< ପ୍ରେରିତ 27 >

1 ଯେତେବେଳେ ଆମ୍ଭମାନଙ୍କର ଜାହାଜରେ ଚଢ଼ି ଇତାଲିଆକୁ ଯିବା ନିମନ୍ତେ ସ୍ଥିର ହୋଇଥିଲା, ସେତେବେଳେ ପାଉଲ ଓ ଅନ୍ୟ କେତେକ ବନ୍ଦୀ ଆଗସ୍ତିୟ ରାଜକୀୟ ସୈନ୍ୟଦଳର ଯୂଲିଅସ୍ ନାମକ ଜଣେ ଶତ-ସେନାପତିଙ୍କ ହସ୍ତରେ ସମର୍ପିତ ହେଲେ।
যখন স্থির হল যে আমরা জাহাজে করে ইতালি যাত্রা করব, পৌল ও আরও কয়েকজন বন্দিকে সম্রাট অগাস্টাসের সৈন্যদলের একজন শত-সেনাপতি জুলিয়াসের হাতে সমর্পণ করা হল।
2 ସେଥିରେ ଏସିଆ ପ୍ରଦେଶର ଉପକୂଳରେ ବିଭିନ୍ନ ସ୍ଥାନକୁ ଯିବା ନିମନ୍ତେ ଉଦ୍ୟତ ଗୋଟିଏ ଆଦ୍ରାମୁତ୍ତୀୟ ଜାହାଜରେ ଆମ୍ଭେମାନେ ଚଢ଼ି ଜାହାଜ ଫିଟାଇଦେଲୁ; ଆଉ ଥେସଲନୀକୀ ସହରରେ ମାକିଦନିଆ ନଗରରୁ ଆରିସ୍ତାର୍ଖ ନାମକ ଜଣେ ବ୍ୟକ୍ତି ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ସାଙ୍ଗରେ ଥିଲେ।
আমরা আদ্রামুত্তিয়ামের একটি জাহাজে উঠলাম, যেটা এশিয়া প্রদেশের উপকূলবর্তী বিভিন্ন বন্দরে যাত্রা করার জন্য প্রস্তুত ছিল। আমরা সমুদ্রযাত্রা শুরু করলাম। থিষলনিকা থেকে আসা আরিষ্টার্খ নামে একজন ম্যাসিডোনিয়াবাসী আমাদের সঙ্গে ছিলেন।
3 ପରଦିନ ଆମ୍ଭେମାନେ ସୀଦୋନରେ ପହଞ୍ଚିଲୁ, ଆଉ ଯୂଲିଅସ୍ ପାଉଲଙ୍କ ପ୍ରତି ସଦୟ ବ୍ୟବହାର କରି ଆପଣା ମିତ୍ରମାନଙ୍କ ପାଖକୁ ଯାଇ ସେବା ପାଇବା ନିମନ୍ତେ ଅନୁମତି ଦେଲେ।
পরের দিন, আমরা সীদোনে পৌঁছালাম। জুলিয়াস পৌলের প্রতি দয়া দেখিয়ে বন্ধুদের কাছে তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিলেন, যেন তারা তাঁর সব প্রয়োজনীয় উপকরণ জোগাতে পারে।
4 ସେହି ସ୍ଥାନରୁ ଜାହାଜ ଫିଟାଇ ପ୍ରତିକୂଳ ପବନ ହେତୁ ଆମ୍ଭେମାନେ ସାଇପ୍ରସ୍ ଦ୍ୱୀପର ଆଶ୍ରୟସ୍ଥଳୀ ଦେଇ ଯାତ୍ରା କରି,
সেখান থেকে আমরা আবার সমুদ্রযাত্রা শুরু করলাম এবং বাতাস যেহেতু আমাদের প্রতিকূলে বইছিল, আমরা সাইপ্রাস দ্বীপের আড়ালে আড়ালে যেতে লাগলাম।
5 କିଲିକିୟା ଓ ପଂଫୂଲିଆ ଅଞ୍ଚଳ ସମ୍ମୁଖସ୍ଥ ସମୁଦ୍ର ପାର ହୋଇ ଲୁକିଆ ପ୍ରଦେଶର ମୁରା ସହରକୁ ଆସିଲୁ।
যখন আমরা কিলিকিয়া ও পাম্ফুলিয়া উপকূলের সম্মুখবর্তী সমুদ্র অতিক্রম করলাম, আমরা লুসিয়া প্রদেশের ম্যুরা নামক স্থানে পৌঁছালাম।
6 ସେଠାରେ ଶତ-ସେନାପତି ଇତାଲିଆକୁ ଯାଉଥିବା ଗୋଟିଏ ଆଲେକ୍‍ଜାଣ୍ଡ୍ରୀୟ ଜାହାଜ ପାଇ ସେଥିରେ ଆମ୍ଭମାନଙ୍କୁ ଚଢ଼ାଇଦେଲେ।
সেখানে একটি আলেকজান্দ্রীয় জাহাজকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করতে দেখে শত-সেনাপতি আমাদের সেই জাহাজে তুলে দিলেন।
7 ପରେ ଅନେକ ଦିନ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ଧିରେ ଧିରେ ଯାଇ କଷ୍ଟରେ କ୍ନିଦ ସହରର ସମ୍ମୁଖରେ ଉପସ୍ଥିତ ହୋଇ ପବନ ଆମ୍ଭମାନଙ୍କୁ ଆଗକୁ ଯିବାକୁ ଛାଡ଼ି ନ ଦେବାରୁ ସାଲ୍ମୋନୀର ବିପରୀତ, କ୍ରୀତୀ ଦ୍ୱୀପର ଆଶ୍ରୟସ୍ଥଳୀ ଦେଇ ଯାତ୍ରା କଲୁ,
বহুদিন যাবৎ ধীর গতিতে চলার পর আমরা কষ্টের সঙ্গে ক্নীদের কাছে এসে পৌঁছালাম। বাতাস যখন আমাদের নির্ধারিত পথে যাত্রা করতে দিল না, আমরা সলমোনির বিপরীত দিকে ক্রীট দ্বীপের আড়ালে আড়ালে পাড়ি দিলাম।
8 ପୁଣି, କଷ୍ଟରେ କୂଳେ କୂଳେ ଯାଇ “ସୁନ୍ଦର ବନ୍ଦର” ନାମକ ଗୋଟିଏ ସ୍ଥାନକୁ ଆସିଲୁ; ଲାସାୟା ସହର ସେଥିର ନିକଟବର୍ତ୍ତୀ।
কষ্ট করে উপকূল বরাবর যেতে যেতে, আমরা লাসেয়া নগরের কাছে সুন্দর পোতাশ্রয় নামে একটি স্থানে এসে পৌঁছালাম।
9 ଏହି ପ୍ରକାରେ ଅନେକ ସମୟ ଅତିବାହିତ ହେଲା, ପୁଣି, ଜଳଯାତ୍ରା ବର୍ତ୍ତମାନ ବିପଦଜନକ ହୋଇ ପଡ଼ିଲା, କାରଣ ସେତେବେଳେ ଉପବାସ ପର୍ବ ସମାପ୍ତ ହୋଇଥିଲା। ଏଣୁ ପାଉଲ ସେମାନଙ୍କୁ ସତର୍କ କରାଇ କହିଲେ,
এভাবে অনেক সময় নষ্ট হয়েছিল। উপবাস-পর্ব শেষ হওয়ার পরে সমুদ্রযাত্রা বিপদসংকুল হয়ে উঠেছিল। তাই পৌল তাদের সতর্ক করে দিয়ে বললেন,
10 ମହାଶୟମାନେ ଏହି ଜଳଯାତ୍ରା ଯେ କେବଳ ମାଲ ଓ ଜାହାଜର ଅନିଷ୍ଟ ହେବ, ତାହା ନୁହେଁ, ମାତ୍ର ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ପ୍ରାଣର ମଧ୍ୟ ଯେ ଅନିଷ୍ଟ ଓ କ୍ଷତିକାରକ ହେବ, ଏହା ମୁଁ ଜାଣୁଅଛି।
“মহাশয়েরা, আমি দেখতে পাচ্ছি, আমাদের সমুদ্রযাত্রা দুর্দশাজনক হবে, জাহাজ ও মালপত্রের প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতি হবে, আবার আমাদেরও প্রাণসংশয় হতে পারে।”
11 କିନ୍ତୁ ଶତ-ସେନାପତି ପାଉଲଙ୍କ କଥା ଅପେକ୍ଷା ଜାହାଜର ଚାଳକ ଓ ଅଧିକାରୀଙ୍କ କଥାରେ ଅଧିକ ମନୋଯୋଗ କଲେ।
কিন্তু শত-সেনাপতি, পৌলের কথায় কান না দিয়ে, নাবিকের ও জাহাজের মালিকের পরামর্শ মেনে চললেন।
12 ଆଉ ସେହି ବନ୍ଦରଟି ଶୀତକାଳ କଟାଇବା ନିମନ୍ତେ ସୁବିଧାଜନକ ନ ଥିବାରୁ କୌଣସି ପ୍ରକାରେ ଫୈନିକ୍ସ୍ ସହରରେ ପହଞ୍ଚି ସେଠାରେ ଶୀତକାଳ କଟାଇବା ନିମନ୍ତେ ସେଠାରୁ ଜାହାଜ ଛାଡ଼ିଦେବାକୁ ଅଧିକାଂଶ ଲୋକ ପରାମର୍ଶ ଦେଲେ; ସେହି ଫୈନିକ୍ସ୍ କ୍ରୀତୀର ଗୋଟିଏ ବନ୍ଦର, ତାହା ଉତ୍ତରପୂର୍ବ ଓ ଦକ୍ଷିଣ-ପୂର୍ବ ଅଭିମୁଖୀ।
যেহেতু বন্দরটি শীতকাল কাটানোর জন্য উপযুক্ত ছিল না তাই অধিকাংশ লোকই সমুদ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। তারা আশা করছিল যে ফিনিক্সে পৌঁছে সেখানে শীতকাল কাটাবে। সেটা ছিল ক্রীটের একটি বন্দর, যার দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দুই দিকই ছিল খোলা।
13 ପରେ ଦକ୍ଷିଣା ପବନ ଧୀରେ ଧୀରେ ବହିବାରୁ ସେମାନେ ନିଜ ନିଜର ଉଦ୍ଦେଶ୍ୟ ସଫଳ ହେଲା ବୋଲି ମନେ କରି ଲଙ୍ଗର ତୋଳି କ୍ରୀତୀର କୂଳର ଅତି ନିକଟ ଦେଇ ଯିବାକୁ ଲାଗିଲେ।
যখন দক্ষিণ দিক থেকে হালকা এক বাতাস বইতে লাগল, তারা ভাবল যে তারা যা চেয়েছিল তাই হয়েছে। ফলে তারা নোঙর তুলে ক্রীটের উপকূল বরাবর যাত্রা করল।
14 କିନ୍ତୁ ଅଳ୍ପ ସମୟ ଉତ୍ତାରେ, ଯାହାକୁ ଇଉରକ୍ୱିଲୋ ବୋଲି କହନ୍ତି, ସେହି ପ୍ରଚଣ୍ଡ ପବନ କୂଳରୁ ବହି ଆଘାତ କରିବାକୁ ଲାଗିଲା।
কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই উরাকুলো নামে প্রচণ্ড এক ঘূর্ণিঝড় দ্বীপের দিক থেকে আছড়ে পড়ল।
15 ଜାହାଜଟି ତୋଫାନରେ ପଡ଼ି ପବନର ସମ୍ମୁଖୀନ ହୋଇ ନ ପାରିବାରୁ ଆମ୍ଭେମାନେ ତାହାକୁ ଭାସିଯିବାକୁ ଛାଡ଼ିଦେଲୁ।
জাহাজটি ঝড়ের মুখে পড়ল এবং বাতাসের মধ্য দিয়ে যেতে পারল না। তাই আমরা তা ভেসে যেতে দিলাম।
16 ପୁଣି, କାଉଦ ନାମକ ଗୋଟିଏ କ୍ଷୁଦ୍ର ଦ୍ୱୀପର ଆଶ୍ରୟସ୍ଥଳୀରେ ଯାଇ କଷ୍ଟରେ ଜାହାଜର ନୌକାଖଣ୍ଡିକ ଧରି ରକ୍ଷା କରିବାକୁ ସକ୍ଷମ ହେଲୁ,
যখন আমরা কৌদা নামের ছোটো একটি দ্বীপের আড়াল দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমরা অনেক কষ্টে জাহাজের জীবন-রক্ষাকারী নৌকাটি নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারলাম।
17 ଆଉ ସେମାନେ ତାହାକୁ ଉଠାଇନେଲା ଉତ୍ତାରେ ନାନା ଉପାୟରେ ଜାହାଜକୁ ତଳୁ ଘେରିଦେଇ ବାନ୍ଧିଲେ, ପୁଣି, କାଳେ ସେମାନେ ସୁର୍ତ୍ତି ନାମକ ଚଡ଼ାରେ ଲାଗିଯିବେ, ଏହି ଭୟରେ ପାଲସବୁ ପକାଇଦେଇ ଭାସିବାକୁ ଲାଗିଲେ।
মাঝিমাল্লারা যখন সেটাকে পাটাতনের উপরে তুলল, তারা নিচ থেকে দড়ি দিয়ে সেটাকে জাহাজের সঙ্গে বাঁধল। সূর্তির বালির চড়ায় আটকে পড়ার ভয়ে তারা সমুদ্রে নোঙর নামিয়ে দিল এবং জাহাজটিকে ভেসে যেতে দিল।
18 ତୋଫାନରେ ଆମ୍ଭମାନଙ୍କର ଅତିଶୟ କଷ୍ଟ ହେବାରୁ ତହିଁ ଆରଦିନ ନାବିକମାନେ ମାଲ ଫୋପାଡ଼ିବାକୁ ଲାଗିଲେ,
আমরা ঝড়ের এমন প্রচণ্ড দাপটের মুখে পড়লাম যে পরের দিন তারা জাহাজের মালপত্র ফেলে দিতে লাগল।
19 ପୁଣି, ତୃତୀୟ ଦିନରେ ନିଜ ହାତରେ ଜାହାଜର ସରଞ୍ଜାମସବୁ ଫୋପାଡ଼ିଦେଲେ।
তৃতীয় দিনে তারা নিজের হাতে জাহাজের সাজসরঞ্জাম জলে ফেলে দিল।
20 ଅନେକ ଦିନ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ସୂର୍ଯ୍ୟ କି ନକ୍ଷତ୍ର ଦେଖା ନ ଯିବାରୁ, ପୁଣି, ଭୀଷଣ ଝଡ଼ ଲାଗିରହିବାରୁ ଶେଷରେ ଆମ୍ଭମାନଙ୍କ ରକ୍ଷା ପାଇବାର ସମସ୍ତ ଆଶା ଦୂର ହେଲା।
যখন অনেকদিন পর্যন্ত সূর্য বা আকাশের তারা দেখা গেল না এবং ঝড়ের তাণ্ডব অব্যাহত রইল, আমরা বেঁচে থাকার সব আশা ছেড়ে দিলাম।
21 ଆଉ, ସମସ୍ତେ ଅନେକ ଦିନ ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ଅନାହାରରେ ରହିଲା ପରେ ପାଉଲ ସେମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରେ ଠିଆ ହୋଇ କହିଲେ, ମହାଶୟମାନେ, ମୋହର କଥା ମାନି କ୍ରୀତୀରୁ ଜାହାଜ ନ ଫିଟାଇବା, ପୁଣି, ଏହି ଅନିଷ୍ଟ ଓ କ୍ଷତି ନିବାରଣ କରିବା ଆପଣମାନଙ୍କର ଉଚିତ୍ ଥିଲା।
লোকেরা অনেকদিন অনাহারে থাকার পর, পৌল তাদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “মহাশয়েরা, আমার পরামর্শ গ্রহণ করে ক্রীট থেকে আপনাদের যাত্রা না করাই উচিত ছিল; তাহলে আপনাদের এই ক্ষয়ক্ষতি হত না।
22 ଯାହା ହେଉ, ଏବେ ମୁଁ ଆପଣମାନଙ୍କୁ କହୁଅଛି, ସାହସ ଧରନ୍ତୁ, କାରଣ ଆପଣମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରେ କାହାର ପ୍ରାଣନାଶ ହେବ ନାହିଁ, କେବଳ ଜାହାଜ ନଷ୍ଟ ହେବ।
কিন্তু এখন আমি আপনাদের অনুনয় করছি, আপনারা সাহস রাখুন, কারণ আপনাদের কারও প্রাণহানি হবে না, কেবলমাত্র জাহাজটি ধ্বংস হবে।
23 ଯେଣୁ ମୁଁ ଯେଉଁ ଈଶ୍ବରଙ୍କର ଲୋକ, ପୁଣି, ଯାହାଙ୍କର ମଧ୍ୟ ମୁଁ ସେବା କରେ, ତାହାଙ୍କର ଜଣେ ଦୂତ ଏହି ରାତ୍ରିରେ ମୋ ପାଖରେ ଠିଆ ହୋଇ କହିଲେ,
আমি যে ঈশ্বরের দাস ও আমি যাঁর উপাসনা করি, তাঁর এক দূত গত রাত্রে আমার পাশে দাঁড়িয়ে
24 ପାଉଲ, ଭୟ କର ନାହିଁ; କାଇସରଙ୍କର ସମ୍ମୁଖରେ ତୁମ୍ଭକୁ ଠିଆ ହେବାକୁ ହେବ, ଆଉ ଦେଖ, ତୁମ୍ଭର ସହଯାତ୍ରୀ ସମସ୍ତଙ୍କୁ ଈଶ୍ବର ତୁମ୍ଭକୁ ଦାନ କରିଅଛନ୍ତି।
বললেন, ‘পৌল, তুমি ভয় পেয়ো না। তোমাকে কৈসরের সামনে বিচারের জন্য উপস্থিত হতেই হবে। আর ঈশ্বর দয়া করে যারা তোমার সঙ্গে সমুদ্রযাত্রা করছে, তাদের সকলের জীবন তোমায় দান করেছেন।’
25 ଅତଏବ, ମହାଶୟମାନେ, ସାହସ ଧରନ୍ତୁ, କାରଣ ଈଶ୍ବରଙ୍କଠାରେ ମୋହର ବିଶ୍ୱାସ ଅଛି ଯେ, ମୋତେ ଯେପରି କୁହା ହୋଇଅଛି, ଠିକ୍ ସେହିପରି ଘଟିବ।
সেই কারণে মহাশয়েরা সাহস রাখুন, কারণ ঈশ্বরের উপরে আমার বিশ্বাস আছে যে, তিনি আমার কাছে যেমন ব্যক্ত করেছেন, তেমনই ঘটবে।
26 କିନ୍ତୁ ଆମ୍ଭମାନଙ୍କୁ କୌଣସି ଗୋଟିଏ ଦ୍ୱୀପରେ ଯାଇ ପଡ଼ିବାକୁ ହେବ।
তবুও, আমাদের কোনো দ্বীপে গিয়ে উঠতেই হবে।”
27 ଏହି ରୂପେ ଆମ୍ଭେମାନେ ଆଦ୍ରିଆ ସମୁଦ୍ରରେ ଇତଃସ୍ତତଃ ଚାଳିତ ହେଉ ହେଉ ଯେତେବେଳେ ଚତୁର୍ଦ୍ଦଶ ରାତ୍ରି ଉପସ୍ଥିତ ହେଲା, ସେତେବେଳେ ପ୍ରାୟ ଅର୍ଦ୍ଧରାତ୍ରି ସମୟରେ ନାବିକମାନେ କୌଣସି ସ୍ଥଳର ନିକଟବର୍ତ୍ତୀ ହେଉଛନ୍ତି ବୋଲି ଅନୁମାନ କଲେ।
চোদ্দো দিন পরে রাত্রিবেলায়, আমরা তখনও আদ্রিয়া সমুদ্রের উপর দিয়ে ভেসে চলেছি, এমন সময়ে, প্রায় মাঝরাতে, নাবিকরা অনুমান করল যে তারা কোনও ডাঙার কাছাকাছি এসে পড়েছে।
28 ଏଣୁ ସେମାନେ ମାପ କରି ଶହେ କୋଡ଼ିଏ ଫୁଟ ଗଭୀରର ପାଣି ପାଇଲେ ପୁଣି ଟିକିଏ ଆଗକୁ ଯାଇ ଆଉ ଥରେ ମାପ କରି ନବେ ଫୁଟ ଗଭୀରର ପାଣି ପାଇଲେ।
তারা মেপে দেখল যে, জলের গভীরতা একশো কুড়ি ফুট। অল্প কিছুক্ষণ পরে তারা আবার মেপে দেখল, জলের গভীরতা নব্বই ফুট।
29 କାଳେ ଆମ୍ଭେମାନେ କୌଣସି ପଥୁରିଆ ଭୂମିରେ ଯାଇ ପଡ଼ୁ, ଏହି ଭୟରେ ସେମାନେ ଚାରିଟା ଲଙ୍ଗର ପକାଇଦେଇ ଦିନ ଅପେକ୍ଷାରେ ରହିଲେ।
পাথরের গায়ে আছড়ে পরার ভয়ে তারা জাহাজের পিছন দিক থেকে চারটি নোঙর ফেলে দিয়ে দিনের আলোর জন্য প্রার্থনা করতে লাগল।
30 ପୁଣି, ନାବିକମାନେ ଜାହାଜର ସମ୍ମୁଖଭାଗରୁ ଲଙ୍ଗର ପକାଇବା ଛଳରେ ନୌକାଖଣ୍ଡିକ ସମୁଦ୍ରକୁ ଓହ୍ଲାଇ ଦେଇ ଜାହାଜରୁ ପଳାଇଯିବା ନିମନ୍ତେ ଚେଷ୍ଟା କରନ୍ତେ,
আর জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে নাবিকেরা জাহাজের সামনের দিকে কয়েকটি নোঙর নামিয়ে দেওয়ার ছল করল ও সমুদ্রে জীবন-রক্ষাকারী নৌকাটিকে নামিয়ে দিল।
31 ପାଉଲ ଶତ-ସେନାପତି ଓ ସୈନ୍ୟମାନଙ୍କୁ କହିଲେ, ଏମାନେ ଜାହାଜରେ ନ ରହିଲେ ଆପଣମାନେ ରକ୍ଷା ପାଇ ପାରିବେ ନାହିଁ।
পৌল তখন শত-সেনাপতি ও সৈন্যদের বললেন, “এই লোকেরা জাহাজে না থাকলে আপনারা কিছুতেই রক্ষা পাবেন না।”
32 ସେଥିରେ ସୈନ୍ୟମାନେ ନୌକାର ଦଉଡିସବୁ କାଟିଦେଇ ତାହାକୁ ଜଳରେ ପକାଇଦେଲେ।
তখন সৈন্যরা নৌকার দড়ি কেটে দিয়ে সেটাকে জলে পড়ে যেতে দিল।
33 ଆଉ, ଦିନ ହୋଇ ଆସୁଥିବା ପର୍ଯ୍ୟନ୍ତ ପାଉଲ ସେମାନଙ୍କୁ କିଛି ଭୋଜନ କରିବା ନିମନ୍ତେ ଉତ୍ସାହ ଦେଇ କହିଲେ, ଆଜିକି ଚଉଦ ଦିନ ହେଲା ଆପଣମାନେ ଅପେକ୍ଷାରେ ଥାଇ କିଛି ଭୋଜନ ନ କରି ଅନାହାରରେ ରହିଅଛନ୍ତି।
ভোরের ঠিক আগে, পৌল তাদের সবাইকে কিছু খেয়ে নেওয়ার জন্য অনুনয় করলেন। তিনি বললেন, “গত চোদ্দো দিন যাবৎ আপনারা ক্রমাগত উদ্বেগের মধ্যে আছেন এবং অনাহারে কাটিয়েছেন, আপনারা কিছুই আহার করেননি।
34 ଏଣୁ କିଛି ଭୋଜନ କରିବା ନିମନ୍ତେ ମୁଁ ଆପଣମାନଙ୍କୁ ପରାମର୍ଶ ଦେଉଅଛି, କାରଣ ତାହା ଅାପଣମାନଙ୍କ ରକ୍ଷା ନିମନ୍ତେ ପ୍ରୟୋଜନ; ଯେଣୁ ଆପଣମାନଙ୍କର କାହାରି ମସ୍ତକର ଗୋଟିଏ କେଶ ନଷ୍ଟ ହେବ ନାହିଁ।
এখন কিছু খাওয়ার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। বেঁচে থাকার জন্য আপনাদের খাবার প্রয়োজন আছে। আপনাদের একজনের মাথার একটি চুলও নষ্ট হবে না।”
35 ସେ ଏହିସବୁ କଥା କହି ରୁଟି ଘେନି ସମସ୍ତଙ୍କ ସାକ୍ଷାତରେ ଈଶ୍ବରଙ୍କୁ ଧନ୍ୟବାଦ ଦେଇ ତାହା ଭାଙ୍ଗି ଭୋଜନ କରିବାକୁ ଲାଗିଲେ।
একথা বলার পর, তিনি কিছু রুটি নিয়ে তাদের সকলের সামনে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। তারপর তা ভেঙে তিনি খেতে লাগলেন।
36 ସେଥିରେ ସେମାନେ ସମସ୍ତେ ସାହସ ପ୍ରାପ୍ତ ହୋଇ ନିଜେ ନିଜେ ମଧ୍ୟ ଭୋଜନ କଲେ।
এতে তারা সকলেই উৎসাহিত হয়ে কিছু কিছু খাবার গ্রহণ করল।
37 ଆମ୍ଭେମାନେ ଜାହାଜରେ ସର୍ବସୁଧା ଦୁଇ ଶହ ଛଅସ୍ତରୀ ଜଣ ପ୍ରାଣୀ ଥିଲୁ।
জাহাজে আমরা সর্বমোট দুশো ছিয়াত্তর জন ছিলাম।
38 ସେମାନେ ଯଥେଷ୍ଟ ଭୋଜନ କଲା ପରେ ସମୁଦ୍ରରେ ଗହମ ପକାଇଦେଇ ଜାହାଜକୁ ହାଲୁକା କରିବାକୁ ଲାଗିଲେ,
তারা যখন নিজেদের ইচ্ছামতো পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণ করল, তারা খাদ্যশস্য সমুদ্রে ফেলে দিয়ে জাহাজের ভার হালকা করল।
39 ଦିନ ହୁଅନ୍ତେ, ସେ ସ୍ଥଳ ସେମାନେ ଚିହ୍ନି ପାରିଲେ ନାହିଁ, ମାତ୍ର ସେମାନେ ବାଲିକୂଳ ଥିବା ଗୋଟିଏ ଖାଲ ଦେଖି କୌଣସି ପ୍ରକାରେ ସେଠାରେ ଜାହାଜ ଲଗାଇବା ନିମନ୍ତେ ପରାମର୍ଶ କଲେ।
দিনের আলো ফুটে উঠলে তারা জায়গাটা চিনতে পারল না। কিন্তু তারা একটি উপসাগর দেখতে পেল, যার তীর বালিতে ভর্তি ছিল। তারা স্থির করল, সম্ভব হলে তারা জাহাজটিকে চড়ায় আটকে দেবে।
40 ଏଣୁ ସେମାନେ ଲଙ୍ଗରସବୁ କାଟି ସେଗୁଡ଼ିକ ସମୁଦ୍ରରେ ଛାଡ଼ିଦେଲେ, ଆଉ ସାଙ୍ଗେ ସାଙ୍ଗେ ମଙ୍ଗର ଦଉଡିସବୁ ଫିଟାଇ ପବନ ଆଡ଼କୁ ଆଗ ପାଲ ଉଠାଇ କୂଳ ଆଡ଼କୁ ଯିବାକୁ ଚେଷ୍ଟା କଲେ।
নোঙরগুলি কেটে দিয়ে তারা সেগুলি সমুদ্রে ফেলে দিল। সেই সঙ্গে তারা হালের সঙ্গে বাঁধা দড়িগুলিও খুলে দিল। এরপর তারা বাতাসের অনুকূলে পাল তুলে দিয়ে তীরের দিকে এগিয়ে চলল।
41 କିନ୍ତୁ ସେମାନେ ଦୁଇ ସମୁଦ୍ର ମିଶିଥିବା ସ୍ଥାନରେ ଯାଇ ପଡ଼ନ୍ତେ, ଜାହାଜଟି ଚଡ଼ାରେ ଲାଗିଗଲା; ତାହାର ସମ୍ମୁଖଭାଗ ଲାଖିଯାଇ ଅଚଳ ହୋଇ ରହିଲା, କିନ୍ତୁ ପଛ ଭାଗ ତରଙ୍ଗର ପ୍ରଚଣ୍ଡତାରେ ଭାଙ୍ଗି ଯିବାକୁ ଲାଗିଲା।
কিন্তু জাহাজ একটি বালির চড়ায় ধাক্কা মারল এবং আটকে গেল। জাহাজের সামনের দিকটি জোরে ধাক্কা মারল ও তা অচল হয়ে গেল। কিন্তু পিছনের দিকটি ঢেউয়ের প্রবল আঘাতে টুকরো টুকরো হয়ে গেল।
42 ସେତେବେଳେ କାଳେ ବନ୍ଦୀମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରୁ କେହି ପହଁରି ପଳାଇଯାଏ, ଏଥିପାଇଁ ସେମାନଙ୍କୁ ବଧ କରିବା ନିମନ୍ତେ ସୈନ୍ୟମାନେ ପରାମର୍ଶ କଲେ,
বন্দিরা কেউ যেন সাঁতার কেটে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য সৈন্যরা তাদের হত্যা করার পরামর্শ করল।
43 କିନ୍ତୁ ଶତ-ସେନାପତି ପାଉଲଙ୍କୁ ରକ୍ଷା କରିବା ଇଚ୍ଛାରେ ସେମାନଙ୍କ ସଙ୍କଳ୍ପରୁ ସେମାନଙ୍କୁ କ୍ଷାନ୍ତ କରି ଆଜ୍ଞା ଦେଲେ ଯେ, ଯେଉଁମାନେ ପହଁରି ଜାଣନ୍ତି, ସେମାନେ ସମୁଦ୍ରରେ ଡେଇଁପଡ଼ି ପ୍ରଥମେ ସ୍ଥଳକୁ ଯାଆନ୍ତୁ,
কিন্তু শত-সেনাপতি পৌলের প্রাণ বাঁচানোর ইচ্ছায় তাদের সেই পরিকল্পনা কার্যকর হতে দিলেন না। তিনি আদেশ দিলেন, যারা সাঁতার জানে, প্রথমে তারাই যেন জলে ঝাঁপ দিয়ে তীরে ওঠে।
44 ପୁଣି, ଅବଶିଷ୍ଟମାନଙ୍କ ମଧ୍ୟରୁ କେହି କେହି ତକ୍ତା ଓ ଆଉ କେହି କେହି ଜାହାଜର ଅନ୍ୟାନ୍ୟ ଭଙ୍ଗା ଖଣ୍ଡ ଧରି ଯାଉନ୍ତୁ। ଏହି ପ୍ରକାରେ ସମସ୍ତେ ନିରାପଦରେ ସ୍ଥଳରେ ପହଞ୍ଚିଲେ।
অবশিষ্ট সকলে যেন তক্তা বা জাহাজের ভাঙা অংশ নিয়ে সেখানে পৌঁছায়। এভাবে প্রত্যেকেই নিরাপদে তীরে পৌঁছে গেল।

< ପ୍ରେରିତ 27 >