< نحمیا 2 >

و در ماه نیسان، در سال بیستم ارتحشستاپادشاه، واقع شد که شراب پیش وی بود ومن شراب را گرفته، به پادشاه دادم و قبل از آن من در حضورش ملول نبودم. ۱ 1
রাজা অর্তক্ষস্তের রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাসে, যখন তাঁর কাছে দ্রাক্ষারস আনা হল, আমি সেই দ্রাক্ষারস নিয়ে রাজাকে দিলাম। এর আগে আমি তাঁর সামনে কখনও মলিন মুখে থাকিনি,
و پادشاه مرا گفت: «روی تو چرا ملول است با آنکه بیمار نیستی؟ این غیر از ملالت دل، چیزی نیست.» پس من بی‌نهایت ترسان شدم. ۲ 2
সেইজন্য রাজা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি তবে তোমার মুখ এত মলিন দেখাচ্ছে কেন? এ তো অন্তরের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” আমি খুব ভয় পেলাম,
و به پادشاه گفتم: «پادشاه تا به ابد زنده بماند، رویم چگونه ملول نباشد و حال آنکه شهری که موضع قبرهای پدرانم باشد، خراب است و دروازه هایش به آتش سوخته شده.» ۳ 3
তবুও আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ চিরজীবী হোন! যে নগরে আমার পিতৃপুরুষদের কবর দেওয়া হয়েছিল সেটি ধ্বংস করা হয়েছে এবং তার দ্বার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তখন আমার মুখ কেন মলিন দেখাবে না?”
پادشاه مرا گفت: «چه چیز می‌طلبی؟» آنگاه نزد خدای آسمانها دعا نمودم ۴ 4
রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম,
و به پادشاه گفتم: «اگر پادشاه را پسند آید و اگر بنده ات درحضورش التفات یابد، مرا به یهودا و شهرمقبره های پدرانم بفرستی تا آن را تعمیر نمایم.» ۵ 5
আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশি হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি যিহূদা-নগরে যেখানে আমার পিতৃপুরুষদের কবর দেওয়া হয়েছে সেখানে আমায় পাঠান যেন আমি তা আবার তৈরি করতে পারি।”
پادشاه مرا گفت و ملکه به پهلوی او نشسته بود: «طول سفرت چه قدر خواهد بود و کی مراجعت خواهی نمود؟» پس پادشاه صواب دیدکه مرا بفرستد و زمانی برایش تعیین نمودم. ۶ 6
তখন রাজা, যাঁর পাশে রানিও বসেছিলেন, আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কয়দিন লাগবে আর কবেই বা তুমি ফিরে আসবে?” রাজা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে পাঠালেন আর আমি একটি সময়ের কথা বললাম।
و به پادشاه عرض کردم، اگر پادشاه مصلحت بیندمکتوبات برای والیان ماورای نهر به من عطا شودتا مرا بدرقه نمایند و به یهودا برسانند. ۷ 7
তাকে আমি আরও বললাম, “যদি মহারাজ খুশি হয়ে থাকেন তবে ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে তিনি যেন চিঠি দেন যাতে যিহূদায় আমি পৌঁছানো পর্যন্ত তারা আমার যাত্রায় সাহায্য করেন।
ومکتوبی نیز به آساف که ناظر درختستانهای پادشاه است تا چوب برای سقف دروازه های قصر که متعلق به خانه است، به من داده شود و هم برای حصار شهر و خانه‌ای که من در آن ساکن شوم. پس پادشاه برحسب دست مهربان خدایم که بر من بود، اینها را به من عطا فرمود. ۸ 8
এছাড়া তিনি যেন তাঁর বনরক্ষক আসফের কাছে একটি চিঠি দেন যাতে তিনি মন্দিরের পাশের দুর্গ-দ্বার ও নগরের প্রাচীরের ও আমার থাকবার ঘরের কড়িকাঠের জন্য আমাকে কাঠ দেন।” আমার উপর আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমার সব অনুরোধ রক্ষা করলেন।
پس چون نزد والیان ماورای نهر رسیدم، مکتوبات پادشاه را به ایشان دادم و پادشاه، سرداران سپاه و سواران نیز همراه من فرستاده بود. ۹ 9
পরে আমি ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে গিয়ে রাজার চিঠি দিলাম। রাজা আমার সঙ্গে কয়েকজন সেনাপতি ও একদল ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের পাঠিয়ে দিলেন।
اما چون سنبلط حرونی و طوبیای غلام عمونی‌این را شنیدند، ایشان را بسیار ناپسند آمدکه کسی به جهت طلبیدن نیکویی بنی‌اسرائیل آمده است. ۱۰ 10
এই সমস্ত বিষয় শুনে হোরোণীয় সন্‌বল্লট ও অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় খুব অসন্তুষ্ট হল কারণ ইস্রায়েলীদের মঙ্গল করার জন্য একজন লোক এসেছে।
پس به اورشلیم رسیدم و در آنجا سه روزماندم. ۱۱ 11
আমি জেরুশালেমে গিয়ে সেখানে তিন দিন থাকার পর
و شبگاهان به اتفاق چند نفری که همراه من بودند، برخاستم و به کسی نگفته بودم که خدایم در دل من چه نهاده بود که برای اورشلیم بکنم؛ و چهارپایی به غیر از آن چهارپایی که بر آن سوار بودم با من نبود. ۱۲ 12
রাতে আমি কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে বের হলাম। জেরুশালেমের জন্য যা করতে ঈশ্বর আমায় মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন তা আমি কাউকে বলিনি। আমি যে পশুর উপর চড়েছিলাম সেটি ছাড়া আর কোনও পশু আমার সঙ্গে ছিল না।
پس شبگاهان از دروازه وادی در مقابل چشمه اژدها تا دروازه خاکروبه بیرون رفتم و حصار اورشلیم را که خراب شده بود و دروازه هایش را که به آتش سوخته شده بود، ملاحظه نمودم. ۱۳ 13
রাত্রে আমি উপত্যকার দ্বার দিয়ে বের হয়ে নাগকূপ ও সার-দ্বার পর্যন্ত গেলাম এবং জেরুশালেমের ভাঙা প্রাচীর ও আগুন দিয়ে ধ্বংস করা দ্বারগুলি দেখলাম।
و از دروازه چشمه، نزدبرکه پادشاه گذشتم و برای عبور چهارپایی که زیرمن بود، راهی نبود. ۱۴ 14
তারপর আমি ফোয়ারা-দ্বার ও রাজার পুকুর পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু আমি যে পশুর উপর চড়েছিলাম তার সেই জায়গা দিয়ে যাবার জন্য কোনও পথ ছিল না;
و در آن شب به کنار نهربرآمده، حصار را ملاحظه نمودم و برگشته، ازدروازه وادی داخل شده، مراجعت نمودم. ۱۵ 15
এজন্য আমি সেরাতে প্রাচীরের অবস্থা দেখতে উপত্যকার মধ্য দিয়ে গেলাম এবং উপত্যকা দ্বার দিয়ে আবার ফিরে আসলাম।
وسروران ندانستند که کجا رفته یا چه کرده بودم، زیرا به یهودیان و به کاهنان و به شرفا و سروران وبه دیگر کسانی که در کار مشغول می‌بودند، هنوزخبر نداده بودم. ۱۶ 16
আমি কোথায় গিয়েছি বা কী করেছি তা উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা জানতে পারেনি, কারণ আমি তখনও ইহুদিদের অথবা যাজকদের অথবা গণ্যমান্য লোকদের অথবা উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের অথবা যারা কাজ করবে তাদের কিছুই বলিনি।
پس به ایشان گفتم: «شما بلایی را که در آن هستیم که اورشلیم چگونه خراب و دروازه هایش به آتش سوخته شده است، می‌بینید. بیایید وحصار اورشلیم را تعمیر نماییم تا دیگر رسوانباشیم.» ۱۷ 17
পরে আমি তাদের বললাম, “আমরা যে কি রকম দুরাবস্থায় আছি তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, জেরুশালেম ধ্বংস হয়ে রয়েছে এবং তাঁর দ্বারগুলি আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। আসুন, আমরা জেরুশালেমের প্রাচীর আবার গাঁথি, যেন আমাদের আর মর্যাদাহানি না হয়।”
و ایشان را از دست خدای خود که بر من مهربان می‌بود و نیز از سخنانی که پادشاه به من گفته بود خبر دادم. آنگاه گفتند: «برخیزیم وتعمیر نماییم.» پس دستهای خود را برای کارخوب قوی ساختند. ۱۸ 18
আমার ঈশ্বর কীভাবে আমার মঙ্গল করেছেন ও রাজা আমাকে কী বলেছেন তাও আমি তাদের জানালাম। উত্তরে তারা বললেন, “আসুন, আমরা গাঁথতে শুরু করি।” তারা সেই ভালো কাজ শুরু করতে প্রস্তুত হলেন।
اما چون سنبلط حرونی و طوبیای غلام عمونی و جشم عربی این راشنیدند، ما را استهزا نمودند و ما را حقیر شمرده، گفتند: «این چه‌کار است که شما می‌کنید؟ آیا برپادشاه فتنه می‌انگیزید؟» ۱۹ 19
কিন্তু হোরোণীয় সন্‌বল্লট, অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় এবং আরবীয় গেশম এই কথা শুনে আমাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে লাগল। তারা বলল, “তোমরা এ কি করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?”
من ایشان را جواب داده، گفتم: «خدای آسمانها ما را کامیاب خواهدساخت. پس ما که بندگان او هستیم برخاسته، تعمیر خواهیم نمود. اما شما را در اورشلیم، نه نصیبی و نه حقی و نه ذکری می‌باشد.» ۲۰ 20
আমি উত্তরে তাদের বললাম, “স্বর্গের ঈশ্বর আমাদের সফলতা দান করবেন। আমরা তাঁর দাসেরা আবার গাঁথব, কিন্তু জেরুশালেমে আপনাদের কোনও অংশ, কোনও দাবি কিংবা কোনও অধিকার নেই।”

< نحمیا 2 >