< پیدایش 25 >
ابراهیم بار دیگر زنی گرفت که نامش قِطوره بود. | 1 |
অব্রাহাম অন্য আর এক স্ত্রীকে বিয়ে করে আনলেন, যাঁর নাম কটুরা।
قِطوره برای ابراهیم چندین فرزند به دنیا آورد. اسامی آنها عبارت بود از: زمران، یُقشان، مدان، مدیان، یشباق و شوعه. | 2 |
তাঁর জন্য কটুরা সিম্রণ, যকষণ, মদান, মিদিয়ন, যিষবক ও শূহের জন্ম দিলেন।
شبا و ددان پسران یقشان بودند. ددان پدر اشوریم، لطوشیم و لئومیم بود. | 3 |
যক্ষণ শিবা এবং দদানের বাবা; অশূরীয়, লটূশীয় ও লিয়ূম্মীয়রা হল দদানের বংশধর।
عیفه، عیفر، حنوک، ابیداع و الداعه، پسران مدیان بودند. | 4 |
মিদিয়নের ছেলেরা হল ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ ও ইলদায়া। এরা সবাই কটূরার বংশধর।
ابراهیم تمام دارایی خود را به اسحاق بخشید، | 5 |
অব্রাহাম তাঁর অধিকারে থাকা সবকিছু ইস্হাককে দিলেন।
اما به سایر پسرانش که از کنیزانش به دنیا آمده بودند، هدایایی داده، ایشان را در زمان حیات خویش از نزد پسر خود اسحاق، به دیار مشرق فرستاد. | 6 |
কিন্তু বেঁচে থাকাকালীনই অব্রাহাম তাঁর উপপত্নীদের ছেলেদের উপহারসামগ্রী দিলেন এবং তাঁর ছেলে ইস্হাকের কাছ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিয়ে পূর্বদেশে পাঠিয়ে দিলেন।
ابراهیم در سن صد و هفتاد و پنج سالگی، در کمال پیری، کامیاب از دنیا رفت و به اجداد خود پیوست. | 7 |
অব্রাহাম 175 বছর বেঁচেছিলেন।
পরে অব্রাহাম শেষনিশ্বাস ত্যাগ করলেন এবং যথেষ্ট বৃদ্ধাবস্থায়, বৃদ্ধ ও পূর্ণায়ূ মানুষরূপে মারা গেলেন; এবং তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে মিলিত হলেন।
پسرانش اسحاق و اسماعیل او را در غار مکفیله، نزدیک مَمری، واقع در زمین عفرون پسر صوحارِ حیتّی، دفن کردند. | 9 |
তাঁর ছেলে ইস্হাক ও ইশ্মায়েল তাঁকে হিত্তীয় সোহরের ছেলে ইফ্রোণের ক্ষেতে অবস্থিত মম্রির নিকটবর্তী মক্পেলা গুহাতে কবর দিলেন।
این همان زمینی بود که ابراهیم از حیتیها خریده و همسرش سارا را در آنجا دفن کرده بود. | 10 |
সেই ক্ষেতটি অব্রাহাম হিত্তীয়দের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন। সেখানেই অব্রাহাম ও তাঁর স্ত্রী সারা সমাধিস্থ হলেন।
بعد از مرگ ابراهیم، خدا اسحاق را برکت داد. (در این زمان اسحاق نزدیک بئرلحی رُئی، واقع در نِگِب ساکن بود.) | 11 |
অব্রাহামের মৃত্যুর পর, ঈশ্বর তাঁর সেই ছেলে ইস্হাককে আশীর্বাদ করলেন, যিনি তখন বের-লহয়-রোয়ীর কাছে বসবাস করছিলেন।
این است تاریخچۀ نسل اسماعیل، پسر ابراهیم، که از هاجر مصری، کنیز سارا به دنیا آمد. | 12 |
এই হল অব্রাহামের ছেলে সেই ইশ্মায়েলের বংশবৃত্তান্ত, যাঁকে সারার ক্রীতদাসী, মিশরীয়া হাগার, অব্রাহামের জন্য জন্ম দিয়েছিল।
این است نامهای پسران اسماعیل به ترتیب تولدشان: نبایوت پسر ارشد اسماعیل، قیدار، ادبئیل، مِبسام، | 13 |
এই হল ইশ্মায়েলের ছেলেদের নাম, যা তাদের জন্মের ক্রমানুসারে নথিভুক্ত করা হয়েছে: ইশ্মায়েলের বড়ো ছেলে নবায়োৎ, পরে কেদর, অদবেল, মিবসম,
حداد، تیما، یطور، نافیش و قدمه. | 15 |
হদদ, তেমা, যিটূর, নাফীশ ও কেদমা।
هر کدام از این دوازده پسر اسماعیل، قبیلهای به نام خودش به وجود آوردند. محل سکونت و اردوگاه این قبایل نیز به همان اسامی خوانده میشد. | 16 |
এরাই ইশ্মায়েলের সন্তান, এবং তাদের উপনিবেশ ও শিবির অনুসারে এই হল বারোজন গোষ্ঠী-শাসকদের নাম।
اسماعیل در سن صد و سی و هفت سالگی مُرد و به اجداد خود پیوست. | 17 |
ইশ্মায়েল 137 বছর বেঁচেছিলেন। তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করে মারা গেলেন, এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে মিলিত হলেন।
فرزندان اسماعیل در منطقهای بین حویله و شور که در مرز شرقی مصر و سر راه آشور واقع بود، ساکن شدند. آنها در دشمنی با همۀ برادران خود زندگی میکردند. | 18 |
তাঁর বংশধরেরা আসিরিয়ার দিকে মিশরের পূর্বসীমার কাছাকাছি অবস্থিত হবীলা থেকে শূর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় বসতি স্থাপন করল। তারা তাদের দূর-সম্পর্কের আত্মীয়-গোষ্ঠীদের প্রতি শত্রুতাভাব বজায় রেখে বসবাস করে যাচ্ছিল।
این است تاریخچۀ نسل اسحاق، پسر ابراهیم. ابراهیم اسحاق را آورد، | 19 |
এই হল অব্রাহামের ছেলে ইস্হাকের পারিবারিক বংশবৃত্তান্ত। অব্রাহাম ইস্হাকের বাবা হলেন,
و اسحاق چهل ساله بود که ربکا را به زنی گرفت. ربکا دختر بتوئیل و خواهر لابان، اهل فَدّاناَرام بود. | 20 |
এবং ইস্হাক চল্লিশ বছর বয়সে সেই রিবিকাকে বিয়ে করলেন, যিনি পদ্দন-আরামের বাসিন্দা অরামীয় বথূয়েলের মেয়ে এবং অরামীয় লাবনের বোন।
ربکا نازا بود و اسحاق برای او نزد خداوند دعا میکرد. سرانجام خداوند دعای او را اجابت فرمود و ربکا حامله شد. | 21 |
ইস্হাক তাঁর স্ত্রীর হয়ে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন, কারণ রিবিকা নিঃসন্তান ছিলেন। সদাপ্রভু তাঁর প্রার্থনার উত্তর দিলেন, এবং তাঁর স্ত্রী রিবিকা গর্ভবতী হলেন।
به نظر میرسید که دو بچه در شکم او با هم کشمکش میکنند. پس ربکا گفت: «چرا چنین اتفاقی برای من افتاده است؟» و در این خصوص از خداوند سؤال نمود. | 22 |
শিশুরা রিবিকার গর্ভে একে অপরকে ধাক্কা দিচ্ছিল, এবং তিনি বললেন, “আমার ক্ষেত্রে কেন এমন ঘটছে?” অতএব তিনি সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ নিতে গেলেন।
خداوند به او فرمود: «از دو پسری که در رحم داری، دو قوم به وجود خواهد آمد. یکی از دیگری قویتر خواهد بود، و بزرگتر کوچکتر را بندگی خواهد کرد!» | 23 |
সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “তোমার গর্ভে দুই জাতি আছে, এবং তোমার মধ্য থেকেই দুই বংশ পৃথক হবে; এক বংশ অন্য বংশ থেকে বেশি শক্তিশালী হবে, এবং বড়ো ছেলে ছোটো ছেলের সেবা করবে।”
وقتی زمان وضع حمل ربکا رسید، او دوقلو زایید. | 24 |
সন্তান প্রসবের সময়কাল ঘনিয়ে এলে দেখা গেল তাঁর গর্ভে যমজ সন্তান।
پسر اولی که به دنیا آمد، سرخ رو بود و بدنش چنان با مو پوشیده شده بود که گویی پوستین بر تن دارد. بنابراین او را عیسو نام نهادند. | 25 |
প্রথমে যে ভূমিষ্ঠ হল, তার গায়ের রং ছিল লাল, এবং তার সারা শরীর ছিল লোমশ পোশাকের মতো; তাই তাঁরা তার নাম দিলেন এষৌ।
پسر دومی که به دنیا آمد پاشنهٔ پای عیسو را گرفته بود! پس او را یعقوب نامیدند. اسحاق شصت ساله بود که این دوقلوها به دنیا آمدند. | 26 |
পরে, তার সেই ভাই বেরিয়ে এল, যার হাত এষৌর গোড়ালি ধরে রেখেছিল; তাই তার নাম দেওয়া হল যাকোব। রিবিকা যখন তাদের জন্ম দেন তখন ইস্হাকের বয়স 60 বছর।
آن دو پسر بزرگ شدند. عیسو شکارچیای ماهر و مرد بیابان بود، ولی یعقوب مردی آرام و چادرنشین بود. | 27 |
ছেলেরা বেড়ে উঠেছিল, এবং এষৌ এমন এক নিপুণ শিকারি হয়ে উঠছিল, যিনি বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াতেন, অন্যদিকে যাকোব ঘরের ভিতরে তাঁবুর মধ্যেই থাকতে পছন্দ করতেন।
اسحاق، عیسو را دوست میداشت، چون از گوشت حیواناتی که او شکار میکرد، میخورد؛ اما ربکا یعقوب را دوست میداشت. | 28 |
যিনি শিকার করা পশুর মাংস খেতে পছন্দ করতেন, সেই ইস্হাক এষৌকে ভালোবাসতেন, কিন্তু রিবিকা যাকোবকে ভালোবাসতেন।
روزی یعقوب مشغول پختن آش بود که عیسو خسته و گرسنه از شکار برگشت. | 29 |
একবার যাকোব যখন খানিকটা ঝোল-তরকারী রান্না করছিলেন, এষৌ তখন মাঠ থেকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফিরে এলেন।
عیسو گفت: «برادر، از شدت گرسنگی رمقی در من نمانده است، کمی از آن آش سرخ به من بده تا بخورم.» (به همین دلیل است که عیسو را ادوم نیز مینامند.) | 30 |
তিনি যাকোবকে বললেন, “তাড়াতাড়ি আমাকে লাল রংয়ের ওই ঝোল-তরকারী থেকে কিছুটা খেতে দাও! আমি ক্ষুধার্ত!” (এই জন্য তাঁকে ইদোম নামেও ডাকা হয়।)
یعقوب جواب داد: «به شرط آنکه در عوض آن، حق نخستزادگی خود را به من بفروشی!» | 31 |
যাকোব উত্তর দিলেন, “প্রথমে তুমি আমার কাছে তোমার জ্যেষ্ঠাধিকার বিক্রি করো।”
عیسو گفت: «من از شدت گرسنگی به حال مرگ افتادهام، حق نخستزادگی چه سودی برایم دارد؟» | 32 |
দেখো, আমি প্রায় মরতে চলেছি, “এষৌ বললেন। জ্যেষ্ঠাধিকার আমার কী কাজে লাগবে?”
اما یعقوب گفت: «قسم بخور که بعد از این، حق نخستزادگی تو از آن من خواهد بود.» عیسو قسم خورد و به این ترتیب حق نخستزادگی خود را به برادر کوچکترش یعقوب فروخت. | 33 |
কিন্তু যাকোব বললেন, “প্রথমে আমার কাছে শপথ করো।” অতএব এষৌ তাঁর কাছে শপথ করলেন, তাঁর জ্যেষ্ঠাধিকার যাকোবের কাছে বিক্রি করে দিলেন।
سپس یعقوب آش عدس را با نان به عیسو داد. او خورد و برخاست و رفت. اینچنین عیسو حق نخستزادگی خود را بیارزش شمرد. | 34 |
পরে যাকোব এষৌকে কয়েকটি রুটি ও মশুরি দিয়ে তৈরি কিছুটা ঝোল-তরকারী দিলেন। তিনি ভোজনপান করলেন, ও পরে উঠে চলে গেলেন। অতএব এষৌ তাঁর জ্যেষ্ঠাধিকার হেয় জ্ঞান করলেন।