< דברי הימים ב 15 >
ועזריהו בן עודד היתה עליו רוח אלהים | 1 |
ওদেদের ছেলে অসরিয়ের উপর ঈশ্বরের আত্মা নেমে এলেন।
ויצא לפני אסא ויאמר לו שמעוני אסא וכל יהודה ובנימן יהוה עמכם בהיותכם עמו ואם תדרשהו ימצא לכם ואם תעזבהו יעזב אתכם | 2 |
তিনি আসার সাথে দেখা করতে গেলেন ও তাঁকে বললেন, “হে আসা এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের সব লোকজন, আমার কথা শোনো। তোমরা যতদিন সদাপ্রভুর সাথে আছ, তিনিও তোমাদের সাথে আছেন। তোমরা যদি তাঁর অন্বেষণ করো, তবে তাঁকে খুঁজে পাবে, কিন্তু তোমরা যদি তাঁকে পরিত্যাগ করো, তবে তিনিও তোমাদের পরিত্যাগ করবেন।
וימים רבים לישראל ללא אלהי אמת וללא כהן מורה--וללא תורה | 3 |
দীর্ঘকাল ইস্রায়েল সত্য ঈশ্বরবিহীন, শিক্ষা দেওয়ার উপযোগী এক যাজক-বিহীন ও বিধানবিহীন হয়েই ছিল।
וישב בצר לו על יהוה אלהי ישראל ויבקשהו וימצא להם | 4 |
কিন্তু তাদের দুঃখদুর্দশার দিনে তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরেছিল, ও তাঁর অন্বেষণ করল, এবং তারা তাঁর খোঁজ পেয়েছিল।
ובעתים ההם אין שלום ליוצא ולבא כי מהומת רבות על כל ישבי הארצות | 5 |
সেই দিনগুলিতে নিরাপদে ঘোরাফেরা করা যেত না, কারণ দেশের সব অধিবাসী খুব গোলমেলে অবস্থায় ছিল।
וכתתו גוי בגוי ועיר בעיר כי אלהים הממם בכל צרה | 6 |
এক জাতি অন্য এক জাতির দ্বারা এবং এক নগর অন্য এক নগরের দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছিল, কারণ ঈশ্বরই সব ধরনের দুঃখ দিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন করছিলেন।
ואתם חזקו ואל ירפו ידיכם כי יש שכר לפעלתכם | 7 |
কিন্তু তোমরা বলবান হও ও হাল ছেড়ে দিয়ো না, কারণ তোমাদের কাজ পুরস্কৃত হবে।”
וכשמע אסא הדברים האלה והנבואה עדד הנביא התחזק ויעבר השקוצים מכל ארץ יהודה ובנימן ומן הערים אשר לכד מהר אפרים ויחדש את מזבח יהוה אשר לפני אולם יהוה | 8 |
আসা যখন এইসব কথা ও ওদেদের ছেলে ভাববাদী অসরিয়ের করা ভাববাণীটি শুনেছিলেন, তখন তিনি সাহস পেয়েছিলেন। যিহূদা ও বিন্যামীনের গোটা এলাকা থেকে এবং ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকার যেসব নগর তিনি দখল করলেন, সেগুলি থেকেও ঘৃণ্য প্রতিমার মূর্তিগুলি তিনি সরিয়ে দিলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের বারান্দার সামনে রাখা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি তিনি মেরামত করে দিলেন।
ויקבץ את כל יהודה ובנימן והגרים עמהם מאפרים ומנשה ומשמעון כי נפלו עליו מישראל לרב בראתם כי יהוה אלהיו עמו | 9 |
পরে যিহূদা ও বিন্যামীনের সব লোকজনকে এবং ইফ্রয়িম, মনঃশি ও শিমিয়োন গোষ্ঠীভুক্ত এলাকা থেকে আসা সেইসব লোককে তিনি এক স্থানে একত্রিত করলেন, যারা তাদের মাঝখানে বসতি স্থাপন করল, কারণ ইস্রায়েল থেকে প্রচুর লোকজন তখনই তাঁর কাছে এসেছিল, যখন তারা দেখেছিল যে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর সাথে আছেন।
ויקבצו ירושלם בחדש השלשי לשנת חמש עשרה למלכות אסא | 10 |
আসার রাজত্বকালের পঞ্চদশতম বছরের তৃতীয় মাসে তারা জেরুশালেমে একত্রিত হল।
ויזבחו ליהוה ביום ההוא מן השלל הביאו בקר שבע מאות וצאן שבעת אלפים | 11 |
সেই সময় যে লুটসামগ্রী তারা নিয়ে এসেছিল, সেখান থেকে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সাতশো গবাদি পশু এবং সাত হাজার মেষ ও ছাগল বলি দিয়েছিল।
ויבאו בברית--לדרוש את יהוה אלהי אבותיהם בכל לבבם ובכל נפשם | 12 |
মনেপ্রাণে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য এক নিয়মে নিজেদের বেঁধে ফেলেছিল।
וכל אשר לא ידרש ליהוה אלהי ישראל יומת--למן קטן ועד גדול למאיש ועד אשה | 13 |
যারা যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করবে না, তারা ছোটই হোক বা বড়ো, পুরুষই হোক বা মহিলা, তাদের মেরে ফেলা হবে।
וישבעו ליהוה בקול גדול ובתרועה--ובחצצרות ובשופרות | 14 |
জোরালো সাধুবাদ জানিয়ে, চিৎকার করে ও শিঙা বাজিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তারা এক শপথ নিয়েছিল।
וישמחו כל יהודה על השבועה כי בכל לבבם נשבעו ובכל רצונם בקשהו וימצא להם וינח יהוה להם מסביב | 15 |
যিহূদার সব লোকজন সেই শপথের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করল, কারণ মনেপ্রাণে তারা সেই শপথ নিয়েছিল। আগ্রহী হয়ে তারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করল, এবং তিনি তাদের কাছে ধরা দিলেন। অতএব সবদিক থেকেই সদাপ্রভু তাদের বিশ্রাম দিলেন।
וגם מעכה אם אסא המלך הסירה מגבירה אשר עשתה לאשרה מפלצת ויכרת אסא את מפלצתה וידק וישרף בנחל קדרון | 16 |
এছাড়াও রাজা আসা, রাজমাতার পদ থেকে তাঁর ঠাকুমা মাখাকে সরিয়ে দিলেন, কারণ আশেরার পুজো করার জন্য মাখা জঘন্য এক মূর্তি তৈরি করেছিলেন। আসা সেটি কেটে ফেলে দিয়ে, ভেঙেও দিলেন এবং কিদ্রোণ উপত্যকায় সেটি জ্বালিয়ে দিলেন।
והבמות--לא סרו מישראל רק לבב אסא היה שלם כל ימיו | 17 |
ইস্রায়েল থেকে যদিও তিনি পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি উপড়ে ফেলেননি, তবুও আজীবন আসার অন্তর সদাপ্রভুর প্রতি পুরোপুরি সমর্পিতই ছিল।
ויבא את קדשי אביו וקדשיו--בית האלהים כסף וזהב וכלים | 18 |
ঈশ্বরের মন্দিরে তিনি রুপো ও সোনা এবং সেইসব জিনিসপত্র এনে রেখেছিলেন, যেগুলি তিনি ও তাঁর বাবা উৎসর্গ করলেন।
ומלחמה לא היתה עד שנת שלשים וחמש למלכות אסא | 19 |
আসার রাজত্বকালের পঁয়ত্রিশতম বছর পর্যন্ত আর কোনও যুদ্ধ হয়নি।