< 2 מְלָכִים 5 >
וְ֠נַעֲמָן שַׂר־צְבָ֨א מֶֽלֶךְ־אֲרָ֜ם הָיָ֣ה אִישׁ֩ גָּד֨וֹל לִפְנֵ֤י אֲדֹנָיו֙ וּנְשֻׂ֣א פָנִ֔ים כִּֽי־ב֛וֹ נָֽתַן־יְהוָ֥ה תְּשׁוּעָ֖ה לַאֲרָ֑ם וְהָאִ֗ישׁ הָיָ֛ה גִּבּ֥וֹר חַ֖יִל מְצֹרָֽע׃ | 1 |
ইত্যবসরে নামান ছিলেন অরামের রাজার সৈন্যদলের সেনাপতি। যেহেতু তাঁর মাধ্যমে সদাপ্রভু অরামকে বিজয় দান করলেন, তাই তাঁর মনিবের দৃষ্টিতে তিনি মহান এক ব্যক্তি ছিলেন ও তাঁকে খুব সম্মান করা হত। তিনি অসমসাহসী এক যোদ্ধা ছিলেন, কিন্তু তাঁর কুষ্ঠরোগ হল।
וַאֲרָם֙ יָצְא֣וּ גְדוּדִ֔ים וַיִּשְׁבּ֛וּ מֵאֶ֥רֶץ יִשְׂרָאֵ֖ל נַעֲרָ֣ה קְטַנָּ֑ה וַתְּהִ֕י לִפְנֵ֖י אֵ֥שֶׁת נַעֲמָֽן׃ | 2 |
অরাম থেকে একদল হামলাকারী ইস্রায়েলে গিয়ে সেখান থেকে ছোটো একটি মেয়েকে বন্দি করে এনেছিল, এবং সে নামানের স্ত্রীর সেবাকাজে নিযুক্ত হল।
וַתֹּ֙אמֶר֙ אֶל־גְּבִרְתָּ֔הּ אַחֲלֵ֣י אֲדֹנִ֔י לִפְנֵ֥י הַנָּבִ֖יא אֲשֶׁ֣ר בְּשֹׁמְר֑וֹן אָ֛ז יֶאֱסֹ֥ף אֹת֖וֹ מִצָּרַעְתּֽוֹ׃ | 3 |
সে তার মালকিনকে বলল, “যিনি শমরিয়ায় আছেন, সেই ভাববাদীর কাছে গিয়ে যদি আমার মনিব একবার তাঁর সাথে দেখা করতে পারতেন! তিনি তবে তাঁর কুষ্ঠরোগ সারিয়ে দিতেন।”
וַיָּבֹ֕א וַיַּגֵּ֥ד לַאדֹנָ֖יו לֵאמֹ֑ר כָּזֹ֤את וְכָזֹאת֙ דִּבְּרָ֣ה הַֽנַּעֲרָ֔ה אֲשֶׁ֖ר מֵאֶ֥רֶץ יִשְׂרָאֵֽל׃ | 4 |
ইস্রায়েল থেকে আসা সেই মেয়েটি যা বলল, নামান তাঁর মনিবের কাছে গিয়ে সেকথা তাঁকে বলে শুনিয়েছিলেন।
וַיֹּ֤אמֶר מֶֽלֶךְ־אֲרָם֙ לֶךְ־בֹּ֔א וְאֶשְׁלְחָ֥ה סֵ֖פֶר אֶל־מֶ֣לֶךְ יִשְׂרָאֵ֑ל וַיֵּלֶךְ֩ וַיִּקַּ֨ח בְּיָד֜וֹ עֶ֣שֶׂר כִּכְּרֵי־כֶ֗סֶף וְשֵׁ֤שֶׁת אֲלָפִים֙ זָהָ֔ב וְעֶ֖שֶׂר חֲלִיפ֥וֹת בְּגָדִֽים׃ | 5 |
“অবশ্যই যাও,” অরামের রাজা উত্তর দিলেন। “আমি ইস্রায়েলের রাজার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে দেব।” অতএব নামান সাথে দশ তালন্ত রুপো, 6,000 শেকল সোনা ও দশ পাটি পোশাক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
וַיָּבֵ֣א הַסֵּ֔פֶר אֶל־מֶ֥לֶךְ יִשְׂרָאֵ֖ל לֵאמֹ֑ר וְעַתָּ֗ה כְּב֨וֹא הַסֵּ֤פֶר הַזֶּה֙ אֵלֶ֔יךָ הִנֵּ֨ה שָׁלַ֤חְתִּי אֵלֶ֙יךָ֙ אֶת־נַעֲמָ֣ן עַבְדִּ֔י וַאֲסַפְתּ֖וֹ מִצָּרַעְתּֽוֹ׃ | 6 |
ইস্রায়েলের রাজার কাছে তিনি যে চিঠিটি নিয়ে গেলেন, তাতে লেখা ছিল: “এই চিঠি সমেত আমি আমার দাস নামানকে আপনার কাছে পাঠাচ্ছি, যেন আপনি তার কুষ্ঠরোগ সারিয়ে দেন।”
וַיְהִ֡י כִּקְרֹא֩ מֶֽלֶךְ־יִשְׂרָאֵ֨ל אֶת־הַסֵּ֜פֶר וַיִּקְרַ֣ע בְּגָדָ֗יו וַיֹּ֙אמֶר֙ הַאֱלֹהִ֥ים אָ֙נִי֙ לְהָמִ֣ית וּֽלְהַחֲי֔וֹת כִּֽי־זֶה֙ שֹׁלֵ֣חַ אֵלַ֔י לֶאֱסֹ֥ף אִ֖ישׁ מִצָּֽרַעְתּ֑וֹ כִּ֤י אַךְ־דְּעֽוּ־נָא֙ וּרְא֔וּ כִּֽי־מִתְאַנֶּ֥ה ה֖וּא לִֽי׃ | 7 |
ইস্রায়েলের রাজা সেই চিঠি পড়ামাত্রই নিজের রাজবস্ত্র ছিঁড়ে বলে উঠেছিলেন, “আমি কি ঈশ্বর? আমি কি কাউকে মেরে আবার তার জীবন ফিরিয়ে দিতে পারি? কেন এই লোকটি একজনকে তার কুষ্ঠরোগ সারাবার জন্য আমার কাছে পাঠিয়েছে? দেখো দেখি, কীভাবে সে আমার সাথে ঝগড়া বাধাবার চেষ্টা করছে!”
וַיְהִ֞י כִּשְׁמֹ֣עַ ׀ אֱלִישָׁ֣ע אִישׁ־הָאֱלֹהִ֗ים כִּֽי־קָרַ֤ע מֶֽלֶךְ־יִשְׂרָאֵל֙ אֶת־בְּגָדָ֔יו וַיִּשְׁלַח֙ אֶל־הַמֶּ֣לֶךְ לֵאמֹ֔ר לָ֥מָּה קָרַ֖עְתָּ בְּגָדֶ֑יךָ יָבֹֽא־נָ֣א אֵלַ֔י וְיֵדַ֕ע כִּ֛י יֵ֥שׁ נָבִ֖יא בְּיִשְׂרָאֵֽל׃ | 8 |
ঈশ্বরের লোক ইলীশায় যখন শুনতে পেয়েছিলেন যে ইস্রায়েলের রাজা তাঁর রাজবস্ত্র ছিঁড়ে ফেলেছেন, তখন তিনি তাঁর কাছে এই খবর দিয়ে পাঠালেন: “আপনি কেন আপনার রাজবস্ত্র ছিঁড়ে ফেলেছেন? সেই লোকটিকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন, সে জেনে যাবে যে ইস্রায়েলে একজন ভাববাদী আছে।”
וַיָּבֹ֥א נַעֲמָ֖ן בסוסו וּבְרִכְבּ֑וֹ וַיַּעֲמֹ֥ד פֶּֽתַח־הַבַּ֖יִת לֶאֱלִישָֽׁע׃ | 9 |
অতএব নামান তাঁর সব ঘোড়া ও রথ নিয়ে ইলীশায়ের বাড়ির দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
וַיִּשְׁלַ֥ח אֵלָ֛יו אֱלִישָׁ֖ע מַלְאָ֣ךְ לֵאמֹ֑ר הָל֗וֹךְ וְרָחַצְתָּ֤ שֶֽׁבַע־פְּעָמִים֙ בַּיַּרְדֵּ֔ן וְיָשֹׁ֧ב בְּשָׂרְךָ֛ לְךָ֖ וּטְהָֽר׃ | 10 |
তাঁকে একথা বলার জন্য ইলীশায় এক দূত পাঠালেন, “যান, জর্ডন নদীতে গিয়ে সাতবার স্নান করুন, আর আপনার মাংস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে ও আপনি শুচিশুদ্ধও হয়ে যাবেন।”
וַיִּקְצֹ֥ף נַעֲמָ֖ן וַיֵּלַ֑ךְ וַיֹּאמֶר֩ הִנֵּ֨ה אָמַ֜רְתִּי אֵלַ֣י ׀ יֵצֵ֣א יָצ֗וֹא וְעָמַד֙ וְקָרָא֙ בְּשֵׁם־יְהוָ֣ה אֱלֹהָ֔יו וְהֵנִ֥יף יָד֛וֹ אֶל־הַמָּק֖וֹם וְאָסַ֥ף הַמְּצֹרָֽע׃ | 11 |
কিন্তু নামান রেগে চলে গেলেন ও বললেন, “আমি ভেবেছিলাম তিনি অবশ্যই আমার কাছে বেরিয়ে আসবেন ও দাঁড়িয়ে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম ধরে ডাকবেন, ছোপের উপর হাত বোলাবেন ও আমার কুষ্ঠরোগ সারিয়ে তুলবেন।
הֲלֹ֡א טוֹב֩ אבנה וּפַרְפַּ֜ר נַהֲר֣וֹת דַּמֶּ֗שֶׂק מִכֹּל֙ מֵימֵ֣י יִשְׂרָאֵ֔ל הֲלֹֽא־אֶרְחַ֥ץ בָּהֶ֖ם וְטָהָ֑רְתִּי וַיִּ֖פֶן וַיֵּ֥לֶךְ בְּחֵמָֽה׃ | 12 |
দামাস্কাসের অবানা ও পর্পর নদী কি ইস্রায়েলের সব জলাশয়ের থেকে ভালো নয়? আমি কি সেখানে স্নান করে শুচিশুদ্ধ হতে পারতাম না?” তাই তিনি মুখ ফিরিয়ে রেগে চলে গেলেন।
וַיִּגְּשׁ֣וּ עֲבָדָיו֮ וַיְדַבְּר֣וּ אֵלָיו֒ וַיֹּאמְר֗וּ אָבִי֙ דָּבָ֣ר גָּד֗וֹל הַנָּבִ֛יא דִּבֶּ֥ר אֵלֶ֖יךָ הֲל֣וֹא תַעֲשֶׂ֑ה וְאַ֛ף כִּֽי־אָמַ֥ר אֵלֶ֖יךָ רְחַ֥ץ וּטְהָֽר׃ | 13 |
নামানের দাসেরা তাঁর কাছে গিয়ে বলল, “হে প্রভু, সেই ভাববাদী যদি আপনাকে কোনও বড়সড় কাজ করতে বলতেন, তবে কি আপনি তা করতেন না? তবে তিনি যখন আপনাকে বলেছেন, ‘স্নান করে শুচিশুদ্ধ হয়ে যান,’ তখন কি আরও বেশি করে আপনার তা করা উচিত নয়!”
וַיֵּ֗רֶד וַיִּטְבֹּ֤ל בַּיַּרְדֵּן֙ שֶׁ֣בַע פְּעָמִ֔ים כִּדְבַ֖ר אִ֣ישׁ הָאֱלֹהִ֑ים וַיָּ֣שָׁב בְּשָׂר֗וֹ כִּבְשַׂ֛ר נַ֥עַר קָטֹ֖ן וַיִּטְהָֽר׃ | 14 |
তাই ঈশ্বরের লোকের কথানুসারে, তিনি জর্ডন নদীতে গিয়ে সাতবার স্নান করলেন, এবং তাঁর দেহ আগের অবস্থায় ফিরে এসেছিল ও ছোটো ছেলের দেহের মতো সুস্থসবল হয়ে গেল।
וַיָּשָׁב֩ אֶל־אִ֨ישׁ הָאֱלֹהִ֜ים ה֣וּא וְכָֽל־מַחֲנֵ֗הוּ וַיָּבֹא֮ וַיַּעֲמֹ֣ד לְפָנָיו֒ וַיֹּ֗אמֶר הִנֵּה־נָ֤א יָדַ֙עְתִּי֙ כִּ֣י אֵ֤ין אֱלֹהִים֙ בְּכָל־הָאָ֔רֶץ כִּ֖י אִם־בְּיִשְׂרָאֵ֑ל וְעַתָּ֛ה קַח־נָ֥א בְרָכָ֖ה מֵאֵ֥ת עַבְדֶּֽךָ׃ | 15 |
তখন নামান ও তাঁর সহচররা সবাই ঈশ্বরের লোকের কাছে ফিরে গেলেন। নামান তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “এখন আমি জানলাম যে ইস্রায়েল ছাড়া জগতে আর কোথাও কোনও ঈশ্বর নেই। তাই আপনার এই দাসের কাছ থেকে দয়া করে একটি উপহার গ্রহণ করুন।”
וַיֹּ֕אמֶר חַי־יְהוָ֛ה אֲשֶׁר־עָמַ֥דְתִּי לְפָנָ֖יו אִם־אֶקָּ֑ח וַיִּפְצַר־בּ֥וֹ לָקַ֖חַת וַיְמָאֵֽן׃ | 16 |
ভাববাদীমশাই উত্তর দিলেন, “আমি যাঁর সেবা করি, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি একটি জিনিসও গ্রহণ করব না।” নামান তাঁকে পীড়াপীড়ি করা সত্ত্বেও তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন।
וַיֹּאמֶר֮ נַעֲמָן֒ וָלֹ֕א יֻתַּן־נָ֣א לְעַבְדְּךָ֔ מַשָּׂ֥א צֶֽמֶד־פְּרָדִ֖ים אֲדָמָ֑ה כִּ֡י לֽוֹא־יַעֲשֶׂה֩ ע֨וֹד עַבְדְּךָ֜ עֹלָ֤ה וָזֶ֙בַח֙ לֵאלֹהִ֣ים אֲחֵרִ֔ים כִּ֖י אִם־לַיהוָֽה׃ | 17 |
“আপনি যদি গ্রহণ না করলেন,” নামান বললেন, “দুটি খচ্চর পিঠে যতখানি মাটি বহন করতে পারে, ততখানি মাটি দয়া করে আমাকে—আপনার এই দাসকে দেওয়ার অনুমতি দিন, কারণ আপনার এই দাস আর কখনও সদাপ্রভু ছাড়া আর কোনও দেবতার কাছে হোমবলি ও নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে না।
לַדָּבָ֣ר הַזֶּ֔ה יִסְלַ֥ח יְהוָ֖ה לְעַבְדֶּ֑ךָ בְּב֣וֹא אֲדֹנִ֣י בֵית־רִמּוֹן֩ לְהִשְׁתַּחֲוֺ֨ת שָׁ֜מָּה וְה֣וּא ׀ נִשְׁעָ֣ן עַל־יָדִ֗י וְהִֽשְׁתַּחֲוֵ֙יתִי֙ בֵּ֣ית רִמֹּ֔ן בְּהִשְׁתַּחֲוָיָ֙תִי֙ בֵּ֣ית רִמֹּ֔ן יִסְלַח־נא יְהוָ֥ה לְעַבְדְּךָ֖ בַּדָּבָ֥ר הַזֶּֽה׃ | 18 |
কিন্তু এই একটি ব্যাপারে যেন সদাপ্রভু আপনার দাসকে ক্ষমা করেন: আমার মনিব যখন রিম্মোণের মন্দিরে প্রবেশ করে মাথা নত করবেন এবং আমার হাতে ভর দেবেন ও আমাকেও সেখানে মাথা নত করতে হবে—আমি যখন রিম্মোণের মন্দিরে মাথা নত করব, তখন যেন সদাপ্রভু আপনার এই দাসকে এর জন্য ক্ষমা করেন।”
וַיֹּ֥אמֶר ל֖וֹ לֵ֣ךְ לְשָׁל֑וֹם וַיֵּ֥לֶךְ מֵאִתּ֖וֹ כִּבְרַת־אָֽרֶץ׃ ס | 19 |
“শান্তিতে চলে যাও,” ইলীশায় বললেন। নামান কিছু দূর চলে যাওয়ার পর,
וַיֹּ֣אמֶר גֵּיחֲזִ֗י נַעַר֮ אֱלִישָׁ֣ע אִישׁ־הָאֱלֹהִים֒ הִנֵּ֣ה ׀ חָשַׂ֣ךְ אֲדֹנִ֗י אֶֽת־נַעֲמָ֤ן הָֽאֲרַמִּי֙ הַזֶּ֔ה מִקַּ֥חַת מִיָּד֖וֹ אֵ֣ת אֲשֶׁר־הֵבִ֑יא חַי־יְהוָה֙ כִּֽי־אִם־רַ֣צְתִּי אַחֲרָ֔יו וְלָקַחְתִּ֥י מֵאִתּ֖וֹ מְאֽוּמָה׃ | 20 |
ঈশ্বরের লোক ইলীশায়ের দাস গেহসি মনে মনে বলল, “নামান যা যা নিয়ে এসেছিলেন, তা গ্রহণ না করে আমার মনিব এই অরামীয় নামানকে এমনিই ছেড়ে দিলেন। জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি তাঁর পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছু বাগিয়ে আনব।”
וַיִּרְדֹּ֥ף גֵּיחֲזִ֖י אַחֲרֵ֣י נַֽעֲמָ֑ן וַיִּרְאֶ֤ה נַֽעֲמָן֙ רָ֣ץ אַחֲרָ֔יו וַיִּפֹּ֞ל מֵעַ֧ל הַמֶּרְכָּבָ֛ה לִקְרָאת֖וֹ וַיֹּ֥אמֶר הֲשָׁלֽוֹם׃ | 21 |
অতএব গেহসি নামানের পিছনে দৌড়ে গেলেন। নামান যখন তাকে তাঁর পিছনে দৌড়ে আসতে দেখেছিলেন, তিনি তার সাথে দেখা করার জন্য রথ থেকে নেমে এলেন। “সবকিছু ঠিক আছে তো?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন।
וַיֹּ֣אמֶר ׀ שָׁל֗וֹם אֲדֹנִי֮ שְׁלָחַ֣נִי לֵאמֹר֒ הִנֵּ֣ה עַתָּ֡ה זֶ֠ה בָּ֣אוּ אֵלַ֧י שְׁנֵֽי־נְעָרִ֛ים מֵהַ֥ר אֶפְרַ֖יִם מִבְּנֵ֣י הַנְּבִיאִ֑ים תְּנָה־נָּ֤א לָהֶם֙ כִּכַּר־כֶּ֔סֶף וּשְׁתֵּ֖י חֲלִפ֥וֹת בְּגָדִֽים׃ | 22 |
“সবকিছু ঠিকই আছে,” গেহসি উত্তর দিয়েছিল। “আমার মনিব এই কথা বলার জন্য আমাকে পাঠিয়ে দিলেন যে, ‘ভাববাদী সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে এইমাত্র দুজন যুবক আমার কাছে ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এসে পড়েছে। দয়া করে তাদের এক তালন্ত রুপো ও দুই পাটি পোশাক দিন।’”
וַיֹּ֣אמֶר נַעֲמָ֔ן הוֹאֵ֖ל קַ֣ח כִּכָּרָ֑יִם וַיִּפְרָץ־בּ֗וֹ וַיָּצַר֩ כִּכְּרַ֨יִם כֶּ֜סֶף בִּשְׁנֵ֣י חֲרִטִ֗ים וּשְׁתֵּי֙ חֲלִפ֣וֹת בְּגָדִ֔ים וַיִּתֵּן֙ אֶל־שְׁנֵ֣י נְעָרָ֔יו וַיִּשְׂא֖וּ לְפָנָֽיו׃ | 23 |
“অবশ্যই, দুই তালন্ত নাও,” নামান বললেন। সেগুলি নেওয়ার জন্য তিনি গেহসিকে পীড়াপীড়ি করলেন, এবং পরে দুটি থলিতে দুই তালন্ত রুপো এবং দুই পাটি পোশাক বেঁধে দিলেন। তিনি সেগুলি তাঁর দুজন দাসের হাতে দিলেন, ও তারা গেহসির আগে আগে সেগুলি বয়ে নিয়ে গেল।
וַיָּבֹא֙ אֶל־הָעֹ֔פֶל וַיִּקַּ֥ח מִיָּדָ֖ם וַיִּפְקֹ֣ד בַּבָּ֑יִת וַיְשַׁלַּ֥ח אֶת־הָאֲנָשִׁ֖ים וַיֵּלֵֽכוּ׃ | 24 |
গেহসি সেই পাহাড়ে পৌঁছে জিনিসগুলি সেই দাসদের হাত থেকে নিয়ে বাড়িতে রেখে দিয়েছিল। সে সেই লোকদের পাঠিয়ে দিয়েছিল ও তারাও চলে গেল।
וְהוּא־בָא֙ וַיַּעֲמֹ֣ד אֶל־אֲדֹנָ֔יו וַיֹּ֤אמֶר אֵלָיו֙ אֱלִישָׁ֔ע מאן גֵּחֲזִ֑י וַיֹּ֕אמֶר לֹֽא־הָלַ֥ךְ עַבְדְּךָ֖ אָ֥נֶה וָאָֽנָה׃ | 25 |
সে ভিতরে গিয়ে তার মনিবের সামনে দাঁড়াতেই ইলীশায় তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “গেহসি, তুমি কোথায় গিয়েছিলে?” “আপনার এই দাস কোথাও যায়নি তো,” গেহসি উত্তর দিল।
וַיֹּ֤אמֶר אֵלָיו֙ לֹא־לִבִּ֣י הָלַ֔ךְ כַּאֲשֶׁ֧ר הָֽפַךְ־אִ֛ישׁ מֵעַ֥ל מֶרְכַּבְתּ֖וֹ לִקְרָאתֶ֑ךָ הַעֵ֞ת לָקַ֤חַת אֶת־הַכֶּ֙סֶף֙ וְלָקַ֣חַת בְּגָדִ֔ים וְזֵיתִ֤ים וּכְרָמִים֙ וְצֹ֣אן וּבָקָ֔ר וַעֲבָדִ֖ים וּשְׁפָחֽוֹת׃ | 26 |
কিন্তু ইলীশায় তাকে বললেন, “সেই লোকটি যখন তোমার সাথে দেখা করার জন্য রথ থেকে নেমেছিলেন, আমার আত্মা কি তোমার সাথেই ছিল না? অর্থ বা পোশাক, অথবা জলপাই বাগান ও দ্রাক্ষাক্ষেত, বা মেষ-গরুর পাল, বা দাস-দাসী নেওয়ার এই কি সময়?
וְצָרַ֤עַת נַֽעֲמָן֙ תִּֽדְבַּק־בְּךָ֔ וּֽבְזַרְעֲךָ לְעוֹלָ֑ם וַיֵּצֵ֥א מִלְּפָנָ֖יו מְצֹרָ֥ע כַּשָּֽׁלֶג׃ ס | 27 |
নামানের কুষ্ঠরোগ চিরকাল তোমার ও তোমার বংশধরদের শরীরে লেগে থাকুক।” পরে গেহসি ইলীশায়ের সামনে থেকে চলে গেল এবং তার ত্বকে কুষ্ঠরোগ ফুটে উঠেছিল—তা বরফের মতো সাদা হয়ে গেল।