< ایوب 34 >
ای مردان حکیم و دانا به من گوش دهید. | 1 |
পরে ইলীহূ বললেন:
“হে জ্ঞানীগুণীরা, আমার কথা শুনুন; হে পণ্ডিত ব্যক্তিরা, আমার কথায় কর্ণপাত করুন।
همچنانکه زبان طعم غذای خوب را میفهمد همانگونه نیز گوش سخنان درست را تشخیص میدهد؛ | 3 |
জিভ যেভাবে খাদ্যের স্বাদ যাচাই করে কানও সেভাবে কথার পরীক্ষা করে।
پس بیایید آنچه را که خوب و درست است تشخیص داده، آن را اختیار کنیم. | 4 |
আসুন, যা ন্যায্য আমরা তা আমাদের জন্য ঠিক করে নিই; আসুন, যা ভালো আমরা তা একসাথে শিখে নিই।
ایوب گفته است: «من گناهی ندارم، ولی خدا مرا گناهکار میداند. | 5 |
“ইয়োব বলছেন, ‘আমি নির্দোষ, কিন্তু ঈশ্বর আমার প্রতি ন্যায়বিচার করেননি।
هر چند که تقصیری ندارم او مرا دروغگو میداند. با اینکه هیچ خطایی نکردهام، اما سخت تنبیه شدهام.» | 6 |
আমি যদিও ন্যায়বান, তাও আমাকে মিথ্যাবাদীরূপে গণ্য করা হয়েছে; আমি যদিও নিরপরাধ, তাও তাঁর তির এক দুরারোগ্য আঘাত দিয়েছে।’
ببینید ایوب چه حرفهای توهینآمیزی میزند! حتماً با بدکاران همنشین بوده است! | 7 |
ইয়োবের মতো আর কেউ কি আছেন, যিনি জলের মতো অবজ্ঞা পান করেন?
তিনি দুর্বৃত্তদের সঙ্গ দেন; তিনি দুর্জনদের সহযোগী হন।
زیرا میگوید: «برای انسان چه فایدهای دارد که در صدد خشنود ساختن خدا برآید؟» | 9 |
কারণ তিনি বলেছেন, ‘ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে কোনও লাভ নেই।’
ای کسانی که فهم و شعور دارید، به من گوش دهید. چطور ممکن است خدای قادر مطلق، بدی و ظلم بکند؟ | 10 |
“তাই হে বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা, আমার কথা শুনুন। এ হতেই পারে না যে ঈশ্বর অমঙ্গল করবেন, সর্বশক্তিমান অন্যায় করবেন।
او هر کس را موافق عملش جزا میدهد. | 11 |
মানুষের কর্মের ফলই তিনি প্রত্যেককে দেন; তাদের আচরণ অনুসারে তাদের যা প্রাপ্য তিনি তাদের তাই দেন।
براستی که خدای قادر مطلق، بدی و بیانصافی نمیکند. | 12 |
চিন্তাও করা যায় না যে ঈশ্বর অন্যায় করবেন, সর্বশক্তিমান ন্যায়বিচার বিকৃত করবেন।
اقتدار و اختیار تمام جهان در دست اوست. | 13 |
পৃথিবীর উপরে কে তাঁকে নিযুক্ত করেছে? সমগ্র জগতের দায়িত্ব কে তাঁর হাতে সঁপে দিয়েছে?
اگر خدا اراده کند که روح و نفس خود را از انسان بگیرد، | 14 |
যদি তাঁর ইচ্ছা হত এবং তিনি তাঁর আত্মা ও শ্বাসবায়ু ফিরিয়ে নিতেন,
اثری از زندگی در او باقی نمیماند و او به خاک باز میگردد. | 15 |
তবে সমগ্র মানবজাতি একসাথে ধ্বংস হয়ে যেত ও মানবসমাজ ধুলোতে ফিরে যেত।
حال، اگر فهم داری، گوش کن. | 16 |
“আপনার যদি বোধশক্তি থাকে, তবে শুনুন; আমি যা বলছি তাতে কর্ণপাত করুন।
اگر خدا از عدالت و انصاف متنفر بود آیا میتوانست جهان را اداره کند؟ آیا میخواهی آن داور بزرگ را محکوم کنی؟ | 17 |
যে ন্যায়বিচার ঘৃণা করে সে কি শাসন করবে? আপনি কি ন্যায়পরায়ণ ও পরাক্রমী ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করবেন?
او کسی است که پادشاهان و نجبا را به بدکاری و بیانصافی متهم میکند، | 18 |
তিনিই কি সেই ব্যক্তি নন, যিনি রাজাদের বলেন, ‘তোমরা অপদার্থ,’ ও অভিজাত লোকজনকে বলেন, ‘তোমরা দুষ্ট,’
هرگز از قدرتمندان طرفداری نمینماید و ثروتمند را بر فقیر ترجیح نمیدهد، زیرا همهٔ انسانها آفریدهٔ دست او هستند. | 19 |
যিনি রাজপুরুষদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখান না এবং দরিদ্রদের তুলনায় ধনীদের বেশি প্রশ্রয় দেন না, কারণ তারা সবাই তাঁরই হাতের কর্ম?
خدا میتواند نیمهشب در یک لحظه جان انسان را بگیرد و با یک اشاره قدرتمندترین انسانها را از پای درآورد. | 20 |
এক পলকে, মাঝরাতেই তাদের মৃত্যু হয়; মানুষজন প্রকম্পিত হয় ও তারা মারা যায়; পরাক্রমীরা মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই অপসারিত হয়।
خدا تمام کارهای انسان را به دقت زیر نظر دارد و همه را میبیند. | 21 |
“নশ্বর মানুষের পথের প্রতি তাঁর দৃষ্টি আছে; তিনি তাদের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ লক্ষ্য করেন।
هیچ ظلمتی نمیتواند آدمهای بدکار را از نظر او پنهان سازد. | 22 |
এমন কোনও গভীর অন্ধকার, গাঢ় ছায়া নেই, যেখানে দুর্বৃত্তেরা গিয়ে লুকাতে পারে।
پس خدا احتیاجی ندارد که برای داوری کردن انسان صبر کند. | 23 |
ঈশ্বরকে আর মানুষের পরীক্ষা করতে হবে না, যেন বিচারিত হওয়ার জন্য তাদের তাঁর সামনে আসতে হয়।
بیآنکه نیازی به تحقیق و بررسی باشد خدا قدرتمندان را خرد و متلاشی میکند و دیگران را به جای آنها مینشاند، | 24 |
বিনা তদন্তে তিনি পরাক্রমীদের চূর্ণবিচূর্ণ করেন ও তাদের স্থানে তিনি অন্যদের নিযুক্ত করেন।
زیرا او از کارهای ایشان آگاه است و در یک شب ایشان را سرنگون میسازد. | 25 |
কারণ তিনি তাদের কাজকর্ম লক্ষ্য করেন, রাতারাতি তিনি তাদের উৎখাত করেন ও তারা চূর্ণ হয়।
او آنها را در حضور همگان به سزای اعمالشان میرساند، | 26 |
তাদের দুষ্টতার জন্য তিনি এমন এক স্থানে তাদের দণ্ড দেন যেখানে সবাই তাদের দেখতে পায়,
چون از پیروی او انحراف ورزیده به احکام او توجهی نکردهاند، | 27 |
কারণ তারা তাঁর অনুগমন করা থেকে ফিরে গিয়েছে ও তাঁর কোনো পথের প্রতি তাদের মনে কোনো কদর নেই।
و آنچنان بر فقرا ظلم نمودهاند که فریادشان به گوش خدا رسیده است. بله، خدا نالهٔ مظلومان را میشنود. | 28 |
তাদের কারণে দরিদ্রদের আর্তনাদ তাঁর কাছে পৌঁছেছে, ও অভাবগ্রস্তদের কান্না তিনি শুনে ফেলেছেন।
وقتی او آرام است، کیست که بتواند او را مضطرب کند؟ و چون روی خود را بپوشاند، کیست که بتواند او را ببیند؟ هیچ قومی و هیچ انسانی نمیتواند. | 29 |
কিন্তু তিনি যদি নীরব থাকেন, কে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করবে? তিনি যদি তাঁর মুখ ঢেকে রাখেন, কে তাঁকে দেখতে পাবে? তবুও তিনি ব্যক্তিবিশেষ ও জাতি উভয়ের উপরেই বিরাজমান,
او نمیگذارد بدکاران بر مردم حکومت رانند و آنها را اسیر کنند. | 30 |
যেন অধার্মিকেরা শাসন করতে না পারে, ও প্রজাদের জন্য ফাঁদ বিছাতে না পারে।
ای ایوب، آیا گناهانت را پیش خدا اعتراف نمودهای؟ آیا به او قول دادهای که دیگر گناه نکنی؟ | 31 |
“ধরুন কেউ ঈশ্বরকে বলছে, ‘আমি দোষী কিন্তু আমি আর অপরাধ করব না।
آیا از خدا خواستهای که خطاهایت را به تو نشان دهد؟ آیا حاضری از آنها دست بکشی؟ | 32 |
আমি যা দেখতে পাই না তা আমাকে শিক্ষা দাও; আমি যদি অন্যায় করে থাকি, তবে আমি আর তা করব না।’
آیا عدالت خدا باید مطابق خواسته های تو باشد؟ حال آنکه تو او را طرد کردهای؟ تصمیم با توست، نه با من. بگو چه فکر میکنی. | 33 |
যখন আপনি অনুতাপ করতে রাজি হচ্ছেন না তখন ঈশ্বর কি আপনার শর্তে আপনাকে পুরস্কৃত করবেন? আমাকে নয়, আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে; তাই বলুন আপনি কী জানেন।
هر انسان فهمیده و با شعوری این حرف مرا تصدیق خواهد کرد که تو مثل آدم نادان حرف میزنی. | 34 |
“বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা ঘোষণা করবেন, যারা আমার কথা শুনেছেন সেই জ্ঞানবানেরা আমায় বলবেন,
‘ইয়োব অজ্ঞের মতো কথা বলছেন; তাঁর কথায় অন্তর্দৃষ্টির অভাব আছে।’
ای ایوب، کاش به نهایت آزموده شوی، چون مثل شریران پاسخ میدهی | 36 |
ওহো, একজন দুষ্টলোকের মতো উত্তর দেওয়ার জন্য যদি ইয়োবের চরম পরীক্ষা নেওয়া যেত!
و نافرمانی را بر گناهان دیگر خود افزودهای و با بیحرمتی و با خشم بر ضد خدا سخن میگویی. | 37 |
তাঁর পাপে তিনি বিদ্রোহও যোগ করেছেন; ঘৃণাপূর্ণভাবে তিনি আমাদের মধ্যে হাততালি দিয়েছেন ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন।”