< בְּרֵאשִׁית 24 >

וְאַבְרָהָ֣ם זָקֵ֔ן בָּ֖א בַּיָּמִ֑ים וַֽיהוָ֛ה בֵּרַ֥ךְ אֶת־אַבְרָהָ֖ם בַּכֹּֽל׃ 1
অব্রাহাম খুব বৃদ্ধ হয়ে গেলেন এবং সদাপ্রভু তাঁকে সবদিক থেকেই আশীর্বাদ করলেন।
וַיֹּ֣אמֶר אַבְרָהָ֗ם אֶל־עַבְדּוֹ֙ זְקַ֣ן בֵּית֔וֹ הַמֹּשֵׁ֖ל בְּכָל־אֲשֶׁר־ל֑וֹ שִֽׂים־נָ֥א יָדְךָ֖ תַּ֥חַת יְרֵכִֽי׃ 2
যিনি তাঁর সব সম্পত্তি দেখাশোনা করতেন, তাঁর ঘরের সেই প্রবীণ দাসকে তিনি বললেন, “তুমি আমার ঊরুর তলায় হাত রাখো।
וְאַשְׁבִּ֣יעֲךָ֔ בַּֽיהוָה֙ אֱלֹהֵ֣י הַשָּׁמַ֔יִם וֵֽאלֹהֵ֖י הָאָ֑רֶץ אֲשֶׁ֨ר לֹֽא־תִקַּ֤ח אִשָּׁה֙ לִבְנִ֔י מִבְּנוֹת֙ הַֽכְּנַעֲנִ֔י אֲשֶׁ֥ר אָנֹכִ֖י יוֹשֵׁ֥ב בְּקִרְבּֽוֹ׃ 3
যিনি স্বর্গের ঈশ্বর ও পৃথিবীরও ঈশ্বর, আমি চাই তুমি সেই সদাপ্রভুর নামে এই শপথ করো, যে আমি যাদের মধ্যে বসবাস করছি, সেই কনানীয়দের কোনো মেয়েকে তুমি আমার ছেলের স্ত্রী করে আনবে না,
כִּ֧י אֶל־אַרְצִ֛י וְאֶל־מוֹלַדְתִּ֖י תֵּלֵ֑ךְ וְלָקַחְתָּ֥ אִשָּׁ֖ה לִבְנִ֥י לְיִצְחָֽק׃ 4
কিন্তু তুমি আমার দেশে ও আমার আপন আত্মীয়স্বজনদের কাছে যাবে এবং আমার ছেলে ইস্‌হাকের জন্য এক স্ত্রী নিয়ে আসবে।”
וַיֹּ֤אמֶר אֵלָיו֙ הָעֶ֔בֶד אוּלַי֙ לֹא־תֹאבֶ֣ה הָֽאִשָּׁ֔ה לָלֶ֥כֶת אַחֲרַ֖י אֶל־הָאָ֣רֶץ הַזֹּ֑את הֶֽהָשֵׁ֤ב אָשִׁיב֙ אֶת־בִּנְךָ֔ אֶל־הָאָ֖רֶץ אֲשֶׁר־יָצָ֥אתָ מִשָּֽׁם׃ 5
সেই দাস তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সেই মেয়েটি যদি এই দেশে আসতে অনিচ্ছুক হয় তবে কী হবে? তবে কি যে দেশ থেকে আপনি এসেছেন, সেই দেশে আমি আপনার ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাব?”
וַיֹּ֥אמֶר אֵלָ֖יו אַבְרָהָ֑ם הִשָּׁ֣מֶר לְךָ֔ פֶּן־תָּשִׁ֥יב אֶת־בְּנִ֖י שָֽׁמָּה׃ 6
“তুমি কোনোমতেই আমার ছেলেকে সেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে না,” অব্রাহাম বললেন।
יְהוָ֣ה ׀ אֱלֹהֵ֣י הַשָּׁמַ֗יִם אֲשֶׁ֨ר לְקָחַ֜נִי מִבֵּ֣ית אָבִי֮ וּמֵאֶ֣רֶץ מֽוֹלַדְתִּי֒ וַאֲשֶׁ֨ר דִּבֶּר־לִ֜י וַאֲשֶׁ֤ר נִֽשְׁבַּֽע־לִי֙ לֵאמֹ֔ר לְזַ֨רְעֲךָ֔ אֶתֵּ֖ן אֶת־הָאָ֣רֶץ הַזֹּ֑את ה֗וּא יִשְׁלַ֤ח מַלְאָכוֹ֙ לְפָנֶ֔יךָ וְלָקַחְתָּ֥ אִשָּׁ֛ה לִבְנִ֖י מִשָּֽׁם׃ 7
“স্বর্গের সেই ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আমাকে আমার পিতৃগৃহ থেকে ও আমার মাতৃভূমি থেকে বের করে এনেছেন এবং আমার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এক শপথের মাধ্যমে প্রতিজ্ঞা করে বলেছেন, ‘এই স্থানটি আমি তোমার সন্তানসন্ততিকে দেব,’ তিনিই তোমার অগ্রগামী করে তাঁর দূতকে পাঠিয়ে দেবেন, যেন তুমি সেখান থেকে আমার ছেলের জন্য এক স্ত্রী আনতে পারো।
וְאִם־לֹ֨א תֹאבֶ֤ה הָֽאִשָּׁה֙ לָלֶ֣כֶת אַחֲרֶ֔יךָ וְנִקִּ֕יתָ מִשְּׁבֻעָתִ֖י זֹ֑את רַ֣ק אֶת־בְּנִ֔י לֹ֥א תָשֵׁ֖ב שָֽׁמָּה׃ 8
যদি সেই মেয়েটি তোমার সঙ্গে আসতে না চায়, তবে তুমি আমার এই শপথ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। শুধু তুমি আমার ছেলেকে সেখানে ফিরিয়ে নিয়ে যেয়ো না।”
וַיָּ֤שֶׂם הָעֶ֙בֶד֙ אֶת־יָד֔וֹ תַּ֛חַת יֶ֥רֶךְ אַבְרָהָ֖ם אֲדֹנָ֑יו וַיִּשָּׁ֣בַֽע ל֔וֹ עַל־הַדָּבָ֖ר הַזֶּֽה׃ 9
অতএব সেই দাস তাঁর প্রভু অব্রাহামের ঊরুর তলায় হাত রেখে এই বিষয়ে তাঁর কাছে শপথ করলেন।
וַיִּקַּ֣ח הָ֠עֶבֶד עֲשָׂרָ֨ה גְמַלִּ֜ים מִגְּמַלֵּ֤י אֲדֹנָיו֙ וַיֵּ֔לֶךְ וְכָל־ט֥וּב אֲדֹנָ֖יו בְּיָד֑וֹ וַיָּ֗קָם וַיֵּ֛לֶךְ אֶל־אֲרַ֥ם נַֽהֲרַ֖יִם אֶל־עִ֥יר נָחֽוֹר׃ 10
পরে সেই দাস তাঁর প্রভুর উটগুলির মধ্যে থেকে দশটি উটের পিঠে তাঁর প্রভুর কাছ থেকে পাওয়া সব ধরনের ভালো ভালো জিনিসপত্র চাপিয়ে নিয়ে রওনা হয়ে গেলেন। তিনি অরাম-নহরয়িমের উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলেন এবং নাহোরের নগরে পৌঁছালেন।
וַיַּבְרֵ֧ךְ הַגְּמַלִּ֛ים מִח֥וּץ לָעִ֖יר אֶל־בְּאֵ֣ר הַמָּ֑יִם לְעֵ֣ת עֶ֔רֶב לְעֵ֖ת צֵ֥את הַשֹּׁאֲבֹֽת׃ 11
তিনি নগরের বাইরে অবস্থিত একটি কুয়োর কাছে উটগুলিকে নতজানু করে বসালেন; তখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল, যে সময় মহিলারা কুয়ো থেকে জল তুলতে যায়।
וַיֹּאמַ֓ר ׀ יְהוָ֗ה אֱלֹהֵי֙ אֲדֹנִ֣י אַבְרָהָ֔ם הַקְרֵה־נָ֥א לְפָנַ֖י הַיּ֑וֹם וַעֲשֵׂה־חֶ֕סֶד עִ֖ם אֲדֹנִ֥י אַבְרָהָֽם׃ 12
তখন তিনি প্রার্থনা করলেন, “হে সদাপ্রভু, আমার প্রভু অব্রাহামের ঈশ্বর, আজ তুমি আমাকে সফল করে তোলো, এবং আমার প্রভু অব্রাহামের প্রতি দয়া দেখাও।
הִנֵּ֛ה אָנֹכִ֥י נִצָּ֖ב עַל־עֵ֣ין הַמָּ֑יִם וּבְנוֹת֙ אַנְשֵׁ֣י הָעִ֔יר יֹצְאֹ֖ת לִשְׁאֹ֥ב מָֽיִם׃ 13
দেখো, আমি এই জলের উৎসের ধারে দাঁড়িয়ে আছি, এবং নগরবাসীদের মেয়েরা জল তুলতে আসছে।
וְהָיָ֣ה הַֽנַּעֲרָ֗ אֲשֶׁ֨ר אֹמַ֤ר אֵלֶ֙יהָ֙ הַטִּי־נָ֤א כַדֵּךְ֙ וְאֶשְׁתֶּ֔ה וְאָמְרָ֣ה שְׁתֵ֔ה וְגַם־גְּמַלֶּ֖יךָ אַשְׁקֶ֑ה אֹתָ֤הּ הֹכַ֙חְתָּ֙ לְעַבְדְּךָ֣ לְיִצְחָ֔ק וּבָ֣הּ אֵדַ֔ע כִּי־עָשִׂ֥יתָ חֶ֖סֶד עִם־אֲדֹנִֽי׃ 14
এরকমই হোক যেন আমি যখন একটি যুবতী মেয়েকে বলব, ‘দয়া করে তোমার কলশিটি নামিয়ে রাখো যেন আমি জলপান করতে পারি,’ এবং সে যখন বলবে, ‘আপনি পান করুন এবং আপনার উটগুলির জন্যও আমি পানীয় জল দেব,’ তখন সেই যেন সেই মেয়ে হয়, যাকে তুমি তোমার দাস ইস্‌হাকের জন্য মনোনীত করেছ। এর দ্বারাই আমি জানতে পারব যে তুমি আমার প্রভুর প্রতি দয়া দেখিয়েছ।”
וַֽיְהִי־ה֗וּא טֶרֶם֮ כִּלָּ֣ה לְדַבֵּר֒ וְהִנֵּ֧ה רִבְקָ֣ה יֹצֵ֗את אֲשֶׁ֤ר יֻלְּדָה֙ לִבְתוּאֵ֣ל בֶּן־מִלְכָּ֔ה אֵ֥שֶׁת נָח֖וֹר אֲחִ֣י אַבְרָהָ֑ם וְכַדָּ֖הּ עַל־שִׁכְמָֽהּ׃ 15
ঈশ্বরের কাছে করা তাঁর প্রার্থনাটি শেষ হওয়ার আগেই রিবিকা তার কলশি কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে এলেন। তিনি অব্রাহামের ভাই নাহোরের স্ত্রী মিল্কার ছেলে বথূয়েলের মেয়ে।
וְהַֽנַּעֲרָ֗ טֹבַ֤ת מַרְאֶה֙ מְאֹ֔ד בְּתוּלָ֕ה וְאִ֖ישׁ לֹ֣א יְדָעָ֑הּ וַתֵּ֣רֶד הָעַ֔יְנָה וַתְּמַלֵּ֥א כַדָּ֖הּ וַתָּֽעַל׃ 16
সেই মেয়েটি অপরূপ সুন্দরী, ও এক কুমারী ছিলেন; কোনও পুরুষ কখনও তাঁর সাথে শোয়নি। তিনি জলের উৎসের কাছে নেমে গিয়ে, তাঁর কলশিতে জল ভরে আবার উপরে উঠে আসছিলেন।
וַיָּ֥רָץ הָעֶ֖בֶד לִקְרָאתָ֑הּ וַיֹּ֕אמֶר הַגְמִיאִ֥ינִי נָ֛א מְעַט־מַ֖יִם מִכַּדֵּֽךְ׃ 17
সেই দাস তাড়াতাড়ি তাঁর সাথে দেখা করে বললেন, “দয়া করে তোমার কলশি থেকে আমায় একটু জল দাও।”
וַתֹּ֖אמֶר שְׁתֵ֣ה אֲדֹנִ֑י וַתְּמַהֵ֗ר וַתֹּ֧רֶד כַּדָּ֛הּ עַל־יָדָ֖הּ וַתַּשְׁקֵֽהוּ׃ 18
“হে আমার প্রভু, পান করুন,” এই বলে রিবিকা চট্ করে কলশিটি হাতে নামিয়ে এনে তাঁকে পানীয় জল দিলেন।
וַתְּכַ֖ל לְהַשְׁקֹת֑וֹ וַתֹּ֗אמֶר גַּ֤ם לִגְמַלֶּ֙יךָ֙ אֶשְׁאָ֔ב עַ֥ד אִם־כִּלּ֖וּ לִשְׁתֹּֽת׃ 19
তাঁকে পানীয় জল দেওয়ার পর রিবিকা বললেন, “আমি আপনার উটগুলির জন্যও ততক্ষণ জল তুলতে থাকব, যতক্ষণ না তারা যথেষ্ট পরিমাণ জলপান করে ফেলছে।”
וַתְּמַהֵ֗ר וַתְּעַ֤ר כַּדָּהּ֙ אֶל־הַשֹּׁ֔קֶת וַתָּ֥רָץ ע֛וֹד אֶֽל־הַבְּאֵ֖ר לִשְׁאֹ֑ב וַתִּשְׁאַ֖ב לְכָל־גְּמַלָּֽיו׃ 20
অতএব তিনি তাড়াতাড়ি সেই জাবপাত্রে কলশির জল খালি করে দিলেন, আরও জল তোলার জন্য কুয়োর কাছে দৌড়ে ফিরে গেলেন, এবং সেই দাসের সব উটের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জল তুলে আনলেন।
וְהָאִ֥ישׁ מִשְׁתָּאֵ֖ה לָ֑הּ מַחֲרִ֕ישׁ לָדַ֗עַת הַֽהִצְלִ֧יחַ יְהוָ֛ה דַּרְכּ֖וֹ אִם־לֹֽא׃ 21
কোনও কথা না বলে সেই লোকটি এই বিষয়টি বোঝার জন্য তাঁকে খুব ভালো করে লক্ষ্য করছিলেন, যে সদাপ্রভু তাঁর যাত্রা আদৌ সফল করেছেন কি না।
וַיְהִ֗י כַּאֲשֶׁ֨ר כִּלּ֤וּ הַגְּמַלִּים֙ לִשְׁתּ֔וֹת וַיִּקַּ֤ח הָאִישׁ֙ נֶ֣זֶם זָהָ֔ב בֶּ֖קַע מִשְׁקָל֑וֹ וּשְׁנֵ֤י צְמִידִים֙ עַל־יָדֶ֔יהָ עֲשָׂרָ֥ה זָהָ֖ב מִשְׁקָלָֽם׃ 22
উটগুলি জলপান করে ফেলার পর, সেই লোকটি এক বেকা ওজনের একটি সোনার নথ এবং দশ শেকল ওজনের সোনার দুটি বালা বের করলেন।
וַיֹּ֙אמֶר֙ בַּת־מִ֣י אַ֔תְּ הַגִּ֥ידִי נָ֖א לִ֑י הֲיֵ֧שׁ בֵּית־אָבִ֛יךְ מָק֥וֹם לָ֖נוּ לָלִֽין׃ 23
পরে তিনি প্রশ্ন করলেন, “তুমি কার মেয়ে? দয়া করে আমায় বলো তো, তোমার পিতৃগৃহে আমাদের রাত কাটানোর জন্য ঘর আছে কি?”
וַתֹּ֣אמֶר אֵלָ֔יו בַּת־בְּתוּאֵ֖ל אָנֹ֑כִי בֶּן־מִלְכָּ֕ה אֲשֶׁ֥ר יָלְדָ֖ה לְנָחֽוֹר׃ 24
রিবিকা তাঁকে উত্তর দিলেন, “আমি সেই বথূয়েলের মেয়ে, যিনি নাহোরের ছেলে, ও যাঁকে মিল্কা নাহোরের জন্য জন্ম দিয়েছিলেন।”
וַתֹּ֣אמֶר אֵלָ֔יו גַּם־תֶּ֥בֶן גַּם־מִסְפּ֖וֹא רַ֣ב עִמָּ֑נוּ גַּם־מָק֖וֹם לָלֽוּן׃ 25
তিনি আরও বললেন, “আমাদের কাছে প্রচুর খড়-বিচালি ও জাব আছে, তা ছাড়া আপনাদের রাত কাটানোর জন্য ঘরও আছে।”
וַיִּקֹּ֣ד הָאִ֔ישׁ וַיִּשְׁתַּ֖חוּ לַֽיהוָֽה׃ 26
তখন সেই লোকটি মাথা নত করে সদাপ্রভুর আরাধনা করলেন,
וַיֹּ֗אמֶר בָּר֤וּךְ יְהוָה֙ אֱלֹהֵי֙ אֲדֹנִ֣י אַבְרָהָ֔ם אֲ֠שֶׁר לֹֽא־עָזַ֥ב חַסְדּ֛וֹ וַאֲמִתּ֖וֹ מֵעִ֣ם אֲדֹנִ֑י אָנֹכִ֗י בַּדֶּ֙רֶךְ֙ נָחַ֣נִי יְהוָ֔ה בֵּ֖ית אֲחֵ֥י אֲדֹנִֽי׃ 27
এবং বললেন, “আমার প্রভু অব্রাহামের ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক, যিনি আমার প্রভুর প্রতি তাঁর দয়া ও বিশ্বস্ততা দেখাতে ক্ষান্ত হননি। আমার ক্ষেত্রেও, সদাপ্রভু আমার প্রভুর আত্মীয়স্বজনের বাড়ি পর্যন্ত যাত্রাপথে আমাকে পথ দেখালেন।”
וַתָּ֙רָץ֙ הַֽנַּעֲרָ֔ וַתַּגֵּ֖ד לְבֵ֣ית אִמָּ֑הּ כַּדְּבָרִ֖ים הָאֵֽלֶּה׃ 28
যুবতী মেয়েটি দৌড়ে গিয়ে তাঁর মায়ের পরিজনদের এইসব বিষয় জানালেন।
וּלְרִבְקָ֥ה אָ֖ח וּשְׁמ֣וֹ לָבָ֑ן וַיָּ֨רָץ לָבָ֧ן אֶל־הָאִ֛ישׁ הַח֖וּצָה אֶל־הָעָֽיִן׃ 29
রিবিকার এক দাদা ছিলেন, যাঁর নাম লাবন, আর তিনি চট্ করে জলের উৎসের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির কাছে চলে গেলেন।
וַיְהִ֣י ׀ כִּרְאֹ֣ת אֶת־הַנֶּ֗זֶם וְֽאֶת־הַצְּמִדִים֮ עַל־יְדֵ֣י אֲחֹתוֹ֒ וּכְשָׁמְע֗וֹ אֶת־דִּבְרֵ֞י רִבְקָ֤ה אֲחֹתוֹ֙ לֵאמֹ֔ר כֹּֽה־דִבֶּ֥ר אֵלַ֖י הָאִ֑ישׁ וַיָּבֹא֙ אֶל־הָאִ֔ישׁ וְהִנֵּ֛ה עֹמֵ֥ד עַל־הַגְּמַלִּ֖ים עַל־הָעָֽיִן׃ 30
সেই নথটি এবং তাঁর বোনের হাতের বালা দেখামাত্রই এবং রিবিকাকে সেই লোকটি যা যা বলেছিলেন, সেসব কথা তাঁর কাছ থেকে শোনামাত্রই তিনি সেই লোকটির কাছে চলে গেলেন এবং দেখতে পেলেন, তিনি সেই জলের উৎসের কাছে উটগুলি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
וַיֹּ֕אמֶר בּ֖וֹא בְּר֣וּךְ יְהוָ֑ה לָ֤מָּה תַעֲמֹד֙ בַּח֔וּץ וְאָנֹכִי֙ פִּנִּ֣יתִי הַבַּ֔יִת וּמָק֖וֹם לַגְּמַלִּֽים׃ 31
“হে সদাপ্রভুর আশীর্বাদধন্য ব্যক্তি, আসুন,” তিনি বললেন। “আপনি এখানে বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? আমি আপনার জন্য বাড়িঘর ঠিকঠাক করে রেখেছি এবং উটগুলির জন্যও জায়গা করে রেখেছি।”
וַיָּבֹ֤א הָאִישׁ֙ הַבַּ֔יְתָה וַיְפַתַּ֖ח הַגְּמַלִּ֑ים וַיִּתֵּ֨ן תֶּ֤בֶן וּמִסְפּוֹא֙ לַגְּמַלִּ֔ים וּמַ֙יִם֙ לִרְחֹ֣ץ רַגְלָ֔יו וְרַגְלֵ֥י הָאֲנָשִׁ֖ים אֲשֶׁ֥ר אִתּֽוֹ׃ 32
অতএব সেই লোকটি বাড়িতে গেলেন এবং উটগুলিকেও ভারমুক্ত করা হল। উটগুলির জন্য খড়-বিচালি ও জাব আনা হল এবং তাঁর ও তাঁর লোকজনের পা ধোয়ার জন্য জল আনা হল।
וַיּוּשַׂ֤ם לְפָנָיו֙ לֶאֱכֹ֔ל וַיֹּ֙אמֶר֙ לֹ֣א אֹכַ֔ל עַ֥ד אִם־דִּבַּ֖רְתִּי דְּבָרָ֑י וַיֹּ֖אמֶר דַּבֵּֽר׃ 33
পরে তাঁর সামনে খাবার পরিবেশন করা হল, কিন্তু তিনি বললেন, “আমার যা বলার আছে তা যতক্ষণ না আমি আপনাদের বলে শুনাচ্ছি, ততক্ষণ আমি কিছু খাব না।” “তবে আমাদের তা বলে ফেলুন।” লাবন বললেন।
וַיֹּאמַ֑ר עֶ֥בֶד אַבְרָהָ֖ם אָנֹֽכִי׃ 34
অতএব তিনি বললেন, “আমি অব্রাহামের দাস।
וַיהוָ֞ה בֵּרַ֧ךְ אֶת־אֲדֹנִ֛י מְאֹ֖ד וַיִּגְדָּ֑ל וַיִּתֶּן־ל֞וֹ צֹ֤אן וּבָקָר֙ וְכֶ֣סֶף וְזָהָ֔ב וַעֲבָדִם֙ וּשְׁפָחֹ֔ת וּגְמַלִּ֖ים וַחֲמֹרִֽים׃ 35
সদাপ্রভু আমার প্রভুকে প্রচুর পরিমাণে আশীর্বাদ করেছেন, এবং তিনি ধনী হয়ে গিয়েছেন। সদাপ্রভু তাঁকে মেষ ও গবাদি পশুপাল, রুপো ও সোনা, দাস ও দাসী, এবং উট ও গাধা দিয়েছেন।
וַתֵּ֡לֶד שָׂרָה֩ אֵ֨שֶׁת אֲדֹנִ֥י בֵן֙ לַֽאדֹנִ֔י אַחֲרֵ֖י זִקְנָתָ֑הּ וַיִּתֶּן־לּ֖וֹ אֶת־כָּל־אֲשֶׁר־לֽוֹ׃ 36
আমার প্রভুর স্ত্রী সারা বৃদ্ধাবস্থায় তাঁর জন্য এক ছেলের জন্ম দিয়েছেন, এবং আমার প্রভুর নিজস্ব সবকিছু তিনি তাঁকেই দিয়েছেন।
וַיַּשְׁבִּעֵ֥נִי אֲדֹנִ֖י לֵאמֹ֑ר לֹא־תִקַּ֤ח אִשָּׁה֙ לִבְנִ֔י מִבְּנוֹת֙ הַֽכְּנַעֲנִ֔י אֲשֶׁ֥ר אָנֹכִ֖י יֹשֵׁ֥ב בְּאַרְצֽוֹ׃ 37
আর আমার প্রভু আমাকে দিয়ে এক শপথ করিয়ে নিয়েছেন, ও বলেছেন, ‘যাদের দেশে আমরা বসবাস করছি, সেই কনানীয়দের মেয়েদের মধ্যে থেকে কাউকে তুমি আমার ছেলের স্ত্রী করে আনবে না,
אִם־לֹ֧א אֶל־בֵּית־אָבִ֛י תֵּלֵ֖ךְ וְאֶל־מִשְׁפַּחְתִּ֑י וְלָקַחְתָּ֥ אִשָּׁ֖ה לִבְנִֽי׃ 38
কিন্তু তুমি আমার পিতৃপরিজনদের এবং আমার নিজের গোত্রভুক্ত লোকজনের কাছে যাবে, ও আমার ছেলের জন্য এক স্ত্রী নিয়ে আসবে।’
וָאֹמַ֖ר אֶל־אֲדֹנִ֑י אֻלַ֛י לֹא־תֵלֵ֥ךְ הָאִשָּׁ֖ה אַחֲרָֽי׃ 39
“তখন আমি আমার প্রভুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘সেই মেয়েটি যদি আমার সঙ্গে আসতে না চায় তবে কী হবে?’
וַיֹּ֖אמֶר אֵלָ֑י יְהוָ֞ה אֲשֶׁר־הִתְהַלַּ֣כְתִּי לְפָנָ֗יו יִשְׁלַ֨ח מַלְאָכ֤וֹ אִתָּךְ֙ וְהִצְלִ֣יחַ דַּרְכֶּ֔ךָ וְלָקַחְתָּ֤ אִשָּׁה֙ לִבְנִ֔י מִמִּשְׁפַּחְתִּ֖י וּמִבֵּ֥ית אָבִֽי׃ 40
“তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘যাঁর সাক্ষাতে আমি বিশ্বস্ততাপূর্বক চলেছি, সেই সদাপ্রভুই তাঁর দূতকে তোমার সঙ্গে পাঠাবেন এবং তোমার যাত্রা সফল করবেন, যেন তুমি আমার নিজের গোত্রভুক্ত লোকজনের ও আমার পিতৃপরিজনদের মধ্য থেকেই আমার ছেলের জন্য এক স্ত্রী আনতে পারো।
אָ֤ז תִּנָּקֶה֙ מֵאָ֣לָתִ֔י כִּ֥י תָב֖וֹא אֶל־מִשְׁפַּחְתִּ֑י וְאִם־לֹ֤א יִתְּנוּ֙ לָ֔ךְ וְהָיִ֥יתָ נָקִ֖י מֵאָלָתִֽי׃ 41
আমার শপথ থেকে তুমি মুক্ত হয়ে যাবে যদি, তুমি যখন আমার গোত্রভুক্ত লোকজনের কাছে যাবে, ও তারা যদি মেয়েটিকে তোমার হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করে—তখন তুমি আমার শপথ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।’
וָאָבֹ֥א הַיּ֖וֹם אֶל־הָעָ֑יִן וָאֹמַ֗ר יְהוָה֙ אֱלֹהֵי֙ אֲדֹנִ֣י אַבְרָהָ֔ם אִם־יֶשְׁךָ־נָּא֙ מַצְלִ֣יחַ דַּרְכִּ֔י אֲשֶׁ֥ר אָנֹכִ֖י הֹלֵ֥ךְ עָלֶֽיהָ׃ 42
“আজ যখন আমি জলের উৎসের কাছে এলাম, তখন আমি বললাম, ‘হে সদাপ্রভু, আমার প্রভু অব্রাহামের ঈশ্বর, যদি তোমার ইচ্ছা হয়, তবে দয়া করে তুমি আমার এই যাত্রা সফল করো, যে যাত্রায় আমি বের হয়ে এসেছি।
הִנֵּ֛ה אָנֹכִ֥י נִצָּ֖ב עַל־עֵ֣ין הַמָּ֑יִם וְהָיָ֤ה הָֽעַלְמָה֙ הַיֹּצֵ֣את לִשְׁאֹ֔ב וְאָמַרְתִּ֣י אֵלֶ֔יהָ הַשְׁקִֽינִי־נָ֥א מְעַט־מַ֖יִם מִכַּדֵּֽךְ׃ 43
দেখো, আমি এই জলের উৎসের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। একটি যুবতী মেয়ে যদি এখানে জল তুলতে আসে এবং আমি যদি তাকে বলি, “দয়া করে তোমার কলশি থেকে আমাকে একটু জলপান করতে দাও,”
וְאָמְרָ֤ה אֵלַי֙ גַּם־אַתָּ֣ה שְׁתֵ֔ה וְגַ֥ם לִגְמַלֶּ֖יךָ אֶשְׁאָ֑ב הִ֣וא הָֽאִשָּׁ֔ה אֲשֶׁר־הֹכִ֥יחַ יְהוָ֖ה לְבֶן־אֲדֹנִֽי׃ 44
আর সে যদি আমাকে বলে, “পান করুন, এবং আমি আপনার উটগুলির জন্যও জল তুলে দেব,” তবে সেই যেন এমন একজন হয়, যাকে সদাপ্রভু আমার প্রভুর ছেলের জন্য মনোনীত করে রেখেছেন।’
אֲנִי֩ טֶ֨רֶם אֲכַלֶּ֜ה לְדַבֵּ֣ר אֶל־לִבִּ֗י וְהִנֵּ֨ה רִבְקָ֤ה יֹצֵאת֙ וְכַדָּ֣הּ עַל־שִׁכְמָ֔הּ וַתֵּ֥רֶד הָעַ֖יְנָה וַתִּשְׁאָ֑ב וָאֹמַ֥ר אֵלֶ֖יהָ הַשְׁקִ֥ינִי נָֽא׃ 45
“মনে মনে আমি এই প্রার্থনা শেষ করার আগেই, রিবিকা বেরিয়ে এল, ও তার কাঁধে কলশি ছিল। সে জলের উৎসের কাছে নেমে গেল ও জল তুলছিল, আর আমি তাকে বললাম, ‘দয়া করে আমাকে পান করার জল দাও।’
וַתְּמַהֵ֗ר וַתּ֤וֹרֶד כַּדָּהּ֙ מֵֽעָלֶ֔יהָ וַתֹּ֣אמֶר שְׁתֵ֔ה וְגַם־גְּמַלֶּ֖יךָ אַשְׁקֶ֑ה וָאֵ֕שְׁתְּ וְגַ֥ם הַגְּמַלִּ֖ים הִשְׁקָֽתָה׃ 46
“সে তাড়াতাড়ি কাঁধ থেকে তার কলশিটি নামিয়ে এনে বলল, ‘পান করুন, এবং আমি আপনার উটগুলির জন্যও জল দেব।’ অতএব আমি জলপান করলাম, এবং সে উটগুলিকেও জল দিল।
וָאֶשְׁאַ֣ל אֹתָ֗הּ וָאֹמַר֮ בַּת־מִ֣י אַתְּ֒ וַתֹּ֗אמֶר בַּת־בְּתוּאֵל֙ בֶּן־נָח֔וֹר אֲשֶׁ֥ר יָֽלְדָה־לּ֖וֹ מִלְכָּ֑ה וָאָשִׂ֤ם הַנֶּ֙זֶם֙ עַל־אַפָּ֔הּ וְהַצְּמִידִ֖ים עַל־יָדֶֽיהָ׃ 47
“আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তুমি কার মেয়ে?’ “সে বলল, ‘আমি সেই বথূয়েলের মেয়ে, যিনি নাহোরের ছেলে, ও যাঁকে মিল্কা নাহোরের জন্য জন্ম দিয়েছিলেন।’ “তখন আমি তার নাকে নথ ও হাতে বালা পরিয়ে দিলাম,
וָאֶקֹּ֥ד וָֽאֶשְׁתַּחֲוֶ֖ה לַיהוָ֑ה וָאֲבָרֵ֗ךְ אֶת־יְהוָה֙ אֱלֹהֵי֙ אֲדֹנִ֣י אַבְרָהָ֔ם אֲשֶׁ֤ר הִנְחַ֙נִי֙ בְּדֶ֣רֶךְ אֱמֶ֔ת לָקַ֛חַת אֶת־בַּת־אֲחִ֥י אֲדֹנִ֖י לִבְנֽוֹ׃ 48
এবং আমি নতমস্তকে সদাপ্রভুর আরাধনা করলাম। আমি আমার প্রভু অব্রাহামের ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুর প্রশংসা করলাম, যিনি সঠিক পথে আমাকে পরিচালিত করলেন, যেন আমার প্রভুর ছেলের জন্য তাঁর ভাইয়ের নাতনীকে আমি খুঁজে পাই।
וְ֠עַתָּה אִם־יֶשְׁכֶ֨ם עֹשִׂ֜ים חֶ֧סֶד וֶֽאֱמֶ֛ת אֶת־אֲדֹנִ֖י הַגִּ֣ידוּ לִ֑י וְאִם־לֹ֕א הַגִּ֣ידוּ לִ֔י וְאֶפְנֶ֥ה עַל־יָמִ֖ין א֥וֹ עַל־שְׂמֹֽאל׃ 49
এখন আপনারা যদি আমার প্রভুর প্রতি দয়া ও বিশ্বস্ততা দেখাতে চান, তবে বলুন; আর যদি তা না চান, তাও বলুন, যেন আমি জানতে পারি কোন দিকে আমাকে ফিরতে হবে।”
וַיַּ֨עַן לָבָ֤ן וּבְתוּאֵל֙ וַיֹּ֣אמְר֔וּ מֵיְהוָ֖ה יָצָ֣א הַדָּבָ֑ר לֹ֥א נוּכַ֛ל דַּבֵּ֥ר אֵלֶ֖יךָ רַ֥ע אוֹ־טֽוֹב׃ 50
লাবন ও বথূয়েল উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভুর দিক থেকেই এই ঘটনাটি ঘটেছে; এই ব্যাপারে আমরা আপনাকে ভালোমন্দ কিছুই বলতে পারব না।
הִנֵּֽה־רִבְקָ֥ה לְפָנֶ֖יךָ קַ֣ח וָלֵ֑ךְ וּתְהִ֤י אִשָּׁה֙ לְבֶן־אֲדֹנֶ֔יךָ כַּאֲשֶׁ֖ר דִּבֶּ֥ר יְהוָֽה׃ 51
রিবিকা এখানেই আছে; তাকে নিয়ে চলে যান, আর সে আপনার প্রভুর ছেলের স্ত্রী হয়ে যাক, যেমনটি সদাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন।”
וַיְהִ֕י כַּאֲשֶׁ֥ר שָׁמַ֛ע עֶ֥בֶד אַבְרָהָ֖ם אֶת־דִּבְרֵיהֶ֑ם וַיִּשְׁתַּ֥חוּ אַ֖רְצָה לַֽיהוָֽה׃ 52
তাঁরা যা বললেন, অব্রাহামের দাস যখন তা শুনলেন, তখন তিনি সদাপ্রভুর সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়লেন।
וַיּוֹצֵ֨א הָעֶ֜בֶד כְּלֵי־כֶ֨סֶף וּכְלֵ֤י זָהָב֙ וּבְגָדִ֔ים וַיִּתֵּ֖ן לְרִבְקָ֑ה וּמִ֨גְדָּנֹ֔ת נָתַ֥ן לְאָחִ֖יהָ וּלְאִמָּֽהּ׃ 53
পরে সেই দাস সোনা ও রুপোর গয়না এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক-পরিচ্ছদ বের করে সেগুলি রিবিকাকে দিলেন; তিনি তাঁর দাদা ও মাকেও মূল্যবান উপহারসামগ্রী দিলেন।
וַיֹּאכְל֣וּ וַיִּשְׁתּ֗וּ ה֛וּא וְהָאֲנָשִׁ֥ים אֲשֶׁר־עִמּ֖וֹ וַיָּלִ֑ינוּ וַיָּק֣וּמוּ בַבֹּ֔קֶר וַיֹּ֖אמֶר שַׁלְּחֻ֥נִי לַֽאדֹנִֽי׃ 54
পরে তিনি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন ভোজনপান করলেন এবং সেখানেই রাত কাটালেন। পরদিন সকালে ওঠার পর তিনি বললেন, “আমার প্রভুর কাছে যাওয়ার জন্য আমায় বিদায় দিন।”
וַיֹּ֤אמֶר אָחִ֙יהָ֙ וְאִמָּ֔הּ תֵּשֵׁ֨ב הַנַּעֲרָ֥ אִתָּ֛נוּ יָמִ֖ים א֣וֹ עָשׂ֑וֹר אַחַ֖ר תֵּלֵֽךְ׃ 55
কিন্তু রিবিকার দাদা ও মা উত্তর দিলেন, “মেয়েটি আমাদের কাছে দিন দশেক থাকুক; পরে আপনারা যেতে পারেন।”
וַיֹּ֤אמֶר אֲלֵהֶם֙ אַל־תְּאַחֲר֣וּ אֹתִ֔י וַֽיהוָ֖ה הִצְלִ֣יחַ דַּרְכִּ֑י שַׁלְּח֕וּנִי וְאֵלְכָ֖ה לַֽאדֹנִֽי׃ 56
কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “আমাকে আটকে রাখবেন না, যেহেতু সদাপ্রভু আমার যাত্রা সফল করেছেন। আমাকে বিদায় দিন, যেন আমি আমার প্রভুর কাছে যেতে পারি।”
וַיֹּאמְר֖וּ נִקְרָ֣א לַֽנַּעֲרָ֑ וְנִשְׁאֲלָ֖ה אֶת־פִּֽיהָ׃ 57
তখন তাঁরা বললেন, “মেয়েটিকে ডাকা হোক এবং তাকেই এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা যাক।”
וַיִּקְרְא֤וּ לְרִבְקָה֙ וַיֹּאמְר֣וּ אֵלֶ֔יהָ הֲתֵלְכִ֖י עִם־הָאִ֣ישׁ הַזֶּ֑ה וַתֹּ֖אמֶר אֵלֵֽךְ׃ 58
অতএব তাঁরা রিবিকাকে ডেকে এনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি এই লোকটির সঙ্গে যাবে?” “আমি যাব,” তিনি বললেন।
וַֽיְשַׁלְּח֛וּ אֶת־רִבְקָ֥ה אֲחֹתָ֖ם וְאֶת־מֵנִקְתָּ֑הּ וְאֶת־עֶ֥בֶד אַבְרָהָ֖ם וְאֶת־אֲנָשָֽׁיו׃ 59
অতএব তাঁরা তাঁদের বোন রিবিকাকে ও তাঁর ধাত্রীকে এবং অব্রাহামের দাস ও তাঁর লোকজনকে বিদায় জানালেন।
וַיְבָרֲכ֤וּ אֶת־רִבְקָה֙ וַיֹּ֣אמְרוּ לָ֔הּ אֲחֹתֵ֕נוּ אַ֥תְּ הֲיִ֖י לְאַלְפֵ֣י רְבָבָ֑ה וְיִירַ֣שׁ זַרְעֵ֔ךְ אֵ֖ת שַׁ֥עַר שֹׂנְאָֽיו׃ 60
আর তাঁরা রিবিকাকে আশীর্বাদ করে তাঁকে বললেন, “হে আমাদের বোন, তুমি বৃদ্ধি পাও হাজার হাজার গুণ; তোমার সন্তানসন্ততি অধিকার করুক তাদের শত্রুদের নগরগুলি।”
וַתָּ֨קָם רִבְקָ֜ה וְנַעֲרֹתֶ֗יהָ וַתִּרְכַּ֙בְנָה֙ עַל־הַגְּמַלִּ֔ים וַתֵּלַ֖כְנָה אַחֲרֵ֣י הָאִ֑ישׁ וַיִּקַּ֥ח הָעֶ֛בֶד אֶת־רִבְקָ֖ה וַיֵּלַֽךְ׃ 61
পরে রিবিকা ও তাঁর সেবিকারা প্রস্তুত হয়ে উটের পিঠে চড়ে সেই লোকটির সাথে চলে গেলেন। অতএব সেই দাস রিবিকাকে সাথে নিয়ে প্রস্থান করলেন।
וְיִצְחָק֙ בָּ֣א מִבּ֔וֹא בְּאֵ֥ר לַחַ֖י רֹאִ֑י וְה֥וּא יוֹשֵׁ֖ב בְּאֶ֥רֶץ הַנֶּֽגֶב׃ 62
এদিকে ইস্‌হাক বের-লহয়-রোয়ী থেকে ফিরে আসছিলেন, কারণ তিনি তখন নেগেভে বসবাস করতেন।
וַיֵּצֵ֥א יִצְחָ֛ק לָשׂ֥וּחַ בַּשָּׂדֶ֖ה לִפְנ֣וֹת עָ֑רֶב וַיִּשָּׂ֤א עֵינָיו֙ וַיַּ֔רְא וְהִנֵּ֥ה גְמַלִּ֖ים בָּאִֽים׃ 63
এক সন্ধ্যায় তিনি ধ্যান করতে ক্ষেতে গেলেন, এবং যেই তিনি উপর দিকে তাকালেন, তিনি দেখতে পেলেন কয়েকটি উট এগিয়ে আসছে।
וַתִּשָּׂ֤א רִבְקָה֙ אֶת־עֵינֶ֔יהָ וַתֵּ֖רֶא אֶת־יִצְחָ֑ק וַתִּפֹּ֖ל מֵעַ֥ל הַגָּמָֽל׃ 64
রিবিকাও উপর দিকে তাকালেন এবং ইস্‌হাককে দেখতে পেলেন। তিনি তাঁর উটের পিঠ থেকে নেমে
וַתֹּ֣אמֶר אֶל־הָעֶ֗בֶד מִֽי־הָאִ֤ישׁ הַלָּזֶה֙ הַהֹלֵ֤ךְ בַּשָּׂדֶה֙ לִקְרָאתֵ֔נוּ וַיֹּ֥אמֶר הָעֶ֖בֶד ה֣וּא אֲדֹנִ֑י וַתִּקַּ֥ח הַצָּעִ֖יף וַתִּתְכָּֽס׃ 65
সেই দাসকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ক্ষেত থেকে যিনি আমাদের সাথে দেখা করতে এগিয়ে আসছেন, তিনি কে?” “তিনি আমার প্রভু,” সেই দাস উত্তর দিলেন। অতএব রিবিকা তাঁর ঘোমটা টেনে এনে নিজের মুখ ঢাকলেন।
וַיְסַפֵּ֥ר הָעֶ֖בֶד לְיִצְחָ֑ק אֵ֥ת כָּל־הַדְּבָרִ֖ים אֲשֶׁ֥ר עָשָֽׂה׃ 66
পরে সেই দাস নিজে যা যা করেছিলেন সেসব তিনি ইস্‌হাককে বলে শোনালেন।
וַיְבִאֶ֣הָ יִצְחָ֗ק הָאֹ֙הֱלָה֙ שָׂרָ֣ה אִמּ֔וֹ וַיִּקַּ֧ח אֶת־רִבְקָ֛ה וַתְּהִי־ל֥וֹ לְאִשָּׁ֖ה וַיֶּאֱהָבֶ֑הָ וַיִּנָּחֵ֥ם יִצְחָ֖ק אַחֲרֵ֥י אִמּֽוֹ׃ פ 67
ইস্‌হাক রিবিকাকে তাঁর মা সারার তাঁবুতে নিয়ে এলেন, এবং তাঁকে বিয়ে করলেন। অতএব রিবিকা তাঁর স্ত্রী হয়ে গেলেন, এবং ইস্‌হাক তাঁকে ভালোবাসলেন; আর ইস্‌হাক তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর সান্ত্বনা লাভ করলেন।

< בְּרֵאשִׁית 24 >