< پیدایش 29 >
یعقوب به سفر خود ادامه داد تا به سرزمین مردمان مشرق رسید. | 1 |
পরে যাকোব তাঁর যাত্রাপথে এগিয়ে গেলেন এবং প্রাচ্যদেশীয় লোকদের দেশে পৌঁছালেন।
در صحرا چاهی دید که سه گلۀ گوسفند کنار آن خوابیده بودند، زیرا از آن چاه، به گلهها آب میدادند. اما سنگی بزرگ بر دهانۀ چاه قرار داشت. | 2 |
সেখানে খোলা মাঠের মধ্যে তিনি একটি কুয়ো দেখতে পেলেন, যার কাছে মেষের তিনটি পাল শুয়েছিল, কারণ সেই কুয়ো থেকে পালগুলিকে জলপান করানো হত। কুয়োর মুখের উপর রাখা পাথরটি খুব বড়ো ছিল।
(رسم بر این بود که وقتی همهٔ گلهها جمع میشدند، آن سنگ را از سر چاه برمیداشتند و پس از سیراب کردن گلهها، دوباره سنگ را بر سر چاه میغلتانیدند.) | 3 |
সবকটি পাল যখন সেখানে একত্রিত হত, তখন মেষপালকেরা কুয়োর মুখ থেকে সেই পাথরটি সরিয়ে মেষদের জলপান করাতো। পরে তারা আবার কুয়োর মুখে যথাস্থানে পাথরটি বসিয়ে দিত।
یعقوب نزد چوپانان رفت و از آنها پرسید که از کجا هستند. گفتند از حران هستند. | 4 |
যাকোব মেষপালকদের জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আমার ভাইসকল, তোমরা কোথাকার লোক?” “আমরা হারণের অধিবাসী,” তারা উত্তর দিল।
به ایشان گفت: «آیا لابان نوۀ ناحور را میشناسید؟» گفتند: «بله، او را میشناسیم.» | 5 |
তিনি তাদের বললেন, “তোমরা কি সেই লাবনকে চেন, যিনি নাহোরের নাতি?” “হ্যাঁ, আমরা তাঁকে চিনি,” তারা উত্তর দিল।
یعقوب پرسید: «حالِ او خوب است؟» گفتند: «بله، حالش خوب است. اینک دخترش راحیل نیز با گلهاش میآید.» | 6 |
তখন যাকোব জিজ্ঞাসা করলেন, “তিনি ভালো আছেন তো?” “হ্যাঁ, তিনি ভালো আছেন,” তারা বলল, “আর দেখুন, তাঁর মেয়ে রাহেল মেষপাল নিয়ে এদিকেই আসছে।”
یعقوب گفت: «هنوز تا غروب خیلی مانده است. چرا به گوسفندها آب نمیدهید تا دوباره بروند و بچرند؟» | 7 |
“দেখো,” তিনি বললেন, “সূর্য এখনও মাথার উপরেই আছে; পালগুলি একত্রিত করার সময় এখনও হয়নি। মেষদের জলপান করিয়ে তাদের আবার চরাতে নিয়ে যাও।”
جواب دادند: «تا همهٔ گلهها سر چاه نیایند ما نمیتوانیم سنگ را برداریم و گلههایمان را سیراب کنیم.» | 8 |
“আমরা তা পারবো না,” তারা উত্তর দিল, “আগে সব পাল একসঙ্গে একত্রিত হোক এবং কুয়োর মুখ থেকে পাথরটি সরানো হোক। পরে আমরা মেষদের জলপান করাব।”
در حالی که این گفتگو ادامه داشت، راحیل با گلهٔ پدرش سر رسید، زیرا او نیز چوپان بود. | 9 |
তিনি তখনও তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, ইতিমধ্যে রাহেল তাঁর বাবার মেষপাল নিয়ে উপস্থিত হলেন, কারণ তিনি এক মেষপালিকা ছিলেন।
وقتی یعقوب دختر دایی خود، راحیل را دید که با گله لابان میآید، سنگ را از سر چاه برداشت و گلهٔ او را سیراب نمود. | 10 |
যাকোব যখন তাঁর মামা লাবনের মেয়ে রাহেলকে, ও লাবনের মেষদের দেখতে পেলেন, তখন তিনি এগিয়ে গিয়ে কুয়োর মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে দিলেন ও তাঁর মামার মেষদের জলপান করালেন।
سپس یعقوب، راحیل را بوسیده، با صدای بلند شروع به گریستن نمود! | 11 |
পরে যাকোব রাহেলকে চুমু দিলেন এবং জোর গলায় কাঁদতে শুরু করলেন।
یعقوب خود را معرفی کرد و گفت که خویشاوند پدرش و پسر ربکاست. راحیل به محض شنیدن سخنان او، دواندوان به منزل شتافت و پدرش را باخبر کرد. | 12 |
তিনি রাহেলকে বলে দিয়েছিলেন যে তিনি রাহেলের বাবার এক আত্মীয় ও রিবিকার এক ছেলে। তাই রাহেল দৌড়ে গিয়ে তাঁর বাবাকে সেকথা জানালেন।
چون لابان خبر آمدن خواهرزادهٔ خود یعقوب را شنید به استقبالش شتافت و او را در آغوش گرفته، بوسید و به خانهٔ خود آورد. آنگاه یعقوب داستان خود را برای او شرح داد. | 13 |
যে মুহূর্তে লাবন তাঁর বোনের ছেলে যাকোবের খবর পেলেন, তিনি তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন ও তাঁকে চুমু দিলেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে নিয়ে এলেন, ও যাকোব সেখানে তাঁকে সবকিছু বলে শোনালেন।
لابان به او گفت: «تو از گوشت و استخوان من هستی!» یک ماه بعد از آمدن یعقوب، | 14 |
তখন লাবন তাঁকে বললেন, “তুমি আমার আপন রক্তমাংসের আত্মীয়।” যাকোব সম্পূর্ণ এক মাস লাবনের সঙ্গে থাকার পর,
لابان به او گفت: «تو نباید به دلیل اینکه خویشاوند من هستی برای من مجانی کار کنی. بگو چقدر مزد به تو بدهم؟» | 15 |
লাবন যাকোবকে বললেন, “তুমি আমার এক আত্মীয় বলে কি কিছু না নিয়েই আমার জন্য কাজ করবে? তোমার বেতন কত হওয়া উচিত তা তুমিই বলে দাও।”
لابان دو دختر داشت که نام دختر بزرگ لَیه و نام دختر کوچک راحیل بود. | 16 |
লাবনের দুই মেয়ে ছিল; বড়টির নাম লেয়া ও ছোটোটির নাম রাহেল।
لیه چشمانی ضعیف داشت، اما راحیل زیبا و خوشاندام بود. | 17 |
লেয়ার চোখদুটি দুর্বল ছিল, কিন্তু রাহেল স্বাস্থ্যবতী ও সুন্দরী ছিলেন।
یعقوب عاشق راحیل شده بود. پس به لابان گفت: «اگر راحیل، دختر کوچکت را به همسری به من بدهی، هفت سال برای تو کار خواهم کرد.» | 18 |
যাকোব রাহেলের প্রেমে পড়ে গেলেন এবং তিনি বললেন, “আপনার ছোটো মেয়ে রাহেলের জন্য আমি সাত বছর আপনার কাছে কাজ করব।”
لابان جواب داد: «قبول میکنم. ترجیح میدهم دخترم را به تو که از بستگانم هستی بدهم تا به یک بیگانه.» | 19 |
লাবন বললেন, “তাকে অন্য কোনও পুরুষের হাতে তুলে দেওয়ার পরিবর্তে বরং তোমাকে দেওয়াই ভালো। আমার সঙ্গে তুমি এখানেই থাকো।”
یعقوب برای ازدواج با راحیل هفت سال برای لابان کار کرد، ولی به قدری راحیل را دوست میداشت که این سالها در نظرش چند روز آمد. | 20 |
অতএব যাকোব রাহেলকে পাওয়ার জন্য সাত বছর দাসত্ব করলেন, কিন্তু যেহেতু তিনি রাহেলকে ভালোবেসেছিলেন তাই এতগুলি বছর তাঁর কাছে মাত্র কয়েক দিন বলে মনে হল।
آنگاه یعقوب به لابان گفت: «مدت قرارداد ما تمام شده و موقع آن رسیده است که راحیل را به زنی بگیرم.» | 21 |
পরে যাকোব লাবনকে বললেন, “আমার স্ত্রীকে আমার হাতে তুলে দিন। আমার সময় সম্পূর্ণ হয়েছে, আর আমি তাকে প্রণয়জ্ঞাপন করতে চাই।”
لابان همهٔ مردم آنجا را دعوت کرده، ضیافتی بر پا نمود. | 22 |
অতএব লাবন সেখানকার সব লোকজনকে একত্রিত করে এক ভোজসভার আয়োজন করলেন।
وقتی هوا تاریک شد، لابان دختر خود لیه را به حجله فرستاد و یعقوب با وی همبستر شد. | 23 |
কিন্তু সন্ধ্যাবেলায়, তিনি তাঁর মেয়ে লেয়াকে এনে তাঁকে যাকোবের কাছে পৌঁছে দিলেন এবং যাকোব তাঁকে প্রণয়জ্ঞাপন করলেন।
(لابان کنیزی به نام زلفه به لیه داد تا او را خدمت کند.) | 24 |
আর লাবন তাঁর দাসী সিল্পাকে তাঁর মেয়ে লেয়ার সেবিকারূপে তাঁকে দিলেন।
اما صبح روز بعد، یعقوب به جای راحیل، لیه را در حجلهٔ خود یافت. پس رفته، به لابان گفت: «این چه کاری بود که با من کردی؟ من هفت سال برای تو کار کردم تا راحیل را به من بدهی. چرا مرا فریب دادی؟» | 25 |
যখন সকাল হল, দেখা গেল তিনি লেয়া! অতএব যাকোব লাবনকে বললেন, “আপনি আমার সঙ্গে এ কী করলেন? আমি রাহেলের জন্যই তো আপনার দাসত্ব করেছি, তাই না? তবে কেন আপনি আমাকে ঠকালেন?”
لابان جواب داد: «رسم ما بر این نیست که دختر کوچکتر را زودتر از دختر بزرگتر شوهر بدهیم. | 26 |
লাবন উত্তর দিলেন, “আমাদের এখানে বড়ো মেয়ের আগে ছোটো মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রথা নেই।
صبر کن تا هفتهٔ عروسی لیه بگذرد، بعد راحیل را نیز به زنی بگیر، مشروط بر اینکه قول بدهی هفت سال دیگر برایم کار کنی.» | 27 |
এই মেয়েটির দাম্পত্য-সপ্তাহ সম্পূর্ণ করো; আরও সাত বছর কাজ করার পরিবর্তে পরে আমরা ছোটো মেয়েটিকেও তোমার হাতে তুলে দেব।”
یعقوب قبول کرد و لابان پس از پایان هفتهٔ عروسی لیه، دختر کوچک خود راحیل را هم به یعقوب داد. | 28 |
আর যাকোব তেমনই করলেন। তিনি লেয়ার সপ্তাহ সম্পূর্ণ করলেন, এবং পরে লাবন তাঁর মেয়ে রাহেলকে যাকোবের স্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁর হাতে তুলে দিলেন।
(لابان کنیزی به نام بلهه به راحیل داد تا او را خدمت کند.) | 29 |
লাবন তাঁর দাসী বিলহাকে রাহেলের সেবিকারূপে তাঁকে দিলেন।
یعقوب با راحیل نیز همبستر شد و او را بیشتر از لیه دوست میداشت و به خاطر او هفت سال دیگر برای لابان کار کرد. | 30 |
যাকোব রাহেলকেও প্রণয়জ্ঞাপন করলেন, এবং লেয়াকে তিনি যত না ভালোবাসতেন, রাহেলকে সে তুলনায় অনেক বেশি ভালোবাসতেন। আর তিনি লাবনের জন্য আরও সাত বছর কাজ করলেন।
وقتی خداوند دید که یعقوب لیه را دوست ندارد، لیه را مورد لطف خود قرار داد و او بچهدار شد، ولی راحیل نازا ماند. | 31 |
সদাপ্রভু যখন দেখলেন যে লেয়া ভালোবাসা পাচ্ছেন না, তখন তিনি তাঁকে গর্ভধারণের ক্ষমতা দিলেন, কিন্তু রাহেল নিঃসন্তান রয়ে গেলেন।
آنگاه لیه حامله شد و پسری زایید. او گفت: «خداوند مصیبت مرا دیده است و بعد از این شوهرم مرا دوست خواهد داشت.» پس او را رئوبین نامید، زیرا گفت: «خداوند مصیبت مرا دیده است، اکنون شوهرم مرا دوست خواهد داشت.» | 32 |
লেয়া অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং একটি ছেলের জন্ম দিলেন। তিনি তাঁর নাম রাখলেন রূবেণ, কারণ তিনি বললেন, “সদাপ্রভু আমার দুর্দশা দেখেছেন বলেই এমনটি ঘটেছে। এখন নিশ্চয় আমার স্বামী আমাকে ভালোবাসবেন।”
او بار دیگر حامله شده، پسری به دنیا آورد و او را شمعون نامید، زیرا گفت: «خداوند شنید که من مورد بیمهری قرار گرفتهام و پسر دیگری به من داد.» | 33 |
তিনি আবার গর্ভবতী হলেন, এবং যখন তিনি আর একটি ছেলের জন্ম দিলেন, তখন তিনি বললেন, “যেহেতু সদাপ্রভু শুনেছেন যে আমি ভালোবাসা পাইনি, তাই তিনি আমাকে এই একটি ছেলেও দিলেন।” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন শিমিয়োন।
لیه باز هم حامله شد و پسری به دنیا آورد و او را لاوی نامید، زیرا گفت: «اینک مطمئناً شوهرم به من دلبسته خواهد شد، زیرا این سومین پسری است که برایش به دنیا آوردهام.» | 34 |
আবার তিনি গর্ভবতী হলেন, এবং যখন তিনি আর একটি ছেলের জন্ম দিলেন, তখন তিনি বললেন, “এখন অবশেষে আমার স্বামী আমার প্রতি সংলগ্ন হবেন, কারণ আমি তাঁর জন্য তিন ছেলের জন্ম দিয়েছি।” অতএব তার নাম রাখা হল লেবি।
بار دیگر او حامله شد و پسری به دنیا آورد و او را یهودا نامید، زیرا گفت: «این بار خداوند را ستایش خواهم نمود.» آنگاه لیه از زاییدن بازایستاد. | 35 |
তিনি আর একবার গর্ভবতী হলেন, এবং যখন তিনি আর একটি ছেলের জন্ম দিলেন, তখন তিনি বললেন, “এবার আমি সদাপ্রভুর প্রশংসা করব।” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন যিহূদা। পরে তিনি আর কোনও সন্তানের জন্ম দেননি।