< Otra Samuela 18 >
1 Un Dāvids pārlūkoja tos ļaudis, kas pie viņa bija, un iecēla tiem virsniekus pār tūkstošiem un virsniekus pār simtiem.
১পরে দায়ূদ নিজের সঙ্গীদেরকে গুনে তাদের উপরে সহস্রপতি ও শতপতিদেরকে নিযুক্ত করলেন৷
2 Un Dāvids lika tos ļaudis, vienu daļu apakš Joaba rokas, un otru daļu apakš Abizajus, Cerujas dēla, Joaba brāļa, un to trešo apakš Itajus no Gatas.
২আর দায়ূদ যোয়াবের হাতে লোকদের তৃতীয় অংশ, যোয়াবের ভাই সরূয়ার ছেলে অবীশয়ের হাতে তৃতীয় অংশ এবং গাতীয় ইত্তয়ের হাতে তৃতীয় অংশ দিয়ে পাঠালেন৷ আর রাজা লোকদেরকে বললেন, “আমিও তোমাদের সঙ্গে যাবো৷”
3 Un ķēniņš sacīja uz tiem ļaudīm: es pats arīdzan iziešu līdz ar jums. Bet tie ļaudis sacīja: tev nebūs iziet, jo kad mēs bēgsim, tad tie to neliks vērā; un arī kad puse no mums mirst, tad tie to arī neliks vērā, bet tu esi kā desmit tūkstoši no mums. Tāpēc nu būs labāk, kad tu mums no pilsētas nāksi palīgā.
৩কিন্তু লোকেরা বলল, “আপনি যাবেন না; কারণ যদি আমরা পালাই, তবে আমাদের বিষয় তারা মনে করবে না, আমাদের অর্ধেক লোক মারা গেলেও আমাদের বিষয় মনে করবে না; কিন্তু আপনি আমাদের দশ হাজারের সমান; তাই নগর থেকে আমাদের সাহায্য করার জন্য আপনি প্রস্তুত থাকলে ভালো হয়৷”
4 Un ķēniņš uz tiem sacīja: es darīšu, kā jums šķiet par labu. Un ķēniņš nostājās pie vārtiem, un visi ļaudis izgāja pa simtiem un pa tūkstošiem.
৪তখন রাজা তাদেরকে বললেন, “তোমরা যা ভালো বোঝো, আমি তাই করব৷” পরে রাজা নগরের ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং সমস্ত লোক শত শত ও হাজার হাজার হয়ে বেরিয়ে গেল৷
5 Un ķēniņš pavēlēja Joabam un Abizajum un Itajum un sacīja: taupiet to puisi, to Absalomu, un visi ļaudis to dzirdēja, ka ķēniņš visiem virsniekiem par Absalomu pavēlēja.
৫তখন রাজা যোয়াব, অবীশয় ও ইত্তয়কে আদেশ দিয়ে বললেন, “তোমরা আমার অনুরোধে সেই যুবকের প্রতি, অবশালোমের প্রতি, নরম ব্যবহার কোরো৷” অবশালোমের বিষয় সমস্ত সেনাপতিকে দেওয়া রাজার এই আদেশ সবাই শুনল৷
6 Tā tie ļaudis izgāja uz lauku Israēlim pretī, un tā kaušanās notika Efraīma mežā.
৬পরে লোকেরা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জায়গায় চলে গেল; ইফ্রয়িম বনে যুদ্ধ হল৷
7 Un Israēla ļaudis tur tapa kauti no Dāvida kalpiem, un tai dienā notika liela kaušana, līdz divdesmit tūkstošiem.
৭সেখানে ইস্রায়েলের লোকেরা দায়ূদের দাসদের সামনে আহত হল, আর সেদিন সেখানে বড় হত্যাকান্ড হল, কুড়ি হাজার লোক মারা গেল৷
8 Jo tā kauja izpletās tur pa visu to apgabalu, un mežs aprija vairāk ļaužu, nekā zobens aprija tai dienā.
৮তার ফলে যুদ্ধ সেখানকার সমস্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে গেল এবং সেই দিন তলোয়ার যত লোককে শেষ করল, বরং তার থেকে বেশি লোককে শেষ করল৷
9 Un Absaloms sastapa Dāvida kalpus un Absaloms jāja uz zirgēzeļa. Un kad tas zirgēzelis nāca apakš kāda liela ozola kupliem zariem, tad viņa galva ieķērās cieti pie tā ozola, ka viņš karājās starp debesi un zemi, un viņa zirgēzelis apakš viņa aizskrēja projām.
৯আর অবশালোম হঠাৎ দায়ূদের দাসেদের সামনে পড়ল; অবশালোম নিজের খচ্চরে চড়েছিল, সেই খচ্চর সেখানকার বড় একটা এলা গাছের ডালের নীচে দিয়ে যাওয়ার দিন সেই এলা গাছে অবশালোমের মাথা আটকে গেল; তাতে সে আকাশের ও পৃথিবীর মধ্যে ঝুলে রইল এবং যে খচ্চরটী তার নীচে ছিল, সেটি চলে গেল৷
10 Tad viens vīrs to redzēja un to teica Joabam un sacīja: redzi, es redzēju Absalomu karājamies pie kāda ozola.
১০আর একটি লোক সেটা দেখে যোয়াবকে বলল, “দেখুন, আমি দেখলাম, অবশালোম এলা বৃক্ষে ঝুলছে৷”
11 Tad Joabs sacīja uz to vīru, kas viņam to teica: redzi, tu esi redzējis, kāpēc tad tu viņu tur neesi kāvis zemē? Tad es tev no savas puses būtu devis desmit sudraba gabalus un vienu jostu.
১১তখন যোয়াব সেই সংবাদদাতাকে বললেন, “দেখ, তুমি দেখেছিলে, তবে কেন সেই জায়গায় তাকে মেরে মাটিতে ফেলে দিলে না? সেটা করলে আমি তোমাকে দশ শেকল রূপা ও একটি কোমরবন্ধনী দিতাম৷”
12 Bet tas vīrs sacīja uz Joabu: un ne par tūkstoš sudraba gabaliem, kad tie taptu iesvērti manā rokā, es savu roku neliktu pie ķēniņa dēla. Jo ķēniņš, mums dzirdot, tev un Abizajum un Itajum ir pavēlējis un sacījis: sargājat ikviens to puisi, to Absalomu.
১২সেই ব্যক্তি যোয়াবকে বলল, আমি যদিও হাজার শেকল রূপা এই হাতে পেতাম, তবুও রাজপুত্রের বিরুদ্ধে হাত তুলতাম না; কারণ আমাদেরই কানের কাছে রাজা আপনাকে, অবীশয়কে ও ইত্তয়কে এই আদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা যে কেউ হও, সেই যুবক অবশালোমের বিষয়ে সাবধান থাকবে৷
13 Bet ja es būtu viltu darījis pret viņa dvēseli, un ķēniņam jau nekas nepaliek apslēpts, tad tu pats man būtu stāvējis pretī.
১৩আর যদি আমি তাঁর প্রাণের বিরুদ্ধে বিশাসঘাতকতা করতাম, রাজার থেকে তো কোন বিষয় লুকানো থাকে না তবে আপনি আমার বিপক্ষ হতেন৷
14 Un Joabs sacīja: es tā pie tevis nevaru kavēties. Un viņš ņēma trīs šķēpus savā rokā un tos iedūra Absaloma sirdī. Un kad tas vēl bija dzīvs pie ozola,
১৪তখন যোয়াব বললেন, “তোমার সামনে আমার এরকম দেরী করা অনুচিত৷” পরে তিনি হাতে তিনটি খোঁচা নিয়ে অবশালোমের বুক বিদ্ধ করলেন; তখনও সে এলা গাছের মধ্যে জীবিত ছিল৷
15 Tad desmit puiši, Joaba bruņunesēji, to apstāja un kāva Absalomu un to nokāva.
১৫আর যোয়াবের অস্ত্র বহনকারী দশ জন যুবক অবশালোমকে ঘিরে ধরল ও আঘাত করে হত্যা করল৷
16 Tad Joabs lika pūst trumetes, un tie ļaudis griezās atpakaļ un Israēlim vairs nedzinās pakaļ; jo Joabs taupīja tos ļaudis.
১৬পরে যোয়াব তূরী বাজালেন, তাতে লোকেরা ইস্রায়েলের পিছনে তাড়া করা বন্ধ করল; কারণ যোয়াব লোকদেরকে ফিরিয়ে আনলেন৷
17 Un tie ņēma Absalomu, un to iemeta mežā lielā bedrē, un uzkrāva tam virsū ļoti lielu akmeņu kopu. Un viss Israēls bēga, ikkatrs savā dzīvoklī.
১৭আর তারা অবশালোমকে নিয়ে বনের এক বড় গর্তে ফেলে দিয়ে তার উপরে পাথরের এক বড় ঢিবি করলো৷ ইতিমধ্যে সমস্ত ইস্রায়েলীয় নিজেদের তাঁবুতে পালিয়ে গেল৷
18 Bet Absaloms, kamēr vēl bija dzīvs, bija ņēmis un uzcēlis sev stabu ķēniņa ielejā. Jo viņš sacīja: man dēla nav, lai mans vārds pie tā top pieminēts. Un viņš to stabu bija nosaucis pēc sava vārda, un tas vēl šodien top saukts Absaloma stabs.
১৮রাজার উপত্যকাতে যে স্তম্ভ আছে, অবশালোম জীবনকালে সেটা তৈরী করে নিজের জন্য স্থাপন করেছিল, কারণ সে বলেছিল, “আমার নাম রক্ষা করার জন্য আমার ছেলে নেই;” তাই সে নিজের নাম অনুসারে ঐ স্তম্ভের নাম রেখেছিল; আজ পর্যন্ত সেটা অবশালোমের স্তম্ভ বলে বিখ্যাত আছে৷
19 Tad Aķimaācs, Cadoka dēls, sacīja: es skriešu un nesīšu ķēniņam vēsti, ka Tas Kungs viņam tiesu iznesis no viņa ienaidnieku rokas.
১৯পরে সাদোকের ছেলে অহীমাস বলল, “আমি দৌড়ে গিয়ে, সদাপ্রভু কি ভাবে রাজার শত্রুদেরহাত থেকে রাজাকে বাঁচিয়েছেন, এই খবর রাজাকে দিই৷”
20 Bet Joabs uz to sacīja: šodien tu neesi prieka vēstnesis, citu dienu tu vari vēstis nest, bet šodien tev labas vēsts nav, ko nest, jo ķēniņa dēls ir miris.
২০কিন্তু যোয়াব তাকে বললেন, “আজ তুমি সংবাদদাতা হবে না, অন্য দিন খবর দেবে; রাজপুত্র মারা গেছে, এই জন্য আজ তুমি খবর দেবে না৷”
21 Un Joabs sacīja uz Kuzu: ej tu un teici ķēniņam, ko tu esi redzējis. Tad Kuzus paklanījās Joaba priekšā un aizskrēja.
২১পরে যোয়াব কূশীয়কে বললেন, “যাও যা দেখলে, রাজাকে গিয়ে বল৷” তাতে কূশীয় যোয়াবকে প্রণাম করে দৌড়ে চলে গেল৷
22 Bet Aķimaācs, Cadoka dēls, runāja vēl uz Joabu: lai būtu kā būdams, liec man jel arī Kuzum skriet pakaļ. Un Joabs sacīja: kāpēc tad tu gribi skriet, mans dēls? Ej tad, - laba vēsts tā nav, kas ko ienes.
২২পরে সাদোকের ছেলে অহীমাস আবার যোয়াবকে বলল, “যা হয় হোক, অনুরোধ করি, কূশীয়ের পিছনে আমাকেও দৌড়াতে দিন ৷” যোয়াব বললেন, “বাছা তুমি কেন দৌড়াবে? তুমি তো খবরের জন্য পুরষ্কার পাবে না?”
23 (Viņš sacīja: ) lai būtu kā būdams, es skriešu! Un viņš uz to sacīja: tad skrej! Tad Aķimaācs skrēja pa klajuma ceļu un Kuzum aiztika priekšā.
২৩সে বলল, “যা হয় হোক, আমি দৌড়াব৷” তাতে তিনি বললেন, “দৌড়াও৷” তখন অহীমাস সমভূমির পথ দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে কূশীয়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল৷
24 Un Dāvids sēdēja starp abiem vārtiem. Tad tas sargs kāpa uz vārtu jumtu un mūri un pacēla savas acis un skatījās, un redzi, tur vīrs skrēja viens pats.
২৪সেই দিনের দায়ূদ দুই নগরের ফটকের মাঝখানে বসেছিলেন৷ আর পাহারাদার নগরের ফটকের উপরের দিকে, প্রাচীরে উঠল, আর চোখ তুলে পর্যবেক্ষণ করল, আর দেখল, একজন একা দৌড়ে আসছে৷
25 Un tas sargs sauca un to sacīja ķēniņam. Un ķēniņš sacīja: ja viņš viens pats, tad būs laba vēsts viņa mutē; un tas nāca arvien tuvāki klāt.
২৫তাতে পাহারাদার চিত্কার করে রাজাকে সেটা বলল; রাজা বললেন, “সে যদি একা হয়, তবে তার কাছে খবর আছে৷” পরে সে আসতে আসতে কাছাকাছি এল৷
26 Tad tas sargs redzēja otru vīru skrienam, un tas sargs sauca uz vārtiem un sacīja: raugi, vēl otrs vīrs skrien viens pats. Un ķēniņš sacīja: tas arī ir labs vēstnesis.
২৬পাহারাদার আর এক জনকে দৌড়ে আসতে দেখে চিত্কার করে দারোয়ানকে বলল, “দেখ, আর একজন একা দৌড়ে আসছে৷” তখন রাজা বললেন, “সেও খবর আনছে৷”
27 Un tas sargs sacīja: es redzu, ka tā pirmā gaita ir kā Aķimaāca, Cadoka dēla, gaita, un ķēniņš sacīja: tas ir labs vīrs un nāks ar labu vēsti.
২৭পরে পাহারাদার বলল, “প্রথম যে ব্যক্তি দৌড়াচ্ছে তাকে সাদোকের ছেলে অহীমাস বলে মনে হচ্ছে৷” রাজা বললেন, “সে ভাল মানুষ, ভাল খবর নিয়ে আসছে৷”
28 Tad Aķimaācs sauca un sacīja uz ķēniņu: miers! Un viņš nometās ķēniņa priekšā ar savu vaigu pie zemes un sacīja: slavēts ir Tas Kungs, tavs Dievs, kas tos vīrus nodevis, kas savu roku pret manu kungu, to ķēniņu, bija pacēluši.
২৮তখন অহীমাস চিত্কার করে রাজাকে বলল, “মঙ্গল হোক৷” পরে সে রাজার সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করে বলল, “আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু ধন্য, আমার প্রভু মহারাজের বিরুদ্ধে যে লোকেরা হাত তুলেছিল, তাদেরকে তিনি সমর্পণ করেছেন৷”
29 Tad ķēniņš sacīja: vai tas puisis Absaloms sveiks vesels? Un Aķimaācs sacīja: es redzēju lielu troksni, kad Joabs tā ķēniņa kalpu un mani, tavu kalpu, nosūtīja, bet es nezinu, kas tur bija.
২৯পরে রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক অবশালোম কি ভালো আছে?” অহীমাস বলল, “যে দিনের যোয়াব মহারাজের দাসকে, আপনার দাস আমাকে পাঠান, সেই দিনের অনেক লোকের ভীড় দেখলাম, কিন্তু কি হয়েছিল তা জানি না৷”
30 Un ķēniņš sacīja: ej un nostājies te. Tad viņš gāja un nostājās.
৩০রাজা বললেন, “এক পাশে যাও, এখানে দাঁড়াও; তাতে সে গিয়ে এক পাশে দাঁড়াল৷”
31 Un redzi, Kuzus nāca, un Kuzus sacīja: manam kungam, tam ķēniņam, tā labā vēsts, ka Tas Kungs tev šodien ir tiesu iznesis no visu to rokas, kas pret tevi cēlās.
৩১আর দেখ, কূশীয় আসল ও কূশীয় বলল, “আমার প্রভু মহারাজের জন্য খবর এনেছি; আপনার বিরুদ্ধে যারা উঠেছিল, সেই সবার হাত থেকে সদাপ্রভু আজ আপনাকে রক্ষা করেছেন৷”
32 Tad ķēniņš sacīja uz Kuzu: vai tas puisis Absaloms sveiks un vesels? Un Kuzus sacīja: lai tā kā šim jauneklim, iet mana kunga, tā ķēniņa, ienaidniekiem un visiem, kas pret tevi ar ļaunumu ceļas.
৩২রাজা কূশীয়কে জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক অবশালোম কি ভালো আছে?” কূশীয় বলল, “আমার প্রভু মহারাজের শত্রুরা ও যারা অমঙ্গল করার জন্য আপনার বিরুদ্ধে উঠে, তারা সকলের সেই যুবকের মত হোক৷”
33 Tad ķēniņš noskuma un gāja vārtu augšistabā un raudāja, un sacīja iedams: mans dēls Absalom! Mans dēls, mans dēls Absalom! Kaut es tavā vietā būtu miris! Ak Absalom! Mans dēls, mans dēls!
৩৩তখন রাজা অধৈর্য্য হয়ে নগরের ফটকের ছাদের উপরের কুঠরীতে উঠে কাঁদতে লাগলেন এবং যেতে যেতে বললেন, “হায়! আমার ছেলে অবশালোম! আমার ছেলে, আমার ছেলে অবশালোম! কেন তোমার পরিবর্তে আমি মারা গেলাম না? হায় অবশালোম! আমার ছেলে! আমার ছেলে!”