< Ii Samuelis 14 >
1 Intelligens autem Joab filius Sarviæ quod cor regis versum esset ad Absalom,
সরূয়ার ছেলে যোয়াব জানতেন যে অবশালোমের জন্য রাজার প্রাণ আকাঙ্ক্ষিত হয়ে আছে।
2 misit Thecuam, et tulit inde mulierem sapientem: dixitque ad eam: Lugere te simula, et induere veste lugubri, et ne ungaris oleo, ut sis quasi mulier jam plurimo tempore lugens mortuum:
তাই যোয়াব তকোয়ে একজন লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে একজন চালাক-চতুর মহিলাকে আনিয়েছিলেন। তিনি মহিলাটিকে বললেন, “শোক করার ভান কোরো। শোক পালনের উপযোগী পোশাক পরে থেকো, ও কোনও সাজগোজ কোরো না বা তেলও মেখো না। এমন একজন মহিলার মতো আচরণ কোরো যে দীর্ঘদিন ধরে মরা মানুষের জন্য শোকপ্রকাশ করে চলেছে।
3 et ingredieris ad regem, et loqueris ad eum sermones hujuscemodi. Posuit autem Joab verba in ore ejus.
পরে রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে এই কথাগুলি বোলো।” এই বলে যোয়াব তার মুখে কথা বসিয়ে দিলেন।
4 Itaque cum ingressa fuisset mulier Thecuitis ad regem, cecidit coram eo super terram, et adoravit, et dixit: Serva me, rex.
তকোয়ের মহিলাটি রাজার কাছে গিয়ে, তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল ও বলল, “হে মহারাজ, আমাকে সাহায্য করুন!”
5 Et ait ad eam rex: Quid causæ habes? Quæ respondit: Heu, mulier vidua ego sum: mortuus est enim vir meus.
রাজা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার অসুবিধাটি কী?” সে বলল, “আমি একজন বিধবা নারী; আমার স্বামী মারা গিয়েছে।
6 Et ancillæ tuæ erant duo filii: qui rixati sunt adversum se in agro, nullusque erat qui eos prohibere posset: et percussit alter alterum, et interfecit eum.
আপনার এই দাসীর—আমার দুই ছেলে ছিল। মাঠে তারা দুজন পরস্পরের সঙ্গে মারপিট করছিল, আর কেউ তাদের ছাড়াতে পারছিল না। একজন অন্যজনকে আঘাত করল ও তাকে মেরে ফেলেছিল।
7 Et ecce consurgens universa cognatio adversum ancillam tuam, dicit: Trade eum qui percussit fratrem suum, ut occidamus eum pro anima fratris sui quem interfecit, et deleamus hæredem: et quærunt extinguere scintillam meam quæ relicta est, ut non supersit viro meo nomen, et reliquiæ super terram.
এখন সম্পূর্ণ গোষ্ঠী আপনার দাসীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে; তারা বলছে, ‘যে তার ভাইকে মেরে ফেলেছে তাকে আমাদের হাতে তুলে দাও, যেন আমরা তার সেই ভাইয়ের প্রাণের পরিবর্তে তাকে হত্যা করতে পারি, যাকে সে খুন করল; তখন আর সম্পত্তির উত্তরাধিকারীও কেউ থাকবে না।’ তারা আমার কাছে অবশিষ্ট একমাত্র জ্বলন্ত কয়লাটিকেও নিভিয়ে দিতে চাইছে, পৃথিবীর বুকে আমার স্বামীর নাম বা বংশ, কোনো কিছুই আর রাখতে চাইছে না।”
8 Et ait rex ad mulierem: Vade in domum tuam, et ego jubebo pro te.
রাজা মহিলাটিকে বললেন, “বাড়ি ফিরে যাও, আমি তোমার স্বপক্ষে হুকুম জারি করে দিচ্ছি।”
9 Dixitque mulier Thecuitis ad regem: In me, domine mi rex, sit iniquitas, et in domum patris mei: rex autem et thronus ejus sit innocens.
কিন্তু তকোয় থেকে আসা মহিলাটি তাঁকে বলল, “আমার প্রভু মহারাজ আমায় ও আমার পরিবারকে ক্ষমা করুন, এবং মহারাজ ও তাঁর সিংহাসন নির্দোষ থাকুক।”
10 Et ait rex: Qui contradixerit tibi, adduc eum ad me, et ultra non addet ut tangat te.
রাজামশাই উত্তর দিলেন, “কেউ যদি তোমায় কিছু বলে, তবে তাদের আমার কাছে নিয়ে এসো, তারা আর তোমায় জ্বালাতন করবে না।”
11 Quæ ait: Recordetur rex Domini Dei sui, ut non multiplicentur proximi sanguinis ad ulciscendum, et nequaquam interficiant filium meum. Qui ait: Vivit Dominus, quia non cadet de capillis filii tui super terram.
সে বলল, “তবে মহারাজ তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে শপথ করুন, যেন রক্তের প্রতিশোধকারী আর সর্বনাশ করতে না পারে, ও আমার ছেলেও যেন না মরে।” “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,” তিনি বললেন, “তোমার ছেলের মাথার একটি চুলও মাটিতে পড়বে না।”
12 Dixit ergo mulier: Loquatur ancilla tua ad dominum meum regem verbum. Et ait: Loquere.
তখন সেই মহিলাটি বলল, “আপনার দাসীকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে একটি কথা বলতে দিন।” “বলো,” তিনি উত্তর দিলেন।
13 Dixitque mulier: Quare cogitasti hujuscemodi rem contra populum Dei, et locutus est rex verbum istud, ut peccet, et non reducat ejectum suum?
মহিলাটি বলল, “তবে কেন আপনি ঈশ্বরের প্রজাদের বিরুদ্ধে এরকম এক কৌশল অবলম্বন করলেন? মহারাজ যখন এরকম বলছেন, তিনি কি তখন নিজেকেই দোষী করে তুলছেন না, কারণ মহারাজ যে নিজেই তাঁর নির্বাসিত ছেলেকে ফিরিয়ে আনেননি?”
14 Omnes morimur, et quasi aquæ dilabimur in terram, quæ non revertuntur: nec vult Deus perire animam, sed retractat cogitans ne penitus pereat qui abjectus est.
মাটিতে ঢেলে দেওয়া জল যেমন তুলে আনা যায় না, তেমনি আমাদেরও মরতেই হবে। কিন্তু ঈশ্বর এমনটি চান না; বরং, তিনি এমন কৌশল বের করলেন যেন একজন নির্বাসিত ব্যক্তি বরাবরের জন্য তাঁর কাছ থেকে নির্বাসিত হয়ে না থাকে।
15 Nunc igitur veni, ut loquar ad dominum meum regem verbum hoc, præsente populo. Et dixit ancilla tua: Loquar ad regem, si quomodo faciat rex verbum ancillæ suæ.
“এখন আমার প্রভু মহারাজের কাছে আমি একথাই বলতে এসেছি, কারণ লোকেরা আমাকে ভয় দেখিয়েছিল। আপনার দাসী ভেবেছিল, ‘আমি মহারাজের কাছে একথা বলব; হয়তো তিনি তাঁর দাসীর প্রার্থনা মঞ্জুর করবেন।
16 Et audivit rex, ut liberaret ancillam suam de manu omnium qui volebant de hæreditate Dei delere me, et filium meum simul.
হয়তো মহারাজ তাঁর দাসীকে সেই লোকটির হাত থেকে রক্ষা করতে রাজি হবেন, যে ঈশ্বরের উত্তরাধিকার থেকে আমাকে ও আমার ছেলে—দুজনকেই বঞ্চিত করতে চাইছে।’
17 Dicat ergo ancilla tua, ut fiat verbum domini mei regis sicut sacrificium. Sicut enim angelus Dei, sic est dominus meus rex, ut nec benedictione, nec maledictione moveatur: unde et Dominus Deus tuus est tecum.
“এখন আপনার দাসী আমি বলছি, ‘আমার প্রভু মহারাজের কথাই যেন আমার উত্তরাধিকার সুরক্ষিত করে, কারণ ভালোমন্দ বিচার করার ক্ষেত্রে আমার প্রভু মহারাজ ঈশ্বরের এক দূতের মতোই। আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপনার সঙ্গেই থাকুন।’”
18 Et respondens rex, dixit ad mulierem: Ne abscondas a me verbum quod te interrogo. Dixitque ei mulier: Loquere, domine mi rex.
তখন রাজামশাই মহিলাটিকে বললেন, “আমি যে প্রশ্নটি তোমাকে করতে চলেছি, সেটির উত্তর আমার কাছে লুকিয়ো না।” “আমার প্রভু মহারাজ বলুন,” মহিলাটি বলল।
19 Et ait rex: Numquid manus Joab tecum est in omnibus istis? Respondit mulier, et ait: Per salutem animæ tuæ, domine mi rex, nec ad sinistram, nec ad dexteram est ex omnibus his quæ locutus est dominus meus rex: servus enim tuus Joab, ipse præcepit mihi, et ipse posuit in os ancillæ tuæ omnia verba hæc.
রাজামশাই জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার সঙ্গে এই সবে যোয়াবের হাত নেই তো?” মহিলাটি উত্তর দিয়েছিল, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনার প্রাণের দিব্যি, আমার প্রভু মহারাজ যা বলেন, সেখান থেকে কেউ ডাইনে বা বাঁয়ে ফিরতে পারে না। হ্যাঁ, আপনার দাস যোয়াবই এসব করতে আমাকে নির্দেশ দিলেন ও তিনিই আপনার দাসীর মুখে এই কথাগুলি বসিয়ে দিলেন।
20 Ut verterem figuram sermonis hujus, servus tuus Joab præcepit istud: tu autem, domine mi rex, sapiens es, sicut habet sapientiam angelus Dei, ut intelligas omnia super terram.
বর্তমান পরিস্থিতি বদলানোর জন্যই আপনার দাস যোয়াব এসব করলেন। আমার প্রভু, ঈশ্বরের একজন দূতের মতোই জ্ঞানী—দেশে যা যা হয়, তিনি সেসব জানেন।”
21 Et ait rex ad Joab: Ecce placatus feci verbum tuum: vade ergo, et revoca puerum Absalom.
রাজামশাই যোয়াবকে বললেন, “ঠিক আছে, আমি এরকমই করব। যাও, সেই যুবক অবশালোমকে ফিরিয়ে নিয়ে এসো।”
22 Cadensque Joab super faciem suam in terram, adoravit, et benedixit regi: et dixit Joab: Hodie intellexit servus tuus quia inveni gratiam in oculis tuis, domine mi rex: fecisti enim sermonem servi tui.
তাঁকে সম্মান জানানোর জন্য যোয়াব মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিলেন, ও রাজাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। যোয়াব বললেন, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আজই আপনার দাস জেনেছে যে সে আপনার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ লাভ করেছে, কারণ মহারাজ তাঁর দাসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন।”
23 Surrexit ergo Joab et abiit in Gessur, et adduxit Absalom in Jerusalem.
পরে যোয়াব গশূরে গিয়ে অবশালোমকে জেরুশালেমে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
24 Dixit autem rex: Revertatur in domum suam, et faciem meam non videat. Reversus est itaque Absalom in domum suam, et faciem regis non vidit.
কিন্তু রাজামশাই বললেন, “তাকে নিজের বাসায় যেতে হবে; সে যেন আমার মুখদর্শন না করে।” অতএব অবশালোম নিজের বাসায় গেল ও রাজার মুখদর্শন করেনি।
25 Porro sicut Absalom, vir non erat pulcher in omni Israël, et decorus nimis: a vestigio pedis usque ad verticem non erat in eo ulla macula.
সমস্ত ইস্রায়েলের মধ্যে আর কেউ অবশালোমের মতো তার অপরূপ সুন্দর রূপের জন্য প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য হয়নি। তার মাথার তালু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত কোথাও একটুও খুঁত ছিল না।
26 Et quando tondebat capillum (semel autem in anno tondebatur, quia gravabat eum cæsaries), ponderabat capillos capitis sui ducentis siclis, pondere publico.
যখনই সে তার মাথার চুল কাটাত—সে বছরে একবারই তার চুল কাটাত, কারণ সেগুলি তার পক্ষে খুব ভারী হয়ে যেত—সে সেগুলি ওজন করাতো, আর সেগুলির ওজন রাজকীয় মাপ অনুসারে হত 200 শেকল।
27 Nati sunt autem Absalom filii tres, et filia una nomine Thamar, elegantis formæ.
অবশালোমের তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্ম হল। তার মেয়ের নাম তামর, আর সে খুব সুন্দরী হল।
28 Mansitque Absalom in Jerusalem duobus annis, et faciem regis non vidit.
অবশালোম রাজার মুখদর্শন না করে দুই বছর জেরুশালেমে বসবাস করল।
29 Misit itaque ad Joab, ut mitteret eum ad regem: qui noluit venire ad eum. Cumque secundo misisset, et ille noluisset venire ad eum,
পরে অবশালোম রাজার কাছে পাঠানোর জন্য যোয়াবকে ডেকে পাঠিয়েছিল, কিন্তু যোয়াব তার কাছে আসতে চাননি। তাই সে দ্বিতীয়বার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল, কিন্তু তাও তিনি আসতে রাজি হননি।
30 dixit servis suis: Scitis agrum Joab juxta agrum meum, habentem messem hordei: ite igitur, et succendite eum igni. Succenderunt ergo servi Absalom segetem igni. Et venientes servi Joab, scissis vestibus suis, dixerunt: Succenderunt servi Absalom partem agri igni.
তখন সে তার দাসদের বলল, “দেখো, যোয়াবের ক্ষেতটি আমার ক্ষেতের পাশেই আছে, আর সে সেখানে যব বুনেছে। যাও, সেখানে আগুন লাগিয়ে দাও।” অবশালোমের দাসেরা তখন ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
31 Surrexitque Joab, et venit ad Absalom in domum ejus, et dixit: Quare succenderunt servi tui segetem meam igni?
যোয়াব পরে অবশালোমের বাসায় গেলেন, ও তিনি তাকে বললেন, “তোমার দাসেরা কেন আমার ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে?”
32 Et respondit Absalom ad Joab: Misi ad te obsecrans ut venires ad me, et mitterem te ad regem, et diceres ei: Quare veni de Gessur? melius mihi erat ibi esse: obsecro ergo ut videam faciem regis: quod si memor est iniquitatis meæ, interficiat me.
অবশালোম যোয়াবকে বলল, “দেখুন, আমি আপনাকে খবর পাঠিয়ে বললাম, ‘এখানে আসুন, যেন আমি আপনাকে রাজার কাছে পাঠিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পারি, “আমি কেন গশূর থেকে ফিরে এলাম? আমি সেখানে থাকলেই ভালো হত!”’ আর এখন, আমি মহারাজের মুখদর্শন করতে চাই, ও আমি যদি দোষ করে থাকি, তিনি আমায় মেরে ফেলতে পারেন।”
33 Ingressus itaque Joab ad regem, nuntiavit ei omnia: vocatusque est Absalom, et intravit ad regem, et adoravit super faciem terræ coram eo: osculatusque est rex Absalom.
তাই যোয়াব রাজার কাছে গিয়ে তাঁকে সেকথা বললেন। তখন রাজামশাই অবশালোমকে ডেকে পাঠালেন, ও সে এসে রাজার সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল। রাজামশাই তাকে চুম্বন করলেন।