< Ījaba 36 >
1 Un Elihus vēl runāja un sacīja:
ইলীহূ আরও বললেন;
2 Pagaidi man vēl maķenīt, es tev mācīšu, jo no Dieva puses vēl kas jāsaka.
“আপনি আমার প্রতি আরও একটু ধৈর্য ধরুন ও আমি আপনাকে দেখিয়ে দেব যে ঈশ্বরের হয়ে আরও অনেক কিছু বলার আছে।
3 Es meklēšu savu atzīšanu no tālienes un gādāšu savam radītājam taisnību.
আমি বহুদূর থেকে আমার জ্ঞান লাভ করেছি; আমি আমার সৃষ্টিকর্তার উপরে ন্যায়পরায়ণতা আরোপ করব।
4 Jo tiešām, mana valoda nav meli; tavā priekšā ir, kam atzīšanas netrūkst.
নিশ্চিত হতে পারেন যে আমার কথা মিথ্যা নয়; নিখুঁত জ্ঞানবিশিষ্ট একজন আপনার সহবর্তী।
5 Redzi, Dievs ir varens un tomēr neatmet, Viņš ir varens gudrības spēkā.
“ঈশ্বর পরাক্রমী, কিন্তু তিনি কাউকে অবজ্ঞা করেন না; তিনি পরাক্রমী, ও তাঁর অভীষ্টে অটল।
6 Viņš bezdievīgam neliek dzīvot, un bēdīgam nes tiesu.
তিনি দুষ্টদের বাঁচিয়ে রাখেন না কিন্তু নিপীড়িতদের তাদের অধিকার দান করেন।
7 Viņš nenovērš savas acis no taisnā, bet pie ķēniņiem uz goda krēsla, tur Viņš tiem liek sēdēt mūžam, ka top paaugstināti.
তিনি ধার্মিকদের উপর থেকে তাঁর দৃষ্টি সরিয়ে নেন না; রাজাদের সঙ্গে তিনি তাদের সিংহাসনে বসান ও চিরকাল তাদের মহিমান্বিত করেন।
8 Un kur cietuma ļaudis ir ķēdēs un top turēti bēdu saitēs,
কিন্তু লোকেরা যদি শিকলে বাঁধা পড়ে, দুঃখের দড়ি দিয়ে তাদের কষে বাঁধা হয়,
9 Tur Viņš tiem dara zināmu viņu darbu un viņu pārkāpumus, ka cēlušies lepnībā.
ঈশ্বর তখন তাদের বলে দেন যে তারা কী করেছে— যে তারা অহংকারভরে পাপ করেছে।
10 Viņš tiem atdara ausi mācībai, un saka, lai atgriežas no netaisnības.
তিনি তাদের সংশোধনমূলক কথা শুনতে বাধ্য করেন ও তাদের দুষ্টতার বিষয়ে তাদের মন ফিরানোর আদেশ দেন।
11 Ja tie nu klausa un Viņam kalpo, tad tie pavada savas dienas labumā un savus gadus laimē.
তারা যদি তাঁর বাধ্য হয়ে তাঁর সেবা করে, তবে তারা তাদের জীবনের বাকি দিনগুলি সমৃদ্ধিতে ও তাদের বছরগুলি সন্তোষযুক্ত হয়ে কাটাবে।
12 Un ja tie neklausa, tad tie krīt caur zobenu un mirst bez atzīšanas.
কিন্তু যদি তারা তাঁর কথা না শোনে, তবে তারা তরোয়ালের আঘাতে ধ্বংস হবে ও জ্ঞানের অভাবে মারা যাবে।
13 Bet kam neskaidra sirds, tie kurn, tie nepiesauc, kad Viņš tos saistījis.
“অধার্মিকেরা অন্তরে অসন্তোষ পুষে রাখে; এমনকি যখন তিনি তাদের শিকলে বাঁধেন, তখনও তারা সাহায্যের আশায় আর্তনাদ করে না।
14 Tā tad viņu dvēsele mirst jaunībā, un viņu dzīvība paiet ar mauciniekiem.
যৌবনকালেই তারা মারা যায় মন্দিরের দেবদাসদের মধ্যেই তাদের মৃত্যু হয়।
15 Bet bēdīgo Viņš izpestī viņa bēdās, un atver viņa ausis bēdu laikā.
কিন্তু যারা কষ্টভোগ করে, কষ্ট চলাকালীনই তিনি তাদের উদ্ধার করেন; তাদের দুঃখের মধ্যেই তিনি তাদের সাথে কথা বলেন।
16 Tāpat Viņš tevi izraus no bēdu rīkles uz klaju vietu, kur bēdu nav, un tavs galds būs pilns ar treknumu.
“ঈশ্বর আপনাকে যন্ত্রণার মুখ থেকে বের করে বিধিনিষেধ-মুক্ত এক প্রশস্ত স্থানে, পছন্দসই খাদ্যদ্রব্যে সুসজ্জিত আপনার টেবিলের স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশে এনেছেন।
17 Bet ja tu esi pilns bezdievīgas tiesāšanās, tad tiesa un sodība tevi ķers.
কিন্তু এখন আপনি দুষ্টদের উপযুক্ত বিচারে বিচারিত হতে যাচ্ছেন; বিচার ও ন্যায় আপনাকে ধরে ফেলেছে।
18 Lai sirds rūgtums tev jel neskubina zaimot, un tā lielā pārbaudīšana lai tevi nenovērš.
সাবধান, কেউ যেন ধন দ্বারা আপনাকে প্রলুব্ধ করতে না পারে; বিপুল পরিমাণ ঘুস যেন আপনাকে বিপথগামী করে না তোলে।
19 Vai tu ar brēkšanu no bēdām tiksi vaļā, vai cīnīdamies ar visu spēku?
আপনার ধনসম্পদ বা আপনার সব মহৎ প্রচেষ্টাও কি আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে, যেন আপনি যন্ত্রণাভোগ না করেন?
20 Neilgojies pēc tās nakts, kas noceļ tautas no savas vietas.
সেরাতের জন্য অপেক্ষা করবেন না, যখন লোকজনকে তাদের ঘর থেকে টেনে বের করা হয়।
21 Sargies, negriezies pie netaisnības, jo tā tev vairāk patīk nekā pacietība.
সাবধান, অনিষ্টের দিকে ফিরে যাবেন না, আপনি তো দুঃখের পরিবর্তে সেটিকেই মনোনীত করেছেন।
22 Redzi, Dievs ir augsts savā spēkā; kur ir tāds mācītājs, kā Viņš?
“ঈশ্বর তাঁর পরাক্রমে উন্নত। তাঁর মতো শিক্ষক আর কে আছে?
23 Kas Viņam raudzīs uz Viņa ceļu, vai kas uz Viņu sacīs: Tu dari netaisnību?
কে তাঁর গন্তব্যপথ নিরূপিত করেছে, বা তাঁকে বলেছে, ‘তুমি অন্যায় করেছ’?
24 Piemini, ka arī tu paaugstini Viņa darbu, par ko ļaudis dzied.
মনে রাখবেন, তাঁর সেই কাজের উচ্চপ্রশংসা করতে হবে, যাঁর প্রশংসা লোকেরা গানের মাধ্যমে করেছিল।
25 Visi ļaudis to skatās ar prieku, cilvēks to ierauga no tālienes.
সমগ্র মানবজাতি তা দেখেছে; নশ্বর মানুষও দূর থেকে সেদিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকেছে।
26 Redzi, Dievs ir augsts un neizmanāms, Viņa gadu pulku nevar izdibināt.
ঈশ্বর কত মহান—আমাদের বোধশক্তির ঊর্ধ্বে! তাঁর বছর-সংখ্যার খোঁজ পাওয়া যায় না।
27 Viņš savelk ūdens lāsītes, un lietus līst no viņa miglas.
“তিনি জলবিন্দু টেনে নেন, ও তা বৃষ্টিরূপে পরিশুদ্ধ করে জলধারায় ফিরিয়ে দেন;
28 Tas līst no padebešiem un pil uz daudz cilvēkiem.
মেঘরাশি তাদের আর্দ্রতা ঢেলে দেয় ও প্রচুর বৃষ্টি মানবজাতির উপরে বর্ষিত হয়।
29 Vai var izprast, kā padebeši izplešas, un kā Viņa dzīvoklis rīb?
কে বুঝতে পারে কীভাবে তিনি মেঘরাশি ছড়িয়ে দেন, কীভাবে তিনি তাঁর শামিয়ানা থেকে বজ্রধ্বনি করেন?
30 Redzi, Viņš ģērbjas zibeņu spīdumā un apklājās ar jūras dziļumiem.
দেখুন কীভাবে তিনি তাঁর চারপাশে বিজলি নিক্ষেপ করেন, সমুদ্রগর্ভকে স্নান করান।
31 Jo tā Viņš soda tautas un dod barības papilnam.
এভাবেই তিনি জাতিদের নিয়ন্ত্রণ করেন ও প্রচুর পরিমাণে খাদ্যদ্রব্য জোগান।
32 Viņa abējās rokās spīdumi, un Viņš tiem rāda, kur lai sper.
তাঁর হাত তিনি বিজলিতে পরিপূর্ণ করেন ও তাকে লক্ষ্যে আঘাত হানার আদেশ দেন।
33 Pērkona balss sludina Viņu nākam, un ganāmi pulki, ka Viņš tuvu.
তাঁর বজ্রধ্বনি আসন্ন ঝড়ের সংকেত দেয়; এমনকি পশুপালও সেটির আগমনবার্তা দেয়।