< Mattheum 23 >
1 Tunc Jesus locutus est ad turbas, et ad discipulos suos,
তারপর যীশু সকল লোকদের ও তাঁর শিষ্যদের বললেন,
2 dicens: Super cathedram Moysi sederunt scribæ et pharisæi.
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা মোশির আসনে বসে।
3 Omnia ergo quæcumque dixerint vobis, servate, et facite: secundum opera vero eorum nolite facere: dicunt enim, et non faciunt.
সেই কারণে, তোমরা অবশ্যই তাদের কথা শুনবে ও তারা যা বলে তা পালন করবে। কিন্তু তারা যে কাজ করে, তোমরা সেই কাজ করবে না, কারণ তারা যা প্রচার করে, তা নিজেরা অনুশীলন করে না।
4 Alligant enim onera gravia, et importabilia, et imponunt in humeros hominum: digito autem suo nolunt ea movere.
তারা দুর্বহ বোঝা বেঁধে সেগুলি মানুষদের কাঁধে চাপায়, কিন্তু তারা একটি আঙুল দিয়েও তা সরাতে ইচ্ছুক হয় না।
5 Omnia vero opera sua faciunt ut videantur ab hominibus: dilatant enim phylacteria sua, et magnificant fimbrias.
“তারা যা কিছুই করে, তা লোক-দেখানো মাত্র। তারা তাদের কবচ প্রশস্ত ও আলখাল্লার ঝালর লম্বা করে।
6 Amant autem primos recubitus in cœnis, et primas cathedras in synagogis,
তারা ভোজসভায় সব থেকে সম্মানজনক আসন ও সমাজভবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলি পেতে ভালোবাসে।
7 et salutationes in foro, et vocari ab hominibus Rabbi.
তারা হাটেবাজারে সম্ভাষিত হতে ভালোবাসে ও চায় যেন লোকেরা তাদের ‘রব্বি’ বলে ডাকে।
8 Vos autem nolite vocari Rabbi: unus est enim magister vester, omnes autem vos fratres estis.
“কিন্তু তোমরা ‘রব্বি’ বলে সম্ভাষিত হোয়ো না, কারণ তোমাদের গুরুমহাশয় কেবলমাত্র একজন ও তোমরা পরস্পর ভাই ভাই।
9 Et patrem nolite vocare vobis super terram: unus est enim pater vester qui in cælis est.
আবার পৃথিবীতে কাউকে ‘পিতা’ বলে সম্বোধন কোরো না, কারণ তোমাদের পিতা একজনই, তিনি স্বর্গে থাকেন।
10 Nec vocemini magistri: quia magister vester unus est, Christus.
আবার কেউ তোমাদের ‘আচার্য’ বলে যেন না ডাকে, কারণ তোমাদের আচার্য একজনই তিনি খ্রীষ্ট।
11 Qui major est vestrum, erit minister vester.
তোমাদের মধ্যে যে শ্রেষ্ঠ, সে তোমাদের পরিচারক হবে।
12 Qui autem se exaltaverit, humiliabitur: et qui se humiliaverit, exaltabitur.
কারণ যে কেউ নিজেকে উন্নত করে, তাকে নত করা হবে, আর যে কেউ নিজেকে নত করে তাকে উন্নত করা হবে।
13 Væ autem vobis scribæ et pharisæi hypocritæ, quia clauditis regnum cælorum ante homines! vos enim non intratis, nec introëuntes sinitis intrare.
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল, ধিক্ তোমাদের! তোমরা লোকদের মুখের সামনে স্বর্গরাজ্য রুদ্ধ করে থাকো।
14 Væ vobis scribæ et pharisæi hypocritæ, quia comeditis domos viduarum, orationes longas orantes! propter hoc amplius accipietis judicium.
তোমরা নিজেরা তার মধ্যে তো প্রবেশ করো না অথচ যারা প্রবেশ করতে চেষ্টা করে তাদেরও প্রবেশ করতে দাও না। শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল, ধিক্ তোমাদের! তোমরা বিধবাদের বাড়িশুদ্ধ গ্রাস করো, আর লোক-দেখানো লম্বা লম্বা প্রার্থনা করো। সেই কারণে তোমাদের শাস্তি কঠোরতম হবে।
15 Væ vobis scribæ et pharisæi hypocritæ, quia circuitis mare, et aridam, ut faciatis unum proselytum, et cum fuerit factus, facitis eum filium gehennæ duplo quam vos. (Geenna )
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল, ধিক্ তোমাদের! তোমরা একজনকে ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য স্থলে ও সমুদ্রে পরিভ্রমণ করে থাকো। আর সে যখন রাজি হয়, তখন তোমরা যেমন নারকীয়, তাকেও তেমনই তোমাদের দ্বিগুণ নরকের উপযুক্ত করে তোলো। (Geenna )
16 Væ vobis duces cæci, qui dicitis: Quicumque juraverit per templum, nihil est: qui autem juraverit in auro templi, debet.
“অন্ধ পথপ্রদর্শকেরা, ধিক্ তোমাদের! তোমরা বলো, ‘কেউ যদি মন্দিরের নামে শপথ করে সেটা বড়ো কিছুই নয়, কিন্তু কেউ যদি মন্দিরের সোনার শপথ করে তাহলে সে তার শপথে আবদ্ধ হল।’
17 Stulti et cæci: quid enim majus est? aurum, an templum, quod sanctificat aurum?
মূর্খ অন্ধের দল! কোনটা মহত্তর: সেই সোনা, না সেই মন্দির, যা সোনাকে পবিত্র করে?
18 Et quicumque juraverit in altari, nihil est: quicumque autem juraverit in dono, quod est super illud, debet.
তোমরা আরও বলো, ‘কেউ যদি যজ্ঞবেদির শপথ করে সেটা কিছুই নয়; কিন্তু কেউ যদি তার উপরে স্থিত নৈবেদ্যের শপথ করে তাহলে সে তার শপথে আবদ্ধ হল।’
19 Cæci: quid enim majus est, donum, an altare, quod sanctificat donum?
অন্ধ মানুষ তোমরা! কোনটা মহত্তর: সেই নৈবেদ্য, না যজ্ঞবেদি, যা নৈবেদ্যকে পবিত্র করে?
20 Qui ergo jurat in altari, jurat in eo, et in omnibus quæ super illud sunt.
সেই কারণে, যে যজ্ঞবেদির শপথ করে সে বেদির ও তার উপরে স্থিত সবকিছুরই শপথ করে।
21 Et quicumque juraverit in templo, jurat in illo, et in eo qui habitat in ipso:
আর যে মন্দিরের শপথ করে সে মন্দিরের ও যিনি তার মধ্যে অধিষ্ঠান করেন, তাঁরও শপথ করে।
22 et qui jurat in cælo, jurat in throno Dei, et in eo qui sedet super eum.
আর যে স্বর্গের শপথ করে, সে ঈশ্বরের সিংহাসন ও যিনি তার উপরে উপবেশন করেন তাঁরও শপথ করে।
23 Væ vobis scribæ et pharisæi hypocritæ, qui decimatis mentham, et anethum, et cyminum, et reliquistis quæ graviora sunt legis, judicium, et misericordiam, et fidem! hæc oportuit facere, et illa non omittere.
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল, ধিক্ তোমাদের! তোমরা তোমাদের মশলাপাতি—পুদিনা, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়ে থাকো কিন্তু বিধানের আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন ন্যায়বিচার, করুণা, বিশ্বস্ততা—এগুলি উপেক্ষা করে থাকো। ভালো হত, তোমরা আগের বিষয়গুলি উপেক্ষা না করে যদি এগুলিও পালন করতে।
24 Duces cæci, excolantes culicem, camelum autem glutientes.
অন্ধ পথপ্রদর্শক তোমরা! তোমরা মশা ছাঁকো, কিন্তু উট গিলে ফেলো।
25 Væ vobis scribæ et pharisæi hypocritæ, quia mundatis quod deforis est calicis et paropsidis; intus autem pleni estis rapina et immunditia!
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল, ধিক্ তোমাদের! তোমরা থালাবাটির বাইরেটা পরিষ্কার করে থাকো কিন্তু ভিতরের দিকটা লোভ-লালসা ও আত্ম-অসংযমে পূর্ণ।
26 Pharisæe cæce, munda prius quod intus est calicis, et paropsidis, ut fiat id, quod deforis est, mundum.
অন্ধ ফরিশী! প্রথমে থালাবাটির ভিতরটা পরিষ্কার করো তারপরে বাইরের দিকটিও পরিষ্কার হবে।
27 Væ vobis scribæ et pharisæi hypocritæ, quia similes estis sepulchris dealbatis, quæ a foris parent hominibus speciosa, intus vero pleni sunt ossibus mortuorum, et omni spurcitia!
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল, ধিক্ তোমাদের! তোমরা চুনকাম করা কবরের মতো! সেগুলি বাইরে থেকে দেখতে তো সুন্দর কিন্তু ভিতরে মরা মানুষের হাড় ও সব ধরনের অশুচি বিষয়ে পরিপূর্ণ।
28 Sic et vos a foris quidem paretis hominibus justi: intus autem pleni estis hypocrisi et iniquitate.
একইভাবে, লোকেদের কাছে বাহ্যিকভাবে তোমরা নিজেদের ধার্মিক দেখাও কিন্তু অন্তরে তোমরা ভণ্ডামি ও দুষ্টতায় পূর্ণ।
29 Væ vobis scribæ et pharisæi hypocritæ, qui ædificatis sepulchra prophetarum, et ornatis monumenta justorum,
“শাস্ত্রবিদ ও ফরিশীরা, ভণ্ডের দল তোমরা! তোমরা ভাববাদীদের সমাধি নির্মাণ করে থাকো এবং ধার্মিকদের কবর সুশোভিত করো।
30 et dicitis: Si fuissemus in diebus patrum nostrorum, non essemus socii eorum in sanguine prophetarum!
আর তোমরা বলো, ‘আমরা যদি পূর্বপুরুষদের সময়ে থাকতাম তাহলে ভাববাদীদের রক্তপাত করায় তাদের সঙ্গ দিতাম না।’
31 itaque testimonio estis vobismetipsis, quia filii estis eorum, qui prophetas occiderunt.
এভাবে তোমরা নিজেরাই নিজেদের বিষয়ে সাক্ষ্য দাও যে যারা ভাববাদীদের হত্যা করেছিল তোমরা তাদেরই বংশধর।
32 Et vos implete mensuram patrum vestrorum.
তাহলে, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যে পাপ শুরু করেছিল তোমরা তারই মাত্রা পূর্ণ করো!
33 Serpentes, genimina viperarum, quomodo fugietis a judicio gehennæ? (Geenna )
“সাপেরা! কালসাপের বংশেরা! তোমরা ন্যায়বিচারের দিন কীভাবে নরকদণ্ড এড়াতে পারবে? (Geenna )
34 Ideo ecce ego mitto ad vos prophetas, et sapientes, et scribas, et ex illis occidetis, et crucifigetis, et ex eis flagellabitis in synagogis vestris, et persequemini de civitate in civitatem:
সেই কারণে আমি তোমাদের কাছে ভাববাদী, বিজ্ঞ মানুষ ও শিক্ষাগুরুদের পাঠিয়ে চলেছি। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে তোমরা হত্যা করবে, কয়েকজনকে ক্রুশার্পিত করবে। অপরদের তোমরা সমাজভবনে নিয়ে গিয়ে চাবুক দিয়ে মারবে ও এক নগর থেকে অন্য নগরে তাদের তাড়া করবে।
35 ut veniat super vos omnis sanguis justus, qui effusus est super terram, a sanguine Abel justi usque ad sanguinem Zachariæ, filii Barachiæ, quem occidistis inter templum et altare.
এভাবে পৃথিবীতে যত ধার্মিক মানুষের রক্তপাত হয়ে আসছে, সেই ধার্মিক হেবলের রক্তপাত থেকে শুরু করে, বরখিয়ের পুত্র সখরিয়ের রক্তপাত পর্যন্ত, যাকে তোমরা মন্দির ও যজ্ঞবেদির মাঝখানে হত্যা করেছিলে, এদের সকলের রক্তপাতের ফল তোমাদের উপরেই বর্তাবে।
36 Amen dico vobis, venient hæc omnia super generationem istam.
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, এসবই এই প্রজন্মের লোকেদের উপরে এসে পড়বে।
37 Jerusalem, Jerusalem, quæ occidis prophetas, et lapidas eos, qui ad te missi sunt, quoties volui congregare filios tuos, quemadmodum gallina congregat pullos suos sub alas, et noluisti?
“হায়! জেরুশালেম, জেরুশালেম, তুমি ভাববাদীদের হত্যা করো ও তোমার কাছে যাদের পাঠানো হয়, তাদের পাথরের আঘাত করে থাকো। কতবার আমি তোমার সন্তানদের একত্র করতে চেয়েছি, যেমন মুরগি তার শাবকদের নিজের ডানার তলায় একত্র করে, কিন্তু তোমরা ইচ্ছুক হওনি।
38 Ecce relinquetur vobis domus vestra deserta.
দেখো, তোমাদের গৃহ তোমাদের জন্য পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রইল।
39 Dico enim vobis, non me videbitis amodo, donec dicatis: Benedictus, qui venit in nomine Domini.
কারণ আমি তোমাদের বলছি, যতক্ষণ না তোমরা বলবে, ‘ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন’ ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আর আমাকে দেখতে পাবে না।”