< اول پادشاهان 3 >
و سلیمان با فرعون، پادشاه مصر، مصاهرت نموده، دختر فرعون را گرفت، واو را به شهر داود آورد تا بنای خانه خود و خانه خداوند و حصار اورشلیم را به هر طرفش تمام کند. | ۱ 1 |
শলোমন মিশরের রাজা ফরৌণের সঙ্গে মৈত্রী স্থাপন করলেন ও তাঁর মেয়েকে বিয়ে করলেন। তাঁর প্রাসাদ ও সদাপ্রভুর মন্দির এবং জেরুশালেমের চারপাশের প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর স্ত্রীকে এনে দাউদ-নগরেই রেখেছিলেন।
لیکن قوم در مکانهای بلند قربانی میگذرانیدند زیرا خانهای برای اسم خداوند تاآن زمان بنا نشده بود. | ۲ 2 |
লোকজন তখনও অবশ্য উঁচু পীঠস্থানগুলিতেই বলি উৎসর্গ করে যাচ্ছিল, কারণ সদাপ্রভুর নামের উদ্দেশে তখনও কোনও মন্দির তৈরি করা হয়নি।
و سلیمان خداوند را دوست داشته، به فرایض پدر خود، داود رفتار مینمود، جز اینکه در مکانهای بلند قربانی میگذرانید و بخورمی سوزانید. | ۳ 3 |
শলোমন তাঁর বাবা দাউদের দেওয়া নির্দেশানুসারে চলে সদাপ্রভুর প্রতি তাঁর প্রেম-ভালোবাসা দেখিয়েছিলেন, এছাড়া অবশ্য তিনি উঁচু পীঠস্থানগুলিতে বলি উৎসর্গ করতেন ও ধূপও পোড়াতেন।
و پادشاه به جبعون رفت تا در آنجاقربانی بگذراند زیرا که مکان بلند عظیم، آن بود وسلیمان بر آن مذبح هزار قربانی سوختنی گذرانید. | ۴ 4 |
রাজামশাই গিবিয়োনে বলি উৎসর্গ করতে গেলেন, কারণ সেটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উঁচু পীঠস্থান, এবং শলোমন সেই যজ্ঞবেদিতে এক হাজার হোমবলি উৎসর্গ করলেন।
و خداوند به سلیمان در جبعون درخواب شب ظاهر شد. و خدا گفت: «آنچه را که به تو بدهم، طلب نما.» | ۵ 5 |
গিবিয়োনে রাতের বেলায় সদাপ্রভু এক স্বপ্নে শলোমনের কাছে আবির্ভূত হলেন, এবং ঈশ্বর বললেন, “আমার কাছে তোমার যা চাওয়ার আছে তুমি তা চেয়ে নাও।”
سلیمان گفت: «تو با بنده ات، پدرم داود، هرگاه در حضور تو با راستی و عدالت و قلب سلیم با تو رفتار مینمود، احسان عظیم مینمودی، و این احسان عظیم را برای اونگاه داشتی که پسری به او دادی تا بر کرسی وی بنشیند، چنانکه امروز واقع شده است. | ۶ 6 |
শলোমন উত্তর দিলেন, “তুমি তো তোমার দাস, আমার বাবা দাউদের প্রতি অসাধারণ দয়া দেখিয়েছো, যেহেতু তিনি তোমার প্রতি বিশ্বস্ত এবং অন্তরে ন্যায়পরায়ণ ও সৎ ছিলেন। তুমি তাঁর প্রতি এই অসাধারণ দয়া দেখিয়েই গিয়েছ ও ঠিক এই দিনটিতেই তাঁর সিংহাসনে বসার জন্য তাঁকে এক ছেলে দিয়েছ।
و الانای یهوه، خدای من، تو بنده خود را بهجای پدرم داود، پادشاه ساختی و من طفل صغیر هستم که خروج و دخول را نمی دانم. | ۷ 7 |
“এখন, হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি আমার বাবা দাউদের স্থানে তোমার এই দাসকে রাজা করেছ। কিন্তু আমি তো ছোটো এক শিশুর মতো ও কীভাবে আমার দায়িত্ব পালন করব, তাও জানি না।
و بنده ات در میان قوم تو که برگزیدهای هستم، قوم عظیمی که کثیرند به حدی که ایشان را نتوان شمرد و حساب کرد. | ۸ 8 |
তোমার দাস এখানে তোমার সেই মনোনীত লোকজনের মাঝখানেই আছে, যারা এমন এক বিশাল জনতা, যাদের গুনে শেষ করা যায় না।
پس به بنده خود دل فهیم عطا فرما تا قوم تو را داوری نمایم و در میان نیک و بد تمیز کنم، زیرا کیست که این قوم عظیم تو را داوری تواندنمود؟» | ۹ 9 |
তাই তোমার প্রজাদের পরিচালনা করার ও ভালোমন্দ বিচার করার জন্য তোমার দাসকে দূরদর্শিতাসম্পন্ন এক অন্তঃকরণ দিয়ো। কারণ তোমার এই বিশাল প্রজাদলকে পরিচালনা করার ক্ষমতা কারই বা আছে?”
و این امر به نظر خداوند پسند آمد که سلیمان این چیز را خواسته بود. | ۱۰ 10 |
শলোমনকে এই বিষয়টি চাইতে দেখে প্রভু সন্তুষ্ট হলেন।
پس خدا وی را گفت: «چونکه این چیز را خواستی و طول ایام برای خویشتن نطلبیدی، و دولت برای خودسوال ننمودی، و جان دشمنانت را نطلبیدی، بلکه به جهت خود حکمت خواستی تا انصاف رابفهمی، | ۱۱ 11 |
তাই ঈশ্বর তাঁকে বললেন, “যেহেতু তুমি নিজের জন্য দীর্ঘায়ু বা ধনসম্পদ না চেয়ে এই বিষয়টি চেয়েছ, বা তুমি তোমার শত্রুদের মৃত্যু কামনা না করে ন্যায়ের শাসন কায়েম করার জন্য দূরদর্শিতা চেয়েছ,
اینک برحسب کلام تو کردم و اینک دل حکیم و فهیم به تو دادم به طوری که پیش از تومثل تویی نبوده است و بعد از تو کسی مثل تونخواهد برخاست. | ۱۲ 12 |
তাই তুমি যা চেয়েছ, আমি তাই করব। আমি তোমাকে সুবিবেচক ও দূরদর্শিতাসম্পন্ন এমন এক অন্তঃকরণ দেব, যেমনটি তোমার আগেও কেউ পায়নি, আর তোমার পরেও কেউ পাবে না।
و نیز آنچه را نطلبیدی، یعنی هم دولت و هم جلال را به تو عطا فرمودم به حدی که در تمامی روزهایت کسی مثل تو درمیان پادشاهان نخواهد بود. | ۱۳ 13 |
এছাড়াও, আমি তোমাকে সেসবকিছু দেব, যা তুমি চাওনি—ধনসম্পদ ও সম্মানও দেব—যেন তোমার জীবনকালে তোমার সমতুল্য কোনও রাজা না থাকে।
و اگر در راههای من سلوک نموده، فرایض و اوامر مرا نگاه داری به طوری که پدر تو داود سلوک نمود، آنگاه روزهایت را طویل خواهم گردانید.» | ۱۴ 14 |
আর যদি তুমি আমার প্রতি বাধ্যতা দেখিয়ে চলো ও তোমার বাবা দাউদের মতো আমার বিধিনিয়ম ও আদেশগুলি পালন করো, তবে আমি তোমাকে দীর্ঘায়ু দেব।”
پس سلیمان بیدار شد و اینک خواب بود وبه اورشلیم آمده، پیش تابوت عهد خداوند ایستاد، و قربانی های سوختنی گذرانید و ذبایح سلامتی ذبح کرده، برای تمامی بندگانش ضیافت نمود. | ۱۵ 15 |
পরে শলোমন জেগে উঠেছিলেন—আর তিনি অনুভব করলেন যে তা ছিল এক স্বপ্ন। তিনি জেরুশালেমে ফিরে গেলেন, সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করলেন। পরে তিনি তাঁর রাজসভাসদদের জন্য এক ভূরিভোজনের আয়োজন করলেন।
آنگاه دو زن زانیه نزد پادشاه آمده، درحضورش ایستادند. | ۱۶ 16 |
এদিকে দুজন বারবনিতা রাজার কাছে এসে তাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিল।
و یکی از آن زنان گفت: «ای آقایم، من و این زن در یک خانه ساکنیم و درآن خانه با او زاییدم. | ۱۷ 17 |
তাদের মধ্যে একজন বলল, “হে আমার প্রভু, আমায় ক্ষমা করবেন। এই মহিলাটি ও আমি একই বাড়িতে থাকি, ও সে আমার সঙ্গে থাকতে থাকতেই আমার একটি সন্তান হল।
و روز سوم بعد از زاییدنم واقع شد که این زن نیز زایید و ما با یکدیگر بودیم و کسی دیگر با ما در خانه نبود و ما هر دو در خانهتنها بودیم. | ۱۸ 18 |
আমার সন্তান হওয়ার তিন দিন পর এরও একটি সন্তান হল। আমরা তো একাই ছিলাম; সেই বাড়িতে আর কেউ ছিল না, শুধু আমরা দুজনই ছিলাম।
و در شب، پسر این زن مرد زیرا که بر او خوابیده بود. | ۱۹ 19 |
“সেদিন রাতে এই মহিলাটির ছেলে মারা গেল কারণ সে তার উপর শুয়ে পড়েছিল।
و او در نصف شب برخاسته، پسر مرا وقتی که کنیزت در خواب بود از پهلوی من گرفت و در بغل خود گذاشت و پسر مرده خودرا در بغل من نهاد. | ۲۰ 20 |
তাই মাঝরাতে আপনার এই দাসী যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন এ ঘুম থেকে উঠে আমার পাশ থেকে আমার ছেলেকে সরিয়ে নিয়েছিল। এ আমার ছেলেকে নিজের বুকের কাছে রেখে তার মৃত ছেলেকে আমার বুকের কাছে শুইয়ে দিয়েছিল।
و بامدادان چون برخاستم تاپسر خود را شیر دهماینک مرده بود اما چون دروقت صبح بر او نگاه کردم، دیدم که پسری که من زاییده بودم، نیست.» | ۲۱ 21 |
পরদিন সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে যেই না আমার ছেলেকে দুধ খাওয়াতে গিয়েছি—দেখি সে মরে পড়ে আছে! কিন্তু আমি যখন সকালের আলোয় খুব কাছ থেকে তাকে দেখলাম, তখন বুঝলাম যে এ সেই ছেলে নয় যাকে আমি জন্ম দিয়েছিলাম।”
زن دیگر گفت: «نی، بلکه پسر زنده از آن من است و پسر مرده از آن توست.» و آن دیگر گفت: «نی، بلکه پسر مرده ازآن توست و پسر زنده از آن من است.» و به حضورپادشاه مکالمه میکردند. | ۲۲ 22 |
অন্য মহিলাটি বলে উঠেছিল, “তা নয়! জীবিত ছেলেটি আমার ছেলে; মৃত ছেলেটি তোমার।” কিন্তু প্রথমজন জোর দিয়ে বলল, “তা নয়! মৃত ছেলেটি তোমার; জীবিত ছেলেটি আমার।” আর তারা রাজার সামনেই তর্কাতর্কি শুরু করল।
پس پادشاه گفت: «این میگوید که این پسرزنده از آن من است و پسر مرده از آن توست و آن میگوید نی، بلکه پسر مرده از آن توست و پسرزنده از آن من است.» | ۲۳ 23 |
রাজামশাই বললেন, “একজন বলছে, ‘আমার ছেলে জীবিত আর তোমার ছেলে মৃত,’ আবার অন্যজন বলছে, ‘তা নয়! তোমার পুত্র মৃত আর আমার ছেলে জীবিত।’”
و پادشاه گفت: «شمشیری نزد من بیاورید.» پس شمشیری به حضور پادشاه آوردند. | ۲۴ 24 |
পরে রাজামশাই বললেন, “আমার কাছে একটি তরোয়াল নিয়ে এসো।” তখন তারা রাজার জন্য একটি তরোয়াল নিয়ে এসেছিল।
و پادشاه گفت: «پسرزنده را به دو حصه تقسیم نمایید و نصفش را به این و نصفش را به آن بدهید.» | ۲۵ 25 |
পরে তিনি আদেশ দিলেন: “জীবিত শিশুটিকে দু-টুকরো করে অর্ধেকটা একজনকে ও অর্ধেকটা অন্যজনকে দিয়ে দাও।”
و زنی که پسرزنده از آن او بود چونکه دلش بر پسرش می سوخت به پادشاه عرض کرده، گفت: «ای آقایم! پسر زنده را به او بدهید و او را هرگزمکشید.» اما آن دیگری گفت: «نه از آن من و نه ازآن تو باشد؛ او را تقسیم نمایید.» | ۲۶ 26 |
যে মহিলাটির ছেলে বেঁচে ছিল, সে ছেলেস্নেহে আকুল হয়ে রাজামশাইকে বলল, “হে আমার প্রভু, দয়া করে জীবিত শিশুটিকে ওর হাতেই তুলে দিন! শিশুটিকে হত্যা করবেন না!” কিন্তু অন্যজন বলল, “একে আমিও পাব না, তুমিও পাবে না। একে দু-টুকরো করে ফেলা হোক!”
آنگاه پادشاه امر فرموده، گفت: «پسر زنده را به او بدهید و او راالبته مکشید زیرا که مادرش این است.» | ۲۷ 27 |
তখন রাজামশাই তাঁর রায় দিলেন: “জীবিত শিশুটিকে প্রথম মহিলাটির হাতেই তুলে দাও। ওকে হত্যা কোরো না; এই ওর মা।”
و چون تمامی اسرائیل حکمی را که پادشاه کرده بود، شنیدند از پادشاه بترسیدند زیرا دیدند که حکمت خدایی به جهت داوری کردن در دل اوست. | ۲۸ 28 |
যখন ইস্রায়েলে সবাই রাজার দেওয়া রায়ের কথা শুনেছিল, তারা রাজাকে সমীহ করতে শুরু করল, কারণ তারা দেখতে পেয়েছিল যে ন্যায়বিচার সম্পন্ন করার জন্য তাঁর কাছে ঈশ্বরদত্ত সুবিবেচনা আছে।