< Ījaba 38 >

1 Tad Tas Kungs Ījabam atbildēja no vētras un sacīja:
পরে সদাপ্রভু ঝড়ের মধ্যে থেকে ইয়োবের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন:
2 Kas tas tāds, kas (Dieva) padomu aptumšo ar neprātīgiem vārdiem?
“এ কে যে অজ্ঞানের মতো কথা বলে আমার পরিকল্পনাগুলি ম্লান করে দিচ্ছে?
3 Apjoz jel kā vīrs savus gurnus, tad Es tev gribu vaicāt, un tu Mani māci.
পুরুষমানুষের মতো নিজেকে মজবুত করো; আমি তোমাকে প্রশ্ন করব, ও তুমি আমাকে উত্তর দেবে।
4 Kur tu biji, kad Es zemei liku pamatu? Izteic to, ja tev ir tāds gudrs prāts.
“আমি যখন পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছিলাম তুমি তখন কোথায় ছিলে? যদি বুঝেছো, তবে আমায় বলো।
5 Vai tu zini, kas viņai mēru licis, jeb kas pār viņu ir vilcis mēra auklu?
পৃথিবীর মাত্রা কে চিহ্নিত করল? তুমি নিশ্চয় তা জানো! তার উপরে কে সীমারেখা টানলো?
6 Uz ko viņas pamati ierakti, jeb kas licis viņas stūra akmeni,
কীসের উপরে তার অবস্থান খাড়া হল, বা কে তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলো—
7 Kad rīta zvaigznes kopā priecīgi dziedāja, un visi Dieva bērni gavilēja?
যখন শুকতারারা একসাথে গেয়ে উঠল ও স্বর্গদূতেরা সবাই আনন্দে চিৎকার করে উঠল?
8 Jeb kas jūru aizslēdzis ar durvīm, kad tā izlauzās, un iznāca kā no mātes miesām,
“কে দরজার আড়ালে সমুদ্রকে অবরুদ্ধ করল যখন তা গর্ভ থেকে বের হয়ে এল,
9 Kad Es to ģērbu ar padebešiem, un krēslībā ietinu tā kā tinamos autos,
যখন আমি মেঘরাশিকে তার পোশাক বানালাম ও তা ঘন অন্ধকারে ঢেকে দিলাম,
10 Kad Es tai noliku Savu robežu, un liku aizšaujamos un durvis,
যখন আমি তার জন্য সীমা নির্দিষ্ট করলাম এবং তার দরজা ও খিল যথাস্থানে লাগালাম।
11 Un sacīju: tiktāl tev būs nākt un ne tālāki, un še būs apgulties taviem lepniem viļņiem?
যখন আমি বললাম, ‘এই পর্যন্তই তুমি আসতে পারবে, আর নয়; এখানেই তোমার তরঙ্গের গর্ব থেমে যাবে’?
12 Vai tu savā mūžā rītam licis aust, vai auseklim rādījis savu vietu,
“তুমি কি কখনও সকালকে আদেশ দিয়েছ, বা ভোরবেলাকে তার স্থান দেখিয়ে দিয়েছ
13 Lai satver zemes stūrus, ka tie bezdievīgie no tās top izkratīti;
যেন তা পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে ও সেখান থেকে দুষ্টদের ঝেড়ে ফেলে?
14 Ka tā pārvēršas kā zieģeļa vasks un visas lietas rādās kā apģērbā,
পৃথিবী সিলমোহরের তলায় লেগে থাকা মাটির মতো আকার নেয়; তার বৈশিষ্ট্য এক পোশাকের মতো ফুটে ওঠে।
15 Un bezdievīgiem zūd viņu gaišums, un pacelts elkonis salūst?
দুষ্টদের আলো দেওয়া হয় না, ও তারা যে হাত উঁচুতে তুলে ধরে তা ভেঙে যায়।
16 Vai tu esi nācis līdz jūras avotam un staigājis bezdibeņu dziļumos?
“তুমি কি সমুদ্রের উৎসে যাত্রা করেছ বা সমুদ্রতলবর্তী গর্তে হাঁটাহাঁটি করেছ?
17 Vai tev atdarījušies nāves vārti, un vai tu esi redzējis nāves ēnas vārtus?
মৃত্যুর দরজা কি তোমার কাছে প্রকাশিত হয়েছে? তুমি কি গাঢ় অন্ধকারের দরজা দেখেছ?
18 Vai esi skatījies līdz pasaules malām? Stāsti, ja tu visu to zini.
পৃথিবীর সুবিশাল বিস্তারের বিষয়টি কি তুমি বুঝে ফেলেছ? এসব কিছু যদি তুমি জানো, তবে আমায় বলো।
19 Kur ir tas ceļš, kur gaisma mājo, un tumsa - kur ir viņas vieta?
“আলোর বাসস্থানে যাওয়ার পথ কোনটি? আর অন্ধকার কোথায় বসবাস করে?
20 Vai tu to varētu pārvest viņas robežā un izzināt viņas nama ceļus?
তুমি কি তাদের স্বস্থানে নিয়ে যেতে পারো? তুমি কি তাদের ঘরের পথ জান?
21 Tu to zini, jo tai laikā tu biji piedzimis, un tev ir daudz to gadu!
নিশ্চয় জানো, কারণ তখন তো তোমার জন্ম হয়ে গিয়েছিল! তুমি তো বহু বছর ধরে বেঁচে আছ!
22 Vai tu esi nācis, kur tie sniega krājumi, un vai esi redzējis krusas krājumus,
“তুমি কি তুষারের আড়তে প্রবেশ করেছ বা শিলাবৃষ্টির গুদাম দেখেছ,
23 Ko Es taupu uz spaidu laiku, uz kaušanas un kara dienu?
যা আমি সংকটকালের জন্য, যুদ্ধবিগ্রহের দিনের জন্য সংরক্ষিত করে রেখেছি?
24 Pa kuru ceļu gaisma dalās un kā austrenis izplešas virs zemes?
কোনও পথ ধরে সেখানে যাওয়া যায়, যেখান থেকে বিজলি বিচ্ছুরিত হয়, বা যেখান থেকে পূর্বীয় বাতাস সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে?
25 Kas lietum rādījis, kur lai gāžas, un ceļu zibeņiem un pērkoniem,
প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য কে খাল খুঁড়েছে, ও বজ্রঝড়ের জন্য কে পথ তৈরি করে দিয়েছে,
26 Ka lietus līst, kur cilvēka nav, tuksnesī, kur neviens nedzīvo,
যেন জনমানবহীন দেশ, বসতিহীন মরুভূমি জলসিক্ত হয়,
27 Ka viņš dzirdina tukšo posta vietu un zālītei liek dīgt?
যেন ঊষর পতিত জমি তৃপ্ত হয় ও সেখানে কচি ঘাস অঙ্কুরিত হয়?
28 Vai lietum ir tēvs, vai kas dzemdinājis rasas lāsi?
বৃষ্টির কি বাবা আছে? কে শিশিরকণার জন্ম দিয়েছে?
29 No kura klēpja cēlies ledus, un no kā dzimusi debess salna,
কার গর্ভ থেকে বরফ বের হয়েছে? আকাশ থেকে ঝড়ে পড়া তুষারের জন্মই বা কে দিয়েছে
30 Ka ūdeņi sastingst kā akmens, un jūras dziļumi aizsalst cieti?
যখন জল জমে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়, যখন জলরাশির উপরের স্তর জমাট বেঁধে যায়?
31 Vai tu vari sasiet Sietiņa saites, vai atraisīt Orijona zvaigžņu saiti?
“তুমি কি কৃত্তিকার হার গাঁথতে পারো? তুমি কি কালপুরুষের বাঁধন আলগা করতে পারো?
32 Vai tu zvaigznes vari izvest savā laikā un vadīt debess vāģus un viņu ratus?
তুমি কি নক্ষত্রপুঞ্জকে তাদের নিজস্ব ঋতুতে চালাতে পার বা শাবকসুদ্ধ ভালুককে তার পথ দেখাতে পারো?
33 Vai tu zini debess likumus, jeb vai proti, kā tie valda virs zemes?
তুমি কি আকাশমণ্ডলের বিধান জানো? তুমি কি পৃথিবীতে ঈশ্বরের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে পারো?
34 Vai tu savu balsi vari pacelt uz padebešiem, lai ūdeņi plūst zemē uz tevi?
“তুমি কি মেঘ পর্যন্ত তোমার আওয়াজ তুলতে পারো ও নিজেকে জলপ্লাবন দিয়ে ঢেকে ফেলতে পারো?
35 Vai vari sūtīt zibeņus, ka tie iet un uz tevi saka: redzi, še mēs esam?
তুমি কি বজ্রবিদ্যুৎ ঝলসাতে পারবে? সেগুলি কি জবাবে তোমাকে বলবে, ‘আমরা এখানে’?
36 Kas lika gudrību tumšos mākoņos un prātu debess spīdumos?
কে দোচরাকে বিজ্ঞতা দিয়েছে বা মোরগকে বোধশক্তি দিয়েছে?
37 Kas skaita mākoņus ar gudrību, un kas māk apgāzt padebešus,
কার কাছে মেঘরাশি গণনা করার বিজ্ঞতা আছে? কে তখন আকাশের জলে ভরা ঘড়াগুলি উল্টাতে পারে
38 Ka pīšļi top aplieti, ka tie saskrien un salīp pītēs?
যখন ধুলো শক্ত হয়ে যায় ও মাটির ঢেলা একসঙ্গে জুড়ে যায়?
39 Vai tu māki medīt laupījumu priekš lauvas un pildīt jauno lauvu tukšo vēderu,
“তুমি কি সিংহীর জন্য শিকারের খোঁজ করবে ও সিংহদের খিদে মিটাবে
40 Kad tie nogulstas alās un biezos krūmos glūn?
যখন তারা গুহায় গুড়ি মেরে পড়ে থাকে বা ঘন ঝোপে অপেক্ষা করে বসে থাকে?
41 Kas gādā krauklim barību, kad viņa bērni uz Dievu brēc un šurpu turpu skraida, kad nav ko ēst?
কে দাঁড়কাকের জন্য খাবার জোগায় যখন তার শাবকেরা ঈশ্বরের কাছে আর্তনাদ করে ও খাবারের অভাবে উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়?

< Ījaba 38 >