দেন আর দুর্বলদের আবার শক্তিমান করেন।
30 Młódź ustaje i omdlewa, a młodzieńcy w młodości upadają:
৩০অল্পবয়সীরা পর্যন্ত দুর্বল হয় ও ক্লান্ত হয় আর যুবকেরা হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়,
31 Ale którzy oczekują Pana, nabywają nowej siły; podnoszą się piórami jako orły, bieżą a nie spracują się, chodzą a nie ustawają.
৩১কিন্তু যারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে তারা আবার নতুন শক্তি পাবে। তারা ঈগল পাখীর মত ডানা মেলে উঁচুতে উড়বে; তারা দৌড়ালে ক্লান্ত হবে না, তারা হাঁটলে দুর্বল হবে না।
