< ଆୟୁବ 19 >

1 ଏଥିରେ ଆୟୁବ ଉତ୍ତର କରି କହିଲା,
পরে ইয়োব উত্তর দিলেন:
2 “ତୁମ୍ଭେମାନେ କେତେ କାଳ ମୋʼ ପ୍ରାଣକୁ ବିରକ୍ତ କରିବ ଓ କଥାରେ ମୋତେ ଖଣ୍ଡ ଖଣ୍ଡ କରି ଭାଙ୍ଗିବ?
“তোমরা আর কতক্ষণ আমাকে যন্ত্রণা দেবে ও কথার আঘাত দিয়ে আমাকে পিষে মারবে?
3 ତୁମ୍ଭେମାନେ ଦଶ ଥର ମୋତେ ତିରସ୍କାର କରି ସାରିଲଣି, ମୋʼ ପ୍ରତି ନିଷ୍ଠୁର ବ୍ୟବହାର କରିବାରେ ତୁମ୍ଭେମାନେ ଲଜ୍ଜିତ ହେଉ ନାହଁ।
এই নিয়ে দশবার তোমরা আমাকে গঞ্জনা দিয়েছ; নির্লজ্জভাবে আমাকে আক্রমণ করেছ।
4 ହେଉ, ମୁଁ ଭ୍ରମ କରିଅଛି, ମୋହର ଭ୍ରମ ମୋʼ ସଙ୍ଗେ ଥାଏ।
যদি সত্যিই আমি বিপথে গিয়েছি, তবে আমার ভুলভ্রান্তি শুধু আমারই উদ্বেগের বিষয়।
5 ଯଦି ତୁମ୍ଭେମାନେ ନିତାନ୍ତ ମୋʼ ଉପରେ ଆପଣାମାନଙ୍କୁ ବଡ଼ କରିବ ଓ ମୋʼ ବିରୁଦ୍ଧରେ ମୋʼ ଗ୍ଳାନିର ପ୍ରତିବାଦ କରିବ;
তোমরা যদি সত্যিই আমার উপরে নিজেদের উন্নত করবে ও আমার বিরুদ্ধে আমার এই মানহানিকে ব্যবহার করবে,
6 ତେବେ ଜାଣ ଯେ, ପରମେଶ୍ୱର ମୋʼ ବିଷୟରେ ବିପରୀତ କରିଅଛନ୍ତି ଓ ଆପଣା ଜାଲରେ ମୋତେ ଚାରିଆଡ଼େ ଘେରିଅଛନ୍ତି।
তবে জেনে রেখো যে ঈশ্বরই আমার প্রতি অন্যায় করেছেন ও আমাকে তাঁর জালে বন্দি করেছেন।
7 ଦେଖ, ମୁଁ ଅନ୍ୟାୟପ୍ରଯୁକ୍ତ କ୍ରନ୍ଦନ କରେ, ମାତ୍ର ତାହା ଶୁଣାଯାଉ ନାହିଁ; ମୁଁ ସାହାଯ୍ୟ ନିମନ୍ତେ ଆର୍ତ୍ତନାଦ କରେ, ମାତ୍ର କିଛି ବିଚାର ହୁଏ ନାହିଁ।
“যদিও আমি আর্তনাদ করে বলি, ‘হিংস্রতা!’ তাও আমি কোনও সাড়া পাই না; যদিও আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করি, তাও কোথাও ন্যায়বিচার নেই।
8 ସେ ମୋʼ ପଥ ରୁଦ୍ଧ କରିଅଛନ୍ତି, ତହୁଁ ମୁଁ ଯାଇ ନ ପାରେ ଓ ମୋହର ପଥ ଅନ୍ଧକାରମୟ କରିଅଛନ୍ତି।
তিনি আমার পথ অবরুদ্ধ করেছেন যেন আমি পার হতে না পারি; তিনি আমার পথ অন্ধকারাবৃত করে দিয়েছেন।
9 ସେ ମୋʼ ଗୌରବ-ବସ୍ତ୍ର କାଢ଼ି ପକାଇଅଛନ୍ତି ଓ ମୋʼ ମସ୍ତକରୁ ମୁକୁଟ ନେଇଅଛନ୍ତି।
তিনি আমার সম্মান হরণ করেছেন ও আমার মাথা থেকে মুকুট অপসারিত করেছেন।
10 ସେ ଚାରିଆଡ଼େ ମୋତେ ଭାଙ୍ଗି ପକାଇଅଛନ୍ତି, ମୁଁ ସରିଗଲିଣି ଓ ସେ ମୋହର ଭରସା ବୃକ୍ଷ ପରି ଉତ୍ପାଟନ କରିଅଛନ୍ତି।
আমি সর্বস্বান্ত না হওয়া পর্যন্ত চতুর্দিকে তিনি আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন; তিনি আমার আশা এক গাছের মতো উপড়ে ফেলেছেন।
11 ମଧ୍ୟ ସେ ମୋʼ ବିରୁଦ୍ଧରେ ଆପଣା କ୍ରୋଧ ପ୍ରଜ୍ୱଳିତ କରିଅଛନ୍ତି ଓ ସେ ମୋତେ ଆପଣାର ଜଣେ ବିପକ୍ଷ ପରି ଗଣନା କରନ୍ତି।
তাঁর ক্রোধ আমার বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছে; তিনি আমাকে তাঁর শত্রুদের মধ্যে একজন বলে গণ্য করেছেন।
12 ତାହାଙ୍କର ସୈନ୍ୟଗଣ ଏକତ୍ର ଆସନ୍ତି ଓ ମୋʼ ବିରୁଦ୍ଧରେ ଆପଣାମାନଙ୍କ ପଥ ପ୍ରସ୍ତୁତ କରନ୍ତି ଓ ମୋʼ ତମ୍ବୁ ଚାରିଆଡ଼େ ଛାଉଣି କରନ୍ତି।
তাঁর সৈন্যবাহিনী বেগে ধেয়ে আসছে; আমার বিরুদ্ধে তারা এক অবরোধ-পথ নির্মাণ করেছে ও আমার তাঁবুর চারপাশে শিবির স্থাপন করেছে।
13 ସେ ମୋହର ଜ୍ଞାତିମାନଙ୍କୁ ମୋʼ ଠାରୁ ଦୂର କରିଅଛନ୍ତି ଓ ମୋହର ପରିଚିତ ଲୋକମାନେ ସମ୍ପୂର୍ଣ୍ଣ ରୂପେ ଅପରିଚିତ ହୋଇଅଛନ୍ତି।
“তিনি আমার কাছ থেকে আমার পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন; আমার পরিচিত লোকজনও আমার কাছে পুরোপুরি অপরিচিত হয়ে গিয়েছে।
14 ମୋʼ କୁଟୁମ୍ବବର୍ଗ ମୋତେ ତ୍ୟାଗ କରିଅଛନ୍ତି ଓ ଆତ୍ମୀୟ ମିତ୍ରଗଣ ମୋତେ ପାସୋରିଅଛନ୍ତି।
আমার আত্মীয়স্বজন দূরে সরে গিয়েছে; আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাও আমাকে ভুলে গিয়েছে।
15 ମୋʼ ଗୃହନିବାସୀମାନେ ଓ ମୋʼ ଦାସୀମାନେ ମୋତେ ଅଜଣା ଲୋକ କରି ଗଣନ୍ତି; ମୁଁ ସେମାନଙ୍କ ଦୃଷ୍ଟିରେ ବିଦେଶୀ ହୋଇଅଛି।
আমার অতিথিরা ও আমার ক্রীতদাসীরা আমাকে এক বিদেশি বলে গণ্য করছে; তারা এমনভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে যেন আমি এক আগন্তুক।
16 ମୁଁ ଆପଣା ଦାସକୁ ଡାକିଲେ ଓ ନିଜ ମୁଖରେ ବିନତି କଲେ ହେଁ ସେ ମୋତେ ଉତ୍ତର ଦିଏ ନାହିଁ।
আমি আমার দাসকে ডাকছি, কিন্তু সে উত্তর দিচ্ছে না, যদিও নিজের মুখেই আমি তাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
17 ମୋʼ ନିଶ୍ୱାସ ମୋʼ ଭାର୍ଯ୍ୟା ପ୍ରତି ଓ ମୋʼ ନିବେଦନ ମୋʼ ସହୋଦର ପ୍ରତି ଘୃଣିତ।
আমার নিশ্বাস আমার স্ত্রীর কাছে বিরক্তিকর; আমার নিজের পরিবারের কাছেও আমি ঘৃণিত।
18 ବାଳକମାନେ ମଧ୍ୟ ମୋତେ ଅବଜ୍ଞା କରନ୍ତି; ମୁଁ ଉଠିଲେ, ସେମାନେ ମୋʼ ବିରୁଦ୍ଧରେ କଥା କହନ୍ତି।
ছোটো ছোটো ছেলেরাও আমাকে অবজ্ঞা করে; আমি যখন হাজির হই, তারা আমাকে বিদ্রুপ করে।
19 ମୋହର ସୁହୃଦମାନେ ମୋତେ ଘୃଣା କରନ୍ତି ଓ ଯେଉଁମାନଙ୍କୁ ମୁଁ ସ୍ନେହ କଲି, ସେମାନେ ମୋହର ବିରୁଦ୍ଧ ହୋଇଅଛନ୍ତି।
আমার সব অন্তরঙ্গ বন্ধু আমাকে ঘৃণা করে; যাদের আমি ভালোবাসি তারাও আমার প্রতি বিমুখ হয়েছে।
20 ମୋʼ ମାଂସ ଓ ଚର୍ମରେ ମୋହର ଅସ୍ଥି ଲାଗି ଯାଇଅଛି ଓ ମୁଁ ଚର୍ମାବଶିଷ୍ଟଦନ୍ତ ହୋଇ ବଞ୍ଚିଅଛି।
অস্থিচর্ম ছাড়া আমি আর কিছুই নই; শুধু দাঁতের চর্মবিশিষ্ট হয়েই আমি বেঁচে আছি।
21 ହେ ମୋହର ମିତ୍ରମାନେ, ମୋʼ ପ୍ରତି ଦୟା କର, ମୋʼ ପ୍ରତି ଦୟା କର; କାରଣ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ହସ୍ତ ମୋତେ ସ୍ପର୍ଶ କରିଅଛି।
“আমার প্রতি দয়া করো, হে আমার বন্ধুরা, দয়া করো, যেহেতু ঈশ্বর হাত দিয়ে আমায় আঘাত করেছেন।
22 ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କ ପରି ତୁମ୍ଭେମାନେ କାହିଁକି ମୋତେ ତାଡ଼ନା କରୁଅଛ ଓ ମୋʼ ମାଂସରେ ତୃପ୍ତ ହେଉ ନାହଁ?
ঈশ্বরের মতো তোমরাও কেন আমার পশ্চাদ্ধাবন করছ? আমার মাংস কি তোমরা যথেষ্ট পরিমাণে খেয়ে ফেলোনি?
23 ଆହା, ଏବେ ମୋʼ କଥାସବୁ ଯେବେ ଲେଖାଯାʼନ୍ତା! ଆହା, ତାହାସବୁ ଯେବେ ପୁସ୍ତକରେ ଲିଖିତ ହୁଅନ୍ତା!
“হায়, আমার কথাগুলি যদি নথিভুক্ত করে রাখা যেত, যদি সেগুলি এক গোটানো কাগজে লিখে রাখা যেত,
24 ଯେବେ ଲୌହ ଲେଖନୀ ଓ ସୀସା ଦ୍ୱାରା ସଦାକାଳ ପାଇଁ ତାହାସବୁ ପାଷାଣରେ ଖୋଦିତ ହୁଅନ୍ତା!
যদি সেগুলি লোহার এক যন্ত্র দিয়ে সীসায় খোদাই করে রাখা যেত, বা পাষাণ-পাথরে চিরতরে অন্তর্লিখিত করে রাখা যেত!
25 ମାତ୍ର ମୁଁ ଜାଣେ ଯେ, ମୋହର ମୁକ୍ତିକର୍ତ୍ତା ଜୀବିତ ଅଟନ୍ତି ଓ ଶେଷରେ ସେ ପୃଥିବୀ ଉପରେ ଠିଆ ହେବେ;
আমি জানি যে আমার মুক্তিদাতা জীবিত আছেন, ও শেষে তিনি পৃথিবীতে উঠে দাঁড়াবেন।
26 ପୁଣି, ମୋହର ଚର୍ମ ଏହିରୂପେ ବିନଷ୍ଟ ହେଲା ଉତ୍ତାରେ ହେଁ ମୁଁ ମାଂସବିହୀନ ହୋଇ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କୁ ଦେଖିବି;
আর আমার ত্বক নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও, আমার এই মরদেহেই আমি ঈশ্বরের দর্শন পাব;
27 ମୁଁ ତାହାଙ୍କୁ ଆପଣାର ସପକ୍ଷ ଦେଖିବି, ମୋହର ଚକ୍ଷୁ ତାହାଙ୍କୁ ଦେଖିବ, ଅନ୍ୟ ନୁହେଁ। ବକ୍ଷ ମଧ୍ୟରେ ମୋହର ହୃଦୟ କ୍ଷୀଣ ହେଉଅଛି।
আমি স্বয়ং তাঁকে দেখব স্বচক্ষে দেখব—আমিই দেখব, আর কেউ নয়। মনে মনে আমার হৃদয় কত আকুলভাবে কামনা করছে!
28 ମୋʼ ଠାରେ ମୂଳକଥା ଦେଖାଯିବାରୁ ଯଦି ତୁମ୍ଭେମାନେ କୁହ, ଆମ୍ଭେମାନେ କିପରି ତାହାକୁ ତାଡ଼ନା କରିବା?
“তোমরা যদি বলো, ‘আমরা কীভাবে তাকে জ্বালাতন করব, যেহেতু সমস্যার মূল তার মধ্যেই অবস্থান করছে,’
29 ତେବେ ତୁମ୍ଭେମାନେ ଖଡ୍ଗ ବିଷୟରେ ଭୀତ ହୁଅ; କାରଣ କୋପ ଖଡ୍ଗରୂପ ଶାସ୍ତି ଆଣିବ; ତହିଁରେ ବିଚାର ଯେ ଅଛି, ତାହା ତୁମ୍ଭେମାନେ ଜାଣି ପାରିବ।”
তরোয়ালের ভয়ে তোমাদেরই ভীত হওয়া উচিত; যেহেতু ক্রোধ তরোয়াল দ্বারাই দণ্ড নিয়ে আসবে, ও তখনই তোমরা জানতে পারবে যে বিচার আছে।”

< ଆୟୁବ 19 >