< אִיּוֹב 10 >
נָֽקְטָ֥ה נַפְשִׁ֗י בְּחַ֫יָּ֥י אֶֽעֶזְבָ֣ה עָלַ֣י שִׂיחִ֑י אֲ֝דַבְּרָה֗ בְּמַ֣ר נַפְשִֽׁי׃ | 1 |
“আমি আমার এই জীবনকে ঘৃণা করি; তাই আমি আমার অভিযোগকে লাগামছাড়া হতে দেব ও আমার প্রাণের তিক্ততায় কথা বলব।
אֹמַ֣ר אֶל־אֱ֭לוֹהַּ אַל־תַּרְשִׁיעֵ֑נִי הֽ֝וֹדִיעֵ֗נִי עַ֣ל מַה־תְּרִיבֵֽנִי׃ | 2 |
আমি ঈশ্বরকে বলব: আমাকে দোষী সাব্যস্ত কোরো না, কিন্তু আমাকে বলে দাও আমার বিরুদ্ধে তোমার কী অভিযোগ আছে।
הֲט֤וֹב לְךָ֨ ׀ כִּֽי־תַעֲשֹׁ֗ק כִּֽי־תִ֭מְאַס יְגִ֣יעַ כַּפֶּ֑יךָ וְעַל־עֲצַ֖ת רְשָׁעִ֣ים הוֹפָֽעְתָּ׃ | 3 |
আমার উপরে জুলুম চালাতে, তোমার হাতের কাজকে পদদলিত করতে কি তোমার আনন্দ হয়, যদিও দুষ্টদের পরিকল্পনা দেখে তোমার হাসি পায়?
הַעֵינֵ֣י בָשָׂ֣ר לָ֑ךְ אִם־כִּרְא֖וֹת אֱנ֣וֹשׁ תִּרְאֶֽה׃ | 4 |
তোমার কি মানুষের মতো চোখ আছে? তুমি কি নশ্বর মানুষের মতো দেখতে পাও?
הֲכִימֵ֣י אֱנ֣וֹשׁ יָמֶ֑יךָ אִם־שְׁ֝נוֹתֶ֗יךָ כִּ֣ימֵי גָֽבֶר׃ | 5 |
তোমার আয়ু কি নশ্বর মানুষের মতো বা তোমার জীবনকাল কি বলশালী এক মানুষের মতো
כִּֽי־תְבַקֵּ֥שׁ לַעֲוֹנִ֑י וּ֭לְחַטָּאתִ֥י תִדְרֽוֹשׁ׃ | 6 |
যে তোমাকে আমার দোষ খুঁজে বেড়াতে হবে ও আমার পাপ প্রমাণ করতে হবে—
עַֽל־דַּ֭עְתְּךָ כִּי־לֹ֣א אֶרְשָׁ֑ע וְאֵ֖ין מִיָּדְךָ֣ מַצִּֽיל׃ | 7 |
যদিও তুমি জানো যে আমি দোষী নই ও কেউই তোমার হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করতে পারবে না?
יָדֶ֣יךָ עִ֭צְּבוּנִי וַֽיַּעֲשׂ֑וּנִי יַ֥חַד סָ֝בִ֗יב וַֽתְּבַלְּעֵֽנִי׃ | 8 |
“তোমার হাত আমাকে গড়ে তুলেছে ও আমাকে নির্মাণ করেছে। এখন কি তুমি ঘুরে দাঁড়িয়ে আমাকে ধ্বংস করবে?
זְכָר־נָ֭א כִּי־כַחֹ֣מֶר עֲשִׂיתָ֑נִי וְֽאֶל־עָפָ֥ר תְּשִׁיבֵֽנִי׃ | 9 |
মনে রেখো যে তুমি মাটির মতো করে আমাকে গড়ে তুলেছ। এখন কি তুমি আবার আমাকে মাটিতে মিশিয়ে দেবে?
הֲלֹ֣א כֶ֭חָלָב תַּתִּיכֵ֑נִי וְ֝כַגְּבִנָּ֗ה תַּקְפִּיאֵֽנִי׃ | 10 |
তুমি কি আমাকে দুধের মতো ঢেলে দাওনি ও পনিরের মতো আমাকে ঘন করোনি,
ע֣וֹר וּ֭בָשָׂר תַּלְבִּישֵׁ֑נִי וּֽבַעֲצָמ֥וֹת וְ֝גִידִ֗ים תְּסֹכְכֵֽנִי׃ | 11 |
চর্ম-মাংস দিয়ে আমাকে আচ্ছাদিত করোনি এবং অস্থি ও মাংসপেশী দিয়ে আমাকে একসঙ্গে সংযুক্ত করোনি?
חַיִּ֣ים וָ֭חֶסֶד עָשִׂ֣יתָ עִמָּדִ֑י וּ֝פְקֻדָּתְךָ֗ שָֽׁמְרָ֥ה רוּחִֽי׃ | 12 |
তুমি আমাকে জীবন দিয়েছ ও আমার প্রতি দয়া দেখিয়েছ, ও তোমার দূরদর্শিতায় আমার আত্মাকে পাহারা দিয়েছ।
וְ֭אֵלֶּה צָפַ֣נְתָּ בִלְבָבֶ֑ךָ יָ֝דַ֗עְתִּי כִּי־זֹ֥את עִמָּֽךְ׃ | 13 |
“কিন্তু তোমার অন্তরে তুমি এসব গুপ্ত রেখেছিলে, ও আমি জানি যে তোমার মনে এই ছিল:
אִם־חָטָ֥אתִי וּשְׁמַרְתָּ֑נִי וּ֝מֵעֲוֹנִ֗י לֹ֣א תְנַקֵּֽנִי׃ | 14 |
আমি যদি পাপ করি, তবে তুমি আমার প্রতি লক্ষ্য রাখবে ও আমার অপরাধ ক্ষমা করবে না।
אִם־רָשַׁ֡עְתִּי אַלְלַ֬י לִ֗י וְ֭צָדַקְתִּי לֹא־אֶשָּׂ֣א רֹאשִׁ֑י שְׂבַ֥ע קָ֝ל֗וֹן וּרְאֵ֥ה עָנְיִֽי׃ | 15 |
আমি যদি দোষী—তবে আমার প্রতি হায়! আমি যদি নির্দোষও হয়ে থাকি, তাও আমি মাথা তুলতে পারব না, যেহেতু আমি লজ্জায় পরিপূর্ণ ও আমার দুঃখদুর্দশায় ডুবে আছি।
וְ֭יִגְאֶה כַּשַּׁ֣חַל תְּצוּדֵ֑נִי וְ֝תָשֹׁ֗ב תִּתְפַּלָּא־בִֽי׃ | 16 |
আমি যদি আমার মাথা তুলি, তবে তুমি এক সিংহের মতো চুপিসাড়ে আমাকে অনুসরণ করবে ও আবার আমার বিরুদ্ধে তোমার অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করবে।
תְּחַדֵּ֬שׁ עֵדֶ֨יךָ ׀ נֶגְדִּ֗י וְתֶ֣רֶב כַּֽ֭עַשְׂךָ עִמָּדִ֑י חֲלִיפ֖וֹת וְצָבָ֣א עִמִּֽי׃ | 17 |
তুমি আমার বিরুদ্ধে নতুন নতুন সাক্ষী এনেছ ও আমার প্রতি তোমার ক্রোধ বৃদ্ধি পেয়েছে; তোমার সৈন্যবাহিনী আমার বিরুদ্ধে ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়েছে।
וְלָ֣מָּה מֵ֭רֶחֶם הֹצֵאתָ֑נִי אֶ֝גְוַ֗ע וְעַ֣יִן לֹא־תִרְאֵֽנִי׃ | 18 |
“তুমি কেন তবে আমাকে গর্ভ থেকে বের করে আনলে? কোনও চোখ আমাকে দেখার আগে আমার মৃত্যু হলেই ভালো হত।
כַּאֲשֶׁ֣ר לֹא־הָיִ֣יתִי אֶהְיֶ֑ה מִ֝בֶּ֗טֶן לַקֶּ֥בֶר אוּבָֽל׃ | 19 |
আমি অজাত অবস্থায় থাকলেই ভালো হত, বা গর্ভ থেকে সোজা কবরে চলে যেতে পারলেই ভালো হত!
הֲלֹא־מְעַ֣ט יָמַ֣י וַחֲדָ֑ל וְשִׁ֥ית מִ֝מֶּ֗נִּי וְאַבְלִ֥יגָה מְּעָֽט׃ | 20 |
আমার জীবনের অল্প কয়েকটি দিন কি প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে না? আমার কাছ থেকে সরে যাও যেন সেই স্থানে যাওয়ার আগে, আমি এক মুহূর্তের আনন্দ উপভোগ করতে পারি
בְּטֶ֣רֶם אֵ֭לֵךְ וְלֹ֣א אָשׁ֑וּב אֶל־אֶ֖רֶץ חֹ֣שֶׁךְ וְצַלְמָֽוֶת׃ | 21 |
যেখান থেকে কেউ ফিরে আসে না, বিষাদ ও নিরেট অন্ধকারের সেই দেশ,
אֶ֤רֶץ עֵיפָ֨תָה ׀ כְּמ֥וֹ אֹ֗פֶל צַ֭לְמָוֶת וְלֹ֥א סְדָרִ֗ים וַתֹּ֥פַע כְּמוֹ־אֹֽפֶל׃ פ | 22 |
গভীর রাতের সেই দেশ, নিরেট অন্ধকারের ও বিশৃঙ্খলার সেই দেশ, যেখানে আলোও অন্ধকারের সমান।”