< Κατα Ματθαιον 27 >
1 πρωιας δε γενομενης συμβουλιον ελαβον παντες οι αρχιερεις και οι πρεσβυτεροι κατα του ιησου ωστε θανατωσαι αυτον
ভোরবেলায়, সমস্ত প্রধান যাজক ও লোকদের প্রাচীনবর্গ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
2 και δησαντες αυτον απηγαγον και παρεδωκαν αυτον ποντιω πιλατω τω ηγεμονι
তারা তাঁকে বেঁধে প্রদেশপাল পীলাতের কাছে গেল ও তাঁর হাতে তাঁকে সমর্পণ করল।
3 τοτε ιδων ιουδας ο παραδιδους αυτον οτι κατεκριθη μεταμεληθεις απεστρεψεν τα τριακοντα αργυρια τοις αρχιερευσιν και τοις πρεσβυτεροις
যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই যিহূদা যখন দেখল যে যীশুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সে তীব্র বিবেক দংশনে বিদ্ধ হল। সে প্রধান যাজকদের ও প্রাচীনদের কাছে গিয়ে সেই ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা ফিরিয়ে দিল।
4 λεγων ημαρτον παραδους αιμα αθωον οι δε ειπον τι προς ημας συ οψει
সে বলল, “নির্দোষ মানুষের রক্ত সমর্পণ করে আমি পাপ করেছি।” তারা উত্তরে বলল, “তাতে আমাদের কী? সে তোমার দায়।”
5 και ριψας τα αργυρια εν τω ναω ανεχωρησεν και απελθων απηγξατο
তাই যিহূদা সেই অর্থ মন্দিরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চলে গেল। তারপর গিয়ে নিজেকে ফাঁসি দিল।
6 οι δε αρχιερεις λαβοντες τα αργυρια ειπον ουκ εξεστιν βαλειν αυτα εις τον κορβαναν επει τιμη αιματος εστιν
প্রধান যাজকেরা মুদ্রাগুলি তুলে নিয়ে বলল, “এই অর্থ ভাণ্ডারে রাখা বিধানবিরুদ্ধ, কারণ এটি রক্তের মূল্য।”
7 συμβουλιον δε λαβοντες ηγορασαν εξ αυτων τον αγρον του κεραμεως εις ταφην τοις ξενοις
তাই তারা স্থির করল, ওই অর্থ দিয়ে কুমোরের জমি কেনা হবে, যেন বিদেশিদের কবর দেওয়া যেতে পারে।
8 διο εκληθη ο αγρος εκεινος αγρος αιματος εως της σημερον
এই কারণে একে আজও পর্যন্ত রক্তক্ষেত্র বলা হয়।
9 τοτε επληρωθη το ρηθεν δια ιερεμιου του προφητου λεγοντος και ελαβον τα τριακοντα αργυρια την τιμην του τετιμημενου ον ετιμησαντο απο υιων ισραηλ
তখন ভাববাদী যিরমিয়ের দ্বারা কথিত এই বচন পূর্ণ হল: “তারা সেই ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা নিল, ইস্রায়েল-সন্তানেরা যা তাঁর মূল্য নির্ধারণ করেছিল,
10 και εδωκαν αυτα εις τον αγρον του κεραμεως καθα συνεταξεν μοι κυριος
আর তারা সেই অর্থ কুমোরের জমি কেনার জন্য ব্যয় করল, যেমন প্রভু আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন।”
11 ο δε ιησους εστη εμπροσθεν του ηγεμονος και επηρωτησεν αυτον ο ηγεμων λεγων συ ει ο βασιλευς των ιουδαιων ο δε ιησους εφη αυτω συ λεγεις
ইতিমধ্যে যীশুকে প্রদেশপালের সামনে দাঁড় করানো হল। প্রদেশপাল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি ইহুদিদের রাজা?” যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বললে।”
12 και εν τω κατηγορεισθαι αυτον υπο των αρχιερεων και πρεσβυτερων ουδεν απεκρινατο
প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ যখন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে লাগল, তিনি কোনও উত্তর দিলেন না।
13 τοτε λεγει αυτω ο πιλατος ουκ ακουεις ποσα σου καταμαρτυρουσιν
তখন পীলাত তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার বিরুদ্ধে ওরা যে সাক্ষ্য এনেছে তুমি কি শুনতে পাচ্ছ না?”
14 και ουκ απεκριθη αυτω προς ουδε εν ρημα ωστε θαυμαζειν τον ηγεμονα λιαν
তবুও যীশু কোনো উত্তর দিলেন না, একটি অভিযোগেরও না। এতে প্রদেশপাল অত্যন্ত বিস্মিত হলেন।
15 κατα δε εορτην ειωθει ο ηγεμων απολυειν ενα τω οχλω δεσμιον ον ηθελον
সেই সময়ে, পর্ব উপলক্ষে প্রদেশপালের একটি প্রথা ছিল, লোকসাধারণ যে কারাবন্দিকে চাইত, তিনি তাকে মুক্তি দিতেন।
16 ειχον δε τοτε δεσμιον επισημον λεγομενον βαραββαν
তখন যীশু-বারাব্বা নামে তাদের এক কুখ্যাত বন্দি ছিল।
17 συνηγμενων ουν αυτων ειπεν αυτοις ο πιλατος τινα θελετε απολυσω υμιν βαραββαν η ιησουν τον λεγομενον χριστον
তাই লোকেরা সমবেত হলে পীলাত তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের জন্য আমি কাকে মুক্তি দেব, বারাব্বাকে না যীশুকে, যাকে খ্রীষ্ট বলে?”
18 ηδει γαρ οτι δια φθονον παρεδωκαν αυτον
কারণ তিনি জানতেন, তারা ঈর্ষাবশত যীশুকে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল।
19 καθημενου δε αυτου επι του βηματος απεστειλεν προς αυτον η γυνη αυτου λεγουσα μηδεν σοι και τω δικαιω εκεινω πολλα γαρ επαθον σημερον κατ οναρ δι αυτον
পীলাত যখন বিচারাসনে বসেছিলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর কাছে এই বার্তা পাঠালেন, “ওই নির্দোষ ব্যক্তির প্রতি তুমি কিছু কোরো না, কারণ আজ আমি স্বপ্নে তাঁর কারণে ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।”
20 οι δε αρχιερεις και οι πρεσβυτεροι επεισαν τους οχλους ινα αιτησωνται τον βαραββαν τον δε ιησουν απολεσωσιν
কিন্তু প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ লোকদের প্ররোচিত করে বলল, তারা যেন বারাব্বাকে মুক্তির জন্য চেয়ে নেয়, কিন্তু যীশুকে যেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
21 αποκριθεις δε ο ηγεμων ειπεν αυτοις τινα θελετε απο των δυο απολυσω υμιν οι δε ειπον βαραββαν
প্রদেশপাল জিজ্ঞাসা করলেন, “এই দুজনের মধ্যে তোমরা কাকে চাও যে আমি মুক্ত করি?” তারা উত্তর দিল, “বারাব্বাকে।”
22 λεγει αυτοις ο πιλατος τι ουν ποιησω ιησουν τον λεγομενον χριστον λεγουσιν αυτω παντες σταυρωθητω
পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “তাহলে যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে, আমি তাকে নিয়ে কী করব?” তারা সকলে মিলে উত্তর দিল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
23 ο δε ηγεμων εφη τι γαρ κακον εποιησεν οι δε περισσως εκραζον λεγοντες σταυρωθητω
পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “কেন? ও কী অপরাধ করেছে?” কিন্তু তারা আরও জোরে চিৎকার করে বলতে লাগল, “ওকে ক্রুশে দিন!”
24 ιδων δε ο πιλατος οτι ουδεν ωφελει αλλα μαλλον θορυβος γινεται λαβων υδωρ απενιψατο τας χειρας απεναντι του οχλου λεγων αθωος ειμι απο του αιματος του δικαιου τουτου υμεις οψεσθε
পীলাত যখন দেখলেন, তাঁর সব প্রচেষ্টা নিষ্ফল হচ্ছে, বরং এক হট্টগোলের সৃষ্টি হচ্ছে, তিনি জল নিয়ে লোকদের সামনে তাঁর হাত ধুয়ে বললেন, “আমি এই মানুষটির রক্তপাত সম্পর্কে নির্দোষ। এই দায় তোমাদের!”
25 και αποκριθεις πας ο λαος ειπεν το αιμα αυτου εφ ημας και επι τα τεκνα ημων
লোকেরা সবাই উত্তর দিল, “ওর রক্ত আমাদের উপরে ও আমাদের সন্তানের উপরে বর্তাক।”
26 τοτε απελυσεν αυτοις τον βαραββαν τον δε ιησουν φραγελλωσας παρεδωκεν ινα σταυρωθη
তখন তিনি তাদের কাছে বারাব্বাকে মুক্ত করে দিলেন, কিন্তু যীশুকে চাবুক দিয়ে প্রহার করিয়ে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করলেন।
27 τοτε οι στρατιωται του ηγεμονος παραλαβοντες τον ιησουν εις το πραιτωριον συνηγαγον επ αυτον ολην την σπειραν
এরপর প্রদেশপালের সৈন্যরা যীশুকে তাঁর প্রাসাদে নিয়ে গেল ও তাঁর চারপাশে সমস্ত সৈন্যদলকে একত্র করল।
28 και εκδυσαντες αυτον περιεθηκαν αυτω χλαμυδα κοκκινην
তারা তাঁর পোশাক খুলে একটি লাল রংয়ের পোশাক পরিয়ে দিল।
29 και πλεξαντες στεφανον εξ ακανθων επεθηκαν επι την κεφαλην αυτου και καλαμον επι την δεξιαν αυτου και γονυπετησαντες εμπροσθεν αυτου ενεπαιζον αυτω λεγοντες χαιρε ο βασιλευς των ιουδαιων
তারপর কাঁটালতা দিয়ে পাকানো একটি মুকুট তৈরি করে তাঁর মাথায় স্থাপন করল। তারা তাঁর ডান হাতে নলখাগড়ার একটি ছড়ি দিল ও তাঁর সামনে নতজানু হয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করল, বলল, “ইহুদিদের রাজা, নমস্কার!”
30 και εμπτυσαντες εις αυτον ελαβον τον καλαμον και ετυπτον εις την κεφαλην αυτου
তারা তাঁর গায়ে থুতু দিল, ছড়িটি নিয়ে নিল এবং তা দিয়ে বারবার তাঁর মাথায় আঘাত করতে লাগল।
31 και οτε ενεπαιξαν αυτω εξεδυσαν αυτον την χλαμυδα και ενεδυσαν αυτον τα ιματια αυτου και απηγαγον αυτον εις το σταυρωσαι
তাঁকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করার পর, তারা তাঁর পোশাকটি খুলে নিল ও তাঁর নিজের পোশাক তাঁকে পরিয়ে দিল। তারপর তারা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য নিয়ে গেল।
32 εξερχομενοι δε ευρον ανθρωπον κυρηναιον ονοματι σιμωνα τουτον ηγγαρευσαν ινα αρη τον σταυρον αυτου
তারা যখন বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা কুরীণ থেকে আগত শিমোন নামে এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেল। তারা ক্রুশ বয়ে নিয়ে যেতে তাকে বাধ্য করল।
33 και ελθοντες εις τοπον λεγομενον γολγοθα ο εστιν λεγομενον κρανιου τοπος
তারা গলগথা নামক এক স্থানে এল (নামটির অর্থ, “মাথার খুলির স্থান”)।
34 εδωκαν αυτω πιειν οξος μετα χολης μεμιγμενον και γευσαμενος ουκ ηθελεν πιειν
তারা সেখানে যীশুকে পিত্তরসে মেশানো দ্রাক্ষারস পান করতে দিল; কিন্তু তিনি তার স্বাদ নিয়ে তা পান করতে চাইলেন না।
35 σταυρωσαντες δε αυτον διεμερισαντο τα ιματια αυτου βαλοντες κληρον
তারা যখন তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করল, তারা গুটিকাপাত করে তাঁর পোশাকগুলি ভাগ করে নিল।
36 και καθημενοι ετηρουν αυτον εκει
আর সেখানে বসে, তারা তাঁকে পাহারা দিতে লাগল।
37 και επεθηκαν επανω της κεφαλης αυτου την αιτιαν αυτου γεγραμμενην ουτος εστιν ιησους ο βασιλευς των ιουδαιων
তাঁর মাথার উপরে তারা তাঁর বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগপত্র টাঙিয়ে দিল: এই ব্যক্তি যীশু, ইহুদিদের রাজা।
38 τοτε σταυρουνται συν αυτω δυο λησται εις εκ δεξιων και εις εξ ευωνυμων
দুজন দস্যুকে তাঁর সঙ্গে ক্রুশার্পিত করা হল, একজনকে তাঁর ডানদিকে, অন্যজনকে তাঁর বাঁদিকে।
39 οι δε παραπορευομενοι εβλασφημουν αυτον κινουντες τας κεφαλας αυτων
যারা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তারা তাদের মাথা নাড়তে নাড়তে তাঁকে অপমান করে বলতে লাগল,
40 και λεγοντες ο καταλυων τον ναον και εν τρισιν ημεραις οικοδομων σωσον σεαυτον ει υιος ει του θεου καταβηθι απο του σταυρου
“তুমি নাকি মন্দির ধ্বংস করে তিনদিনের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করতে চলেছিলে, এবার নিজেকে রক্ষা করো! তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এসো!”
41 ομοιως δε και οι αρχιερεις εμπαιζοντες μετα των γραμματεων και πρεσβυτερων και φαρισαιων ελεγον
একইভাবে প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও প্রাচীনবর্গ তাঁকে বিদ্রুপ করল।
42 αλλους εσωσεν εαυτον ου δυναται σωσαι ει βασιλευς ισραηλ εστιν καταβατω νυν απο του σταυρου και πιστευσομεν επ αυτω
তারা বলল, “ও অন্যদের বাঁচাত, কিন্তু নিজেকে বাঁচাতে পারে না! ও তো ইস্রায়েলের রাজা! এখন ও ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরাও ওকে বিশ্বাস করব।
43 πεποιθεν επι τον θεον ρυσασθω νυν αυτον ει θελει αυτον ειπεν γαρ οτι θεου ειμι υιος
ও ঈশ্বরে নির্ভর করে। ঈশ্বরই ওকে নিস্তার করুন, যদি তিনি ওকে চান, কারণ ও বলেছে, ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র।’”
44 το δ αυτο και οι λησται οι συσταυρωθεντες αυτω ωνειδιζον αυτον
একইভাবে, তাঁর সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ দুই দস্যুও তাঁকে বিভিন্নভাবে অপমান করল।
45 απο δε εκτης ωρας σκοτος εγενετο επι πασαν την γην εως ωρας ενατης
দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশে অন্ধকার ছেয়ে গেল।
46 περι δε την ενατην ωραν ανεβοησεν ο ιησους φωνη μεγαλη λεγων ηλι ηλι λιμα σαβαχθανι τουτ εστιν θεε μου θεε μου ινα τι με εγκατελιπες
প্রায় তিনটের সময় যীশু উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে উঠলেন, “এলী, এলী, লামা শবক্তানী?” যার অর্থ, “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, কেন তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ?”
47 τινες δε των εκει εστωτων ακουσαντες ελεγον οτι ηλιαν φωνει ουτος
সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন এমন কয়েকজন যখন একথা শুনল, তারা বলল, “ও এলিয়কে ডাকছে।”
48 και ευθεως δραμων εις εξ αυτων και λαβων σπογγον πλησας τε οξους και περιθεις καλαμω εποτιζεν αυτον
সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে একজন দৌড়ে গিয়ে একটি স্পঞ্জ নিয়ে এল। সে তা সিরকা মিশ্রিত দ্রাক্ষারসে পূর্ণ করে একটি নলের সাহায্যে যীশুকে পান করতে দিল।
49 οι δε λοιποι ελεγον αφες ιδωμεν ει ερχεται ηλιας σωσων αυτον
অন্যেরা সকলে বলল, “এখন ওকে একা ছেড়ে দাও। দেখি, এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।”
50 ο δε ιησους παλιν κραξας φωνη μεγαλη αφηκεν το πνευμα
পরে যীশু আবার উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে তাঁর আত্মাকে সমর্পণ করলেন।
51 και ιδου το καταπετασμα του ναου εσχισθη εις δυο απο ανωθεν εως κατω και η γη εσεισθη και αι πετραι εσχισθησαν
আর সেই মুহূর্তে মন্দিরের পর্দাটি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চিরে দু-টুকরো হল। ভূমিকম্প হল ও পাথর শিলাগুলি বিদীর্ণ হল।
52 και τα μνημεια ανεωχθησαν και πολλα σωματα των κεκοιμημενων αγιων ηγερθη
কবরসকল উন্মুক্ত হল ও বহু পুণ্যজনের শরীর, যাঁরা পূর্বে নিদ্রাগত হয়েছিলেন, তাদের জীবনে উত্থাপিত করা হল।
53 και εξελθοντες εκ των μνημειων μετα την εγερσιν αυτου εισηλθον εις την αγιαν πολιν και ενεφανισθησαν πολλοις
তাঁরা কবর থেকে বের হয়ে এলেন ও যীশুর পুনরুত্থানের পর পবিত্র নগরে প্রবেশ করলেন এবং বহু মানুষকে দর্শন দিলেন।
54 ο δε εκατονταρχος και οι μετ αυτου τηρουντες τον ιησουν ιδοντες τον σεισμον και τα γενομενα εφοβηθησαν σφοδρα λεγοντες αληθως θεου υιος ην ουτος
তখন সেই শত-সেনাপতি ও যারা তার সঙ্গে যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, সেই ভূমিকম্প ও অন্য সব ঘটনা ঘটতে দেখে, তারা আতঙ্কগ্রস্ত হল ও বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠল, “নিশ্চিতরূপেই ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন!”
55 ησαν δε εκει και γυναικες πολλαι απο μακροθεν θεωρουσαι αιτινες ηκολουθησαν τω ιησου απο της γαλιλαιας διακονουσαι αυτω
সেখানে বহু মহিলাও উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা দূর থেকে সব লক্ষ্য করছিলেন। তাঁরা যীশুর পরিচর্যার জন্য গালীল থেকে তাঁকে অনুসরণ করে আসছিলেন।
56 εν αις ην μαρια η μαγδαληνη και μαρια η του ιακωβου και ιωση μητηρ και η μητηρ των υιων ζεβεδαιου
তাঁদের মধ্যে ছিলেন মাগ্দালাবাসী মরিয়ম, যাকোব ও যোষির মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের পুত্রদের মা।
57 οψιας δε γενομενης ηλθεν ανθρωπος πλουσιος απο αριμαθαιας τουνομα ιωσηφ ος και αυτος εμαθητευσεν τω ιησου
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, সেখানে যোষেফ নামে আরিমাথিয়ার এক ধনী ব্যক্তি উপস্থিত হলেন। তিনি নিজেও যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন।
58 ουτος προσελθων τω πιλατω ητησατο το σωμα του ιησου τοτε ο πιλατος εκελευσεν αποδοθηναι το σωμα
পীলাতের কাছে গিয়ে তিনি যীশুর দেহটি চাইলেন, পীলাত তা তাঁকে দেওয়ার আদেশ দিলেন।
59 και λαβων το σωμα ο ιωσηφ ενετυλιξεν αυτο σινδονι καθαρα
যোষেফ সেই দেহটি নিয়ে পরিষ্কার লিনেন কাপড়ে জড়ালেন
60 και εθηκεν αυτο εν τω καινω αυτου μνημειω ο ελατομησεν εν τη πετρα και προσκυλισας λιθον μεγαν τη θυρα του μνημειου απηλθεν
ও পাথরে খোদাই করা তাঁর নিজের নতুন সমাধি গৃহে তা রাখলেন। তিনি সমাধির প্রবেশপথে একটি বড়ো পাথর গড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন।
61 ην δε εκει μαρια η μαγδαληνη και η αλλη μαρια καθημεναι απεναντι του ταφου
সেখানে মাগ্দালাবাসী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম কবরের উল্টোদিকে বসেছিলেন।
62 τη δε επαυριον ητις εστιν μετα την παρασκευην συνηχθησαν οι αρχιερεις και οι φαρισαιοι προς πιλατον
পরের দিন, অর্থাৎ প্রস্তুতি-দিনের পরদিন, প্রধান যাজকেরা ও ফরিশীরা পীলাতের কাছে গেল।
63 λεγοντες κυριε εμνησθημεν οτι εκεινος ο πλανος ειπεν ετι ζων μετα τρεις ημερας εγειρομαι
তারা বলল, “মহাশয়, আমাদের মনে পড়ছে, সেই প্রবঞ্চক জীবিত থাকাকালীন বলেছিল, ‘তিন দিন পরে আমি আবার উত্থিত হব।’
64 κελευσον ουν ασφαλισθηναι τον ταφον εως της τριτης ημερας μηποτε ελθοντες οι μαθηται αυτου νυκτος κλεψωσιν αυτον και ειπωσιν τω λαω οτι ηγερθη απο των νεκρων και εσται η εσχατη πλανη χειρων της πρωτης
সেই কারণে, তিন দিন পর্যন্ত সমাধিটি পাহারা দিতে আদেশ দিন, তা না হলে, তাঁর শিষ্যেরা এসে সেই দেহ চুরি করে নিয়ে যাবে ও লোকদের বলবে যে তিনি মৃতলোক থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। তাহলে শেষের এই প্রতারণা প্রথমের থেকে আরও গুরুতর হবে।”
65 εφη δε αυτοις ο πιλατος εχετε κουστωδιαν υπαγετε ασφαλισασθε ως οιδατε
পীলাত উত্তর দিলেন, “তোমরা পাহারা দাও। গিয়ে সমাধি যতটা সুরক্ষিত রাখতে পারো, তোমরা তাই করো।”
66 οι δε πορευθεντες ησφαλισαντο τον ταφον σφραγισαντες τον λιθον μετα της κουστωδιας
তাই তারা গেল, সেই পাথরটি মোহরাঙ্কিত করে সমাধি সুরক্ষিত করল ও প্রহরীদের নিযুক্ত করল।