Κατα Ιωαννην 17
1 Ταύτα ελάλησεν ο Ιησούς, και ύψωσε τους οφθαλμούς αυτού εις τον ουρανόν και είπε· Πάτερ, ήλθεν η ώρα· δόξασον τον Υιόν σου, διά να σε δοξάση και ο Υιός σου,
একথা বলে যীশু স্বর্গের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, সময় উপস্থিত হয়েছে, তোমার পুত্রকে মহিমান্বিত করো, যেন তোমার পুত্র তোমাকে মহিমান্বিত করতে পারেন।
2 καθώς έδωκας εις αυτόν εξουσίαν πάσης σαρκός, διά να δώση ζωήν αιώνιον εις πάντας όσους έδωκας εις αυτόν. (aiōnios g166)
কারণ সব মানুষের উপর তুমি তাঁকে কর্তৃত্ব দান করেছ, যেন তুমি তাঁর হাতে যাদের অর্পণ করেছ, তিনি তাদের অনন্ত জীবন দিতে পারেন। (aiōnios g166)
3 Αύτη δε είναι η αιώνιος ζωή, το να γνωρίζωσι σε τον μόνον αληθινόν Θεόν και τον οποίον απέστειλας Ιησούν Χριστόν. (aiōnios g166)
আর এই হল অনন্ত জীবন যে, তারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁকে পাঠিয়েছ, সেই যীশু খ্রীষ্টকে জানতে পারে। (aiōnios g166)
4 Εγώ σε εδόξασα επί της γης, το έργον ετελείωσα, το οποίον μοι έδωκας διά να κάμω·
তোমার দেওয়া কাজ সম্পূর্ণ করে, আমি পৃথিবীতে তোমাকে মহিমান্বিত করেছি।
5 και τώρα δόξασόν με συ, Πάτερ, πλησίον σου με την δόξαν, την οποίαν είχον παρά σοι πριν γείνη ο κόσμος.
তাই এখন পিতা, জগৎ সৃষ্টির আগে তোমার কাছে আমার যে মহিমা ছিল, তোমার সান্নিধ্যে আমাকে সেই মহিমায় ভূষিত করো।
6 Εφανέρωσα το όνομά σου εις τους ανθρώπους, τους οποίους μοι έδωκας εκ του κόσμου. Ιδικοί σου ήσαν και εις εμέ έδωκας αυτούς, και τον λόγον σου εφύλαξαν.
“এই জগতের মধ্য থেকে যাদের তুমি আমায় দিয়েছিলে, তাদের কাছে আমি তোমাকে প্রকাশ করেছি। তারা তোমারই ছিল, তুমি তাদের আমাকে দিয়েছ। তারা তোমার বাক্য পালন করেছে।
7 Τώρα εγνώρισαν ότι πάντα όσα μοι έδωκας παρά σου είναι·
এখন তারা জানে, যা কিছু তুমি আমাকে দিয়েছ, তা তোমারই দেওয়া।
8 διότι τους λόγους, τους οποίους μοι έδωκας, έδωκα εις αυτούς, και αυτοί εδέχθησαν και εγνώρισαν αληθώς ότι παρά σου εξήλθον, και επίστευσαν ότι συ με απέστειλας.
আমাকে দেওয়া তোমার সব বাণী আমি তাদের দান করেছি। তারা তা গ্রহণ করেছে। তারা সত্যিই জানে যে, আমি তোমারই কাছ থেকে এসেছি, আর তারা বিশ্বাস করেছে যে, তুমি আমাকে পাঠিয়েছ।
9 Εγώ περί αυτών παρακαλώ· δεν παρακαλώ περί του κόσμου, αλλά περί εκείνων, τους οποίους μοι έδωκας, διότι ιδικοί σου είναι.
তাদেরই জন্য আমি নিবেদন করছি। আমি জগতের জন্য নিবেদন করছি না, কিন্তু যাদের তুমি আমাকে দিয়েছ, তাদেরই জন্য করছি, কারণ তারা তোমারই।
10 Και τα εμά πάντα σα είναι και τα σα εμά, και εδοξάσθην εν αυτοίς.
আমার যা কিছু আছে সবই তোমার, আর তোমার সবকিছুই আমার। তাদেরই মধ্যে আমি মহিমান্বিত হয়েছি।
11 Και δεν είμαι πλέον εν τω κόσμω, αλλ' ούτοι είναι εν τω κόσμω, και εγώ έρχομαι προς σε. Πάτερ άγιε, φύλαξον αυτούς εν τω ονόματί σου, τους οποίους μοι έδωκας, διά να ήναι εν καθώς ημείς.
আমি জগতে আর থাকব না, কিন্তু ওরা এখনও জগতে আছে। আমি তোমার কাছে যাচ্ছি। পবিত্র পিতা, যে নাম তুমি আমাকে দিয়েছ, তোমার সেই নামের শক্তিতে তাদের রক্ষা করো। আমরা যেমন এক, তারাও যেন তেমনই এক হতে পারে।
12 Ότε ήμην μετ' αυτών εν τω κόσμω, εγώ εφύλαττον αυτούς εν τω ονόματί σου· εκείνους τους οποίους μοι έδωκας εφύλαξα, και ουδείς εξ αυτών απωλέσθη ειμή ο υιός της απωλείας, διά να πληρωθή η γραφή.
তাদের সঙ্গে থাকার সময় যে নাম তুমি আমাকে দিয়েছ, সেই নামে আমি তাদের রক্ষা করে নিরাপদে রেখেছি। তাদের মধ্যে আর কেউই বিনষ্ট হয়নি কেবলমাত্র সেই বিনাশ-সন্তান ছাড়া, যেন শাস্ত্রবাক্য পূর্ণ হয়।
13 Τώρα δε έρχομαι προς σε, και ταύτα λαλώ εν τω κόσμω διά να έχωσι την χαράν μου πλήρη εν εαυτοίς.
“আমি এখন তোমার কাছে আসছি, কিন্তু জগতে থাকার সময়েই আমি এ সমস্ত বিষয়ে বলছি, যেন আমার আনন্দ তাদের হৃদয়ে সম্পূর্ণ হয়।
14 Εγώ έδωκα εις αυτούς τον λόγον σου, και ο κόσμος εμίσησεν αυτούς, διότι δεν είναι εκ του κόσμου, καθώς εγώ δεν είμαι εκ του κόσμου.
তোমার বাণী তাদের কাছে আমি প্রকাশ করেছি, কিন্তু জগৎ তাদের ঘৃণা করেছে, কারণ তারা আর জগতের নয়, যেমন আমিও জগতের নই।
15 Δεν παρακαλώ να σηκώσης αυτούς εκ του κόσμου, αλλά να φυλάξης αυτούς εκ του πονηρού.
আমি এই নিবেদন করছি না যে তুমি তাদের জগৎ থেকে নিয়ে নাও কিন্তু সেই পাপাত্মা থেকে তাদের রক্ষা করো।
16 Εκ του κόσμου δεν είναι, καθώς εγώ δεν είμαι εκ του κόσμου.
তারা জগতের নয়, যেমন আমিও জগতের নই।
17 Αγίασον αυτούς εν τη αληθεία σου· ο λόγος ο ιδικός σου είναι αλήθεια.
সত্যের দ্বারা তুমি তাদের পবিত্র করো, তোমার বাক্যই সত্য।
18 Καθώς εμέ απέστειλας εις τον κόσμον, και εγώ απέστειλα αυτούς εις τον κόσμον·
তুমি যেমন আমাকে জগতে পাঠিয়েছ, আমিও তেমনই তাদের জগতে পাঠাচ্ছি।
19 και υπέρ αυτών εγώ αγιάζω εμαυτόν, διά να ήναι και αυτοί ηγιασμένοι εν τη αληθεία.
তাদেরই জন্য আমি নিজেকে পবিত্র করি, যেন তারাও সত্যের দ্বারা পবিত্র হতে পারে।
20 Και δεν παρακαλώ μόνον περί τούτων, αλλά και περί των πιστευσόντων εις εμέ διά του λόγου αυτών·
“শুধু তাদেরই জন্য আমি নিবেদন করছি না। তাদের বাক্য প্রচারের মাধ্যমে যারা আমাকে বিশ্বাস করবে, আমি তাদের জন্যও নিবেদন করছি, যেন তারাও সকলে এক হয়।
21 διά να ήναι πάντες εν, καθώς συ, Πάτερ, είσαι εν εμοί και εγώ εν σοι, να ήναι και αυτοί εν ημίν εν, διά να πιστεύση ο κόσμος ότι συ με απέστειλας.
যেমন পিতা, তুমি আমার মধ্যে এবং আমি তোমার মধ্যে আছি, যেন তারাও আমাদের মধ্যে এক হয়, যেন জগৎ বিশ্বাস করে যে, তুমি আমাকে পাঠিয়েছ।
22 Και εγώ την δόξαν την οποίαν μοι έδωκας έδωκα εις αυτούς, διά να ήναι εν καθώς ημείς είμεθα εν,
তুমি আমাকে যে মহিমা দিয়েছিলে, তাদের আমি তা দিয়েছি, যেন তারা এক হয়, যেমন আমরা এক।
23 εγώ εν αυτοίς και συ εν εμοί, διά να ήναι τετελειωμένοι εις εν, και να γνωρίζη ο κόσμος ότι συ με απέστειλας και ηγάπησας αυτούς καθώς εμέ ηγάπησας.
আমি তাদের মধ্যে এবং তুমি আমার মধ্যে আছ। তারা যেন সম্পূর্ণ এক হয় এবং জগৎ যেন জানতে পারে যে, তুমিই আমাকে পাঠিয়েছ এবং তুমি যেমন আমাকে ভালোবেসেছ, তেমনই তাদেরও ভালোবেসেছ।
24 Πάτερ, εκείνους τους οποίους μοι έδωκας, θέλω, όπου είμαι εγώ, να ήναι και εκείνοι μετ' εμού, διά να θεωρώσι την δόξαν μου, την οποίαν μοι έδωκας, διότι με ηγάπησας προ καταβολής κόσμου.
“পিতা, তুমি যাদের আমাকে দিয়েছ, আমি চাই, আমি যেখানে থাকি, তারাও যেন সেখানে আমার সঙ্গে থাকে এবং তারাও যেন সেই মহিমা দেখতে পায় যে মহিমা তুমি আমাকে দিয়েছ, কারণ জগৎ সৃষ্টির আগে থেকেই তুমি আমাকে ভালোবেসেছ।
25 Πάτερ δίκαιε, και ο κόσμος δεν σε εγνώρισεν, εγώ δε σε εγνώρισα, και ούτοι εγνώρισαν ότι συ με απέστειλας.
“ধর্মময় পিতা, জগৎ তোমাকে না জানলেও আমি তোমাকে জানি, আর তারা জানে যে, তুমিই আমাকে পাঠিয়েছ।
26 Και εφανέρωσα εις αυτούς το όνομά σου και θέλω φανερώσει, διά να ήναι η αγάπη, με την οποίαν με ηγάπησας, εν αυτοίς, και εγώ εν αυτοίς.
তোমাকে আমি তাদের কাছে প্রকাশ করেছি এবং তা প্রকাশ করতেই থাকব, যেন আমার প্রতি তোমার যে প্রেম, তা তাদের মধ্যে থাকে এবং আমি স্বয়ং যেন তাদের মধ্যে থাকি।”
