< ମୋଶାଙ୍କ ଲିଖିତ ପ୍ରଥମ ପୁସ୍ତକ 9 >

1 ଏଥିଉତ୍ତାରେ ପରମେଶ୍ୱର ନୋହ ଓ ତାଙ୍କ ପୁତ୍ରମାନଙ୍କୁ ଆଶୀର୍ବାଦ କରି କହିଲେ, “ତୁମ୍ଭେମାନେ ପ୍ରଜାବନ୍ତ ଓ ବହୁବଂଶ ହୋଇ ପୃଥିବୀକୁ ପରିପୂର୍ଣ୍ଣ କର।
পরে ঈশ্বর নোহ ও তাঁর ছেলেদের আশীর্বাদ করে বললেন, “ফলবান হও ও সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে পৃথিবী ভরিয়ে তোলো।
2 ପୃଥିବୀସ୍ଥ ସମସ୍ତ ପଶୁ ଓ ଖେଚର ପକ୍ଷୀ ଓ ଭୂଚର ଓ ଉରୋଗାମୀ ଜନ୍ତୁ ଓ ସମୁଦ୍ରର ମତ୍ସ୍ୟ, ସମସ୍ତେ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କଠାରୁ ଭୀତ ଓ ଶଙ୍କାଯୁକ୍ତ ହେବେ; ସେହି ସମସ୍ତ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ହସ୍ତରେ ସମର୍ପିତ ଅଟନ୍ତି।
পৃথিবীর সব জন্তু ও আকাশের সব পাখি, সব সরীসৃপ প্রাণী, ও সমুদ্রের সব মাছ তোমাদের দেখে ভীত ও আতঙ্কিত হবে; তোমাদের হাতে এদের তুলে দেওয়া হল।
3 ପ୍ରତ୍ୟେକ ଗମନଶୀଳ ପ୍ରାଣୀ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କର ଖାଦ୍ୟ ହେବ, ଆମ୍ଭେ ହରିତ୍‍ ଶାକ ପରି ଏହି ସମସ୍ତ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କୁ ଦେଲୁ।
যা যা জীবন্ত ও চলেফিরে বেড়ায়, সেসব তোমাদের খাদ্য হবে। ঠিক যেভাবে আমি তোমাদের সবুজ গাছপালা দিয়েছি, সেভাবে এখন সবকিছু আমি তোমাদের দিচ্ছি।
4 ମାତ୍ର ତୁମ୍ଭେମାନେ ସପ୍ରାଣ (ଅର୍ଥାତ୍‍) ସରକ୍ତ ମାଂସ ଖାଇବ ନାହିଁ।
“কিন্তু যে মাংসে প্রাণ-রক্ত অবশিষ্ট আছে, তোমরা সেই মাংস কখনোই খেয়ো না।
5 ପୁଣି, ଆମ୍ଭେ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ଜୀବନରୂପ ରକ୍ତପାତର ପରିଶୋଧ ନିତାନ୍ତ ନେବା; ପ୍ରତ୍ୟେକ ପଶୁଠାରୁ ହେଉ କି ମନୁଷ୍ୟଠାରୁ ହେଉ, ତାହାରି ପରିଶୋଧ ନେବା; ଆମ୍ଭେ ପ୍ରତ୍ୟେକ ମନୁଷ୍ୟର ଭ୍ରାତାଠାରୁ ମନୁଷ୍ୟର ପ୍ରାଣର ପରିଶୋଧ ନେବା।
আর তোমাদের প্রাণ-রক্তের হিসেবও আমি নিশ্চিতভাবেই চাইব। প্রত্যেকটি পশুর কাছে আমি হিসেব চাইব। আর প্রত্যেকটি মানুষের কাছেও, আমি অন্যান্য মানুষের প্রাণের হিসেব চাইব।
6 ଯେକେହି ମନୁଷ୍ୟର ରକ୍ତପାତ କରିବ, ମନୁଷ୍ୟ ଦ୍ୱାରା ତାହାର ରକ୍ତପାତ କରାଯିବ; ଯେହେତୁ ପରମେଶ୍ୱର ଆପଣା ପ୍ରତିମୂର୍ତ୍ତିରେ ମନୁଷ୍ୟକୁ ନିର୍ମାଣ କରିଅଛନ୍ତି।
“যে কেউ মানুষের রক্ত ঝরাবে, মানুষের দ্বারাই তার রক্ত ঝরবে; কারণ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে ঈশ্বর মানুষকে তৈরি করেছেন।
7 ତୁମ୍ଭେମାନେ ପ୍ରଜାବନ୍ତ ଓ ବହୁବଂଶ ହୁଅ, ଆଉ ପୃଥିବୀକୁ ପରିପୂର୍ଣ୍ଣ କରି ବର୍ଦ୍ଧିଷ୍ଣୁ ହୁଅ।”
আর তোমরা ফলবান হয়ে সংখ্যায় বৃদ্ধিলাভ করো; পৃথিবীতে বংশবৃদ্ধি করো ও এখানে বর্ধিষ্ণু হও।”
8 ଏଥିଉତ୍ତାରେ ପରମେଶ୍ୱର ନୋହଙ୍କୁ ଓ ତାଙ୍କର ସଙ୍ଗୀ ପୁତ୍ରମାନଙ୍କୁ କହିଲେ,
পরে ঈশ্বর নোহকে ও তাঁর সাথে থাকা তাঁর ছেলেদের বললেন,
9 “ଦେଖ, ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ସହିତ ଓ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ଭବିଷ୍ୟତ ବଂଶ ସହିତ ଓ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗୀ ସମସ୍ତ ଜୀବଜନ୍ତୁ ସହିତ,
“আমার নিয়মটি আমি এখন তোমাদের সঙ্গে ও তোমাদের ভাবী বংশধরদের সঙ্গে
10 ଅର୍ଥାତ୍‍, ଜାହାଜରୁ ବହିର୍ଗତ ଗ୍ରାମ୍ୟ ଓ ବନ୍ୟ ପଶୁ ଓ ପକ୍ଷୀ ପ୍ରଭୃତି ପୃଥିବୀସ୍ଥ ସମସ୍ତ ପ୍ରାଣୀ ସହିତ ଆମ୍ଭେ ଆପଣା ନିୟମ ସ୍ଥିର କରୁଅଛୁ।
এবং তোমাদের সাথে থাকা সব জীবিত প্রাণীর—পাখিদের, গৃহপালিত পশুদের ও সব বন্যপশুর, যারা তোমাদের সাথে জাহাজের বাইরে বের হয়ে এসেছিল—পৃথিবীর সব জীবিত প্রাণীর সঙ্গে স্থাপন করছি।
11 ଆମ୍ଭେ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ସହିତ ଏହି ନିୟମ ସ୍ଥିର କରିବୁ, ସମସ୍ତ ପ୍ରାଣୀ ଜଳପ୍ଳାବନ ଦ୍ୱାରା ଆଉ ଉଚ୍ଛିନ୍ନ ହେବେ ନାହିଁ; ପୁଣି, ପୃଥିବୀକୁ ବିନାଶ କରିବା ପାଇଁ ଆଉ ଜଳପ୍ଳାବନ ହେବ ନାହିଁ।”
আমি তোমাদের সঙ্গে আমার নিয়ম স্থাপন করছি: আর কখনও সব প্রাণী বন্যার জলে উচ্ছিন্ন হবে না; আর কখনও এই পৃথিবী ধ্বংস করার জন্য কোনও বন্যা হবে না।”
12 ପୁନଶ୍ଚ, ପରମେଶ୍ୱର କହିଲେ, “ଆମ୍ଭେ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ସହିତ ଓ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ସଙ୍ଗୀ ସମସ୍ତ ପ୍ରାଣୀବର୍ଗ ସହିତ ପୁରୁଷାନୁକ୍ରମେ ଅନନ୍ତକାଳ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ଯେଉଁ ନିୟମ ସ୍ଥିର କଲୁ, ତହିଁର ଚିହ୍ନ ଏହି;
আর ঈশ্বর বললেন, “এই হল সেই নিয়মের চিহ্ন, যা আমি আমার ও তোমাদের মধ্যে তথা তোমাদের সঙ্গে থাকা প্রত্যেকটি জীবিত প্রাণীর সঙ্গে স্থাপন করেছি, পরবর্তী সব প্রজন্মের জন্যও এ এক নিয়ম হবে:
13 ଆମ୍ଭେ ମେଘରେ ଆପଣା ଧନୁ ସ୍ଥାପନ କରୁଅଛୁ, ତାହା ପୃଥିବୀ ସହିତ ଆମ୍ଭ ନିୟମର ଚିହ୍ନ ହେବ।
মেঘের মধ্যে আমি আমার মেঘধনু বসিয়ে দিয়েছি, আর এটিই হবে আমার ও পৃথিবীর মধ্যে স্থাপিত সেই চিহ্ন।
14 ଯେତେବେଳେ ଆମ୍ଭେ ପୃଥିବୀ ଉପରେ ମେଘ ସଞ୍ଚାର କରିବା, ସେତେବେଳେ ସେହି ଧନୁ ମେଘରେ ଦେଖାଯିବ;
পৃথিবীর উপর যখনই আমি মেঘ বিস্তার করব ও সেই মেঘে মেঘধনু আবির্ভূত হবে,
15 ତହିଁରେ ତୁମ୍ଭମାନଙ୍କ ସହିତ ଓ ମାଂସବିଶିଷ୍ଟ ସମୁଦାୟ ପ୍ରାଣୀ ସହିତ ଆମ୍ଭର ଯେଉଁ ନିୟମ ଅଛି, ତାହା ଆମ୍ଭର ସ୍ମରଣ ହେବ, ତହିଁରେ ସବୁ ପ୍ରାଣୀର ବିନାଶାର୍ଥେ ଜଳପ୍ଳାବନ ଆଉ ହେବ ନାହିଁ।
তখনই আমি তোমাদের এবং তোমাদের সঙ্গে থাকা সব জীবিত প্রাণীর সঙ্গে স্থাপিত আমার সেই নিয়মটি স্মরণ করব। আর কখনও জল বন্যায় পরিণত হয়ে সব প্রাণীকে ধ্বংস করবে না।
16 ପୁଣି, ମେଘଧନୁ ହେଲେ, ଆମ୍ଭେ ତାହା ପ୍ରତି ଦୃଷ୍ଟିପାତ କରିବା, ତହିଁରେ ପୃଥିବୀସ୍ଥ ମାଂସବିଶିଷ୍ଟ ସମସ୍ତ ପ୍ରାଣୀ ସହିତ ପରମେଶ୍ୱରଙ୍କର ଯେଉଁ ଅନନ୍ତକାଳସ୍ଥାୟୀ ନିୟମ ଅଛି, ତାହା ଆମ୍ଭେ ସ୍ମରଣ କରିବା।”
যখনই মেঘে মেঘধনু আবির্ভূত হবে, আমি তা দেখব ও অনন্তকালস্থায়ী সেই নিয়মটি স্মরণ করব, যা ঈশ্বর ও পৃথিবীর সব ধরনের জীবিত প্রাণীর মধ্যে স্থাপিত হয়েছে।”
17 ପରମେଶ୍ୱର ନୋହଙ୍କୁ କହିଲେ, “ପୃଥିବୀସ୍ଥ ମାଂସବିଶିଷ୍ଟ ସମସ୍ତ ପ୍ରାଣୀ ସହିତ ଆମ୍ଭେ ଯେଉଁ ନିୟମ ସ୍ଥିର କରିଅଛୁ, ତହିଁର ଏହି ଚିହ୍ନ ହେବ।”
অতএব ঈশ্বর নোহকে বললেন, “এই সেই নিয়মের চিহ্ন, যা আমি আমার ও পৃথিবীর সব প্রাণীর মধ্যে স্থাপন করেছি।”
18 ନୋହଙ୍କର ଯେଉଁ ପୁତ୍ରମାନେ ଜାହାଜରୁ ବହିର୍ଗତ ହେଲେ, ସେମାନଙ୍କ ନାମ ଶେମ ଓ ହାମ ଓ ଯେଫତ୍‍; ହାମ କିଣାନର ପିତା।
নোহের যে ছেলেরা জাহাজ থেকে বেরিয়ে এলেন, তারা হলেন শেম, হাম ও যেফৎ। (হাম কনানের বাবা)
19 ଏହି ତିନି ଜଣ ନୋହଙ୍କର ପୁତ୍ର; ଏମାନଙ୍କ ବଂଶସବୁ ପୃଥିବୀରେ ବ୍ୟାପ୍ତ ହେଲା।
এরাই হলেন নোহের সেই তিন ছেলে, এবং তাঁদের থেকে যেসব লোকজন উৎপন্ন হল, তারা সমগ্র জগতে ছড়িয়ে পড়ল।
20 ଏଥିଉତ୍ତାରେ ନୋହ କୃଷି କର୍ମରେ ପ୍ରବୃତ୍ତ ହୋଇ ଦ୍ରାକ୍ଷାକ୍ଷେତ୍ର କଲେ।
চাষিগৃহস্থ মানুষ নোহ, একটি দ্রাক্ষাক্ষেত তৈরি করার জন্য এগিয়ে গেলেন।
21 ତହିଁରେ ସେ ଦ୍ରାକ୍ଷାରସ ପାନ କରି ମତ୍ତ ହୋଇ ତମ୍ବୁ ମଧ୍ୟରେ ବିବସ୍ତ୍ର ହୋଇ ପଡ଼ିଲେ।
যখন তিনি সেখানকার খানিকটা দ্রাক্ষারস পান করলেন, তখন তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন এবং তাঁর তাঁবুর ভিতরে তিনি বিবস্ত্র হয়ে শুয়ে পড়লেন।
22 ଏପରି ସମୟରେ କିଣାନର ପିତା ହାମ ଆପଣା ପିତାଙ୍କର ଉଲଙ୍ଗତା ଦେଖି ବାହାରେ ଆପଣା ଦୁଇ ଭାଇଙ୍କୁ ସମାଚାର ଦେଲା।
কনানের বাবা হাম তাঁর বাবাকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে তাঁর দুই দাদাকে তা বললেন।
23 ସେତେବେଳେ ଶେମ ଓ ଯେଫତ୍‍ ସ୍କନ୍ଧରେ ବସ୍ତ୍ର ଘେନି ପଶ୍ଚାଦ୍‍ଗତି କରି ଆପଣାମାନଙ୍କ ପିତାଙ୍କର ଉଲଙ୍ଗତା ଆଚ୍ଛାଦନ କଲେ; ସେମାନେ ପଛଆଡ଼କୁ ମୁଖ ରଖି ଯିବାରୁ ପିତାଙ୍କର ଉଲଙ୍ଗତା ଦେଖିଲେ ନାହିଁ।
কিন্তু শেম ও যেফৎ একটি কাপড় নিয়ে সেটি তাঁদের কাঁধের উপর ফেলে রাখলেন; পরে তাঁরা পিছনের দিকে পিছিয়ে গিয়ে তাঁদের বাবার উলঙ্গতা ঢেকে দিলেন। তাঁদের মুখমণ্ডল অন্যদিকে ঘোরানো ছিল, যেন তাঁরা তাঁদের বাবার উলঙ্গতা দেখতে না পান।
24 ଏଉତ୍ତାରୁ ନୋହ ଦ୍ରାକ୍ଷାରସର ନିଦ୍ରାରୁ ଜାଗ୍ରତ ହୋଇ ଆପଣା ପ୍ରତି କନିଷ୍ଠ ପୁତ୍ରର ଆଚରଣ ଜ୍ଞାତ ହେଲେ।
নোহ যখন তাঁর নেশার ঘোর কাটিয়ে উঠলেন ও জানতে পারলেন তাঁর ছোটো ছেলে তাঁর প্রতি ঠিক কী আচরণ করেছেন,
25 ପୁଣି, ସେ କହିଲେ, “କିଣାନ ଶାପଗ୍ରସ୍ତ ହେଉ; ସେ ଆପଣା ଭ୍ରାତୃଗଣର ଦାସାନୁଦାସ ହେବ।”
তখন তিনি বললেন, “কনান অভিশপ্ত হোক! তার দাদা-ভাইদের মধ্যে সে অত্যন্ত নীচ দাস হবে।”
26 ଆଉ ସେ କହିଲେ, “ଶେମର ପରମେଶ୍ୱର ସଦାପ୍ରଭୁ ଧନ୍ୟ ହେଉନ୍ତୁ; କିଣାନ ଶେମର ଦାସ ହେଉ।
তিনি আরও বললেন, “শেমের ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য হোন! কনান শেমের দাস হোক।
27 ପରମେଶ୍ୱର ଯେଫତ୍‍କୁ ବର୍ଦ୍ଧିଷ୍ଣୁ କରନ୍ତୁ; ପୁଣି, ସେ ଶେମର ତମ୍ବୁରେ ବାସ କରୁ; ଆଉ କିଣାନ ତାହାର ଦାସ ହେଉ।”
ঈশ্বর যেফতের এলাকা প্রসারিত করুন; যেফৎ শেমের তাঁবুতে বসবাস করুক, আর কনান তার ক্রীতদাস হোক।”
28 ଜଳପ୍ଳାବନ ଉତ୍ତାରେ ନୋହ ଆଉ ତିନି ଶହ ପଚାଶ ବର୍ଷ ବଞ୍ଚିଲେ।
বন্যার পর নোহ 350 বছর বেঁচেছিলেন।
29 ପୁଣି, ନୋହଙ୍କର ବୟସ ସର୍ବସୁଦ୍ଧା ନଅ ଶହ ପଚାଶ ବର୍ଷ ଥିଲା; ତହୁଁ ସେ ମଲେ।
নোহ মোট 950 বছর বেঁচেছিলেন, ও পরে তিনি মারা যান।

< ମୋଶାଙ୍କ ଲିଖିତ ପ୍ରଥମ ପୁସ୍ତକ 9 >