< Κατα Λουκαν 11 >

1 Καὶ ἐγένετο ἐν τῷ εἶναι αὐτὸν ἐν τόπῳ τινὶ προσευχόμενον, ὡς ἐπαύσατο, εἶπέν τις τῶν μαθητῶν αὐτοῦ πρὸς αὐτόν, “˚Κύριε, δίδαξον ἡμᾶς προσεύχεσθαι, καθὼς καὶ Ἰωάννης ἐδίδαξεν τοὺς μαθητὰς αὐτοῦ.”
একদিন যীশু কোনো এক স্থানে প্রার্থনা করছিলেন। যখন শেষ করলেন, তাঁর একজন শিষ্য তাঁকে বললেন, “প্রভু, যোহন যেমন তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, তেমন আপনিও আমাদের প্রার্থনা করতে শিখিয়ে দিন।”
2 Εἶπεν δὲ αὐτοῖς, “Ὅταν προσεύχησθε, λέγετε, ‘Πάτερ, ἁγιασθήτω τὸ ὄνομά σου. Ἐλθάτω ἡ βασιλεία σου.
তিনি তাঁদের বললেন, “প্রার্থনা করার সময়, তোমরা বোলো: “‘হে পিতা, তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক, তোমার রাজ্য আসুক।
3 Τὸν ἄρτον ἡμῶν τὸν ἐπιούσιον, δίδου ἡμῖν τὸ καθʼ ἡμέραν.
প্রতিদিন আমাদের দৈনিক আহার আমাদের দাও।
4 Καὶ ἄφες ἡμῖν τὰς ἁμαρτίας ἡμῶν, καὶ γὰρ αὐτοὶ ἀφίομεν παντὶ ὀφείλοντι ἡμῖν. Καὶ μὴ εἰσενέγκῃς ἡμᾶς εἰς πειρασμόν.’”
আর আমাদের সব পাপ ক্ষমা করো, যেমন আমরাও নিজেদের সব অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদের প্রলোভনে পড়তে দিয়ো না।’”
5 Καὶ εἶπεν πρὸς αὐτούς, “Τίς ἐξ ὑμῶν ἕξει φίλον, καὶ πορεύσεται πρὸς αὐτὸν μεσονυκτίου, καὶ εἴπῃ αὐτῷ, ‘Φίλε, χρῆσόν μοι τρεῖς ἄρτους,
তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “মনে করো, তোমাদের কোনও একজনের বন্ধু যদি মাঝরাতে তার কাছে গিয়ে বলে,
6 ἐπειδὴ φίλος μου παρεγένετο ἐξ ὁδοῦ πρός με, καὶ οὐκ ἔχω ὃ παραθήσω αὐτῷ.’
‘বন্ধু, আমাকে তিনটি রুটি ধার দাও। আমার এক বন্ধু এক জায়গায় যাওয়ার পথে আমার কাছে এসেছে। কিন্তু তাকে খেতে দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই।’
7 Κἀκεῖνος ἔσωθεν ἀποκριθεὶς εἴπῃ, ‘Μή μοι κόπους πάρεχε· ἤδη ἡ θύρα κέκλεισται, καὶ τὰ παιδία μου μετʼ ἐμοῦ εἰς τὴν κοίτην εἰσίν· οὐ δύναμαι ἀναστὰς δοῦναί σοι.’
তখন ভিতর থেকে সে উত্তর দিল, ‘আমাকে বিরক্ত কোরো না। দরজা বন্ধ করা হয়েছে, ছেলেমেয়েরা আমার সঙ্গে শুয়ে আছে। আমি উঠে তোমাকে কিছু দিতে পারছি না।’
8 Λέγω ὑμῖν, εἰ καὶ οὐ δώσει αὐτῷ ἀναστὰς, διὰ τὸ εἶναι φίλον αὐτοῦ, διά γε τὴν ἀναίδειαν αὐτοῦ ἐγερθεὶς, δώσει αὐτῷ ὅσων χρῄζει.
আমি তোমাদের বলছি, যদিও তার বন্ধু বলে সে উঠে তাকে রুটি দিতে পারবে না, কিন্তু লোকটির আকুলতার জন্য সে উঠে তার চাহিদামতো রুটি তাকে দেবে।
9 Κἀγὼ ὑμῖν λέγω, ‘Αἰτεῖτε, καὶ δοθήσεται ὑμῖν· ζητεῖτε, καὶ εὑρήσετε· κρούετε, καὶ ἀνοιγήσεται ὑμῖν.
“তাই আমি তোমাদের বলছি, চাও, তোমাদের দেওয়া হবে; খোঁজ করো, তোমরা পাবে; কড়া নাড়ো, তোমাদের জন্য দ্বার খুলে দেওয়া হবে।
10 Πᾶς γὰρ ὁ αἰτῶν λαμβάνει, καὶ ὁ ζητῶν εὑρίσκει, καὶ τῷ κρούοντι ἀνοιγήσεται.’
কারণ যে চায়, সে গ্রহণ করে; যে খোঁজ করে, সে সন্ধান পায়; আর যে কড়া নাড়ে, তার জন্য দ্বার খুলে দেওয়া হয়।
11 Τίνα δὲ ἐξ ὑμῶν τὸν πατέρα αἰτήσει ὁ υἱὸς ἰχθύν, καὶ ἀντὶ ἰχθύος, ὄφιν αὐτῷ ἐπιδώσει;
“তোমাদের মধ্যে এমন বাবা কে আছে, ছেলে রুটি চাইলে যে তাকে পাথর দেবে, অথবা মাছ চাইলে তার পরিবর্তে সাপ দেবে?
12 ἢ καὶ αἰτήσει ᾠόν, ἐπιδώσει αὐτῷ σκορπίον;
অথবা সে ডিম চাইলে তাকে কাঁকড়াবিছে দেবে?
13 Εἰ οὖν ὑμεῖς πονηροὶ ὑπάρχοντες, οἴδατε δόματα ἀγαθὰ διδόναι τοῖς τέκνοις ὑμῶν, πόσῳ μᾶλλον ὁ Πατὴρ ὁ ἐξ οὐρανοῦ δώσει ˚Πνεῦμα Ἅγιον τοῖς αἰτοῦσιν αὐτόν;”
তোমরা মন্দ প্রকৃতির হয়েও যদি নিজেদের সন্তানদের ভালো ভালো উপহার দিতে জানো, তাহলে যারা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার কাছে চায়, তাদের তিনি আরও কত না নিশ্চিতরূপে পবিত্র আত্মা দান করবেন!”
14 Καὶ ἦν ἐκβάλλων δαιμόνιον κωφόν. Ἐγένετο δὲ τοῦ δαιμονίου ἐξελθόντος, ἐλάλησεν ὁ κωφός. Καὶ ἐθαύμασαν οἱ ὄχλοι.
যীশু ভূতগ্রস্ত এক বোবা ব্যক্তির মধ্য থেকে ভূত তাড়ালেন। ভূতটি চলে গেলে বোবা মানুষটি কথা বলতে লাগল। এ দেখে লোকেরা ভীষণ চমৎকৃত হয়ে গেল।
15 Τινὲς δὲ ἐξ αὐτῶν εἶπον, “Ἐν Βεελζεβοὺλ τῷ ἄρχοντι τῶν δαιμονίων, ἐκβάλλει τὰ δαιμόνια.”
কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন বলল, “ও ভূতদের অধিপতি বেলসবুলের সহায়তায় ভূতদের দূর করে।”
16 Ἕτεροι δὲ πειράζοντες, σημεῖον ἐξ οὐρανοῦ ἐζήτουν παρʼ αὐτοῦ.
অন্যেরা তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য কোনও স্বর্গীয় চিহ্ন দেখতে চাইল।
17 Αὐτὸς δὲ εἰδὼς αὐτῶν τὰ διανοήματα εἶπεν αὐτοῖς, “Πᾶσα βασιλεία ἐφʼ ἑαυτὴν διαμερισθεῖσα ἐρημοῦται, καὶ οἶκος ἐπὶ οἶκον πίπτει.
যীশু তাদের মনের কথা জানতে পেরে তাদের বললেন, “কোনো রাজ্য যদি নিজেরই বিরুদ্ধে বিভাজিত হয়, তাহলে তার পতন হবে। কোনো পরিবার যদি নিজের বিরুদ্ধে বিভাজিত হয়, তাহলে তার পতন হবে।
18 Εἰ δὲ καὶ ὁ Σατανᾶς ἐφʼ ἑαυτὸν διεμερίσθη, πῶς σταθήσεται ἡ βασιλεία αὐτοῦ; Ὅτι λέγετε, ἐν Βεελζεβοὺλ ἐκβάλλειν με τὰ δαιμόνια.
শয়তান যদি নিজের বিরুদ্ধে বিভাজিত হয়ে পড়ে, কেমনভাবে তার সাম্রাজ্য টিকে থাকতে পারে? আমার একথা বলার কারণ, তোমরা বলে থাকো যে, আমি বেলসবুলের সহায়তায় ভূতদের তাড়িয়ে থাকি।
19 Εἰ δὲ ἐγὼ ἐν Βεελζεβοὺλ ἐκβάλλω τὰ δαιμόνια, οἱ υἱοὶ ὑμῶν ἐν τίνι ἐκβάλλουσιν; Διὰ τοῦτο, αὐτοὶ ὑμῶν κριταὶ ἔσονται.
আমি যদি বেলসবুলের দ্বারা ভূত তাড়িয়ে থাকি, তাহলে তোমাদের অনুগামীরা কার সাহায্যে তাদের তাড়ায়? সেই কারণে, তারাই তোমাদের বিচারক হবে।
20 Εἰ δὲ ἐν δακτύλῳ ˚Θεοῦ, ἐγὼ ἐκβάλλω τὰ δαιμόνια, ἄρα ἔφθασεν ἐφʼ ὑμᾶς ἡ Βασιλεία τοῦ ˚Θεοῦ.
কিন্তু যদি আমি ঈশ্বরের শক্তির দ্বারা ভূত তাড়াই, তাহলে ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের উপরে এসে পড়েছে।
21 Ὅταν ὁ ἰσχυρὸς καθωπλισμένος, φυλάσσῃ τὴν ἑαυτοῦ αὐλήν, ἐν εἰρήνῃ ἐστὶν τὰ ὑπάρχοντα αὐτοῦ·
“কোনো শক্তিশালী ব্যক্তি যখন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিজের প্রাসাদ পাহারা দেয়, তখন তার সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকে।
22 ἐπὰν δὲ ἰσχυρότερος αὐτοῦ ἐπελθὼν, νικήσῃ αὐτόν, τὴν πανοπλίαν αὐτοῦ αἴρει ἐφʼ ᾗ ἐπεποίθει, καὶ τὰ σκῦλα αὐτοῦ διαδίδωσιν.
কিন্তু তার চেয়েও বলিষ্ঠ কেউ যখন আক্রমণ করে তাকে পরাস্ত করেন, পরাজিত লোকটি যে অস্ত্রশস্ত্রের উপর নির্ভর করেছিল, সেসব তিনি কেড়ে নেন এবং সমস্ত লুন্ঠিত দ্রব্য নিয়ে চলে যান।
23 Ὁ μὴ ὢν μετʼ ἐμοῦ, κατʼ ἐμοῦ ἐστιν, καὶ ὁ μὴ συνάγων μετʼ ἐμοῦ, σκορπίζει.
“যে আমার পক্ষে নয়, সে আমার বিপক্ষে, আর যে আমার সঙ্গে সংগ্রহ করে না, সে ছড়িয়ে ফেলে।
24 Ὅταν τὸ ἀκάθαρτον πνεῦμα ἐξέλθῃ ἀπὸ τοῦ ἀνθρώπου, διέρχεται διʼ ἀνύδρων τόπων ζητοῦν ἀνάπαυσιν, καὶ μὴ εὑρίσκον, λέγει, ‘Ὑποστρέψω εἰς τὸν οἶκόν μου, ὅθεν ἐξῆλθον.’
“কোনো মানুষের ভিতর থেকে যখন কোনও দুষ্ট-আত্মা বের হয়ে যায় সে তখন বিশ্রামের খোঁজে শুষ্ক-ভূমিতে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু তার সন্ধান পায় না। তখন সে বলে, ‘আমি যে বাড়ি ছেড়ে এসেছি সেখানেই ফিরে যাব।’
25 Καὶ ἐλθὸν, εὑρίσκει σεσαρωμένον καὶ κεκοσμημένον.
যখন সে ফিরে আসে, তখন সেই বাড়ি পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল দেখতে পায়।
26 Τότε πορεύεται καὶ παραλαμβάνει ἕτερα πνεύματα πονηρότερα ἑαυτοῦ ἑπτά, καὶ εἰσελθόντα, κατοικεῖ ἐκεῖ, καὶ γίνεται τὰ ἔσχατα τοῦ ἀνθρώπου ἐκείνου, χείρονα τῶν πρώτων.”
তখন সে গিয়ে তার থেকেও দুষ্ট আরও সাতটি আত্মাকে নিয়ে আসে, আর তারা ভিতরে প্রবেশ করে সেখানে বাস করতে থাকে। তখন সেই মানুষটির অন্তিমদশা আগের থেকে আরও বেশি শোচনীয় হয়ে পড়ে।”
27 Ἐγένετο δὲ ἐν τῷ λέγειν αὐτὸν ταῦτα, ἐπάρασά τις φωνὴν γυνὴ ἐκ τοῦ ὄχλου, εἶπεν αὐτῷ, “Μακαρία ἡ κοιλία ἡ βαστάσασά σε, καὶ μαστοὶ οὓς ἐθήλασας.”
যীশু যখন এসব কথা বলছিলেন, লোকদের মধ্য থেকে একজন স্ত্রীলোক চিৎকার করে বলে উঠল, “ধন্য সেই গর্ভ, যা আপনাকে ধারণ করেছিল এবং সেই স্তন, যার দুধ আপনি পান করেছিলেন।”
28 Αὐτὸς δὲ εἶπεν, “Μενοῦν, μακάριοι οἱ ἀκούοντες τὸν λόγον τοῦ ˚Θεοῦ καὶ φυλάσσοντες.”
তিনি উত্তর দিলেন, “বরং তারাই ধন্য, যারা ঈশ্বরের বাক্য শোনে ও তা পালন করে।”
29 Τῶν δὲ ὄχλων ἐπαθροιζομένων, ἤρξατο λέγειν, “Ἡ γενεὰ αὕτη γενεὰ πονηρά ἐστιν· σημεῖον ζητεῖ καὶ σημεῖον οὐ δοθήσεται αὐτῇ, εἰ μὴ τὸ σημεῖον Ἰωνᾶ.
লোকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে লাগল। যীশু বললেন, “বর্তমান প্রজন্মের লোকেরা দুষ্ট প্রকৃতির। তারা অলৌকিক নিদর্শন দেখতে চায়, কিন্তু যোনার নিদর্শন ছাড়া আর কিছুই তাদের দেওয়া হবে না।
30 Καθὼς γὰρ ἐγένετο Ἰωνᾶς τοῖς Νινευίταις σημεῖον, οὕτως ἔσται καὶ ὁ Υἱὸς τοῦ Ἀνθρώπου τῇ γενεᾷ ταύτῃ.
যোনা নীনবীবাসীদের কাছে যেমন নিদর্শনস্বরূপ ছিলেন, মনুষ্যপুত্রও তেমনই এই প্রজন্মের কাছে নিদর্শনস্বরূপ হবেন।
31 Βασίλισσα νότου ἐγερθήσεται ἐν τῇ κρίσει μετὰ τῶν ἀνδρῶν τῆς γενεᾶς ταύτης, καὶ κατακρινεῖ αὐτούς, ὅτι ἦλθεν ἐκ τῶν περάτων τῆς γῆς ἀκοῦσαι τὴν σοφίαν Σολομῶνος, καὶ ἰδοὺ, πλεῖον Σολομῶνος ὧδε.
বিচারের দিনে দক্ষিণ দেশের রানি এই প্রজন্মের লোকেদের সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে তাদের অভিযুক্ত করবেন, কারণ শলোমনের প্রজ্ঞার বাণী শোনার জন্য তিনি পৃথিবীর সুদূর প্রান্ত থেকে এসেছিলেন। কিন্তু শলোমনের চেয়েও মহান একজন এখানে উপস্থিত আছেন।
32 Ἄνδρες Νινευῖται ἀναστήσονται ἐν τῇ κρίσει μετὰ τῆς γενεᾶς ταύτης, καὶ κατακρινοῦσιν αὐτήν, ὅτι μετενόησαν εἰς τὸ κήρυγμα Ἰωνᾶ, καὶ ἰδοὺ, πλεῖον Ἰωνᾶ ὧδε.
বিচারের দিনে নীনবী নগরের লোকেরা এই প্রজন্মের লোকদের সঙ্গে উঠে দাঁড়াবে ও এদের অভিযুক্ত করবে, কারণ তারা যোনার প্রচারে মন পরিবর্তন করেছিল; আর এখন যোনার চেয়েও মহান একজন এখানে উপস্থিত আছেন।
33 Οὐδεὶς λύχνον ἅψας εἰς κρύπτην τίθησιν, οὐδὲ ὑπὸ τὸν μόδιον, ἀλλʼ ἐπὶ τὴν λυχνίαν, ἵνα οἱ εἰσπορευόμενοι τὸ φῶς βλέπωσιν.
“প্রদীপ জ্বেলে কেউ গোপন স্থানে, বা পাত্রের নিচে রাখে না, বরং সে দীপাধারের উপরে রাখে, যেন যারা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে, তারা আলো দেখতে পায়।
34 Ὁ λύχνος τοῦ σώματός ἐστιν ὁ ὀφθαλμός σου. Ὅταν ὁ ὀφθαλμός σου ἁπλοῦς ᾖ, καὶ ὅλον τὸ σῶμά σου φωτεινόν ἐστιν· ἐπὰν δὲ πονηρὸς ᾖ, καὶ τὸ σῶμά σου σκοτεινόν.
তোমার চোখই তোমার শরীরের প্রদীপ। তোমার চোখ যদি সরল হয়, তাহলে তোমার সমস্ত শরীর আলোকময় হয়ে উঠবে। কিন্তু চোখদুটি যদি মন্দ হয়, তোমার শরীরও হয়ে উঠবে অন্ধকারময়।
35 Σκόπει οὖν, μὴ τὸ φῶς τὸ ἐν σοὶ σκότος ἐστίν.
সেই কারণে দেখো, তোমার মধ্যে যে আলো রয়েছে বলে তুমি মনে করছ, তা আসলে অন্ধকার যেন না হয়।
36 Εἰ οὖν τὸ σῶμά σου ὅλον φωτεινόν, μὴ ἔχον μέρος τι σκοτεινόν, ἔσται φωτεινὸν ὅλον, ὡς ὅταν ὁ λύχνος τῇ ἀστραπῇ φωτίζῃ σε.”
তাই তোমার সারা শরীর যদি আলোকময় হয়ে ওঠে ও তার কোনো অংশ যদি অন্ধকারময় না হয়, প্রদীপের আলো যেমন তোমার উপরে আলো দেয় তেমনই তোমার শরীরও সম্পূর্ণ আলোময় হয়ে উঠবে।”
37 Ἐν δὲ τῷ λαλῆσαι, ἐρωτᾷ αὐτὸν Φαρισαῖος ὅπως ἀριστήσῃ παρʼ αὐτῷ, εἰσελθὼν δὲ, ἀνέπεσεν.
যীশুর কথা বলা শেষ হওয়ার পর একজন ফরিশী তাঁকে তার সঙ্গে খাবারের জন্য নিমন্ত্রণ করল। তাই তিনি ভিতরে গিয়ে খেতে বসলেন।
38 Ὁ δὲ Φαρισαῖος ἰδὼν, ἐθαύμασεν ὅτι οὐ πρῶτον ἐβαπτίσθη πρὸ τοῦ ἀρίστου.
কিন্তু খাওয়ার আগে যীশুকে প্রথামতো হাত পা ধুতে না দেখে, সেই ফরিশী অবাক হয়ে গেল।
39 Εἶπεν δὲ ὁ ˚Κύριος πρὸς αὐτόν, “Νῦν ὑμεῖς οἱ Φαρισαῖοι τὸ ἔξωθεν τοῦ ποτηρίου καὶ τοῦ πίνακος καθαρίζετε, τὸ δὲ ἔσωθεν ὑμῶν γέμει ἁρπαγῆς καὶ πονηρίας.
তখন প্রভু তাকে বললেন, “তোমরা ফরিশীরা, থালাবাটির বাইরের অংশ পরিষ্কার করে থাকো, কিন্তু তোমাদের অন্তর লালসা ও দুষ্টতায় ভর্তি থাকে।
40 Ἄφρονες! Οὐχ ὁ ποιήσας τὸ ἔξωθεν, καὶ τὸ ἔσωθεν ἐποίησεν;
মূর্খের দল! বাইরের দিক যিনি তৈরি করেছেন, তিনি কি ভিতরের দিকও তৈরি করেননি?
41 Πλὴν τὰ ἐνόντα δότε ἐλεημοσύνην, καὶ ἰδοὺ, πάντα καθαρὰ ὑμῖν ἐστιν.
কিন্তু পাত্রের ভিতরে যা আছে, তা দরিদ্রদের বিলিয়ে দাও, দেখবে, তোমাদের কাছে সবকিছুই শুচিশুদ্ধ হয়ে উঠবে।
42 Ἀλλὰ οὐαὶ ὑμῖν τοῖς Φαρισαίοις, ὅτι ἀποδεκατοῦτε τὸ ἡδύοσμον, καὶ τὸ πήγανον, καὶ πᾶν λάχανον, καὶ παρέρχεσθε τὴν κρίσιν καὶ τὴν ἀγάπην τοῦ ˚Θεοῦ. Ταῦτα δὲ ἔδει ποιῆσαι, κἀκεῖνα μὴ παρεῖναι.
“ফরিশীরা, ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা খেতের পুদিনা, তেজপাতা ও অন্যান্য শাকের এক-দশমাংশ ঈশ্বরকে দিয়ে থাকো, কিন্তু ন্যায়বিচার ও ঈশ্বরের প্রেম অবহেলা করে থাকো। এক-দশমাংশ দান করেও, আরও গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলি তোমাদের পালন করা উচিত ছিল।
43 Οὐαὶ ὑμῖν τοῖς Φαρισαίοις, ὅτι ἀγαπᾶτε τὴν πρωτοκαθεδρίαν ἐν ταῖς συναγωγαῖς, καὶ τοὺς ἀσπασμοὺς ἐν ταῖς ἀγοραῖς.
“ফরিশীরা, ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা সমাজভবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসতে এবং হাটেবাজারে লোকদের অভিবাদন পেতে ভালোবাসো।
44 Οὐαὶ ὑμῖν, ὅτι ἐστὲ ὡς τὰ μνημεῖα τὰ ἄδηλα, καὶ οἱ ἄνθρωποι περιπατοῦντες ἐπάνω οὐκ οἴδασιν.”
“ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা চিহ্নহীন কবরের মতো, যার উপর দিয়ে মানুষ অজান্তে হেঁটে যায়।”
45 Ἀποκριθεὶς δέ τις τῶν νομικῶν λέγει αὐτῷ, “Διδάσκαλε, ταῦτα λέγων, καὶ ἡμᾶς ὑβρίζεις.”
একজন শাস্ত্রবিদ তাঁকে উত্তর দিল, “গুরুমহাশয়, এ সমস্ত কথায় আপনি আমাদেরও অপমান করছেন।”
46 Ὁ δὲ εἶπεν, “Καὶ ὑμῖν τοῖς νομικοῖς οὐαί! Ὅτι φορτίζετε τοὺς ἀνθρώπους φορτία δυσβάστακτα, καὶ αὐτοὶ ἑνὶ τῶν δακτύλων ὑμῶν οὐ προσψαύετε τοῖς φορτίοις.
যীশু প্রত্যুত্তরে বললেন, “শাস্ত্রবিদরা, ধিক্ তোমাদের! তোমরা সব মানুষের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দাও, যা তারা বইতে অক্ষম, কিন্তু তোমরা নিজেরা একটি আঙুল তুলেও তাদের সাহায্য করো না।
47 Οὐαὶ ὑμῖν, ὅτι οἰκοδομεῖτε τὰ μνημεῖα τῶν προφητῶν, οἱ δὲ πατέρες ὑμῶν ἀπέκτειναν αὐτούς.
“ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা ভাববাদীদের সমাধি নির্মাণ করে থাকো, কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষেরাই তাদের হত্যা করেছিল।
48 Ἄρα μαρτυρεῖτε καὶ συνευδοκεῖτε τοῖς ἔργοις τῶν πατέρων ὑμῶν, ὅτι αὐτοὶ μὲν ἀπέκτειναν αὐτοὺς, ὑμεῖς δὲ οἰκοδομεῖτε.
তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাজ যে তোমরা সমর্থন করছ, তোমাদের কাজই তার প্রমাণ। তারা হত্যা করেছিল সেই ভাববাদীদের, আর তোমরা তাদের সমাধি নির্মাণ করছ!
49 Διὰ τοῦτο καὶ ἡ σοφία τοῦ ˚Θεοῦ εἶπεν, ‘Ἀποστελῶ εἰς αὐτοὺς προφήτας καὶ ἀποστόλους, καὶ ἐξ αὐτῶν ἀποκτενοῦσιν καὶ διώξουσιν,
এজন্য ঈশ্বর তাঁর প্রজ্ঞায় বলেন, ‘আমি তাদের কাছে ভাববাদীদের ও প্রেরিতশিষ্যদের পাঠাব; তাদের কয়েকজনকে তারা হত্যা করবে এবং অন্যদের নিপীড়ন করবে।’
50 ἵνα ἐκζητηθῇ τὸ αἷμα πάντων τῶν προφητῶν, τὸ ἐκχυννόμενον ἀπὸ καταβολῆς κόσμου, ἀπὸ τῆς γενεᾶς ταύτης,
তাই জগতের উৎপত্তিকাল থেকে সব ভাববাদীর রক্তপাতের জন্য এই প্রজন্মের মানুষেরাই দায়ী হবে।
51 ἀπὸ αἵματος Ἅβελ ἕως αἵματος Ζαχαρίου, τοῦ ἀπολομένου μεταξὺ τοῦ θυσιαστηρίου καὶ τοῦ οἴκου. Ναί, λέγω ὑμῖν, ἐκζητηθήσεται ἀπὸ τῆς γενεᾶς ταύτης.’
হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, হেবল থেকে শুরু করে বেদি ও মন্দিরের মাঝখানে নিহত সখরিয় পর্যন্ত, সকলেরই রক্তপাতের জন্য বর্তমান প্রজন্ম দায়ী হবে।
52 Οὐαὶ ὑμῖν τοῖς νομικοῖς, ὅτι ἤρατε τὴν κλεῖδα τῆς γνώσεως· αὐτοὶ οὐκ εἰσήλθατε, καὶ τοὺς εἰσερχομένους ἐκωλύσατε.”
“শাস্ত্রবিদরা, ধিক্ তোমাদের! কারণ তোমরা জ্ঞান-ভাণ্ডারের চাবি কেড়ে নিয়েছ। তোমরা নিজেরা তো প্রবেশ করোইনি, যারা প্রবেশ করতে চেয়েছে, তাদেরও বাধা দিয়েছ।”
53 Κἀκεῖθεν ἐξελθόντος αὐτοῦ, ἤρξαντο οἱ γραμματεῖς καὶ οἱ Φαρισαῖοι δεινῶς ἐνέχειν, καὶ ἀποστοματίζειν αὐτὸν περὶ πλειόνων,
যীশু সেই স্থান ছেড়ে যাওয়ার সময় ফরিশী ও শাস্ত্রবিদরা তাঁর তীব্র বিরোধিতা করতে লাগল এবং তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে তুলল।
54 ἐνεδρεύοντες αὐτὸν θηρεῦσαί τι ἐκ τοῦ στόματος αὐτοῦ.
যীশুর কথা দিয়েই তাঁকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা সুযোগের অপেক্ষায় রইল।

< Κατα Λουκαν 11 >