< ଆୟୁବ 30 >

1 ଲୋକମାନେ ମୋତେ ପରିହାସ କରନ୍ତି, ସେମାନଙ୍କ ପିତୃଗଣକୁ ମୁଁ ଆପଣା ପଲରକ୍ଷକ କୁକ୍କୁରମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗେ ରଖିବାକୁ ତୁଚ୍ଛ କଲି।
“কিন্তু এখন তারাই আমাকে বিদ্রুপ করে, যারা আমার থেকে বয়সে ছোটো, যাদের বাবাদের আমি আমার মেষপাল-রক্ষক কুকুরদের সাথে রাখতেও অবজ্ঞা করতাম।
2 ସେମାନଙ୍କ ବାହୁ ବଳରେ ମୋହର କି ଲାଭ ହୋଇପାରେ? ସେମାନଙ୍କର ଯୌବନାବସ୍ଥା ନଷ୍ଟ ହୋଇଅଛି।
তাদের হাতের শক্তি আমার কী কাজে লাগত, যেহেতু তাদের প্রাণশক্তি তো তাদের কাছ থেকে চলে গিয়েছে?
3 ସେମାନେ ଦରିଦ୍ରତା ଓ ଦୁର୍ଭିକ୍ଷ ସକାଶୁ କ୍ଷୀଣ ହୋଇଅଛନ୍ତି; ସେମାନେ ଘୋର ଉତ୍ସନ୍ନତା ଓ ଶୂନ୍ୟତାରେ ଶୁଷ୍କ ଭୂମି ଚର୍ବଣ କରନ୍ତି।
অভাব ও খিদের জ্বালায় জীর্ণশীর্ণ হয়ে তারা রাতের বেলায় রৌদ্রদগ্ধ জমিতে ও জনশূন্য পতিত জমিতে ঘুরে বেড়াত।
4 ସେମାନେ ବୁଦା ନିକଟରୁ ବିସ୍ୱାଦୁ ଶାକ ଛିଣ୍ଡାନ୍ତି ଓ ରେତମବୃକ୍ଷର ମୂଳ ସେମାନଙ୍କର ଆହାର।
ঝাড়-জঙ্গলে তারা লবণাক্ত শাক সংগ্রহ করত, ও খেংরা ঝোপের মূল তাদের খাদ্য হয়েছিল।
5 ସେମାନେ ମନୁଷ୍ୟମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରୁ ତାଡ଼ିତ ହୋଇଅଛନ୍ତି; ଲୋକେ ଯେପରି ଚୋର ପଛରେ, ସେହିପରି ସେମାନଙ୍କ ପଛରେ ଡାକ ପକାନ୍ତି।
মানবসমাজ থেকে তারা বিতাড়িত হয়েছিল, লোকজন যেভাবে চোরের পিছনে চিৎকার করে, সেভাবে তাদেরও পিছনেও চিৎকার করত।
6 ସେମାନେ ଉପତ୍ୟକାର ବିଦୀର୍ଣ୍ଣ ସ୍ଥାନରେ, ପୃଥିବୀର ଓ ଶୈଳର ଗର୍ତ୍ତରେ ବାସ କରିବେ।
তারা শুকনো নদীখাতে, পাষাণ-পাথরের খাঁজে ও জমির ফাটলে বসবাস করতে বাধ্য হত।
7 ସେମାନେ ବୁଦା ମଧ୍ୟରେ ଗଧ ପରି ବୋବାନ୍ତି; ସେମାନେ ବିଛୁଆତି ବନରେ ରୁଣ୍ଡ ହୁଅନ୍ତି।
ঝোপঝাড়ে তারা পশুদের মতো ডাক দিয়ে বেড়াত ও লতাগুল্মের জঙ্গলে গাদাগাদি করে থাকত।
8 ସେମାନେ ମୂର୍ଖମାନଙ୍କର ସନ୍ତାନ, ସେମାନେ ଇତର ଲୋକଙ୍କ ସନ୍ତାନ; ସେମାନେ କୋରଡ଼ା ଖାଇ ଦେଶରୁ ତଡ଼ା ଯାଇଥିଲେ।
এক হীন ও অখ্যাত কুল হয়ে, তারা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
9 ମାତ୍ର ଏବେ ମୁଁ ସେମାନଙ୍କର ଗୀତ ସ୍ୱରୂପ ହୋଇଅଛି; ହଁ, ମୁଁ ସେମାନଙ୍କର ଗଳ୍ପ ସ୍ୱରୂପ ହୋଇଅଛି।
“আর এখন সেই যুবকেরা গান গেয়ে গেয়ে আমাকে বিদ্রুপ করে; আমি তাদের মাঝে এক জনশ্রুতিতে পরিণত হয়েছি।
10 ସେମାନେ ମୋତେ ଘୃଣା କରନ୍ତି, ସେମାନେ ମୋʼ ଠାରୁ ଦୂରରେ ଠିଆ ହୁଅନ୍ତି ଓ ମୋʼ ମୁଖରେ ଛେପ ପକାଇବାକୁ ଡରନ୍ତି ନାହିଁ।
তারা আমাকে ঘৃণা করে ও আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকে; আমার মুখে থুতু ছিটাতেও তারা দ্বিধাবোধ করে না।
11 କାରଣ ସେ ଆପଣା ରଜ୍ଜୁ ଫିଟାଇ ମୋତେ କ୍ଳେଶ ଦେଇଅଛନ୍ତି, ଏଣୁ ସେମାନେ ମୋʼ ସାକ୍ଷାତରେ ଲଗାମ ପକାଇ ଦେଇଅଛନ୍ତି।
এখন যেহেতু ঈশ্বর আমার ধনুক বিতন্ত্রিত করেছেন ও আমাকে দুর্দশাগ্রস্ত করেছেন, তাই আমার সামনে তারা সংযম ঝেড়ে ফেলেছে।
12 ଇତର ଲୋକମାନେ ମୋʼ ଡାହାଣରେ ଉଠନ୍ତି; ସେମାନେ ମୋʼ ଚରଣ ଘୁଞ୍ଚାଇ ଦିଅନ୍ତି ଓ ସେମାନେ ମୋʼ ବିରୁଦ୍ଧରେ ବିନାଶର ମାର୍ଗ ପ୍ରସ୍ତୁତ କରନ୍ତି।
আমার ডানদিকে উপজাতিরা আক্রমণ করে; তারা আমার পায়ের জন্য ফাঁদ বিছায়, আমার বিরুদ্ধে তারা তাদের অবরোধ-পথ নির্মাণ করে।
13 ସେମାନେ ମୋର ପଥ ବିଗାଡ଼ନ୍ତି, ସେମାନେ ମୋʼ ବିପଦକୁ ଅଗ୍ରସର କରନ୍ତି, ଅନ୍ୟର ସହାୟ ବିନା ହିଁ ସେମାନେ ତାହା କରନ୍ତି।
তারা আমার পথ অবরুদ্ধ করে; তারা আমাকে ধ্বংস করতে সফল হয়। ‘কেউ তাকে সাহায্য করতে পারবে না,’ তারা বলে।
14 ସେମାନେ ପ୍ରଶସ୍ତ ଭଗ୍ନ ସ୍ଥାନ ଦେଇ ଆସିଲା ପରି ଆସନ୍ତି; ଉଜାଡ଼ ମଧ୍ୟରେ ସେମାନେ ମୋʼ ଉପରେ ଗଡ଼ନ୍ତି।
তারা যেন এক প্রশস্ত ফাটলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে আসে; ধ্বংসাবশেষের মাঝখান দিয়ে তারা ঘূর্ণিবেগে আসে।
15 ନାନା ପ୍ରକାର ତ୍ରାସ ମୋତେ ଆକ୍ରମଣ କରିଅଛି, ତାହାସବୁ ବାୟୁ ପରି ମୋହର ସମ୍ଭ୍ରମ ଘଉଡ଼ାନ୍ତି ଓ ମୋହର ମଙ୍ଗଳ ମେଘ ପରି ବହି ଯାଇଅଛି।
আতঙ্ক আমাকে অভিভূত করে; আমার সম্মান যেন বাতাসে উড়ে গিয়েছে, আমার নিরাপত্তা মেঘের মতো অদৃশ্য হয়ে যায়।
16 ପୁଣି, ଏବେ ମୋର ପ୍ରାଣ ମୋʼ ଅନ୍ତରରେ ତରଳି ଯାଏ; କ୍ଳେଶର ଦିନସବୁ ମୋତେ ଆକ୍ରାନ୍ତ କରିଅଛି।
“আর এখন আমার জীবনে ভাটার টান এসেছে; কষ্টভোগের দিন আমাকে গ্রাস করেছে।
17 ରାତ୍ରିକାଳରେ ମୋହର ଅସ୍ଥିସବୁ ମୋʼ ଭିତରେ ବିଦ୍ଧ ହୁଏ ଓ ମୋତେ କାମୁଡ଼ିବା ବେଦନାସବୁ ବିଶ୍ରାମ ନିଅନ୍ତି ନାହିଁ।
রাতের বেলায় আমার অস্থি বিদ্ধ হয়; আমার বিরক্তিকর যন্ত্রণা কখনও বিশ্রাম নেয় না।
18 ମୋʼ ରୋଗର ପ୍ରବଳ ଶକ୍ତିରେ ମୋʼ ବସ୍ତ୍ର ବିକୃତ ହୋଇଅଛି; ତାହା ମୋʼ ଜାମାର ଗଳାପଟି ପରି ମୋତେ ଚାରିଆଡ଼େ ବାନ୍ଧେ।
ঈশ্বর তাঁর মহাপরাক্রমে আমার কাছে পোশাকের মতো হয়ে গিয়েছেন; আমার জামার গলবন্ধের মতো তিনি আমাকে বেঁধে রেখেছেন।
19 ସେ ମୋତେ ପଙ୍କରେ ପକାଇ ଦେଇଅଛନ୍ତି, ଆଉ ମୁଁ ଧୂଳି ଓ ଭସ୍ମ ପରି ହୋଇଅଛି।
তিনি আমাকে কাদায় ছুঁড়ে ফেলেছেন, ও আমি ধুলো ও ভস্মের মতো হয়ে গিয়েছি।
20 ମୁଁ ତୁମ୍ଭକୁ ଡାକ ପକାଉଅଛି, ମାତ୍ର ତୁମ୍ଭେ ମୋତେ ଉତ୍ତର ଦିଅ ନାହିଁ। ମୁଁ ଠିଆ ହେଲେ, ତୁମ୍ଭେ ମୋତେ ଅନାଉଅଛ।
“হে ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে আর্তনাদ করেছি, কিন্তু তুমি উত্তর দাওনি; আমি উঠে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু তুমি শুধু আমার দিকে তাকিয়েছ।
21 ତୁମ୍ଭେ ମୋʼ ପ୍ରତି ନିଷ୍ଠୁର ହୋଇ ଯାଇଅଛ; ତୁମ୍ଭେ ଆପଣା ହସ୍ତର ପରାକ୍ରମରେ ମୋତେ ତାଡ଼ନା କରୁଅଛ।
নির্মমভাবে তুমি আমার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছ; তোমার হাতের শক্তি দিয়ে তুমি আমাকে আক্রমণ করেছ।
22 ତୁମ୍ଭେ ମୋତେ ବାୟୁକୁ ଉଠାଇ ତହିଁ ଉପରେ ମୋତେ ଚଢ଼ାଉଅଛ ଓ ବତାସରେ ତୁମ୍ଭେ ମୋତେ ଲୀନ କରୁଅଛ।
আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে তুমি আমাকে বাতাসের সামনে চালান করেছ; তুমি আমাকে ঝড়ের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়েছ।
23 କାରଣ ମୁଁ ଜାଣେ, ତୁମ୍ଭେ ମୋତେ ମୃତ୍ୟୁୁ ନିକଟକୁ ଓ ସମସ୍ତ ପ୍ରାଣୀ ପାଇଁ ନିରୂପିତ ଗୃହକୁ ଆଣିବ।
আমি জানি তুমি আমাকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে যাবে, সেই স্থানে নিয়ে যাবে, যা সব জীবিতজনের জন্য নিরূপিত হয়ে আছে।
24 ନିଶ୍ଚୟ ଭଗ୍ନ ଗୃହାଦିର ରାଶି ବିରୁଦ୍ଧରେ ସେ ଆପଣା ହସ୍ତ ବଢ଼ାଇବେ ନାହିଁ; ତଥାପି ଜଣେ ଆପଣା ବିନାଶ ସମୟରେ ଏହିସବୁ ବିଷୟ ସକାଶୁ ଆର୍ତ୍ତନାଦ କରିପାରେ।
“একজন বিদীর্ণ মানুষ যখন তার চরম দুর্দশায় সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করে তখন নিশ্চয় তার উপরে কেউ হস্তক্ষেপ করে না।
25 ମୁଁ କି ଦୁଃଖରେ ଥିବା ଲୋକ ପାଇଁ ରୋଦନ କଲି ନାହିଁ? ଦୀନହୀନ ପାଇଁ କି ମୋହର ପ୍ରାଣ ଦୁଃଖିତ ନୋହିଲା?
আমি কি বিপদগ্রস্তদের জন্য কাঁদিনি? দরিদ্রদের জন্য আমার প্রাণ কি ব্যথিত হয়নি?
26 ମୁଁ ମଙ୍ଗଳ ଅପେକ୍ଷା କରିବା ବେଳେ ଅମଙ୍ଗଳ ଉପସ୍ଥିତ ହେଲା; ପୁଣି, ମୁଁ ଆଲୁଅର ଅପେକ୍ଷା କଲା ବେଳେ ଅନ୍ଧକାର ଆସିଲା।
অথচ আমি যখন মঙ্গলের প্রত্যাশা করেছি, তখন অমঙ্গল এসেছে; আমি যখন আলোর খোঁজ করেছি, তখন অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে।
27 ମୋʼ ଅନ୍ତ୍ର ଫୁଟେ, ବିଶ୍ରାମ କରେ ନାହିଁ; ମୋʼ ଉପରେ କ୍ଳେଶର ଦିନସବୁ ଉପସ୍ଥିତ ହୋଇଅଛି।
আমার ভিতরের মন্থন কখনও থামেনি; দিনের পর দিন আমাকে যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
28 ମୁଁ ସୂର୍ଯ୍ୟ ବିନା ମ୍ଳାନ ହୋଇ ବୁଲୁଥାଏ; ମୁଁ ସମାଜରେ ଠିଆ ହୋଇ ସାହାଯ୍ୟ ପାଇଁ ଆର୍ତ୍ତନାଦ କରେ।
আমি কলঙ্কিত হয়েছি, কিন্তু সূর্যের দ্বারা নয়; জনসমাবেশে দাঁড়িয়ে আমি সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করেছি।
29 ମୁଁ ଶୃଗାଳମାନଙ୍କର ଭାଇ ଓ ଉଷ୍ଟ୍ରପକ୍ଷୀଙ୍କର ସଙ୍ଗୀ ହୋଇଅଛି।
আমি শিয়ালদের ভাই হয়েছি, প্যাঁচাদের সঙ্গী হয়েছি।
30 ମୋହର ଚର୍ମ କୃଷ୍ଣବର୍ଣ୍ଣ ହୋଇ ମୋʼ ଠାରୁ ଝଡ଼ି ପଡ଼ୁଅଛି ଓ ମୋʼ ଅସ୍ଥିସବୁ ଉତ୍ତାପରେ ଦଗ୍ଧ ହେଉଅଛି।
আমার চামড়া কালো হয়ে গিয়ে তাতে খোসা ছাড়ছে; আমার শরীর জ্বরে পুড়ছে।
31 ତେଣୁ ମୋହର ବୀଣା ଶୋକରେ ଓ ମୋହର ବଂଶୀ କ୍ରନ୍ଦନକାରୀମାନଙ୍କ ସ୍ୱରରେ ପରିଣତ ହୋଇଅଛି।
আমার বীণা শোকের সুর তুলছে, ও আমার বাঁশি হাহাকারের শব্দ করছে।

< ଆୟୁବ 30 >