اول پادشاهان 18
| در سومین سال خشکسالی، یک روز خداوند به ایلیا فرمود: «نزد اَخاب پادشاه برو و به او بگو که من به‌زودی باران می‌فرستم!» | 1 |
বেশ কিছু সময় পার হয়ে যাওয়ার পর, তৃতীয় বছরে সদাপ্রভুর এই বাক্য এলিয়ের কাছে এসেছিল: “যাও, নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করো, আর আমি দেশে বৃষ্টি পাঠাব।”
| پس ایلیا روانه شد تا خود را به اَخاب نشان دهد. در این وقت، در شهر سامره شدت قحطی به اوج رسیده بود. | 2 |
অতএব এলিয় নিজেকে আহাবের সামনে উপস্থিত করতে গেলেন। ইত্যবসরে শমরিয়ায় দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করল,
| سرپرست امور دربار اَخاب، شخصی بود به نام عوبدیا. (عوبدیا مردی خداترس بود. یکبار وقتی ملکه ایزابل می‌خواست تمام انبیای خداوند را قتل عام کند، عوبدیا صد نفر از آنها را پنجاه پنجاه درون دو غار پنهان کرد و به ایشان نان و آب می‌داد.) | 3 |
এবং আহাব তাঁর প্রাসাদের প্রশাসক ওবদিয়কে ডেকে পাঠালেন। (ওবদিয় সদাপ্রভুর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এক বিশ্বাসী ছিলেন।
| 4 |
ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মেরে ফেলছিল, ওবদিয় তখন একশো জন ভাববাদীকে নিয়ে গিয়ে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখেছিলেন, এবং তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করেছিলেন)।
| اَخاب پادشاه به عوبدیا گفت: «ما باید تمام کناره‌های چشمه‌ها و نهرها را بگردیم تا شاید کمی علف پیدا کنیم و بتوانیم بعضی از اسبها و قاطرهایمان را زنده نگه داریم و همۀ حیوانات خود را از دست ندهیم.» | 5 |
আহাব ওবদিয়কে বললেন, “দেশে যত জলের উৎস ও উপত্যকা আছে, তুমি সেসব স্থানে যাও। হয়তো আমাদের ঘোড়া ও খচ্চরগুলি বাঁচিয়ে রাখার উপযোগী কিছু ঘাসপাতা আমরা পেয়েও যেতে পারি, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও পশু আর হয়তো আমাদের মারতে হবে না।”
| پس آنها نواحی مورد نظر را بین خود تقسیم کردند. اَخاب به تنهایی به یک طرف رفت و عوبدیا نیز به تنهایی به طرف دیگر. | 6 |
অতএব দেশের যে এলাকাগুলিতে তাদের যেতে হত, সেগুলি তারা দুই ভাগে বিভক্ত করে নিয়েছিলেন। আহাব একদিকে গেলেন ও ওবদিয় অন্যদিকে গেলেন।
| وقتی عوبدیا در راه بود ناگهان ایلیا به او برخورد! عوبدیا ایلیا را شناخت و پیش پای او به خاک افتاد و گفت: «ای سرور من ایلیا، آیا براستی این خود تو هستی؟» | 7 |
ওবদিয় পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তাঁর সঙ্গে এলিয়ের দেখা হল। ওবদিয় তাঁকে চিনতে পেরে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে বললেন, “হে আমার প্রভু এলিয়, এ কি সত্যিই আপনি?”
| ایلیا جواب داد: «بله. برو به اَخاب بگو که من اینجا هستم.» | 8 |
“হ্যাঁ, আমিই,” তিনি উত্তর দিলেন। “যাও, গিয়ে তোমার মনিবকে বলো, ‘এলিয় এখানেই আছেন।’”
| عوبدیا گفت: «ای سَروَرم، مگر من چه گناهی کرده‌ام که می‌خواهی مرا به دست اَخاب به کشتن بدهی؟ | 9 |
“আমি কী দোষ করেছি,” ওবদিয় জিজ্ঞাসা করলেন, “যে আপনি আপনার এই দাসকে মেরে ফেলার জন্য আহাবের হাতে তুলে দিচ্ছেন?
| به خداوند، خدای زنده‌ات قسم، اَخاب پادشاه برای جستجوی تو مأموران خود را به تمام ممالک جهان فرستاده است. در هر مملکتی که به او گفته می‌شد ایلیا در آنجا نیست، او از پادشاه آن مملکت می‌خواست قسم بخورد که حقیقت را می‌گوید. | 10 |
আপনার ঈশ্বর জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, এমন কোনও দেশ বা রাজ্য বাকি নেই, যেখানে আমার মনিব আপনার খোঁজে লোক পাঠাননি। আর যখনই কোনও দেশ বা রাজ্য দাবি করেছে আপনি সেখানে নেই, তখনই তিনি তাদের দিয়ে শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন, যে সত্যিই তারা আপনাকে খুঁজে পায়নি।
| حال تو می‌گویی پیش اَخاب بروم و به او بگویم که ایلیا در اینجاست! | 11 |
কিন্তু এখন আপনি আমায় বলছেন, আমি যেন গিয়ে আমার মনিবকে বলি, ‘এলিয় এখানে আছেন।’
| می‌ترسم به محض اینکه از پیش تو بروم، روح خداوند تو را از اینجا بردارد و به جای دیگری ببرد. آنگاه وقتی اَخاب پادشاه به جستجوی تو به اینجا بیاید و تو را پیدا نکند، مرا خواهد کشت. تو می‌دانی که من در تمام عمرم خدمتگزار وفاداری برای خداوند بوده‌ام. | 12 |
আমি জানি না, আপনার কাছ থেকে আমি চলে যাওয়ার পর সদাপ্রভুর আত্মা আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে। আমি যদি আহাবকে গিয়ে বলি এবং তিনি আপনাকে খুঁজে না পান, তবে তিনি আমাকেই হত্যা করবেন। অথচ আপনার এই দাস আমি আমার যৌবনকাল থেকেই সদাপ্রভুর আরাধনা করে আসছি।
| آیا این را هیچ‌کس به سرورم نگفته که وقتی ایزابل می‌خواست همهٔ انبیای خداوند را بکشد، من چگونه صد نفر از آنها را در دو دستهٔ پنجاه نفری در دو غار پنهان کردم و به ایشان نان و آب دادم؟ | 13 |
হে আমার প্রভু, আপনি কি শোনেননি ঈষেবল যখন সদাপ্রভুর ভাববাদীদের হত্যা করছিল তখন আমি কী করেছিলাম? আমি সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে একশো জনকে দুটি গুহায়—এক একটিতে পঞ্চাশ জন করে—লুকিয়ে রেখে তাদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।
| حال تو می‌گویی که بروم و به پادشاه بگویم که ایلیا اینجاست؟ با این کار خود را به کشتن خواهم داد.» | 14 |
আর এখন কি না আপনি আমাকে আমার মনিবের কাছে গিয়ে একথা বলতে বলছেন, ‘এলিয় এখানে আছেন।’ তিনি তো আমায় মেরে ফেলবেন!”
| ایلیا گفت: «به خداوند زنده، خدای لشکرهای آسمان که خدمتش می‌کنم، قسم که امروز خود را به اَخاب نشان خواهم داد.» | 15 |
এলিয় বললেন, “আমি যাঁর সেবা করি, সেই সর্বশক্তিমান জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি অবশ্যই আজ আহাবের সামনে নিজেকে উপস্থিত করব।”
| پس عوبدیا برگشت و به اَخاب خبر داد که ایلیا پیدا شده است. اَخاب با شنیدن این خبر به ملاقات ایلیا رفت. | 16 |
অতএব ওবদিয় গিয়ে আহাবের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব কথা বললেন, এবং আহাবও এলিয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
| وقتی او ایلیا را دید گفت: «پس تو هستی که این بلا را بر سر اسرائیل آورده‌ای!» | 17 |
এলিয়ের দেখা পেয়ে আহাব তাঁকে বললেন, “ওহে ইস্রায়েলের অসুবিধা সৃষ্টিকারী লোক, এ কি তুমি?”
| ایلیا جواب داد: «من این بلا را بر سر اسرائیل نیاورده‌ام، بلکه تو و خاندانت با سرپیچی از دستورهای خداوند و پرستش بت بعل باعث شده‌اید این بلا بر سر اسرائیل بیاید. | 18 |
“আমি ইস্রায়েলে অসুবিধা সৃষ্টি করিনি,” এলিয় উত্তর দিলেন। “কিন্তু আপনি ও আপনার বাবার কুলই তা করেছেন। আপনারা সদাপ্রভুর আদেশ পরিত্যাগ করে বায়াল-দেবদের অনুগামী হয়েছেন।
| حال برو و تمام قوم اسرائیل را روی کوه کرمل جمع کن. همچنین چهارصد و پنجاه نبی بت بعل و چهارصد نبی بت اشیره را که ایزابل معاش آنها را تأمین می‌کند به کوه کرمل احضار کن.» | 19 |
এখন ইস্রায়েলের সর্বত্র খবর পাঠিয়ে লোকদের ডেকে আনুন, যেন তারা কর্মিল পাহাড়ে আমার সাথে দেখা করে। আর বায়ালের সেই 450 জন ও আশেরার সেই 400 জন ভাববাদীকেও নিয়ে আসুন, যারা ঈষেবলের টেবিলে বসে ভোজনপান করে।”
| پس اَخاب تمام بنی‌اسرائیل را با انبیای بعل به کوه کرمل احضار کرد. | 20 |
অতএব আহাব সমস্ত ইস্রায়েলে খবর পাঠিয়ে ভাববাদীদের কর্মিল পাহাড়ে সমবেত করলেন।
| وقتی همه جمع شدند، ایلیا خطاب به ایشان گفت: «تا کی می‌خواهید هم خدا را بپرستید و هم بتها را؟ اگر خداوند خداست، او را اطاعت نمایید و اگر بعل خداست، او را پیروی کنید.» اما قوم هیچ جوابی ندادند. | 21 |
এলিয় লোকদের সামনে গিয়ে বললেন, “আর কত দিন তোমরা দুটি অভিমতের মাঝে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে থাকবে? সদাপ্রভু যদি ঈশ্বর হন, তবে তাঁর অনুগামী হও; কিন্তু বায়াল যদি ঈশ্বর হয়, তবে তারই অনুগামী হও।” কিন্তু লোকেরা কিছুই বলেনি।
| ایلیا در ادامهٔ سخنان خود گفت: «از انبیای خداوند تنها من باقی مانده‌ام، اما انبیای بعل چهارصد و پنجاه نفرند. | 22 |
তখন এলিয় তাদের বললেন, “সদাপ্রভুর ভাববাদীদের মধ্যে এখানে একমাত্র আমিই আছি, কিন্তু বায়ালের ভাববাদীরা সংখ্যায় 450 জন।
| حال دو گاو اینجا بیاورید. انبیای بعل از آن دو گاو یکی را انتخاب کنند و آن را تکه‌تکه نموده بر هیزم مذبح بعل بگذارند، ولی هیزم را آتش نزنند. من هم گاو دیگر را به همان ترتیب روی هیزم مذبح خداوند می‌گذارم، ولی هیزم را آتش نمی‌زنم. | 23 |
আমাদের জন্য দুটি বলদ নিয়ে এসো। বায়ালের ভাববাদীরা নিজেদের জন্য একটি বলদ বেছে নিক, ও সেটি কেটে টুকরো টুকরো করে কাঠের উপর সাজিয়ে রাখুক কিন্তু তাতে যেন তারা আগুন না ধরায়। আমিও অন্য বলদটি প্রস্তুত করে সেটি কাঠের উপর সাজিয়ে রাখব কিন্তু তাতে আগুন দেব না।
| آنگاه انبیای بعل نزد خدای خود دعا کنند و من نیز نزد خداوند دعا می‌کنم. آن خدایی که هیزم مذبح خود را شعله‌ور سازد، او خدای حقیقی است!» تمام قوم اسرائیل این پیشنهاد را پذیرفتند. | 24 |
পরে তোমরা নিজেদের দেবতার নাম ধরে ডেকো, ও আমিও সদাপ্রভুর নাম ধরে ডাকব। যিনি আগুনের দ্বারা উত্তর দেবেন, তিনিই ঈশ্বর।” তখন সব লোকজন বলে উঠেছিল, “আপনি ভালো কথাই বলেছেন।”
| بعد ایلیا به انبیای بعل گفت: «شما اول شروع کنید، چون تعدادتان بیشتر است. یکی از گاوها را آماده کنید و روی مذبح بگذارید ولی هیزم را آتش نزنید. فقط نزد خدای خود دعا کنید.» | 25 |
এলিয় বায়ালের ভাববাদীদের বললেন, “একটি বলদ বেছে নিয়ে তোমরা প্রথমে সেটি প্রস্তুত করো, যেহেতু সংখ্যায় তোমরাই বেশি। তোমাদের দেবতার নাম ধরে ডাকো, কিন্তু আগুন জ্বালিয়ো না।”
| پس آنها یکی از گاوها را گرفتند و آماده کردند و آن را روی مذبح بعل گذاشتند و از صبح تا ظهر نزد بعل فریاد می‌زدند: «ای بعل، دعای ما را اجابت کن!» و دور مذبح می‌رقصیدند. اما هیچ صدا و جوابی نیامد. | 26 |
অতএব যে বলদটি তাদের দেওয়া হল, সেটি তারা প্রস্তুত করে রেখেছিল। পরে তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বায়ালের নাম ধরে ডেকেছিল। “হে বায়ালদেব, আমাদের উত্তর দাও!” এই বলে তারা চিৎকার করছিল। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি; কেউ উত্তর দেয়নি। তারা আবার তাদের তৈরি করা যজ্ঞবেদি ঘিরে নাচতেও লাগল।
| نزدیک ظهر ایلیا آنها را به باد مسخره گرفت و گفت: «بلندتر فریاد بزنید تا خدایتان بشنود! شاید او به فکر فرو رفته و یا شاید مشغول است! شاید اصلاً اینجا نیست و در سفر است! شاید هم خوابیده و باید بیدارش کنید!» | 27 |
দুপুর হতে না হতেই এলিয় তাদের বিদ্রুপের খোঁচা দিতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, “আরও জোরে চিৎকার করো! সে তো অবশ্যই একজন দেবতা! হয়তো সে গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে আছে, হয়তো বা সে খুব ব্যস্ত, বা কোথাও বেড়াতে গিয়েছে। হতে পারে সে হয়তো ঘুমাচ্ছে আর তাকে জাগাতে হবে।”
| پس بلندتر فریاد زدند. آنها چنانکه عادتشان بود با شمشیر و نیزه خود را مجروح می‌کردند، به طوری که خون از بدنهایشان جاری می‌شد. | 28 |
তাই তারা আরও জোরে চিৎকার করতে শুরু করল এবং তাদের লোকাচার অনুসারে, রক্তের ধারা প্রবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তরোয়াল ও বর্শা দিয়ে নিজেদের শরীর ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছিল।
| به این ترتیب، از صبح تا عصر آنها ورد خواندند ولی نه صدایی از بعل برآمد و نه جوابی. | 29 |
দুপুর গড়িয়ে গেল, তবু তারা সন্ধ্যাকালীন বলিদানের সময় পর্যন্ত তাদের ক্ষিপ্ত ভাববাণী আউড়ে গেল। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি, কেউ উত্তর দেয়নি, কেউ তাতে মনোযোগ দেয়নি।
| آنگاه ایلیا تمام قوم را جمع کرد و مذبح خداوند را که ویران شده بود، دوباره بر پا نمود. | 30 |
তখন এলিয় সব লোকজনকে বললেন, “এখানে আমার কাছে এসো।” তারা তাঁর কাছে এসেছিল, ও তিনি ভেঙে পড়ে থাকা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি মেরামত করলেন।
| سپس او دوازده سنگ برداشت. این سنگها به نشانهٔ دوازده قبیلهٔ اسرائیل بود که به نام پسران یعقوب خوانده می‌شدند. (یعقوب همان است که خداوند اسمش را اسرائیل گذاشت.) | 31 |
সেই যাকোব থেকে উৎপন্ন বংশের সংখ্যানুসারে এলিয় বারোটি পাথর হাতে তুলে নিয়েছিলেন, যাঁর কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য উপস্থিত হল, “তোমার নাম হবে ইস্রায়েল।”
| ایلیا با آن سنگها مذبح خداوند را از نو ساخت. بعد زمین دور مذبح را به گنجایش دو پیمانه بذر کَند | 32 |
সেই পাথরগুলি দিয়ে তিনি সদাপ্রভুর নামে একটি যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন, এবং সেটির চারপাশে দুই কাঠা বীজ ধারণ করতে পারে, এত বড়ো একটি নালা কেটে দিলেন।
| و هیزمها را روی مذبح گذاشت، گاو را تکه‌تکه کرد و آن را روی هیزمها نهاد و گفت: «چهار سطل آب بیاورید و روی قربانی و هیزم بریزید.» آنها چنین کردند. | 33 |
তিনি কাঠ সাজিয়ে, বলদটি টুকরো টুকরো করে কেটে কাঠের উপর সাজিয়ে রেখেছিলেন। পরে তিনি তাদের বললেন, “চারটি বড়ো বড়ো বয়ামে জল ভরে সেই জল বলির পশু ও কাঠের উপর ঢেলে দাও।”
| ایلیا گفت: «باز هم آب بریزید.» آنها باز هم آب ریختند. ایلیا بازگفت: «یکبار دیگر هم بریزید.» آنها برای بار سوم آب ریختند | 34 |
“আবার এরকম করো,” তিনি বললেন, ও তারা আবার তা করল। “তৃতীয়বারও এরকম করো,” তিনি আদেশ দিলেন, ও তারা তৃতীয়বার তা করল।
| به طوری که آب، مذبح را پر ساخته، از آن سرازیر شد و گودال اطراف را نیز تمام پر کرد. | 35 |
বেদি উপচে জল গড়িয়ে পড়েছিল ও এমনকি নালাও ভরিয়ে তুলেছিল।
| هنگام عصر که وقت قربانی کردن بود، ایلیا کنار مذبح ایستاد و اینطور دعا کرد: «ای خداوند، خدای ابراهیم و اسحاق و یعقوب، امروز آشکار کن که تو خدای اسرائیل هستی و من خدمتگزار تو می‌باشم. ثابت کن که همهٔ این کارها را من به فرمان تو انجام داده‌ام. | 36 |
বলিদান উৎসর্গ করার সময় ভাববাদী এলিয় এগিয়ে এসে প্রার্থনা করলেন: “হে সদাপ্রভু, অব্রাহাম, ইস্হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, লোকেরা আজ জানুক যে ইস্রায়েলে তুমিই ঈশ্বর এবং আমি তোমার দাস ও আমি তোমার আদেশেই এসব কাজ করেছি।
| ای خداوند، جواب بده. دعای مرا اجابت فرما تا این قوم بدانند که تو خدا هستی و ایشان را به سوی خود باز می‌گردانی.» | 37 |
আমায় উত্তর দাও, হে সদাপ্রভু, আমায় উত্তর দাও, যেন এইসব লোক জানতে পারে যে তুমি তাদের অন্তর আবার ফিরাতে চলেছ।”
| آنگاه خداوند آتشی از آسمان فرستاد و قربانی و هیزم و حتی خاک و سنگ مذبح را سوزانید و آب گودال را نیز خشک کرد. | 38 |
তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন নেমে এসেছিল এবং বলির পশু, কাঠ, পাথর ও মাটি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল, এবং নালার জলও নিকেশ করে ফেলেছিল।
| وقتی بنی‌اسرائیل این را دیدند، همگی روی خاک افتادند و فریاد زدند: «خداوند، خداست! خداوند، خداست!» | 39 |
সব লোকজন যখন এই দৃশ্য দেখেছিল, তারা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে চিৎকার করে উঠেছিল, “সদাপ্রভুই ঈশ্বর! সদাপ্রভুই ঈশ্বর!”
| آنگاه ایلیای نبی به آنها گفت: «این انبیای بعل را بگیرید و نگذارید یکی از ایشان نیز فرار کند.» پس همهٔ آنها را گرفتند و ایلیا آنها را به کنار رود قیشون برد و آنها را در آنجا کشت. | 40 |
তখন এলিয় তাদের আদেশ দিলেন, “বায়ালের ভাববাদীদের ধরে ফেলো। কেউ যেন পালাতে না পারে!” তারা তাদের ধরে ফেলেছিল, ও এলিয় তাদের কীশোন উপত্যকায় নামিয়ে এনে সেখানে তাদের হত্যা করলেন।
| سپس ایلیا به اَخاب پادشاه گفت: «حال برو بخور و بیاشام! به‌زودی باران شروع می‌شود زیرا صدای رعد به گوشم می‌رسد.» | 41 |
আর এলিয় আহাবকে বললেন, “যান, ভোজনপান করুন, কারণ প্রবল বৃষ্টির শব্দ শোনা যাচ্ছে।”
| پس اَخاب رفت که عیش و نوش کند ولی ایلیا به قلهٔ کوه کرمل برآمد و در آنجا رو به زمین خم شد و سرش را میان زانوانش گرفت. | 42 |
অতএব আহাব ভোজনপান করতে চলে গেলেন, কিন্তু এলিয় কর্মিল পাহাড়ের চূড়ায় উঠে গিয়ে, মাটিতে হাঁটু মুড়ে, নিজের মুখটি দুই হাঁটুর মাঝখানে রেখে বসেছিলেন।
| سپس به خدمتکار خود گفت: «به طرف دریا برو و نگاه کن؛ ببین ابری می‌بینی!» او رفت و برگشت و گفت: «چیزی نمی‌بینم.» ایلیا گفت: «باز هم برو.» و به این ترتیب هفت بار او را فرستاد. | 43 |
“যাও, সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকো,” তিনি তাঁর দাসকে বললেন। আর সে গিয়ে তাকিয়ে থেকেছিল। “সেখানে কিছুই নেই,” সে বলল। সাতবার এলিয় বললেন, “তুমি ফিরে যাও।”
| سرانجام بار هفتم خدمتکار به او گفت: «یک تکه ابر کوچک به اندازهٔ کف دست از طرف دریا بالا می‌آید.» ایلیا به او گفت: «نزد اَخاب برو و بگو هر چه زودتر سوار ارابه‌اش شود و از کوه پایین برود و گرنه باران مانع رفتنش خواهد شد.» | 44 |
সপ্তমবারে সেই দাস এসে খবর দিয়েছিল, “মানুষের হাতের মতো ছোটো একখণ্ড মেঘ সমুদ্র থেকে উঠে আসছে।” অতএব এলিয় বললেন, “যাও, আহাবকে গিয়ে বলো, ‘হ্যাঁচকা টান মেরে আপনার রথটি ওঠান ও বৃষ্টি বাধ সাধার আগেই আপনি চলে যান।’”
| طولی نکشید که ابرهای غلیظ به هم آمدند، هوا تاریک گردید، باد تندی وزید و باران شروع شد. اَخاب با شتاب سوار ارابه شد و به سوی یزرعیل روانه گشت. | 45 |
এদিকে, আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল, বাতাস উঠেছিল, প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হল এবং আহাব রথে চড়ে যিষ্রিয়েলে চলে গেলেন।
| اما خداوند نیروی مخصوصی به ایلیا بخشید و او برخاست لباسش را به کمر بست و آنچنان تند دوید که جلوتر از ارابهٔ اَخاب به یزرعیل رسید. | 46 |
সদাপ্রভুর শক্তি এলিয়ের উপর নেমে এসেছিল, এবং নিজের আলখাল্লাটি কোমরবন্ধে গুঁজে নিয়ে তিনি আহাবের আগেই দৌড়ে যিষ্রিয়েলে পৌঁছে গেলেন।
