< אִיּוֹב 12 >

וַיַּ֥עַן אִיֹּ֗וב וַיֹּאמַֽר׃ 1
পরে ইয়োব উত্তর দিলেন:
אָ֭מְנָם כִּ֣י אַתֶּם־עָ֑ם וְ֝עִמָּכֶ֗ם תָּמ֥וּת חָכְמָֽה׃ 2
“নিঃসন্দেহে একমাত্র তোমরাই জনসাধারণ, ও প্রজ্ঞা তোমাদের সাথেই লুপ্ত হয়ে যাবে!
גַּם־לִ֤י לֵבָ֨ב ׀ כְּֽמֹוכֶ֗ם לֹא־נֹפֵ֣ל אָנֹכִ֣י מִכֶּ֑ם וְאֶת־מִי־אֵ֥ין כְּמֹו־אֵֽלֶּה׃ 3
কিন্তু আমারও তোমাদের মতো এক মন আছে; আমি তোমাদের চেয়ে নিকৃষ্ট নই। এসব কথা কে না জানে?
שְׂחֹ֤ק לְרֵעֵ֨הוּ ׀ אֶֽהְיֶ֗ה קֹרֵ֣א לֶ֭אֱלֹוהַּ וַֽיַּעֲנֵ֑הוּ שְׂ֝חֹ֗וק צַדִּ֥יק תָּמִֽים׃ 4
“আমি আমার বন্ধুদের কাছে উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছি, যদিও আমি ঈশ্বরকে ডাকতাম ও তিনি আমায় উত্তর দিতেন— ধার্মিক ও অনিন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও নিছক উপহাসের এক পাত্রে পরিণত হয়েছি!
לַפִּ֣יד בּ֭וּז לְעַשְׁתּ֣וּת שַׁאֲנָ֑ן נָ֝כֹ֗ון לְמֹ֣ועֲדֵי רָֽגֶל׃ 5
যারা অরামে আছে, তারা দুর্ভাগ্য-পীড়িত লোকদের এত অবজ্ঞা করে যেন পা পিছলে পড়ে যাওয়াই তাদের পরিণতি।
יִשְׁלָ֤יוּ אֹֽהָלִ֨ים ׀ לְשֹׁ֥דְדִ֗ים וּֽ֭בַטֻּחֹות לְמַרְגִּ֣יזֵי אֵ֑ל לַאֲשֶׁ֤ר הֵבִ֖יא אֱלֹ֣והַּ בְּיָדֹֽו׃ 6
লুঠেরাদের তাঁবু নিরুপদ্রুত থাকে, ও যারা ঈশ্বরকে জ্বালাতন করে তারা নিরাপদে থাকে— তারা ঈশ্বরের হাতেই থাকে।
וְֽאוּלָ֗ם שְׁאַל־נָ֣א בְהֵמֹ֣ות וְתֹרֶ֑ךָּ וְעֹ֥וף הַ֝שָּׁמַ֗יִם וְיַגֶּד־לָֽךְ׃ 7
“কিন্তু পশুদের জিজ্ঞাসা করো, ও তারা তোমাকে শিক্ষা দেবে, বা আকাশের পাখিদের জিজ্ঞাসা করো, ও তারাও তোমায় বলে দেবে;
אֹ֤ו שִׂ֣יחַ לָאָ֣רֶץ וְתֹרֶ֑ךָּ וִֽיסַפְּר֥וּ לְ֝ךָ֗ דְּגֵ֣י הַיָּֽם׃ 8
বা পৃথিবীকে বলো, ও তা তোমাকে শিক্ষা দেবে, বা সমুদ্রের মাছই তোমাকে খবর দিক।
מִ֭י לֹא־יָדַ֣ע בְּכָל־אֵ֑לֶּה כִּ֥י יַד־יְ֝הוָה עָ֣שְׂתָה זֹּֽאת׃ 9
এদের মধ্যে কে জানে না যে সদাপ্রভুর হাতই এসব গড়ে তুলেছে?
אֲשֶׁ֣ר בְּ֭יָדֹו נֶ֣פֶשׁ כָּל־חָ֑י וְ֝ר֗וּחַ כָּל־בְּשַׂר־אִֽישׁ׃ 10
তাঁর হাতেই প্রত্যেকটি প্রাণীর জীবন ও সমগ্র মানবজাতির শ্বাস গচ্ছিত আছে।
הֲלֹא־אֹ֭זֶן מִלִּ֣ין תִּבְחָ֑ן וְ֝חֵ֗ךְ אֹ֣כֶל יִטְעַם־לֹֽו׃ 11
কান কি শব্দ পরখ করে না যেভাবে জিভ খাদ্যের স্বাদ চাখে?
בִּֽישִׁישִׁ֥ים חָכְמָ֑ה וְאֹ֖רֶךְ יָמִ֣ים תְּבוּנָֽה׃ 12
প্রবীণেরা কি প্রজ্ঞার অধিকারী নন? সুদীর্ঘ জীবন কি বুদ্ধি নিয়ে আসে না?
עִ֭מֹּו חָכְמָ֣ה וּגְבוּרָ֑ה לֹ֝֗ו עֵצָ֥ה וּתְבוּנָֽה׃ 13
“প্রজ্ঞা ও পরাক্রম ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত বিষয়; পরামর্শ ও বুদ্ধি তাঁরই।
הֵ֣ן יַ֭הֲרֹוס וְלֹ֣א יִבָּנֶ֑ה יִסְגֹּ֥ר עַל־אִ֝֗ישׁ וְלֹ֣א יִפָּתֵֽחַ׃ 14
তিনি যা ভাঙেন তা পুনর্নির্মাণ করা যায় না; তিনি যাদের বন্দি করেন তাদের কেউ মুক্ত করতে পারে না।
הֵ֤ן יַעְצֹ֣ר בַּמַּ֣יִם וְיִבָ֑שׁוּ וִֽ֝ישַׁלְּחֵ֗ם וְיַ֖הַפְכוּ אָֽרֶץ׃ 15
তিনি যদি জলধারা আটকে রাখেন, তবে খরা হয়; তিনি যদি তা বাঁধনছাড়া হতে দেন, তবে তা দেশ প্লাবিত করে।
עִ֭מֹּו עֹ֣ז וְתֽוּשִׁיָּ֑ה לֹ֝֗ו שֹׁגֵ֥ג וּמַשְׁגֶּֽה׃ 16
পরাক্রম ও অন্তর্দৃষ্টি তাঁর অধিকারভুক্ত বিষয়; প্রতারিত ও প্রতারক উভয়ই তাঁর।
מֹולִ֣יךְ יֹועֲצִ֣ים שֹׁולָ֑ל וְֽשֹׁפְטִ֥ים יְהֹולֵֽל׃ 17
তিনি শাসকদের আভরণহীন করে চালান ও বিচারকদের মূর্খে পরিণত করেন।
מוּסַ֣ר מְלָכִ֣ים פִּתֵּ֑חַ וַיֶּאְסֹ֥ר אֵ֝זֹ֗ור בְּמָתְנֵיהֶֽם׃ 18
তিনি রাজাদের পরিধেয় বেড়ি অপসৃত করেন ও তাদের কোমরের চারপাশে কৌপিন বেঁধে দেন।
מֹולִ֣יךְ כֹּהֲנִ֣ים שֹׁולָ֑ל וְאֵֽתָנִ֣ים יְסַלֵּֽף׃ 19
তিনি যাজকদের আভরণহীন করে চালান ও দীর্ঘকাল যাবৎ ক্ষমতায় থাকা কর্মকর্তাদের উৎখাত করেন।
מֵסִ֣יר שָׂ֭פָה לְנֶאֱמָנִ֑ים וְטַ֖עַם זְקֵנִ֣ים יִקָּֽח׃ 20
তিনি বিশ্বস্ত উপদেশকদের ঠোঁট শব্দহীন করে দেন। ও প্রাচীনদের বুদ্ধিবৃত্তি হরণ করেন।
שֹׁופֵ֣ךְ בּ֭וּז עַל־נְדִיבִ֑ים וּמְזִ֖יחַ אֲפִיקִ֣ים רִפָּֽה׃ 21
তিনি অভিজাতদের হেনস্থা করেন ও বলশালীদের নিরস্ত্র করেন।
מְגַלֶּ֣ה עֲ֭מֻקֹות מִנִּי־חֹ֑שֶׁךְ וַיֹּצֵ֖א לָאֹ֣ור צַלְמָֽוֶת׃ 22
তিনি অন্ধকারের জটিল বিষয়গুলি প্রকাশিত করেন ও নিরেট অন্ধকারকে আলোয় নিয়ে আসেন।
מַשְׂגִּ֣יא לַ֭גֹּויִם וַֽיְאַבְּדֵ֑ם שֹׁטֵ֥חַ לַ֝גֹּויִ֗ם וַיַּנְחֵֽם׃ 23
তিনি জাতিদের মহান করেন, ও তাদের ধ্বংসও করেন; তিনি জাতিদের সম্প্রসারিত করেন, ও তাদের বিক্ষিপ্তও করেন।
מֵסִ֗יר לֵ֭ב רָאשֵׁ֣י עַם־הָאָ֑רֶץ וַ֝יַּתְעֵ֗ם בְּתֹ֣הוּ לֹא־דָֽרֶךְ׃ 24
তিনি পার্থিব নেতাদের বুদ্ধি-বঞ্চিত করেন; তিনি তাদের পথহীন এক প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য করেন।
יְמַֽשְׁשׁוּ־חֹ֥שֶׁךְ וְלֹא־אֹ֑ור וַ֝יַּתְעֵ֗ם כַּשִּׁכֹּֽור׃ 25
আলো ছাড়াই তারা অন্ধকারে পথ হাতড়ে বেড়ায়; তিনি মাতালদের মতো তাদের টলতে বাধ্য করেন।

< אִיּוֹב 12 >