< מִשְׁלֵי 23 >
כִּֽי־תֵ֭שֵׁב לִלְח֣וֹם אֶת־מוֹשֵׁ֑ל בִּ֥ין תָּ֝בִ֗ין אֶת־אֲשֶׁ֥ר לְפָנֶֽיךָ׃ | 1 |
যখন তুমি কোনও শাসকের সঙ্গে খাবার খেতে বসবে, তখন ভালো করে লক্ষ্য কোরো তোমার সামনে কী রাখা আছে,
וְשַׂמְתָּ֣ שַׂכִּ֣ין בְּלֹעֶ֑ךָ אִם־בַּ֖עַל נֶ֣פֶשׁ אָֽתָּה׃ | 2 |
ও যদি তোমার ভোজনবিলাসিতার বদভ্যাস থাকে তবে তুমি গলায় ছুরি বেঁধে রেখো।
אַל־תִּ֭תְאָיו לְמַטְעַמּוֹתָ֑יו וְ֝ה֗וּא לֶ֣חֶם כְּזָבִֽים׃ | 3 |
তাঁর সুস্বাদু খাদ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষিত হোয়ো না, কারণ সেই খাদ্য বিভ্রান্তিকর।
אַל־תִּיגַ֥ע לְֽהַעֲשִׁ֑יר מִֽבִּינָתְךָ֥ חֲדָֽל׃ | 4 |
ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য নিজেকে অবসন্ন করে তুলো না; নিজের চালাকির উপরে ভরসা কোরো না।
הֲתָ֤עִיף עֵינֶ֥יךָ בּ֗וֹ וְֽאֵ֫ינֶ֥נּוּ כִּ֤י עָשֹׂ֣ה יַעֲשֶׂה־לּ֣וֹ כְנָפַ֑יִם כְּ֝נֶ֗שֶׁר יָע֥וּף הַשָּׁמָֽיִם׃ פ | 5 |
ধনসম্পত্তির দিকে শুধু এক পলক দেখো, আর তা অদৃশ্য হয়ে যাবে, কারণ ঈগল পাখির মতো নিশ্চয় তার ডানা গজাবে ও তা আকাশে উড়ে যাবে।
אַל־תִּלְחַ֗ם אֶת־לֶ֭חֶם רַ֣ע עָ֑יִן וְאַל־תִּ֝תְאָ֗יו לְמַטְעַמֹּתָֽיו׃ | 6 |
কোনও রুষ্টমনা নিমন্ত্রণকর্তার দেওয়া খাদ্য খেয়ো না, তার সুস্বাদু খাদ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষিত হোয়ো না;
כִּ֤י ׀ כְּמוֹ־שָׁעַ֥ר בְּנַפְשׁ֗וֹ כֶּ֫ן־ה֥וּא אֱכֹ֣ל וּ֭שְׁתֵה יֹ֣אמַר לָ֑ךְ וְ֝לִבּ֗וֹ בַּל־עִמָּֽךְ׃ | 7 |
কারণ সে এমন এক ধরনের লোক যে সবসময় অর্থব্যয়ের কথা ভাবে। সে তোমাকে বলবে “ভোজনপান করো,” কিন্তু সে তোমার প্রতি আন্তরিক নয়।
פִּֽתְּךָ־אָכַ֥לְתָּ תְקִיאֶ֑נָּה וְ֝שִׁחַ֗תָּ דְּבָרֶ֥יךָ הַנְּעִימִֽים׃ | 8 |
তুমি অল্প যেটুকু খেয়েছ তা বমি করে ফেলবে ও তোমার সাধুবাদ অপচয় করে ফেলবে।
בְּאָזְנֵ֣י כְ֭סִיל אַל־תְּדַבֵּ֑ר כִּֽי־יָ֝ב֗וּז לְשֵׂ֣כֶל מִלֶּֽיךָ׃ | 9 |
মূর্খদের কাছে কথা বোলো না, কারণ তারা তোমার বিচক্ষণ কথাবার্তা অবজ্ঞা করবে।
אַל־תַּ֭סֵּג גְּב֣וּל עוֹלָ֑ם וּבִשְׂדֵ֥י יְ֝תוֹמִ֗ים אַל־תָּבֹֽא׃ | 10 |
সীমানার প্রাচীন পাথরটি স্থানান্তরিত কোরো না বা পিতৃহীনদের জমি বলপূর্বক দখল কোরো না,
כִּֽי־גֹאֲלָ֥ם חָזָ֑ק הֽוּא־יָרִ֖יב אֶת־רִיבָ֣ם אִתָּֽךְ׃ | 11 |
কারণ তাদের রক্ষক বলবান; তাদের হয়ে তিনি তোমার বিরুদ্ধে মামলা লড়বেন।
הָבִ֣יאָה לַמּוּסָ֣ר לִבֶּ֑ךָ וְ֝אָזְנֶ֗ךָ לְאִמְרֵי־דָֽעַת׃ | 12 |
শিক্ষার প্রতি আন্তরিক মনোনিবেশ করো ও জ্ঞানের কথায় কর্ণপাত করো।
אַל־תִּמְנַ֣ע מִנַּ֣עַר מוּסָ֑ר כִּֽי־תַכֶּ֥נּוּ בַ֝שֵּׁ֗בֶט לֹ֣א יָמֽוּת׃ | 13 |
শিশুকে শাসন করতে পিছপা হোয়ো না; তুমি যদি তাদের লাঠি দিয়ে মেরে শাস্তি দাও, তবে তারা মারা যাবে না।
אַ֭תָּה בַּשֵּׁ֣בֶט תַּכֶּ֑נּוּ וְ֝נַפְשׁ֗וֹ מִשְּׁא֥וֹל תַּצִּֽיל׃ (Sheol ) | 14 |
লাঠি দিয়ে মেরে তাদের শাস্তি দাও ও মৃত্যুর হাত থেকে তাদের রক্ষা করো। (Sheol )
בְּ֭נִי אִם־חָכַ֣ם לִבֶּ֑ךָ יִשְׂמַ֖ח לִבִּ֣י גַם־אָֽנִי׃ | 15 |
হে আমার বাছা, তোমার অন্তর যদি জ্ঞানে পরিপূর্ণ হয়, তবে সত্যিই আমি আন্তরিকভাবে আনন্দিত হব;
וְתַעְלֹ֥זְנָה כִלְיוֹתָ֑י בְּדַבֵּ֥ר שְׂ֝פָתֶ֗יךָ מֵישָׁרִֽים׃ | 16 |
ঠোঁট দিয়ে তুমি যখন যা সঠিক তা বলবে তখন আমার হৃদয় উল্লসিত হবে।
אַל־יְקַנֵּ֣א לִ֭בְּךָ בַּֽחַטָּאִ֑ים כִּ֥י אִם־בְּיִרְאַת־יְ֝הוָ֗ה כָּל־הַיּֽוֹם׃ | 17 |
তোমার হৃদয় যেন পাপীদের হিংসা না করে, কিন্তু সবর্দা তুমি সদাপ্রভুকে ভয় করার জন্য তৎপর থেকো।
כִּ֭י אִם־יֵ֣שׁ אַחֲרִ֑ית וְ֝תִקְוָתְךָ֗ לֹ֣א תִכָּרֵֽת׃ | 18 |
নিশ্চয় তোমার জন্য ভবিষ্যতের এক আশা আছে, ও তোমার আশা বিচ্ছিন্ন করা হবে না।
שְׁמַע־אַתָּ֣ה בְנִ֣י וַחֲכָ֑ם וְאַשֵּׁ֖ר בַּדֶּ֣רֶךְ לִבֶּֽךָ׃ | 19 |
হে আমার বাছা, তুমি শোনো ও জ্ঞানবান হও, ও ন্যায়পথে তোমার অন্তর স্থির রাখো:
אַל־תְּהִ֥י בְסֹֽבְאֵי־יָ֑יִן בְּזֹלֲלֵ֖י בָשָׂ֣ר לָֽמוֹ׃ | 20 |
যারা সুরা পান করে বা গাণ্ডেপিণ্ডে খাওয়াদাওয়া করে তাদের সঙ্গী হোয়ো না,
כִּי־סֹבֵ֣א וְ֭זוֹלֵל יִוָּרֵ֑שׁ וּ֝קְרָעִ֗ים תַּלְבִּ֥ישׁ נוּמָֽה׃ | 21 |
কারণ মদ্যপ ও পেটুকেরা দরিদ্র হয়ে যায়, ও তন্দ্রাচ্ছন্নভাব তাদের ছেঁড়া জামাকাপড় পরিয়ে ছাড়ে।
שְׁמַ֣ע לְ֭אָבִיךָ זֶ֣ה יְלָדֶ֑ךָ וְאַל־תָּ֝ב֗וּז כִּֽי־זָקְנָ֥ה אִמֶּֽךָ׃ | 22 |
তোমার সেই বাবার কথা শোনো, যিনি তোমাকে জীবন দিয়েছেন, ও তোমার মায়ের বৃদ্ধাবস্থায় তাঁকে হেয় জ্ঞান কোরো না।
אֱמֶ֣ת קְ֭נֵה וְאַל־תִּמְכֹּ֑ר חָכְמָ֖ה וּמוּסָ֣ר וּבִינָֽה׃ | 23 |
সত্য কিনে নাও ও তা বিক্রি কোরো না— প্রজ্ঞা, শিক্ষা ও দূরদর্শিতাও কিনে নাও।
גִּ֣יל יָ֭גִיל אֲבִ֣י צַדִּ֑יק וְיוֹלֵ֥ד חָ֝כָ֗ם יִשְׂמַח בּֽוֹ׃ | 24 |
ধার্মিক সন্তানের বাবা খুব আনন্দ পান; জ্ঞানবান ছেলের জন্মদাতা তাকে নিয়ে আনন্দ করেন।
יִֽשְׂמַח־אָבִ֥יךָ וְאִמֶּ֑ךָ וְ֝תָגֵ֗ל יֽוֹלַדְתֶּֽךָ׃ | 25 |
তোমার বাবা ও মা আনন্দ করুন; যিনি তোমাকে জন্ম দিয়েছেন তিনি উল্লসিতা হোন!
תְּנָֽה־בְנִ֣י לִבְּךָ֣ לִ֑י וְ֝עֵינֶ֗יךָ דְּרָכַ֥י תִּצֹּֽרְנָה׃ | 26 |
হে আমার বাছা, তোমার অন্তর আমাকে দিয়ে দাও ও তোমার চোখদুটি আমার পথে আহ্লাদিত হোক,
כִּֽי־שׁוּחָ֣ה עֲמֻקָּ֣ה זוֹנָ֑ה וּבְאֵ֥ר צָ֝רָ֗ה נָכְרִיָּֽה׃ | 27 |
কারণ ব্যভিচারিণী মহিলা এক গভীর খাত, ও স্বৈরিণী স্ত্রী এক অগভীর কুয়ো।
אַף־הִ֭יא כְּחֶ֣תֶף תֶּֽאֱרֹ֑ב וּ֝בוֹגְדִ֗ים בְּאָדָ֥ם תּוֹסִֽף׃ | 28 |
দস্যুর মতো সে ওৎ পেতে থাকে ও পুরুষদের মধ্যে সে বিশ্বাসঘাতকতা বৃদ্ধি করে।
לְמִ֨י א֥וֹי לְמִ֪י אֲב֡וֹי לְמִ֤י מִדְיָנִ֨ים לְמִ֥י שִׂ֗יחַ לְ֭מִי פְּצָעִ֣ים חִנָּ֑ם לְ֝מִ֗י חַכְלִל֥וּת עֵינָֽיִם׃ | 29 |
কে দুর্দশাগ্রস্ত? কে দুঃখিত? কে বিবাদ করে? কে অভিযোগ জানায়? কে অকারণে ক্ষতবিক্ষত হয়? কার চোখ রক্তরাঙা হয়?
לַֽמְאַחֲרִ֥ים עַל־הַיָּ֑יִן לַ֝בָּאִ֗ים לַחְקֹ֥ר מִמְסָֽךְ׃ | 30 |
তারাই, যারা সুরাপানে আসক্ত, যারা মিশ্রিত সুরা ভর্তি বাটির দিকে যায়।
אַל־תֵּ֥רֶא יַיִן֮ כִּ֪י יִתְאַ֫דָּ֥ם כִּֽי־יִתֵּ֣ן בַּכּ֣וֹס עֵינ֑וֹ יִ֝תְהַלֵּ֗ךְ בְּמֵישָׁרִֽים׃ | 31 |
তুমি সুরার দিকে তখন একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকো না যখন তার রং লাল থাকে, যখন তা পানপাত্রের মধ্যে ঝকঝক করে, যখন তা সহজেই গলায় নেমে যায়!
אַ֭חֲרִיתוֹ כְּנָחָ֣שׁ יִשָּׁ֑ךְ וּֽכְצִפְעֹנִ֥י יַפְרִֽשׁ׃ | 32 |
শেষে তা সাপের মতো দংশন করে ও বিষধর সাপের মতো বিষ উগরে দেয়।
עֵ֭ינֶיךָ יִרְא֣וּ זָר֑וֹת וְ֝לִבְּךָ֗ יְדַבֵּ֥ר תַּהְפֻּכֽוֹת׃ | 33 |
তোমার চোখদুটি অদ্ভুত সব দৃশ্য দেখবে, ও তোমার মন বিভ্রান্তিকর সব বিষয় কল্পনা করবে।
וְ֭הָיִיתָ כְּשֹׁכֵ֣ב בְּלֶב־יָ֑ם וּ֝כְשֹׁכֵ֗ב בְּרֹ֣אשׁ חִבֵּֽל׃ | 34 |
তুমি এমন একজনের মতো হয়ে যাবে যে উঁচু সমুদ্রের উপরে ঘুমিয়ে আছে, জাহাজের মাস্তুলের চূড়ায় শুয়ে আছে।
הִכּ֥וּנִי בַל־חָלִיתִי֮ הֲלָמ֗וּנִי בַּל־יָ֫דָ֥עְתִּי מָתַ֥י אָקִ֑יץ א֝וֹסִ֗יף אֲבַקְשֶׁ֥נּוּ עֽוֹד׃ | 35 |
“ওরা আমাকে মেরেছে,” তুমি বলবে, “কিন্তু আমি ব্যথা পাইনি! ওরা আমায় মারধর করেছে, কিন্তু আমি তা অনুভব করিনি! আমি কখন জেগে উঠব যেন আরও একটু পান করতে পারি?”