< אִיּוֹב 16 >
וַיַּ֥עַן אִיּ֗וֹב וַיֹּאמַֽר׃ | 1 |
পরে ইয়োব উত্তর দিলেন:
שָׁמַ֣עְתִּי כְאֵ֣לֶּה רַבּ֑וֹת מְנַחֲמֵ֖י עָמָ֣ל כֻּלְּכֶֽם׃ | 2 |
“আমি এই ধরনের অনেক কথা শুনেছি; তোমরা শোচনীয় সান্ত্বনাকারী, তোমরা সবাই!
הֲקֵ֥ץ לְדִבְרֵי־ר֑וּחַ א֥וֹ מַה־יַּ֝מְרִֽיצְךָ֗ כִּ֣י תַעֲנֶֽה׃ | 3 |
তোমাদের এইসব দীর্ঘ এলোমেলো বক্তৃতা কি কখনও শেষ হবে না? তোমাদের কী এমন কষ্ট যে তোমরা তর্ক করেই যাচ্ছ?
גַּ֤ם ׀ אָנֹכִי֮ כָּכֶ֪ם אֲדַ֫בֵּ֥רָה ל֤וּ־יֵ֪שׁ נַפְשְׁכֶ֡ם תַּ֤חַת נַפְשִׁ֗י אַחְבִּ֣ירָה עֲלֵיכֶ֣ם בְּמִלִּ֑ים וְאָנִ֥יעָה עֲ֝לֵיכֶ֗ם בְּמ֣וֹ רֹאשִֽׁי׃ | 4 |
আমিও তোমাদের মতো কথা বলতে পারতাম, যদি তোমরা আমার জায়গায় থাকতে; আমিও তোমাদের বিরুদ্ধে সুন্দর সুন্দর বক্তৃতা দিতে পারতাম ও তোমাদের দেখে মাথা নাড়াতে পারতাম।
אֲאַמִּצְכֶ֥ם בְּמוֹ־פִ֑י וְנִ֖יד שְׂפָתַ֣י יַחְשֹֽׂךְ׃ | 5 |
কিন্তু আমার মুখ তোমাদের উৎসাহ দেবে; আমার ঠোঁট থেকে সান্ত্বনা বের হয়ে তোমাদের যন্ত্রণার উপশম করবে।
אִֽם־אֲ֭דַבְּרָה לֹא־יֵחָשֵׂ֣ךְ כְּאֵבִ֑י וְ֝אַחְדְּלָ֗ה מַה־מִנִּ֥י יַהֲלֹֽךְ׃ | 6 |
“তবুও আমি যদি কথা বলি, আমার ব্যথার উপশম হয় না; ও আমি যদি নীরব থাকি, তাও তা যায় না।
אַךְ־עַתָּ֥ה הֶלְאָ֑נִי הֲ֝שִׁמּ֗וֹתָ כָּל־עֲדָתִֽי׃ | 7 |
হে ঈশ্বর, নিশ্চয় তুমি আমাকে নিঃশেষিত করে দিয়েছ; তুমি আমার সমগ্র পরিবারকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছ।
וַֽ֭תִּקְמְטֵנִי לְעֵ֣ד הָיָ֑ה וַיָּ֥קָם בִּ֥י כַ֝חֲשִׁ֗י בְּפָנַ֥י יַעֲנֶֽה׃ | 8 |
তুমি আমাকে কুঁকড়ে দিয়েছ—ও তা এক সাক্ষী হয়েছে; আমার শীর্ণতা উঠে দাঁড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে।
אַפּ֤וֹ טָרַ֨ף ׀ וַֽיִּשְׂטְמֵ֗נִי חָרַ֣ק עָלַ֣י בְּשִׁנָּ֑יו צָרִ֓י ׀ יִלְט֖וֹשׁ עֵינָ֣יו לִֽי׃ | 9 |
ঈশ্বর আমাকে আক্রমণ করে তাঁর ক্রোধে আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন ও আমার প্রতি দাঁত কড়মড় করেছেন; আমার প্রতিপক্ষ তাঁর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে আমাকে আক্রমণ করেছেন।
פָּעֲר֬וּ עָלַ֨י ׀ בְּפִיהֶ֗ם בְּ֭חֶרְפָּה הִכּ֣וּ לְחָיָ֑י יַ֝֗חַד עָלַ֥י יִתְמַלָּאֽוּן׃ | 10 |
আমাকে বিদ্রুপ করার জন্য লোকেরা তাদের মুখ খুলেছে; অবজ্ঞাভরে তারা আমার গালে চড় মেরেছে ও আমার বিরুদ্ধে সমবেত হয়েছে।
יַסְגִּירֵ֣נִי אֵ֭ל אֶ֣ל עֲוִ֑יל וְעַל־יְדֵ֖י רְשָׁעִ֣ים יִרְטֵֽנִי׃ | 11 |
ঈশ্বর আমাকে অধার্মিক লোকদের হাতে সমর্পণ করেছেন ও দুর্জনদের খপ্পরে ছুঁড়ে দিয়েছেন।
שָׁ֘לֵ֤ו הָיִ֨יתִי ׀ וַֽיְפַרְפְּרֵ֗נִי וְאָחַ֣ז בְּ֭עָרְפִּי וַֽיְפַצְפְּצֵ֑נִי וַיְקִימֵ֥נִי ל֝֗וֹ לְמַטָּרָֽה׃ | 12 |
আমার সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু তিনি আমাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন; তিনি আমার ঘাড় ধরে আমাকে আছাড় মেরেছেন। তিনি আমাকে তাঁর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন;
יָ֘סֹ֤בּוּ עָלַ֨י ׀ רַבָּ֗יו יְפַלַּ֣ח כִּ֭לְיוֹתַי וְלֹ֣א יַחְמ֑וֹל יִשְׁפֹּ֥ךְ לָ֝אָ֗רֶץ מְרֵרָֽתִי׃ | 13 |
তাঁর তিরন্দাজরা আমাকে ঘিরে ধরেছে। দয়া না দেখিয়ে, তিনি আমার কিডনি বিদ্ধ করেছেন ও আমার পিত্ত মাটিতে ফেলে দিয়েছেন।
יִפְרְצֵ֣נִי פֶ֭רֶץ עַל־פְּנֵי־פָ֑רֶץ יָרֻ֖ץ עָלַ֣י כְּגִבּֽוֹר׃ | 14 |
বারবার তিনি আমার উপরে ফেটে পড়েছেন; একজন যোদ্ধার মতো তিনি আমার দিকে ধেয়ে এসেছেন।
שַׂ֣ק תָּ֭פַרְתִּי עֲלֵ֣י גִלְדִּ֑י וְעֹלַ֖לְתִּי בֶעָפָ֣ר קַרְנִֽי׃ | 15 |
“আমি আমার চামড়ার উপরে চটের কাপড় বুনে নিয়েছি ও আমার ললাটটি ধুলোতে সমাধিস্থ করেছি।
פָּנַ֣י חֳ֭מַרְמְרוּ מִנִּי־בֶ֑כִי וְעַ֖ל עַפְעַפַּ֣י צַלְמָֽוֶת׃ | 16 |
কেঁদে কেঁদে আমার মুখমণ্ডল লাল হয়ে গিয়েছে, আমার চোখের চারপাশে কালি পড়েছে;
עַ֭ל לֹא־חָמָ֣ס בְּכַפָּ֑י וּֽתְפִלָּתִ֥י זַכָּֽה׃ | 17 |
তাও আমার হাতে হিংস্রতা নেই ও আমার প্রার্থনা বিশুদ্ধ।
אֶ֭רֶץ אַל־תְּכַסִּ֣י דָמִ֑י וְֽאַל־יְהִ֥י מָ֝ק֗וֹם לְזַעֲקָתִֽי׃ | 18 |
“হে পৃথিবী, আমার রক্ত ঢেকে রেখো না; আমার কান্না যেন কখনও বিশ্রামে শায়িত না হয়!
גַּם־עַ֭תָּה הִנֵּה־בַשָּׁמַ֣יִם עֵדִ֑י וְ֝שָׂהֲדִ֗י בַּמְּרוֹמִֽים׃ | 19 |
এখনও আমার সাক্ষী স্বর্গেই আছেন; আমার উকিল ঊর্ধ্বেই আছেন।
מְלִיצַ֥י רֵעָ֑י אֶל־אֱ֝ל֗וֹהַ דָּלְפָ֥ה עֵינִֽי׃ | 20 |
আমার মধ্যস্থতাকারীই আমার বন্ধু হন যখন আমার চোখ ঈশ্বরের কাছে অশ্রুপাত করে;
וְיוֹכַ֣ח לְגֶ֣בֶר עִם־אֱל֑וֹהַּ וּֽבֶן־אָדָ֥ם לְרֵעֵֽהוּ׃ | 21 |
একজন লোকের হয়ে তিনি ঈশ্বরের কাছে ওকালতি করেন যেভাবে এক বন্ধুর জন্য একজন ওকালতি করে।
כִּֽי־שְׁנ֣וֹת מִסְפָּ֣ר יֶאֱתָ֑יוּ וְאֹ֖רַח לֹא־אָשׁ֣וּב אֶהֱלֹֽךְ׃ | 22 |
“যে পথে গিয়ে আর ফিরে আসা যায় না, আমি সেই পথটি ধরার আগে শুধু কয়েকটি বছর পার হয়ে যাবে।