< Κατα Μαρκον 14 >
1 Ἦν δὲ τὸ πάσχα καὶ τὰ ἄζυμα μετὰ δύο ἡμέρας, καὶ ἐζήτουν οἱ ἀρχιερεῖς καὶ οἱ γραμματεῖς πῶς αὐτὸν ἐν δόλῳ κρατήσαντες ἀποκτείνωσιν·
নিস্তারপর্ব ও খামিরবিহীন রুটির পর্ব শুরু হতে আর মাত্র দু-দিন বাকি ছিল। প্রধান যাজকেরা ও শাস্ত্রবিদরা সুকৌশলে যীশুকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
2 ἔλεγον γάρ, Μὴ ἐν τῇ ἑορτῇ, μή ποτε ἔσται θόρυβος τοῦ λαοῦ.
তারা বলল, “কিন্তু পর্বের সময়ে নয়, তাতে লোকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যেতে পারে।”
3 Καὶ ὄντος αὐτοῦ ἐν Βηθανίᾳ ἐν τῇ οἰκίᾳ Σίμωνος τοῦ λεπροῦ, κατακειμένου αὐτοῦ ἦλθεν γυνὴ ἔχουσα ἀλάβαστρον μύρου νάρδου πιστικῆς πολυτελοῦς, καὶ συντρίψασα τὴν ἀλάβαστρον κατέχεεν αὐτοῦ τῆς κεφαλῆς.
যীশু যখন বেথানিতে কুষ্ঠরোগী শিমোন নামে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে আসনে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, তখন একজন নারী, একটি শ্বেতস্ফটিকের পাত্রে বিশুদ্ধ জটামাংসীর নির্যাসে তৈরি বহুমূল্য সুগন্ধি তেল নিয়ে এল। সে পাত্রটি ভেঙে তাঁর মাথায় সেই সুগন্ধি তেল ঢেলে দিল।
4 ἦσαν δέ τινες ἀγανακτοῦντες πρὸς ἑαυτοὺς [καὶ λέγοντες], Εἰς τί ἡ ἀπώλεια αὕτη τοῦ μύρου γέγονεν;
উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ বিরক্তির স্বরে বলল, “সুগন্ধিদ্রব্যের এই অপচয় কেন?
5 ἠδύνατο γὰρ τοῦτο τὸ μύρον, πραθῆναι ἐπάνω δηναρίων τριακοσίων, καὶ δοθῆναι τοῖς πτωχοῖς· καὶ ἐνεβριμῶντο αὐτῇ.
এটি বিক্রি করে তো তিনশো দিনারেরও বেশি অর্থ পাওয়া যেত ও দরিদ্রদের দান করা যেত।” তারা রূঢ়ভাবে তাকে তিরস্কার করল।
6 ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπεν, Ἄφετε αὐτήν· τί αὐτῇ κόπους παρέχετε; καλὸν ἔργον εἰργάσατο ἐν ἐμοί.
যীশু বললেন, “ওকে ছেড়ে দাও। তোমরা কেন ওকে উত্যক্ত করছ? ও আমার প্রতি এক অপূর্ব কাজ করেছে।
7 πάντοτε γὰρ τοὺς πτωχοὺς ἔχετε μεθ᾽ ἑαυτῶν, καὶ ὅταν θέλητε δύνασθε αὐτοῖς εὖ ποιῆσαι, ἐμὲ δὲ οὐ πάντοτε ἔχετε.
দরিদ্রদের তোমরা সবসময়ই সঙ্গে পাবে, আর তোমরা চাইলে যে কোনো সময় তাদের সাহায্য করতে পারো। কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না।
8 ὃ ἔσχεν [αὕτη] ἐποίησεν, προέλαβεν μυρίσαι τὸ σῶμά μου εἰς τὸν ἐνταφιασμόν.
সে তার সাধ্যমতোই কাজ করেছে। সে আগে থেকেই আমার শরীরে সুগন্ধিদ্রব্য ঢেলে দিয়ে আমার দেহকে সমাধির জন্য প্রস্তুত করেছে।
9 ἀμὴν δὲ λέγω ὑμῖν, ὅπου ἂν κηρυχθῇ τὸ εὐαγγέλιον εἰς ὅλον τὸν κόσμον, καὶ ὃ ἐποίησεν αὕτη λαληθήσεται εἰς μνημόσυνον αὐτῆς.
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সমস্ত জগতে, যেখানেই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সে যা করেছে, স্মৃতির উদ্দেশে তার সেই কাজের কথাও বলা হবে।”
10 Καὶ Ἰούδας Ἰσκαριώτης, ὁ εἷς τῶν δώδεκα, ἀπῆλθεν πρὸς τοὺς ἀρχιερεῖς, ἵνα αὐτὸν παραδοῖ αὐτοῖς.
তখন সেই বারোজনের একজন, যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ যীশুকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধান যাজকদের কাছে গেল।
11 οἱ δὲ ἀκούσαντες ἐχάρησαν καὶ ἐπηγγείλαντο αὐτῷ ἀργύριον δοῦναι· καὶ ἐζήτει πῶς αὐτὸν εὐκαίρως παραδοῖ.
তারা একথা শুনে আনন্দিত হয়ে তাকে টাকা দিতে প্রতিশ্রুতি দিল। তাই সে তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল।
12 Καὶ τῇ πρώτῃ ἡμέρᾳ τῶν ἀζύμων, ὅτε τὸ πάσχα ἔθυον, λέγουσιν αὐτῷ οἱ μαθηταὶ αὐτοῦ, Ποῦ θέλεις ἀπελθόντες ἑτοιμάσωμεν ἵνα φάγῃς τὸ πάσχα;
খামিরবিহীন রুটির পর্বের প্রথম দিনে, যখন নিস্তারপর্বের মেষশাবক বলিদান করার প্রথা ছিল, যীশুর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কোথায় গিয়ে আপনার জন্য নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করব? আপনার ইচ্ছা কী?”
13 καὶ ἀποστέλλει δύο τῶν μαθητῶν αὐτοῦ καὶ λέγει αὐτοῖς, Ὑπάγετε εἰς τὴν πόλιν· καὶ ἀπαντήσει ὑμῖν ἄνθρωπος κεράμιον ὕδατος βαστάζων· ἀκολουθήσατε αὐτῷ,
তাই তিনি তাঁর দুজন শিষ্যকে এই বলে পাঠালেন, “তোমরা ওই নগরে যাও। সেখানে দেখবে, এক ব্যক্তি জলের একটি কলশি নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা তাকে অনুসরণ কোরো।
14 καὶ ὅπου ἂν εἰσέλθῃ, εἴπατε τῷ οἰκοδεσπότῃ ὅτι Ὁ διδάσκαλος λέγει, Ποῦ ἐστιν τὸ κατάλυμά μου, ὅπου τὸ πάσχα μετὰ τῶν μαθητῶν μου φάγω;
যে বাড়িতে সে প্রবেশ করবে, সেই গৃহকর্তাকে তোমরা বোলো, ‘গুরুমহাশয় জানতে চান, অতিথিদের জন্য আমার সেই নির্দিষ্ট ঘরটি কোথায়, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে পারি?’
15 καὶ αὐτὸς ὑμῖν δείξει ἀνάγαιον μέγα ἐστρωμένον ἕτοιμον· καὶ ἐκεῖ ἑτοιμάσατε ἡμῖν.
সে তোমাদের উপরতলায় একটি বড়ো ঘর দেখাবে। তা সুসজ্জিত ও প্রস্তুত অবস্থায় আছে। আমাদের জন্য সেখানেই সব আয়োজন কোরো।”
16 καὶ ἐξῆλθον οἱ μαθηταὶ [αὐτοῦ], καὶ ἦλθον εἰς τὴν πόλιν, καὶ εὗρον καθὼς εἶπεν αὐτοῖς, καὶ ἡτοίμασαν τὸ πάσχα.
সেই শিষ্যেরা বেরিয়ে পড়লেন। নগরে প্রবেশ করে যীশু তাঁদের যেমন বলেছিলেন, ঠিক তেমনই তাঁরা সবকিছু দেখতে পেলেন। তাই তাঁরা সেখানেই নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
17 καὶ ὀψίας γενομένης ἔρχεται μετὰ τῶν δώδεκα·
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, যীশু সেই বারোজনের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হলেন।
18 καὶ ἀνακειμένων αὐτῶν καὶ ἐσθιόντων εἶπεν ὁ Ἰησοῦς, Ἀμὴν λέγω ὑμῖν, ὅτι εἷς ἐξ ὑμῶν παραδώσει με, ὁ ἐσθίων μετ᾽ ἐμοῦ.
আসনে হেলান দিয়ে তাঁরা যখন আহার করছিলেন, তিনি বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে—সে আমারই সঙ্গে আহার করছে।”
19 οἱ δὲ ἤρξαντο λυπεῖσθαι καὶ λέγειν αὐτῷ εἷς καθ᾽ εἷς, Μή τι ἐγώ;
তাঁরা দুঃখিত হলেন এবং এক এক করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সে নিশ্চয়ই আমি নই?”
20 ὁ δὲ εἶπεν αὐτοῖς, Εἷς [ἐκ] τῶν δώδεκα, ὁ ἐμβαπτόμενος μετ᾽ ἐμοῦ εἰς τὸ τρυβλίον.
তিনি উত্তর দিলেন, “সে এই বারোজনের মধ্যেই একজন, যে আমার সঙ্গে খাবারের পাত্রে রুটি ডুবালো।
21 [ὅτι] ὁ μὲν υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου ὑπάγει καθὼς γέγραπται περὶ αὐτοῦ· οὐαὶ δὲ τῷ ἀνθρώπῳ ἐκείνῳ, δι᾽ οὗ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου παραδίδοται· καλὸν [ἦν] αὐτῷ, εἰ οὐκ ἐγεννήθη ὁ ἄνθρωπος ἐκεῖνος.
মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যে রকম লেখা আছে, তেমনই তিনি চলে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে! তার জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভালো হত।”
22 Καὶ ἐσθιόντων αὐτῶν, λαβὼν [ὁ Ἰησοῦς] ἄρτον εὐλογήσας ἔκλασεν, καὶ ἔδωκεν αὐτοῖς καὶ εἶπεν, Λάβετε· τοῦτό ἐστιν τὸ σῶμά μου.
তাঁরা যখন আহার করছিলেন, যীশু রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তা ভাঙলেন। আর তিনি তাঁর শিষ্যদের দিলেন ও বললেন, “তোমরা নাও; এ আমার শরীর।”
23 καὶ λαβὼν ποτήριον εὐχαριστήσας ἔδωκεν αὐτοῖς, καὶ ἔπιον ἐξ αὐτοῦ πάντες·
তারপর তিনি পানপাত্রটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তাঁদের সেটি দিলেন। তাঁরা সবাই তা থেকে পান করলেন।
24 καὶ εἶπεν αὐτοῖς, Τοῦτό ἐστιν τὸ αἷμά μου, τὸ τῆς διαθήκης, τὸ ἐκχυννόμενον ὑπὲρ πολλῶν.
তিনি তাঁদের বললেন, “এ আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য পাতিত হয়েছে।
25 ἀμὴν λέγω ὑμῖν ὅτι οὐκέτι οὐ μὴ πίω ἐκ τοῦ γενήματος τῆς ἀμπέλου, ἕως τῆς ἡμέρας ἐκείνης ὅταν αὐτὸ πίνω καινὸν ἐν τῇ βασιλείᾳ τοῦ θεοῦ.
আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ঈশ্বরের রাজ্যে আমি নতুন করে পান না করা পর্যন্ত দ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না।”
26 Καὶ ὑμνήσαντες ἐξῆλθον εἰς τὸ ὄρος τῶν ἐλαιῶν.
পরে তাঁরা একটি গান করে সেখান থেকে বের হয়ে জলপাই পর্বতে গেলেন।
27 Καὶ λέγει αὐτοῖς ὁ Ἰησοῦς ὅτι Πάντες σκανδαλισθήσεσθε· ὅτι γέγραπται, Πατάξω τὸν ποιμένα, καὶ τὰ πρόβατα διασκορπισθήσονται.
যীশু তাদের বললেন, “তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে যাবে, কারণ এরকম লেখা আছে: “‘আমি মেষপালককে আঘাত করব, এতে মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়বে।’
28 ἀλλὰ μετὰ τὸ ἐγερθῆναί με προάξω ὑμᾶς εἰς τὴν Γαλιλαίαν.
কিন্তু আমি উত্থিত হলে পর, আমি তোমাদের আগেই গালীলে পৌঁছাব।”
29 ὁ δὲ Πέτρος ἔφη αὐτῷ, Εἰ καὶ πάντες σκανδαλισθήσονται, ἀλλ᾽ οὐκ ἐγώ.
পিতর তাঁকে বললেন, “সবাই আপনাকে ছেড়ে গেলেও, আমি যাব না।”
30 καὶ λέγει αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς, Ἀμὴν λέγω σοι ὅτι σὺ σήμερον ταύτῃ τῇ νυκτί, πρὶν ἢ δὶς ἀλέκτορα φωνῆσαι τρίς με ἀπαρνήσῃ.
যীশু উত্তরে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজই—হ্যাঁ, আজ রাত্রিবেলায়—দু-বার মোরগ ডাকার আগেই, তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে।”
31 ὁ δὲ ἐκπερισσῶς ἐλάλει, Ἐὰν δέῃ με συναποθανεῖν σοι, οὐ μή σε ἀπαρνήσομαι. Ὡσαύτως δὲ καὶ πάντες ἔλεγον.
কিন্তু পিতর আরও জোরের সঙ্গে বললেন, “আপনার সঙ্গে যদি আমাকে মৃত্যুবরণও করতে হয়, তাহলেও আমি আপনাকে কখনোই অস্বীকার করব না।” আর বাকি সকলেও একই কথা বললেন।
32 Καὶ ἔρχονται εἰς χωρίον οὗ τὸ ὄνομα Γεθσημανεῖ καὶ λέγει τοῖς μαθηταῖς αὐτοῦ, Καθίσατε ὧδε ἕως προσεύξωμαι.
পরে তাঁরা গেৎশিমানি নামে পরিচিত একটি স্থানে গেলেন। আর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমি যখন প্রার্থনা করি, তোমরা এখানে বসে থাকো।”
33 καὶ παραλαμβάνει τὸν Πέτρον καὶ Ἰάκωβον καὶ Ἰωάννην μετ᾽ αὐτοῦ, καὶ ἤρξατο ἐκθαμβεῖσθαι καὶ ἀδημονεῖν.
তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে তাঁর সঙ্গে নিলেন এবং গভীর মর্মবেদনাগ্রস্ত ও উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠলেন।
34 καὶ λέγει αὐτοῖς, Περίλυπός ἐστιν ἡ ψυχή μου ἕως θανάτου· μείνατε ὧδε καὶ γρηγορεῖτε.
তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং জেগে থাকো।”
35 καὶ προσελθὼν μικρὸν ἔπεσεν ἐπὶ τῆς γῆς, καὶ προσηύχετο, ἵνα εἰ δυνατόν ἐστιν παρέλθῃ ἀπ᾽ αὐτοῦ ἡ ὥρα·
আরও কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রার্থনা করলেন, যেন সম্ভব হলে সেই লগ্ন তাঁর কাছ থেকে দূর করা হয়।
36 καὶ ἔλεγεν, Ἀββᾶ, ὁ πατήρ, πάντα δυνατά σοι· παρένεγκε τὸ ποτήριον τοῦτο ἀπ᾽ ἐμοῦ· ἀλλ᾽ οὐ τί ἐγὼ θέλω, ἀλλὰ τί σύ.
তিনি বললেন, “আব্বা, পিতা, তোমার পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব। এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে সরিয়ে নাও। তবুও আমার ইচ্ছা অনুযায়ী নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছা অনুযায়ী হোক।”
37 καὶ ἔρχεται καὶ εὑρίσκει αὐτοὺς καθεύδοντας, καὶ λέγει τῷ Πέτρῳ, Σίμων, καθεύδεις; οὐκ ἴσχυσας μίαν ὥραν γρηγορῆσαι;
তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে বললেন, “শিমোন, তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ? তুমি এক ঘণ্টাও জেগে থাকতে পারলে না?
38 γρηγορεῖτε καὶ προσεύχεσθε ἵνα μὴ εἰσέλθητε εἰς πειρασμόν. τὸ μὲν πνεῦμα πρόθυμον, ἡ δὲ σὰρξ ἀσθενής.
জেগে থাকো ও প্রার্থনা করো, যেন প্রলোভনে না পড়ো। আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।”
39 καὶ πάλιν ἀπελθὼν προσηύξατο τὸν αὐτὸν λόγον εἰπών.
আর একবার তিনি দূরে গিয়ে সেই একই প্রার্থনা করলেন।
40 καὶ ἐλθὼν εὗρεν αὐτοὺς καθεύδοντας· ἦσαν γὰρ οἱ ὀφθαλμοὶ αὐτῶν καταβαρυνόμενοι, καὶ οὐκ ᾔδεισαν τί ἀποκριθῶ σιν αὐτῷ.
যখন তিনি ফিরে এলেন, তিনি আবার তাঁদের ঘুমাতে দেখলেন, কারণ তাঁদের চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছিল। তাঁরা তাঁকে কী বলবেন, বুঝতে পারলেন না।
41 Καὶ ἔρχεται τὸ τρίτον καὶ λέγει αὐτοῖς, Καθεύδετε λοιπὸν καὶ ἀναπαύεσθε· ἀπέχει· ἦλθεν ἡ ὥρα· ἰδοὺ παραδίδοται ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου εἰς τὰς χεῖρας τῶν ἁμαρτωλῶν.
তৃতীয়বার তিনি ফিরে এসে তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এখনও ঘুমিয়ে আছ ও বিশ্রাম করছ? যথেষ্ট হয়েছে! সময় হয়েছে। দেখো, মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
42 ἐγείρεσθε, ἄγωμεν· ἰδοὺ ὁ παραδιδούς με ἤγγικεν.
ওঠো! চলো আমরা যাই! দেখো, আমার বিশ্বাসঘাতক এসে পড়েছে।”
43 Καὶ εὐθύς, ἔτι αὐτοῦ λαλοῦντος παραγίνεται ὁ Ἰούδας [ὁ Ἰσκαριώτης], εἷς τῶν δώδεκα, καὶ μετ᾽ αὐτοῦ ὄχλος μετὰ μαχαιρῶν καὶ ξύλων, παρὰ τῶν ἀρχιερέων καὶ τῶν γραμματέων καὶ τῶν πρεσβυτέρων.
তিনি তখনও কথা বলছেন, সেই সময় বারোজনের অন্যতম যিহূদা এসে উপস্থিত হল। তার সঙ্গে ছিল একদল সশস্ত্র লোক, তাদের হাতে ছিল তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা। প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও লোকসমূহের প্রাচীনবর্গ তাদের পাঠিয়েছিল।
44 δεδώκει δὲ ὁ παραδιδοὺς αὐτὸν σύσσημον αὐτοῖς λέγων, Ὃν ἂν φιλήσω, αὐτός ἐστιν· κρατήσατε αὐτόν, καὶ ἀπάγετε ἀσφαλῶς.
সেই বিশ্বাসঘাতক তাদের এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল, “যাকে আমি চুম্বন করব, সেই ওই ব্যক্তি; তাকে গ্রেপ্তার কোরো ও সতর্ক পাহারা দিয়ে নিয়ে যেয়ো।”
45 καὶ ἐλθὼν εὐθὺς προσελθὼν αὐτῷ λέγει, Ῥαββί, καὶ κατεφίλησεν αὐτόν.
সেই মুহূর্তেই যীশুর কাছে গিয়ে যিহূদা বলল, “রব্বি!” আর তাঁকে চুম্বন করল।
46 οἱ δὲ ἐπέβαλον τὰς χεῖρας αὐτῷ καὶ ἐκράτησαν αὐτόν.
সেই লোকেরা যীশুকে ধরল ও তাঁকে গ্রেপ্তার করল।
47 εἷς δὲ τῶν παρεστηκότων σπασάμενος τὴν μάχαιραν ἔπαισεν τὸν δοῦλον τοῦ ἀρχιερέως καὶ ἀφεῖλεν αὐτοῦ τὸ ὠτάριον.
যারা আশেপাশে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজন তার তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটি কান কেটে ফেলল।
48 καὶ ἀποκριθεὶς ὁ Ἰησοῦς εἶπεν αὐτοῖς, Ὡς ἐπὶ λῃστὴν ἐξήλθατε μετὰ μαχαιρῶν καὶ ξύλων συλλαβεῖν με;
যীশু বললেন, “আমি কি কোনও বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ?
49 καθ᾽ ἡμέραν ἤμην πρὸς ὑμᾶς ἐν τῷ ἱερῷ διδάσκων, καὶ οὐκ ἐκρατήσατέ με· ἀλλ᾽ ἵνα πληρωθῶσιν αἱ γραφαί.
প্রতিদিন আমি তোমাদের সঙ্গে থেকে মন্দির চত্বরে বসে শিক্ষা দিয়েছি, তখন তো তোমরা আমাকে গ্রেপ্তার করোনি। কিন্তু শাস্ত্রবাণী অবশ্যই পূর্ণ হতে হবে।”
50 καὶ ἀφέντες αὐτὸν ἔφυγον πάντες.
তখন সকলে তাঁকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন।
51 καὶ νεανίσκος τις συνηκολούθει αὐτῷ, περιβεβλημένος σινδόνα ἐπὶ γυμνοῦ· καὶ κρατοῦσιν αὐτόν·
আর একজন যুবক, কোনো কিছু না-পরে, কেবলমাত্র একটি মসিনার কাপড় গায়ে জড়িয়ে যীশুকে অনুসরণ করছিল।
52 ὁ δὲ καταλιπὼν τὴν σινδόνα γυμνὸς ἔφυγεν.
তারা তাকে ধরলে, সে তার পোশাক ফেলে নগ্ন অবস্থাতেই পালিয়ে গেল।
53 Καὶ ἀπήγαγον τὸν Ἰησοῦν πρὸς τὸν ἀρχιερέα, καὶ συνέρχονται αὐτῷ πάντες οἱ ἀρχιερεῖς καὶ οἱ πρεσβύτεροι καὶ οἱ γραμματεῖς.
তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে গেল। আর সব প্রধান যাজকেরা, লোকদের প্রাচীনবর্গ ও শাস্ত্রবিদরা সমবেত হয়েছিল।
54 καὶ ὁ Πέτρος ἀπὸ μακρόθεν ἠκολούθησεν αὐτῷ ἕως ἔσω εἰς τὴν αὐλὴν τοῦ ἀρχιερέως, καὶ ἦν συγκαθήμενος μετὰ τῶν ὑπηρετῶν, καὶ θερμαινόμενος πρὸς τὸ φῶς.
পিতর দূর থেকে তাঁকে অনুসরণ করে মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত চলে গেলেন। সেখানে তিনি প্রহরীদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলেন।
55 οἱ δὲ ἀρχιερεῖς καὶ ὅλον τὸ συνέδριον ἐζήτουν κατὰ τοῦ Ἰησοῦ μαρτυρίαν εἰς τὸ θανατῶσαι αὐτόν, καὶ οὐχ ηὕρισκον.
প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল, কিন্তু তারা সেরকম কিছুই পেল না।
56 πολλοὶ γὰρ ἐψευδομαρτύρουν κατ᾽ αὐτοῦ, καὶ ἴσαι αἱ μαρτυρίαι οὐκ ἦσαν.
অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিল ঠিকই, কিন্তু তাদের সাক্ষ্যের মধ্যে কোনও মিল ছিল না।
57 καί τινες ἀναστάντες ἐψευδομαρτύρουν κατ᾽ αὐτοῦ, λέγοντες
তখন কয়েকজন উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সাক্ষ্য দিল:
58 ὅτι Ἡμεῖς ἠκούσαμεν αὐτοῦ λέγοντος ὅτι Ἐγὼ καταλύσω τὸν ναὸν τοῦτον τὸν χειροποίητον, καὶ διὰ τριῶν ἡμερῶν ἄλλον ἀχειροποίητον οἰκοδομήσω.
“আমরা একে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের তৈরি এই মন্দির আমি ধ্বংস করতে ও তিনদিনের মধ্যে আর একটি মন্দির নির্মাণ করতে পারি, যা মানুষের তৈরি নয়।’”
59 καὶ οὐδὲ οὕτως ἴση ἦν ἡ μαρτυρία αὐτῶν.
তবুও, এই সাক্ষ্যের মধ্যেও কোনো মিল খুঁজে পাওয়া গেল না।
60 καὶ ἀναστὰς ὁ ἀρχιερεὺς εἰς μέσον ἐπηρώτησεν τὸν Ἰησοῦν λέγων, Οὐκ ἀποκρίνῃ οὐδέν; τί οὗτοί σου καταμαρτυροῦσιν;
তখন মহাযাজক তাদের সামনে উঠে দাঁড়ালেন ও যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ এনেছে, সেগুলি কী?”
61 ὁ δὲ ἐσιώπα, καὶ οὐκ ἀπεκρίνατο οὐδέν. πάλιν ὁ ἀρχιερεὺς ἐπηρώτα αὐτὸν καὶ λέγει αὐτῷ, Σὺ εἶ ὁ χριστὸς ὁ υἱὸς τοῦ εὐλογητοῦ;
যীশু তবুও নীরব রইলেন, কোনও উত্তর দিলেন না। মহাযাজক তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, পরমধন্য ঈশ্বরের পুত্র?”
62 ὁ δὲ Ἰησοῦς εἶπεν, Ἐγώ εἰμι, καὶ ὄψεσθε τὸν υἱὸν τοῦ ἀνθρώπου ἐκ δεξιῶν καθήμενον τῆς δυνάμεως καὶ ἐρχόμενον μετὰ τῶν νεφελῶν τοῦ οὐρανοῦ.
যীশু বললেন, “আমিই তিনি। আর তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।”
63 ὁ δὲ ἀρχιερεὺς διαῤῥήξας τοὺς χιτῶνας αὐτοῦ λέγει, Τί ἔτι χρείαν ἔχομεν μαρτύρων;
তখন মহাযাজক তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন। তিনি বললেন, “আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন?
64 ἠκούσατε τῆς βλασφημίας· τί ὑμῖν φαίνεται; οἱ δὲ πάντες κατέκριναν αὐτὸν ἔνοχον εἶναι θανάτου.
তোমরা তো ঈশ্বরনিন্দা শুনলে। তোমাদের অভিমত কী?” তারা সবাই যীশুকে অপরাধী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য বলে রায় দিল।
65 καὶ ἤρξαντό τινες ἐμπτύειν αὐτῷ καὶ περικαλύπτειν αὐτοῦ τὸ πρόσωπον, καὶ κολαφίζειν αὐτὸν καὶ λέγειν αὐτῷ, Προφήτευσον· καὶ οἱ ὑπηρέται ῥαπίσμασιν αὐτὸν ἔλαβον.
তখন কেউ কেউ তাঁর গায়ে থুতু দিল, তারা তাঁর চোখ বেঁধে তাঁকে ঘুসি মারল ও বলল, “ভাববাণী বল!” আর প্রহরীরা তাঁকে নিয়ে গিয়ে প্রহার করতে লাগল।
66 Καὶ ὄντος τοῦ Πέτρου κάτω ἐν τῇ αὐλῇ, ἔρχεται μία τῶν παιδισκῶν τοῦ ἀρχιερέως,
পিতর যখন নিচে উঠানে ছিলেন, মহাযাজকের একজন দাসী তাঁর কাছে এল।
67 καὶ ἰδοῦσα τὸν Πέτρον θερμαινόμενον, ἐμβλέψασα αὐτῷ λέγει, Καὶ σὺ μετὰ τοῦ Ναζαρηνοῦ ἦσθα τοῦ Ἰησοῦ.
পিতরকে আগুন পোহাতে দেখে সে তাঁকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল। সে বলল, “তুমিও ওই নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।”
68 ὁ δὲ ἠρνήσατο λέγων, Οὔτε οἶδα, οὔτε ἐπίσταμαι σὺ τί λέγεις. καὶ ἐξῆλθεν ἔξω εἰς τὸ προαύλιον, καὶ ἀλέκτωρ ἐφώνησεν.
কিন্তু তিনি সেই কথা অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, “তুমি কী বলছ, তা আমি জানি না, বুঝতেও পারছি না।” এরপর তিনি প্রবেশদ্বারের দিকে চলে গেলেন, আর তক্ষুনি মোরগ ডেকে উঠল।
69 Καὶ ἡ παιδίσκη ἰδοῦσα αὐτὸν πάλιν ἤρξατο λέγειν τοῖς παρεστῶσιν ὅτι Οὗτος ἐξ αὐτῶν ἐστιν.
সেই দাসী তাঁকে সেখানে দেখে তাঁর চারপাশের লোকদের আবার বলল, “এই লোকটিও ওদেরই একজন!”
70 ὁ δὲ πάλιν ἠρνεῖτο. καὶ μετὰ μικρὸν πάλιν οἱ παρεστῶτες ἔλεγον τῷ Πέτρῳ, Ἀληθῶς ἐξ αὐτῶν εἶ· καὶ γὰρ Γαλιλαῖος εἶ.
তিনি আবার তা অস্বীকার করলেন। এর কিছুক্ষণ পরে, যারা পিতরের কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা বলল, “তুমি নিশ্চয় ওদেরই একজন, কারণ তুমি একজন গালীলীয়।”
71 ὁ δὲ ἤρξατο ἀναθεματίζειν καὶ ὀμνύναι ὅτι Οὐκ οἶδα τὸν ἄνθρωπον τοῦτον ὃν λέγετε.
তিনি নিজেকে অভিশাপ দিতে লাগলেন ও তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “যাঁর সম্পর্কে আপনারা বলছেন, তাঁকে আমি চিনি না।”
72 καὶ εὐθὺς ἐκ δευτέρου ἀλέκτωρ ἐφώνησεν, καὶ ἀνεμνήσθη ὁ Πέτρος τὸ ῥῆμα ὡς εἶπεν αὐτῷ ὁ Ἰησοῦς ὅτι Πρὶν ἀλέκτορα δὶς φωνῆσαι, τρίς με ἀπαρνήσῃ. καὶ ἐπιβαλὼν ἔκλαιεν.
সঙ্গে সঙ্গে মোরগ দ্বিতীয়বার ডেকে উঠল। তখন যীশু পিতরকে যে কথা বলেছিলেন, তাঁর তা মনে পড়ল: “মোরগ দু-বার ডাকার পূর্বে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” তখন তিনি অত্যন্ত কান্নায় ভেঙে পড়লেন।