ઊત્પત્તિ 46
1 ૧ ઇઝરાયલ પોતાના કુટુંબકબીલા અને સર્વ સહિત બેરશેબા આવ્યો. અહીં તેણે પોતાના પિતા ઇસહાકના ઈશ્વરને અર્પણો ચઢાવ્યાં.
অতএব ইস্রায়েল তাঁর যথাসর্বস্য নিয়ে রওনা দিলেন, এবং তিনি যখন বের-শেবাতে পৌঁছালেন, তখন তিনি তাঁর বাবা ইস্হাকের ঈশ্বরের উদ্দেশে বলি উৎসর্গ করলেন।
2 ૨ ઈશ્વરે ઇઝરાયલને રાત્રે સ્વપ્નમાં સંદર્શન આપીને કહ્યું, “યાકૂબ, યાકૂબ.” તેણે કહ્યું, “હું અહીં છું.”
আর রাতের বেলায় এক দর্শনের মাধ্যমে ঈশ্বর ইস্রায়েলের সঙ্গে কথা বললেন, এবং তিনি বললেন, “যাকোব, যাকোব!” “আমি এখানে,” তিনি উত্তর দিলেন।
3 ૩ તેમણે કહ્યું, “હું પ્રભુ, તારા પિતાનો ઈશ્વર છું. મિસરમાં જતા બીશ નહિ, કેમ કે ત્યાં હું તારાથી વિશાળ પ્રજા ઉત્પન્ન કરીશ.
“আমি ঈশ্বর, তোমার বাবার সেই ঈশ্বর,” তিনি বললেন। “মিশরে যেতে ভয় পেয়ো না, কারণ সেখানে আমি তোমাকে এক বড়ো জাতি করে তুলব,
4 ૪ હું તારી સાથે મિસરમાં આવીશ અને હું ત્યાંથી નિશ્ચે તારા વંશજોને પાછા લાવીશ. મિસરમાં તારા મૃત્યુસમયે યૂસફ તારી પાસે હશે.”
তোমার সঙ্গে আমিও মিশরে যাব, এবং আমি আবার সেখান থেকে তোমাকে অবশ্যই বের করে আনব। আর যোষেফ নিজের হাতে তোমার চোখ বন্ধ করবে।”
5 ૫ યાકૂબ બેરશેબાથી રવાના થયો. તેને લઈ જવાને જે ગાડાં ફારુને મોકલ્યાં હતાં તેમાં ઇઝરાયલના પુત્રોએ પોતાના પિતા યાકૂબને, પોતાના બાળકોને તથા પોતાની પત્નીઓને બેસાડ્યાં.
পরে যাকোব বের-শেবা ছেড়ে এলেন, এবং ইস্রায়েলের ছেলেরা, তাঁদের বাবা যাকোবকে ও তাঁদের সন্তানদের এবং তাঁদের স্ত্রীদের সেই দুই চাকার গাড়িগুলিতে করে আনলেন, যেগুলি ফরৌণ তাঁকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
6 ૬ તેમનાં જાનવરો તથા જે સંપત્તિ તેઓએ કનાન દેશમાં મેળવી હતી તે લઈને યાકૂબ તથા તેની સાથે તેના વંશજો મિસરમાં આવ્યા.
অতএব যাকোব ও তাঁর সব বংশধর নিজেদের সাথে কনানে অর্জিত তাঁদের গৃহপালিত পশুপাল ও বিষয়সম্পত্তি নিয়ে মিশরে গেলেন।
7 ૭ તેના દીકરા તથા તેની સાથે તેના દીકરાના દીકરા, તેની દીકરીઓ તથા તેના દીકરાઓની દીકરીઓને તથા તેના સર્વ સંતાનને તે તેની સાથે મિસરમાં લાવ્યો.
যাকোব নিজের সাথে তাঁর ছেলেদের ও নাতিদের এবং তাঁর মেয়েদের ও নাতনীদের—তাঁর সব বংশধরকে মিশরে আনলেন।
8 ૮ જે ઇઝરાયલપુત્રો મિસરમાં આવ્યા તેઓનાં નામ આ છે: યાકૂબ તથા તેના દીકરા: યાકૂબનો જ્યેષ્ઠ દીકરો રુબેન;
এই হল ইস্রায়েলের সেই ছেলেদের নাম (যাকোব এবং তাঁর বংশধররা) যারা মিশরে গিয়েছিলেন: যাকোবের প্রথমজাত রূবেণ।
রূবেণের ছেলেরা: হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মি।
শিমিয়োনের ছেলেরা: যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও এক কনানীয় মহিলার সেই ছেলে শৌল।
লেবির ছেলেরা: গের্শোন, কহাৎ, ও মরারি।
12 ૧૨ યહૂદા તથા તેના દીકરા: એર, ઓનાન, શેલા, પેરેસ તથા ઝેરાહ, પણ એર તથા ઓનાન કનાન દેશમાં મરણ પામ્યા. પેરેસના દીકરા હેસ્રોન તથા હામૂલ હતા;
যিহূদার ছেলেরা: এর, ওনন, শেলা, পেরস ও সেরহ। (কিন্তু এর ও ওনন কনান দেশে মারা গিয়েছিল) পেরসের ছেলেরা: হিষ্রোণ ও হামূল।
ইষাখরের ছেলেরা: তোলয়, পূয়, যাশূব ও শিম্রোণ।
সবূলূনের ছেলেরা: সেরদ, এলোন, ও যহলেল।
15 ૧૫ યાકૂબને લેઆથી પાદ્દાનારામમાં જન્મેલા દીકરા તથા તેની દીકરી દીના. તેઓ સર્વ મળીને તેત્રીસ જણ હતાં.
এরা হলেন লেয়ার সেই ছেলেরা, যাদের ও তা ছাড়াও যাকোবের মেয়ে দীণাকে যিনি পদ্দন-আরামে যাকোবের জন্য জন্ম দিয়েছিলেন। তাঁর এইসব ছেলে ও মেয়ে মোট তেত্রিশজন।
গাদের ছেলেরা: সেফোন, হগি, শূনী, ইষবোন, এরি, অরোদী ও অরেলী।
17 ૧૭ આશેર તથા તેના દીકરા: યિમ્ના, યિશ્વા, યિશ્વી, બરિયા તથા તેઓની બહેન સેરાહ; અને બરિયાના દીકરા: હેબેર તથા માલ્કીએલ.
আশেরের ছেলেরা: যিম্না, যিশ্বা, যিশ্বি, বরিয়। তাদের বোন সেরহ। বরিয়ের ছেলেরা: হেবর ও মল্কীয়েল।
18 ૧૮ લાબાને તેની દીકરી લેઆને જે દાસી ઝિલ્પા આપી હતી તેનાં સંતાનો એ છે. તેઓ તેને યાકૂબ દ્વારા થયાં, તેઓ સર્વ મળીને સોળ જણ હતાં.
এরা হলেন যাকোবের সেই ছেলেমেয়ে, যারা লেয়ার সেই দাসী সিল্পা দ্বারা জাত হয়েছিল, যাকে লাবন তাঁর মেয়ে লেয়াকে দিয়েছিলেন—মোট ষোলোজন।
যাকোবের স্ত্রী রাহেলের ছেলেরা: যোষেফ ও বিন্যামীন।
20 ૨૦ યૂસફના મિસર દેશમાં જન્મેલા દીકરાઓ મનાશ્શા તથા એફ્રાઇમ. તેઓને ઓનના યાજક પોટીફારની દીકરી આસનાથે જન્મ આપ્યો હતો;
মিশরে, যোষেফের ছেলে মনঃশি ও ইফ্রয়িম ওনের যাজক পোটীফেরের মেয়ে আসনতের দ্বারা জন্মেছিলেন।
বিন্যামীনের ছেলেরা: বেলা, বেখর, অস্বেল, গেরা, নামান, এহী, রোশ, মূপপীম, হুপপীম ও অর্দ।
এরা হলেন যাকোবের সেই ছেলেরা, যারা রাহেলের দ্বারা জন্মেছিলেন—মোট চোদ্দোজন।
দানের ছেলে: হূশীম।
নপ্তালির ছেলেরা: যহসিয়েল, গূনি, যেৎসর ও শিল্লেম।
25 ૨૫ લાબાને તેની દીકરી રાહેલને જે દાસી બિલ્હા આપી તેના દીકરા એ છે જેઓ યાકૂબ દ્વારા તેને થયા. તે સર્વ મળીને સાત જણ હતા.
এরা হলেন যাকোবের সেই ছেলেরা, যারা রাহেলের সেই দাসী বিলহা দ্বারা জাত হলেন, যাকে লাবন তাঁর মেয়ে রাহেলকে দিয়েছিলেন—মোট সাতজন।
26 ૨૬ યાકૂબના દીકરાઓની પત્નીઓ સિવાય કનાનમાં જન્મેલાં જે સર્વ માણસ યાકૂબ સાથે મિસરમાં આવ્યાં તેઓ છાસઠ જણ હતાં.
যাকোবের সঙ্গে যারা মিশরে গেলেন—যারা তাঁর অব্যবহিত বংশধর নন, তাঁর সেই পুত্রবধূদের সংখ্যা না ধরে—তাদের সংখ্যা হয়েছিল ছেষট্টি জন।
27 ૨૭ યૂસફના દીકરા જે મિસર દેશમાં તેને જન્મ્યા હતા, તે બે હતા. યાકૂબના ઘરનાં સર્વ માણસો જે મિસરમાં આવ્યાં તેઓ સિત્તેર હતાં.
মিশরে যোষেফের যে দুই ছেলের জন্ম হয়েছিল তাদের সংখ্যা ধরে, যাকোবের পরিবারের যে সদস্যেরা মিশরে গেলেন তাদের সংখ্যা মোট সত্তর জন।
28 ૨૮ યાકૂબે તેની આગળ યહૂદાને યૂસફની પાસે મોકલ્યો કે તે આગળ જઈને ગોશેનનો માર્ગ બતાવે અને તેઓ ગોશેન દેશમાં આવ્યા.
ইত্যবসরে গোশনে যাওয়ার পথনির্দেশনা লাভের জন্য যাকোব তাঁর আগে আগে যিহূদাকে যোষেফের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা যখন সেই গোশন অঞ্চলে পৌঁছালেন,
29 ૨૯ યૂસફે તેના રથ તૈયાર કર્યા અને તેના પિતા ઇઝરાયલને મળવાને તે ગોશેનમાં આવ્યો. પિતાને જોઈને યૂસફ ભેટીને ઘણી વાર સુધી રડ્યો.
যোষেফ তখন তাঁর রথ সাজিয়েগুছিয়ে নিলেন ও তাঁর বাবা ইস্রায়েলের সঙ্গে দেখা করার জন্য গোশনে চলে গেলেন। যোষেফ তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই তিনি তাঁর বাবার দিকে দু-হাত বাড়িয়ে দিলেন ও অনেকক্ষণ ধরে কাঁদলেন।
ইস্রায়েল যোষেফকে বললেন, “আমি এখন মরার জন্য প্রস্তুত, যেহেতু আমি নিজের চোখেই দেখলাম যে তুমি এখনও জীবিত আছ।”
31 ૩૧ યૂસફે તેના ભાઈઓને તથા તેના પિતાના ઘરનાંને કહ્યું, “હું જઈને ફારુનને જણાવીને કહીશ કે, ‘મારા ભાઈઓ તથા મારા પિતાના ઘરનાં જે કનાન દેશમાં હતાં તેઓ મારી પાસે આવ્યાં છે.
পরে যোষেফ তাঁর দাদা-ভাইদের ও তাঁর পৈত্রিক পরিবার-পরিজনদের বললেন, “আমি ফরৌণের কাছে গিয়ে তাঁর সাথে কথা বলব ও তাঁকে বলব, ‘যারা সেই কনান দেশে বসবাস করছিলেন, আমার সেই দাদা-ভাইয়েরা ও আমার পৈত্রিক পরিবার-পরিজনেরা আমার কাছে এসেছেন।
32 ૩૨ તેઓ ભરવાડ છે અને જાનવરો પાળનારા છે. તેઓ તેમનાં બકરાં, અન્ય જાનવરો તથા તેઓનું જે સર્વ છે તે બધું લાવ્યા છે.”
তারা মেষপালক; তারা গৃহপালিত পশুপাল চরান, এবং তাদের মেষপাল ও পশুপাল ও তাদের অধিকারভুক্ত সবকিছু সাথে নিয়ে তারা এখানে এসেছেন।’
ফরৌণ যখন তোমাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করবেন যে, ‘তোমাদের পেশা কী?’
34 ૩૪ ત્યારે તમારે આ પ્રમાણે કહેવું, ‘તારા ચાકરોનો એટલે અમારો તથા અમારા પિતૃઓનો વ્યવસાય નાનપણથી તે અત્યાર સુધી જાનવરો પાળવાનો છે.’ આ પ્રમાણે કહેશો એટલે તમને ગોશેન દેશમાં રહેવાની પરવાનગી મળશે. કેમ કે મિસરીઓ ભરવાડોને ધિક્કારે છે.”
তোমাদের তখন এই উত্তর দিতে হবে, ‘আমাদের ছেলেবেলা থেকেই আপনার এই দাসেরা গৃহপালিত পশুপাল চরিয়ে আসছে, ঠিক যেভাবে আমাদের পূর্বপুরুষরাও চরাতেন।’ তখন তোমাদের গোশন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করার অনুমতি দেওয়া হবে, কারণ সব মেষপালকই মিশরীয়দের কাছে ঘৃণ্য।”
