< دوم تواریخ 18 >
یهوشافاط ثروت و شهرت زیادی کسب کرد و با اَخاب، پادشاه اسرائیل وصلت نمود و دختر او را به عقد پسرش درآورد. | 1 |
যিহোশাফট প্রচুর ধনসম্পদ ও সম্মানের অধিকারী হলেন, এবং বিবাহসূত্রে তিনি আহাবের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
چند سال بعد، یهوشافاط پادشاه یهودا برای دیدن اَخاب پادشاه اسرائیل به سامره رفت و اَخاب برای او و همراهانش مهمانی بزرگی ترتیب داد و تعداد زیادی گاو و گوسفند سر برید. در آن مهمانی اَخاب از یهوشافاط پادشاه خواست در حمله به راموت جلعاد به او کمک کند. یهوشافاط گفت: «هر چه دارم مال توست، قوم من قوم توست. من و قومم در این جنگ همراه تو خواهیم بود. | 2 |
কয়েক বছর পর তিনি শমরিয়ায় আহাবের সাথে দেখা করতে গেলেন। তাঁর জন্য ও তাঁর সাথে থাকা লোকজনের জন্য আহাব প্রচুর মেষ ও গবাদি পশু বধ করলেন এবং রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করার জন্য তাঁকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন।
ইস্রায়েলের রাজা আহাব যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার সাথে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” যিহোশাফট উত্তর দিলেন, “আমি আপনারই মতো, ও আমার প্রজারাও আপনার প্রজাদেরই মতো; যুদ্ধে আমরা আপনার সাথে যোগ দেব।”
ولی خواهش میکنم اول با خداوند مشورت کنی.» | 4 |
কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এও বললেন, “প্রথমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিন।”
پس اَخاب پادشاه، چهارصد نفر از انبیای خود را احضار کرد و از ایشان پرسید: «آیا برای تسخیر راموت جلعاد بروم یا نه؟» همهٔ آنها یکصدا گفتند: «برو، چون خدا به تو پیروزی خواهد بخشید.» | 5 |
তাই ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের—চারশো জনকে—একত্রিত করলেন এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করব, কি করব না?” “চলে যান,” তারা উত্তর দিয়েছিল, “কারণ ঈশ্বর সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
آنگاه یهوشافاط پرسید: «آیا غیر از اینها نبی دیگری در اینجا نیست تا نظر خداوند را به ما بگوید؟» | 6 |
কিন্তু যিহোশাফট জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর এমন কোনও ভাববাদী নেই, যাঁর কাছে আমরা খোঁজখবর নিতে পারব?”
اَخاب جواب داد: «چرا، یک نفر به اسم میکایا پسر یمله هست، که توسط او میتوان از خدا مسئلت کرد، اما من از او نفرت دارم، چون همیشه برای من چیزهای بد پیشگویی میکند.» یهوشافاط گفت: «اینطور سخن نگویید!» | 7 |
ইস্রায়েলের রাজা, যিহোশাফটকে উত্তর দিলেন, “আরও একজন ভাববাদী আছেন, যার মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর কাছে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, যেহেতু সে কখনোই আমার বিষয়ে ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু সবসময় খারাপ ভাববাণীই করে। সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়।” “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন।
پس اَخاب پادشاه، یکی از افراد دربار خود را صدا زد و به او گفت: «برو و میکایا را هر چه زودتر به اینجا بیاور.» | 8 |
তখন ইস্রায়েলের রাজা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে বললেন, “এক্ষুনি গিয়ে যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে আনো।”
هر دو پادشاه در میدان خرمنگاه نزدیک دروازهٔ شهر سامره با لباسهای شاهانه بر تختهای سلطنتی خود نشسته بودند و تمام انبیا در حضور ایشان پیشگویی میکردند. | 9 |
রাজপোশাক পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট, দুজনেই শমরিয়ার সিংহদুয়ারের কাছে খামারবাড়িতে তাদের সিংহাসনে বসেছিলেন, এবং ভাববাদীরা সবাই তাদের সামনে ভাববাণী করে যাচ্ছিল।
یکی از این انبیا به نام صدقیا، پسر کنعنه، که شاخهای آهنی برای خود درست کرده بود، گفت: «خداوند میفرماید که با این شاخها، سوریها را تار و مار خواهی کرد!» | 10 |
ইত্যবসরে কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় লোহার দুটি শিং তৈরি করল এবং সে ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘অরামীয়রা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এগুলি দিয়েই আপনি তাদের গুঁতাবেন।’”
سایر انبیا نیز با او همصدا شده، گفتند: «به راموت جلعاد حمله کن، چون خداوند تو را پیروز خواهد کرد.» | 11 |
অন্যান্য সব ভাববাদীও একই ভাববাণী করল। “রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন এবং বিজয়ী হোন,” তারা বলল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
قاصدی که به دنبال میکایا رفته بود، به او گفت: «تمام انبیا پیشگویی میکنند که پادشاه پیروز خواهد شد، پس تو نیز چنین پیشگویی کن.» | 12 |
যে দূত মীখায়কে ডাকতে গেল, সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই কোনও আপত্তি না জানিয়ে রাজার পক্ষে সফলতার ভাববাণী করছে। আপনার কথাও যেন তাদেরই মতো হয়, এবং আপনিও সুবিধাজনক কথাই বলুন।”
ولی میکایا به او گفت: «به خداوند زنده قسم، هر چه خدای من بفرماید، همان را خواهم گفت.» | 13 |
কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমার ঈশ্বর যা বলবেন, আমি তাঁকে শুধু সেকথাই বলতে পারব।”
وقتی میکایا به حضور پادشاه رسید، اَخاب از او پرسید: «ای میکایا، آیا به راموت جلعاد حمله کنم یا نه؟» میکایا جواب داد: «البته! چرا حمله نکنی! حتماً پیروز خواهی شد!» | 14 |
তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধযাত্রা করব, কি করব না?” “আক্রমণ করে আপনি বিজয়ী হোন,” তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ সেখানকার লোকজনকে আপনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
پادشاه به او گفت: «چند مرتبه تو را قسم بدهم که هر چه خداوند میگوید، همان را به من بگویی؟» | 15 |
রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে দিয়ে শপথ করাব যে তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্যিকথা ছাড়া আর কিছুই বলবে না?”
آنگاه میکایا به او گفت: «تمام قوم اسرائیل را دیدم که مثل گوسفندان بیشبان، روی تپهها سرگردانند. خداوند فرمود: اینها صاحب ندارند. به ایشان بگو به خانههای خود برگردند.» | 16 |
তখন মীখায় উত্তর দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, ইস্রায়েলীরা সবাই পাহাড়ের উপর পালকবিহীন মেষের পালের মতো হয়ে আছে, এবং সদাপ্রভু বলেছেন, ‘এই লোকজনের কোনও মনিব নেই। শান্তিতে যে যার ঘরে ফিরে যাক।’”
اَخاب به یهوشافاط گفت: «به تو نگفتم؟ من هرگز حرف خوب از زبان این مرد نشنیدهام!» | 17 |
ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে সে আমার বিষয়ে কখনও ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু শুধু খারাপ ভাববাণীই করে?”
بعد میکایا گفت: «به این پیغام خداوند نیز گوش دهید! خداوند را دیدم که بر تخت خود نشسته بود و فرشتگان در طرف راست و چپ او ایستاده بودند. | 18 |
মীখায় আরও বললেন, “এজন্য সদাপ্রভুর এই বাক্য শুনুন: আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং স্বর্গের জনতা তাঁর ডানদিকে ও বাঁদিকে দাঁড়িয়ে আছে।
آنگاه خداوند فرمود: چه کسی میتواند اَخاب را فریب دهد تا به راموت جلعاد حمله کند و همان جا کشته شود؟ هر یک از فرشتگان نظری داد. | 19 |
সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মরতে যাওয়ার জন্য কে ইস্রায়েলের রাজা আহাবকে প্ররোচিত করবে?’ “তখন কেউ একথা, কেউ সেকথা বলল।
سرانجام روحی جلو آمد و به خداوند گفت: من این کار را میکنم! خداوند پرسید: چگونه؟ | 20 |
শেষে, একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিল এবং বলল, ‘আমি তাকে প্ররোচিত করব।’ “‘কীভাবে?’ সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন।
روح گفت: من سخنان دروغ در دهان انبیا میگذارم و اَخاب را گمراه میکنم. خداوند فرمود: تو میتوانی او را فریب دهی، پس برو و چنین کن!» | 21 |
“‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীর মুখে প্রতারণাকারী আত্মা হয়ে যাব,’ সে বলল। “‘তুমি তাকে প্ররোচিত করতে সফল হবে,’ সদাপ্রভু বললেন। ‘যাও, গিয়ে সে কাজটি করো।’
آنگاه میکایای نبی گفت: «خداوند روح گمراه کننده در دهان انبیای تو گذاشته تا به تو دروغ بگویند. ولی حقیقت امر این است که خداوند میخواهد تو را گرفتار مصیبت سازد.» | 22 |
“তাই এখন সদাপ্রভু আপনার এই ভাববাদীদের মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা দিয়েছেন। সদাপ্রভু আপনার সর্বনাশের হুকুম জারি করেছেন।”
با شنیدن این جمله، صدقیا پسر کنعنه، جلو رفت و یک سیلی محکم به صورت میکایا زد و گفت: «روح خداوند کی مرا ترک کرده و به سوی تو آمده و با تو سخن گفته است؟» | 23 |
তখন কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরেছিল। “সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসা আত্মা তোর সাথে কথা বলার জন্য কোন পথে আমার কাছ থেকে গেলেন?” সে জিজ্ঞাসা করল।
میکایا به او گفت: «آن روز که در اتاقت مخفی شوی، جواب این سؤال را خواهی یافت!» | 24 |
মীখায় উত্তর দিলেন, “সেদিনই তুমি তা জানতে পারবে, যেদিন তুমি ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকাবে।”
آنگاه اَخاب پادشاه دستور داد: «میکایا را بگیرید و پیش آمون، فرماندار شهر و به نزد یوآش، پسرم ببرید. | 25 |
ইস্রায়েলের রাজা তখন আদেশ দিলেন, “মীখায়কে ধরে নগরের শাসনকর্তা আমোনের ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে পাঠিয়ে দাও,
و از قول من به ایشان بگویید که میکایا را به زندان بیفکنند و جز آب و نان چیزی به او ندهند تا من پیروز برگردم.» | 26 |
এবং তাদের বোলো, ‘রাজা একথাই বলেছেন: একে জেলখানায় রেখে দাও এবং যতদিন না আমি নিরাপদে ফিরে আসছি, ততদিন একে রুটি ও জল ছাড়া আর কিছুই দিয়ো না।’”
میکایا به او گفت: «اگر تو زنده برگشتی، معلوم میشود من هر چه به تو گفتم، از جانب خداوند نبوده است.» سپس رو به حاضران کرد و گفت: «همهٔ شما شاهد باشید که من به پادشاه چه گفتم!» | 27 |
মীখায় ঘোষণা করলেন, “আপনি যদি নিরাপদে কখনও ফিরে আসেন, তবে জানবেন, সদাপ্রভু আমার মাধ্যমে কথা বলেননি।” পরে তিনি আরও বললেন, “ওহে লোকজন, তোমরা সবাই আমার কথাগুলি মনে গেঁথে রাখো!”
با وجود این هشدارها، اَخاب پادشاه اسرائیل و یهوشافاط پادشاه یهودا به راموت جلعاد لشکرکشی کردند. | 28 |
অতএব ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে চলে গেলেন।
اَخاب به یهوشافاط گفت: «تو لباس شاهانهٔ خود را بپوش، ولی من لباس دیگری میپوشم تا کسی مرا نشناسد.» پس اَخاب با لباس مبدل به میدان جنگ رفت. | 29 |
ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাক পরে থাকুন।” এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধে গেলেন।
پادشاه سوریه به سرداران ارابههایش دستور داده بود که به دیگران زیاد توجه نکنند، بلکه فقط با خود اَخاب بجنگند. | 30 |
ইত্যবসরে অরামের রাজা তাঁর রথের সেনাপতিদের আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া, ছোটো বা বড়ো, কোনো লোকের সাথে যুদ্ধ করবে না।”
به محض اینکه سرداران ارابهها یهوشافاط را دیدند گفتند: «این پادشاه اسرائیل است.» پس رفتند تا با او بجنگند، اما یهوشافاط فریاد برآورد و خداوند به او کمک کرد و آنها را از او دور ساخت، | 31 |
রথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিল, “ইনিই নিশ্চয় ইস্রায়েলের রাজা।” তাই তাঁকে আক্রমণ করার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু যিহোশাফট চিৎকার করে উঠেছিলেন, এবং সদাপ্রভু তাঁকে সাহায্য করলেন। ঈশ্বর তাঁর কাছ থেকে তাদের সরিয়ে দিলেন,
زیرا به محض اینکه سرداران ارابهها متوجه شدند که او پادشاه اسرائیل نیست، از تعقیب وی دست برداشتند. | 32 |
কারণ রথের সেনাপতিরা যখন দেখেছিল যে তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তখন তারা তাঁর পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
اما تیر یکی از سربازان به طور تصادفی از میان شکاف زرهٔ اَخاب، به او اصابت کرد. اَخاب به ارابهران خود گفت: «ارابه را برگردان و مرا از میدان جنگ بیرون ببر، چون سخت مجروح شدهام.» | 33 |
কিন্তু কেউ একজন আচমকা ধনুকে টান দিয়ে ইস্রায়েলের রাজার বুক ও পেটে পরবার বর্মের মাঝখানের ফাঁকা স্থানে আঘাত করে বসেছিল। রাজা তাঁর রথের সারথিকে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে নিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বাইরে নিয়ে চলো। আমি আহত হয়ে পড়েছি।”
جنگ به اوج شدت خود رسیده بود و اَخاب نیمه جان به کمک ارابهران خود، رو به سوریها در ارابهٔ خود ایستاده بود. سرانجام هنگام غروب جان سپرد. | 34 |
সারাদিন ধরে সেদিন ধুন্ধুমার যুদ্ধ চলেছিল, এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত ইস্রায়েলের রাজা অরামীয়দের দিকে মুখ করে নিজেকে রথের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। পরে সূর্যাস্তের সময় তিনি মারা গেলেন।