< קֹהֶלֶת 7 >
טֹ֥וב שֵׁ֖ם מִשֶּׁ֣מֶן טֹ֑וב וְיֹ֣ום הַמָּ֔וֶת מִיֹּ֖ום הִוָּלְדֹֽו׃ | 1 |
ভালো সুগন্ধির চেয়ে সুনাম ভালো, জন্মের দিনের চেয়ে মৃত্যুর দিন ভালো।
טֹ֞וב לָלֶ֣כֶת אֶל־בֵּֽית־אֵ֗בֶל מִלֶּ֙כֶת֙ אֶל־בֵּ֣ית מִשְׁתֶּ֔ה בַּאֲשֶׁ֕ר ה֖וּא סֹ֣וף כָּל־הָאָדָ֑ם וְהַחַ֖י יִתֵּ֥ן אֶל־לִבֹּֽו׃ | 2 |
ভোজের বাড়ি যাওয়ার চেয়ে শোকের বাড়ি যাওয়া ভালো, কারণ সকলেরই নিয়তি হল মৃত্যু; জীবিতদের এই কথা মনে রাখা উচিত।
טֹ֥וב כַּ֖עַס מִשְּׂחֹ֑ק כִּֽי־בְרֹ֥עַ פָּנִ֖ים יִ֥יטַב לֵֽב׃ | 3 |
আনন্দ করার চেয়ে কষ্টভোগ করা ভালো, কারণ মুখের বিষণ্ণতা হৃদয়ের জন্য ভালো।
לֵ֤ב חֲכָמִים֙ בְּבֵ֣ית אֵ֔בֶל וְלֵ֥ב כְּסִילִ֖ים בְּבֵ֥ית שִׂמְחָֽה׃ | 4 |
জ্ঞানবানদের হৃদয় শোকের বাড়িতে থাকে, কিন্তু বোকাদের হৃদয় আমোদের বাড়িতে থাকে।
טֹ֕וב לִשְׁמֹ֖עַ גַּעֲרַ֣ת חָכָ֑ם מֵאִ֕ישׁ שֹׁמֵ֖עַ שִׁ֥יר כְּסִילִֽים׃ | 5 |
বোকাদের গান শোনার চেয়ে জ্ঞানী লোকের বকুনি শোনা ভালো।
כִּ֣י כְקֹ֤ול הַסִּירִים֙ תַּ֣חַת הַסִּ֔יר כֵּ֖ן שְׂחֹ֣ק הַכְּסִ֑יל וְגַם־זֶ֖ה הָֽבֶל׃ | 6 |
যেমন হাঁড়ির নিচে কাঁটার শব্দ, বোকাদের হাসিও ঠিক তেমনি। এটাও অসার।
כִּ֥י הָעֹ֖שֶׁק יְהֹולֵ֣ל חָכָ֑ם וִֽיאַבֵּ֥ד אֶת־לֵ֖ב מַתָּנָֽה׃ | 7 |
জ্ঞানী লোক যদি জুলুম করে সে বোকা হয়ে যায়, আর ঘুস হৃদয় নষ্ট করে।
טֹ֛וב אַחֲרִ֥ית דָּבָ֖ר מֽ͏ֵרֵאשִׁיתֹ֑ו טֹ֥וב אֶֽרֶךְ־ר֖וּחַ מִגְּבַהּ־רֽוּחַ׃ | 8 |
কোনো কাজের শুরুর চেয়ে শেষ ভালো, আর অহংকারের চেয়ে ধৈর্য ভালো।
אַל־תְּבַהֵ֥ל בְּרֽוּחֲךָ֖ לִכְעֹ֑וס כִּ֣י כַ֔עַס בְּחֵ֥יק כְּסִילִ֖ים יָנֽוּחַ׃ | 9 |
তোমার অন্তরকে তাড়াতাড়ি রেগে উঠতে দিয়ো না, কারণ ক্রোধ বোকাদেরই কোলে বাস করে।
אַל־תֹּאמַר֙ מֶ֣ה הָיָ֔ה שֶׁ֤הַיָּמִים֙ הָרִ֣אשֹׁנִ֔ים הָי֥וּ טֹובִ֖ים מֵאֵ֑לֶּה כִּ֛י לֹ֥א מֵחָכְמָ֖ה שָׁאַ֥לְתָּ עַל־זֶֽה׃ | 10 |
বোলো না যে, “এখনকার চেয়ে আগেকার কাল কেন ভালো ছিল?” কারণ এই প্রশ্ন করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
טֹובָ֥ה חָכְמָ֖ה עִֽם־נַחֲלָ֑ה וְיֹתֵ֖ר לְרֹאֵ֥י הַשָּֽׁמֶשׁ׃ | 11 |
প্রজ্ঞা, উত্তরাধিকারের মতো, যা ভালো এবং যারা সূর্য দেখে তাদের উপকার করে।
כִּ֛י בְּצֵ֥ל הַֽחָכְמָ֖ה בְּצֵ֣ל הַכָּ֑סֶף וְיִתְרֹ֣ון דַּ֔עַת הַֽחָכְמָ֖ה תְּחַיֶּ֥ה בְעָלֶֽיהָ׃ | 12 |
প্রজ্ঞা এক আশ্রয়স্থল যেমন অর্থও এক আশ্রয়স্থল, কিন্তু জ্ঞানের সুবিধা হল এই যে প্রজ্ঞা তার অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।
רְאֵ֖ה אֶת־מַעֲשֵׂ֣ה הָאֱלֹהִ֑ים כִּ֣י מִ֤י יוּכַל֙ לְתַקֵּ֔ן אֵ֖ת אֲשֶׁ֥ר עִוְּתֹֽו׃ | 13 |
ঈশ্বরের কাজ ভেবে দেখো তিনি যা বাঁকা করেছেন কে তা সোজা করতে পারে?
בְּיֹ֤ום טֹובָה֙ הֱיֵ֣ה בְטֹ֔וב וּבְיֹ֥ום רָעָ֖ה רְאֵ֑ה גַּ֣ם אֶת־זֶ֤ה לְעֻמַּת־זֶה֙ עָשָׂ֣ה הָֽאֱלֹהִ֔ים עַל־דִּבְרַ֗ת שֶׁלֹּ֨א יִמְצָ֧א הָֽאָדָ֛ם אַחֲרָ֖יו מְאֽוּמָה׃ | 14 |
যখন সুখের সময়, তখন সুখী হও; কিন্তু যখন দুঃখের সময়, এই কথা ভেবে দেখো ঈশ্বর একটি সৃষ্টি করেছেন পাশাপাশি আরেকটিও করেছেন। কিন্তু, কেউ আবিষ্কার করতে পারবে না তাদের ভবিষ্যতের কিছুই।
אֶת־הַכֹּ֥ל רָאִ֖יתִי בִּימֵ֣י הֶבְלִ֑י יֵ֤שׁ צַדִּיק֙ אֹבֵ֣ד בְּצִדְקֹ֔ו וְיֵ֣שׁ רָשָׁ֔ע מַאֲרִ֖יךְ בְּרָעָתֹֽו׃ | 15 |
আমার এই অসার জীবনকালে আমি এই দুটোই দেখেছি কোনো ধার্মিক লোক নিজের ধার্মিকতায় ধ্বংস হয়, এবং কোনো দুষ্টলোক নিজের দুষ্টতায় অনেক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
אַל־תְּהִ֤י צַדִּיק֙ הַרְבֵּ֔ה וְאַל־תִּתְחַכַּ֖ם יֹותֵ֑ר לָ֖מָּה תִּשֹּׁומֵֽם׃ | 16 |
অতি ধার্মিক হোয়ো না, কিংবা অতি জ্ঞানবান হোয়ো না— কেন নিজেকে ধ্বংস করবে?
אַל־תִּרְשַׁ֥ע הַרְבֵּ֖ה וְאַל־תְּהִ֣י סָכָ֑ל לָ֥מָּה תָמ֖וּת בְּלֹ֥א עִתֶּֽךָ׃ | 17 |
অতি দুষ্ট হোয়ো না, আর বোকামিও কোরো না— কেন তুমি অসময়ে মারা যাবে?
טֹ֚וב אֲשֶׁ֣ר תֶּאֱחֹ֣ז בָּזֶ֔ה וְגַם־מִזֶּ֖ה אַל־תַּנַּ֣ח אֶת־יָדֶ֑ךָ כִּֽי־יְרֵ֥א אֱלֹהִ֖ים יֵצֵ֥א אֶת־כֻּלָּֽם׃ | 18 |
একটি ধরে রাখা আর অন্যটা না ছাড়া ভালো। যে ঈশ্বরকে ভয় করে সে কোনো কিছুই অতিরিক্ত করে না।
הַֽחָכְמָ֖ה תָּעֹ֣ז לֶחָכָ֑ם מֵֽעֲשָׂרָה֙ שַׁלִּיטִ֔ים אֲשֶׁ֥ר הָי֖וּ בָּעִֽיר׃ | 19 |
প্রজ্ঞা একজন জ্ঞানবান লোককে নগরের দশজন শাসকের থেকে বেশি শক্তিশালী করে।
כִּ֣י אָדָ֔ם אֵ֥ין צַדִּ֖יק בָּאָ֑רֶץ אֲשֶׁ֥ר יַעֲשֶׂה־טֹּ֖וב וְלֹ֥א יֶחֱטָֽא׃ | 20 |
বাস্তবিক, পৃথিবীতে একজনও ধার্মিক নেই, কেউ নেই যে সঠিক কাজ করে এবং কখনও পাপ করে না।
גַּ֤ם לְכָל־הַדְּבָרִים֙ אֲשֶׁ֣ר יְדַבֵּ֔רוּ אַל־תִּתֵּ֖ן לִבֶּ֑ךָ אֲשֶׁ֥ר לֹֽא־תִשְׁמַ֥ע אֶֽת־עַבְדְּךָ֖ מְקַלְלֶֽךָ׃ | 21 |
লোকে যা বলে তার সব কথায় কান দিয়ো না, হয়তো শুনবে যে, তোমার চাকর তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছে—
כִּ֛י גַּם־פְּעָמִ֥ים רַבֹּ֖ות יָדַ֣ע לִבֶּ֑ךָ אֲשֶׁ֥ר גַּם־אַתְּ (אַתָּ֖ה) קִלַּ֥לְתָּ אֲחֵרִֽים׃ | 22 |
কারণ তুমি তোমার নিজের হৃদয় জানো অনেকবার তুমি নিজেই অন্যকে অভিশাপ দিয়েছ।
כָּל־זֹ֖ה נִסִּ֣יתִי בַֽחָכְמָ֑ה אָמַ֣רְתִּי אֶחְכָּ֔מָה וְהִ֖יא רְחֹוקָ֥ה מִמֶּֽנִּי׃ | 23 |
এসব আমি প্রজ্ঞা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে বললাম, “আমি জ্ঞানী হবই হব”— কিন্তু তা আমার নাগালের বাইরে।
רָחֹ֖וק מַה־שֶּׁהָיָ֑ה וְעָמֹ֥ק ׀ עָמֹ֖ק מִ֥י יִמְצָאֶֽנּוּ׃ | 24 |
যা কিছু আছে তা দূরে আছে এবং খুবই গভীরে— কে তা খুঁজে পেতে পারে?
סַבֹּ֨ותִֽי אֲנִ֤י וְלִבִּי֙ לָדַ֣עַת וְלָת֔וּר וּבַקֵּ֥שׁ חָכְמָ֖ה וְחֶשְׁבֹּ֑ון וְלָדַ֙עַת֙ רֶ֣שַׁע כֶּ֔סֶל וְהַסִּכְל֖וּת הֹולֵלֹֽות׃ | 25 |
সেইজন্য বুঝবার জন্য আমি আমার মনস্থির করলাম, যাতে প্রজ্ঞা ও সবকিছুর পিছনে যে পরিকল্পনা আছে তা জানতে পারি আর বুঝতে পারি দুষ্টতার বোকামি আর মূর্খতার উন্মত্ততা।
וּמֹוצֶ֨א אֲנִ֜י מַ֣ר מִמָּ֗וֶת אֶת־הָֽאִשָּׁה֙ אֲשֶׁר־הִ֨יא מְצֹודִ֧ים וַחֲרָמִ֛ים לִבָּ֖הּ אֲסוּרִ֣ים יָדֶ֑יהָ טֹ֞וב לִפְנֵ֤י הָאֱלֹהִים֙ יִמָּלֵ֣ט מִמֶּ֔נָּה וְחֹוטֵ֖א יִלָּ֥כֶד בָּֽהּ׃ | 26 |
আমি দেখলাম মৃত্যুর চেয়েও তেতো হল সেই স্ত্রীলোক যে একটি ফাঁদ, তার হৃদয় একটি জাল এবং তার হাত হল শিকল। যে লোক ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে সে তা থেকে রক্ষা পাবে, কিন্তু পাপীকে সে ফাঁদে ফেলবে।
רְאֵה֙ זֶ֣ה מָצָ֔אתִי אָמְרָ֖ה קֹהֶ֑לֶת אַחַ֥ת לְאַחַ֖ת לִמְצֹ֥א חֶשְׁבֹּֽון׃ | 27 |
উপদেশক বলছেন, “দেখো, আমি এটি আবিষ্কার করেছি “সব জিনিসের পরিকল্পনা আবিষ্কার করার জন্য একটির সঙ্গে একটি যোগ করে—
אֲשֶׁ֛ר עֹוד־בִּקְשָׁ֥ה נַפְשִׁ֖י וְלֹ֣א מָצָ֑אתִי אָדָ֞ם אֶחָ֤ד מֵאֶ֙לֶף֙ מָצָ֔אתִי וְאִשָּׁ֥ה בְכָל־אֵ֖לֶּה לֹ֥א מָצָֽאתִי׃ | 28 |
যখন আমি তখনও খুঁজছিলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না— আমি হাজার জনের মধ্যে একজন খাঁটি পুরুষকে পেলাম, কিন্তু তাদের মধ্যে একজন স্ত্রীলোককেও খাঁটি দেখতে পাইনি।
לְבַד֙ רְאֵה־זֶ֣ה מָצָ֔אתִי אֲשֶׁ֨ר עָשָׂ֧ה הָאֱלֹהִ֛ים אֶת־הָאָדָ֖ם יָשָׁ֑ר וְהֵ֥מָּה בִקְשׁ֖וּ חִשְּׁבֹנֹ֥ות רַבִּֽים׃ | 29 |
আমি কেবল এই জানতে পারলাম যে ঈশ্বর মানুষকে খাঁটিই তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তারা অনেক কল্পনার অন্বেষণ করেছে।”