< 누가복음 2 >

1 이때에 가이사 아구스도가 영을 내려 천하로 다 호적하라 하였으니
সেই সময়, সম্রাট অগাস্টাস, এক হুকুম জারি করলেন যে, সমগ্র রোমীয় জগতে লোকগণনা করা হবে।
2 이 호적은 구레뇨가 수리아 총독 되었을때에 첫번 한 것이라
সিরিয়ার শাসনকর্তা কুরিণিয়ের সময় এটিই ছিল প্রথম জনগণনা।
3 모든 사람이 호적하러 각각 고향으로 돌아가매
আর নাম তালিকাভুক্তির জন্য প্রত্যেকেই নিজের নিজের নগরে গেল।
4 요셉도 다윗의 집 족속인고로 갈릴리 나사렛 동네에서 유대를 향하여 베들레헴이라 하는 다윗의 동네로
যোষেফও দাউদের কুল ও বংশজাত পুরুষ হিসেবে, গালীলের নাসরৎ নগর থেকে যিহূদিয়ার অন্তর্গত দাউদের নগর বেথলেহেমের উদ্দেশে যাত্রা করলেন।
5 그 정혼한 마리아아 함께 호적하러 올라가니 마리아가 이미 잉태되었더라
তিনি তাঁর বাগদত্তা স্ত্রী মরিয়মকে নিয়ে সেখানে নাম তালিকাভুক্তির জন্য গেলেন। মরিয়ম তখন সন্তানের জন্মের প্রতীক্ষায় ছিলেন।
6 거기 있을 그 때에 해산할 날이 차서
তাঁরা যখন সেখানে ছিলেন, তখন সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় ঘনিয়ে এল।
7 맏아들을 낳아 강보로 싸서 구유에 뉘었으니 이는 사관에 있을 곳이 없음이러라
মরিয়ম তাঁর প্রথম সন্তান, এক পুত্রের জন্ম দিলেন এবং শিশুটিকে কাপড়ে জড়িয়ে জাবপাত্রে শুইয়ে রাখলেন, কারণ পান্থশালায় তাদের জন্য কোনো স্থান ছিল না।
8 그 지경에 목자들이 밖에서 밤에 자기 양떼를 지키더니
আশেপাশের মাঠে কয়েকজন মেষপালক অবস্থিতি করছিল। তারা রাত্রিবেলা তাদের মেষপাল পাহারা দিচ্ছিল।
9 주의 사자가 곁에 서고 주의 영광이 저희를 두루 비취매 크게 무서워 하는지라
প্রভুর এক দূত তাদের সামনে আবির্ভূত হলেন, ও প্রভুর প্রতাপ তাদের চারপাশে উজ্জ্বল হওয়ায় তারা ভীতচকিত হয়ে উঠল।
10 천사가 이르되 `무서워 말라 보라 내가 온 백성에게 미칠 큰 기쁨의 좋은 소식을 너희에게 전하노라
কিন্তু দূত তাদের বললেন, “ভয় কোরো না, আমি তোমাদের কাছে এক মহা আনন্দের সুসমাচার নিয়ে এসেছি—এই আনন্দ হবে সব মানুষেরই জন্য।
11 오늘날 다윗의 동네에 너희를 위하여 구주가 나셨으니 곧 그리스도 주시니라
আজ দাউদের নগরে তোমাদের জন্য এক উদ্ধারকর্তা জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি খ্রীষ্ট প্রভু।
12 너희가 가서 강보에 싸여 구유에 누인 아기를 보리니 이것이 너희에게 표적이니라' 하더니
তোমাদের কাছে এই হবে চিহ্ন: তোমরা কাপড়ে জড়ানো এক শিশুকে জাবপাত্রে শুইয়ে রাখা অবস্থায় দেখতে পাবে।”
13 홀연히 허다한 천군이 그 천사와 함께 있어 하나님을 찬송하여 가로되
হঠাৎই বিশাল এক স্বর্গীয় দূতবাহিনী ওই দূতের সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে ঈশ্বরের বন্দনা করে বলতে লাগলেন,
14 `지극히 높은 곳에서는 하나님께 영광이요 땅에서는 기뻐하심을 입은 사람들 중에 평화로다' 하니라
“ঊর্ধ্বতমলোকে ঈশ্বরের মহিমা, আর পৃথিবীতে তাঁর প্রীতির পাত্র সব মানুষের মাঝে শান্তি।”
15 천사들이 떠나 하늘로 올라가니 목자가 서로 말하되 `이제 베들레헴까지 가서 주께서 우리에게 알리신 바 이 이루어진 일을 보자' 하고
স্বর্গদূতেরা তাদের ছেড়ে স্বর্গে ফিরে যাওয়ার পরে মেষপালকেরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “চলো, প্রভু আমাদের যে ঘটনার কথা জানালেন, আমরা বেথলেহেমে গিয়ে তা দেখে আসি।”
16 빨리 가서 마리아와 요셉과 구유에 누인 아기를 찾아서
তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে মরিয়ম, যোষেফ ও জাবপাত্রে শুইয়ে রাখা শিশুটিকে দেখতে পেল।
17 보고 천사가 자기들에게 이 아기에 대하여 말한 것을 고하니
তারা শিশুটিকে দর্শন করার পর তাঁর সম্পর্কে যে কথা বলা হয়েছিল, সেই কথা চারদিকে ছড়িয়ে দিল।
18 듣는 자가 다 목자의 말하는 일을 기이히 여기되
যারা মেষপালকদের এই কথা শুনল, তারা সবাই হতচকিত হল।
19 마리아는 이 모든 말을 마음에 지키어 생각하니라
কিন্তু মরিয়ম এসব বিষয় তাঁর হৃদয়ের মধ্যে সঞ্চয় করে রাখলেন, আর এ নিয়ে চিন্তা করে গেলেন।
20 목자가 자기들에게 이르던 바와 같이 듣고 본 그 모든 것을 인하여 하나님께 영광을 돌리고 찬송하며 돌아가니라
যেমন তাদের বলা হয়েছিল, তেমনই সব দেখেশুনে মেষপালকেরা ঈশ্বরের গৌরব ও বন্দনা করতে করতে ফিরে গেল।
21 할례할 팔일이 되매 그 이름을 예수라 하니 곧 수태하기 전에 천사의 일컬은 바러라
আট দিন পরে, শিশুটির সুন্নত অনুষ্ঠানের সময়ে, তাঁর নাম রাখা হল যীশু। শিশুটি মায়ের গর্ভে আসার আগেই স্বর্গদূত তাঁর এই নাম দিয়েছিলেন।
22 모세의 법대로 결례의 날이 차매 아기를 데리고 예루살렘에 올라가니
মোশির বিধান অনুসারে তাঁদের শুদ্ধকরণের সময় পূর্ণ হওয়ার পর, যোষেফ ও মরিয়ম যীশুকে জেরুশালেমের মন্দিরে প্রভুর সান্নিধ্যে উপস্থিত করার জন্য নিয়ে গেলেন, যেমন
23 이는 주의 율법에 쓴 바 첫 태에 처음 난 남자마다 주의 거룩한 자라 하리라 한 대로 아기를 주께 드리고
প্রভুর বিধান লেখা আছে, “প্রত্যেক প্রথমজাত পুরুষসন্তান প্রভুর কাছে উৎসর্গীকৃত হবে,” এবং
24 또 주의 율법에 말씀하신 대로 비둘기 한 쌍이나 혹 어린 반구 둘로 제사하려 함이더라
প্রভুর বিধান অনুযায়ী তারা যেন “এক জোড়া ঘুঘু পাখি বা দুটি কপোতশাবক” বলির জন্য উৎসর্গ করেন।
25 예루살렘에 시므온이라 하는 사람이 있으니 이 사람이 의롭고 경건하여 이스라엘의 위로를 기다리는 자라 성령이 그 위에 계시더라
সেই সময় জেরুশালেমে শিমিয়োন নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ছিলেন ধার্মিক ও ভক্তিপরায়ণ। তিনি ইস্রায়েলের সান্ত্বনাপ্রাপ্তির প্রতীক্ষায় ছিলেন এবং পবিত্র আত্মা তাঁর উপর অধিষ্ঠিত ছিলেন।
26 저가 주의 그리스도를 보기 전에 죽지 아니하리라 하는 성령의 지시를 받았더니
পবিত্র আত্মা তাঁর কাছে প্রকাশ করেছিলেন যে, প্রভুর মশীহকে দর্শন না করা পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হবে না।
27 성령의 감동으로 성전에 들어가매 마침 부모가 율법의 전례대로 행하고자 하여 그 아기 예수를 데리고 오는지라
আত্মার চালনায় তিনি মন্দির-প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হলেন। বিধানের প্রথা অনুযায়ী সেই শিশু যীশুর বাবা-মা যখন তাঁকে নিয়ে এলেন,
28 시므온이 아기를 안고 하나님을 찬송하여 가로되
শিমিয়োন তাঁকে দু-হাতে তুলে নিয়ে ঈশ্বরের স্তুতি করতে লাগলেন এবং বললেন,
29 `주재여 이제는 말씀하신 대로 종을 평안히 놓아 주시는도다
“সার্বভৌম প্রভু, তোমার প্রতিশ্রুতিমতো এবার তুমি তোমার দাসকে শান্তিতে বিদায় দাও।
30 내 눈이 주의 구원을 보았사오니
কারণ আমার দুই চোখ তোমার পরিত্রাণ দেখেছে,
31 이는 만민 앞에 예비하신 것이요
যা তুমি সমস্ত জাতির দৃষ্টিগোচরে প্রস্তুত করেছ,
32 이방을 비추는 빛이요 주의 백성 이스라엘의 영광이니이다' 하니
পরজাতিদের কাছে প্রকাশিত হওয়ার জন্য ইনিই সেই জ্যোতি এবং তোমার প্রজা ইস্রায়েল জাতির জন্য গৌরব।”
33 그 부모가 그 아기에 대한 말들을 기이히 여기더라
যীশুর সম্পর্কে যে কথা বলা হল, তা শুনে তাঁর বাবা-মা চমৎকৃত হলেন।
34 시므온이 저희에게 축복하고 그 모친 마리아에게 일러 가로되 `보라 이 아이는 이스라엘 중 많은 사람의 패하고 흥함을 위하여 비방을 받는 표적되기 위하여 세움을 입었고
তখন শিমিয়োন তাঁদের আশীর্বাদ করলেন এবং যীশুর মা মরিয়মকে বললেন, “এই শিশু হবেন ইস্রায়েলের অনেকের পতন ও উত্থানের কারণ এবং ইনি হবেন এক চিহ্নস্বরূপ, যার বিরুদ্ধতা করবে অনেকে,
35 또 칼이 네 마음을 찌르듯 하리라 이는 여러 사람의 마음의 생각을 드러내려 함이니라' 하더라
ফলে অনেকের হৃদয় হবে উদ্‌ঘাটিত; আর একটি তরোয়াল তোমারও প্রাণকে বিদ্ধ করবে।”
36 또 아셀 지파 바누엘의 딸 안나라 하는 선지자가 있어 나이 매우 늙었더라 그가 출가한 후 일곱 해 동안 남편과 함께 살다가
সেখানে হান্না নামে এক মহিলা ভাববাদী ছিলেন। তিনি ছিলেন আশের বংশীয় পনূয়েলের মেয়ে। তাঁর অনেক বয়স হয়েছিল। বিবাহের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে সাত বছর জীবনযাপন করেছিলেন।
37 과부 된 지 팔십사년이라 이 사람이 성전을 떠나지 아니하고 주야에 금식하며 기도함으로 섬기더니
পরে চুরাশি বছর পর্যন্ত তিনি বিধবার জীবনযাপন করেন। তিনি কখনও মন্দির পরিত্যাগ করে যাননি, বরং তিনি উপোস ও প্রার্থনার সঙ্গে দিনরাত আরাধনা করতেন।
38 마침 이 때에 나아와서 하나님께 감사하고 예루살렘의 구속됨을 바라는 모든 사람에게 이 아기에 대하여 말하니라
তিনি সেই মুহূর্তে তাদের কাছে এগিয়ে এসে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। আর যারা জেরুশালেমের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল, তাদের সকলের কাছে শিশুটির বিষয়ে বলতে লাগলেন।
39 주의 율법을 좇아 모든 일을 필하고 갈릴리로 돌아가 본 동네 나사렛에 이르니라
প্রভুর বিধান অনুযায়ী সমস্ত কাজ সম্পাদন করে যোষেফ ও মরিয়ম নিজেদের নগর গালীল প্রদেশের নাসরতে ফিরে গেলেন।
40 아기가 자라며 강하여지고 지혜가 충족하며 하나님의 은혜가 그 위에 있더라
আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই শিশু বলীয়ান হয়ে উঠলেন; তিনি বিজ্ঞতায় পূর্ণ হলেন এবং তাঁর উপরে ঈশ্বরের অনুগ্রহ রইল।
41 그 부모가 해마다 유월절을 당하면 예루살렘으로 가더니
যীশুর বাবা-মা প্রতি বছর নিস্তারপর্ব পালন করতে জেরুশালেমে যেতেন।
42 예수께서 열 두 살 될 때에 저희가 이 절기의 전례를 좇아 올라 갔다가
তাঁর যখন বারো বছর বয়স, প্রথানুসারে তাঁরা পর্বে যোগ দিতে গেলেন।
43 그 날들을 마치고 돌아갈 때에 아이 예수는 예루살렘에 머무셨더라 그 부모는 이를 알지 못하고
পর্ব শেষে তাঁর বাবা-মা যখন ঘরে ফিরে আসছিলেন, কিশোর যীশু জেরুশালেমে রয়ে গেলেন, কিন্তু এ বিষয়ে তাঁরা কিছুই জানতে পারলেন না।
44 동행 중에 있는 줄로 생각하고 하룻길을 간 후 친족과 아는 자 중에서 찾되
যীশু তাঁদের দলের সঙ্গেই আছেন, ভেবে নিয়ে তাঁরা একদিনের পথ অতিক্রম করলেন। তারপর তাঁরা তাদের আত্মীয়পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে তাঁর খোঁজ করতে লাগলেন।
45 만나지 못하매 찾으면서 예루살렘에 돌아갔더니
যীশুর সন্ধান না পেয়ে, তাঁকে খুঁজতে তাঁরা জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।
46 사흘 후에 성전에서 만난즉 그가 선생들 중에 앉으사 저희에게 듣기도 하시며 묻기도 하시니
তিন দিন পর তাঁরা তাঁকে মন্দির-প্রাঙ্গণে খুঁজে পেলেন এবং দেখলেন, যীশু শাস্ত্রগুরুদের মাঝে বসে তাঁদের কথা শুনছেন, আর বহু প্রশ্ন করছেন।
47 듣는 자가 다 그 지혜와 대답을 기이히 여기더라
তাঁর বুদ্ধিমত্তা ও উত্তর দেওয়ার ক্ষমতায় প্রত্যেক শ্রোতাই বিস্মিত হচ্ছিলেন।
48 그 부모가 보고 놀라며 그 모친은 가로되 `아이야 어찌하여 우리에게 이렇게 하였느냐? 보라 네 아버지와 내가 근심하여 너를 찾았노라'
তাঁর বাবা-মা তাঁকে দেখতে পেয়ে আশ্চর্য হলেন। তাঁর মা তাঁকে বললেন, “বৎস, তুমি আমাদের সঙ্গে এরকম আচরণ করলে কেন? তোমার বাবা আর আমি কত ব্যাকুল হয়ে তোমাকে খুঁজছিলাম!”
49 예수께서 가라사대 `어찌하여 나를 찾으셨나이까? 내가 내 아버지 집에 있어야 될 줄을 알지 못하셨나이까?' 하시니
তিনি বললেন, “তোমরা আমার সন্ধান করছিলে কেন? তোমরা কি জানতে না যে, আমাকে আমার পিতার গৃহে থাকতে হবে?”
50 양친이 그 하신 말씀을 깨닫지 못하더라
যীশু তাঁদের যে কী বলছিলেন, তা কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারলেন না।
51 예수께서 한가지로 내려가사 나사렛에 이르러 순종하여 받드시더라 그 모친은 이 모든 말을 마음에 두니라
এরপর তিনি তাঁদের সঙ্গে নাসরতে ফিরে গেলেন ও তাঁদের বাধ্য হয়ে রইলেন। তাঁর মা কিন্তু এই সমস্ত কথা হৃদয়ে সঞ্চয় করে রাখলেন।
52 예수는 그 지혜와 그 키가 자라가며 하나님과 사람에게 더 사랑스러워 가시더라
আর যীশু জ্ঞানে ও বয়সে বেড়ে উঠতে লাগলেন এবং ঈশ্বর ও মানুষের অনুগ্রহে সমৃদ্ধ হতে থাকলেন।

< 누가복음 2 >