< زکریا 1 >
در ماه هشتم از سال دوم داریوش، کلام خداوند بر زکریا ابن برکیا ابن عدوی نبی نازل شده، گفت: | ۱ 1 |
১দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে সদাপ্রভুর এই বাক্য ইদ্দোরের নাতি, বেরিখিয়ের ছেলে সখরিয় ভাববাদীর কাছে উপস্থিত হল।
«خداوند بر پدران شما بسیارغضبناک بود. | ۲ 2 |
২সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের উপর খুবই রেগে ছিলেন।
پس به ایشان بگو: یهوه صبایوت چنین میگوید بسوی من بازگشت کنید. قول یهوه صبایوت این است. و یهوه صبایوت میگوید: من به سوی شما رجوع خواهم نمود. | ۳ 3 |
৩সেইজন্য তুমি এই লোকদের বল, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমরা আমার দিকে ফেরো!” বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তাতে আমিও তোমাদের দিকে ফিরব।
شما مثل پدران خود مباشید که انبیا سلف ایشان را نداکرده، گفتند یهوه صبایوت چنین میگوید ازراههای زشت خود و از اعمال بد خویش بازگشت نمایید، اما خداوند میگوید که ایشان نشنیدند و به من گوش ندادند. | ۴ 4 |
৪তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত হোয়ো না, তাদের কাছে পূর্বের ভাববাদীরা ঘোষণা করে বলত, “বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, তোমরা তোমাদের মন্দ পথ ও মন্দ কাজ থেকে ফেরো।” কিন্তু তারা তা শুনত না, আমার কথায় কান দিত না, এ সদাপ্রভু বলেন।
پدران شما کجاهستند و آیا انبیا همیشه زنده میمانند؟ | ۵ 5 |
৫“তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোথায়? এবং ভাববাদীরা কি চিরকাল বেঁচে থাকে?
لیکن کلام و فرایض من که به بندگان خود انبیاامرفرموده بودم، آیا پدران شما را در نگرفت؟ وچون ایشان بازگشت نمودند، گفتند چنانکه یهوه صبایوت قصد نمود که موافق راهها و اعمال ما به ما عمل نماید همچنان به ما عمل نموده است.» | ۶ 6 |
৬কিন্তু আমি আমার দাস ভাববাদীদের যা কিছু আদেশ দিয়েছিলাম, আমার সেই সমস্ত কথা ও নিয়ম কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের নাগাল পায় নি? তখন তারা ফিরে এসে বলল, ‘বাহিনীদের সদাপ্রভু আমাদের আচার-ব্যবহার অনুসারে আমাদের প্রতি যেমন ব্যবহার করবেন বলে ঠিক করেছিলেন, আমাদের প্রতি ঠিক তেমনি ব্যবহার করেছেন’।”
در روز بیست و چهارم ماه یازدهم که ماه شباط باشد، از سال دوم داریوش، کلام خداوندبر زکریا ابن برکیا ابن عدوی نبی نازل شده، گفت: | ۷ 7 |
৭দারিয়াবসের দ্বিতীয় বছরের এগারো মাস অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশ দিনের র দিন সদাপ্রভুর বাক্য ইদ্দোরের নাতি, বেরিখিয়ের ছেলে সখরিয় ভাববাদীর কাছে প্রকাশিত হল।
در وقت شب دیدم که اینک مردی بر اسب سرخ سوار بود و در میان درختان آس که در وادی بود ایستاده و در عقب او اسبان سرخ و زرد و سفیدبود. | ۸ 8 |
৮রাতের বেলায় আমি একটা দর্শন পেলাম, আর দেখ, লাল ঘোড়ায় আরোহী একজন ব্যক্তি, তিনি উপত্যকায় গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁর পিছনে ছিল লাল, বাদামী ও সাদা রঙের ঘোড়া।
و گفتم: «ای آقایم اینها چیستند؟» وفرشتهای که با من تکلم مینمود، مرا گفت: «من تورا نشان میدهم که اینها چیستند.» | ۹ 9 |
৯তখন আমি বললাম, “হে আমার প্রভু, এরা কারা?” তাতে একজন স্বর্গদূত যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তরে তিনি বললেন, “এরা কে তা আমি তোমাকে দেখাব।”
پس آن مرد که در میان درختان آس ایستاده بود، جواب داد و گفت: «اینها کسانی میباشند که خداوند ایشان را برای تردد نمودن در جهان فرستاده است.» | ۱۰ 10 |
১০আর যিনি গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি আমাকে বললেন, “সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখার জন্য সদাপ্রভু এদেরকে পাঠিয়েছেন।”
و ایشان به فرشته خداوند که در میان درختان آس ایستاده بودجواب داده، گفتند: «ما در جهان تردد نمودهایم واینک تمامی جهان مستریح و آرام است.» | ۱۱ 11 |
১১তখন তাঁরা গুলমেঁদি গাছগুলোর মাঝখানে সদাপ্রভুর যে দূত দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁকে বললেন, “আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে দেখলাম যে, সমস্ত পৃথিবী বিশ্রামে ও শান্তিতে রয়েছে।”
وفرشته خداوند جواب داده، گفت: «ای یهوه صبایوت تا به کی بر اورشلیم و شهرهای یهودا که در این هفتاد سال غضبناک میبودی رحمت نخواهی نمود؟» | ۱۲ 12 |
১২তখন সদাপ্রভুর দূত বললেন, “হে বাহিনীদের সদাপ্রভু, তুমি এই যে সত্তর বছর রেগে আছ, সেই যিরূশালেম ও যিহূদার অন্যান্য শহরগুলোর উপর দয়া দেখাতে আর কত দিন তুমি দেরি করবে?”
و خداوند با سخنان نیکو وکلام تسلی آمیز آن فرشتهای را که با من تکلم مینمود جواب داد. | ۱۳ 13 |
১৩তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন সদাপ্রভু তাঁকে অনেক মঙ্গলের ও সান্ত্বনার কথা বললেন।
پس فرشتهای که با من تکلم مینمود مراگفت: «ندا کرده بگو یهوه صبایوت چنین میگوید: در باره اورشلیم و صهیون غیرت عظیمی داشتم. | ۱۴ 14 |
১৪আর যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি আমাকে বললেন, “এই কথা ঘোষণা কর যে, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিরূশালেমের জন্য ও সিয়োনের জন্য আমি অন্তরে খুব জ্বালা বোধ করছি।”
و برامت های مطمئن سخت غضبناک شدم زیرا که اندک غضبناک میبودم لیکن ایشان بلا را زیاده کردند. | ۱۵ 15 |
১৫নিশ্চিন্তে থাকা সেই সব জাতির উপরে আমি ভীষণ রেগে গিয়েছি, কারণ আমি যখন অল্প রেগে গিয়েছিলাম তখন তারা আরো বেশি কষ্ট দিয়েছিল।
بنابراین خداوندچنین میگوید: به اورشلیم با رحمتها رجوع خواهم نمود و خانه من در آن بنا خواهد شد. قول یهوه صبایوت این است و ریسمانکاری بر اورشلیم کشیده خواهد شد. | ۱۶ 16 |
১৬এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমি যিরূশালেমকে দয়া করার জন্য ফিরে আসব। সেখানে আমার গৃহ আবার তৈরী হবে,” এই কথা বাহিনীদের সদাপ্রভু বলেন এবং যিরূশালেম শহরকে মাপা হবে।
بار دیگر نداکرده، بگو که یهوه صبایوت چنین میگوید: شهرهای من بار دیگر به سعادتمندی لبریزخواهد شد و خداوند صهیون را باز تسلی خواهد داد و اورشلیم را بار دیگر خواهدبرگزید.» | ۱۷ 17 |
১৭আবার, ঘোষণা করে, বল, বাহিনীদের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমার শহরগুলোতে আবার মঙ্গল উপচিয়ে পড়বে এবং সদাপ্রভু আবার সিয়োনকে সান্ত্বনা করবেন ও যিরূশালেমকে আবার বেছে নেবেন।
پس چشمان خود را برافراشته، نگریستم واینک چهار شاخ بود. | ۱۸ 18 |
১৮তারপর আমি চোখ তুলে তাকালাম আর চারটি শিং দেখতে পেলাম।
و به فرشتهای که با من تکلم مینمود گفتم: «اینها چیستند؟» او مرا گفت: «اینها شاخها میباشند که یهودا و اسرائیل واورشلیم را پراکنده ساختهاند.» | ۱۹ 19 |
১৯তখন যে স্বর্গদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, “এগুলো কি?” তিনি আমাকে বললেন, “এগুলো সেই শিং যা যিহূদা, ইস্রায়েল ও যিরূশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।”
و خداوندچهار آهنگر به من نشان داد. | ۲۰ 20 |
২০তারপরে সদাপ্রভু আমাকে চারজন মিস্ত্রীকে দেখালেন।
و گفتم: «اینان برای چهکار میآیند؟» او در جواب گفت: «آنهاشاخها میباشند که یهودا را چنان پراکنده نمودهاند که احدی سر خود را بلند نمی تواند کردو اینها میآیند تا آنها را بترسانند و شاخهای امت هایی را که شاخ خود را بر زمین یهودابرافراشته، آن را پراکنده ساختهاند بیرون افکنند.» | ۲۱ 21 |
২১আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “এরা কি করতে এসেছে?” তিনি বললেন, “এই শিংগুলো যিহূদাকে এমনভাবে ছিন্নভিন্ন করেছে যে, কেউই মাথা তুলতে পারে নি, কিন্তু যে সব জাতিরা যিহূদা দেশকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য শিং উঠিয়েছে, তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য ও তাদের শিংগুলি নিচে ফেলে দেওয়ার জন্য এই মিস্ত্রীরা এসেছে।”