< בראשית 32 >
ויעקב הלך לדרכו ויפגעו בו מלאכי אלהים | 1 |
১আর যাকোব নিজের পথে এগিয়ে গেলে ঈশ্বরের দূতেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন।
ויאמר יעקב כאשר ראם מחנה אלהים זה ויקרא שם המקום ההוא מחנים | 2 |
২তখন যাকোব তাঁদেরকে দেখে বললেন, “এ ঈশ্বরের সেনাদল, তাই সেই জায়গার নাম মহনয়িম রাখলেন।”
וישלח יעקב מלאכים לפניו אל עשו אחיו ארצה שעיר שדה אדום | 3 |
৩তার পর যাকোব নিজের আগে সেয়ীর দেশের ইদোম অঞ্চলে তাঁর ভাই এষৌর কাছে দূতদেরকে পাঠালেন।
ויצו אתם לאמר כה תאמרון לאדני לעשו כה אמר עבדך יעקב עם לבן גרתי ואחר עד עתה | 4 |
৪তিনি তাদেরকে এই আজ্ঞা করলেন, “তোমরা আমার প্রভু এষৌকে বলবে, আপনার দাস যাকোব আপনাকে জানালেন, আমি লাবনের কাছে বাস করছিলাম, এ পর্যন্ত থেকেছি।
ויהי לי שור וחמור צאן ועבד ושפחה ואשלחה להגיד לאדני למצא חן בעיניך | 5 |
৫আমার গরু, গাধা, ভেড়ার পাল ও দাস দাসী আছে, আর আমি প্রভুর অনুগ্রহ দৃষ্টি পাবার জন্য আপনাকে খবর পাঠালাম।”
וישבו המלאכים אל יעקב לאמר באנו אל אחיך אל עשו וגם הלך לקראתך וארבע מאות איש עמו | 6 |
৬পরে দূতেরা যাকোবের কাছে ফিরে এসে বলল, “আমরা আপনার ভাই এষৌর কাছে গিয়েছিলাম; আর তিনি চারশো লোক সঙ্গে নিয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন।”
ויירא יעקב מאד ויצר לו ויחץ את העם אשר אתו ואת הצאן ואת הבקר והגמלים--לשני מחנות | 7 |
৭তখন যাকোব খুব ভয় পেলেন ও চিন্তিত হলেন, আর যে সব লোক তাঁর সঙ্গে ছিল, তাদেরকে ও গরু ও ভেড়ার দল সমস্ত পাল ও উটদেরকে বিভক্ত করে দুটি দল করলেন,
ויאמר אם יבוא עשו אל המחנה האחת והכהו--והיה המחנה הנשאר לפליטה | 8 |
৮বললেন, “এষৌ এসে যদিও এক দলকে আক্রমণ করেন, তবুও অন্য দল অবশিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে।”
ויאמר יעקב אלהי אבי אברהם ואלהי אבי יצחק יהוה האמר אלי שוב לארצך ולמולדתך--ואיטיבה עמך | 9 |
৯তখন যাকোব বললেন, “হে আমার বাবা অব্রাহামের ঈশ্বর ও আমার বাবা ইসহাকের ঈশ্বর, তুমি সদাপ্রভু নিজে আমাকে বলেছিলে, তোমার দেশে আত্মীয়দের কাছে ফিরে যাও, তাতে আমি তোমার মঙ্গল করব।
קטנתי מכל החסדים ומכל האמת אשר עשית את עבדך כי במקלי עברתי את הירדן הזה ועתה הייתי לשני מחנות | 10 |
১০তুমি এই দাসের প্রতি যে সমস্ত চুক্তির বিশ্বস্ততা ও যে সমস্ত সত্যাচরণ করেছ, আমি তার কিছুরই যোগ্য নই; কারণ আমি আমার এই লাঠিটি নিয়ে এই যর্দ্দন পার হয়েছিলাম, এখন দুই দল হয়েছি।
הצילני נא מיד אחי מיד עשו כי ירא אנכי אתו--פן יבוא והכני אם על בנים | 11 |
১১অনুরোধ করি, আমার ভাইয়ের হাত থেকে, এষৌর হাত থেকে আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমি তাকে ভয় করি, যদি সে এসে আমাকে, ছেলেদের সঙ্গে মাকে হত্যা করে।
ואתה אמרת היטב איטיב עמך ושמתי את זרעך כחול הים אשר לא יספר מרב | 12 |
১২তুমিই তো বলেছ, আমি অবশ্য তোমার মঙ্গল করব এবং সমুদ্রতীরে অবস্থিত যে বালি তার মতো তোমার বংশ বৃদ্ধি করব, যা গোনা যায় না।”
וילן שם בלילה ההוא ויקח מן הבא בידו מנחה--לעשו אחיו | 13 |
১৩পরে যাকোব সেই জায়গায় রাত কাটালেন ও তার কাছে যা ছিল, তার কিছু নিয়ে তাঁর ভাই এষৌর জন্য এই উপহার প্রস্তুত করলেন;
עזים מאתים ותישים עשרים רחלים מאתים ואילים עשרים | 14 |
১৪দুশো ছাগী ও কুড়িটা ছাগল, দুশো ভেড়ী ও কুড়িটা ভেড়া,
גמלים מיניקות ובניהם שלשים פרות ארבעים ופרים עשרה אתנת עשרים ועירם עשרה | 15 |
১৫বাচ্চা সহ দুগ্ধবতী ত্রিশটি উট, চল্লিশটি গরু ও দশটি ষাঁড় এবং কুড়িটি গাধী ও দশটি গাধা।
ויתן ביד עבדיו עדר עדר לבדו ויאמר אל עבדיו עברו לפני ורוח תשימו בין עדר ובין עדר | 16 |
১৬পরে তিনি নিজের এক এক দাসের হাতে এক এক পাল সমর্পণ করে দাসদেরকে এই আদেশ দিলেন, “তোমরা আমার আগে পার হয়ে যাও এবং মাঝে মাঝে জায়গা রেখে প্রত্যেক পাল আলাদা কর।”
ויצו את הראשון לאמר כי יפגשך עשו אחי ושאלך לאמר למי אתה ואנה תלך ולמי אלה לפניך | 17 |
১৭পরে তিনি প্রথম দাসকে এই আদেশ দিলেন, “আমার ভাই এষৌর সঙ্গে তোমার দেখা হলে তিনি যখন জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কার দাস? কোথায় যাচ্ছ? আর তোমার আগে অবস্থিত এই সব কার?”
ואמרת לעבדך ליעקב--מנחה הוא שלוחה לאדני לעשו והנה גם הוא אחרינו | 18 |
১৮তখন তুমি উত্তর করবে, “এই সব আপনার দাস যাকোবের; তিনি উপহার হিসাবে এই সব আমার প্রভু এষৌর জন্য পাঠালেন;” আর দেখুন, তিনিও আমাদের পিছনে আসছেন।
ויצו גם את השני גם את השלישי גם את כל ההלכים אחרי העדרים לאמר כדבר הזה תדברון אל עשו במצאכם אתו | 19 |
১৯পরে তিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রভৃতি পালের পিছনে চলা দাস সবাইকেও আদেশ দিয়ে বললেন, “এষৌর সঙ্গে দেখা হলে তোমরা এই এই ধরনের কথা বল।
ואמרתם--גם הנה עבדך יעקב אחרינו כי אמר אכפרה פניו במנחה ההלכת לפני ואחרי כן אראה פניו אולי ישא פני | 20 |
২০আরো বল, দেখুন, আপনার দাস যাকোবও আমাদের পিছনে আসছেন।” কারণ তিনি বললেন, “আমি আগে উপহার পাঠিয়ে তাঁকে শান্ত করব, পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করব, তাতে তিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করলেও করতে পারেন।”
ותעבר המנחה על פניו והוא לן בלילה ההוא במחנה | 21 |
২১তাই তাঁর আগে উপহারের জিনিস পার হয়ে গেল, কিন্তু নিজে সেই রাতে দলের মধ্যে থাকলেন।
ויקם בלילה הוא ויקח את שתי נשיו ואת שתי שפחתיו ואת אחד עשר ילדיו ויעבר את מעבר יבק | 22 |
২২পরে তিনি রাতে উঠে নিজের দুই স্ত্রী, দুই দাসী ও এগারো জন ছেলেকে নিয়ে যব্বোক নদীর অগভীর অংশ দিয়ে পার হলেন
ויקחם--ויעברם את הנחל ויעבר את אשר לו | 23 |
২৩তিনি তাঁদেরকে নদী পার করিয়ে নিজের সব জিনিস পাড়ে পাঠিয়ে দিলেন।
ויותר יעקב לבדו ויאבק איש עמו עד עלות השחר | 24 |
২৪আর যাকোব সেখানে একা থাকলেন এবং এক পুরুষ ভোর পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করলেন;
וירא כי לא יכל לו ויגע בכף ירכו ותקע כף ירך יעקב בהאבקו עמו | 25 |
২৫কিন্তু তাঁকে জয় করতে পারলেন না দেখে, তিনি যাকোবের ঊরুসন্ধিতে আঘাত করলেন। তাঁর সঙ্গে এরকম মল্লযুদ্ধ করাতে যাকোবের ঊরুসন্ধির হাড় সরে গেল।
ויאמר שלחני כי עלה השחר ויאמר לא אשלחך כי אם ברכתני | 26 |
২৬পরে সেই পুরুষ বললেন, “আমাকে ছাড়, কারণ ভোর হল।” যাকোব বললেন, “আপনি আমাকে আশীর্বাদ না করলে আপনাকে ছাড়ব না।”
ויאמר אליו מה שמך ויאמר יעקב | 27 |
২৭আবার তিনি বললেন, “তোমার নাম কি?” তিনি উত্তর করলেন, “যাকোব।”
ויאמר לא יעקב יאמר עוד שמך--כי אם ישראל כי שרית עם אלהים ועם אנשים ותוכל | 28 |
২৮তিনি বললেন, “তুমি যাকোব নামে আর আখ্যাত হবে না, কিন্তু ইস্রায়েল [ঈশ্বরের সঙ্গে যুদ্ধকারী] নামে আখ্যাত হবে; কারণ তুমি ঈশ্বরের ও মানুষদের সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ী হয়েছ।”
וישאל יעקב ויאמר הגידה נא שמך ויאמר למה זה תשאל לשמי ויברך אתו שם | 29 |
২৯তখন যাকোব জিজ্ঞাসা করে বললেন, “অনুরোধ করি, আপনার নাম কি? বলুন।” তিনি বললেন, “কি জন্য আমার নাম জিজ্ঞাসা কর?” পরে সেখানে যাকোবকে আশীর্বাদ করলেন।
ויקרא יעקב שם המקום פניאל כי ראיתי אלהים פנים אל פנים ותנצל נפשי | 30 |
৩০তখন যাকোব সেই জায়গার নাম পনূয়েল [ঈশ্বরের মুখ] রাখলেন; কারণ তিনি বললেন, “আমি ঈশ্বরকে সামনাসামনি হয়ে দেখলাম, তবুও আমার প্রাণ বাঁচল।”
ויזרח לו השמש כאשר עבר את פנואל והוא צלע על ירכו | 31 |
৩১পরে তিনি পনূয়েল পার হলে সূর্যোদয় হল। আর তিনি ঊরুতে খোঁড়াতে লাগলেন।
על כן לא יאכלו בני ישראל את גיד הנשה אשר על כף הירך עד היום הזה כי נגע בכף ירך יעקב בגיד הנשה | 32 |
৩২এই কারণ ইস্রায়েল-সন্তানেরা আজও ঊরুসন্ধির হাড়ের উপরের ঊরুসন্ধির শিরা খায় না, কারণ তিনি যাকোবের ঊরুসন্ধির হাড় অর্থাৎ ঊরুসন্ধির শিরা স্পর্শ করেছিলেন।