< اشعیا 36 >
در چهاردمین سال سلطنت حِزِقیا؛ سنحاریب، پادشاه آشور تمام شهرهای حصاردار یهودا را محاصره نموده، تسخیر کرد. | 1 |
রাজা হিষ্কিয়ের রাজত্বকালের চর্তুদশ বছরে আসিরিয়ার রাজা সন্হেরীব যিহূদার সব সুরক্ষিত নগর আক্রমণ করে সেগুলি দখল করে নিয়েছিলেন।
سپس لشکری را به سرپرستی فرماندهٔ قوای خود از لاکیش به اورشلیم نزد حِزِقیای پادشاه فرستاد. او بر سر راه مزرعهٔ رخت شورها نزد قنات برکهٔ بالا اردو زد. | 2 |
তারপর আসিরিয়ার রাজা তাঁর সৈন্যদলের কর্মকর্তা রব্শাকিকে বড়ো এক সৈন্যদলের সঙ্গে লাখীশ থেকে জেরুশালেমে, রাজা হিষ্কিয়ের কাছে প্রেরণ করলেন। যখন সেই সৈন্যাধ্যক্ষ রজকদের ভূমি অভিমুখে, উচ্চতর পুষ্করিণীর জলপ্রণালীর কাছে এসে থামলেন,
اِلیاقیم (پسر حلقیا)، سرپرست امور دربار حِزِقیای پادشاه؛ شبنا، کاتب و یوآخ (پسر آساف)، وقایعنگار دربار نزد او رفتند. | 3 |
তখন রাজপ্রাসাদের পরিচালক হিল্কিয়ের পুত্র ইলিয়াকীম, সচিব শিব্ন ও আসফের পুত্র লিপিকার যোয়াহ বের হয়ে তাঁর কাছে গেলেন।
فرماندهٔ قوای آشور این پیغام را برای حِزِقیا فرستاد: «پادشاه بزرگ آشور میگوید که تو به چه کسی امید بستهای؟ | 4 |
সেই সৈন্যাধ্যক্ষ তাদের বললেন, “তোমরা গিয়ে হিষ্কিয়কে বলো, “‘মহান রাজাধিরাজ, আসিরিয়ার রাজা এই কথা বলেন: তোমাদের এই আত্মনির্ভরতা কীসের উপরে প্রতিষ্ঠিত?
تو که از تدابیر جنگی و قدرت نظامی برخوردار نیستی، بگو چه کسی تکیهگاه توست که اینچنین بر ضد من قیام کردهای؟ | 5 |
তোমরা বলছ যে তোমাদের কাছে যুদ্ধ করার বুদ্ধিপরামর্শ ও শক্তি আছে—কিন্তু তোমরা আসলে শুধু শূন্যগর্ভ কথাই বলছ। কার উপর তুমি নির্ভর করছ, যে আমার বিরুদ্ধেই তুমি বিদ্রোহ করে বসেছ?
اگر به مصر تکیه میکنی، بدان که این عصای دست تو، نی ضعیفی است که طاقت وزن تو را ندارد و بهزودی میشکند و به دستت فرو میرود. هر که به پادشاه مصر امید ببندد عاقبتش همین است! | 6 |
এখন দেখো, আমি জানি তোমরা মিশরের উপরে নির্ভর করেছ। সে হল থ্যাঁৎলানো নলখাগড়ার মতো লাঠি, যা কোনো মানুষের হাতকে বিদ্ধ করে! তেমনি মিশরের রাজা ফরৌণ যারা তার উপরে নির্ভর করে।
اگر شما بگویید به یهوه، خدای خود تکیه میکنیم، بدانید که او همان خدایی است که حِزِقیا تمام معبدهای او را که بر فراز تپهها بودند خراب کرده و دستور داده است که همهٔ مردم در برابر مذبح اورشلیم عبادت کنند. | 7 |
আর যদি তোমরা আমাকে বলো, “আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপরে নির্ভর করি,” তাহলে তিনি কি সেই ঈশ্বর নন, যার উঁচু পীঠস্থানগুলি ও বেদিগুলি হিষ্কিয় অপসারণ করেছেন এবং যিহূদা ও জেরুশালেমকে এই কথা বলেছেন, “তোমরা অবশ্যই এই যজ্ঞবেদির সামনে উপাসনা করবে”?
من از طرف آقایم، پادشاه آشور حاضرم با شما شرط ببندم. اگر بتوانید دو هزار اسب سوار پیدا کنید من دو هزار اسب به شما خواهم داد تا بر آنها سوار شوند! | 8 |
“‘এবারে এসো, আমার মনিব আসিরিয়ার রাজার সাথে একটি চুক্তি করো: আমি তোমাদের দুই হাজার অশ্ব দেব, যদি তোমরা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অশ্বারোহী দিতে পারো!
حتی اگر مصر هم به شما اسب سوار بدهد باز به اندازهٔ یک افسر سادهٔ آقایم قدرت نخواهید داشت. | 9 |
তা যদি না হয়, তাহলে কীভাবে তোমরা আমার মনিবের নগণ্যতম কর্মকর্তাদের মধ্যে মাত্র একজনকেও হঠিয়ে দিতে পারবে, যদিও তোমরা রথ ও অশ্বারোহীদের জন্য মিশরের উপর নির্ভর করছ?
آیا خیال میکنید من بدون دستور خداوند به اینجا آمدهام؟ نه! خداوند به من فرموده است تا به سرزمین شما هجوم آورم و نابودش کنم!» | 10 |
এছাড়াও, আমি কি সদাপ্রভুর অনুমতি ছাড়াই এই দেশ আক্রমণ করে ধ্বংস করতে এসেছি? সদাপ্রভু স্বয়ং আমাকে বলেছেন, এই দেশের বিরুদ্ধে সমরাভিযান করে তা ধ্বংস করতে।’”
آنگاه اِلیاقیم، شبنا و یوآخ به او گفتند: «تمنا میکنیم به زبان ارامی صحبت کنید، زیرا ما آن را میفهمیم. به زبان عبری حرف نزنید، چون مردمی که بر بالای حصارند به حرفهای شما گوش میدهند.» | 11 |
তখন ইলিয়াকীম, শিব্ন ও যোয়াহ সেই সৈন্যাধ্যক্ষকে বললেন, “দয়া করে আপনি আপনার দাসদের কাছে অরামীয় ভাষায় কথা বলুন, কারণ আমরা তা বুঝতে পারি। প্রাচীরের উপরে বসে থাকা লোকদের কর্ণগোচরে আমাদের সঙ্গে হিব্রু ভাষায় কথা বলবেন না।”
ولی فرماندهٔ آشور جواب داد: «مگر سرورم مرا فرستاده است که فقط با شما و پادشاه صحبت کنم؟ مگر مرا نزد این مردمی که روی حصار جمع شدهاند نفرستاده است؟ آنها هم به سرنوشت شما محکومند تا از نجاست خود بخورند و از ادرار خود بنوشند!» | 12 |
কিন্তু সেই সৈন্যাধ্যক্ষ উত্তর দিলেন, “আমার মনিব কি এই সমস্ত কথা কেবলমাত্র তোমাদের মনিব ও তোমাদের কাছে বলতে পাঠিয়েছেন, কিন্তু প্রাচীরের উপরে ওই বসে থাকা লোকদের কাছে নয়—যারা তোমাদেরই মতো নিজেদের মল ভোজন ও নিজেদেরই মূত্র পান করবে?”
آنگاه فرماندهٔ آشور با صدای بلند به زبان عبری به مردمی که روی حصار شهر بودند گفت: «به پیغام پادشاه بزرگ آشور گوش دهید: | 13 |
তারপরে সেই সৈন্যাধ্যক্ষ দাঁড়িয়ে জোরে জোরে হিব্রু ভাষায় বলতে লাগলেন, “তোমরা মহান রাজাধিরাজ, আসিরীয় রাজার কথা শোনো!
نگذارید حِزِقیای پادشاه شما را فریب دهد. او هرگز نمیتواند شما را از چنگ من برهاند. | 14 |
সেই মহারাজ এই কথা বলেন: হিষ্কিয় তোমাদের সঙ্গে প্রতারণা না করুক। সে তোমাদের উদ্ধার করতে পারবে না!
او شما را وادار میکند به خدا توکل کنید و میگوید: خداوند بدون شک ما را خواهد رهانید و این شهر به دست پادشاه آشور نخواهد افتاد! | 15 |
হিষ্কিয় তোমাদের এই কথা বলে যেন বিশ্বাস না জন্মায় যে, ‘সদাপ্রভু অবশ্যই আমাদের উদ্ধার করবেন; এই নগর আসিরিয়ার রাজার হাতে সমর্পিত হবে না।’
«اما شما به حِزِقیای پادشاه گوش ندهید. پادشاه آشور میگوید که تسلیم شوید و در سرزمین خود با امنیت و آرامش زندگی کنید | 16 |
“তোমরা হিষ্কিয়ের কথা শুনবে না। আসিরীয় রাজা এই কথা বলেন: আমার সঙ্গে সন্ধিচুক্তি করে তোমরা আমার কাছে বেরিয়ে এসো। তাহলে তোমরা তখন প্রত্যেকে নিজের নিজের আঙুর ও ডুমুর গাছ থেকে ফল পেড়ে খাবে ও নিজের নিজের কুয়ো থেকে জলপান করবে,
تا زمانی که بیایم و شما را به سرزمینی دیگر ببرم که مانند سرزمین شما پر از نان و شراب، غله و عسل، و درختان انگور و زیتون است. اگر چنین کنید زنده خواهید ماند. | 17 |
যতক্ষণ না আমি এসে তোমাদেরই স্বদেশের মতো এক দেশে তোমাদের নিয়ে যাই—যে দেশ শস্যের ও নতুন দ্রাক্ষারসের, যে দেশ রুটির ও দ্রাক্ষাক্ষেত্রের।
پس به حِزِقیا گوش ندهید، زیرا شما را فریب میدهد و میگوید که خداوند شما را خواهد رهانید. آیا تاکنون خدایان دیگر هرگز توانستهاند بندگان خود را از چنگ پادشاه آشور نجات دهند؟ | 18 |
“হিষ্কিয় একথা বলে তোমাদের বিভ্রান্ত না করুক যে, ‘সদাপ্রভু আমাদের উদ্ধার করবেন।’ কোনো দেশের দেবতা কি আসিরীয় রাজের হাত থেকে তাদের দেশ রক্ষা করতে পেরেছে?
بر سر خدایان حمات، ارفاد و سفروایم چه آمد؟ آیا آنها توانستند سامره را نجات دهند؟ | 19 |
হমাৎ ও অর্পদের দেবতারা কোথায়? সফর্বয়িমের দেবতারা কোথায়? তারা কি আমার হাত থেকে শমরিয়াকে রক্ষা করতে পেরেছে?
کدام خدا هرگز توانسته است سرزمینی را از چنگ من نجات دهد؟ پس چه چیز سبب شده است فکر کنید که خداوندِ شما میتواند اورشلیم را نجات دهد؟» | 20 |
এই সমস্ত দেশের কোন সব দেবতা তাদের দেশ আমার হাত থেকে রক্ষা করেছে? তাহলে সদাপ্রভু কীভাবে আমার হাত থেকে জেরুশালেমকে রক্ষা করবেন?”
مردمی که روی حصار بودند سکوت کردند، زیرا پادشاه دستور داده بود که چیزی نگویند. | 21 |
লোকেরা কিন্তু নীরব রইল। প্রত্যুত্তরে তারা কিছুই বলল না, কারণ রাজা আদেশ দিয়েছিলেন, “ওর কথার কোনো উত্তর দিয়ো না।”
سپس اِلیاقیم، شبنا و یوآخ لباسهای خود را پاره کرده، نزد حِزِقیای پادشاه رفتند و آنچه را که فرماندهٔ قوای آشور گفته بود، به عرض او رساندند. | 22 |
তখন হিল্কিয়ের পুত্র, রাজপ্রসাদের পরিচালক ইলিয়াকীম, সচিব শিব্ন ও আসফের পুত্র লিপিকার যোয়াহ, নিজের নিজের কাপড় ছিঁড়ে হিষ্কিয়ের কাছে গেলেন। সেই সৈন্যাধ্যক্ষ যেসব কথা বলেছিলেন, তারা সেসবই তাঁকে বললেন।