< دوم تواریخ 12 >

وقتی رحبعام استوار شده، به اوج قدرت رسید، او و همۀ قومش شریعت خداوند را ترک کردند. 1
রাজারূপে রহবিয়ামের পদ সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার ও তিনি শক্তিশালী হয়ে যাওয়ার পর, তিনি ও তাঁর সাথে সাথে সমগ্র ইস্রায়েল সদাপ্রভুর বিধান পরিত্যাগ করলেন।
در نتیجه شیشق، پادشاه مصر در سال پنجم سلطنت رحبعام با هزار و دویست ارابه و شصت هزار سواره نظام و نیز گروه بی‌شماری سرباز لیبیایی، سوکی و حبشی به اورشلیم حمله کرد، زیرا آنها به خداوند خیانت ورزیده بودند. 2
যেহেতু তারা সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন, তাই মিশরের রাজা শীশক রাজা রহবিয়ামের রাজত্বকালের পঞ্চম বছরে জেরুশালেম আক্রমণ করলেন।
3
12,000 রথ ও 60,000 অশ্বারোহী সৈন্য এবং মিশর থেকে তাঁর সাথে আসা অসংখ্য লূবীয়, সুক্কীয় ও কূশীয় সৈন্য নিয়ে
او شهرهای حصاردار یهودا را گرفت و طولی نکشید که به اورشلیم رسید. 4
তিনি যিহূদার সুরক্ষিত নগরগুলি দখল করে নিয়েছিলেন ও জেরুশালেম পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন।
شمعیای نبی نزد رحبعام و بزرگان یهودا که از ترس شیشق در اورشلیم جمع شده بودند، آمد و به ایشان گفت: «خداوند می‌فرماید: چون شما از من برگشته‌اید، پس من هم شما را در چنگ شیشق رها کرده‌ام.» 5
তখন ভাববাদী শময়িয়, শীশকের ভয়ে জেরুশালেমে একত্রিত হওয়া রহবিয়াম ও যিহূদার নেতাদের কাছে এসে তাদের বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন, ‘তোমরা আমাকে পরিত্যাগ করেছ; তাই, আমি এখন শীশকের হাতে তোমাদের ছেড়ে দিলাম।’”
آنگاه پادشاه و بزرگان مملکت به گناه خود اعتراف کرده، گفتند: «خداوند به حق ما را تنبیه کرده است.» 6
ইস্রায়েলের নেতারা ও রাজা স্বয়ং নিজেদের নত করলেন এবং বললেন, “সদাপ্রভুই ন্যায়পরায়ণ।”
وقتی خداوند این را دید به شمعیا گفت: «چون به گناه خود معترف شده‌اند آنها را از بین نخواهم برد. من غضب خود را بر اورشلیم نخواهم ریخت و اهالی این شهر از چنگ شیشق جان به در خواهند برد، 7
সদাপ্রভু যখন দেখেছিলেন যে তারা নিজেদের নত করেছেন, তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য শময়িয়ের কাছে পৌঁছে গেল: “যেহেতু তারা নিজেদের নত করেছে, তাই আমি আর তাদের ধ্বংস করব না, বরং অচিরেই তাদের মুক্তি দেব। শীশকের মাধ্যমে আমার ক্রোধ জেরুশালেমের উপর ঝরে পড়বে না।
ولی به شیشق باج و خراج خواهند پرداخت. آنگاه خواهند فهمید چه فرقی بین خدمت به من و خدمت به پادشاهان این دنیا وجود دارد.» 8
তারা অবশ্য, তার শাসনাধীন হবে, যেন আমার সেবা করার ও অন্যান্য দেশের রাজাদের সেবা করার মধ্যে কী পার্থক্য আছে, তা তারা বুঝতে পারে।”
بنابراین شیشق، پادشاه مصر، اورشلیم را تصرف کرد. او خزانه‌های خانهٔ خداوند و کاخ سلطنتی را غارت کرد و تمام سپرهای طلا را که سلیمان ساخته بود با خود به یغما برد. 9
মিশরের রাজা শীশক জেরুশালেম আক্রমণ করার সময় সদাপ্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের ধনসম্পদ তুলে নিয়ে গেলেন। শলোমনের তৈরি করা সোনার ঢাল সমেত তিনি সবকিছু নিয়ে চলে গেলেন।
پس از آن رحبعام پادشاه، به جای سپرهای طلا برای نگهبانان کاخ خود سپرهای مفرغین ساخت. 10
তাই সেগুলির পরিবর্তে রাজা রহবিয়াম ব্রোঞ্জের কয়েকটি ঢাল তৈরি করলেন এবং যারা রাজপ্রাসাদের সিংহদুয়ারে মোতায়েন ফৌজি পাহারাদারদের সেনাপতি ছিলেন, তাদের হাতে সেগুলি তুলে দিলেন।
هر وقت پادشاه به خانهٔ خداوند می‌رفت نگهبانان او سپرها را به دست می‌گرفتند و پس از پایان مراسم، آنها را دوباره به اتاق نگهبانی برمی‌گرداندند. 11
যখনই রাজা সদাপ্রভুর মন্দিরে যেতেন, ফৌজি পাহারাদাররাও সেই ঢালগুলি বহন করে তাঁর সাথে সাথে যেত, এবং পরে তারা আবার সেগুলি ফৌজি পাহারাদারদের কক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে যেত।
وقتی پادشاه فروتن شد خشم خداوند از او برگشت و او را از بین نبرد و اوضاع در یهودا رو به بهبودی نهاد. 12
যেহেতু রহবিয়াম নিজেকে নত করলেন, তাই সদাপ্রভুর ক্রোধ তাঁর উপর থেকে সরে গেল, এবং তিনি পুরোপুরি ধ্বংস হননি। সত্যি বলতে কি, তখনও যিহূদাতে কিছু ভালো গুণ অবশিষ্ট ছিল।
پس حکومت رحبعام در اورشلیم ابقا شد. رحبعام در سن چهل و یک سالگی پادشاه شد. نام مادرش نعمهٔ عمونی بود. او هفده سال در اورشلیم، شهری که خداوند آن را از میان همهٔ شهرهای اسرائیل برگزید تا اسم خود را بر آن نهد، سلطنت نمود. 13
রাজা রহবিয়াম জেরুশালেমে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন এবং রাজকার্য চালিয়ে গেলেন। তিনি একচল্লিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপন করার জন্য ইস্রায়েলের সব বংশের মধ্যে থেকে আলাদা করে যে নগরটিকে মনোনীত করলেন, সেই জেরুশালেমে তিনি সতেরো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম নয়মা; তিনি ছিলেন একজন অম্মোনীয়া।
او نسبت به خداوند گناه ورزید و با تمام دل از او پیروی نکرد. 14
রহবিয়াম মন্দ কাজকর্ম করলেন, কারণ সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য তিনি তাঁর অন্তর সুস্থির করেননি।
شرح کامل رویدادهای دوران سلطنت رحبعام در کتاب «تاریخ شمعیای نبی» و کتاب «تاریخ عدوی نبی» نوشته شده است. بین رحبعام و یربعام همیشه جنگ بود. 15
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, রহবিয়ামের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি ভাববাদী শময়িয় ও দর্শক ইদ্দোর সেই রচনাবলিতে লেখা নেই, যেখানে বংশাবলির কথা তুলে ধরা হয়েছে? রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ লেগেই থাকত।
وقتی رحبعام مرد، او را در شهر اورشلیم دفن کردند و پسرش ابیا به جای او پادشاه شد. 16
রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং দাউদ-নগরীতে তাঁকে কবর দেওয়া হল, ও তাঁর ছেলে অবিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

< دوم تواریخ 12 >