< Marka 11 >

1 Gdy zbliżali się do Betfage i Betanii w pobliżu Jerozolimy i znaleźli się pod Górą Oliwną, Jezus wysłał przed sobą dwóch uczniów:
পরে যখন তাঁরা যিরূশালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ে বৈৎফগী গ্রামে ও বৈথনিয়া গ্রামে এলেন, তখন তিনি নিজের শিষ্যদের মধ্য দুই জনকে পাঠিয়ে দিলেন,
2 —Idźcie do najbliższej wsi—powiedział. —Zaraz przy wejściu do niej znajdziecie uwiązanego osiołka, na którym jeszcze nikt nie jechał. Odwiążcie go i przyprowadźcie tutaj.
তাদের বললেন, “তোমরা সামনের ঐ গ্রামে যাও; গ্রামে ঢোকা মাত্রই মুখে দেখবে একটি গাধার বাচ্চা বাঁধা আছে, যার ওপরে কোন মানুষ কখনও বসেনি; সেটাকে খুলে আন।”
3 A gdyby ktoś was pytał, po co go bierzecie, powiedzcie po prostu: „Pan go potrzebuje i zaraz odprowadzi”.
আর যদি কেউ তোমাদেরকে বলে, এ কাজ কেন করছ? তবে বল, এটাকে আমাদের প্রভুর দরকার আছে; সে তখনই গাধাটাকে এখানে পাঠিয়ে দেবে।
4 Poszli więc i znaleźli osiołka uwiązanego przed domem. Gdy go odwiązali,
তখন তারা গিয়ে দেখতে পেলো, একটি গাধার বাচ্চা দরজার কাছাকাছি বাইরে বাঁধা রয়েছে, আর তারা তাকে খুলতে লাগলো।
5 stojący tam ludzie zapytali: —Czemu go zabieracie?
এবং সেখানে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদের ভিতরে কেউ কেউ বলল, গাধার বাচ্চাটাকে খুলে কি করছ?
6 Odpowiedzieli, że Jezus im tak rozkazał, a wtedy ludzie ci już im nie przeszkadzali.
যীশু শিষ্যদের যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, তারা লোকদেরকে সেই রকম বলল, আর তারা তাদেরকে সেটা নিয়ে যেতে দিল।
7 Gdy przyprowadzili osiołka, zarzucili płaszcze na jego grzbiet, tak by Jezus mógł na nim siedzieć.
তারপর শিষ্যরা গাধার বাচ্চাটিকে যীশুর কাছে এনে তার ওপরে নিজেদের কাপড় পেতে দিলেন; আর যীশু তার ওপরে বসলেন।
8 Wielu zaś ludzi rozkładało na drodze swoje płaszcze i rzucało zielone gałązki.
তারপর লোকেরা নিজের নিজের কাপড় রাস্তায় পেতে দিল ও অন্য লোকেরা বাগান থেকে ডালপালা কেটে এনে পথে ছড়িয়ে দিল।
9 A cały tłum przed Nim i wokół Niego wołał: —Niech żyje Król! Błogosławiony Ten, który przychodzi w imieniu Pana!
আর যে সমস্ত লোক তাঁর আগে ও পেছনে যাচ্ছিল, তারা খুব জোরে চেঁচিয়ে বোলতে লাগলো, হোশান্না! ধন্য, যিনি প্রভুর নামে আসছেন!
10 Błogosławione królestwo, które On ustanowi, królestwo naszego przodka Dawida! Chwała Królowi!
১০ধন্য যে স্বর্গরাজ্য আসছে আমাদের পিতা দায়ূদের রাজ্য উচ্চ স্থানে হোশান্না।
11 W ten sposób Jezus wjechał do Jerozolimy. Wszedł do świątyni, rozejrzał się dokładnie i wyszedł, ponieważ zbliżał się wieczór, a On wraz z Dwunastoma miał jeszcze udać się do Betanii.
১১পরে তিনি যিরূশালেমে এসে মন্দিরে গেলেন, চারপাশের সব কিছু দেখতে দেখতে বেলা শেষ হয়ে এলে সেই বারো জনের সঙ্গে বের হয়ে বৈথনিয়াতে চলে গেলেন।
12 Następnego dnia rano, wychodząc z Betanii, Jezus poczuł głód.
১২পরের দিন তাঁরা বৈথনিয়া থেকে বেরিয়ে আসার পর যীশুর খিদে পেলো;
13 W pobliżu zauważył zazielenione drzewo figowe. Podszedł więc, by zobaczyć, czy nie znajdzie na nim fig. Na drzewie były jednak tylko liście, bo nie była to pora owocowania.
১৩কিছু দূর থেকে পাতায় ভরা একটা ডুমুরগাছ তিনি দেখতে পেলেন, যখন তিনি গাছটা দেখতে এগিয়ে গেলেন তখন দেখলেন শুধু পাতা ছাড়া আর কোনো ফল নেই; কারণ তখন ডুমুর ফলের দিন ছিল না।
14 Wtedy Jezus powiedział do drzewa: —Już nigdy więcej nie przyniesiesz owocu! Uczniowie zapamiętali te słowa. (aiōn g165)
১৪তিনি গাছটির দিকে তাকিয়ে বললেন, এখন থেকে আর কেউ কখনও তোমার ফল খাবে না। একথা তাঁর শিষ্যরা শুনতে পেলো। (aiōn g165)
15 Gdy powrócili do Jerozolimy, Jezus wszedł do świątyni i zaczął wypędzać z niej wszystkich sprzedawców oraz kupujących. Powywracał stoły wymieniających pieniądze oraz stragany sprzedawców gołębi,
১৫পরে তাঁরা যিরূশালেমে এলেন, পরে যীশু ঈশ্বরের উপাসনা গৃহে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক মন্দিরে কেনা বেচা করছিল, সেই সবাইকে বের করে দিতে লাগলেন এবং যারা টাকা বদল করার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল, তাদের সব কিছু উল্টিয়ে ফেললেন,
16 a tym, którzy wnosili różne towary, zabronił wchodzić.
১৬আর মন্দিরের ভেতর দিয়ে কাউকে কোন জিনিস নিয়ে যেতে দিলেন না।
17 Powiedział do nich: —Pismo mówi: „Moja świątynia ma być domem modlitwy dla wszystkich narodów, a wy zrobiliście z niej kryjówkę złodziei”.
১৭আর তিনি শিষ্যদের শিক্ষা দিলেন এবং বললেন, এটা কি লেখা নেই, “আমার ঘরকে সব জাতির প্রার্থনার ঘর বলা যাবে”? কিন্তু তোমরা এটাকে “ডাকাতদের গুহায় পরিণত করেছো।”
18 Gdy najwyżsi kapłani i inni przywódcy religijni dowiedzieli się o tym, poczuli się zagrożeni. Usiłowali więc znaleźć sposób, aby się pozbyć Jezusa. Byli jednak bardzo ostrożni, ponieważ bali się rozruchów. Tłumy bowiem były zachwycone Jego nauką.
১৮একথা শুনে প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে কিভাবে মেরে ফেলবে, তারই চেষ্টা করতে লাগলো; কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, কারণ তাঁর শিক্ষায় সব লোক অবাক হয়েছিল।
19 Tak jak poprzednio, również i tego wieczoru Jezus wraz z uczniami opuścił miasto.
১৯সন্ধ্যেবেলায় তাঁরা শহরের বাইরে যেতেন।
20 Następnego dnia rano, gdy przechodzili obok tego samego drzewa figowego, spostrzegli, że uschło aż od korzeni.
২০সকালবেলায় তাঁরা যেতে যেতে দেখলেন, সেই ডুমুরগাছটী শেকড় সহ শুকিয়ে গেছে।
21 Wtedy Piotr, przypomniał sobie, co poprzedniego dnia Jezus powiedział do drzewa, i krzyknął: —Nauczycielu, patrz! Drzewo, które przekląłeś, uschło!
২১তখন পিতর আগের কথা মনে করে তাঁকে বললেন, গুরুদেব, দেখুন, আপনি যে ডুমুরগাছটিকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, সেটি শুকিয়ে গেছে।
22 —Jeśli będziecie mieć wiarę w Boga—odpowiedział Jezus
২২যীশু তাদেরকে বললেন, ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখ।
23 —rozkażecie tej oto górze: „Unieś się i rzuć w morze!”—a uczyni to. Wasza wiara musi być jednak prawdziwa, pozbawiona zwątpień.
২৩আমি তোমাদের সত্যি কথা বলছি যে কেউ এই পর্বতকে বলে সরে সমুদ্রে গিয়ে পড়, এবং মনে মনে সন্দেহ না করে, কিন্তু বিশ্বাস করে যে, যা তিনি বললেন তা ঘটবে, তবে তার জন্য তাই হবে।
24 Pamiętajcie: Jeśli prosicie o coś w modlitwie, wierzcie, że już to otrzymaliście, a wasza prośba zostanie spełniona.
২৪এই জন্য আমি তোমাদের বলি, যা কিছু তোমরা প্রার্থনা করো ও চাও, বিশ্বাস কর যে, তা পেয়েছ, তাতে তোমাদের জন্য তাই হবে।
25 Lecz zanim będziecie się modlić, przebaczcie najpierw winy innym ludziom, aby wasz Ojciec w niebie i wam przebaczył grzechy.
২৫আর তোমরা যখনই প্রার্থনা করতে দাঁড়াও, যদি কারোর বিরুদ্ধে তোমাদের কোন কথা থাকে, তাকে ক্ষমা কোর; যেন তোমাদের স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের সব পাপ ক্ষমা করেন।
26 Bo jeśli wy nie darujecie innym, również Ojciec w niebie nie przebaczy wam waszych win.
২৬
27 Gdy ponownie przybyli do Jerozolimy i Jezus spacerował po terenie świątyni, podeszli do Niego najwyżsi kapłani wraz z innymi przywódcami religijnymi i starszymi,
২৭পরে তাঁরা আবার যিরূশালেমে এলেন; আর যীশু মন্দিরের ভেতরে বেড়াচ্ছেন সে দিনের প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা তাঁর কাছে এসে বলল,
28 pytając Go: —Jakim prawem wyrzuciłeś ze świątyni sprzedawców? Kto dał ci taką władzę?
২৮“তুমি কোন ক্ষমতায় এই সব করছ? আর কেই বা তোমাকে এই সব করার ক্ষমতা দিয়েছে?”
29 —Odpowiem wam, jeśli i wy odpowiecie na moje pytanie—odparł Jezus.
২৯যীশু উত্তরে তাদের বললেন, আমিও তোমাদের একটি কথা জিজ্ঞাসা করব, যদি তোমরা আমাকে উত্তর দাও তাহলে আমি তোমাদের বলবো, কোন ক্ষমতায় আমি এসব করছি।
30 —Czy chrzest, do którego wzywał Jan Chrzciciel, pochodził od Boga, czy był tylko ludzkim wymysłem?
৩০যোহনের বাপ্তিষ্ম কি স্বর্গরাজ্য থেকে হয়েছিল, না মানুষের থেকে? আমাকে সে কথার উত্তর দাও।
31 Wtedy zaczęli się naradzać nad odpowiedzią: —Jeśli powiemy, że pochodził od Boga, to zapyta nas „Czemu go nie przyjęliście?”.
৩১তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, যদি বলি স্বর্গ থেকে, তাহলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?
32 A jeśli powiemy, że był ludzkim wymysłem, to tłumy się oburzą, bo wszyscy przecież wierzą, że Jan był prorokiem.
৩২আবার যদি বলি, মানুষের কাছ থেকে তবে? তাঁরা লোকদের ভয় করতেন, কারণ সবাই যোহনকে সত্যি একজন ভাববাদী বোলে মনে করত।
33 —Nie potrafimy na to odpowiedzieć—rzekli w końcu. —Wobec tego i Ja nie odpowiem na wasze pytanie—odparł Jezus.
৩৩তখন তারা যীশুকে বললেন, আমরা জানি না। তখন যীশু তাদের বললেন, তবে আমিও কি ক্ষমতায় এসব করছি, তোমাদের বলব না।

< Marka 11 >