Ézsaiás 49
1 Hallgassatok rám, szigetek és figyeljetek, nemzetek messziről: Az Örökkévaló az anyaméhtől fogva hívott engem, anyám testétől fogva emlegette nevemet.
ওহে দ্বীপনিবাসীরা, আমার কথা শোনো; দূরবর্তী জাতিসমূহ, তোমরা একথা শোনো: আমার জন্ম হওয়ার পূর্বে সদাপ্রভু আমাকে আহ্বান করেছেন; আমার জন্ম হওয়া থেকে তিনি আমার নামের উল্লেখ করেছেন।
2 Szájamat éles karddá tette, kezének árnyékában rejtegetett engem; simított nyíllá tett, tegzében elrejtett.
তিনি আমার মুখকে করেছেন ধারালো তরোয়ালের মতো, তাঁর হাতের ছায়ায় তিনি আমাকে লুকিয়ে রেখেছেন; তিনি আমাকে গঠন করেছেন এক শাণিত তিরের মতো এবং আবৃত রেখেছেন তাঁর তূণের মধ্যে।
3 És mondta nekem: Szolgám vagy, Izrael te, akivel dicsőítem magamat.
তিনি আমাকে বলেছেন, “তুমি আমার দাস, তুমি ইস্রায়েল, তোমার মাধ্যমেই আমি মহিমান্বিত হব।”
4 Én pedig azt mondtam: Hiába fáradoztam, és semmiségért és hiábavalóságért fogyasztottam erőmet, ámde jogom az Örökkévalónál van és munkabérem Istenemnél.
কিন্তু আমি বললাম, “আমি উদ্দেশ্যহীনভাবে পরিশ্রম করেছি; বৃথাই আমার শক্তি অসারতার জন্য নিঃশেষিত হয়েছে। তবুও, আমার যা প্রাপ্য, তা সদাপ্রভুর হাতে আছে, আমার পুরস্কার আছে আমার ঈশ্বরের কাছে।”
5 És most mondta az Örökkévaló, ki anyaméhtől fogva alkotott engem a maga szolgájává, hogy Jákobot hozzá térítsem és hogy Izrael hozzá gyülekezzék – s én dicső vagyok az Örökkévaló szemében és az Istenem lett az erősségem –
আর এখন সদাপ্রভু বলেন, যিনি তাঁর দাস হওয়ার জন্য আমাকে মাতৃগর্ভে গঠন করেছিলেন, যেন যাকোব কুলকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনা হয় ও ইস্রায়েলকে তাঁর কাছে সংগ্রহ করা হয়, কারণ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে আমি সম্মানিত হয়েছি, আমার ঈশ্বরই হয়েছেন আমার শক্তিস্বরূপ।
6 azt mondta: csekély az, hogy nekem szolgám légy, hogy föltámaszd Jákob törzseit és hogy Izrael megőrzötteit visszatérítsed; tehát teszlek nemzetek világosságává, hogy segítségem a föld végéig érjen!
তিনি বলেন, “যাকোবের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে পুনঃস্থাপিত করার এবং আমার সংরক্ষিত ইস্রায়েলের লোকদের ফিরিয়ে আনার জন্য তুমি যে আমার দাস হবে, তা অতি সামান্য ব্যাপার। আমি তোমাকে অইহুদিদের কাছে দীপ্তিস্বরূপ করব, যেন পৃথিবীর প্রান্তসীমা পর্যন্ত তুমি আমার পরিত্রাণ নিয়ে আসতে পারো।”
7 Így szól az Örökkévaló, Izrael megváltója, szentje, ahhoz, kit lélek megvet, nemzet megutál, az uralkodók szolgájához: Királyok látják és fölkelnek, fejedelmek és leborulnak az Örökkévaló kedvéért, aki hűséges, Izrael szentéért, aki téged kiválasztott.
যে ব্যক্তি অবজ্ঞাত ও জাতিসমূহের কাছে ঘৃণাস্পদ, যে শাসকদের দাসানুদাস, তার প্রতি সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের মুক্তিদাতা ও সেই পবিত্রতম জন, এই কথা বলেন, “রাজারা তোমাকে দেখে উঠে দাঁড়াবে, সম্ভ্রান্ত মানুষেরা তোমাকে দেখে প্রণত হবে, তা হবে সদাপ্রভুর জন্য, যিনি বিশ্বাসভাজন, তিনি ইস্রায়েলের সেই পবিত্রতম জন, যিনি তোমাকে মনোনীত করেছেন।”
8 Így szól az Örökkévaló: A kegy idejében meghallgatlak és az üdv napján megsegítlek, megóvlak és nép szövetségévé teszlek, hogy föltámassz országot és birtokba adj elpusztult birtokokat;
সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “আমার অনুগ্রহ প্রদর্শনকালে আমি তোমাকে উত্তর দেব, পরিত্রাণের দিনে আমি তোমাকে সাহায্য করব; আমি তোমাকে রক্ষা করব এবং প্রজাদের কাছে তোমাকে আমার চুক্তিস্বরূপে দেব, যেন তুমি দেশের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করো এবং এর পরিত্যক্ত অধিকারকে পুনরায় ফিরিয়ে আনো,
9 hogy mondjad foglyoknak: menjetek ki, a sötétségben levőknek: mutatkozzatok. Az utakon fognak legelni, minden hegycsúcson a legelőjük;
যেন বন্দিদের বলতে পারো, ‘বেরিয়ে এসো,’ ও যারা অন্ধকারে আছে তাদের বলতে পারো, ‘মুক্ত হও!’ “তারা পথের ধারে খাবার খাবে এবং প্রত্যেক বৃক্ষহীন পর্বতে চারণভূমি পাবে।
10 nem éheznek és nem szomjaznak, nem veri őket délibáb és nap, mert irgalmazójuk vezeti őket és vízforrások felé vezérli.
তারা আর ক্ষুধিত কি তৃষ্ণার্ত হবে না, মরুভূমির উত্তাপ বা সূর্যের প্রখর তাপ তাদের যন্ত্রণা করবে না। যে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল, সে তাদের পথ দেখাবে, এবং তাদের নিয়ে যাবে জলস্রোতের কিনারায়।
11 És mind a hegyeimet úttá teszem és országutaim emelkednek.
আমি আমার সমস্ত পর্বতকে পথে পরিণত করব, আমার রাজপথগুলি সব উন্নত হবে।
12 Íme, ezek messziről jönnek és íme azok északról és nyugatról és amazok a Színim országából.
দেখো, তারা আসবে বহুদূর থেকে— কেউ উত্তর দিক থেকে, কেউ পশ্চিমদিক থেকে, আবার কেউ বা আসবে সীনীম দেশ থেকে।”
13 Ujjongjatok egek és vigadj föld, és ujjongásra fakadjatok hegyek, mert megvigasztalta az Örökkévaló az ő népét és szegényeinek irgalmaz.
আকাশমণ্ডল, আনন্দে চিৎকার করো; পৃথিবী, উল্লসিত হও; পর্বতমালা সকলে, আনন্দগানে ফেটে পড়ো! কারণ সদাপ্রভু তাঁর প্রজাদের সান্ত্বনা দিয়েছেন, তাঁর অত্যাচারিত লোকেদের তিনি সহানুভূতি দেখাবেন।
14 De azt mondta Czión: Elhagyott az Örökkévaló engem és az Úr megfeledkezett rólam!
কিন্তু সিয়োন বলল, “সদাপ্রভু আমাকে পরিত্যাগ করেছেন, প্রভু আমাকে ভুলে গিয়েছেন।”
15 Vajon megfeledkezik-e az asszony a kisdedéről, hogy nem irgalmazna méhe fiának? Ezek is megfeledkeznek, de én nem feledkezem meg rólad.
“দুধের শিশুকে কোনো মা কি ভুলতে পারে? তার গর্ভজাত সন্তানের প্রতি সে কি মমতা করবে না? সে তাকে ভুলে যেতেও পারে, কিন্তু আমি তোমাকে ভুলে যাব না!
16 Lám, tenyereimre véstelek, falaid mindig előttem vannak.
দেখো, তোমার আকৃতি আমার হাতের তালুতে খোদাই করা আছে; তোমার প্রাচীরগুলি সবসময়ই আমার সামনে আছে।
17 Idesiettek fiaid, rombolóid és pusztítóid eltávoznak belőled.
তোমার সন্তানেরা ফিরে আসার জন্য তাড়াতাড়ি করছে, যারা তোমাকে পরিত্যক্ত স্থান করেছিল, তারা তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
18 Emeld föl szemeidet köröskörül és nézd: mindnyájuk összegyűltek, hozzád jöttek el; ahogy élek, úgymond az Örökkévaló, mindnyájukat mint ékszert öltöd fel és felkötöd, mint a menyasszony.
তোমার দুই চোখ তোলো ও চারপাশে তাকাও; তোমার সব সন্তান একত্র হয়ে তোমার কাছে আসছে।” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, “আমার অস্তিত্বের মতোই এ বিষয় নিশ্চিত, তুমি তাদের সবাইকে অলংকারের মতো পরে নেবে; বিয়ের কনের মতোই তুমি তাদের নিয়ে অঙ্গসজ্জা করবে।
19 Mert romjaid és pusztulásaid és rombolt országod – bizony most szűk lesz a lakónak és eltávolodnak megsemmisítőid.
“তুমি যদিও ধ্বংসিত ও পরিত্যক্ত হয়েছিলে, যদিও তোমার ভূমি উৎসন্ন পড়েছিল, এখন তোমার লোকজনেদের জন্য তুমি বেশ সংকীর্ণ হবে, যারা তোমাকে গ্রাস করেছিল, তারা দূরে চলে যাবে।
20 Még fogják mondani füleid előtt gyermektelenséged fiai: szűk nekem a hely, menj odébb, hogy ülhessek.
তোমার দুঃখশোকের কালে যে ছেলেমেয়েদের জন্ম দিয়েছিলে, তাদের কাছ থেকে তুমি শুনতে পাবে, ‘এই স্থান আমাদের পক্ষে ভীষণ সংকীর্ণ; বসবাস করার জন্য আমাদের আরও জায়গা দাও।’
21 Azt mondod majd szívedben: ki szülte nekem ezeket, hisz én gyermektelen és meddő voltam, számkivetett és bolyongó, és ezeket ki nevelte; lám én egyedül maradtam, ezek honnan valók?
তখন তুমি মনে মনে বলবে, ‘এসব বংশধরকে কে আমাকে দিয়েছে? আমি তো শোকাহত ও বন্ধ্যা ছিলাম; আমি নির্বাসিত ও প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলাম। তাহলে কে এদের প্রতিপালন করল? আমাকে তো একা ফেলে রাখা হয়েছিল, কিন্তু এরা, কোথা থেকে এরা এসেছে?’”
22 Így szól az Úr az Örökkévaló: Íme fölemelem a nemzetek felé kezemet és a népek felé magasra tartom zászlómat; és elhozzák fiaidat ölben és leányaidat vállon viszik.
সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “দেখো, আমি হাতের ইশারায় অইহুদি জাতিদের ডাকব, লোকসমূহের উদ্দেশে আমি আমার পতাকা তুলে ধরব; তারা তোমার সন্তানদের কোলে নিয়ে আসবে, তোমার কন্যাদের কাঁধে বহন করে আনবে।
23 És királyok lesznek ápolóid és fejedelemnőik dajkáid, arcukkal földre borulnak előtted és lábaid porát nyalják; és megtudod, hogy én vagyok az Örökkévaló, én, ki által nem szégyenülnek meg, akik bennem reménykednek.
রাজারা হবে তোমার প্রতিপালক বাবা, তাদের রানিরা তোমাদের পালিকা মা হবে। তারা ভূমিতে অধোমুখে তোমার কাছে প্রণত হবে, তারা তোমার পদধূলি চেটে খাবে। তখন তুমি জানতে পারবে যে, আমিই সদাপ্রভু; যারা আমার উপরে আশা রাখে, তারা কখনও লজ্জিত হবে না।”
24 Vajon elveszik-e a hőstől a ragadmányt, avagy győztesnek a foglyai megmenekülnek-e?
যোদ্ধাদের কাছ থেকে কি লুটের জিনিস হরণ করা যায় কিংবা ন্যায়সংগত বন্দিকে কি মুক্ত করা যায়?
25 Mert így szól az Örökkévaló: hősnek a foglyait is elveszik és zsarnoknak ragadmánya megmenekül; pörlőddel majd pörölök én és fiaidat én segítem meg.
কিন্তু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “হ্যাঁ, যোদ্ধাদের কাছ থেকে বন্দিদের নিয়ে নেওয়া হবে, হিংস্র ব্যক্তির লুটের জিনিস কেড়ে নেওয়া হবে। যারা তোমাদের সঙ্গে বিরোধ করে, আমি তাদের বিরোধ করব, আর তোমার ছেলেমেয়েদের আমি রক্ষা করব।
26 Szorongatóiddal megetetem önnön húsukat, és mint musttól önnön vérüktől részegednek meg; és megtudja minden halandó, hogy én, az Örökkévaló, vagyok a segítőd és megváltód, Jákob hatalmasa.
তোমার প্রতি অত্যাচারকারীদের আমি তাদেরই মাংস খেতে বাধ্য করব; দ্রাক্ষারসের মতোই তারা নিজেদের রক্ত পান করবে। তখন সমস্ত মানবজাতি জানতে পারবে যে, আমি সদাপ্রভু, তোমাদের পরিত্রাতা, তোমাদের মুক্তিদাতা, যাকোবের সেই পরাক্রমী জন।”
