< איוב 32 >
וַֽיִּשְׁבְּתוּ שְׁלֹשֶׁת הָאֲנָשִׁים הָאֵלֶּה מֵעֲנוֹת אֶת־אִיּוֹב כִּי הוּא צַדִּיק בְּעֵינָֽיו׃ | 1 |
অতএব এই তিনজন ইয়োবকে আর কোনও উত্তর দিলেন না, যেহেতু তিনি নিজের দৃষ্টিতে নিজেকে ধার্মিক বলে মনে করেছিলেন।
וַיִּחַר אַף ׀ אֱלִיהוּא בֶן־בַּרַכְאֵל הַבּוּזִי מִמִּשְׁפַּחַת רָם בְּאִיּוֹב חָרָה אַפּוֹ עַֽל־צַדְּקוֹ נַפְשׁוֹ מֵאֱלֹהִֽים׃ | 2 |
কিন্তু রামের পরিবারভুক্ত বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূ ইয়োবের উপরে খুব ক্রুদ্ধ হলেন, যেহেতু ইয়োব ঈশ্বরের তুলনায় নিজেকে বেশি ধার্মিক বলে মনে করেছিলেন।
וּבִשְׁלֹשֶׁת רֵעָיו חָרָה אַפּוֹ עַל אֲשֶׁר לֹא־מָצְאוּ מַעֲנֶה וַיַּרְשִׁיעוּ אֶת־אִיּֽוֹב׃ | 3 |
তিনি ইয়োবের তিন বন্ধুর উপরেও ক্রুদ্ধ হলেন, যেহেতু তারা কোনোভাবেই ইয়োবকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে পারেননি, তবুও তাঁর উপরে দোষারোপ করেছিলেন।
וֶאֱלִיהוּ חִכָּה אֶת־אִיּוֹב בִּדְבָרִים כִּי זְֽקֵנִים־הֵמָּה מִמֶּנּוּ לְיָמִֽים׃ | 4 |
এদিকে ইলীহূ ইয়োবের সাথে কথা বলার আগে অপেক্ষা করছিলেন, যেহেতু তারা সবাই বয়সে তাঁর চেয়ে বড়ো ছিলেন।
וַיַּרְא אֱלִיהוּא כִּי אֵין מַֽעֲנֶה בְּפִי שְׁלֹשֶׁת הָֽאֲנָשִׁים וַיִּחַר אַפּֽוֹ׃ | 5 |
কিন্তু তিনি যখন দেখলেন যে সেই তিনজনের বলার আর কিছুই নেই, তখন তিনি ক্রোধে ফেটে পড়লেন।
וַיַּעַן ׀ אֱלִיהוּא בֶן־בַּרַכְאֵל הַבּוּזִי וַיֹּאמַר צָעִיר אֲנִי לְיָמִים וְאַתֶּם יְשִׁישִׁים עַל־כֵּן זָחַלְתִּי וָאִירָא ׀ מֵחַוֺּת דֵּעִי אֶתְכֶֽם׃ | 6 |
অতএব বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূ বললেন: “আমি বয়সে তরুণ, ও আপনারা প্রবীণ; তাই আমার ভয় হয়েছিল, আমি যা জানি তা আপনাদের বলার সাহস পাইনি।
אָמַרְתִּי יָמִים יְדַבֵּרוּ וְרֹב שָׁנִים יֹדִיעוּ חׇכְמָֽה׃ | 7 |
আমি ভেবেছিলাম, ‘বয়সই কথা বলুক; পরিণত বছরগুলিই প্রজ্ঞা শিক্ষা দিক।’
אָכֵן רוּחַ־הִיא בֶאֱנוֹשׁ וְנִשְׁמַת שַׁדַּי תְּבִינֵֽם׃ | 8 |
কিন্তু একজন ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত আত্মা, সর্বশক্তিমানের শ্বাসই তাদের বুদ্ধি-বিবেচনা দান করে।
לֹא־רַבִּים יֶחְכָּמוּ וּזְקֵנִים יָבִינוּ מִשְׁפָּֽט׃ | 9 |
যারা বয়সে প্রাচীন তারাই যে শুধু জ্ঞানবান, তা নয়, বয়স্করাই যে শুধু যা সমুচিত তা বোঝেন, এরকম নয়।
לָכֵן אָמַרְתִּי שִׁמְעָה־לִּי אֲחַוֶּה דֵעִי אַף־אָֽנִי׃ | 10 |
“তাই আমি বলছি: আমার কথা শুনুন; আমি যা জানি তা আমিও আপনাদের বলব।
הֵן הוֹחַלְתִּי ׀ לְֽדִבְרֵיכֶם אָזִין עַד־תְּבוּנֹֽתֵיכֶם עַֽד־תַּחְקְרוּן מִלִּֽין׃ | 11 |
আপনারা যখন কথা বলছিলেন, আমি তখন অপেক্ষা করেছিলাম, আমি আপনাদের যুক্তি শুনছিলাম; আপনারা যখন শব্দ খুঁজছিলেন,
וְעָדֵיכֶם אֶתְבּוֹנָן וְהִנֵּה אֵין לְאִיּוֹב מוֹכִיחַ עוֹנֶה אֲמָרָיו מִכֶּֽם׃ | 12 |
আমি তখন গভীর মনোযোগ দিয়ে আপনাদের কথা শুনছিলাম। কিন্তু আপনাদের মধ্যে একজনও ইয়োবকে ভ্রান্ত প্রমাণ করতে পারেননি; আপনাদের মধ্যে কেউই তাঁর যুক্তির উত্তর দিতে পারেননি।
פֶּן־תֹּאמְרוּ מָצָאנוּ חׇכְמָה אֵל יִדְּפֶנּוּ לֹא־אִֽישׁ׃ | 13 |
বলবেন না, ‘আমরা প্রজ্ঞা খুঁজে পেয়েছি; মানুষ নয়, ঈশ্বরই তাঁকে মিথ্যা প্রমাণিত করুন।’
וְלֹא־עָרַךְ אֵלַי מִלִּין וּבְאִמְרֵיכֶם לֹא אֲשִׁיבֶֽנּוּ׃ | 14 |
কিন্তু ইয়োব আমার বিরুদ্ধে তাঁর শব্দগুলি বিন্যাস সহকারে সাজাননি, ও আপনাদের যুক্তি দিয়ে আমিও তাঁকে উত্তর দেব না।
חַתּוּ לֹא־עָנוּ עוֹד הֶעְתִּיקוּ מֵהֶם מִלִּֽים׃ | 15 |
“তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেন ও তাদের আর কিছুই বলার ছিল না; তাদের শব্দ হারিয়ে গিয়েছিল।
וְהוֹחַלְתִּי כִּי־לֹא יְדַבֵּרוּ כִּי עָמְדוּ לֹא־עָנוּ עֽוֹד׃ | 16 |
আমি কি অপেক্ষা করব, এখন তারা যখন নীরব হয়ে আছেন, এখন তারা যখন সেখানে নিরুত্তর অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন?
אַעֲנֶה אַף־אֲנִי חֶלְקִי אֲחַוֶּה דֵעִי אַף־אָֽנִי׃ | 17 |
আমারও কিছু বলার আছে; আমি যা জানি তা আমিও বলব।
כִּי מָלֵתִי מִלִּים הֱצִיקַתְנִי רוּחַ בִּטְנִֽי׃ | 18 |
যেহেতু আমি কথায় পরিপূর্ণ, ও আমার অন্তরাত্মা আমাকে বাধ্য করছে;
הִנֵּֽה־בִטְנִי כְּיַיִן לֹֽא־יִפָּתֵחַ כְּאֹבוֹת חֲדָשִׁים יִבָּקֵֽעַ׃ | 19 |
ভিতর থেকে আমি বোতলে ভরা দ্রাক্ষারস, দ্রাক্ষারসে ভরা নতুন মশকের মতো, যা ফেটে পড়তে চলেছে।
אֲדַבְּרָה וְיִֽרְוַֽח־לִי אֶפְתַּח שְׂפָתַי וְאֶעֱנֶֽה׃ | 20 |
আমাকে কথা বলতে ও উপশম পেতে হবে; ঠোঁট খুলে আমাকে উত্তর দিতে হবে।
אַל־נָא אֶשָּׂא פְנֵי־אִישׁ וְאֶל־אָדָם לֹא אֲכַנֶּֽה׃ | 21 |
আমি কোনও পক্ষপাতিত্ব দেখাব না, কাউকে তোষামোদও করব না;
כִּי לֹא יָדַעְתִּי אֲכַנֶּה כִּמְעַט יִשָּׂאֵנִי עֹשֵֽׂנִי׃ | 22 |
যেহেতু আমি যদি তোষামোদিতে পারদর্শী হতাম, তবে আমার নির্মাতা অচিরেই আমাকে নিয়ে চলে যেতেন।